নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনলিপিঃ কমলালেবুর বিচি

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬


কমলার সেই বিচি!

আমার একমাত্র নাতিটা ওর মা সহ কয়েকদিন বেড়িয়ে গেল আমাদের বাসায়। এ কয়দিন নীরব বাসাটা বেশ সরগরম ছিল। শুনেছি তিন বছরের আরহাম নাকি দিনে ঘুমাতে চায় না। কিন্তু শিশুদেরকে ঘুম পাড়ানোর কিছু টেকনিক আমার জানা আছে। খালি কোনরকমে ভুলিয়ে ভালিয়ে একবার বিছানায় তুলতে পারলেই হলো। যতই আপত্তি জানিয়ে হাত পা ছোঁড়াছুড়ি করুক না কেন, একসময় ঠিকই নিদ্রা দেবীর কোলে ঢ়লে পড়ে। ওর বড় বোন আনায়াকেও আমি এভাবেই বহুদিন ঘুম পাড়িয়েছিলাম। অবশ্য গতকাল সে খুব দ্রুতই ঘুমিয়েছিল, কারণ ওকে দুপুর বেলায় আমাদের এলাকার শিশুপার্কে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে সে খুবই ছোটাছুটি করে বেশ ক্লান্ত হয়েছিল। একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যে সে খুব তাড়াতাড়ি অন্যান্য শিশুদের সাথে বন্ধু্ত্ব পাতাতে পারে এবং আলাপ জুড়ে দিতে পারে। শিশুদের মধ্যে মনে হয় কমন একটা lingua franca রয়েছে, যার ফলে পৃথক মাতৃভাষার কারণে ওদের একে অপরের সাথে কমিউনিকেট করতে অসুবিধে হয় না। নিমেষেই সে উপস্থিত কয়েকজন ভিন্নভাষী শিশুর সাথে খেলা জুড়ে দেয় এবং ওদের সাথে সাথে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। ওর এই দৌড়াদৌড়িজনিত ক্লান্তির দুটো ইতিবাচক ফল আমরা পেয়েছিঃ এক, ওকে দুপুরে খাওয়াতে বেশি বেগ পেতে হয়নি। দুই, খাওয়ার পর ঘুম পাড়াতেও বেশি বেগ পেতে হয়নি।

ওকে বিছানায় নিয়ে শোয়ার পর পরই ও খেলনা (একটা বাস, একটা জিপ আর একটা কার) নিয়ে সক্রিয় থাকলেও ওর দিদি ঘুমে চোখ বুঁজেছিল। সেটা লক্ষ্য করে সে দিদির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে উঠলো, Didi, wake up! এর আগের দিনও সে একই কাজ করছিল। কিন্তু সেদিন তার দিদি কেবল ঘুমের ভান করছিল। তাই সে ওয়েক আপ বলার সাথে সাথে দিদি চোখ খুলতো, আর তা দেখে সে অট্টহাসিতে ফেটে পড়তো। গতকাল যেহেতু তার দিদি সত্য সত্যই ঘুমিয়ে পড়েছিল, সেহেতু তার চোখ মেলতে একটু দেরি হয় এবং তাকে তার কমাণ্ডটা কয়েকবার রিপীট করতে হয়। কষ্টের সাথে তার দিদি যখন চোখ মেলে, তখন সে আবার হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায়। আমাদের উভয়কে চুপ করে থাকতে দেখে সে একসময় একদৃষ্টিতে জানালার দিকে তাকিয়ে থেকে (জানালা দিয়ে মাঝে মাঝে পাখির ওড়াউড়ি দেখা যায়) আস্তে করে ঘুমিয়ে পড়ে। হাতে ধরে থাকা গাড়িগুলো একসময় হাত থেকে পড়ে যায়। আমি জানি ও ঘুম শেষে চোখ মেলেই গাড়িগুলো খুঁজবে। তাই আমি সেগুলো তুলে নিয়ে সযত্নে ওর বালিশের পাশে রেখে দেই।

সন্ধ্যার পর ওর দিদি কমলালেবুর খোসা ছাড়িয়ে কোষগুলোকে আলাদা করে একটা প্লেটে তুলে দিয়ে ওকে বললো, যাও দাদার সাথে বসে খাও। আমি জানি, কমলা ওর খুব পছন্দের একটা ফল। প্লেটটা পেয়ে সে খুশি হলো এবং প্লেট হাতে নিয়ে এ ঘরে ও ঘরে হেঁটে বেড়িয়ে খেতে থাকলো। ওর মা অফিস থেকে আসার পর মাকে দেখে কিছুক্ষণ সে মায়ের পিছে পিছে ঘুরে বেড়ালো। রাতে খেয়ে দেয়ে ওরা দুজনেই ওদের বাসায় চলে গেল। আমাদের ঘরটা আবার নীরব হয়ে গেল!

সকালে ফজর নামাযের পর হাঁটুর নীচে শক্ত কিছু একটা অনুভব করলাম। জায়নামায উল্টিয়ে দেখি, একটা কমলালেবুর বিচি! বুঝতে বাকি রইলো না, বিচিটা কোথা থেকে এসেছে। মনটা হু হু করে উঠলো। চোখের পর্দায় ভাসতে থাকলো গতকাল পার্কে ওর ছোটাছুটির দৃশ্যাবলী। ওকে সামলানোর আমার প্রাণান্ত চেষ্টা। গোসল ও খাবারের সময় পার হয়ে যাচ্ছিল বলে কিছুটা ওর ইচ্ছার বিরুদ্ধেই ঘরে ফিরিয়ে আনা। মন খারাপ করে ওর চেয়ারের পেছনে লুকিয়ে থাকা। সযত্নে রক্ষিত ওর গাড়িগুলোকে ওর কাছে হস্তান্তর করা, ওর মোজা খাঁজে দেয়া। যাবার সময় ওর স্বভাবসুলভ দুষ্টুমিতে লিফটের বাটন টেপাটিপি করা, উচ্ছ্বাসে হাত নেড়ে বাই বাই বলা, ইত্যাদি। কি যে গভীর মায়ায় আবদ্ধ করে ও চলে গেল! সব মায়া, সব দৃশ্য, সব স্মৃতি যেন ঘনিভূত হয়ে ঠাঁই নিল একটিমাত্র কমলালেবুর বিচির ভেতর! বিচিটাকে আঙুলে ধরে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম আর বাসার আনাচে কানাচে, আসবাবে শয্যায়, বাসায় রেখে যাওয়া পরিধেয় বস্ত্রে লেগে থাকা ওর স্পর্শ অনুভব করতে লাগলাম। আপাতঃ দৃষ্টিতে খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার, কিন্তু এটাই আমাকে আজ সকাল থেকে অনেকক্ষণ বাক-বিহ্বল করে রাখলো। এসব বেদনা অনির্বচনীয়। যুক্তি দিয়ে কাউকে বোঝানো যাবে না। তাই এ স্মৃতিটা আজকের দিনলিপি হিসেবেই এখানে রক্ষিত থাকুক!



ঢাকা
২৪ জানুয়ারী ২০২৩
শব্দসংখ্যাঃ ৫৯৫


খুশির হাসি


লাঞ্চের সময় পার হয়ে যাচ্ছিল বলে অনেকটা জোর করেই তাকে ঘরে ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল। তাই মন খারাপের হাসি



মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১২

চারাগাছ বলেছেন:
দাদা নাতি।
নিছক কোন ব্যাপার নয় কিন্তু।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, ঠিক বলেছেন। এটা নিছক কোন ব্যাপার নয়!

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: Click This Link

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: বুঝলাম। ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২

নীল-দর্পণ বলেছেন: ঠিক যেন আমার ভাইয়ার মেয়ে রুফাইদাকে দেখতে পেলাম। মাসে দুইমাসে একবার আসার সুযোগ হয়, এলে বাসায় যেন সবার মাঝে আনন্দের ঢল নামে বিশেষ করে ওর দাদা-দাদুর মাঝে। চলে গেলে তার চাইতে বেশি বিষন্ন লাগে। সারা বাসা ঘুরে ওর রেখে যাওয়া এখানে সেখানে স্মৃতি খুঁজে বেড়াই। গত বার যেমন সানগ্লাসটা, গেঞ্জি রেখে গেছে। কখনো দুধের ফিডারের খাপ, কখনো খেলনা এসব ফেলে যাওয়া জিনিসের মাঝে রুফাইদাকে ছুঁতে পাওয়ার চেষ্টা!

যাহোক আমাকে ঘুম পাড়ানোর টেকনিকটা বলে দেবেন প্লিজ, মেয়েদের ঘুম পাড়ানো নিয়ে অনেক যুদ্ধ করতে হয় প্রায় সময়ই!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "কখনো দুধের ফিডারের খাপ, কখনো খেলনা এসব ফেলে যাওয়া জিনিসের মাঝে রুফাইদাকে ছুঁতে পাওয়ার চেষ্টা!" - এ তো ঘর ঘর কি কাহানি!

"যাহোক আমাকে ঘুম পাড়ানোর টেকনিকটা বলে দেবেন প্লিজ" - টেকনিকটা আর কিছুই নয়, হয় মজাদার গল্প, নয় গান। গানের মাঝে গল্প আছে, এমন গান হলে ভালো হয়। যেমনঃ চুপ চুপ লক্ষীটি, শুনুবে যদি গল্পটি, এক যে ছিল তোমার মত ছোট্ট রাজকুমার! .....

আর যদি বুকের উপর শুয়ে থাকে তবে অতিরিক্ত ডোজ হিসেবে পিঠে হাত বুলানো।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




চোখের অগোচরে পড়ে থাকা সামান্য একটি কমলার বিচির সূত্রে যে হৃদয়-বন্ধনের ছবি এঁকে গেলেন তা কমলালেবুর মতোই সুগন্ধ ছড়িয়ে গেলো যেন!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ও চলে যাবার পর থেকে মনটা ফাঁপর লাগছিল। সকালে নামাযান্তে হাঁটুর নীচে পড়া কমলার বিচিটা আগের কয়েকদিনের স্মৃতি উসকে দিয়েছিল। ওর কামরায় গিয়ে ওর শয্যার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়েছিলাম।
আপনার মন্তব্যটা খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ এবং শুভকামনা....

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সংসারে চতুর্দিকে কেবল ই মায়া !

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, একদম!

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: কি সুন্দর করেই না লিখেছেন!!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই? অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: ছোট্ট একটা বিচি থেকেই যেমন মহিরুহ সৃষ্টি হয়, তেমনি ছোট্ট একটা কমলালেবুর বিচি নিয়ে কী অসাধারণ সুন্দর এবং বড়ো একটা লেখা! ❤️

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট্ট একটা বিচি থেকেই যেমন মহিরুহ সৃষ্টি হয়, তেমনি ছোট্ট একটা কমলালেবুর বিচি নিয়ে কী অসাধারণ সুন্দর এবং বড়ো একটা লেখা! - অনেক ধন্যবাদ, এত চমৎকার একটি মন্তব্য এখানে রেখে যাবার জন্য।
প্লাসে প্রাণিত।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৯

নজসু বলেছেন:


অতি প্রিয়জনেরা মাঝে মাঝে বেড়াতে আসে। কিছুসময় থাকে। আনন্দে পরিপূর্ণ করে দেয় চারিদিক।
মনে হয় এতো আনন্দ কোথায় ছিলো? সুন্দর পৃথিবীটা আরও সুন্দর মনে হয়। চকচকে লাগে।
সেই অতি প্রিয়জনেরা যখন বিদায় নেয়, তখন আলোকিত পৃথিবীটা অন্ধকার অন্ধকার লাগে।
আনন্দের দিনগুলোতে মনেই হয়নি, এই প্রিয়জনের বিদায়ের পর এতটা খারাপ লাগবে।
দিনশেষে মনে হয়, যতোটুকু আনন্দ দিলে; বিদায়কালে তারচেয়ে বেশি ব্যথা দিয়ে গেলে।

প্রিয় ভাই, আরহাম যে সময়টুকু কাছে থাকলো সেই ছোট্ট স্পর্শটুকু আবারও বারবার ফিরে এসে আপনাকে স্পর্শ করবেই।

বিঃ দ্রঃ জানা কথা। তবুও কৌতূহল তৃতীয় ছবিটা......

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রিয়জনদের আগমন এবং বিদায়ক্ষণ নিয়ে আপনার বর্ণনাটা একদম সঠিক।
তবুও কৌতূহল তৃতীয় ছবিটা...... - কী কৌতূহল?
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বৃদ্ধ দাদা দাদিকে কিছু লোক এই অকৃত্রিম ভালোবাসা হতে কী করে বঞ্চিত করে ভাবলে কষ্ট লাগে। আপনার নাতির জন্য দোয়া রহিলো।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এটাই বোধকরি চলমান জীবনের বাস্তবতা। আমরা যখন ছোটবেলায় স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বছরে একবার করে নানাবাড়ি-দাদাবাড়ি বেড়াতে যেতাম, ফেরত আসার সময় তাদের চোখেও বিষাদের ছায়া দেখতে পেতাম। বিশেষ করে নানী তো চোখের জল আটকাতেই পারতেন না।

১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন।পড়তে পড়তে কেমন মন খারাপ হয়ে গেল।আমরা যাদেরকে সব সময় কাছে পেতে চাই কেমন কেমন করে তারা যেন সবাই দূরে-দূরেই থাকে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছেলেপুলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার আগে পর্যন্ত পরিবার জমজমাট থাকে। তারপরেই শুরু হয় ভাঙন, আসা যাওয়া, দূরে চলে যাওয়া।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩৬

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: একরাশ হাহাকার অনুভূতি, ভালো থাকবেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, অনেকটা তাই।
আপনিও ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা।

১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৩৪

সোহানী বলেছেন: বাপরে, দাদা যেভাবে নাতিকে ভালোবাসে আর সবতো মনে হয় ঝাপসা হয়ে যাবে...........হাহাহাহা

মজা করলাম। এমনই মনে হয় থাকে দাদার ভালোবাসা। খুব মনে পড়ছে আমার শশুড় বাবার কথা, আমার ছেলে-মেয়ের সাথেও এমটাই করতো। যতদিন বেঁচে ছিলেন প্রতিদিন ফোন করতেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার শশুড় বাবার এ কথাটা আপনি এর আগেও কোথাও জানিয়েছিলেন, এটা মনে পড়ে। নাতি-নাতনিরা পিতামহ-মাতামহের নয়নের মনি স্বাভাবিক অধিকারেই হয়। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা সুপারভাইজ করতে হলে তথা মানুষ করতে হলে মা বাবাদের কিছুটা শাসন করতেই হয়। কিন্তু নাতি-নাতনিদের বেলায় নানা-নানী কিংবা দাদা দাদীদের সে দায়িত্ব থাকে না। সুতরাং তাদের বেলায় থাকে শুধুই আদর আর আদর। এ জন্যে নানা-নানী এবং দাদা দাদীদেরকে স্পয়লার বলা হয়ে থাকে।

বকা দেয়া তো দূরের কথা, ছোটটার সাথে একটু জোরে কথা বললেই ওর বড় বোন আনায়া আমাকে উল্টো শাসন করে বলেঃ "এই দাদা, তুমি ওর সাথে এত জোরে কথা বলছো কেন, জানোনা ও একটা বেবী?"

১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৪

কালো যাদুকর বলেছেন: আপনার "আরহামের" জন্য অনেক আদর ও ভালবাসা। সব দাদা/দাদী, নানা/নানীর কাজ হচ্ছে, নাতিদের কিভাবে স্পয়েল করা যায়। আর এরকম একমাত্র হলেতো কথাই নেই।

আপনার দিনলিপি এরকম আনণ্দ ও ভালবাসায় পূর্ণ হোক এই আশা করছি। নিঃশ্চয়ই পরের বার এলে আরেকটু বেশিদিন রেখে দেবেন। দাদীকে হ্য়তো ঘুমাতেই দেবে একেবারে।

শিশুরা বন্ধু হয়, কারন ওরা সহজেই বিশ্বাস করে, বড়রা ভিন্ন। একটা বয়সের পরে আর নতুন বন্ধু কপালে জোটে না।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আরহামের" জন্য অনেক আদর ও ভালবাসা জানানোয় প্রীত হলাম।
"শিশুরা বন্ধু হয়, কারন ওরা সহজেই বিশ্বাস করে, বড়রা ভিন্ন। একটা বয়সের পরে আর নতুন বন্ধু কপালে জোটে না।" - চমৎকার বলেছেন। কথাটা সর্বাংশে সত্য।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....

১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার কন্যাকে একসময় কমলা জুস করে দিতে হতো।
এখন সে কমলা জুস খায় না। আস্তো কমলা হাতে দিয়ে দেই। সে খেয়ে নেয়। বিচি গুলো সারা ঘরে ছোড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেয়।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ বয়সে ওর এরকমই করার কথা।

১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: ছোট বাচ্চারা সবসময় আদরের হয়।
বাচ্চাটা দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে মাশ আল্লাহ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মা শা আল্লাহ!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৪

মিরোরডডল বলেছেন:



বাবুটার চোখে মুখে দুষ্টমি :)
বাচ্চাদের এমনটাই ভালো লাগে।
লেখাটা পড়ে আমার নেফিউর কথা মনে পরে।
কবে যে আবার তাকে দেখবো!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাবুটার চোখে মুখে দুষ্টমি - ঠিক!
বাচ্চাদের এমনটাই ভালো লাগে - আমারও।
আপনার ভাগ্নে/ভাতিজার জন্য শুভকামনা।


১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: এমন সময় মাঝে মাঝে মনে হয় এভাবেই যদি জীবনটা কেটে যেত এ মানুষগুলো যদি সারাদিন আমার আশেপাশে থাকতো!! কিন্তু সারা জীবন কেউ কারো কাছে থাকে না। একদিন আমাদেরই সবকিছু ছেড়ে ছেড়ে চলে যেতে হবে- তখন কারো হয়তো আফসোস হবে হয়তো তীব্রভাবেই হবে। হবে কি? নাও হতে পারে...

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু সারা জীবন কেউ কারো কাছে থাকে না - জ্বী ভাই, নিদারুণ নির্মম হলেও এটাই সত্য।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন:







আমার কাছে শিশুরা সব সময় নির্মল আনন্দের উৎস।পেশাগত কারণে আমার দিনের বেশির ভাগ সময় শিশুদের সাথে কাটে। ওদের সাথে কাটানো সময়ের মত চমৎকার সময় অন্য কোন কিছুর সাথে তুলনা চলে না।
শিশুদের জন্য মুক্ত বাতাসে খেলাধুলা ছোটাছুটি করা অপরিহার্য বিষয়।খেলাধুলা করলে ক্লান্ত হলে ক্ষুধা পাবে আর ঘুমও আসবে। শরীরও সুগঠিত হবে।অথচ নাগরিক জীবনে খোলা জায়গা বা উদ্যানের বড্ড অভাব।নিরাপত্তাও একটা সমস্যা ।প্রায় প্রত্যেকটা শিশুর দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে চার দেয়ালের মধ্যেই। সবাই ব্যস্ত যার যার কাজে। অনেক বাচ্চারা বাবা মায়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সময় পায় না। একটু আহ্লাদ একটু ভালোবাসার জন্য কি যে লালায়িত হয়ে থাকে!
সকল শিশুর জীবন নির্মল আর আনন্দদায়ক হোক এই কামনা করি।

আরহামের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। কমলালেবুর বিচির স্পর্শ মাখা ভালোবাসা অটুট থাকুক।
ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ চমৎকার মন্তব্যের প্রতিটি কথা বাস্তব সত্য এবং মূল্যবান। আমি প্রতিটি কথার সাথে একমত।
কমলালেবুর বিচির স্পর্শ মাখা ভালোবাসা অটুট থাকুক - কি সুন্দর করেই না বললেন এ কথাটা! অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য।

১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



দাদা নাতি দুজনেই খুব কিউট ।
এমন প্রাণবন্ত নাতিকে বাগে এনে ঘুম পা[ড়ানো সহজ কর্ম নয় ।
ঘুম পাড়ানোর টেকনিকটি জানতেন বিধায় সহজে রক্ষা পেয়েছেন ।
গায়ে লেগে থাকা কমলা লেবুর বিচির স্মৃতি মাখা দিনিলিপি
আমাদের কাছে খুবই সুখ পাঠ্য লেগেছে ।

এমনতর লেখনীর আবহে খানিকটা তেতু কমলালেবুর বিচিকে
কত সুন্দর করে মিষ্টি মধুর করা যায় তা ভাবতেও অবাক লাগে ।
আমরা সকলেই কমলা লেবু ফলের গুণের কথা জানি , কিন্তু
এর বিচির বহুবিধ বৈচিত্রময় গুণের কথা অনেকেই হয়তবা তেমন জানিনা ।
সাধারণত কমলার বিচি আমরা তো ফেলেই দেই, আমাদের সকলের
প্রিয় নাতি মহাশয় ভুলে কিংবা সযতনে যে ভাবেই হোক একে দাদুর হাটুতে
লাগিয়ে রাখার কারণে যে দিনলিপির জন্ম দিয়েছে তা পাখা মেলে আমাদেরকে
কমলা লেবুর বিচির উপকারী দিকগুলি নিয়ে গবেষনার জগতে বিচরণ করিয়েছে ।
সাইট্রাসে ভরপুর কমলার ফলটিকে ‘শক্তির ঘর’ বলা হয়। কমলালেবুর
বিচির কিছু গুণের কথা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট
বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ, তাদের গবেষনায় উঠে এসেছে -
কমলা লেবুর বিচি রক্তচাপ কমাতে কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি-৬।
এই বিচিতে আছে ডি-লিমোনেন ও ভিটামিন সি। এগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে উপকারী।
বিশেষ করে ফুসফুস, ত্বক ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে এটি সাহায্য করে।
কমলার বিচির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
এই বিচির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি বিষাক্ত পদার্থ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।
কমলার বিচির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ও ফাইটোকেমিক্যালস শরীরের বাজে কোলেস্টেরলকে
কমাতে কাজ করে।
কমলার বিচি শক্তি বাড়াতে উপকারী। এর মধ্যে থাকা পালমিটিক, ওলেইক ও লিনোলেইক এসিড
শক্তি বাড়াতে উপকারী। এটি দেহের কোষে শক্তি জমিয়েও রাখে; অবসন্ন ভাব দূর হয়।
তাই এই বহু গুণের আধার কমলা লেবুর বিচির স্মৃতিমাখা বিনোদনমুলক দিনলিপিটি
আমাদের স্বাস্থ্য পরিচর্যার দিনলিপিতেও প্রকারান্তরে ন্থান করে নিয়েছে ।
ঘরের বেলকুনিতে , ছাদে কিংবা উঠানের ব্গানে টবে মাত্র ৫ দিনেই
কমলা লেবুর বিচি হতে অঙ্কোরোদগম করে চাড়া, অল্পদিনেই গাছ ও
তা থেকে দৃষ্টিনন্দন কমলা লেবু ও সহজেই বিচি আহরণ করতে পারি ।


দাদু নাতি উভয়ের জন্যই
শুভেচ্ছা রইল



২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: কমলা লেবুর বিচি রক্তচাপ কমাতে কাজ করে - চমৎকার এ তথ্যটি এখানে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। তবে কথা হলো, তেতো বিচিটাকে কি চিবিয়ে খেতে হবে, নাকি পানিসহ গিলে খেলেও চলবে?
কমলা বিচির বৃত্তান্ত পোস্টটাকে সমৃদ্ধ করলো এবং উল্লেখিত তথ্যসমুহ অনেক পাঠকের উপকারে আসবে বলে আশা করি।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ছোট ছোট কিছু কথা। কিছু ব্যথা। হৃদয়ের কিছু হাহাকার। সেই সাথে অমলিন কিছু স্মৃতি। পুরো বাড়ি কলকোলাহলে একাই মুখরিত করে রাখা প্রিয় স্বজনের সাময়িক বিয়োগে নেমে আসা নিঝুম নিরবতা এবং শূণ্যতার ছন্দিত স্মৃতিচারণ। নিঃসন্দেহে চমৎকার।

ছোট বাচ্চাদের আমার কাছে নিষ্পাপ ফুলের মতই মনে হয়। আপনার প্রিয় এই স্বজনের জন্য হৃদয় নিংড়ানো দোআ এবং শুভকামনা। দাদার মতই মেধা, মনন এবং যোগ্যতায় পরিপূর্ণ হয়ে বেড়ে উঠুক প্রিয় পৌত্র আপনার। আদর্শ মানুষ হয়ে প্রত্যাশা পূরণ করুক বাবা-মাসহ পরিবারের সকলের। +

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি সঠিক অনুভব করেছেন।
ছোট বাচ্চারা তো আসলেই নিষ্পাপ ফুলের মতই। দোআ এবং শুভকামনা, আর মনছোঁয়া মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: গ্রাম অঞ্চলে একটা কথা আছে আসলের থেকে সুদের জন্য মায়া বেশি !!! এটা দাদা নানাদের জন্য চির সত্য বাক্য !!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা দাদা নানাদের জন্য চির সত্য বাক্য !! জ্বী, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

২২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
এই পোষ্টে আমার বলার মত অনেক কিছু ছিল।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি অপেক্ষা করে থাকবো আপনার সেই বলার মত অনেক কিছু শোনার জন্য, আমার এই পোস্টে কিংবা আপনার নিজস্ব কোন পৃথক পোস্টে।

(ক্রম ভঙ্গ করে আপনার এ মন্তব্যের উত্তরটা একটু আগে আগে দিয়ে দেয়ার জন্য ব্লগার নতুন নকিব আর রানার ব্লগ এর নিকট আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি)

২৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
লেখক বলেছেন:
(ক্রম ভঙ্গ করে আপনার এ মন্তব্যের উত্তরটা একটু আগে আগে দিয়ে দেয়ার জন্য ব্লগার নতুন নকিব আর রানার ব্লগ এর নিকট আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি)



লেখক যখন খায়রুল আহসান তখন এমন কথা বলতেই পারেন।
আপনার প্রোফাইল ছবিতে দারুন এক উদ্দমতা সম্পন্ন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে। আপনার বর্ণিত সকল টিপস ই ফলো করি আগে থেকেই। গান, গল্পের জায়গায় সূরা পড়ি। সমস্যা হল তাদের চোখে ঘুম থাকলে ঘুমাবে নয়ত কিছুক্ষণ ঝিম মেরে থেকে লাফিয়ে উঠবে। তবে আপনার কমেন্টের পর থেকে খেয়াল রাখি পর্যাপ্ত দৌড়ঝাঁপ করছে কিনা। তা করলেই পরে বুঝি এখন হয়ত ঘুমাবে চেষ্টা করলে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুর করে সূরা পড়াও ঠিক আছে। আমার বড় নাতনিটা যখন আমার এখানে ছিল, তখন ওকে ঘুম পাড়ানোর সময় আমিও সূরা পড়ে শুনাতাম। এভাবেই সে সূরা ফাতিহা প্রায় নির্ভুলভাবে মুখস্থ করে ফেলেছিল। এ ছাড়াও কিছু ছোট ছোট দোয়া দরুদও আমার সাথে বলতে বলতে শিখে ফেলেছিল।

২৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪০

আমি সাজিদ বলেছেন: আরহামের জন্য এক ঝাঁপি স্নেহ ও ভালোবাসা পৌঁছে দিবেন। চোখ জুড়ে নিদ্রার দেবী জুড়ে বসছে, এমন সময়ে হাত থেকে ছোটবেলায় খেলনা, একটু বড়বেলায় গল্পের বই পড়ে যাওয়ার মুহূর্তগুলো আবছা মনে আছে। সেই মুহূর্তগুলোকে জীবনের অন্যতম সেরা বললে বোধহয় ভুল বলা হবে না। চমৎকার লেখা ও মন্তব্যগুলোতে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আরহামের জন্য এক ঝাঁপি স্নেহ ও ভালোবাসা পৌঁছে দিবেন" - আচ্ছা, অনেক ধন্যবাদ।

"চোখ জুড়ে নিদ্রার দেবী জুড়ে বসছে, এমন সময়ে হাত থেকে ছোটবেলায় খেলনা, একটু বড়বেলায় গল্পের বই পড়ে যাওয়ার মুহূর্তগুলো আবছা মনে আছে। সেই মুহূর্তগুলোকে জীবনের অন্যতম সেরা বললে বোধহয় ভুল বলা হবে না" - এর সাথে হয়তো যোগ করা যায় আরেকটু বড় বেলায় (আমার ক্ষেত্রে বুড়ো বেলায়) হাত থেকে মোবাইল ফোন পড়ে যাওয়ার কথাটাও! :)

মনছোঁয়া মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.