নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমাকে নিয়ে লেখার মত আপাতত কিছুই নেই। যেদিন লেখার মত কিছু অর্জন করতে পারবো সেদিন না হয় সময় করে লিখে ফেলবো।

অতঃপর হৃদয়

অতঃপর একটি কাল্পনিক চরিত্র

অতঃপর হৃদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের বিড়াল...

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৪


খুব মিস করছি তোদের। বাসা থেকে বের করে দিতে চাচ্ছিল অনেক আগে থেকেই তবুও তোরা বুঝলি না, তোরা যদি বুঝে ভালভাবে থাকতি তাহলে আজ এমন দিন দেখতে হত না। আজ তোদেরও কষ্ট করতে হত না আর আমাদেরও কষ্ট পেতে হত না। এত ভালোমত আগলে রাখতাম তোদের তোরা বুঝলিই না। কে জানে কোথায় আছিস, কি খাচ্ছিস, নাকি খেতে পাচ্ছিস না। না খেয়ে তো আর বাঁচা সম্ভব না। হয়তো কদিন পর মরে যাবি। আমরা যেভাবে তোদের খাওয়াতাম এমন করে কেউ খাওয়াবে না। বাঁচার জন্য যতটুকু খাবার দরকার অতটুকুও তোদের দিবে না সেটা জানি। মায়া লাগে তাই তোদের দেয়া সব যন্ত্রণা, কষ্ট সয্য করেছি। সয্য করতে করতে আর পারলাম না। যদিও আমি রাখতে চাচ্ছিলাম কিন্তু মা-বাবা তোদের থাকতে দিল না। তোদের দূরে পাঠিয়ে যে আমি একাই কষ্ট পাচ্ছি তা না, বাসার সবারই মন খারাপ; সবাই কষ্ট পাচ্ছে।

একবার এক বিড়ালের বাচ্চা এসেছিল আমাদের বাসায়। সেই বিড়ালের বাচ্চা বড় হয়ে দুটি বাচ্চার জন্ম দেয়। সেই ছোট বাচ্চা দুটো বড় হতে থাকে আমাদের বাসায়। যখন বাচ্চা দুটো বড় হয়ে যায় তখন বাচ্চার মা বাসা থেকে অন্য কোথায় যেন চলে গেল। তারপর থেকে ঐ দুটো বিড়াল আমাদের বাসায় থাকত। বিড়াল কে আমরা কখনোই তাড়াতে পারতাম না। কেন পারতাম না তা জানিনা, অন্য মানুষের মায়া লাগে কিনা জানিনা তবে আমাদের লাগে। বিড়াল বিছানায় পায়খানা করে, কোনদিন আবার বমি করে। আর সেই বিছানার ওগুলো পরিষ্কার করা, সব কিছু ধোঁয়ার জন্য অনেক কষ্ট করতে হত আম্মুর। একদিন দুদিন হলে আলদা কথা ছিল কিন্তু প্রতিদিন এগুলা করা কারো পক্ষেই সম্ভব না। আম্মু একদিন ঐ দুটো বিড়াল কে ব্যাগে করে বাসা থেকে ১ কিমি দূরে রেখে আসল। সন্ধ্যায় অনেক খারাপ লাগছিল আমাদের। কোথায় যাবে কি খাবে এসব ভেবে। রাত গভীর হওয়ার পথে এমন সময় কোথা থেকে যেন বিড়াল গুলো হাজির! বিড়াল কে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল বাসা খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাদের। সেদিন থেকে আবার আমাদের বাসায় থাকতে শুরু করল।

কিছুদিন পর বিড়াল দুটোর মধ্যে একটা বিড়াল ৪ টা বাচ্চার জন্ম দিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় যেদিন বাচ্চা গুলোর জন্ম হয় তারপরের দিনই মা-বিড়াল টা মারা যায়। আমরা অনেক চেষ্টা করেও ছোট ছোট চারটা বাচ্চা কে বাঁচাতে পারিনি। বাচ্চা গুলোর বয়স ছিল মাত্র একদিন! চোখও ফুটেনি। অনেক চেষ্টা করেছিলাম বাঁচাতে। বাজার থেকে দুধ এনে খাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তাতে কোণ লাভ হয়নি।

যে বিড়াল টি বেঁচে রইল সেটা অনেক আদর যত্নেই ছিল আমাদের বাসায়। অনেক দিন পর এই বিড়াল টিও ২ টি বাচ্চার জন্ম দিল। বাচ্চা দুটি আমাদের বাসায় বড় হতে লাগল। তারপর হঠাৎ একদিন বাচ্চা গুলোর মা মানে মা-বিড়াল টা বাসা থেকে চলে গেল অন্য কোথাও তবে মাঝে মাঝে বেড়াতে আসত, এমনকি এখনও আসে। যে বাচ্চা দুটো আমাদের বাসায় রেখে গেল ওগুলো মোটামুটি বড় হয়েছিল তখন।


সেই মোটামুটি বড় বাচ্চা দুটি আজ বড় হয়েছে। দুটোর মধ্যে একটি গত ৫ দিন আগে ৪ টা ছোট ছোট ছানার জন্ম দিয়েছে। ছোট বাচ্চা গুলোর চোখ ফুটেনি এখনো। কিন্তু এত বেশি অন্যাচার করছিল আমাদের যা মুখে বলে বোঝানো সম্ভব না। তাই মা-বাবা রাগ করে সব বিড়াল বস্তায় ভরে ৩ কিমি দূরে দিয়ে এসেছে আমার ফুপুর বাসায়। ফুপুর বাসায় বিড়াল গুলোকে যে কেউ খেতে দেবেনা তা আমার ভাল করেই জানা আছে। ৫ দিন আগে জন্ম নেয়া বাচ্চারা বড় হতে পারবে কিনা কে জানে। তাদের মা খাবার পাবে কিনা কোথাও কে জানে। মনটা ভীষণ খারাপ। কষ্ট হচ্ছে খুব। বাসা খুব ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। এত বেশি বিরক্ত করছিল যা মা-বাবার পক্ষে মেনে নেয়া খুব কষ্টকর হয়ে পড়ছিল। প্রতিদিন বিছানার সব কিছু ধোয়া কারো পক্ষেই সম্ভব হচ্ছিল না। মা-বাবা অনেক অসুস্থ, অসুস্থতা নিয়ে এতকাজ করতে করতে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

কথায় আছে না সুখে থাকতে ভূতে কিলায়, কথাটা আসলেই সত্যি। মায়ের মুখে গল্প শুনেছিলাম, একটা বক মাছ খেতে যেত অনেক দূরে দূরে। একদিন বকটা আল্লাহর কাছে বলল, মাছ যদি কাছে কোথাও পাওয়া যেত তাহলে আর এত কষ্ট করতে হত না। আল্লাহ বকের কথা শুনে মাছ কাছে এনে দিল। তারপর কদিন পর বক বলল, মাছ যদি আমার বাসার গাছের নিচে এতে দেও তাহলে, আমার আর কষ্ট করে দূরে গিয়ে খেয়ে হয় না। আল্লাহ বকের কথা শুনে তাই করল। তার কদিন পর বক আবার আল্লাহ কে বলল, মাছ গুলো যদি আমার বাসায় উঠিয়ে দাও তাহলে আর আমাকে কষ্ট করে বাসা থেকে নামতে হত না। আমি খাইতাম আর সুইতাম, সুইতাম আর খাইতাম। আল্লাহ এবার বলল, এত কষ্ট থেকে রেহাই দিলাম তাও আরো সুখ চাস, এবার বুঝাচ্ছি মজা। আল্লাহ সেই অনেক দূরে মাছ নিয়ে গেল। এখন বককে সেই আগের মত অনেক দূরে গিয়ে মাছ খেতে হয়।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: :( ছোটবেলায় আমারো বিড়াল ছিল ২ টা
সবসময় আমার বিছানাতেই ঘুমাতো। বিড়াল ২ টার জন্য আব্বু আম্মু আর আপুনির অনেক বকাউ খাইছি।
লিখাটা পরে সেসব দিনের কথা মনে পরে গেল।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আমার যে কেন এত মায়া লাগে জানিনা। কেন যে আমাকে এত মায়া দিয়ে তৈরি করেছে। এখন দেখছি বেশি মায়া থাকাও ভাল না।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম.

অনেক পোষা বেড়াল ফেলে দিয়ে এসে কেঁদেছিলাম ফুপিয়ে ফুপিয়ে! অঝোর কান্না!!!!

এখন মাত্র একটা আছে! এগুলো কোত্থেকে েযে এত অভিনয় শিখে! ফেলে দেব বরে ধমক দিলে টুলটুল করে শূখের দিকে চেয়ে থাকে- আর সাথে নরম গলায় ম্যাও!!!

সামলে উঠুন।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে কেন জানি চোখে আবার পানি চলে আসল। সামলে উঠা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে আমার পক্ষে। ভাবছি কাল একবার দেখতে যাব, যদি কষ্টে থাকে তাহলে নিয়ে আসব।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হায় হায়! একটা বাচ্চা রেখে দিলেও তো পারতো! :(

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: একটা আছে। কিন্তু কথা ওটা না, কথা হচ্ছে, যেগুলোকে দূরে রেখে আসা হয়েছে ওরা কি খাবে, খাবার কেউ দিবে কিনা। বেঁচে থাকবে কিনা কে জানে। ওগুলার জন্য ভীষন কষ্ট হচ্ছে।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫২

দূর পাহাড়ে বলেছেন: বিড়ালের প্রতি ভালবাসায় মুগ্ধ হলাম। সকল প্রাণীদের ভালবাসা উচিত। বিড়ালদের জন্য কষ্ট হচ্ছে।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: শুধু বিড়াল না। আমাদের বাসায় যেসব প্রানী ছিল সবার জন্য আমার ঠিক একই কষ্ট হয়েছে তবে বিড়ালের জন্য একটু বেশি হচ্ছে কারণ এদের কেউ খেতে দেয় না। বাঁচার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়।

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৯

জুন বলেছেন:
আমার ছেলের এপার্টমেন্টের কমন বেড়াল তুংতুং যাকে বাসা ছাড়ার জন্য ছেড়ে যেতে হয়েছে তার জন্যই আমাদের কত মায়া লাগে । আর আপনাদের তো পোষা । তবে যে সমস্যার জন্য ফেলে দিলেন এটা কিন্ত ট্রেনিং এর মাধ্যমে ওভারকাম করা যায়। যেমন তুং তুং টয়লেটের প্রয়োজন হলে সে দরজা খুলে দেবার জন্য ইংগিত করতো ।
বিড়াল আসলেই অনেক মায়াময় এক প্রানী অতপর হৃদয়। ভালোলাগলো ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৬

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আমাদের বিড়ালও টয়লেট এর প্রয়োজন হলে ইংগিত করত, কিন্তু ৬ মাস থেকে এ অভ্যাস বদলে গেছে অনেক চেষ্টার পরেও আর অভ্যাস করাতে পারছিলাম না। ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১০

কাল্পনিক কামিনী বলেছেন: পশু পাখির প্রতি আপনার মায়া দেখে আমি অভিভূত। শেষের গল্পটা থেকে আমাদের শেখার আছে অনেক কিছু। ভালোবাসা রইল আপনার প্রতি।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৯

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ভালোবাসা গ্রহন করলাম। ধন্যবাদ আপু।

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
যদিও বিড়াল দেখলে আমার ভীষণ রাগ হয় কিন্তু আপনার গল্প পড়ে বিড়ালের প্রতি রাগ কমে গেলে এবং ভালো লাগলো !

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২০

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ। রাগ অনেকেরই হয় তবে গভীর ভাবে ভাবলে হয়তো রাগ কমে যাবে। পাঠ করার জন্য ধন্যবাদ, আর এটা গল্প নয় এটা বাস্তব।

৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৮

মহিউদ্দিন হায়দার বলেছেন: আমার বিড়ালের দুটা বাচ্চা মারা গিয়েছে।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: :( :( আমাদেরও মারা গিয়েছিল চারটি এবং তাদের মা।

৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: অনেক কষ্ট করে একটা বিড়ালের বাচ্চা এনেছিলাম ধোপঝাড় থেকে উদ্ধার করে।আম্মু তো সেইই ঝাঁড়ি।১সপ্তাহে পরে দেখলাম,আম্মুই বিড়ালের বাচ্চা টাকে খাবার দিচ্ছে।খুব ভালো লেগেছিলো।কিন্তু আফসোস,কয়েকদিন আগে......
পোষ্ট ভালো লেগেছে। :).

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: পোস্টে ভালো লাগার মত কিছুই নেই। শুধু কষ্ট আর কষ্ট। ধন্যবাদ।

১০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: মানুষের ভালবাসাটা বড়ই বিচিত্র!


আশা করছি আপরি এ শোক কাটিয়ে উঠতে পারবেন!:)

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২১

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: জানিনা পারব কিনা। মায়া জিনিস টা বড্ড খারাপ।

১১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১১

লিংকন১১৫ বলেছেন: ভাই আপ্নের কষ্ট বুঝতে পারছি , ঠিক এমনি করে কোন এক মা বিড়াল ২ টি বাচ্চা আমাদের বাসায় রেখে গিয়ে ছিল আজ থাকে ৬ বছর আগে , একটি মেয়ে বিড়াল অন্য টি ছেলে বিড়াল ।
মেয়ে বিড়াল টা হটাত একদিন চলে যায় আর আসেনি , কিন্তু ছেলে বিড়াল টা ছিল আমাদের সাথে ৫ বছর ।
অনেক জালাতন করতো আম্মুর অনেক কষ্ট হতো কিন্তু কেন জানি সবাই মেনে নিতো , খুব আদরের ছিল কিনা ।
সাথে ঘুমাত , আবার আমরা সবাই যখন খেতে বস্তাম তখন ও যে খানেই থাকুক না কেন চলে আসতো ।
ওর জন্য আলাদা প্লেট , ফ্রিজে আলাদা করে মাছ মাংস রাখা হতো । আব্বু বাজার থেকে ফিরলে বাজারের ব্যাগের উপর লাফিয়ে পড়তো । বাসার সদর দরজায় কেউ কড়া নারলে ও খুলতে যেতো , জানালা দিয়ে বেরহত না বেরহত দরজা দিয়ে আবার দরজা দিয়ে আসতো বাহির থেকে ডাকতো রাত হোক আর দিন হোক বাসার কেউ সেই আদরের ডাক উপেক্ষা করতে পারতো না ।
এমনও দিন গেছে আম্মু কে রাত ৩ টার দিকে ডেকে তুলে খাবার খেয়েছে । আর বিড়াল টা নিজে কে আমাদের পরিবারের একজন মনে করতো । আবার রাগ করতো , খেতে চাইতো না ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৬

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে আরো কত কি না মনে পড়ে গেল। আমাদের বিড়াল গুলোও ওমন, আমাদের সাথে রাগ করে, যখন রাগ করে তখন খাবার দিলেও খায় না এমনকি আমাদের দিকে তাকায়ও না। দূরে কোথায় বা বাসার উঠানের পাশে বসে থাকে, শুয়ে থাকে। আমাদের বিড়ালের জন্যেও আলাদা প্লেট রাখা আছে যেটাতে খাবার দিতাম। এখন যেন সব স্মৃতি। ফাঁকা ফাঁকা লাগছে বাসা। ওরাও পরিবারের সদস্য হয়ে গেছিল।

১২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

চানাচুর বলেছেন: :(

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৬

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: :( :(

১৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বিলাই তোরে ধইরা কিলাই
বেটারা বজ্জাতও আছে-গ্রামের বাড়িতে খাটের নিচে খালি প্রাক্কালণ কেন্দ্র বানায় ফেলত আহ্হারে গন্ধ মন চাইতো বেটাদের দেই ধইরা আর যখন তখন ঘুম ভাঙ্গাইয়া দিতো রাইতে।

সুন্দর লেখা

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: হাহাহাহা!!!!!!!

১৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে পাঁচ বছর আগের আমাদের বাড়ির কথা মনে পড়লো। বিড়ালের জন্য যখন বাড়ি ছাড়ার নোটিশ পেলাম, তখন আমাদের বিড়ালের সংখ্যা উনিশে ঠেকেছে। তাদের জন্য কি কি করেছি তা বলতে গেলে একটা উপন্যাস লিখতে হবে এবং সে সব কথা বেশির ভাগ ব্যাক্তি বিশ্বাসও করবে না। বিড়ালের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল প্রজনন সমস্যা। আজ একটা আসলো তো বছর ঘুরতে না ঘুরতে দশটা হয়ে যাবে।

১৯ টা বিড়ালের একটাকে নিয়ে সামান্য একটি লেখা ”ইতর প্রাণী” আমার ব্লগে গেলে পাবেন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আর কেউ বিশ্বাস না করলেও আমি করি। আপনার ব্লগে গিয়ে পড়ব লেখাটি। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

সোনামণি বলেছেন: বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা দেখে অবাক হলাম। গৃহপালিত পশু পাখি যেমন, গরু, ছাগল, হাঁস মুরগী কে আমরা কত যত্ন করি, ভালভাবে খেতে দেই। এসব করার কারণ সেগুলো থেকে আমাদের উপার্জন আসবে। কিন্তু কেউ বিড়াল, কুকুরের এত যত্ন করেনা, করবেই বা কেন ওগুলো থেকে তো টাকা আসবে না। আমাদের সব জীবের প্রতি দয়াশীল হতে হবে। আর যাই হোক সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি তো।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন ধন্যবাদ আপনাকে। ভালোবাসা রইল আপনার প্রতি।

১৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিড়ালকে কাঁটা খেতে দেবেন না, তা'হলে আপনার বিছানা বালিশে বমি করবে; তখন মজা টের পাবেন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: মজা আর কি টের পাব এতদিন পেয়েছি অনেক।

১৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪১

মুসাফির... বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে কমেন্ট করছি.
আমার বিড়াল/বা প্রাণী বিষয়ক আরো তিনটি পোষ্ট: আশাকরি ভাল লাগবে..
অন্য রকম দখলদারিত্ব: দেখুন আমি কেমন আছি....
জীবনের টুকরো গল্প : ১ আমার ট্রেডমার্ক - বিড়ালটির কথা
একটি কুকুরের মরনপন অভিমান ও আমার পরাজয়ের কথা..

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৮

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: পড়ে দেখব অবশ্যই। ধন্যবাদ।

১৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

মুসাফির... বলেছেন: ভালবাসা দিয়ে কি কি করা যায় ? দেখুন.. আর আমাকে গালি দিন...

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৯

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

মুসাফির... বলেছেন: আমি কুকুর এবং বিড়াল দুটোকেই ভালবাসি .। কারন এরা মিথ্যা বলতে পারেনা।
মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ঘৃণা করি মিথ্যবাদীদের।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৬

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১০

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার বাসায় তো এক বিড়ালের কয়েক প্রজন্মের বসতি ছিল! বিড়ালের প্রতি আপনার ভালোবাসা দেখে ভালো লাগল। সবকিছুর মায়াই কাটিয়ে উঠতে হয়। কোন না কোন ভাবে একসময় এদের কাছ ছাড়া করতেই হতো। তবে খারাপ লাগাটা অনেকদিন থাকবে :|
ভালো থাকুন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৭

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছে। খারাপ লাগা টা যে অনেক দিন থাকবে তা হারে হারে টের পাচ্ছি।

২১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৫

নীলপরি বলেছেন: ইশ । বিড়ালগুলোর জন্য খারাপ লাগছে ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১১

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আমার তো খুব খারাপ লাগছে।

২২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া :(

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: কি আপু??????

২৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৪

সুমন কর বলেছেন: বক এবং বিড়ালের কাহিনী জেনে ভালো লাগল। ছবিটি কি আপনাদের সেই বিড়ালের বাচ্চার ছবি ?

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৬

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: না নেট থেকে নেয়া হয়েছে। ধন্যবাদ।

২৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেখেন, বিড়াল মনে করে সুন্দর বনের মরা-ধরা বাঘকে ঘরে নিয়ে আসিয়েন না।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: কোন সম্ভাবনা নাই।

২৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৫৩

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ছোটবেলায় আমারও একটা কুকুর ছিলো। 'মোগলি' বলে ডাকতাম। আপনার লেখাটা পড়ে হঠাত মনে পড়ে গেলো! :(

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: বাহ সুন্দর নাম তো। পাঠ করার জন্য ধন্যবাদ ।

২৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

ওমেরা বলেছেন: আমার ও বিড়াল পুষার খুব শখ , কতজনকে ভাইয়া, ভাবীকে কত বলি একটা বিড়াল কিনে দিতে কিন্ত দেয় না ।

আপনাদের বাচ্চা গুলো যদি আমাকে দিতেন আমি কত খুশি হইতাম ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: বিড়াল তো কেউ বিক্রি করেনা!!!!!!!! পাবেন কোথায়!!!!!!

২৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১০

ওমেরা বলেছেন: আরে ভাইয়া আমাদের এখানে রাস্তা ঘাটে পাওয়া যায় না কিনতে হয় আর তাদের জন্য খাবার ও কিনতে হয় ,তারা ফেলে দেওয়া খাবার খায় না ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১২

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ও আচ্ছা!!!!!!!!! কিনে ফেলুন একটা :)

২৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২০

ওমেরা বলেছেন: আমি তো কিনতে চাই কিন্ত আমার ভাইয়া ভাবী তো কিনতে দেয় না বলে তোকেই আমাদের পালতে হয় আবার বিড়াল পালবে কে !

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: হা হা হা হা!!!!! আপনাকে পালতে হয়!!!!!!!! এত ছোট আপনি!!!!!!!

২৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

ওমেরা বলেছেন: আসলে আমার দুই ভাইয়া আর আপু ,তিন জন পিঠাপিঠি আমি তাদের চেয়ে অনেক ছোট আমার যখন চার বছর বয়স তাদের তিন জনের লিখা পড়া শেষ । তাই আমি তাদের কাছে এখনো ছোট আছি ভাইয়া ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ছোট থাকার মজাটাই আলাদ! আমিও অনেক ছোট। ভালো থাকুন সব সময়, বিড়াল কে নিয়ে ভালো থাকুন (যদি কিনেন)।

৩০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: আমি ছোটবেলা থেকেই বিড়ালপ্রিয়।
আমার খাটের নিচে এখনো একটা বিড়াল ঘুমায়।
তবে সব সময় সে আসে না। আম্মু ওকে বকে,তাই :((

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪০

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: :( :( :( আবারো মিস করছি আমার বিড়াল গুলোকে।

৩১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে একটা কোমল মনের পরিচয় পেলাম। বিড়াল আসলেই খুব আদুরে প্রাণী।
এই লেখাটায় আমি ব্লগার অরুনি মায়া অনু এর একটা মন্তব্য আশা করেছিলাম। কারণ, তিনি একজন জেনুইন বিড়ালপ্রেমী।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। দেখি ঐ ব্লগারকে পাই নাকি খুজে!!!!! সুখ দুঃখের কথা ভাগাভাগি করা যাবে।

৩২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:২৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার বিড়াল প্রেম পড়ে। আসলে একটা প্রাণী পাললে, দেখাশোনা করলে ধীরেধীরে অনেক মায়া জন্মে যায় সেই প্রাণীর প্রতি। আর সেই প্রাণী যদি পাখি, কুকুর বা বিড়াল হয় তবে তো আরও বেশি মায়া পড়ে যায় তার উপর।

আমি একটা টিয়া পাখি আর একটা কুকুর পালছিলাম। ভালোবেসে কুকুর কে মিঠু আর টিয়াকে মিতু ডাকতাম। তাই কিছুটা দরদ বুঝি ভাই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। মায়া জিনিস টা অন্যরকম!!!!!!!!

৩৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫১

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: হুম শখের প্রাণী মাঝে মাঝে এমন যন্ত্রণাও দিয়ে থাকে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১২

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: খুব মিস করি ওদের, খুঁজতে গিয়েছিলাম খুঁজে পাইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.