নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবতে চেষ্টা করি আমি একজন মানুষ। তাই মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি। বড় কঠিন কিন্তু অসম্ভব না।

সোয়েব মুহাম্মাদ

সাধারণ মানুষ

সোয়েব মুহাম্মাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

না হেসে আর পারলাম না

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৫

আমার জিপি সিমে একটা অদ্ভুত টেক্সট এসেছে। পাঠিয়েছে Govt info. আপনাদের ও এসেছে। কেউ পড়েছেন কেউবা Govt info দেখেই ডিলিট ঝেড়েছেন।

টেক্সটটা এরকমঃ Paribar, Somaj O Desher Kotha Vabun, Madok Ke Borjon Korun.
স্লোগান টাইপের কথা।

পরিবার, সমাজ ও দেশের কথা ভাবুন,
মাদক কে বর্জন করুন।

আপনারা কি কেউ বলতে পারেন এই টেক্সট গুলো কে করতে বলেছে জিপি দের?
এরকম অনেক টেক্সট আসে। অবাক হই না। কিন্তু আজ একটা বিশেষ কারণে অবাক হচ্ছি।
আমাদের দেশে মাদক বলতে কি বুঝায় সেইটা অস্পষ্ট আমার কাছে। আমার ধারণা যে সকল নেশা দ্রব্য কাছে পেলে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে সেসকল নেশা দ্রব্যকে মাদক বলা হয়। যেমন গাজা, মদ, হিরোইন, ইয়াবা, কোকেন, মারিজুয়ানা ইত্যাদি। এইসব ছাইপাঁশ বড়ই গোপনীয়তার সহিত কেনা-বেচা, পাচার ও ব্যবহার করতে হয়। এগুলো মাদক।

আবার যে সমস্ত নেশা দ্রব্য কাছে থাকলে কোন রকম পুলিশি ঝামেলা হয় না বরং পুলিশদের নিয়ে সেসমস্ত সেবন করা যায় আর সরকারি প্রহরায় রাস্তা ঘাটে বা চায়ের টোঙে বসে নেশা করা যায় সেসব কে মোটেই মাদকের আওতাভুক্ত করা যায় না। যেমনঃ ছিঃগারেট, কম মাত্রার অ্যালকোহল যুক্ত ড্রিঙ্কস,ভাং,চরস, আফিম ইত্যাদি। এই সব ছাইপাঁশ খেতে কোন গোপন কুঠুরি বা বাংলো দরকার পড়ে না। অফিসে যাচ্ছেন, পান করতে করতে গেলেন, ক্লাসের রাস্তা পাঁচ মিনিট তাইলে ক্যাফে থেকে একটা ধরিয়ে নিলেন, সময়টা কেটে গেল, ইফতারি করলেন তো ধরান একটা, সারাদিন না খাওয়া।
যখন বড় কোন সরকারি অফিসের সামনে দিয়ে যাই তখন তামাকের গন্ধে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। বাহ! কি অপরূপ দৃশ্য! সরকারি অফিসাররা অফিসে বসে টানছে।

এত গ্যাঁজায় লাভ কি? এইসবই মাদক। Govt info কে রে? টেক্সট করে বসে বসে। আবার এইসব মাদক দেশে তৈরি করে বিক্রি করার লাইসেন্স দেয়। Govt মানে Government টা কে? আপনাদের এইসব কৌতুক বন্ধ করাটাই কি হিতকর নয়? মুখে বন্ধের কথা বলেন আর ননসেন্সের মত লাইসেন্স দেন। চমৎকার!

সেদিন একটা দোকানের সামনে একটা সাইনবোর্ডে লেখা দেখলাম, সরকার অনুমোদিত মদের দোকান। দোকানের ভিতরে দেয়ালে বাঁধাই করে রাখা সেই লাইসেন্স। বড় করে লেখা- মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সেইখানে আবার মদ খাওয়ার লাইসেন্স ও দেওয়া হয়। ষোলকলা পূর্ণ হয়ে গেল। লাইসেন্স করে তারপর গেলো,কেউ বাঁধা দেবে না।
এই যদি হয় নিয়ন্ত্রন,না জানি আরও কত খেল আছে আমাদের সংবিধানে!
এইটা কৌতুক না? মহা কৌতুক যখন টেক্সট আসে, সমাজের কথা ভাবুন, মাদক কে বর্জন করুন। এই দেশে সবই হয়,হবে।

রাগ করবেন না ভাই। আমি জানি আমার এই লেখার কোন প্রভাবই আপনাদের উপর পড়বে না। শুধু ঐ টেক্সট এর কথা গুলোই ভাবুন। প্লিজ।।
আমরা কোথায় যাচ্ছি? আপনার আদরের সন্তানকে কোলে নিয়ে যখন টানছেন তখন তার নরম ফুসফুসে যে কি ঢেলে দিচ্ছেন আর তার পরিণতি যে কি তা জানতে পারলে নিজেকে খুন করে ফেলতেন।
আবারো বলছি, সাধু, সাবধান, তবে এখনি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৮

Sharifariyan বলেছেন: একটা
সাইনবোর্ডে লেখা দেখলাম, সরকার
অনুমোদিত মদের দোকান। দোকানের ভিতরে
দেয়ালে বাঁধাই করে রাখা সেই লাইসেন্স। বড়
করে লেখা- মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর,
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সেইখানে
আবার মদ খাওয়ার লাইসেন্স ও দেওয়া হয়।
ষোলকলা পূর্ণ হয়ে গেল। লাইসেন্স করে তারপর
গেলো,কেউ বাঁধা দেবে না।
এই যদি হয় নিয়ন্ত্রন,না জানি আরও কত খেল
আছে আমাদের সংবিধানে!
এইটা কৌতুক না?


হা হা হা,,,,ঠিক কইছেন

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

বিপরীত বাক বলেছেন: থাক। কিছু কমু না।।। ভীমরুলের চাকে ঢিল পড়বো তাইলে।। মুখে কুলুপ আঁটলাম।।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০

সোয়েব মুহাম্মাদ বলেছেন: কুলুপ খুলবেন না দয়া করে। তাহলে মাদক ঢুকে যেতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.