নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের কথাগুলো বলে ফেলার জন্যে এসেছি

লিসানুল হাঁসান

নিতান্তই সাধারণ মানুষ

লিসানুল হাঁসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজার অসুখ কিংবা রাজকীয় অসুখ

১৯ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮


১৮৩৭ সালে রানী ভিক্টোরিয়া ইংল্যান্ডের সিংহাসনে বসেন। রানী ভিক্টোরিয়ার নয় সন্তানের একজন প্রিন্সেস এলিস। এলিস বিয়ে করেন একজন জার্মান প্রিন্স কে। তাদের সন্তান আলেকজান্ড্রা রাশিয়ার জার নিকোলাস কে বিয়ে করে রাশিয়ার শেষ সম্রাজ্ঞী বা জারিনা হয়। রানী ভিক্টোরিয়ার দুই কন্যা ছিলেন হিমোফিলিয়ার বাহক। একজন প্রিন্সেস এলিস যার মাধ্যমে এই অসুখ জার্মান রাজবংশ হয়ে রাশিয়ান রাজবংশে যায় । ভিক্টোরিয়ার আরেক কন্যা বিয়াট্রিসের মাধ্যমে এই অসুখ ছড়িয়ে যায় স্পেনের রাজপরিবারে। ইয়োরোপের রাজবংশগুলোর এভাবে একে অপরের সাথে বৈবাহিকসুত্রে আত্নীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাওয়ায় ফলশ্রুতিতে হিমোফিলিয়া ইওরোপের বিভিন্ন রাজপরিবারে ছড়িয়ে পড়ে। রোগটির প্রকৃতি এমন ছিল যে কন্যাসন্তানরা এর বাহক আর পুত্ররা এই রোগে আক্রান্ত হবার হার বেশি ছিল। এর সবচেয়ে আলোচিত উদাহরণ রাশিয়ার শেষ জার নিকোলাস এর পুত্র এবং উত্তরাধিকারী এলেক্সিস। রানী ভিক্টোরিয়ার নাতনী এবং জার্মানরাজকুমারী মায়ের কাছ থেকে সে এই রোগটি পায়। আমাদের রক্তের কিছু প্রোটিন থাকে যাদের আমরা ক্লটিং ফ্যাকটর বলি। হিমোফিলিয়া রোগীদের এসব ক্লটিং ফ্যাকটরের অভাব থাকে সামান্য আঘাতেই তাদের অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে থাকে।রাজপুত্র এলেক্সিসের এমন কন্ডিশনের জন্য তার বাবা-মা রাশিয়ার শেষ জার এবং জারিনা খুবই ভীত হয়ে পড়েন। তখনো এই কন্ডিশনের কোন কার্যকর চিকিৎসা আবিষ্কার না হওয়া তারা আধ্যাত্মিক গুরু রাসপুটিনের শরণাপন্ন হন। পুত্রের প্রতি জারের দুর্বলতা আর রাসপুটিনের উপর অগাধ বিশ্বাস তাকে রাশিয়ার রাজনৈতিক পরিমন্ডলে এবং রাজকীয় সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনেক প্রভাবশালী করে ফেলে । রাসপুটিনের এতটা প্রভাব পরবর্তীতে রাশিয়ার জার রাজবংশের পতনে ভূমিকা রাখে।তাই ঘটনাপ্রবাহের সরলীকরণ করলে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা চলে রাশিয়ার রাজবংশের পতনে হিমোফিলিয়ার ভূমিকা আছে ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই চরিত্রহীন, আধ্যাত্মিক গুরু, নারী লোভী রাসপুটিনকে নিয়ে গান গেয়ে হিট করে Boney M. রাসপুটিনকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওনার শরীরের কোনও বিশেষ বৈশিষ্ট্যর জন্য সে বেচে যায়। অবশেষে তাকে গুলি করে মারা হয়। হেমফিলিয়ার চিকিৎসা কি এখন আছে? না থাকলে বিজ্ঞানিদের আদা জল খেয়ে নামা উচিত করোনার মত।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১১

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সব ভুলের এটাও একটা কারন হতেই পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.