নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ডা: নার্গিস পারভীন। বর্তমানে সরকারের স্বাস্থ্য সৈনিক। আমি ডাক্তারি ছাড়া আর কিছু পারি না।

না পারভীন

©ডাঃ নার্গিস পারভীন [email protected]স্বল্প, মাঝারি মাত্রার সংবেদন শীল মৌলিক লেখা I শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। পূর্বঅনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা ।

না পারভীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিকিৎসায় রিলিজিয়াস কাউন্সেলিং ; দ্বিতীয় পর্ব

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫১

এটা সেই সময়ের কথা যখন ফেইসবুক , ব্লগ সব খানে মিতা হক আর তার ভিডিও । আমি তো এই এই ভিডিও দেখবো না , দেখবোই না । কথা বলতে তো আর ট্যাক্স লাগেনা । যার যা খুশি বলছে , বলতে দাও । শুনলে শুন , না শুনলে নাই । শেষ মেশ কিভাবে কিভাবে শুনেই ফেললাম ।

বাঙ্গালি , অবাঙ্গালি নিয়ে হই চই । কিন্তু এসব বাদ দিয়ে আমি যা শুনার শুনে ফেললাম :P

মিতা হক একখান মূল্যবান কথা বলছিলেন , ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে দেখেন সব বোরখা পরা মহিলারা ।

এই কথাটা কিন্তু সত্য । আমাদের এখানে যত রোগী আসে তার মধ্যে কয় জন বোরখা ছাড়া আসছে আমি বলে দিতে পারবো । খুব কম । খুউউব কম ।



এটাই আমার বাংলাদেশ । এখানে জীবন আর ধর্ম এক হয়ে

মিশে গেছে । ধর্মকে বাড়ি রেখে শুধু শরীর টা নিয়ে কেউ আসেনা । হিন্দুরা আসে শাঁখা সিঁদুর পরা । কেউ কেউ তিলক লাগানো । শরীরের ৬ জায়গায় লাগাতে হয় সে তিলক ।

আবার মুসলিমরা বোরখা পরা । আর আমরা আমাদের দেশের মানুষের মূল্যবোধকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি ।



এটা প্রায় ডাক্তাররাই করে । আমাদের ট্রেনিং ই এমন ।

প্রতিদিন আমাদের অনেকগুলো রিলিজিয়াস ব্যাপার সমাধান দিতে হয় ।

আবার যখন দেখি ধর্মীয় ব্যপারে তারা ভুল ধারনা নিয়ে বসে আছে , সেটার সমাধান দেয়া কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় ।

কমন যেসব কথা রোগীরা বলে



** সবই আমার কপাল গো আপা /সবই আল্লাহর ইচ্ছা / বাতাস লেগে আগের বাচ্চাটা নষ্ট হয়েছে / এই বারও বাতাস লাগছে ।

** আমি আর ওষুধ খাবনা , আর চিকিৎসা নিবনা

** সব বিপদ ই আমার উপরে কেন ?

** আমি কাপড় খুলবোনা আপনি কাপড়ের উপর দিয়ে দেখেন

** আমি ছেলে ডাক্তার দেখাবোনা

**পিরিয়ডের সময় কি স্বামীর সংগে মেলামেশা করতে পারবো ?

** দিনের বেলায় সে আমার সংগে থাকতে চায় কেন ? তার কি মাথায় দোষ আছে ?

**বাচ্চাটা নষ্ট করমু আফা , বাচ্চা রাখুম না ।

** জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি নেয়া নিষেধ আছে ইসলামে

** গর্ভবতীর পরিবারে সবসময় অশান্তি

** বাচ্চারে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দিসি

**যখন রোগী মারা যায়

** আমি বিষ খেতে চাই

** আমি রক্ত দিবোনা ( ব্লাড ডোনেট করবোনা )

** পায়ে পানি না লাগাতে পারলে নামাজ পড়বো কেমনে ? ( পায়ে অসুখের কারনে , বা অযু করার সময় ভিজে যায় এমন অংশ গুলো )

** আমার কি আসলে বাচ্চা হবে , নাকি মিথ্যা সান্ত্বনা ।

** মেয়ে হবে শুনে মন আন্ধার

** আমি কি কোন দিন ভাল হব না ? আল্লাহ কি আমার কথা শুনে ? আল্লাহ কোথায় ?



তাদের কথা শুনে মনে কি হচ্ছে , তাদের প্রশ্নের কথাগুলোর উত্তর দেয়া খুব সহজ ? আসলে তেমন কঠিন ও না ।কিন্তু রিলিজিয়াস ব্যাপার গুলো এমন এখানে বানিয়ে বলার স্কোপ নাই । আর আমদের স্মৃতিশক্তি সব সময় বসে আছে আমাদের সাথে বিট্রে করার জন্য । তাই প্রয়োজন পড়েছে সব গুছিয়ে রাখার । যেন প্রায় দেখা যায় ।



(১) যেমন তারা কিছু হলেই ভাগ্য , কপাল এর উপরে দোষ দেয় । এমনকি বলে সব গুলো বাচ্চা বাতাস লেগে নষ্ট হয়ে গেছে । আল্লাহর উপর দোষ চাপায় । কিন্তু আল্লাহ তো মানুষকে জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েছেন । সর্বোপরি এই ডাক্তার দের যে জ্ঞান এটাও আল্লাহর ই দেয়া । তাই পরামর্শ নেয়া দরকার ।



আল্লাহ নিজেই বলেন , সুরা বাক্বারা ৪৪ নং আয়াতে , “ তোমরা কি জ্ঞান বুদ্ধি কাজে লাগাবে না ? “



সুতরাং সব নিয়তির উপর চাপিয়ে দিয়ে পার নেই । অনেক চেষ্টা করে যেটা হয়নি সেটা ভাগ্য বলা যায় ।



আল কুরআনে আছে “ নিশ্চয় আল্লাহ বদলান না কোন জাতির ভাগ্য যতক্ষণ না তারা নিজেরা বদলায় । “



(২) জটিল থেকে জটিলতর করে নিয়ে আসে । অথবা কেউ কেউ চিকিৎসা নিবেনা আগেই বলে দেয় । বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঝাড় ফুক ই বেশি চলে ।



মুসলিম শরীফের ২৪ অনুচ্ছেদে আছে , যে কোন রোগের ওষুধ আছে এবং চিকিৎসার সুযোগ গ্রহণ করা মস্তাহাব । "আল্লাহ এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেন নি যার নিরাময় উপকরণ তিনি সৃষ্টি করেন নি বুখারী ৫২৭২ ,





মুসলিম ৫৫৭৮ নং হাদিসে মহানবী ( সাঃ ) বলেন সব রোগের ই ওষুধ আছে ।

রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধ প্রয়োগ করা হয় তখন আল্লাহর হুকুমে তা আরোগ্য হয় । “

“ আল্লাহ যখন কাউকে আরোগ্য দান করার ইচ্ছা করেন , তখনই কেবল ওষুধ কার্যকরী হয় ।



(৩ )তারা বলে আমি ছেলে ডাক্তার দেখাবোনা । ধরেন এনাল ফিসার তার অপারেশন লাগবে কি লাগবেনা তাকে মেইল সার্জনের কাছে পাঠানো হচ্ছে । ফিমেইল সার্জারি বিশেষজ্ঞ এখানে কোথায় পাব ?

এমন কি ফিমেল ডাক্তারকেও দেখাতে চায়না । প্রথমটার ক্ষেত্রে তারা মনে করে তাদের গুনাহ হবে ২য় ক্ষেত্রে লজ্জাবোধ কাজ করে ।

সুরা নূরের ৬১ নং আয়াতে পর্দার ব্যাপারে আলোচনার সময় বলা আছে , পর্দা ঠিক যেমন বলা আছে তার বর খেলাপ হলে , “ রোগীদের জন্য কোন দোষ নাই । “



এমন কি হাদিস গ্রন্থ আবু দাউদের ১৮২ নং অনুচ্ছেদ মহিলা রোগীদের সেবা প্রসঙ্গে এসেছে ।



হযরত মুহাম্মাদ ( সাঃ ) উম্মে আলার সেবা করতে যান । আবু দাউদের ৩০৭৯ নং হাদিস টি উম্মে আলাকে মহানবী ( সাঃ ) বলেছিলেন । হে উম্মু আলা ! তুমি সু সংবাদ গ্রহণ কর । কেননা মুসলমানদের অসুখের দ্বারা আল্লাহ গুনাহ তেমন করে দূর করে দেন , যেমন অগ্নি সনা রূপার মরিচা দূর করে দেয় । “







(৪ ) আবার ফিমেইল ডাক্তার বা সেবিকা কি পুরুষ রোগি দেখতে পারবে ? প্রাসঙ্গিক ভাবে এই প্রশ্ন চলে আসে ।

বুখারী শরীফের ৫২৭৭ নং হাদিসে আছে , কুতায়বা (রাঃ ) বলেন , আমারা নবী ( সাঃ ) এর সংগে যুদ্ধে শরিক হতাম । তখন আমরা লোক জন কে পানি পান করাতাম । তাদের সেবা যত্ন করতাম এবং নিহত ও আহতদের মদিনায় পৌঁছে দিতাম । “



(৫ ) মহিলাদের যে কোন সময় পার ভেজাইনাল ব্লিডিং এর সময় স্বামী সহবাস নিষেধ দেন ডাক্তাররা । এতে অনেক মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ।

সুরা বাক্বাকার ২২৩ নাং আয়াতে আছে , “হায়জের সময় তোমরা স্ত্রী সহবাস থেকে দূরে থাক । পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত নিকটে যাবেনা । যখন উত্তম রূপে পবিত্র হয়ে যাবে তখন আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে নিকটে যাও । “



(৬ ) দিনের বেলায় সে আমার সংগে থাকতে চায় কেন ? তার কি মাথায় দোষ আছে ?

কখনো কখনো অত্যন্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারেও মতামত দিতে হয় । সমস্যাগুলো তো ছোট না । এই ধরনের সমস্যার জন্য ও ঘর ভেঙ্গে যায় । শুধু মাত্র জ্ঞান নাই , তাই ।

রোজার সময় দিনে সহবাস নিষেধ থাকে ।

কিন্তু অন্যসময়ের ব্যাপারে সুরা বাক্বারার ২২৩ নং আয়াতে আছে ,

“ তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র

তাদের ক্ষেত্রে ইচ্ছামত যেতে পার । “




(৭ ) যখন ঠিকমত চিকিৎসা করার আগে অপবাদ দেন তার আর সন্তান হবেনা , কি হয় মেয়েটার ? কত করুণ হয় তার জীবন । তার চোখের পানির মূল্য আল্লাহর কাছে আছে । আর নিষ্ঠুর মানুষের জন্য শাস্তি ।

সুরা নূর ২৩ নং আয়াতে আছে , “ নিঃসন্দেহে যারা অপবাদ আরোপ করে সাধ্বী ও আত্মভোলা মুমিন নারীদের উপর , তারা ইহকালে অভিশপ্ত , তাদের জন্য আছে মহা শাস্তি । “



( ৮ ) বাচ্চা হওয়ার সব ধরণের চিকিৎসা বাংলাদেশেই আছে ।ওষুধ পত্র তো রইলোই বেসরকারি সেক্টরে আমাদের সম্মানিত শিক্ষক রা চালু করেছেন টেস্ট টিউব বেবি পর্যন্ত । চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত না হলে সেটা ভাগ্য । তার আগে না ।

আবার দেখা যায় ১/ ২ সাইকেল ওষুধ খাওয়ার পর তারা হতাশ হয়ে কান্না করতে থাকে । আল্লাহ নির্ধারিত করে রেখেছেন কে কখন দুনিয়ায় আসবে । কে কখন মারা যাবে । আল্লাহ চিকিৎসা ও দিয়েছেন ।



মুসলিম শরীফের ৩৪০৯ নং হাদিস এ আছে , “ কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ যাদেরকে সৃষ্টি করবেন , তাদের সম্পর্কে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন । “







(৯ ) বাচ্চাটা রাখুম না ।মাত্র বিয়ে করেছি এখনই বাচ্চা নেয়ার ইচ্ছা নাই । উদাস কণ্ঠে এই কথা হাসবেন্ড গুলা বলে ।

নিজেরাই খেতে পারিনা আর একটা বাচ্চা হলে তাকে খাওয়াবো কি ? অনেক সময় আমরা তাজ্জব হয়ে যাই কেউ কেউ বাচ্চা নষ্ট করাটাকে জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি করে ফেলেছে ।



কেরে ভাই , তোমরা জন্য কি জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি নাও নাই কেন । সরকার বিনামূল্যে দিচ্ছে । বাচ্চা নষ্ট করাতো জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি না । আন সেইফ এবরশ ন করাতে গিয়ে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল অনেক উপরে । ২১ ভাগ মা এভাবে মারা যেতো ।এখন যদিও সেটা কমে এসেছে ।



আমাদের দেশে বিয়ে হয়ে যায় । কিন্তু বিয়ের সময়ে কোন কাউন্সেলিং এর কোন ব্যবস্থা না থাকাটা এর কারণ ।

সুরা আনআমের ১৪১ নং আয়াতে আছে , “ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তারা যারা নির্বোধের মত না জেনে আপন সন্তানকে হত্যা করে । “

একই সুরার ১৫২ নং আয়াতে আছে , “ অভাবের ভয়ে আপন সন্তানকে হত্যা করবেনা । আমি তাদেরকেও রিজিক দেই । “


(১০ )

ইসলামে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নেয়া নিষেধ আছে জানি নাতো । আজল ( coitus interruptus ) নামের পদ্ধতি ছিল । ইসলামে জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি নিতে নিষেধ নাই , কিন্তু বাচ্চা এসে গেলে সেটাকে নষ্ট করা গুনাহ আছে ।



(১১ ) কিন্তু যখন সন্তান ধারণ মায়ের জীবনের জন্য ঝুঁকি নিয়ে আসে সেক্ষেত্রে টারমিনেশন করা যায় ।

“ কোন মাতাকে সন্তানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবেনা । “

২২৩ সুরা বাক্বারা ।


আমাদের কিছু স্পেসিফিক ইন্ডিকেশন আছে মেডিকেল টারমিশন অফ প্রেগনেন্সির । আমার শরীর এমনেই দুর্বল , বাচ্চা রাখুম না বললেই হবে না ।



(১২ ) কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্ট মায়েরা পারিবারিক ভায়োলেন্সের শিকার হয় । মায়ের প্রশান্তির খুব দরকার আছে । বিশ্রাম না পেলে , অত্যধিক পরিশ্রম করলে , অত্যধিক মানুষিক চাপে পেটের সন্তান নষ্ট হয়ে যেতে পারে । বা সময়ের আগেই অপুষ্ট সন্তানের জন্ম হয়ে যেতে পারে ।

মানুষিক ব্যাপারটা আসলে কতটুকু এফেক্ট ফেলে সন্তানের উপরে ? অনেকটাই ।

এর অনেক সায়েন্টিফিক প্রমাণ আছে । ধর্মীয় প্রমাণ ও আছে । মা কুরআন শরীফ পড়তো বলে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী ১৮ পারা পর্যন্ত কুরআন মুখস্থ করে এসেছিলেন মায়ের পেট থেকে ।



(১৩ ) মানুষ হতাশা থেকে , ভালবাসা না পেয়ে , আঘাত পেয়ে কোন কোন মানুষ সুইসাইড করতে চায় । আবার কোন কোন সাইকিয়াট্রিক ডিসঅর্ডার আছে আছে যেখানে সুইসাইডাল টেন্ডেন্সি বাড়ে ।

এ সম্পর্কে হাদিস টি হল ‘ যে ব্যক্তি পাহাড়ের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে সে জাহান্নামের আগুনে পুড়বে চিরদিন সে জাহান্নামের মধ্যে অনুরূপ ভাবে লাফিয়ে পড়তে থাকবে । যে বিষপান করবে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে চিরকাল তার হাতে বিষ থাকবে আর তা পান করতে থাকবে । যে লোহার আঘাতে আত্মহত্যা করবে , জাহান্নামের আগুনের মধ্যে সে লোহা তার হাতে থাকবে , চিরকাল সে তা দ্বারা নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে ।



(১৪ ) রক্তের অভাবে এক রোগীর জীবন প্রদীপ নিভে যাচ্ছে , তখন একই গ্রুপের রক্ত হওয়া শর্তেও তার বোন রক্ত দিচ্ছিল না । শেষ মেষ সে রক্ত দেয় । রোগীটা বেঁচে যায় ।



আমারা বলে বাধ্য হয়েছিলাম সুরা মায়িদাহ ৩৩ নং আয়াত “ যে কেউ কারো জীবন রক্ষা করল সে যেন সকলের জীবন রক্ষা করলো ।



(১৫ ) রোগীরা যেন সন্তানকে বুকের দুধ পান করায় তার জন্য আমরা অনেক ডাক্তার আপ্রাণ চেস্টা করি । সুরা বাক্বারার ১৩৪ নং আয়াতে আছে , “মায়েরা আপন সন্তানদের পূর্ণ দুবছর দুধ পান করাবে । “ কিন্তু কোন মাতাকে তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না । “



(১৬ ) অনেক সময় সব চেষ্টা বিফল করে দিয়ে কেউ মারা যায় , সান্ত্বনা খুঁজে নিতে হয় সুরা ইমরান ১৪৫ নং আয়াতে থেকে , “আল্লাহর অনুমতি ব্যতিরেকে কারো মৃত্যু হতে পারেনা । যেহেতু প্রত্যেকের মেয়াদ নির্ধারিত । “







(১৭) ডাক্তার রা যখন কোন অসুখের কারণে হাতে বা পায়ে পানি লাগাতে নিষেধ করেন , রোগীরা হতাশ হয়ে প্রশ্ন করে তাহলে কিভাবে অযু করবে , কিভাবে নামাজ পড়বে ?



সুরা নিসার ৪৪ নং আয়াতে আছে , " আর যদি রোগী হও ...তবে তোমরা পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম কর । "




(১৮ ) আমার কি সন্তান হবেনা ? আসলে কি আমার সন্তান হবে ? নাকি মিথ্যা সান্ত্বনা ?



এসব চিকিৎসা এমন এখানে কোন গ্যারান্টি নেই কি হবে । আশা ও আল্লাহর কাছে বিশ্বাস রেখে করে যেতে হয় । এবং অনেককেই আল্লাহ সাহায্য করেন । আমরা বলি ওশুধ খান , নিয়ম মেনে চলেন আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন ।



সুরা আম্বিয়ার ৮৯ নং আয়াতে আছে , " " হে আমার রব , আমাকে নিঃসন্তান রেখোনা , তুমি শ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকারী দাতা । "

সুরা আলে ইমরানের ৩৯ নং আয়াতে আছে , " হে আমার রব ! আপনি নিজের নিকট থেকে আমাকে সন্তান দান করুন । আপনিতো প্রার্থনা শুনেন । "



হযরত জাকারিয়া (আঃ ) এই প্রার্থনা করেছিলেন ।










(১৯)



রোগীরা সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে এটা ধনী গরীব , শিক্ষিত অশিক্ষিত সবার সমান আগ্রহের বিষয় । যখন মেয়ে হবে শুনে এটা অনেকেই খুব ভালভাবে নেয় । অনেকের মুখ চুপসে যায় । ভয়ে । স্বামীর ভয় । শাশুড়ির ভয় ।



আমি রিসেন্টলি শিখেছি কিভাবে গ্রহণ যোগ্য ভাবে সুসংবাদ দিতে হয়

> প্রথম সন্তান মেয়ে হওয়া রাসুলের সুন্নত

>> পর পর ২ টি কন্যা সন্তাঙ্কে ভালভাবে লালন পালন করে বিয়ে দিতে পারলে তার জন্য জান্নাত অয়াজিব হয়ে যায়

>> আর সন্তান ছেলে বা মেয়ে হবে এতে মহিলাদের কোন ভুমিকা নেই । ( আরেকটু ভেংগে বলি )



বেশির ভাগ সময় খুশি দেখতে পাই মায়েদের মুখে ।



(২০)



আমি কি কোন দিন ভাল হবোনা ?আল্লাহ কোথায় , আল্লাহ কি আমার কথা শুনে না ?



সুরা আলে ইমরান ১৬১ নং আয়াতে আছে , শুধু আল্লাহতেই মুমিনদের ভরসা করা উচিত ।

সুরা বাক্বারার ১৮৭ নং আয়াতে আছে , “ আমি নিকটেই আছি । আমি সাড়া দেই প্রার্থনা কারীর প্রার্থনায় । “ তাদেরও উচিত আমার ডাকে সাড়া দেয়া ও আমাকে বিশ্বাস করা যেন , তারা সুপথ পায় । “



সুরা ইয়ুসুফ এর ৮৮ নং আয়াতে আছে , “ আল্লাহর দয়া থেকে নিরাশ হয়ো না । যারা অবিশ্বাসী তারা ছাড়া আল্লাহর দয়া থেকে কেউ নিরাশ হয়না । “



কুরআনে আরো আছে , রাসুল ও তাঁর সঙ্গী মুমিন রা বলেছিল , " আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে ? ওহে আল্লাহর সাহায্য নিকট বর্তী "







এখানে এমন কিছু আছে , অনেক আবেগের কথা , চোখের পানির কথা , অথবা অনেক উচ্ছ্বাস , মিষ্টি বিতরণ যা গাঁথা আছে লেখাগুলোর পিছনে যা সামনে আসেনি । হয়তো যখন একটা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মারা যায় , একটা ফুলের মত শিশু মারা যায় তার কোঁকড়া চুলের কালো বর্ণ , তার গোলগাল ফর্সা মুখটা অথবা কোন মহিলা যে সংসার থেকে বের করে দেয়া হয় সন্তান হবেনা এই অপবাদ দিয়ে ।

সুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষের আনন্দ । একটি পুতুলের মত বাচ্চার কান্না শুনে সবাই হই চই করে উল্লাস । কার মত হল পুতুলটার চোখ , মুখ ।





আল্লাহ নিষ্ঠুর মানুষ পছন্দ করেন না । আল্লাহ পরম দয়ালু । আল্লাহর রঙ্গে রঙ্গিন হই এটা আল্লাহর চাওয়া ।অসুস্থ দের জন্য আত্মীয় , বন্ধুবান্ধবের সামান্য স্নেহের কথাও অনেক দামী ।



আমি আর কি করবো যাদের কে আল্লাহ সাহায্য করবেন ঠিক করেন ডাক্তারদের তাঁর এসিস্টেন্ট নিয়োগ দেন । আমরা শুধু সেটাই করে যাই । :) :)





রিলিজিয়াস কাউন্সেলিং ; অসুস্থ মানুষদের জন্য সিম্পেথি





কৃতজ্ঞতা ঃ ব্লগার তন্দ্রা বিলাস >> সংগ্রহে রাখুন সকল সহীহ হাদীস (সিহাহ সিত্তাহ) বাংলা গ্রন্থ সমূহ, সকল খন্ড, ডিরেক্ট ডাউনলোড লিঙ্ক সহ । মেগা পোস্ট

(২) ডাঃ কলি আপা

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৪

aoaiii বলেছেন: অসাধারন।পোস্ট প্রিয় তে।প্লাস।

শেয়ার করলাম।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬

না পারভীন বলেছেন: অনেক প্রকারের বিষয় আনাতে শেষে লেখা কেমন দাড়ালো পাঠকদের জন্য একটু ভাবনা হচ্ছিল । অনেক ধন্যবাদ আপু । অনেক শুভ কামনা রইল । :)

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৪

আরজু পনি বলেছেন:

অনেকগুলো দরকারী কথা বলেছেন ।

পোস্টটা সাথে করে নিয়ে গেলাম ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু । আপনার জন্য ও শুভেচ্ছা । :)

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



++++

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

না পারভীন বলেছেন: :)

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই ধরনের পোস্ট গুলো তে ,আমাদের মত সাধারনের অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় ।
পরিশ্রমী পোস্ট ...

জাজাক আল্লাহ্‌ খায়রান :)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০১

না পারভীন বলেছেন: :) :) ধন্যবাদ আপু ।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: সুরা ইয়ুসুফ এর ৮৮ নং আয়াতে আছে , “ আল্লাহর দয়া থেকে নিরাশ হয়ো না । যারা অবিশ্বাসী তারা ছাড়া আল্লাহর দয়া থেকে কেউ নিরাশ হয়না । “

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৪

না পারভীন বলেছেন: :)

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২১

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: দারুন একটা পোস্ট, খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখা করেছেন। দোয়া করি আপনি সকল ক্ষেত্রে সফল হন। :)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

না পারভীন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তন্দ্রা ভাইয়া । আপনার জন্য ও অনেক দোয়া রইল । আপনার পোস্ট ছাড়া এ পোস্ট লেখা সম্ভব হতোনা । :)

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬

আমি ইহতিব বলেছেন: আপু এতো সুন্দর করে সবকিছু ব্যখ্যা সহ লিখেন বলেই মনে হয় আপনার পোস্টগুলো পড়তে এতো ভালো লাগে। পরের পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিথি । কষ্ট করে পড়েছো এই জন্য অনেক ধন্যবাদ ।





অনেক শুভকামনা রইলো ।

৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৩

সকাল রয় বলেছেন: আপনার পোষ্ট গুলো মাঝে মাঝে কাজে লাগবে।
ধন্যবাদ

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০০

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সকাল দা । :) শুভকামনা রইলো ।

৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

জো জো বলেছেন: অসাধারন একটা পোস্ট। জাযাক আল্লাহু খায়রান।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

না পারভীন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জো জো । :) আপনার জন্য ও শুভ কামনা রইলো । আমার ব্লগে স্বাগতম ।

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অসাধারন একটা পোস্ট।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

না পারভীন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী ভাইয়া । :) অনেক শুভ কামনা রইলো ।

১১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: পারভিন আপা, এবিষয়ে আপনার পোস্টগুলো জাস্ট ক্লাসিক। অনেক উপকারে আসবে। বিভিন্নভাবে। সুস্বাস্থ্য মানে আগে ছিলো: শারীরীক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতা। এখন যুক্ত হয়েছে: আধ্যাত্মিক সুস্থতা। কারণ বলা নিষ্প্রয়োজন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১

না পারভীন বলেছেন: অনেকদিন আগে কমিউনিটি মেডিসিনে পড়া হেলথের ডেফিনেশন মনে করিয়ে দিলেন মইনুল ভাই ।


যখন মানুষ চরম কষ্টে থাকে কোন কিছু দিয়েই তাকে বোঝানো যায়না , মানুষ আশ্রয় নেয় আধ্যাতিকতার ।

আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ । অনেক শুভ কামনা রইলো ।

১২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

মামুন রশিদ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

না পারভীন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই । :) :)

১৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

নাছির84 বলেছেন: দারুন পোষ্ট। অনেক কিছু বোঝার আছে। তাই সময় নিয়ে পড়ছি। অনেক তেষ্টা পাওয়ার পর একটু একটু করে যেভাবে সরবতের গ্লাসে চুমুক দেয় সবাই...সেভাবে।
ভাল থাকবেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১

না পারভীন বলেছেন: আপনি এখানে ??? আমি আপনার বিষ গল্প টি পড়া শুরু করবো এখন । অনেক দিন ব্লগে এসে ছিলাম কিন্ত কিছু পড়া হয়ে ঊঠেনি ।
মেণ্টালি বিজি বলেও একটা শব্দ আছে । এখন লেখা পড়ে তাজ্জব হয়ে যাচ্ছি । কিভাবে এভাবে লেখা যায় ? কোন কথা না বলে সব কথা বলা যায় ? B:-) B:-)

১৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ খুব সুন্দর এবং যৌক্তিক।

আল্লাহ পাক সবাইকে সচেতন থাকার এবং সত্যিটা জানার তওফীক দান করুন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩১

না পারভীন বলেছেন: আমিন !
অনেক অনেক ধন্যবাদ রুবেল ভাই । :)
শুভকামনা রইলো ।

১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫০

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: ট্রিটমেন্টের পাশাপাশি তাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়া অনেক প্রেশারের কিছুটা অনুধাবন করতে পেরেছি ।
চমৎকার করে হাদিস গুলো সাজিয়েছেন , আসলে ইসলাম তো পরিপূর্ণ জীবন বিধান ।

আপু আপনার মত সবাই এত ভাল ডক্টর হত তবে খুব ভাল হত ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২২

না পারভীন বলেছেন: আমি কি ভাল ? কনফিউজড । :-& :-& তবে কি আমার মাথা ব্যাথা হলেও আমি ভীষণ অস্থির হয়ে যাই । :#> :#> তাই মানুষের দু;খ , কষ্ট গুলো বুঝতে পারি । :#)


আর রিলিজিয়াস হোক আর যাই হোক একটু সাহস দিয়ে দুএক্টা কথা সবার ই মনের জোর বাড়িয়ে দেয় ।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল অদ্বিতীয়া ।

১৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট।

অনেক সাধুবাদ রইলো। রিলিজিয়াস কাউন্সেলিং চিন্তা করার মত একটি বিষয়, সন্দেহ নেই।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২৯

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইসহাক ভাইয়া । সুন্দর কমেন্টের জন্য । অনেক ভাল থাকবেন । :)

১৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সুন্দর, খুব সুন্দর, চমৎকার , আরো সুন্দর লিখুন

সময় থাকলে আমার এই পোষ্টটা পড়বেন :) :)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩২

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিংক দেয়ার জন্য । আমি কাল খুব ব্যস্ত ছিলাম তাই চোখে পড়েনি । আজ রাতে পড়বো । অনেক অনেক ধন্যবাদ আবারো । :)

১৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৮

নিশাত তাসনিম বলেছেন: খুব সুন্দর একটি সিরিজ শুরু করেছেন। আমি কিন্তু আপনার নিয়মিত পাঠক। নিয়মিত লিখবেন আশা করি :)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৪১

না পারভীন বলেছেন: থ্যাঙ্কস ব্রো । আপনার উতসাহে অনুপ্রেরনা নিয়ে আরেকটা পর্ব লেখার ছিল , তাতে দ্রুত হাত লাগাব ভাবছি । সিরিয়াসলি বললাম কিন্তু । :)

১৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪২

ফারজানা আখি বলেছেন: আপু , ভালোলাগা প্রকাশের ব্যাপারে আমি খুবি
এক্সপ্রেসিভ ও সংবেদনশীল । কোন লেখা মোটামুটি ভালো লাগলেও
লেখাটিকে আন্তরিকভাবেই উপমামন্ডিত করতে ব্যগ্র হয়ে যাই ।

তায় , যখন কোন কিছু খুব বেশি ভালো লেগে যায় , কি বলবো
বুঝেই উঠতে পারিনা । আপনার এই লেখাটি শেষোক্ত ভাবনার
দলে পড়েছে বোধহয় ... :-)... প্রিয়তে ... ভালো থাকুন ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৪

না পারভীন বলেছেন: বেশি সংবেদন শীল হোয়া ভালু না , এরা সহজে আঘাত প্রাপ্ত হয় ।

২০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

ফারজানা আখি বলেছেন:
আপু , ভালোলাগা প্রকাশের ব্যাপারে আমি খুবি
এক্সপ্রেসিভ ও সংবেদনশীল । কোন লেখা মোটামুটি
ভালো লাগলেও লেখাটিকে আন্তরিকভাবেই উপমামন্ডিত
করতে ব্যগ্র হয়ে যাই ।

তায় , যখন কোন কিছু খুব বেশি ভালো লেগে যায় ,
কি বলবো বুঝেই উঠতে পারিনা । আপনার এই লেখাটি
শেষোক্ত ভাবনার দলে পড়েছে বোধহয় ... :-)... প্রিয়তে ...
ভালো থাকুন ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৩

না পারভীন বলেছেন: ডিয়ার আখি আপু , এই দোষ বা গুন আমার মধ্যেও কিঞ্চিত বিদ্যমান ।
ভাবছাব নিয়ে বসে থাকতে পারিনা ।
আপনাকে একটা কথা বলি , এই পোস্ট লিখতে আমাকে নাওয়া খাওয়া ভুলে , অফিসিয়াল এপোয়েন্টমেন্ট ভুলে লিখতে হয়েছে । কম্পিটারে একের পর এক হাদিস গ্রন্থ গুলো উল্টাতে হয়েছে কারন আমি সবি জানতাম , তবে ভাসা ভাসা ।

আমাদের রোগীরা আবার খুব আতেল , যথাপুযুক্ত রেফারেন্স ছাড়া কিছু বিশ্বাস করেনা ।

আমার আর ২ টি পর্ব লেখার কথা । এনার্জি শেষ হয়ে গেছিল । আপনার কমপ্লিমেন্টে এখন হাওয়ায় ভাসছি ।

থ্যঙ্কস ডিয়ার

২১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫২

ফারজানা আখি বলেছেন: ওহহো !! প্রথম কমেন্টটির লাইনগুলো এলোমেলো
হওয়াতে দ্বিতীয়বার আবার দিয়েছি । ভেবেছি ,
পুরনোটা ডেল করে ফেলবো ।

সরি , ব্লগে নতুনতো তায় আমার
খেয়াল ই ছিলোনা যে , অন্যের পোস্টে নিজের
কমেন্ট ডিলিট করা যায়না !! ... :-(

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২০

না পারভীন বলেছেন:
কিছু ভুল হয়ে যায় ফুল । গোলাপের শুভেচ্ছা । সুন্দর হোক প্রতিদিন ।


২২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

ফারজানা আখি বলেছেন: রিয়েলি হার্ট মেল্টিং টাইপ রিপ্লাইজ , রিয়েলি ... :-)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

না পারভীন বলেছেন: থ্যাঙ্কু :) :)

২৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

শ।মসীর বলেছেন: চমতকার লেখা, ভাল লাগল।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া , অনুপ্রেরণা পেলাম ।
আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল ।

২৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪৮

অন্তরন্তর বলেছেন:

এত চমৎকার একটা লিখার জন্য
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা।+++

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

না পারভীন বলেছেন: অন্তরন্তর ভাইয়া , অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা রইল । :)

২৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৩৬

কলমদানি বলেছেন: ধন্যবাদ

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

না পারভীন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কলমদানি ভাইয়া । :)

২৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২০

নাছির84 বলেছেন: বারবার ঘুরে যাই..খালি হাতে। মেজাজ খারাপ ! নতুন লেখা কই ?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৩

না পারভীন বলেছেন: রাগে গররর করতে করতে এই কথা বলে এলুম একটু আগে । নতুন লেখা কই ?? হু ??

২৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ পোস্ট আপু, জাজাকাল্লাহ খায়র... :)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

না পারভীন বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । এ পোস্ট অনেকের কাজে লাগতে পারে , তাইনা ?

২৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার প্রতিটি পোস্টেই অনেক শিক্ষনীয় বিষয় থাকে, আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা খুব ভাল। :)

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া । এমন মন্তব্য বিরাত উতসাহ হিসেবে কাজ করে ।

২৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসাধারন একটা লেখা পড়লাম। ব্লগে এধরনের লেখা আমাদের প্রিয় ইসলাম সম্পর্কে অনেক ভুল ধারনা দুর করতে পারে। বিশেষ করে এখন যখন ইসলামের নামে নানা অপপ্রচার ও বিরোধিত চলছে তখনতো বটেই।

অনেকের অনেক ভুল ধারনা দুর করতে আপনার এই পোষ্টটা কাজে লাগবে। লাইক দেওয়ার চেষ্টা করলাম, বাটনটা কাজ করছে না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১৩

না পারভীন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তনিমা আপু । এই পোস্ট রেডি করতে আমাকে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছিলো ।
লাইক বাটন কাজ না করলেও লাইক পেয়ে আমি খুব খুশি । :)

৩০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

মেলবোর্ন বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট আপু প্রিয়তে নিলাম ।
তবে ৬ নং পয়েন্টের আয়াতের ব্যখ্যাটা একটু অন্যভাবে চিন্তার জন্য দিলাম দেখুন তো

আপনার পয়েন্ট ছিল:
(৬ ) দিনের বেলায় সে আমার সংগে থাকতে চায় কেন ? তার কি মাথায় দোষ আছে ? কখনো কখনো অত্যন্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারেও মতামত দিতে হয় । সমস্যাগুলো তো ছোট না । এই ধরনের সমস্যার জন্য ও ঘর ভেঙ্গে যায় । শুধু মাত্র জ্ঞান নাই , তাই ।

রোজার সময় দিনে সহবাস নিষেধ থাকে ।কিন্তু অন্যসময়ের ব্যাপারে সুরা বাক্বারার ২২৩ নং আয়াতে আছে ,“ তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র তাদের ক্ষেত্রে ইচ্ছামত যেতে পার ।


এবার আমার টা একটু চিন্তা করে দেখুন

অনেক নারীবাদী অভিযোগ করে ইসলাম নারীদের অধিকার হরণ করছে। সেক্ষেত্রে তারা যেসব উদাহণ দেয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ইসলামে নারীদের শস্যক্ষেত্র হিসেবে তুলনা করা হয়েছে। মানে নারী কে পুরুষ ইচ্ছা মত ব্যবহার করবে আসলে কি তাই বলা আছে?

এবার চলুন সেই আয়াতার দিকে দৃস্টিপাত করাযাক->>> ইসলামে নারীদের শস্যক্ষেত্র হিসেবে তুলনা করা হয়েছে এটা হচ্ছে সুরা বাকারার ২২৩ নং আয়াত দেখুন: "তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও। "

এখানে শস্য ক্ষেত্র বলে সাবধান করে দেয়া হয়েছে যে আপনি যদি স্ত্রীর সাথে ভাল ব্যবহার না করেন তবে ভাল ব্যবহার ও ভাল সন্তান ও ভবিশ্যত প্রজন্ম আশা করতে পারেন না তাই কেমন পরিবার চান সেটা আপনার উপন নির্ভর করে ঠিক জমির মত ভাল ফসল পেতে হলে কঠোর পরিশ্রম ও পরিচর্যা করতে হয় আর যদি তা না করেন তবে ভাল ফসল পাবেন না আর অনেক ইংরেজি অনুবাদেও পাবেন স্ত্রী , আসলে আরবীতে আছে নিসা যার বাংলা নারী স্ত্রী নয়, হবে নারী

এখন সেই ২২৩ নং আয়াতের ব্যখ্যাটা এমন হতে পারে"Remember that women in the society are the guardians of your future generations, just as a garden keeps the seeds and turns them into flowering plants. So, whenever you meet with women socially, treat them with respect, keeping the aforementioned principle in mind. This conduct will go a long way to insure the betterment of the future generations. Send forth good today for the sake of tomorrow. Be mindful of God and know that you will, one day, face Him. O Messenger! Give good news to the believers. [Nisaa = Women, not wives এই আয়াতে দেখুন নিসা মানে হচ্ছে নারী বউ বা স্ত্রী নয়]" নেয়া হয়েছে QXPiv (THE QUR’AN AS IT EXPLAINS ITSELF (Fourth Edition)By Shabbir Ahmed, M.D. পাবেন এখানে http://ourbeacon.com/?page_id=11605

ঐ একই আয়াতে আরো বলাআছে যে" আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও। "

"আগামি দিনের ব্যবস্থা করা" মানে কি? নিশ্চই বউকে মেরে ইচ্ছামত ব্যবহার করে আগামিদিনের ভালব্যবস্থা সম্ভব নয়, আর এর পরই আল্লাহ বলেছেন "আল্লাহকে ভয় করতে থাক" কেন ভয় করবেন ? যাতে আপনি আপনার বউয়ের প্রতি জুলুম করে যে পার পাবেন না আল্লাহ সেটিই বলছেন কারন তিনি এর পরেই বলেন "আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে।"

তার মানে নিশ্চই এই যে আপনি আপনার বউ বা নারীদের প্রতি কেমন ব্যবহার করেছিলেন সেটা আল্লাহর সাথে সাক্ষাতে বা বিচার দিনেই ফয়সালা হবে আরো কত সুন্দর কোরআন দেখুন এর পরই আল্লাহ বলেন " আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও। "

এখানে বলা হয়েছে যারা ঈমানদার তাদের জন্য সুসংবাদ কেন জানেন কারন ঈমানদারের দায়িত্ব প্রথমত তার ময়ের সেবা করা সর্বদা তারপর স্ত্রীকে সবর্দা খুশি রাখা এবং মেয়ে হলে তাকে জ্যন্ত কবর না দিবে বা অবহেলা না করে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা আর সকল নারীদের সম্মান করা তাই তাদের জন্য সুসংবাদ কারন আপনি নারীদের ভাল রাখলে পরিবার ভাল হয় পরিবার থেকে সমাজ এবং সমাজ হতে দেশ ভাল হয়।

আরো একটি দৃস্টিভংগি আছে তা হলো যে অনেকে মনে করেন এই শস্যক্ষেত্র কন্সেপ্টটা এসেছে প্রাচীন কৃষি ব্যবস্থার প্রতীক হিসেবে। শস্যক্ষেত্র যেভাবে গাছপালা খাদ্য দ্রব্যাদি উৎপন্ন করতে পারে ঠিক তেমনই নারী সন্তান উৎপাদন করতে পারে, কন্সপ্টটা কিছুটা এরকম। এখানে অবশ্য কিছুটা মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থারও ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনেহয় (প্রাচীন মিথের চরিত্র বিশ্লেষণ করে)

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, খৃস্টীয় ৬০০ শতকে এসে পুরুষতান্ত্রি সভ্যতায় ইসলাম এটাকে আসলে কিভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছে? এটা কি আদি ধর্মেরই ধারাবাহিকতা রক্ষা নাকি পুরুষতান্ত্রিক সভ্যতায় এটাকে ভিন্ন কোন দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে ?

এর উত্তরে ব্লগার গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেন -আসলে পুরুষতান্ত্রিক সভ্যতার উন্মেষও জৈবিক। যা জৈবিক (যৌনতা নয়) তা প্রাকৃতিক, যা প্রাকৃতিক, তাই ওইশী, বা আল্লাহর পক্ষ থেকে। ঠিক কী কারণে পুরুষতান্ত্রিক সভ্যতার উন্মেষ হল দেখা যায়।

পুরুষের আছে টেস্টাস্টেরন।টেস্টাস্টেরন পেশী গঠন করে, হাড় গঠন করে, বাড়তি শরীরজোড়া রোম গজানোর মাধ্যমে বাইরের আঘাত থেকে শরীরকে রক্ষা করার একটা ক্ষীণ 'প্যাড' এর মত সেফটি দেয়। কন্ঠ উচু করে, যা আদেশদানের মত উপযুক্ত। টেস্টাস্টেরন পুরুষকে করে অনেকটাই মনের দিক দিয়েও শক্ত, একরোখা। এসবই ঘরের বাইরে খাবার ও জীবন চালানোর বিষয়বস্তু সংগ্রহের যোগ্যতায় একটা নতুন মাত্রা আনছে।

এবার আসেন এস্ট্রোজেন ও পোজেস্টেরন এ। নারীর শরীরকে তা করে আরো বেশি কোমল। মনকে করে আরো বেশি কম্প্রোমাইজিঙ। কিন্তু নিজের জৈবস্বার্থে সে নিদারুণ শক্ত ও একগুঁয়ে। এই গুণগুলো শেষ পর্যন্ত কোথায় কাজে লাগছে? শিশুর চাই কোমলতা। শিশুর চাই ন্যায় হোক আর অন্যায় হোক, মায়ের কাছে প্রশ্রয়। তা নাহলে সিস্টেম ফল করে।

এখানে কিন্তু বেশ বিস্ময় এবং খেদের সাথে হলেও দেখতে আমরা বাধ্য যে, প্রকৃতি, যাকে মুসলিমরা বলছে আল্লাহ, তিনি অনেক বেশি নৈর্ব্যক্তিকভাবে তাঁর গড়া সিস্টেমটাকে রক্ষার জন্য কোন একটা পদ্ধতি অবলম্বন করে রেখেছেন।

আমরা চাইলে এখন, এতদিন পরে নারীকে টেস্টাস্টেরন দিতে পারি, তাতে ঠিক তার নারীত্ব বজায় থাকছে না। তার শিশুপালন এর কোমলতা বজায় থাকছে না। পুরুষকেও ইস্ট্রোজেন বা পজেস্টেরন দিতে পারি, তার ফলও শুভ হচ্ছে না। অফিসে নাম হয়ে যাচ্ছে 'সিসি টম'। ফলে সিসি টম সময় মত প্রমোশন পাবে না। সিসি টম কাজ আদায় করতে পারবে না। সিসি টম দেরিতে বেতন বাড়বে। তার পরিবার আজো, এই দেরিতে বাড়া বেতনের কারণে ভুগবে।

তবে মানে কিন্তু এই না যে, নারী সর্বত্র কাজ করতে জানে না বা নারীর কাজ শুধু সন্তান উতপাদন। এ হল আংশিক প্রতিফলন। সার্বিক নয়। মাতৃতান্ত্রিক সমাজগুলো দেখিয়েছে নারী পারে এবং তা মন্দভাবে পারা নয়।

মন্টব্য টা আমার আগের পোস্ট নারী ও ইসলাম- আসুন দেখি সত্যের চোখে হতে দেয়া Click This Link

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৫

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ মেলবোর্ন । আসলেই এই আয়াত বহুল আলোচিত নারীবাদীদের ক্ষোভে উদ্বেলিত । আল্লাহ তাদের কে প্রকৃত জ্ঞান দিক এটাই প্রার্থনা ।

৩১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৫

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
অন্য ধর্মের অথবা নন বিলিভার রোগীদের কিভাবে সমাধান দেন?

সব প্যাশেন্টস তো আপনার কাছে সমান তাই না?

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৩

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা , আপনার সুন্দর প্রশ্নটির জন্য । আসলে সব রোগীকে একপাল্লায় তো মাপা যায় না ।


অন্য ধর্মের অথবা নন বিলিভার রোগীদের কাঊন্সেলিং করার মত আমার জ্ঞান নাই অত্যন্ত বিনয়ের সংগে জানাচ্ছি । সে ক্ষেত্রে শুধু মেডিকেল সায়েন্স টুকুর জ্ঞান ফলানো ছাড়া আর কিছু করার নাই ।

৩২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:

আপনি বায়ো এথিক্স বুকস পড়তে পারেন। কিন্তু মনে হয় আপনি অলরেডি পড়েছেন, ক্লাসও করে থাকতে পারেন।

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

না পারভীন বলেছেন: স্বর্ণা মনি আবারো ধন্যবাদ । আমাকে বায়ো এথিক্স পড়তে বলে কষ্ট দিবেন না প্লিজ । =p~ =p~ =p~
আমার এগুলি বিষয়ে কন ধরানা নাই । সামান্য ক্ষুদ্র এক সাবজেক্ট সেটার পোস্ট গ্রেজুয়েশনের জন্য পড়তে পড়তে মারা যাব মনে হয় ।

আমার ইউস , এইসব পড়ালেখা আমার একদিন শেষ হবে আমি শান্তি মত ব্লগ পড়বো আর বাংলায় কুরান আর হাদিস পড়বো । :) :) :)

৩৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

সাাজ্জাাদ বলেছেন: এক কথায় অসাধারন। আমাদের ইসলাম যে এত সুন্দর, নিয়ন্ত্রিত এবং আধুনিক তা আপনার পোস্টে সুন্দর ভাবে উঠে এসেছে।

যে কয়টি ব্যাপার আপনি তুলে ধরেছেন ঠিক সেই ব্যাপার গুলোতেই অধিকাংশ মানুষ মিসগাইড হয়।

২২ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

না পারভীন বলেছেন: আমি গ্রামে থাকাকালীন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ফ্রিকুয়েন্টলি দিতে হত । শহরের রোগীরা তুলনা মুলক ভাবে জ্ঞানী ।

ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই ।

৩৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৯

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমেরিকায় মেডিকাল স্টুডেন্টদের জন্য বায়ো এথিক্স ম্যান্ডাটোরি। তাই ভেবেছিলাম আপনিও হয়ত পড়েছেন।

ওকে।

২২ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

না পারভীন বলেছেন: আচ্ছা , পড়ার আগ্রহ পাচ্ছি । আপনার কাছ থেকে পরবর্তিতে সাজেশন নিব স্বর্ণা মনি ।
মেডিকেল এথিক্স বাংলাদেশে পড়তে হয় , ফরেন সিক সাবজেক্ট এর সাথে ৩য় ও ৪র্থ বর্ষে ।

৩৫| ১৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:৩৮

জাফরুল মবীন বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম আপা।শুক্রবার সকালে আপনার এ পোষ্টটা পড়ে আপনার কর্ম,জ্ঞান,ধার্মিকতা ও রোগীদের প্রতি মমত্ববোধ দেখে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা সহস্রগুণ বেড়ে গেল।ইমাম গাজ্জালির কথাটার একটা প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলাম “আমি বিস্মিত হই বার বার !কেনো একজন ডাক্তার ওলী হয়না আল্লাহর”। আপনার পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।আল্লাহ আপনার উপর তাঁর খাস রহমত নাযিল করুন-আমীন।

১৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৪৬

না পারভীন বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম মবীন ভাই। আপনার কথা শুনে আমি লজ্জিত তবে এ এ কথা সত্য আমার পেসেন্ট কমপ্লায়েন্স খুব ভাল। আমি অদের জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করি আর তারা তা বুঝতে পারে। আরো ভালবাসা, ভালবাসা হয়ে ফিরে আসে। প্রচুর কৃতজ্ঞ থাকে। কিন্তু দেখেন, সাংবাদিক দের অত্যাচারে ডাক্তার রা সবাই আজ ভিলেন

অনেক কথা বলে ফেল্লাম, আত্মপ্রশংসা মূলক। কিছু মনে করবেন না। আপনি ভাল থাকুন। আপনার লেখা ভাল লাগে।

৩৬| ১৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪২

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: আপা, সাংবাদিকদের সাম্প্রতিক কাজেকর্মে আর তাদেরকে সবার সাপোর্টের কারণে ধৈর্য হারিয়ে ফেললাম। আপনার লেখা পড়ে মনে হলো, ধৈর্য্য হারানোটাই বোকামি।

সাংবাদিকদের উপর ক্ষোভ থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের উপর তো ক্ষোভ নেই আমাদের। হয়ত মাঝে মাঝে অভিমান হয়। যাই হোক, সামনে পরীক্ষা। দোয়া করবেন। পরীক্ষা শেষে লিখব। খুব সম্ভব শিরোনাম হবে ইয়েলো জার্নালিজম বনাম চিকিতসক। :)

১৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪

না পারভীন বলেছেন: ভাইয়া আমাদের রোগীদের আমাদের উপর রাগ নাই। যত রাগ সাংবাদিকের। রোগীদের বুঝিয়ে বললেই বুঝে
আমিও খুব হতাশায় ছিলাম। সাংবাদিকের ১৪ গুষ্ঠি উদ্ধার করে পোস্ট দিয়েছি।

তবে আমাদের ডাক্তার দের অনেক সমস্যা জমে গেছে। এখন সময় জেগে উঠার। এই যে আমারো পার্ট ২ পরীক্ষা, কত বার দেয়ার ধইর্য থাকে।
সিনিয়র ডা: রা জুনিয়র দের জন্য যে সমস্যা তইরী করে রেখেছেন এ থেকে কে আমাদের বের করবে।

৩৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮

শারমিন রাবেয়া বলেছেন: অনেক অনেক সুন্দর লেখা আপু। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

বেশ উপকারী এই লেখাটি, আশা করি সামনে এরকম ভালো ভালো উপকারী আরো অনেক কিছু জানতে পারবো :)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৪

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ শারমিন । স্বাগতম আমার ব্লগে ।

৩৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: ব্লগে ঘুরতে ঘুরতে আসলাম আপনার ব্লগে । গত রোজায় আপনার লেখা প্রথম পড়ি তার পর থেকে প্রায় সবগুরো পোষ্ট পড়া হয়েছে কিন্তু আগের গুলো আর চোখ বুরানো হয়নি।


সুন্দর পোষ্ট, ভাল থাকবেন।

৩৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
হাত ব্যাথা আআআ :|

৪০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে যাচ্ছি । ঐ ধরণের আরও অনেক অনেক লেখা দরকার । তআতে যদি সমাজের অন্ধকার একটু দূর হয়। অশেষ ধন্যবাদ আপু।

৪১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারণ ! অসাধারণ ! !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.