নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুলে যাও বিশ্বের সব জাতি, ধর্ম, বর্ণের সকল ভেদা ভেদ! কেবল নিজের লক্ষ্য ও গন্তব্য ঠিক করে নাও!

দুঃখী জাহিদ

কবি এবং কবিতার জন্য মগ্ন এ মন।

দুঃখী জাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমসাময়িক সামাজিক সংকট নিরসনে ইসলামের অবদান পর্ব ১

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০১


মানুষ সামাজিক জীব। একাকী জীবনযাপন করা মানবজাতির পক্ষে সম্ভব নয়। একজন মানুষ যতই সমৃদ্ধ হোক না কেন, জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে তাকে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবার কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে হয়। তাই সমাজে বসবাসরত প্রত্যেকের উচিত ঐক্য, সংহত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ জীবনযাপন করা। সমাজে এমন সম্প্রীতিপূর্ণ পরিবেশই ইসলাম কামনা করে।

মানুষের সামাজিক পরিচয় ও দায়িত্ব :
সৃষ্টিগতভাবে মানুষের কী দায়িত্ব সে সম্পর্কে আল কুরআনে বলা হয়েছে, “হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের একটি মাত্র আত্মা থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট অধিকার চেয়ে থাকো। আর ভয় করো রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়স্বজনের অধিকারের ব্যাপারে। আর ইয়াতিমদেরকে তাদের ধনসম্পদ দিয়ে দাও এবং ভালোর সাথে মন্দের সংমিশ্রণ করো না। তাদের ধনসম্পদকে তোমাদের ধনসম্পদের সাথে মিলিয়ে আত্মসাৎ করো না। এটা বড় পাপ।” (সূরা নিসা : ১, ২)। অনুরূপভাবে আল কুরআনের অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে, “হে মানুষ! আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি একজন পুরুষ ও একজন নারী হতে, পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পার। আর তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে তোমাদের মধ্যে অধিক আল্লাহভীরু।” (সূরা হুজরাত : ১৩)।

কল্যাণকর কাজ :
সামাজিক সম্প্রীতি সৃষ্টিতে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সমাজে মানুষ তার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও গ্রামমহল্লার লোকজনের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করে। তাই সমাজজীবনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে হলে সমাজের সব ব্যক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়। কল্যাণকর কাজ সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখে। ইসলাম সব সময় সৎকাজকে উৎসাহিত করেছে এবং অসৎ কাজকে নিরুৎসাহিত করেছে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, “তোমরা সৎকাজ ও তাকওয়ায় পরস্পর সাহায্য কর এবং পাপ ও অন্যায় কাজে একে অন্যের সাহায্য কর না।” (সূরা আল-মাদিয়াহ : ২)।

ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি :
সামাজিক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে ইসলামের বড় অবদান হলো পারস্পারিক ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা। ছোট বড়, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-গরিব প্রভৃতি সমাজের সকল শ্রেণীর লোকের মধ্যে ঐক্য থাকবে, তারা সকলে একতাবদ্ধভাবে সমাজে বসবাস করবে, সকলে মিলেমিশে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হবে। সকলের মধ্যে মায়ামমতা, স্নেহ-ভালোবাসা, শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রভৃতি বিরাজমান থাকবে। ইসলাম ঝগড়া-বিবাদ মিমাংসা করে অতি দ্রুত সামাজিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জোরালো তাগিদ দিয়েছে, যাতে সাধারণভাবে সমাজে শান্তি বজায় থাকে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই মুমিনগণ পরস্পর ভাই, অতএব তোমরা তোমাদের দু’ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা কর এবং আল্লাহকে ভয় কর; যাতে তোমরা তার অনুগ্রহ লাভ করতে পার।’’ (সূরা হুজরাত : ১০)।

আল্লাহতায়ালা আরো বলেন, “মুমিনদের দুই দল দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবে। অতঃপর তাদের একদল অপর দলকে অন্যায় আক্রমণ করলে তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে; যতক্ষণ না তারা আল্লাহর নির্দেশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। যদি তারা আত্মসমর্পণ করে, তাহলে তাদের মধ্যে ন্যায়ের সঙ্গে মীমাংসা করবে এবং সুবিচার করবে। যারা ন্যায়বিচার করে তাদের আল্লাহ ভালোবাসেন।” (সূরা আল-হুজরাত : ৯) ।

সাহায্য-সহযোগিতা ও সম্প্রীতি স্থাপন :
মানবজীবনে নানারকম সুযোগ-সুবিধা প্রকাশ করা ও অসুবিধা দূর করার জন্য পারস্পরিক সাহায্য প্রয়োজন। মহানবী (স.) বলেছেন, “তোমরা ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করবে, পীড়িত লোকের খোঁজ খবর নেবে এবং ঋণের দায়ে আবদ্ধ ব্যক্তিকে ঋণমুক্ত করে দেবে।” (বুখারি)। রাসুল (স.) বলেছেন, “মুসলমানদের জন্য এটা সঙ্গত নয় যে, সে তার ভাইয়ের সঙ্গে তিনদিনের বেশি দূরত্ব বজায় রাখবে। যদি তিনদিন অতিক্রান্ত হয়, সে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এবং তাকে সালাম দেবে, যদি সে তা জবাব দেয় তারা উভয়ে এর প্রতিদান পাবে।” (আবু দাউদ)।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.