নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সদা সত্য কথা বলিব।

হ্যািপ ভুঁইয়া

হ্যািপ ভুঁইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতে ইসলামের ভাষ্কর্য অপসারণ বনাম ইসলাম

৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫

গত কিছুদিন ধরে ভাষ্কর্য নির্মাণ বৈধ না অবৈধ, এটি রাখা যাবে কি যাবে না- এ নিয়ে তোলপাড় চলছে। প্রতিক্রিয়াশীল হুজুররা সাধারণ মুসলমানদের সরলতা ও ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতির সুযোগ নিয়ে বাঙালিকে হাইকোর্ট দেখিয়েই যাচ্ছেন। তাই এখন এ বিষয়ে ‘ধৰ্মজগতের সুপ্রিমকোর্ট তথা ‘পবিত্র কোরআনের রায় সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে তুলে

ধরা হচ্ছে। মনোযোগ দিয়ে লেখাটি পড়ে নিলেই সাধারণ পাঠকরা বিষয়টি সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন।
মনে রাখবেন, কোরআন শরীফ আল্লাহর বিধান! এটি চূড়ান্ত ও অলঙ্ঘনীয়! প্রথমত জানা আবশ্যক, আল্লাহ তা’লা পবিত্র কোরআনে বিভিন্ন নবী-রসূলের বৃত্তান্ত ও ঘটনা কেন বর্ণনা করেছেন? এর উত্তর মহান আল্লাহ নিজেই বর্ণনা করে বলছেন: ‘লাকাদ কানা ফী কাসাসিহিম ইবরাতুল লি উলিল আলবাব’ (সূরা ইউসুফ, আয়াত ১১১)। অর্থ: 'নিশ্চয়ই এদের (অর্থাৎ নবীদের) বৃত্তান্তে বুদ্ধিমানদের জন্য এক বিরাট শিক্ষা নিহিত আছে'। অর্থাৎ নবী-রসূলদের বৃত্তান্তগুলো নিছক গল্পাকারে নিরর্থক বর্ণনা করা হয় নি। বরং এগুলো থেকে শিক্ষা নেয়ার উদ্দেশ্যে এসব ঘটনা ও বৃত্তান্ত পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’লা নিজে তুলে ধরেছেন।
দ্বিতীয়ত জানা আবশ্যক, নবী-রসূলদের সবাই পূত-পবিত্র জীবনের অধিকারী ছিলেন। এদের কেউই শিরক তথা আল্লাহর সাথে কখনও কাউকে সমকক্ষ দাঁড় করান নি। বরং এরা সবাই এক-অদ্বিতীয় খোদার উপাসনা করানাের জন্যই জগতে প্রেরীত হয়েছিলেন। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনের দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা হচ্ছে: ‘ওয়া লাকাদ বাআসনা ফি কুল্লি উম্মতির রাসূলান আনি’বুদুল্লাহা ওয়াজিতানিবুত তাগূত' (সূরা নাহল: আয়াত ৩৬)। অর্থাৎ "নিশ্চয়ই আমি প্রত্যেক জাতিতে এ মর্মে রসূল প্রেরণ করেছি— তোমরা এক আল্লাহর উপাসনা করবে। আর শয়তানকে পরিহার করে চলবে। স্পষ্ট বুঝা গেল, নবী-রসূলদের কেউই কখনও শিরকের কাজ করেন নি। বরং এদের প্রত্যেকে আল্লাহর তাওহীদ জগতে প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। উপরোক্ত দুটি মূলনীতি অনুধাবন করার পর এবার সূরা সাবার ১৩ নম্বর আয়াতটি ভালভাবে পড়ুন। এতে হজরত সুলায়মান (আ.)-এর সাফল্য ও বৈশিষ্ট সম্বন্ধে বলতে গিয়ে স্পষ্ট লেখা আছে: "ইয়া মালুনা লাহু মা ইয়াশাউ মিম মাহারীবা ওয়া তামাসীল’... অর্থাৎ "তারা তার (অর্থাৎ হজরত সুলায়মানের) ইচ্ছে অনুযায়ী প্রাসাদ ও ভাস্কৰ্যনির্মাণ করত।'...। দেখা গেল, আল্লাহর নবী হজরত সুলায়মান (আ.) অন্যান্য জিনিষের পাশাপাশি ভাস্কর্যও নিমাণ করাতেন। আয়াতটির পরের অংশে আল্লাহ তা’লা বলছেন: “ই মালু আলা। দাউদা শুকরান অর্থাৎ “(আমি বলেছিলাম) হে দাউদ পরিবার! তােমরা কৃতজ্ঞতার সাথে কাজ করে যাও"। স্বয়ং আল্লাহ্ তা'লা অন্যান্য সাফল্যের পাশাপাশি ভাস্কর্য নির্মাণ নির্মিত মূর্তি নয়। যে ক্ষেত্রে কোরআন এত স্পষ্ট করে বলছে হজরত সুলায়মান (আ.) ভাস্কর্য নির্মাণ করাতেন। সেক্ষেত্রে এটি অবশ্যই শিরকের কাজ ছিল না। এটি শিরকের কাজ হলে আল্লাহ তা’লা হজরত সুলায়মান (আ.)-কে কখনও এ কাজ সম্পাদনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কথা বলতে পারতেন না!
হুজুররাও এসব কথা খুব ভালই জানেন। প্রশ্ন দাঁড়ায়, যে শিল্পশৈলী শিরুক নয়। সেটার বিরুদ্ধে হঠাৎ এত বাড়াবাড়ি কেন? মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সা)-এর ঘরে হযরত আয়েশা(রা) পুতুল দিয়ে খেলা করতেন কোন কোন বর্ণনায় আছে একটি পাখাওয়ালা ঘোড়াও ছিল। কিন্তু মহানবী(সা) এসবকে ঘরথেকে অপসারণ করার কোন কাজ তো হাতে নেন নি বা বারণও করেন নি। কেন করেন নি? কেননা এগুলো শিরকের উদ্দেশ্যে ছিল না।
তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় কেন বর্তমান যুগের হেফাজতের আলেমরা ভাষ্কর্যের পিছনে লেগেছেন। এর উত্তরে এতটুকুই অনুমান করা যায়, ভাস্কর্য নিয়ে মোল্লাদের বাড়াবাড়ির নেপথ্যে মূল কারণ ধর্মরক্ষা নয়, বরং এসবের নেপথ্যে একটি বিরাট নোংরা রাজনীতি কার্যকর! এরা আমাদের মুসলমানদেরকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছে। তাই এদেরকে সুপ্রিমকোর্ট তথা পবিত্র কুরআন দেখানো এখন আমাদের সবার কাজ।
সংগহিত

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:

"অর্থাৎ "নিশ্চয়ই আমি প্রত্যেক জাতিতে এ মর্মে রসূল প্রেরণ করেছি— তোমরা এক আল্লাহর উপাসনা করবে। আর শয়তানকে পরিহার করে চলবে। "

- আপনি কি ভুল বললেন? "প্রত্যেক জাতিতে রসুল প্রেরণ" করা হলে, ভারতীয়, মোংগল, চীনাদের নবী কোথায়?

২| ৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

কানিজ রিনা বলেছেন: অাসমানী কিতাব চারখানা, ভারতীয় ও চীনেরা কোনও কোনও আসমানী কিতাব ফলো করেনা।
একজন শিল্পিমন শিল্প বানাবে তা নিয়ে জাতি
গত প্রশ্ন বিদ্ধ হলে শিল্পিমন আদর্শের বিকাশ
ঘটাবে সর্বজনিন ভাবে।

৩| ৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেব, অাপনি লেখকের নয় কোরানের ভুল ধরছেন, এটা কি আপনি বুঝতে পেরেছেন?
জেনে নাকি না জেনে করেছেন, বুঝলাম না।

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

হ্যািপ ভুঁইয়া বলেছেন: আল্লাহ্ তা’লা পবিত্র কোরআনে সূরা নাহলের ৩৬ নম্বর আয়াতে বলেছেন, তিনি প্রত্যেক জাতিতে নবী-রসূল পাঠিয়েছেন। অতএব আমরা একথা মানি।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’লা আরও বলেছেন: এসব নবীদের অনেকের বৃত্তান্ত তিনি মহানবী(সা.)-এর কাছে বর্নণা করেছেন আবার অনেকের কথা বর্নণা করেন নি (সূরা মু’মিন আয়াত ৭৮)। অতএব সবার নাম ঠিকানাও পাওয়া যাবে না। কিন্তু গবেষকরা কোরআনের মানদণ্ডে যাচাই বাছাই করে বিভিন্ন জাতিতে আগমনকারী নবী রসূলদের নাম বের করে থাকেন। চাঁদগাজী সাহেব আপনি ভারতীয় নবী-রসূলের নাম জানতে চেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তফসীর মা’আরেফূল কোরআনে সূরা আনআমের অধীনে ১২৯ ও ১৩০নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যায় ভারতীয় নবী রসূলদের কথা নীতিগতভাবে তফসীরে মাযহারীতে স্বীকার করা হয়েছে বলে উল্লেখ আছে (মাআরেফুল কোরআন, ৩য় খণ্ড, পৃ ৪০২, ৪০৩ দ্রষ্টব্য)। আবার আল্লামা শিবলী নোমানী তাঁর বিখ্যাত সীরাত গ্রন্থ ‘সীরাতুন নবী’-র ষষ্ঠ খণ্ডের পৃ ১৬৯, ১৭০ ও ১৭১ ভারতীয় নবী হিসেবে শ্রী কৃষ্ণ ও রামচন্দ্র, ইরানী নবী হিসেবে জরতস্তু এবং গৌতম বুদ্ধের নামও উল্লেখ করেছেন। কেউ এসব তফসীরকারকদের সাথে একমত নাও হতে পারে। কিন্তু একথায় ঈমান রাখতে হবে, আল্লাহ তা’লা পবিত্র কোরআনে যে সার্বজনীন ঘোষণা দিয়ে প্রত্যেক জাতিতে নবী পাঠানোর কথা বলেছেন তা অবশ্যই সঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.