নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকসুদ আলম মিলন

মাকসুদ আলম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বিচার মানি তাল গাছ আমার"

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

গতকাল অনলাইন নিউজ প্রোটালগুলো বড় করে হেডলাইনে দেখলাম "গদিতে বসেই গদি ছাড়া তিন মেয়র"।নাটক টা ভালোই জমে উঠেছে।ক্ষমতার ক্ষমতায়ন যাকে বলে আরকি।এতোশত কিচ্ছা কাহিনী নিয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শেষ হলো।তারপর শেষ হইয়াও হইলো না শেষ,রয়ে গেলো রেশ।

"তিনজনই বিএনপি নেতা; তিনজনই বরখাস্ত হয়েছেন গতকাল রবিবার এবং তিনজনের বিরুদ্ধেই পৃথক তিনটি নাশকতার মামলার চার্জশিট আদালতে গৃহীত হওয়ায় এই ব্যবস্থা। এঁদের দুজনকে গতকাল অনেকটা নাটকীয়ভাবেই ছাড়তে হয়েছে কার্যালয়। রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল সকালে অফিসে গিয়ে দেখেন তাঁর ঘর তালামারা। পরে পুলিশ গিয়ে তালা ভেঙে তাঁকে চেয়ারে বসালেও ১০ মিনিটও টিকতে পারেননি তিনি। মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ চলে যায় এবং অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন বুলবুল। সিলেট সিটির মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বেলায়ও ঘটে প্রায় একই রকম ঘটনা। তবে তাঁর কক্ষটি খোলাই ছিল; তিনি চেয়ারেও বসেছিলেন। কিন্তু ঘণ্টাতিনেক পরই তাঁর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ আসে; তিনি বেরিয়ে যান অফিস থেকে। হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ মাত্র ১১ দিন আগে দায়িত্ব ফিরে পান। গতকাল তৃতীয়বারের মতো সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি।"

"সিটি করপোরেশন আইনের ১২-র ১ ধারা মোতাবেক কোনো নির্বাচিত মেয়রের বিরুদ্ধে যদি আদালতে কোনো মামলার অভিযোগপত্র গৃহীত হয় তবে তাঁকে মন্ত্রণালয় বরখাস্ত করতে পারে। এ ছাড়া পৌরসভা আইনের ৩১-এর ১ ধারা মতেও একই নির্দেশনা রয়েছে। "

কথা হচ্ছে যাদের বিরুদ্ধে এরকম মামলা বর্তায়া আছে... তাদের কেনই বা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে দিলো।আর নির্বাচিত হওয়ার পর পরই কেনই বা আগের মামলা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।এটা কি একচেটিয়ে ব্যবসার মতো কিংবা একপেশী রাজনীতি আরোপের মতো না????

"জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ জুন দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই বাজারে একটি জনসভায় বোমা হামলা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। হামলায় এক যুবলীগকর্মী নিহত ও ২৯ জন আহত হয়। পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করে। প্রায় ১২ বছর পর গত ২৭ নভেম্বর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ২২ মার্চ অভিযোগপত্র গৃহীত হলে গতকাল আবার তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।"
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারির পরে নাশকতার অভিযোগে মেয়র বুলবুলের বিরুদ্ধে মোট ১৯টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ওই বছরের ৭ মে বুলবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।"
"জি কে গউছ প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েও ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় কারাগারে থাকায় প্রায় ১৫ মাস পৌরসভার দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে নাম থাকায় ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি তাঁকে প্রথম দফা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওই বছর ৩০ ডিসেম্বর গউছ কারাগারে থেকেই আবার হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। গত বছর ২০ মার্চ তাঁকে আবারও বরখাস্ত করা হয়।"

কারণগুলোও যুক্তিযুক্ত সেই সাথে যুক্তিযুক্ত একপেশিয়ে রাজনীতি।নির্বাচিত করেও নির্বাচিত হওয়ার স্বাদ নিতে দেওয়া হয় নাই যাকে বলে "বিচার মানি তাল গাছ আমার"।

বিদ্রঃ " "এতে আবদ্ধ লেখা গুলো "দৈনিক কালের কন্ঠ" হতে নেয়া ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: হযবরল অবস্থা

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৯

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: এক্কেরে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.