নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমাকে নিয়ে লেখার মত আপাতত কিছুই নেই। যেদিন লেখার মত কিছু অর্জন করতে পারবো সেদিন না হয় সময় করে লিখে ফেলবো।

অতঃপর হৃদয়

অতঃপর একটি কাল্পনিক চরিত্র

অতঃপর হৃদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫০


আগে প্রতিদিন ডায়েরী লিখতাম। এখন আর লেখা হয়ে ওঠেনা। আজকাল সেই পুরনো দিনের ডায়েরী পড়া শুরু করেছি। আজ বের করেছি সেই পৃষ্টা গুলো, যে গুলো সব সময় আমাকে কাঁদায়। মিতালী যেদিন চলে গিয়েছিল আমাদের পাড়া থেকে, সেদিন থেকেই অনেক কাঁদতাম। অনেক খুঁজেছি তাকে কিন্তু কোথাও পাইনি। যে মোবাইল নম্বর টা ছিল সেটা বন্ধ করে নতুন সিম কিনেছিল তার বাবা। নতুন নম্বর আর নেয়া হয়ে ওঠেনি।

আজ খুব মনে পরছে অতীতের সেই দিন গুলো। যখন মিতালী আর আমি হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে স্কুলে যেতাম তখনকার দিন গুলো খুব বেশি মনে পরছে। একসাথে স্কুলে যাওয়া, টিফিনের সময় একে উপর কে খাইয়ে দেয়া, আবার একসাথে বাসায় আসা সব গুলোই খুব সুন্দর ছিল। আমাদের বাসার পাশেই মিতালীরা ভাড়া থাকতো তাই প্রায় সব সময় দেখা হতো তার সাথে। হঠাৎ করে তারা চলে যাবে সেটা কখনো ভাবিনি। আমি গিয়েছিলাম নানী বাড়িতে, সেখান থেকে এসে দেখি মিতালীরা চলে গেছে অন্য কোথাও। একটা চিঠি লিখে গিয়েছিল মিতালী কিন্তু চিঠিটা কাজের না ভেবে মা পুড়িয়ে ফেলেছিল। মিতালীর সাথে যোগাযোগের কোন রাস্তা খুঁজেই পাইনি।
মিতালীকে এখনো আমি খুঁজি কিন্তু কোথাও তাকে পাইনা। মনের মধ্যে যে ভালবাসা জমা হয়ে আছে সেটা দেখানো যাবে না কেবল অনুভব করা যাবে।

ডায়েরী পড়তে পড়তে চোখ ভিজে যাচ্ছিল। হাত মুখ ধুয়ে এসে বসে বসে চা খাচ্ছি এমন সময় ফোন টা বেজে উঠলো। মা ফোন করেছে। আসলে ছেলে মেয়ে বাসার বাহিরে পড়াশোনা করতে গেলে মা বাবার চিন্তার কোন শেষ থাকেনা। প্রায় ১৫ মিনিট কথা বলার পর রাতের খাবার খাওয়া শেষে বিছানায় এসেছি। এই সময় টায় মিতালী কে খুব বেশি মনে পড়ে আর চোখ থেকে অশ্রু ঝরে। আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। মন খারাপ করে বসে বসে বোরিং লাগছিল তাই ফেসবুকে লগ-ইন করলাম। লগ-ইন করেই দেখি মিতালী নামের একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এসেছে। আমি মিতালী কে ফেসবুকেও অনেক খুঁজেছি কিন্তু কখনো পাইনি। এটা কোন মিতালী কে জানে! ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট টা একসেপ্ট করার সাথে সাথে আমাকে সে ম্যাসেজ করেছে তোমার ফোন নম্বর টা দাও তো। আমি কিছু না ভেবেই ফোন নম্বর টা দিয়ে দিলাম। অতঃপর সে আমাকে ফোন করে বলতে লাগলো, আমি সেই মিতালী যে তোমাদের বাসার পাশে ভাড়া থাকত। ৭ টা বছর পেরিয়ে গেছে হয়ত অনেক মেয়ে এসেছে তোমার জীবনে আমার কথা কেনই বা মনে রাখবে। যদি মনে রাখতে তাহলে আমার দেয়া চিঠিটা পড়ে আমাকে ফোন করতে। আমার নতুন মোবাইল নম্বর ওখানে দিয়েছিলাম। তুমি আমাকে এত সহজেই ভুলে গেলে কিন্তু আমি ভুলতে পারিনি। আমাদের ২ বছরের সম্পর্কের কোন মুল্যই ছিলনা তোমার কাছে। আমি ওর কথা শুনে আকাশ থেকে পরলাম। ৭ বছর পর এভাবে ওকে খুঁজে পাবো কখনো ভাবিনি। আমি ওর কথা থামিয়ে সব কথা খুলে বললাম। দুজন দুজনের কথা শুনে কান্না যেন কিছুতেই থামছে না। মিতালীও যে আমার জন্য অপেক্ষা করেছে আমাকে মনে রেখেছে ভাবতেই অবাক লাগে। আমরা দুজন দুজন কে ফিরে পেয়ে অনেক খুশি। আবার শুরু হলো একসাথে দুজনের পথচলা।
আগে প্রতিদিন ডায়েরী লিখতাম। এখন আর লেখা হয়ে ওঠেনা। আজকাল সেই পুরনো দিনের ডায়েরী পড়া শুরু করেছি। আজ বের করেছি সেই পৃষ্টা গুলো, যে গুলো সব সময় আমাকে কাঁদায়। মিতালী যেদিন চলে গিয়েছিল আমাদের পাড়া থেকে, সেদিন থেকেই অনেক কাঁদতাম। অনেক খুঁজেছি তাকে কিন্তু কোথাও পাইনি। যে মোবাইল নম্বর টা ছিল সেটা বন্ধ করে নতুন সিম কিনেছিল তার বাবা। নতুন নম্বর আর নেয়া হয়ে ওঠেনি।

আজ খুব মনে পরছে অতীতের সেই দিন গুলো। যখন মিতালী আর আমি হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে স্কুলে যেতাম তখনকার দিন গুলো খুব বেশি মনে পরছে। একসাথে স্কুলে যাওয়া, টিফিনের সময় একে উপর কে খাইয়ে দেয়া, আবার একসাথে বাসায় আসা সব গুলোই খুব সুন্দর ছিল। আমাদের বাসার পাশেই মিতালীরা ভাড়া থাকতো তাই প্রায় সব সময় দেখা হতো তার সাথে। হঠাৎ করে তারা চলে যাবে সেটা কখনো ভাবিনি। আমি গিয়েছিলাম নানী বাড়িতে, সেখান থেকে এসে দেখি মিতালীরা চলে গেছে অন্য কোথাও। একটা চিঠি লিখে গিয়েছিল মিতালী কিন্তু চিঠিটা কাজের না ভেবে মা পুড়িয়ে ফেলেছিল। মিতালীর সাথে যোগাযোগের কোন রাস্তা খুঁজেই পাইনি।
মিতালীকে এখনো আমি খুঁজি কিন্তু কোথাও তাকে পাইনা। মনের মধ্যে যে ভালবাসা জমা হয়ে আছে সেটা দেখানো যাবে না কেবল অনুভব করা যাবে।

ডায়েরী পড়তে পড়তে চোখ ভিজে যাচ্ছিল। হাত মুখ ধুয়ে এসে বসে বসে চা খাচ্ছি এমন সময় ফোন টা বেজে উঠলো। মা ফোন করেছে। আসলে ছেলে মেয়ে বাসার বাহিরে পড়াশোনা করতে গেলে মা বাবার চিন্তার কোন শেষ থাকেনা। প্রায় ১৫ মিনিট কথা বলার পর রাতের খাবার খাওয়া শেষে বিছানায় এসেছি। এই সময় টায় মিতালী কে খুব বেশি মনে পড়ে আর চোখ থেকে অশ্রু ঝরে। আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। মন খারাপ করে বসে বসে বোরিং লাগছিল তাই ফেসবুকে লগ-ইন করলাম। লগ-ইন করেই দেখি মিতালী নামের একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এসেছে। আমি মিতালী কে ফেসবুকেও অনেক খুঁজেছি কিন্তু কখনো পাইনি। এটা কোন মিতালী কে জানে! ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট টা একসেপ্ট করার সাথে সাথে আমাকে সে ম্যাসেজ করেছে তোমার ফোন নম্বর টা দাও তো। আমি কিছু না ভেবেই ফোন নম্বর টা দিয়ে দিলাম। অতঃপর সে আমাকে ফোন করে বলতে লাগলো, আমি সেই মিতালী যে তোমাদের বাসার পাশে ভাড়া থাকত। ৭ টা বছর পেরিয়ে গেছে হয়ত অনেক মেয়ে এসেছে তোমার জীবনে আমার কথা কেনই বা মনে রাখবে। যদি মনে রাখতে তাহলে আমার দেয়া চিঠিটা পড়ে আমাকে ফোন করতে। আমার নতুন মোবাইল নম্বর ওখানে দিয়েছিলাম। তুমি আমাকে এত সহজেই ভুলে গেলে কিন্তু আমি ভুলতে পারিনি। আমাদের ২ বছরের সম্পর্কের কোন মুল্যই ছিলনা তোমার কাছে। আমি ওর কথা শুনে আকাশ থেকে পরলাম। ৭ বছর পর এভাবে ওকে খুঁজে পাবো কখনো ভাবিনি। আমি ওর কথা থামিয়ে সব কথা খুলে বললাম। দুজন দুজনের কথা শুনে কান্না যেন কিছুতেই থামছে না। মিতালীও যে আমার জন্য অপেক্ষা করেছে আমাকে মনে রেখেছে ভাবতেই অবাক লাগে। আমরা দুজন দুজন কে ফিরে পেয়ে অনেক খুশি। আবার শুরু হলো একসাথে দুজনের পথচলা।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৮

ওমেরা বলেছেন: যাক তবু ফেসবুকের কল্যানে আপনারা দুজন দুজনকে ফিরে পেলেন ।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০৩

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ব্যাপার টা ওখানেই। ফেবুকের মাধ্যমে অনেক পুরনো মানুষকেও খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আমার নিজের কথাই বলি, ৪-৫ বছর আগে যারা আমার বাসার পাশে থাকত বা যাদের সাথে আমি খেলতাম তাদের খুঁজে পাওয়ার মত কোন কিছুই আমার কাছে ছিল না। শুধু নাম মনে ছিল। ফেসবুকে ঐ নাম গুলো সার্চ করে অনেককেই খুঁজে পেয়েছি। মাঝে মাঝে তাদের সাথে কথা হয় আর পুরনো দিনের স্মৃতি মনে পড়ে যায়।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৪৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বাস্তবাতা কিন্তু এটাই ।।
আজকাল আমরা ছেলেবেলা খুজে বেড়াই ভার্চুয়ালেই।।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:১৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই। খুঁজে পাচ্ছিও অনেক।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা রইল মিতালীকে ফিরে পাওয়ায়। পুরনো ডায়েরি কতটা কষ্ট দেয় কতটা চোখের জল ঝড়াতে পারে তা অনেকেই বোঝে না, গল্প মনে করে একটু দুঃখ প্রকাশ করেই ক্ষান্ত। কিন্তু আমার হিসেবটা আলাদা! আমি জানি পুরনো ডায়েরির কিছুকিছু পাতা রাত গভীরে কান্নার গভীরতাও বাড়ায়। আপনার সাত বছরেই অপেক্ষা ঘুচে গেল সেজন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমার চৌদ্দ বছর লেগেছিল হারানো মানুষটার সাথে কথা বলা। কারো কারো জীবন পার হয়ে যায় মনের মানুষটি আর খুঁজেই পায় না। সেই দিক থেকে আপনি অনেক ভাগ্যবান। আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

সকাল বেলায় লগইন হয়ে ভালো একটা পোষ্ট পেয়ে নিজেকেও ধন্য মনে হচ্ছে। অনেক অনেক ভালো লাগা রইল ভাই। শুভ সকাল।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: গল্পের আমাকে শুভেচ্ছা? নাকি ব্যাক্তিগত আমাকে শুভেচ্ছা? গল্পের আমির সাথে ব্যাক্তিগত আমির কোন মিল নেই। :) তবে হ্যাঁ আপনি ডায়েরীর ব্যাপারে যে কথা গুলো বললেন তা একদম সত্য।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনাদের পথ চলা শুভ হোক।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

সাব্বির নুসরাত খান বলেছেন: ভালো লাগা
আমি একজন নতুন ব্লগার আমার ব্লগে আপনাদের কে স্বাগতম :)

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ। ব্লগে স্বাগতম।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ফেসবুকের জয় হোক। আপনাদের জীবন সুখের হোক। শুভ কমনা রইলো

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। ফেসবুকের মাধ্যমে আজকাল অনেক পুরনো বন্ধু বান্ধব কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

সুমন কর বলেছেন: আপনাদের দুজনের পথচলা সফল হোক। লেখা ভালো লাগল।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ। গল্পের আমির জন্য আমারও শুভ কামনা! :) :)

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা ভাই। খুব সুন্দর গল্প ছিল।

গল্পের দুজনকেও শুভেচ্ছা।
শুভকামনা আপনার জন্য।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২১

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হ্যাপী এন্ডিং।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২২

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা চিঠি লিখে গিয়েছিল মিতালী কিন্তু চিঠিটা কাজের না ভেবে মা পুড়িয়ে ফেলেছিল -- কোমল অনুভূতির এমন অনেক সাক্ষ্য নির্দয় বহ্ন্যুৎসবের শিকার হয়!
আমরা দুজন দুজন কে ফিরে পেয়ে অনেক খুশি। আবার শুরু হলো একসাথে দুজনের পথচলা -- মধুরেণ সমাপয়েৎ!
গল্প ভাল লেগেছে। আশাকরি মন্তব্যটাও আপনার ভাল লাগবে! :)

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: দেখতে হবে না কে মন্তব্য করছে; ভাল না হয়ে কি আর পারে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.