নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখ কিংবা দুঃখ!হাসি কিংবা কান্না!জীবনের এপিঠ-অপিঠ!আমি সেই জীবন নামক খেলায় পরাজিত একজন।

আংশিক ভগ্নাংশ জামান

আমি মানুষটার পরিচয় নিয়ে বলার খুব বেশী কিছু নেই। পরিবারের জন্যে উৎসর্গীত বড়ো ছেলে। একজন প্রবাসী।

আংশিক ভগ্নাংশ জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরাইলের উপর ইরানের সাম্প্রতিক হামলা

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫



ইসরাইলের উপর ইরানের এই হামলাতে খুশী হওয়ার মতো আসলে কিছুই নেই। আমেরিকার ভালোই ধারণা ছিলো যে ইরান এরচেয়ে বেশী কিছুই করতে পারবেনা। বরং আমেরিকা ইসরাইলকে প্ররোচনা দিয়ে ইরানের সিরিয়া দূতাবাসে হামলা করিয়েছে যাতে ইরান ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে ইসরাইলে হামলা করতে বাধ্য হয়। এতে করে আমেরিকা এবং তার মিত্ররা একটা অজুহাত পেয়ে যাবে ইরানের পারমানবিক স্থাপনার উপর হামলা করার যেখানে কিনা ইরান পারমানবিক অস্ত্র বানানোর জন্যে তৎপরতা সাম্প্রতিক সময়ে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে।
সেই তৎপরতা থামানোর জন্যেই আমেরিকার ইন্ধনে ইসরাইলের সেই হামলা। অথবা হয়ে ইসরাইল নিজেই চেয়েছিলো এই হামলা করতে৷
কারণ ইসরাইল জানে পারমানবিক শক্তিসম্পন্ন ইরান তাদের জন্যে হবে মূর্তিমান একটা আতংক। সেই তৎপরতা ঠেকাতেই এই হামলা আর পাল্টা হামলা।

এখন বরং ইরানকেই সর্বক্ষন তটস্থ থাকতে হবে ইসরাইল বা তার পশ্চিমা মিত্রদের হামলার ভয়ে।

আমেরিকা তাদের প্রতিপক্ষদের দমনে এই স্ট্রাটেজি ব্যবহার করছে কয়েক দশক ধরে। রাশিয়ার প্রতিপক্ষ হিসেবে ইউক্রেনকে দাড় করিয়ে; চীনের প্রতিপক্ষ হিসেবে তাইওয়ানকে দাড় করিয়ে এবং সর্বশেষ ইসরাইলকে ব্যবহার করে ইরানের দূতাবাসে হামলা।

কেনো জানি মনে হচ্ছে এই আমেরিকা নিজের স্বার্থেই এই বিশ্বের ধ্বংস ডেকে আনবে।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫

নতুন বলেছেন: ইরানের উচিত হয়নি আমেরিকা, ইসরাইরের উসকানীতে ইরানী ভুমি থেকে আক্রমন করা।

এই আক্রমন বিশ্ববাসী ইরানকে সমর্থন করবেনা।

বরং এখন আরো ইসরাইলী আক্রমনে ইরানী জনগনের মৃত্যুর খবর দেখতে হবে।

কেনো জানি মনে হচ্ছে এই আমেরিকা নিজের স্বার্থেই এই বিশ্বের ধ্বংস ডেকে আনবে।
- আমেরিকা যত বেশি যুদ্ধে জড়াবে চীনের কাছে সম্রাজ্য হারানোর সম্ভবনা ততবেশি তরান্িত হবে...

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০০

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

কথামৃত বলেছেন: The US won’t support a reprisal against Iran.

Any resolution that Israel sponsors in the Security Council will most likely be vetoed by Russia.

Iran has restored its deterrence by publicly demonstrating it can penetrate the Iron Dome.

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৭

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: US has already made its stance clear by stating that they won't support any revenge attack from Israel towards Iran. This underscores the complexity of the situation and the need for diplomatic solutions.

Also Russia's support for Iran adds another layer of complexity to the situation, potentially complicating any efforts to garner international consensus or take action against Iran. This dynamic further underscores the challenges of navigating the geopolitical landscape in the region.

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: অবশেষে ইরান আম্রিকার হয়ে আকাজটা করেই ফেলল! আরব দেশ গুলিকে যুদ্ধে জড়ানোর কৌশলে আম্রিকাকে এগিয়ে দিল।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৬

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: দেখা যাক ফলাফল কি হয়। ৪৮ ঘন্টার ভিতর জানা যাবে।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমরা সবাই যেটা বুঝতে পারছি ইরান কি সেটা বুঝতে পারছে না বলে আপনার কি মনে হয়?

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০০

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: অবশ্যই বুঝতে পারছে। কিন্তু বুঝলেও তাদের পিছপা হওয়ার উপায় ছিলোনা।দূত এবং দূতাবাস একটা দেশের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিস্ঠান। আর সেই দূতাবাসে হামলা করা আর ইরানে হামলা করা একই কথা। সেই প্রাচীন আমল থেকেই এর অন্যথা হয়নি। ইরানও পিছাতে পারেনি। ইসরাইলও এটা জেনেই দূতাবাসে হামলা করেছে।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইরান কি তাহলে এবার ইসরাইলকে ধ্বংসই করে দেবে?

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০১

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: এই হামলা যে ধ্বংস করার জন্যে ছিলোনা সেটা তো সহজেই অনুমেই। বরং ইরান নিজেদের সক্ষমতার জানান দিলো এর মাধ্যমে।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৩২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সব যুদ্ধই শান্তি প্রিয় মানুষের জন্য অশান্তি। আর যুদ্ধকরে যুদ্ধবাজরা মজাপায়।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: আমেরিকার জন্যে যুদ্ধ হলো একটা ব্যবসা। সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির ব্যবসা।

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: ব্যবসায়ী ইউরো- মার্কিনীদের জন্য এটা সু-খবর বটে। =p~

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: অবশ্যই। তারাই তো ইন্ধন জোগায় যুদ্ধের জন্যে।

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:১১

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আপনার লিখাটি অসাধারণ এবং বাস্তবমুখী। ইরাম মূলত প্রক্সি ওয়ার চালিয়ে যাবে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: ইরান মূলত বিগত বছরগুলোতে প্রক্সি ওয়ার চালিয়েছে আঞ্চলিক কিছু সংগঠন দ্বারা। কিন্তু এখন পাদপ্রদীপে আসতে বাধ্য হয়েছে।

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: ফলাফল? আশ্ব ডিম্ব!!!!

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: যুদ্ধের পরিস্থিতি এখনো ঘোলাটে।আস্তে আস্তে পরিস্কার হবে।তবে পশ্চিমারা উসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছে প্রকাশ্যে ,সহযোগিতাও করছে।আমেরিকা বৃটেন জার্মানী যুদ্ধের মাঠে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:০৮

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: যুদ্ধের ময়দানে অন্তত এই উল্লেখিত দুইটি দেশের কোনোটিই থাকবেনা।

১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যুদ্ধ কোনো ছেলেখেলা না। ইরান, ইসরাইল আক্রমণ করে আমেরিকাকে সাহায্য করলো, অমুক, তমুকের পক্ষে সাহায্য করছে, এগুলো ইম্ম্যাচিউর টক্‌স। একটা দেশকে যুদ্ধে নামার আগে, যখন আমেরিকার মতো একক পরাশক্তি ইসরাইলকে ব্যাক করছে, তখন ইরান জাস্ট হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসরাইলে অ্যাটাক করে নি, অনেক অ্যানালাইসিস করেই মাঠে নেমেছে। তাদের এ সিদ্ধান্ত ভুল, নাকি সঠিক, তা বোঝা যাবে আরো অনেক পরে। নিশ্চিত জয়ের আশা করেও যে ৭দিনেই শত্রুদেশকে ওভার-রান করে জেতা যায় না, তার জ্বলন্ত প্রমাণ রাশিয়া।

তবে, বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধবাজির জন্য প্রথমত দায়ী বুড্ডা বাইডেন। ফিলিস্তিনে এত রক্তপাতের জন্যও সেই দায়ী। আই-ওয়াশ হিসাবে মাঝেমধ্যে নেতানিয়াহুকে ধমক দেয় মাত্র, কিন্তু ওটা অন্তর থেকে না।

সবচাইতে গ্যাঁড়াকলে আছে বাইডেন। এক্কেবারে লেজেগোবরে অবস্থা হয়ে যাবে, যদি ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ লেগে যায়। আগামীবার সে ২য় বারের মতো পাশ করতে পারবে কিনা, ডাউট আছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবী যে অর্থনৈতিক ধ্বসের দিকে যাচ্ছে, আরেকটা যুদ্ধ লেগে গেলে অবস্থা আরো ভয়াবহ হবে, যা কল্পনা করতেও ভয় হচ্ছে।

রাশিয়া আর চিনের রোল দেখার আশায় রইলাম।

সর্বান্তকরণে শান্তি চাই, যুদ্ধ না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:০৭

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: আপনি সম্ভবতো আমার লিখাটার ভাবার্থটাই বুঝতে পারেননি। কে কাকে সাহায্য করলো; কেনো করলো এগুলো হলো টক অব দ্যা ডাউট। এটা মোটেও কোনো ইমম্যাচিউর টকস না। বরং চিন্তার ফসল। ভাবুন কেনো ইসরাইল সিরিয়া গিয়ে সিরিয়া দূতাবাসে গিয়ে হামলা করলো। যেখানে দূত বা দূতাবাসকে একটা দেশের সাথে তুলনা করা হয়। দূতাবাসে হামলার ইরানের জবাব দিতেই হতো। আর অবশ্যই রাশিয়া এবং চীন বা এই দুটি দেশের যেকোনো একটি দেশের এই হামলাই সায় ছিলো বলেই ইরান পদক্ষেপ নিয়েছে।

১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




১. ইমরাইলি সন্ত্রাসীরা যখন ইরানি দূতাবাসে হামলা করে তখন আপনি কোন পোস্ট করেন নি।

২. ইসরাইলি সন্ত্রাসীরা না জানিয়ে পেছন থেকে কাপুরুষের মতো হঠাৎ হঠাৎ হামলা করে। আপনারা এই কাপুরুষতার নাম দিছেন টেকনোলজি। সন্ত্রাসীরা অবশ্য না জানিয়ে কাপুরুষের মতো হটাৎ করেই হামলা করে। ইরান কিন্তু ঘোষণা দিয়ে সবাইকে জানিয়েই হামলা করেছে।

৩. ইরান যে টেকনোলজিতে পিছিয়ে নেই সেটাও নিশ্চয়ই জানেন? আম্রিকা অযৌক্তিক ভাবে, মূলত দমিয়ে রাখতেই ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। বিশ্বের একমাত্র আমেরিকাই পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে মানুষ খুন করেছে, সেই আম্রিকার কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকলে কোন সমস্যা নাই, কিন্তু ইরানের কাছে থাকলে সমস্যা? আর এই অজুহাতে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা? এতো নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান কিন্তু প্রযুক্তিতে পিছিয়ে নেই। ইরানের উপর যেমন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখা হয়েছে ইসরায়েলের উপর তেমন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তারপর ইসরায়েলকে কল্পনা করেন তো। টেকনোলজি তো দুরে থাক ইসরায়েল নামক কোন রাষ্ট্রই টিকিয়ে রাখতে পারবে না। ইসরায়েল টিকেই আছে সাহায্য সহযোগিতা দান-দক্ষিনার মাধ্যমে।
সেদিনের হামলা যাস্ট একটা সতর্কতা। এই সতর্কতামূলক হামলা হতে বাঁচতেই ,আম্রিকা, ব্রিটেন, জর্ডানের সাহায্য নিয়েছে, আরো বড় হামরা হলে কী হবে তা বোঝা যাচ্ছে। এতো উন্নত, এতো টেকনোলজি তাইলে পশ্চিমাদের সাহায্য কেন লাগে। শুধু পশ্চিমারা সরে যাক, তারপর দেখা যা্বে কি কি তেকনোলোজি আছে ইসরায়েলের।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: ইরানি দূতাবাসে হামলার পর ইরানের হামলাটা অনুমেই ছিলো সেটা আমি আগের বেশ কয়েকটা কমেন্টেই উল্লেখ করেছি। আর দূতাবাসে হামলার পর জবাব দেওয়াটাই হচ্ছে সামরিক নীতি। আর আপনি এই "আপনারা" বলতে কাদের মধ্যে আমাকে গণ্য করেছেন সেটা বুঝিনি। দয়া করে ক্লিয়ার করবেন! এখানে আমি শুধু দূতাবাসে হামলার পিছনে কারণ এবং এর পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করেছি মাত্র। কোন প্রযুক্তিতে কে এগিয়ে বা কোন প্রযুক্তি নিয়ে কে কি করবে সেটা বিশ্লেষষ করার জন্যে বড়ো বড়ো বিশ্লেষকগণ আছেন। আমি মানবতা বিরোধী নয়। আমি মনুষ্যত্বের পক্ষে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.