নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ডা: নার্গিস পারভীন। বর্তমানে সরকারের স্বাস্থ্য সৈনিক। আমি ডাক্তারি ছাড়া আর কিছু পারি না।

না পারভীন

©ডাঃ নার্গিস পারভীন [email protected]স্বল্প, মাঝারি মাত্রার সংবেদন শীল মৌলিক লেখা I শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। পূর্বঅনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা ।

না পারভীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুরা আবু লাহাব- কঠোর শাস্তির আড়ালে লুকানো বেদনা গুলো

০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪



অনেক বছর আগের কথা । সূর্যের খরতাপে ক্লান্ত মরু প্রান্তর ঘেরা মক্কা নগরী । লোকালয়ের বাগানের খেজুর গরমে লাল হয়ে উঠছে । বাতাসে পাকা খেজুরের মিষ্টি গন্ধ ।

আব্দুল উযযার সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে তার দুই ছেলে উতবা আর উতাইবা

“বউ দের তালাক দিবে কিনা বল ? “

মক্কার অন্যতম ধনী প্রভাবশালী আবদুল উযযার ফর্সা মুখ রাগে গনগনে আগুনের মত হয়ে গেছে রাগে । অল্পতেই তার চেহারা এমন হয়ে যায় । লোকে তার নাম দিয়েছে আগুন বরণ মুখ বা আবু লাহাব ।

আবু লাহাব বললো , এই তোমরা মাথা নিচু করে থেকো না , কথার জবাব দাও ।



আবু লাহাবের অত্যন্ত রূপবতী স্ত্রী উম্মে জামিল ও উপস্থিত আছে এই পারিবারিক সভায় । সে অভিজাত বংশীয় নারী । হারব বিন উমাইয়ার কন্যা । আবু সুফিয়ানের বোন । তার একটা ভাল নাম ছিল “ আরদা “ কিন্তু বিখ্যাত সৌন্দর্যের কারণে তাকে উম্মে জামিল বলে সবাই । মক্কার কুরাইশ বংশীয় নারীদের মধ্যে আছে তার বিশাল আধিপত্য । তার গলার অত্যন্ত মূল্যবান সোনার হারের উজ্জ্বলতা তার আভিজাত্য ঘোষণা করছে । আবু লাহাবের যোগ্য স্ত্রী সে । উম্মে জামিল ছেলের বউদের এ সংসারে আর এলাউ করতে পারছেন না ।



তাঁর ছেলেদের বউ এর নাম রুকাইয়া ও কুলসুম । তারা মোহাম্মাদ ( সাঃ ) এর আদরের দুই কন্যা ।



কাউকে চূড়ান্ত আঘাত করতে চাইলে তার আদরের সন্তানদের আঘাত করতে হয় । এটা অতি সাধারণ হিসেব । সদ্য তালাকপ্রাপ্তা দুই কন্যার কান্না মোহাম্মদের ( সাঃ ) বুকে কতটা শেল হয়ে বিঁধবে এটা ভাবতেও উম্মে জামিলের মনটা নিষ্ঠুর আনন্দে ভরে যাচ্ছে ।



কিন্তু উতবা কেন রাজি হতে পারছেনা । দীর্ঘদিনের দাম্পত্যজীবনের সুখ দুঃখের ছবি তার মনে এসে আছড়ে পড়েছে । আমৃত্যু যে বাঁধন অটুট রাখবে বলে সে কথা দিয়েছে তার উপর এ কি কঠিন মরু ঝড়ের আঘাত ? তার চোখ ছল ছল করে উঠছে , চোখের জল না হয় দেখানো যায় , অন্তর ভেংগে খান খান হয়ে যাচ্ছে সেটা কিভাবে দেখাবে বাবা মাকে ।





(২) সেই সময়টা



সময়টা ছিল তখন দলাদলি, হানাহানি ও রক্তারক্তির

পৌত্তলিকতার নিকষ কালো অন্ধকারে ম্লান । চারিদিকে অজ্ঞতা , অশ্লীলতা , স্বেচ্ছাচারিতা , কুসংস্কার । এক গোত্রের সাথে আরেক গোত্রের মারামারি , কাটাকাটি । মানুষেরা ছিল হয় মনিব না হয় দাস ।

আল্লাহকে ভুলে গিয়ে প্রায় সকলেই মূর্তিপূজা করতো । পবিত্র কাবা শরীফে ছিল ৩৬০ টি মূর্তি । এমন কি হযরত ইব্রাহীম আর ইসমাইল ( আঃ ) ছবিও টাঙ্গানো ছিল । সেই ছবি তে ভাগ্য নির্ণয়ের জন্য তীর ছোঁড়া হত । মানুষ দেবতাকে খুশি করার জন্য কুরবানি দিত , মানত করতো । ভাবা যায় কি পুরুষ ও মহিলারা উলঙ্গ অবস্থায় কাবা শরীফ তওয়াফ করতো ।



অভিজাত শ্রেণীর পুরুষ আর মহিলাদের মর্যাদা ছিল সমাজে । কিন্তু বাকি সব মহিলার অবস্থা ছিল ভয়াবহ । নারী পুরুষের সম্পর্ক তলোয়ারের ধার আর বল্লমের ফলা দিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করতো । অসংখ্য স্ত্রী ছিল সকলের । একসাথে দুবোনকে বিয়ে করা যেত । বাবা তালাক দিয়ে দিলে সৎ মা কে বিয়ে করতে পারতো ।অবাধ যৌনসংসর্গ ছিল প্রতিষ্ঠিত ।



তখন স্বাধীন নারীর তুলনায় দাসী দের অবস্থা ছিল ভয়াবহ । কন্যা শিশু দের দেয়া হত জীবন্ত কবর । সমাজের লোকলজ্জা , নিন্দা , তাদের জন্য টাকা খরচ হয়ে যাবার ভয়ে তাদের কে হত্যা করতে দ্বিধা বোধ করতোনা। অসত্য ও অন্যায়ের কাছে সত্য ও ন্যায় ছিল পর্যুদস্ত ।

এখানে এতিম দের কোন ঠাঁই নাই

আখিরাতের কোন ভয় নাই

শিরক আর কুফরিতে ঢেকে গেছে সব ।



এসময় বিশ্ব জগতের রহমত নবুওয়াতের আলোক ধারায় স্নাত হলো হেরা গুহা । নবুওয়ত লাভ করেন মহানবী (সাঃ ) । রহমত স্বরূপ কোরআন নাজিল হয় । মানুষ কে ফিরিয়ে নিতে একেশ্বরবাদের দিকে ।



আল্লাহর নির্দেশে নবীজী ( সাঃ ) ইসলাম প্রচার শুরু করেন ।দীর্ঘ ২৩ বছরে অল্প অল্প করে নাযিল হয় আল কুরআন । আস্তে আস্তে অল্প অল্প করে এসব অমানবিকতা সমাজ তুলে দেয়ার জন্য নির্দেশ আসতে থাকে । বহু বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে । কিন্তু কিছু কিছু আঘাত আছে যা শরীর থেকে মনেই আঘাত করে বেশি । তেমনি এক সম্পর্ক আবু লাহাবের সাথে নবীজী (সাঃ ) এর ।



(৩) চাচা ভাতিজার সম্পর্ক -







ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে গিয়েই মোহাম্মদ (সাঃ ) এর সাথে আবু লাহাবের সম্পর্কের অবনতি ঘটে । আইয়ামে জাহেলিয়াত বলা হয় যে সময়ের বর্ণনা দিতে গেলে তখন নিজেদের গোত্র কে রক্ষা করার একটাই উপায় ছিল সেটা হল, নিজের গোত্রের প্রতি একনিষ্ঠ ভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়া ।সহোদর ভাই , চাচাতো ভাই , গোষ্ঠী ও গোত্রের লোকজন অত্যন্ত শক্ত মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল । আত্মীয়তার বন্ধন ছিল বেশ দৃঢ় । তা না হলে কারো বেঁচে থাকার আর কোন উপায় নাই । গোত্রের মান মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করতে কোন দ্বিধা বোধ ছিলনা । সাম্প্রদায়িকতা আর আত্মীয়তা ছিল গোত্রের নিয়ম শৃঙ্খলার উৎস । নিয়ম ছিল ,

“ নিজ ভাইকে সাহায্য কর সে অত্যাচারিত হোক বা অত্যাচারী হোক । “



নবীজীর চাচা হলেন আবু লাহাব । আবু লাহাবের সাথে নবীজীর সুসম্পর্ক ছিল বরাবরই । । পিতৃহীন এই এতিম কে আবু লাহাব অত্যন্ত স্নেহ করতো । মোহাম্মদের (সাঃ ) জন্মের সময় খুশিতে সে ক্রীতদাসীকে আজাদ করে দিয়ে ছিল । সে ক্রীত দাসীর নাম সুয়াইবা ।কারণ সুয়াইবা র বুকের দুধ মহানবী (সাঃ ) প্রথম পান করেছিলেন । আবু লাহাবের এ কৃতদাসী মহানবী( সাঃ ) প্রথম দুধ মা হবার সম্মানে কৃতজ্ঞ চিত্তে খুশি মনে আবু লাহাব তাঁকে মুক্তি দেন । আত্মীয়তার সম্পর্ক আরো মজবুত করতে রোকাইয়া আর কুলসুম কে আবু লাহাবের দুই পুত্র উতবা আর উতাইবার বউ করে নিয়ে এসেছিল ।কিন্তু ইসলাম প্রচার কে আবু লাহাব কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি । প্রথমে হালকা প্রতিবাদ এর পর একরোখা জিদ দিয়ে ইসলামের আর নবীজীর শত্রুতে পরিনত হয়েছে ।

***

যখন নবুওয়তের গুরু দায়িত্ব নিয়ে ধীর যাত্রা শুরু হয়েছিল মহানবীর ( সাঃ ) , নিজের আত্মীয় দের কাছে ইসলামের আলো বিতরণের নির্দেশ ছিল মহান আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে । প্রকাশ্যে দাওয়াতের প্রথম সম্মেলন মহানবী (সাঃ ) ডাকলেন তাঁর বাড়িতেই । নবীজী একদিন তার চাচা , চাচাতো ভাই এরকম ৪০ -৪৫ জন আত্মীয়কে দাওয়াত করলেন ।খাওয়াদাওয়ার পর ইসলাম সম্পর্কে সবাই জানাবেন এমন ইচ্ছা ছিল ।

তাঁর গোপন ধর্ম প্রচারের কথা আবু লাহাব ঠিক ই জানতো । তাই সে এ মজলিসের উদ্দেশ্য আগেই ধরতে পেরেছিল । সে নবীজীকে কোন কথা তুলতেই দিল না ।



সে বলল , দেখো মুহাম্মাদ , তোমার মধ্যে কোন অস্থিরতা থাকলে তা বাদ দাও ।তোমার জন্য আমাদের বংশ আরবের সবার শত্রু হয়ে যাচ্ছে । আর আমাদের এমন কোন শক্তি নেই যে আমরা এসবের মোকাবেলা করতে পারবো । তোমার মত এভাবে বংশের ক্ষতি আর কেউ করেনি । তোমার চাচা রা , চাচাতো ভাই এরা এখানে উপস্থিত আছে । সব আত্মীয় স্বজনের উচিত তোমাকে শিকল দিয়ে আটকে রাখা । “



সেদিন আর কথা তোলা গেলনা ।নবীজী (সাঃ ) নীরব রইলেন । এই অপমানে নবীজী বেদনাহত হলেও আশা হত হলেন না । আবার বনু হাসিম গোত্রের সবাই কে ডাকলেন । নবীজী এই গোত্রেরই সন্তান । চাচা আবু তালিব , আবু লাহাব এরা আবার এলেন ।

আজ আবু লাহাবকে কোন সুযোগ না দিয়েই নবীজী ইসলামের দাওয়াত পেশ করলেন ।

আমি আল্লাহর আদেশে কল্যাণের পথে আপনাদের আহ্বান করছি । এই কঠোর পরীক্ষায় কে কে আমার সাথী হবেন ?

মজলিসে কারো মুখে কোন কথা নেই । সত্যের বানী যেন বজ্র কণ্ঠে সবার অন্তরে আছাড়ে গিয়ে পড়লো । বাচাল আবু লাহাব ও পারলো না সে মৌনতা ভেঙ্গে দিতে ।



নীরবতা ভেঙ্গে নবীজীর চাচা আবু তালিবের ছেলে , নবীজীর চাচাতো ভাই আলী বললেন , আমি সাথী হব । আমি সত্য কে গ্রহণ করে নিলাম ।

ঘটনার আকস্মিকতায় আবারো সবাই স্তব্ধ । কিন্তু নিজ গোত্রের বিরোধিতা আবু লাহাব ই করল ।



সে ভাই আবু তালিব কে দু কথা শুনিয়ে দিয়ে বলল , আপনার ভাতিজা মোহাম্মদের কারণে আপানার বাচ্চা ছেলেটা উচ্ছন্নে গেলো । এখন তার কথা শুনেই আপনাকে চলতে হবে ।



(৪ ) সাফা পাহাড়ের পাদদেশে আবু লাহাবের প্রতিক্রিয়া -



নবীজীর আলোর কাফিলায় যোগ দিলেন খাদিজা , আলী , যায়েদ , উম্মে আয়মান , আবু বকর সিদ্দিক , উসমান , জোবায়ের , তালহা , আবু ওবাইদা , আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ ( রাঃ ) প্রমুখ । কিন্তু প্রকাশের জন্য যে আলোর আগমন তার আত্মগোপন আর কত ? বাঁধার পাহাড় ডিঙ্গানো যে পথের ধর্ম তা কি আত্ম প্রকাশ না করে পারে ?

দীর্ঘ ৩ বছর গোপনে নিজের আত্মীয় দের কাছে ইসলাম প্রচারের পর আল্লাহর নির্দেশ এলো আরবের অন্যদের মাঝেও ইসলামের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ।

আরবের একটা নিয়ম ছিল । কোন বিপদের আশংকা করলে বা গুরুত্বপূর্ণ কোন খবর দিতে হলে পাহাড়ের উপর উঠে বিশেষ কতগুলো শব্দ উচ্চারণ করতে হবে । নবীজী (সাঃ ) মক্কাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই পথ অনুসরণ করলেন । সকালে সাফা পাহাড় থেকে ডাক দিলেন “ হে সকাল বেলার বিপদ “ হে সকাল বেলার বিপদ “



এই বিশেষ শব্দ গুলো ভোরের নীরবতা ভেঙ্গে ছড়িয়ে পড়লো মক্কার ঘরে ঘরে । মানুষ সমবেত হল সাফা পাহাড়ে ।

নবীজীর (সঃ ) প্রত্যেক গোত্রের নাম ধরে বলতে লাগলেন , হে কোরাইশ বংশীয়রা , আজ যদি আমি তোমাদের বলি পাহাড়ের অপর পাশে প্রবল এক শত্রু বাহিনী তোমাদের সব লুটে নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে , তাহলে কি তোমরা আমার কথা বিশ্বাস করবে?



বিনয় , নম্র আচরন , সত্যবাদীতা , সহনশীলতা , আমানতদারীর জন্য যার নাম তারা নিজেরাই আল আমিন দিয়েছে ,শুধু বন্ধু নয় , শত্রুরাও যাকে পরম শ্রদ্ধা করতো, তাঁর কথা তারা অবশ্যই বিশ্বাস করবে ।

এ কথা শুনে নবী বললেন , তাহলে শুন , তোমাদের জন্য অবশ্যই কঠিন বিপদ আসছে পাপ আর খোদা দ্রোহিতার জন্য । আমি উপদেশ নিয়ে এসেছি আল্লাহর পক্ষ থেকে , তোমাদের মঙ্গল হবেনা যখন না তোমরা ‘ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ না বল । “

“ আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই “





যুগ যুগান্তরের নীরবতা ভেঙ্গে ইথারের কণায় কণায় কাঁপন জাগিয়ে ছড়িয়ে পড়লো চারিদিকে । নবীজীর ভরাট কণ্ঠের এ আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হল পাহাড় থেকে পাহাড়ে । পৃথিবী ব্যাপী জাহেলিয়াতের জমাট অন্ধকারের এ আলোর বিস্ফোরণে সাফা পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে মক্কা বাসী ছিল নীরব নিস্পন্দ ।



নীরবতা ভেঙ্গে প্রতিক্রিয়ার কণ্ঠ জাগ্রত হল । কেউ কিছু বলার আগেই নবী করিমের আপন চাচা আবু লাহাব বলে উঠলো , “ তোমার সর্বনাশ হোক ! এ কথা বলার জন্যই কি তুমি ডেকেছ ?



তার আপন ভাতিজা , অতি আদরের সন্তান সম মোহাম্মদ কে আঘাত করার জন্য নিষ্ঠুর আবু লাহাব একটা পাথর ও তুলে নিয়েছিলো । অথচ তার আগে কোনদিন ও অবিশ্বাস করেনি ।বরং সেও আল আমীন “ বা বিশ্বাসী বলে ডাকতো । নাজিল হয় সুরা আবু লাহাবের আয়াত ,

আবু লাহাবের হাত দুটি ধ্বংস হোক ১১১:১



(৫ ) সুরা আবু লাহাব আর উম্মে জামিল -

কিন্তু এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে । সামনে পড়ে আছে আরো অত্যাচারের ক্লান্ত ক্লিষ্ট হয়ে যাবার দিন । মহানবীকে তাই সেন্সিটাইজ করার দরকার মনে করেছেন আল্লাহ । এই আবু লাহাব পরিবার আরো অত্যাচার করবে , যাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যাবে । আর আল্লাহ ও জানেন এত কাছের আত্মীয় হওয়াতে তাদের অত্যাচারে নবীজী শরীরে আঘাতের চেয়ে মনেই বেশি আঘাত পাবেন । নাজিল হয় সুরা আবু লাহাব । যেটা ছিল ভবিষ্যৎ বানী ।



আবু লাহাবের স্ত্রী উম্মে জমিল কিন্তু ছিল একজন কবি । হযরত আবু বকরের মেয়ে অসমা ( রা: ) বর্ণনা করেন , এ সুরা নাজিল হবার খবর উম্মে জামিলের কানে আসা মাত্র ই রেগে আগুন হয়ে যায় । (এইটা কিন্তু স্বাভাবিক :P )

"আজ দেখে নিব মোহাম্মদ ( সাঃ ) আর তার দ্বীনকে" , এটা বলে সে গালাগালি সম্বলিত কবিতা আওড়াতে আওড়াতে কাবার দিকে ছুটে যায় । আর হাতে তুলে নেয় কয়েকটি পাথর ।



কাবা শরীফে তখন নবীজী আবু বকরের সাথে বসে ছিলেন । আবু বকরের প্রথম নজরে পড়ে যে উম্মে জামিল আসছে রেগে মেগে । আবু বকর নবীজীকে বললেন , হে আল্লাহর রাসুল । দেখুন উম্মে জামিল আসছে । না জানি আজ সে আপনার সাথে কি অভদ্র আচরণ করে ।

নবীজী বললেন , সে আমাকে দেখতে পাবে না ।

তা-ই হল , রাগে অন্ধ উম্মে জামিল নবীজীকে দেখতে পেলনা । নবীজীকে দেখার ক্ষেত্রে আল্লাহ তার দৃষ্টিশক্তিকে সীমিত করে দেন । আবু বকরকে সামনে পেয়ে বলল , শুনলাম তোমার সাথী আমার নিন্দা করেছে ?

আবু বকর ভেবে দেখলেন , নবীজী (সাঃ ) তো আসলে নিন্দা করেন নি । নিন্দা যদি করতেই হয় সে আল্লাহ করেছেন । নবীজীর (সাঃ ) দোষ কোথায় ?

আবু বকর তাই জবাব দিলেন , এ ঘর এর কসম , তিনি তো তোমার কোন নিন্দা করেন নি ।

এ কথা শুনে উম্মে জামিল বলল , তার সাথে দেখা হলে আজ তার খবর ছিল । এই পাথর গুলো ছঁড়ে মারতাম । জানতো আমি যে একজন কবি ।



তারপর সে কবিতা আওড়াতে আওড়াতে ফিরে গিয়েছিলো ।

আমরা তার নির্দেশ অমান্য করেছি

তার দ্বীনকে ঘৃণা আর অবজ্ঞা করে ছুঁড়ে ফেলেছি ।




কি কবিতারে :P



(৬ ) সংশয়বাদী আবু লাহাব -



ইসলামের শত্রু বলেই আবু লাহাবের সতর্ক দৃষ্টি পড়ে থাকে ভাতিজার দিকে ।

নবীজী প্রচার করেন শান্তির ধর্ম । প্রচার করেন মানবতা । তার মনও চায় অনেক তপ্ততার পরে শান্তির ছোঁয়া । এতিমদের নিয়ে ইসলাম বলে ,

আখিরাতের পুরষ্কার ও শাস্তিকে মিথ্যা বলেছে যে । সে-ই এতিম কে ধাক্কা দেয় এবং মিসকিনকে খাবার দেয়না , ( সুরা মাউন )



ধনীদের ধনে আছে গরীবের অধিকার । এটাকা শুধু গুনে গুনে রেখে দেয়ার জন্য নয় । গরীবদের ধিক্কার আর নিন্দা করা যাবেনা ।



ধ্বংস এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে লোকদের ধিক্কার দেয় ও নিন্দা করতে অভ্যস্ত । যে অর্থ জমায় ও গুনে গুনে রাখে । সে মনে করে তার অর্থ সম্পদ চিরকাল থাকবে । ( সূরা হুমাযাহ )



ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা আর মেয়ে শিশুদের জ্যান্ত মাটিতে পুঁতে ফেলবে না । কারণ আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ এসেছে

যখন সূর্য প্রভা হারাবে , তারা গুলো এদিক সেদিক বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে ।পর্বত গুলো সরে যাবে , দশমাসের গর্ভবতী উট উপেক্ষিত হবে , বন্য পশুরাও একত্রিত হবে , সমুদ্র জ্বলতে থাকবে আর যখন প্রাণ কে শরীরের সাথে জুড়ে দেয়া হবে তখন জীবন্ত সমাধিস্থ কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে , কি অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিলো ? ( সুরা তাকবীর )





আবু লাহাব ও হয়তো বুঝতে পারে সমাজে এগুলি দূর হয়ে গেলে মন্দ হয় না । কিন্তু আভিজাত্যের অহংকার তার বুকে বাজে । মোহাম্মাদ তার চাচার সম্মানের দিকে খেয়াল রাখতে পারতো । সে এমন ধর্ম প্রচার করতে পারতো যেখানে কুরাইশদের মধ্যে আবু লাহাবের মান মর্যাদা , প্রভাব প্রতিপত্তি আরো বাড়ে ।

আবু লাহাব নবী করিম ( সাঃ ) কে একদিন জিজ্ঞাসা করলো , আমি যদি তোমার প্রচারিত দ্বীন কবুল করি তাহলে আমি কি পাব ? উত্তরে নবীজী (সাঃ ) বলেছিলেন , সব ইমানদার লোক যা পাবে , আপনিও তাই পাবেন ।

সে বললো , বাড়তি কোন সম্মান , বাড়তি কোন মর্যাদা আমার জন্য থাকবেনা ?

নবীজী বললেন , আপনি আর কি চান ?

আবু লাহাব চরম ক্ষেপে গিয়ে গিয়েছিলো। সে বুঝে নিয়েছিলো দুনিয়াদারীর টাকা পয়সা মান ইজ্জতের সাথে ইসলাম যায়না । সে রকম হলে এটা আবু লাহাবের স্বার্থ পরিপন্থী হয়ে যায় । ইসলামে মোমিন হলেই সেটা ধনী আর দরিদ্র দিয়ে মান মর্যাদা নির্ধারিত হয়না । এক কাতারে দাঁড়িয়ে তারা প্রার্থনা করে ।, আবু লাহাবের মত ধনী মক্কায় আর মাত্র চার জন । আর ইসলাম মিশিয়ে দিবে তাকে এতিম , মিসকিনদের সাথে ।

“ তোমার দ্বীনের সর্বনাশ হোক , যাতে আমি অন্য লোকের সমান হয়ে যাব । (ইবনে জরীর )





মাঝে মাঝে সে সংশয়ে পড়ে বলতো , মোহাম্মদের ধর্ম সত্য হতে পারে । তাহলে তো আমার অন্যায়ের জন্য আমাকে শাস্তি দিবেন আল্লাহ । আমি আমার এত ধন সম্পদ থেকে কিছুটা আল্লাহ কে দিয়ে মাফ চেয়ে নিবো না হয় ।



আহারে বোকা আবু লাহাব :| আবু লাহাব মানুষিক ভাবে বিকারগ্রস্তের মত ইসলামের ক্ষতি করেছে । যদি ফয়সালা তার অনুকূলে হতো তাহলে সে কি করতো ? এ ধরনের লোক নিয়ে সুরা নূরের ৫০-৫১ আয়াতে আছে , " আর যদি ফয়সালা তাদের অনুকূলে হত তাহলে তারা বিনীত ভাবে ছুটে আসে । তাদের মনে কি কোন ব্যাধি আছে ? নাকি তারা সংশয়বাদী ? তারা কি এ ভয় করে আল্লাহ ও তার রসুল তাদের উপরে জুলুম করবে ? তার নিজেরাইতো জালিম ।



(৭) পুরষ্কারের লোভ অথবা মধ্যপন্থা





বাপ দাদাদের মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম কথা তুলেছে বলে মক্কার লোকেরা নবীজীর উপর অত্যন্ত বিরক্ত হল । তারা এটাকে নিজেদের ধর্মের অবমাননানা বলে ধরে নিল । তারা বলতে লাগল মুহাম্মদ ( সাঃ ) যতদিন যুবক ছিল ততদিন সবার প্রিয় পাত্র ছিল । সবচেয়ে সত্যবাদী আর বিশ্বাসী ছিল । আর যখন তার মাথার চুল সাদা হতে শুরু করেছে সে পাগলের মত কথা বলছে । “ তারা আরো বলে এ কেমন রাসুল যে খাবার খায় , হাটে বাজারে চলাফেরা করে , তার কাছে ফেরেশতা আসেনা কেন , তার জন্য একটা বাগান আসেনা কেন ,যা থেকে সে আহার করতে পারে । যালিমরা বলে তোমরাতো যাদুগ্রস্থ লোকের অনুসরন করছো । ( সুরা আলফুরকান ২৫/৭ )

কুরাইশদের দূত গেলো নবীজীর কাছে , আবার নবীজীকে নিয়ে একসাথে তারা মিটিং ও করলো “ দেখো বাবা তুমি তো আমাদের পর নও , কিন্তু তুমি আমাদের বাপ দাদাদের মূর্তি পূজার ধর্ম বাদ দিয়ে এসব কি প্রচার করছো ? বল তুমি কি চাও ? যা চাও তাই দেব । সোনা দানা , টাকা পয়সা সব । নাকি নেতা হতে চাও? যাও নেতা হিসেবেও মেনে নেব । তবুও ইসলাম প্রচার বন্ধ কর । “

নবীজী বললেন দুদিনের দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী মোহে তিনি চির সত্য ইসলাম প্রচার থেকে বিরত হবেন না । কিছু লোক সমযোতার প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল । এমন কিছু কি করা যায় না যাতে দেবদেবীর পূজা বন্ধ না হয় । মোহাম্মদের ধর্মের কিছু কিছু অংশ বাদ দিয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করলে ও তো হয় ।

কুরআনের আয়াত নাযিল হয় ,

বলে দাও , হে কাফেররা ! আমি তোমাদের ইবাদত করিনা যাদের ইবাদত তোমরা কর । আর না তোমরা তার ইবাদত করো যার ইবাদত আমি করি । ( সুরা আল কাফিরুন )



কুরাইশরাও বললো , “ আমরাও তোমাকে দেখে নেবো । “ ভাতিজার এই এক রোখা আচরণে খুব বিরক্ত হল আবু লাহাব । আমাদের কথা যেহেতু শুনবেই না আজ থেকে তোমার সাথে সব সম্পর্ক শেষ ।



(৮ ) নবীজীর পুত্রশোকে আবু লহাবের উল্লাস -



নবীজীর পুত্র কাশিম এর মৃত্যুর পর তাঁর ২য় পুত্র আব্দুল্লাহও মারা যান । নবীজীর শোক মুগ্ধ করে আবু লাহাব কে । মনে সে বিপুল আনন্দ ও প্রশান্তি লাভ করে । এই উৎসব মুখর খবর টি সে কুরাইশ সর্দারদের মাঝে , নাও আজ তো মোহাম্মদের (সাঃ) নাম নিশানাও মুছে গেলো দুনিয়া থেকে ।

আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দা মহানবীর পাশে তখনো ছিলেন সান্ত্বনার বানী নিয়ে ।





আল্লাহ বলেন , “ ( হে নবী !) আমি তোমাকে কাউসার দান করেছি । কাজেই তুমি নিজের রবের জন্য নামাজ পড় ও কুরবানি করো । তোমার দুশমন ই শিকড় কাটা নির্বংশ । “ সুরা আল কাউসার ।



মানুষ মোহাম্মাদ ( সাঃ ) কে অনেক রকম দুঃখই সহ্য করতে হয় । এর মধ্যে সন্তান হারানো কি কষ্টের তা অনেকেই অনুধাবন করতে পারবেন । আর একজনের দুঃখ নিয়ে যে উল্লাস করতে পারে তাকে মানুষের পর্যায়ে ফেলা যায় না ।



(৯) সন্তানদের কষ্ট দিয়েই কষ্ট দিতে হবে মোহাম্মদকে -


কোন ভাবেই মোহাম্মদ ( সাঃ ) কে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে তারা আরেক বুদ্ধি বের করলো । আবু লাহাব , উম্মে জামিলের নজর পড়লো রুকাইয়া আর কুলসুম ( রাঃ ) দিকে ।

নিরপরাধ দুই মেয়ের ম্লান মুখই পারবে তাদের বাবাকে এই ধর্ম প্রচার থেকে বিরত রাখতে । আল্লাহর প্রতি ভালবাসা ধুয়ে মুছে দূরে সরে যাবে । উতবা , উতাইবা কে নিয়ে মিটিং বসালো আবু লাহাব আর তার স্ত্রী উম্মে জামিল ।



“বউ দের তালাক দিবে কিনা বল ? “

মনের মধ্যে বয়ে যাওয়া কষ্টের মরু ঝড়কে চেপে রেখে উতবা সাহস করে বললো , " বাবা , আমাদের কি দরকার মোহাম্মদ ( সাঃ ) এর শত্রুদের সাথে হাত মিলানোর ? উনি আপনার ভাতিজা । এই আওয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে নিকট আত্মীয় লোকদের সাথে ভাল আচরণ করা আরবের ঐতিহ্য । বনী হাসিম , বনী মুত্তালিবের লোকদের অনেকেই তো ইসলাম গ্রহণ করেনি অনেকে , তবুও তারা তো মোহাম্মদ (সাঃ ) সমর্থন দিচ্ছে , তার তো বাকী কুরাইশদের সাথে হাত মিলায় নি ।



আবু লাহাব হুংকার দিয়ে বললো , “নীচু লোকেরা মেয়েদের যেমন জ্যান্ত কবর দিয়ে দেয় , আমি কেন তোমাদের কে তাই করলাম না । কুলাঙ্গার ছেলে । তোমাদের বাপের মান ইজ্জত তোমাদের কাছে কিছুই না তাহলে ?

আমি অত কথা শুনতে চাইনা ,তোমাদের সাথে আমার মেলামেশা হারাম হয়ে যাবে যদি তোমরা মোহম্মদ (সা: ) এর মেয়ে দুটোকে তালাক না দাও । তালাক দিবে কিনা বল , হ্যাঁ নাকি না ?

উতাইবা বললো , " হ্যাঁ , বাবা আপনাকে ছোট করা আমি সহ্য করবোনা । মেয়েকে দিয়ে আসার সময় থুথু ছিটিয়ে দিয়ে আসবো আমি ।

উতবা আর কোন কথা বললনা, সে চুপ করে রইলো ।

রোকাইয়া আর কুলসুম দুজনেরই তালাক হয়ে গেলো ।



আর উতাইবা ঠিক বর্বরতার সীমা লঙ্ঘন করে গেলো । নবীজির সামনে এসে থু থু ছিটিয়ে দিল । যদিও নবীজীর গায়ে লাগেনি । কতটা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছিলেন তিনি নিজের এত ঘনিষ্ঠ আত্মীয় দের এ আঘাত পেয়ে ?



তিনি তো একজন মানুষ । ফেরেশতা তো আর নন । তাঁর মনেও দুঃখ বেদনা লাগে । যতটা আঘাত তারা দিতে চেয়েছে ঠিক ততটাই বুকে এসে লাগলো ।তিলে তিলে সুখ দিয়ে সাজিয়ে তোলা সংসার ভেংগে যাওয়ায় কন্যাদের চোখ অশ্রুসজল । নিজের আদরের কন্যাদের উপর এ নিষ্ঠুর আঘাত , পিতা হয়ে এটা সহ্য করা অনেক বেদনা দায়ক । একই সাথে দুই মেয়ের কান্না , নবীজীর মন বিদীর্ন করে দেয় । তার উপর উতাইবার এ বেয়াদবী , নবিজীর সহ্যের সীমা ভেদ করে চলে যায় ।

অত্যন্ত বেদনা হত হয়ে নবীজীর বদ দোয়া বেরিয়ে এলো । “ হে আল্লাহ ! তোমার কুকুরদের থেকে একটি কুকুরকে এর ব্যবস্থা নিতে পাঠাও ।“



(১০) উম্মে জামিলের সাধ্যাতীত শত্রুতা -





উম্মে জামিল ছিল একজন প্রতিহিংসা পরায়ণা নারী । নবীজীকে (সাঃ ) সে নানা ভাবে কষ্ট দিত । অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করতো । কটুক্তি করতো , মিথ্যা অপবাদ দিত ।

মোহাম্মদের প্রতি বিন্দু মাত্র মমতা যেন আবু লাহাবের মনে কাজ না করে সে জন্য যতটা কুটনামী করা লাগে করেছে । ক্রমাগত কুটনামী করে করে রোকাইয়া , কুলসুম আর মোহাম্মদের প্রতি মন বিষিয়ে দিতে তার ভূমিকা অগ্রগন্য । রোকাইয়া ও কুলসুম (রাঃ ) এর ঘর ভেংগে দিয়েছে । প্রিয় দুই কন্যার অপমান পিতার মনকে ভেংগে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ।

শুধু কি তাই ?

সামান্য দেয়ালের ওপাশেই মোহাম্মদ পরিবারের রান্না ঘর । রান্না প্রায় হয়ে এলে উম্মে জামিল রান্নায় বালি ছুঁড়ে দেন নির্বিকার ভাবে ।

সে আর অন্যান্য প্রতিবেশী মিলে মোহাম্মদ ( সাঃ )নামাজে দাঁড়ালে ময়লা নাড়িভুঁড়ি , গোবর , মলমূত্র ছুঁড়ে মারতো । নবীজীর নামাজ পড়ার ধরন তাদের কাছে বেশ হাস্যকর লাগতো । তার উতসাহে পাড়ার ছেলেরা নবীজী সিজদায় গেলে উটের নাড়িভুঁড়ি তার পিঠে চাপিয়ে দিত । আর তাদের এ কাজে নিজেরাই একে অপরের গায়ে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়তো ।



ঘরে থেকে বের হয়ে পা দিলেই মরুর ক্যাকটাসের ধারালো কাঁটা যেন ফুটে যায় উম্মে জামিল পথে বিছিয়ে রাখতো কাঁটা । বড় বড় ধারালো কাঁটা যুক্ত ডাল পালা সে নিজে বহন করে আনতো ।নবীজীকে একটু কষ্ট পেতে দেখলেও তার আত্মা ঠাণ্ডা হয় ।



উম্মে জামিল সবসময় বলতো , লাত ও উযযার কসম আমার এই মহামূল্যবান গলার নেকলেসটি বিক্রি করে দিব যদি মোহাম্মদকে ধ্বংস করার জন্য তোমাদের টাকার ঘাটতি হয় । মুসলমানদের মধ্যে নানা রকমের ফিতনা ফ্যাসাদের অগুন জ্বালিয়ে রাখতো । উস্কানি দিতে দিতে বিভীষিকাময় যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরী করা ছিল তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট ।





আবু লাহাব আর তার স্ত্রী উম্মে জামিলের মধ্যে এত মিল দেখে মনে পড়ে

সুরা নূরে ২৭ নং আয়াত , " আর দুশ্চরিত্র রমণী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য আর সৎ নারীরা উত্তম পুরুষের জন্য । "



মহিলাদের পক্ষে যতটা কুটনামী করা সম্ভব তার সবটাই উম্মে জামিল করেছে । অহংকার তাকে অন্ধ করে দিয়েছে । তার পাপের বোঝা পূর্ণ হয়ে যাবে । তওবা করার মত যতটুকু নিরহংকার হতে হয় তা সে কোন দিন হতে পারেনি । কোনদিন ক্ষমা চায় নি । বরং আবু লাহাবকে ক্রমাগত উস্কানি দিয়ে গেছে । আবু লাহাব তো জাহান্নামের আগুন কে নিজের ঠিকানা করে নিয়েছে । যোগ্য স্ত্রী হিসেবে সেও সেখানে থাকবে । যে সোনার হার তার গলার অহংকার সেখানে থাকবে খেজুর গাছের পাকানো রশি ।

মহিলা বলে মাফ পেয়ে যাবার কোন কারন নাই । মহিলাদের জন্য আলাদা ভাবে কম বা বেশি শাস্তির ব্যবস্থাও নাই ।



“ যারা না জেনে মন্দ কর্মে লিপ্ত হয় তার যদি তওবা করে ও সংশোধিত হয় , তবে নিঃসন্দেহে আপনার প্রতিপালক তাদের জন্য অতীব ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু । “ সূরা নাহল ১২০ ।





পাপের পথ দিয়ে দূরে যেতে যেতে বহু দূর চলে গেলে অন্তরে যদি সিল পড়ে যায় , ফিরে আসার পথ ও কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায় না ।



নিশ্চয় বিপথগামীদের আপনার রব ভালভাবে চেনেন এবং পথপ্রান্তদের ও ভালভাবে জানেন । ( সূরা নাহল ১২৬)





(১১) আবু লাহাবের অভিশপ্ত হাত দুটি ভেঙ্গে যাক











আবু লাহাব সবসময় নবীজীর পিছনে লেগে থাকতো । হজ্জ্বের সময়ে নবীজী বাহিরের মানুষের কাছে ইসলাম প্রচার করতেন । আবু লাহাব ও নিজের সাধ্যমত অপপ্রচার চালাতো । মহানবী হেঁটে হেঁটে প্রচার করছিলেন , " বল আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই । "

কিন্তু স্যান্ডেল ভিজে যাচ্ছে রক্তে । পাথর ছুঁড়ে মারা হচ্ছে তাঁকে । তাও কে মারছে ?? লোকজন হতভম্ব । কে এই লোক ? যে আল আমিন কে এভাবে রক্তাক্ত করে দিচ্ছে । রক্ত এসে পায়ের স্যান্ডেলে জমাট বেঁধে যাচ্ছে । কে এই পাষাণ ?

হায় সুঠাম দেহী সুন্দর এ পুরুষ এ তার ই আপন চাচা । তাঁর ই দাদা জানের আবদুল মুত্তালিবের ছেলে আবু লাহাব ।



ও আবু লাহাব তুমি সমস্ত আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করেছো , সীমা অতিক্রম করে গেছো । কিভাবে তুমি হাত তুলতে পার এই পবিত্র গায়ে ? আমার নবীজীর গায়ে হাত তুলেছে আবু লাহাব ? কি তাঁর অপরাধ ?



ভেঙ্গে যাক তোমার হাত । তুমি ব্যর্থ মনরথ হয়ে ফিরে যাও । নবীজীর আত্মীয়রা আর সাহাবীরা কান্না ধরে রাখতে পারেন না নবীজীর পবিত্র রক্ত দেখে , আঘাত গুলো দেখে ।



নবীজী অনেক মানুষের কাছে অনেক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন । আরো বড় বড় শত্রু তাঁর আছে । কিন্তু নিজের রক্ত আবু লাহাবের বেঈমানিতে আল্লাহর আরসও কেঁপে উঠেছে ।



ভবিষ্যৎ বানী আবু লাহাবের য সেটাই ছিল সান্ত্বনা ।

আবু লাহাবের হাতদুটো ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে । কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে। সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে । এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে । তার গলদেশে খেজুর গাছের রশি নিয়ে। সুরা আবু লাহাব



নবুওয়তের সপ্তম বছরে কুরাইশদের সমস্ত পরিবার মিলে যখন বনি হাশেম ও বনি মুত্তালিবকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে বয়কট করলো ।তারা নিজেরা একটি লিখিত চুক্তি করলো । দলীলে বলা হল , “ ,মক্কার কোন ব্যক্তি বনু হাসিম গোত্রের সাথে আত্মীয়তা করবেনা । তাদের কাছে কোন কিছু ক্রয় বিক্রয় করবেনা । তাদের কাছে খাদ্য প্রেরণ করবেনা । যতদিন না পর্যন্ত বনু হাসিম গোত্র রসুল ( সাঃ ) হত্যার জন্য কুরাইশদের হাতে তুলে না দেয় ততদিন পর্যন্ত চুক্তি বলবত থাকবে । “ কাবার দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয়া হল এই চুক্তি । নবীজীর প্রতি অবিচল সমর্থনের জন্য আবু তালেব গিরিপথে মোহাররম মাসের প্রথম চাঁদ রাতে অন্তরীন হয়ে গিয়েছিলেন মুসলিম রা ।



নিজের পরিবার আর বংশের লোকদের পক্ষে না গিয়ে কাফেরদের পক্ষ নিয়েছিল আবু লাহাব । দীর্ঘ ৩ বছর এ বয়কট অব্যাহত ছিল । অনাহারের ছোবল এ ক্লান্ত বনি হাসিম পরিবার ।

বাহিরের কোন বাণিজ্য কাফেলা এই গিরি পথে এলেও যাতে অন্তরিন লোকেরা খাবার কিনতে না পারে সে জন্য আবু লাহাব শকুনের দৃষ্টি ফেলে রেখেছিল ।



বাহিরের বনিকদের সে পূর্ণ আশ্বাস দিয়ে রেখেছিল , তোমাদের যত টাকা ক্ষতি হোক সে আমি পুষিয়ে দেবো কিন্তু তোমরা ওদের কাছে এত বেশি দাম চাও যাতে ওরা কোন খাবরই কিনতে না পারে ।



নাহ , কিনতে পারতোনা হাশিম আর মুত্তালিব পরিবার । বিরাট ভাবে হাঁকানো দামের কাছে কাছে তাদের চেহারায় শুধু অসহায়ত্বের ফুটে উঠত । শেষে নিজের অনাহারের কষ্ট বুকে পুষে রেখে খালি হাতে পাহাড়ে ফিরে যেতো ক্ষুধা কাতর সন্তান দের কাছে ।



গাছের পাতা পর্যন্ত খেয়ে থাকতে হয়েছে মোমিন দের ।ক্ষুধার্ত শিশুদের কান্না য় উল্লাস করেছিলো কুরাইশরা । সেই সাথে আবু লাহাব ও ।







এই সুরা নাযিল হবার পর ও আরও প্রায় ১০ বছর মুসলমানদের আবু লাহাবের শত্রুতা সহ্য করে যেতে হয় । ১০ বছর দীর্ঘ সময় ।

আবু লাহাবের অত্যাচার সহ্য করার জন্য সুরা আবু লাহাব আর বাকি বিধর্মীদের অত্যাচার সহ্য করার জন্য ও আয়াত নাজিল হয় ।

আর আপনি ধৈর্য ধরুন , আপনার ধৈর্য তো আল্লাহর সংগে । তাদের কারণে দুঃখ পাবেন না এবং তাদের চক্রান্তে মনঃক্ষুন্ন হবেন না ,। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মুত্তাকী ও পুণ্যবানদের সংগে আছেন । ১২৭ , ১২৮ সূরা নাহল।







আবু লাহাব সুরায় আবু লাহাব ও তার স্ত্রীর কথাই বলা আছে । ছেলেদের কথা কিন্তু বলা নাই । কারণ আল্লাহ জানেন শেষ পর্যন্ত কি ঘটবে ।আমরাও ইতিহাস ঘেঁটে তা দেখে নিব ।



(১২ ) হিসাব মিলানোর পালা







কিছুদিন পর ই উতাইবা আবু লাহাবের সাথে সিরিয়া যায় । সেই সফরে তারা রাত কাটানোর জন্য একটি জায়গায় তাঁবু ফেলে । স্থানীয় লোকেরা এই জায়গায় তাঁবু দেখে ছুটে এসে সাবধান করে দিয়ে যায় । তোমরা এখানে খুব সাবধানে থাকবে । এখানে রাতে কিন্তু হিংস্র প্রাণীরা ঘোরা ফেরা করে ।



আবু লাহাবের মন কেঁপে ওঠে । মোহাম্মাদ ( সাঃ ) এর বদদোয়ার কথা তার মনে পড়ে যায় । উতাইবা নবীজীকে থুথু নিক্ষেপ করার পরের বদদোয়া ।

সে কোরাইশের লোকদের আদেশ দেয় উতাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে । ওরা উট দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরির পরিকল্পনা করে ।

উতাইবার তাবুর চারপাশ ঘিরে থাকবে উট । উট গুলো শুয়ে থেকে একটা উটের প্রাচীর তৈরি করবে ।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করে তারা বেশ সন্তুষ্ট হয়ে ঘুমাতে গেলো আর গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে গেল ।

গভীর রাতের বেলা একটি বাঘ উটের দিকে কোন নজর না দিয়ে , উটের বেষ্টনী ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ করে উতাইবা কে ছিন্ন ভিন্ন করে খেয়ে গেলো ।









আসলেই আবু লাহাব যা কিছু উপার্জন করেছে , যা কিছু ব্যয় করেছে ইসলামের ধ্বংসের পেছনে তা সফল হয় নি । সুরা আবু লাহাব নাযিলের ৭ – ৮ বছর পরেই বদরের যুদ্ধে কুরাইশদের বেশির ভাগ বড় বড় সর্দার নিহত হয় । ভেঙ্গে পড়ে আবু লাহাবের মনোবল । ইসলাম বিরোধিতা আর ইসলামের প্রতি শত্রুতায় তারা ছিল আবু লাহাবের সহযোগী ।



তখনো কিন্তু সে ইসলাম গ্রহণ করতে পারতো কিন্তু সে করেনি । এর পর আবু লাহাব আর বেশি দিন বেঁচেছিল না । তার মৃত্যু ও ছিল বড় ভয়াবহ ও শিক্ষণীয় । তার সমস্ত শরীর ভরে যায় সাংঘাতিক ধরনের ফুসকুড়িতে ।

পরিবারের সবাই সংক্রমণের ভয়ে তাকে মৃত্যু শয্যায় রেখেই পালিয়ে যায় । তার মৃত্যুর তিন দিন পর্যন্ত কেউ ধারে কাছে ঘেঁষেনি । লাসে পচন ধরে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে । পচা গন্ধে টিকতে না পেরে সবাই ছেলেদের ধিক্কার দিতে থাকে । শেষে ছেলেরা হাবশী কৃতদাস ভাড়া করে । তারা একটি গর্ত খুঁড়ে দূর থেকে লম্বা লাঠি দিয়ে লাশ গর্তে ফেলে দেয় । আর উপর দিয়ে মাটি চাপা দেয় ।





যে ইসলামের পথ স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য সে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলো তার সন্তানদের ইসলাম গ্রহণের মধ্যে দিয়ে তার চূড়ান্ত বিজয় রচিত হয় ( সবাই বাবা মায়ের মত সাইকো হয়নি )

তাঁর মেয়ে দাররা হিজরত করে মদিনা গিয়ে আগেই ইসলাম গ্রহণ করে ।

আর মক্কা বিজয়ের পর তার দুই ছেলে উতবা আর মুয়াত্তাব হযরত আব্বাস (রাঃ ) এর সাথে রসুল (সা: ) এর সামনে হাজির হন আর ইসলাম গ্রহণ করেন ।



(১৩ ) আত্ম উপলব্ধি





আবু লাহাব ও তার স্ত্রীর পরিণতি দেখে অত্যাচারিত মন খুশি হয়ে উঠতে পারে । কিন্তু আমাদের বেশি খুশি হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা । কুরআনের মাত্র ৫ টি আয়াতে আবু লাহাবের কথা বলা আছে । যারা পূর্ব পুরুষদের ইতিহাস দেখে শিক্ষা নিতে চায় তাদের জন্য আবু লাহাব ও তার স্ত্রীর পরিণতি শুধু একটি উদাহরণ । এরকম আরো উদাহরণ আছে ,

" আর স্মরণ কর আদ, ছামূদ , কূপ বাসী ও তাদের মধ্যবর্তী কালের বহু জনপদের কথা যাদেরকে আমি ধ্বংস করেছি । আমি এদের প্রত্যেকের জন্য দৃষ্টান্ত রাখলাম , তাদের প্রত্যেককে পূর্ণ ধ্বংস করলাম ।( সুরা ফুরকান ৩৯ -৪০)



( ফেরাউনের দলকে ) অন্য দলকে নিমজ্জিত করলাম এতে রয়েছে নিদর্শন । ( সুরা শু আরা ৬৭/ ৬৮ )



নূহ ( আঃ ) এর সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে বলা আছে , অতঃপর আমি তাকে ও তার সঙ্গীদের বোঝাই নৌকায় রক্ষা করলাম । পরে অবশিষ্ট সবাইকে ডুবিয়ে মারলাম । অবশ্যই এতে নিদর্শন আছে । ( সুরা শু আরা ১২০ / ১২১ )


কুরআনে আছে সমস্ত জীবন ব্যবস্থা । আর আদেশ অমান্য কারীদের জন্য ভয়াবহ শাস্তির কথা ও বলা আছে ।





আবু লাহাব ও তার স্ত্রী যে পাপ গুলো করেছে সেগুলি কি আর হয় না ? হয় । আরো বেশিও হয় । কূটচালের কারণে কত সংসার ভেঙ্গে যায় । এখনো প্রতিবেশীরা পরস্পর পরস্পরকে কষ্ট দেয় । গীবত আজকাল জাতীয় সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে । কন্যা শিশুদের দেয়া হত জীবন্ত কবর ( এখন মানুষ এক ধাপ এগিয়ে , আল্ট্রাসনোতে কন্যা শিশু দেখেই এবরশন করিয়ে নেয় , বিশেষত ইন্ডিয়ায় , তখন তো আর আল্ট্রাসনো করার ব্যবস্থা ছিল না , কন্যা শিশু জন্ম গ্রহণ করার পর দেখতো কন্যা হয়েছে , তারপর দিয়ে দিত জীবন্ত কবর )



আর ইসলাম আর তার মূল্যবোধকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে কত আবু লাহাব , কত উম্মে জামিল । সবার জন্য একই শাস্তি । মুমিন নরনারীকে কষ্ট দেয়া , প্রতিবেশিকে কষ্ট দেয়া , আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করা , সব কিছুর জন্য শাস্তি দো্যখের আগুন ।

“ যারা মুমিন পুরুষ আর নারীকে নিপীড়ন করেছে , অতঃপর তওবা করেনি , তাদের জন্য আছে জাহান্নামের শাস্তি ,আর আছে দহন যন্ত্রণা । “ আল বুরুজ ১০

আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্টকারী বেহেসতে প্রবেশ করবেনা ।

প্রতিবেশির হক নষ্ট কারীরা ও বেহেশতে প্রবেশ করবেনা ।





আমাদের আল্লাহ হিদায়াত দান করুক । এই সব পাপ হতে আমাদের দূরে রাখুক ।



হে আল্লাহ আমাদের সরল পথ সিরাতুল মুস্তাকিম দেখিয়ে দাও । তাদের পথ যাদের তুমি অনুগ্রহ করেছো । তাদের পথ নয় যারা অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে । ( সুরা ফাতিহা )





পোস্ট শেষ ।









প্রাণ ঢালা কৃতজ্ঞতা

* সকল প্রশংসা আল্লাহর আর প্রানের চেয়ে প্রিয় নবীজির উপর অসংখ্য দুরুদ আর সালাম । অনিচ্ছা কৃত ভুল আর ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার জন্য ক্ষমাপ্রার্থি ।

* প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদ , তার অসমাপ্ত লেখা নবীজী ( বই লীলাবতীর মৃত্যু ) লেখার ইচ্ছা ছিল বছর তিনেক ধরে । কিন্তু বইটি হাতে পাওয়ার পর কিবোর্ড নিয়ে বসা । আল্লাহ তাঁকে বেহেসতে নসীব করুন ।

* আবুল আসাদ - বই আমরা সেই সে জাতি -২ ( ভাষা মাধুর্যে মুগ্ধ । অনেক লাইন সরাসরি ধার করা হয়েছে )

*আর রাহিকুল মাকতুম বা মোহরাঙ্কিত জান্নাতী সুধা ( পুরস্কারপ্রাপ্ত নবীজীর জীবনী গ্রন্থ)

* ব্লগার তন্দ্রা বিলাস ( তার তাফসির এর পোস্ট টির জন্য )

* তাফসীর ফী যিলযালালিল কুরআন

*শব্দার্থে আল-কুরানুল মজীদ ( দশম খন্ড )

* তাফহীমুল কুরআন ( ১৯ তম খণ্ড )

* ছহীহ নূরানী বঙ্গানুবাদ কুরআন শরীফ ( মিনা বুক হাউজ )

*মেঝ মামা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম

*ছোট বোন নাসিমা পারভীন সুমি

*এবং আরো অনেকের প্রতি

* ছবি গুগল







মন্তব্য ১৭৯ টি রেটিং +৩৪/-০

মন্তব্য (১৭৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

না পারভীন বলেছেন: বিশাল পোস্ট । ছোট করে বলে দিলে আমি নিজেই বুঝতাম না । আবু লাহাব নিয়ে আমার নিজেরই অনেক জিজ্ঞাসা ছিল ।
বিগত আবু লাহাবের পোস্ট গুলোতে অনেক ক্যাচাল বাজের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে । কারো সে রকম ইচ্ছা থাকলে তাদের কে এভোয়েড করা হবে কারণ ক্যাচাল করার সময় নাই ।

০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

না পারভীন বলেছেন: আমি বই মেলায় গেছি লাম এবার। হুমায়ুনের বই কিনবো এমন কোন নিয়ত ছিল না। যদিও আমি হুমায়ুনের কঠিন ফ্যান ছিলাম, হুমায়ুনের বয়স ৫০ পর্যন্ত। আমার বন্ধদেরকে উপহার দেয়ার জন্য হুমায়ুন কিনলাম। তারা মেলায় আসা সম্ভব ছিলনা। তারপর আমি নিজেই পড়তে বস্লাম। নবীজী নামের অসাধারণ এক অসমাপ্ত লেখা পড়ে ফেল্লাম। এটা আমার আবু লাহাব লিখতে বসার ইতিহাস।

হুমায়ুন বলেগেছেন, " যে মহামানব করুণাময়ের বানী আমাদের কাছে নিয়ে এসেছেন, আমি এক অকৃতী তার জীবনী আপনাদের জন্য লেখার বাসনা করছি। সব মানুষের পিতৃ ঋণ মাতৃ ঋণ থাকে। নবীজীর কাছেও আমাদের ঋণ আছে। সেই বিপুলতা ঋণ শোধের অতি অক্ষম চেষ্টা। "

আমার আবার মুগ্ধ হবার ক্ষমতা অসীম। আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সব মন খারাপ দূর হয়ে গেলো। আমি ও হুমায়ুনের জন্য দোয়া করলাম যাতে উনি ক্ষমা পান। বেহেশত পান।

২| ০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:২২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অনেক বড় পোষ্ট। তারপরেও পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার অনেক কষ্টের সংকলিত পোষ্টটি পড়ে অনেকেরই ভালা লাগবে বলে আমার ধারনা। সেই সংগে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

না পারভীন বলেছেন: জ্বী, প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক ভাই

৩| ০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৯

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর। পোস্টে অসং্খ্য ভাল লাগা। +++++++++

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

না পারভীন বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম আপু। আর একরাশ ধন্যবাদ

৪| ০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

হাসান বিন নজরুল বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়তে রইল

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

না পারভীন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নজরুল ভাই।

৫| ০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম| ভাল লাগলো . . .

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১২

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্ন ভাই। আমিও অনেক কিছু জানতাম না।

৬| ০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম| ভাল লাগলো . . .

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

না পারভীন বলেছেন: এবং অনেকেই ভুল জানে তাই ভাবলাম আমি যা জেনেছি তা অন্যদের জানাই। আবারো ধন্যবাদ

৭| ০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

কাকপাখি ২ বলেছেন: উট আর মানুষের ছবিগুলো মুছে দিলে ভাল হয়। এই ছবিগুলো লেখাটার ওজন কমিয়ে দিচ্ছে।

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ কাকাপাখি ভাই। লেখাটা একটা ছোট্ট মনির জন্য লেখা। আর ছবি দেয়া যাবে না ইসলামের এই ব্যাপার যেদিন শিওর হব সেদিন অবশ্যই দিব না।

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

না পারভীন বলেছেন: ইউ টিউবে সুরা আর রাহমান অত্যন্ত সুললিত তেলোয়াত আছে। অনেক মানুষের ছবি ব্যবহার করা আছে। যা র কারনে তেলোয়াত টি অন্তরে ঢুকাতে আরো সহজ হয়।

৮| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

সুজাহায়দার বলেছেন: খুব ভাল হয়েছে, ধারাবাহিকতা আছে, পর্ব করে দিলে আরো বিস্তারিততে যেতে পারতেন

মাইয়্যার ছবিটার কি দরকার ছিল

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ সুজা ভাই। আমার জ্ঞানে এতটুকুই এসেছে। আপনি পরের ধাপ নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন। আর ছবির ব্যপারে উপরে বলেছি।

৯| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

মদন বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ মদন ভাই

১০| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, পুরোটা পড়া আমার দ্বারা হবেনা। তবু ভাল লেগেছে। +++++

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ভাই। পড়া হবে না, কথাটি এমন হলে কেমন হয় ব্যস্ততা কমলে পড়বো??

তবুও উতসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: ওতাইবা ইবনে আবি লাহাব কর্তৃক নবী করীম (সা.) কে কষ্ট প্রদান
কাতাদাহ (রহ.) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেয়ে হযরত উম্মে কুলসুম (রা.) কে ওতাইবা ইবনে আবি লাহাব বিবাহ করে এবং অপর মেয়ে হযরত রুকাইয়্যা (রা.) কে তাহার ভাই ওতবা ইবনে আবি লাহাবের সহিত বিবাহ দেওয়া হইয়াছিল। তাহাদের উভয়ের রুখসতীর পূর্বেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুওয়াত প্রপ্ত হন। তারপর যখন সূরা 'তাব্বাত ইয়াদা' নাযিল হইল তখন আবু লাহাব তাহার পুত্রদ্বয় ওতবা ও ওতাইবাকে বলিল, আমার সহিত তোমাদের কোন সম্পর্ক থাকিবে না যদি তোমরা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মেয়েদেরকে তালাক প্রদান না কর। তাহাদের মা- বিনতে হারব ইবনে উমাইয়া যাহাকে কোরআন শরীফে হাম্মালাতাল হাতাব (অর্থাৎ খড়িবাহক) বলা হয়েছে সেও পুত্রদ্বয়কে বলিল, হে আমার ছেলেরা, তোমরা উহাদিগকে তালাক দিয়া দাও। কারণ তাহারা বেদ্বীন হইয়া গিয়াছে। অতএব তাহারা উভয়কে তালাক দিল। ওতাইবা হযরত উম্মে কুলসুল (রা.) কে তালাক দিবার পর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসিয়া বলিল, আমি তোমার দ্বীনকে অস্বীকার করিলাম এবং তোমার মেয়েকে তালাক দিলাম। তুমিও কখনও আমার নিকট আসিবে না, আর আমিও কখনও তোমার নিকট আসিব না। অত:পর সে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর আক্রমন করিয়া বসিল এবং তাহার গায়ের জামা ছিড়িয়া ফেলিল। সেই সময় ওতাইবা বাণিজ্য উপলক্ষে সিরিয়া যাইবার প্রস্তুতি লইতেছিল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, আমি আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করিতেছি, তিনি যেন আপন সিংহ তোমার উপর লেলাইয়া দেন। ওতাইবা কোরাইশদের এক কাফেলার সহিত রওয়ানা হইল। তাহারা যখন যারকা নামক স্থানে রাত্রি যাপনের জন্য অবতরন করিল, তখন সেই রাত্রে তাহাদের চতুষ্পার্শ্বে একটি সিংহকে ঘোরাফেরা করিতে দেখা গেল। ওতাইবা সিংহের ঘোরাফেরা দেখিয়া বলিতে লাগিল, আমার মায়ের ধ্বংস হউক, খোদার কসম, এই সিংহ আমাকে খাইবে যেমন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলিয়াছেন। ইবনে আবি কাবশা (কাফেরগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই নামে ডাকিত) আমাকে হত্যা করিয়াছে, অথচ তিনি মক্কায় এবং আমি সিরিয়ায়। সকলের মধ্যে হইতে সিংহ তাহার উপর আক্রমন করিল এবং এমনভাবে কামড় বসাইল যে, সে মারা গেল। যুহাইর ইবনে আলা (রহ.) বলেন, হিশাম ইবনে ওরওয়া তাহার পিতা হইতে আমাদের নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, সিংহটি সেই রাত্রে কাফেলার চতুর্দিকে ঘুরিয়া ফিরিয়া চলিয়া গেল। কাফেলার লোকজন ওতাইবাকে তাহাদের মাঝখানে লইয়া ঘুমাইল। তাহাদের ঘুমাইবার পর সিংহ সকলকে ডিঙ্গাইয়া ওতাইবাকে ধরিল এবং তাহার মাথা চাবাইয়া ফেলিল। হযরত ওসমান (রা.) প্রথমে হযরত রুকাইয়া (রা.) কে বিবাহ করিলেন এবং তাহার ইন্তেকালের পর হযরত উম্মে কুলসুম (রা.) কে বিবাহ করিলেন। (তাবারানী)

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪

না পারভীন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। খুব ভাল লাগলো। সত্যি কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম

১২| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাল লাগলো ,সম্পূর্ণ শেষ করে আবার মন্তব্য করব ।

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯

না পারভীন বলেছেন: মসু মনি,

১৩| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাল লাগলো ,সম্পূর্ণ শেষ করে আবার মন্তব্য করব ।

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

না পারভীন বলেছেন: কত টা ভাল হল এখানে বলবা আর খারাপ হলে ফোন করে বলবা

১৪| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: পুরোটা খুব মনোযোগ সহকারে পড়লাম। আপনার বর্ণনার ধরণ অদ্ভুত সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে ঘটনার ক্রম বর্ণনা। আমার অতি প্রিয় একটি বিষয় নবীজীর (সাঃ) এর জীবনী। তিনি ও তাঁর যে সম্মানিত সাহাবী (রাঃ) যে পরিমাণ কস্ট, অত্যাচার সহ্য করেছেন তা পড়ে বহুবার চোখের পানি ঝড়েছে। যাইহোক, আবু লাহাব ও তার স্ত্রী সত্যই ভয়ানক অত্যাচারী ছিলেন। এর প্রতিদান তারা পেয়েছে।

আর একটা কথা, একজন নবাগত মুসলিমের কথা পড়েছিলাম কোন এক পত্রিকায়। তিনি আবু লাহাবের ঘটনা পড়ে মুসলিম হয়েছিলেন। তার ভাষ্য ছিল, আবু লাহাবের মৃত্যুর ১০ বছর আগে সুরা লাহাব নাযিল হয়েছিল। এই ১০ বছরে মধ্যে যদি আবু লাহাব মুসলিম হয়ে যেত তবে পুরো কুরআন তথা ইসলাম মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়ে যেত। আর শত্রুদের হাতে এটা ছিল এক মোক্ষম সুযোগ। শত্রুরা বলে কয়ে আবু লাহাব ও তার পাপাত্বা স্ত্রীকে মুসলিম হওয়ার জন্য প্রেরণা দিতে পারত। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী তা ঘটেনি। এটা ঐ নও মুসলিমের কাছে খুব আশ্চার্যজনক ব্যাপার বলে মনে হয়েছিল। তিনি পরে বলেছিলেন, সত্য বাণী ছাড়া এটা কোনক্রমেই সম্ভবপর ছিল না।

আমাদের চারপাশে এখনো অসংখ্য লাহাব ও উম্মে জামিলের পাপাত্বারা সদলবলে বিচরণ করছে। এর দায়ও যথাসময়ে মেটাতে হবে।

আপনাকে এত সুন্দর একটা লেখা দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মহান রাব্বুল আলামিন সবাইকে হেদায়েত দান করুন। আমিন।

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

না পারভীন বলেছেন: ইছামতি ভাইয়া, আপনার এত সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম

১৫| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫

আমি স্বর্নলতা বলেছেন: খুব ভালো লাগল। অর্ধেক পরেছি। বাকীটা পড়ে পরব। :) :)

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

না পারভীন বলেছেন: বাকিটাও ভাল লাগার সম্ভাবনা অনেক বেশি। :) অনেক ধন্যবাদ স্বর্নলতা আপু

১৬| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

নিসাব বলেছেন: পোস্ট টা ভালো হয়ছে। প্রিয়তে রাখলাম।

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিসাব ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৭| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

উরনচণ্ডী বলেছেন: ধন্যবাদ একটি সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্য। নবীজীর কষ্টের বর্ণনায় চোখে পানি ধরে রাখতে পারিনি। ভবিষ্যতে আরো কিছু সুন্দর লেখা পড়ার আশারাখি।

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ উরনচন্ডি ভাইয়া,
অনেক বেদনালুকানো আছে। সত্যি চোখ ঝাপসা হয়ে এসেছিল, যখন প্রথম জেনেছিলাম। প্রিয় নবীজীর জন্য অনেক সালাম জানাই।

১৮| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ইতিহাসগুলো কিছুটা জানা ছিল সাথে বিশ্লেষণ ভাল লাগল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল এমন একটি পোস্টের জন্য। ভাল থাকুন সব সময়।

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০

না পারভীন বলেছেন: কান্ডারি ভাই, অনেক ধন্যবাদ উতসাহ ব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য।

১৯| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

লিমন আজাদ বলেছেন: অর্ধেক পড়েছি। বাকিটা পড়ব। তার আগে একটা প্রশ্ন, লাহাবের ছেলেরা তো নবী (সাঃ) এর চাচাত ভাই। তাহলে তারা কিভাবে নবীজির মেয়েদের বিয়ে করলো। ভাইয়ের মেয়ে ভাতিজিকে বিয়ে করার বিধান কি ছিল? :||

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ লিমন ভাই

বিবাহ সংক্রান্ত ব্যপার গুলো ছিল হিজিবিজি ধরনের। নবুওয়ত প্রাপ্তির আগে অই বিয়েগুলো হয়।

নবুওয়ত প্রাপ্তির পরে যখন বিবাহ সংক্রান্ত আয়াত গুলো নাযিল হয় তার আগেও নানান এলোমেলো বিয়ে হয়েছিল মুসলিম দের মধ্যে।

২০| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অসাধারন, অসাধারন সুন্দর এক ইতিহাসের সংকলন হয়েছে , আপনার এই পোষ্টের জন্য অনেক দিন অপেক্ষা করতে হল !!
আর ঐ মহিলাটা উম্মে জামিল নন তাই তাকে মাফ করা যায় না ?? :P :P :P

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুদদাকির।


এই ছবিটা পারফেক্ট একটা ছবি। এই আপাকে ধন্যবাদ জানাই।

২১| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮

রওনক বলেছেন: আপনার বর্ণনা সুন্দর হয়েছে। ভাল ১টা পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পোষ্টে +

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ রওনক ভাই। আপনি সুন্দর পয়েন্ট বলেছেন। সুন্দর বর্ননাতেই অনেক কাঠখোট্টা জিনিস ও পড়ে ফেলা যায়।

আল্লাহ আপনার মংগল করুণ।

২২| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

ভেঙে চুরমার বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পুরোটা পড়ে ফেললাম সাথে কমেন্টগুলোও। খুবই ভালো লাগলো। এখনতো তথাকথিত প্রগতিবাদির আড়ালে ইসলাম বিরোধী মনোভাব চরম আকার ধারণ করেছে যা ব্লগগুলো দেখলেই বোঝা যায়। তারপরও, আপনাদের মত অনেকে আছেন যারা ইসলামের সত্যতা/ঘটনাগুলো ব্লগে লিখছেন। অনেক ভালো লাগলো। সাথে আপনার দীর্ঘ আয়ু কামনা করছি।

মহান রাব্বুল আ'লামীন আমাদের সবাইকে হেদায়েত নসীব করুন। আমীন।

০৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে ব্যপারটা হচ্ছে এমন আমার এই বয়সে এসে ইসলামের কিছু কিছু বিষয় অন্তরে অনুধাবন করতে পারছি। তা নিয়েই লেখা। আমি খুব বেশি কিছু জানি না। তবে জানার আগ্রহ আছে।


আপনার মন্তব্য খুব অনুপ্রেরণাদায়ী। অনেক ধন্যবাদ আবারো।

২৩| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪

মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বলেছেন: আস সালামু আঃলাইকুম
পুরোটা পড়িনি। ইনশাআল্লাহ, আবার পড়বো। আপনার Attitude ভালো লেগেছে। ইনশাআল্লাহ, অনেক কথা হবে।

০৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

না পারভীন বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৪| ০৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

রিফাত ২০১০ বলেছেন: “ যারা মুমিন পুরুষ আর নারীকে নিপীড়ন করেছে , অতঃপর তওবা করেনি , তাদের জন্য আছে জাহান্নামের শাস্তি ,আর আছে দহন যন্ত্রণা । “ আল বুরুজ ১০

০৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রিফাত ভাই।

২৫| ০৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

নীল জোসনা বলেছেন: অসাধারন !!!!

অসাধারন !!!!

অসাধারন !!!!

লেখা এবং তুমি দুটোই আপু ।

০৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

না পারভীন বলেছেন: :#> :#> :#> :#>

লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম। বিনীত ধন্যবাদ নীল আপুনি।

২৬| ০৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সকল প্রশংসা আল্লাহর আর প্রানের চেয়ে প্রিয় নবীজির উপর অসংখ্য দুরুদ আর সালাম ।

আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।

এবং আমাদেরকে সহজ সরল পথে চলার তৌফিক দান করুন।

০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৩১

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই। চমতকার মন্তব্য। পোস্ট পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো

২৭| ০৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, খুব সুন্দর বর্ণনা করেছেন । অনেক কিছু জানলাম ।

০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:২৬

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। আপনি কিছু জেনেছেন এই সহজ সরল কথায় আমার অনেক কষ্টে লেখা পোস্ট সার্থকতা পেয়েছে। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২৮| ০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫০

আমি সাদমান সাদিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপু , খুব সাবলীল ভাবে ব্যক্ত করেছেন যতটুকু পড়ছি চমৎকার লেগেছে কিছু জানা ছিল কিছু এই পোস্ট থেকে জানলাম , ভাল কাজ , আশা করি বাকিটুকু পরে পড়তে পারব ।

০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:২৮

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাদমান ভাইয়া। খুব সুন্দর মন্তব্য। কৃতজ্ঞতা রইলো।

২৯| ০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে। আপনার লেখার ধরনের জন্যেই এত বড় পোষ্ট পড়তে কোন বেগ পেতে হয়নি। সুপাঠ্য ও শিক্ষনীয় লেখা। শুভেচ্ছা রইল।

০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

না পারভীন বলেছেন: দেবদূত ভাইয়া!! আপনার মত সুলেখক ব্লগ এর লেখনী দেখেছেন। আপনি সুপাঠ্য বললে কি পরিমাণ ভাল লাগা কাজ করছে তা বুঝাতে পারবোনা।অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো

৩০| ০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১২

নিশাত তাসনিম বলেছেন: শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে। আপনার লেখার ধরনের জন্যেই এত বড় পোষ্ট পড়তে কোন বেগ পেতে হয়নি। সুপাঠ্য ও শিক্ষনীয় লেখা। শুভেচ্ছা রইল।

০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:২৬

না পারভীন বলেছেন: পোস্টে ঢুঁ মারার জন্য ধন্যবাদ নিশাত ভাই।

৩১| ০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

লিমন আজাদ বলেছেন: পুরোটুকু শেষ করলাম। এতোবড় লেখা আগে কখনও শেষ পর্যন্ত পড়ি নাই সম্ভবত। বুঝতেই পারছেন আপনার লেখা সুখপাঠ্য ছিল। :)

০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:২৯

না পারভীন বলেছেন: গ্রেট কমপ্লিমেন্ট। আলহামদুলিল্লাহ। খুব ভাল লাগলো। বিনীত ধন্যবাদ লিমন ভাই।

৩২| ০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

তারছেড়া লিমন বলেছেন: শোকেসে রাখলাম আপু.........ধর্ম সম্পর্কে অনেক কিছুই অজানা রয়েছে..... এমন আরও চাই .... অনেক ধন্যবাদ আপু।

০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩৩

না পারভীন বলেছেন: লিমন ভাই আমি যেটা বুঝেছি, নবীজীর জীবনী জানলে কুরান বুঝতে সহজ হয়। বিনীত ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইল

৩৩| ০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১৩

রাজা মশাই বলেছেন: ধন্যবাদ। খুব ভাল লাগল। যাদের বুঝ দরকার তারা এটা থেকে বুঝে নিবে। সরাসরি প্রিয়তে। :D :D :D :D :D

০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩৫

না পারভীন বলেছেন: রাজা মশাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।

৩৪| ০৬ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:৪৩

মেলবোর্ন বলেছেন: কি লিখবো ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, এক বার নয় কয়েক বার এই পোস্ট টা পরেছি এত বড় পুরো পোস্ট খুব কমই একবারে পড়া হয় ব্লগে তবে এটা এমন এক পোস্ট যা পড়ে অন্তর কাদে ,

কাল নিজেও খুব আপসেট ছিলাম ব্যক্তিগত বিষয়ে রাতে ঘুম আসছিলনা বিধায় ফেসবুকে ঘোরার সময় এই পোস্টের সন্ধান যেন আল্লাহ নিজ হাতে নিয়ামত দিয়েছেন, আমায় মনে করে দিয়েছেন আমার কস্ট আর কি ? আমাদের প্রিয় নবী যে কস্ট সয়েছেন তার চেয়ে কোন ভাবেই বেশি নয় তবুও তিনি সত্য প্রচার করে গেছেন আর আমরা এর চেয়ে ঢের ভালো থেকেও সেই সুপোদেশ সেই ঐশী বানী মানতে ও পালন করতে পারিনা তবে আমাদের মত অভাগা আর কে হতে পারে।

আপনার পোস্ট টা পড়ার পর খোজে লেগে যাই কোরআনের কোন সুরা মন খারাপ দুর করতে সবচেয়ে কার্যকর যদিও কোরআনেরপ্ রত্যেকটি আয়াত ই মানুষের মন ভালো করার জন্য যথেস্ট তবুও স্পিসিফিক কিছু চাই ছিলাম তার ফলাফল দেখুন

০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩৯

না পারভীন বলেছেন: বাসায় গিয়ে দেখব। এখন বাহিরে। দেখে জানাব।

০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১৫

না পারভীন বলেছেন: প্রিয় ফয়সাল, অশ্রু সজল মন নিয়ে বারে বারে ভিডিও টি শুনলাম। আমার মনে হয়, সুরা আবু লাহাবের পোস্ট লিখে কোন পূন্য করে থাকলে সুরা দোহা অনুধাবন করার শক্তি দিয়ে আল্লাহ নেয়ামত দান করলেন। সত্যি অনেক দিন থেকেই আমি আর আমার রিডিং পার্টনার ভাবছিলাম আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনার ফাইল গুলা চাপা পড়ে আছে

আমাদের কোন দোয়াই আল্লাহ শুনছেন না। আর কি বলবো, কৃতজ্ঞতা র শেষ নাই আপনার কাছে। আল্লাহ আপনার মংগল করুন। আশা, নিয়ত পুরা করে দিন, আমিন।

৩৫| ০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:৪৩

ভারসাম্য বলেছেন: ১৯ নং মন্তব্যে লিমন আজাদ ও লেখিকার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, উৎবা এবং উতাইবা, রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর চাচাতো ভাই ছিলেন, সেই হিসেবে তারা রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর সন্তানদের আপন চাচা ছিলেন না। যদিও তাদের বিয়ে ইসলামপূর্ব সময়ে হয়েছিল, কিন্তু ইসলামের বিধান অনুযায়ীও এরূপ বিয়ে বৈধ। যার প্রমাণ পাওয়া যায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর অপর এক সন্তান হজরত ফাতিমার (রাঃ ) সাথে হজরত আলীর (রাঃ ) বিয়েতে, যা রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) এর নবুয়্যত পরবর্তীকালে সম্পাদিত হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, হজরত আলী (রাঃ ), রাসুলুল্লাহ'র (সাঃ ) অপর এক চাচা হজরত আবু তালিবের ছেলে ছিলেন।

ধন্যবাদ।

০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:২৪

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ অভি। আপনি যদি আরেকটু কষ্ট করে কাদের কাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ সেই আয়াত টি উল্লেখ করে দেন তাহলে খুব ভাল লাগবে। আর আমাদের খেয়াল রাখার জন্য কৃতজ্ঞতার শেষ নাই।

৩৬| ০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

অদৃশ্য বলেছেন:







অর্ধেক পর্যন্ত আসতে পারিনি... পরে এসে শেষ করে যাব... তবে যতটুকু পড়লাম তা চমৎকার... খুব সুন্দরভাবেই আপনি ঘটনাগুলোর বর্ণনা করেছেন... যত দিন যাচ্ছে ততোই আমাদের ঈমান দূর্বল হয়ে যাচ্ছে... এটা হতাশার কথা...


শুভকামনা...

০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২০

না পারভীন বলেছেন: ৫২০০+ শব্দের পোস্ট। মন্তব্যে ভাললাগা রইলো। আশা করি পরিবারের বাচ্চাদের জানাবেন আবু লাহাবের ঘটনা। ধন্যবাদ অদৃশ্য ভাইয়া।

৩৭| ০৬ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:০১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অকেন ভাল লাগল। ২ দিনে পড়া শেষ করলাম। আল্লাহ আপনাকে উত্তম যাযা দান করুন।

০৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

না পারভীন বলেছেন: শেষ করে এত সুন্দর মন্তব্যে অশেষ ভাললাগা রইলো সুজন ভাই। অনেক ধন্যবাদ।

৩৮| ০৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম আপু । খুব ভালো লাগলো আপনার লেখার ধারা ।

০৬ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

না পারভীন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার। শুভ কামনা রইল।

৩৯| ০৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

সত্যের সন্ধানী এক যুবক বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট। আল্লাহ আমাদের মঙ্গল করুন।

০৬ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

না পারভীন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ রইল যুবক ভাই।

৪০| ০৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫

মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বলেছেন: আস সালামু আলাইকুম

আবারো আসলাম বোন। আরো একটু পড়লাম। কিন্তু আরো পড়ার আগে একটা অনূরোধ করছি। আমার খুব দ্বিধা হচ্ছে, মানুষ অত্যন্ত “EGOISTIC”। এই আমি নিজেই এই নিজ অহঙ্কারের বিরুদ্ধে “জিহাদ” করছি। অতি কঠিন এবং এ অতি কঠিন বিষয়। এর জন্য সাহসী অন্তরের প্রয়োজন হয়। সাহসী মানুষের আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সত্যের জন্য তাঁর হৃদয় উম্মুক্ত। এই কারনে যে শুধুমাত্র অতি সাহসী মানুষের অন্তরই সত্য সন্ধানে প্রবৃত্ত হয় এবং সত্য যখন তাঁর কাছে পরিস্কার হয়ে যায় অতি সহজে সত্য মেনে নেয়।

যাই হোক, একটু ভূমিকা করতে হলো এই কারনে যে, যেই অনুরোধটা করবো তা একটু বিশেষ চিন্তার বিষয়। আমার ধারনা হলো যেহেতু আপনি পড়াশুনা করেন আপনার জন্য বিষয়টা হয়তো কঠিন হবে না তবু ও আমি একটু আশঙ্কা করছি।

যাই হোক। দেখুন, বাংলাদেশের বেশীরভাগ বইতেই “নবীজী” শব্দের ব্যবহার হয়। মূল আরবী শব্দ হচ্ছে “নাবী”
সেই “নাবী” থেকে বাংলাদেশে হয়েছে “নবী” আর তাঁর সঙ্গে “জী” প্রত্যয় ব্যবহার করে বেশীরভাগ বইতে লেখা হয়েছে এবং বেশীরভাগ আলোচক আলোচনা করেছেন “নবীজী” বলে।

হয়তো এতে সম্মান প্রকাশ পায়। কিন্তু আসলে এ দিয়ে যথার্থ “করনীয়” করা হয় না। আমি আপনাকে অনুরোধ করবো “নবীজী”র পরিবর্তে “মোহাম্মদ, সাল্লেল্লাহু আঃলাইহে ওয়া সাল্লাম” বলুন অথবা বলুন, “মোহাম্মদ, আল্লাহ তাঁর উপর শান্তি করুন”। এতে আমাদের যথার্থ “করনীয়” করা হবে। ধর্মীয় জ্ঞ্যানীরা (SCHOLAR) যে কোন আলোচনায় একবার “মোহাম্মদ, সাল্লেল্লাহু আঃলাইহে ওয়া সাল্লাম” বলা হচ্ছে “আবশ্যক” এবং প্রতিবার বলার জন্য সুপারিশ (RECOMMENDED) করছেন।

আল্লাহ আপনাকে এবং আমাকে, সকল মুসলমানকে সত্য এবং সঠিকভাবে আল্লাহ্‌র এবুং তাঁর রাসুল, সাল্লেল্লাহু আঃলাইহে ওয়া সাল্লাম এর বিধান জানা এবং তার উপর “আঃমল” করতে সাহায্য করুন।

ইনশাল্লাহ, পুরোটা পড়ার পর আবারো আসবো।

আনোয়ার আল আওলাকি বর্ণিত “Life of Prophet Muhammad”
শুনেছেন কি বোন? ৩৪ পর্বে বর্ণিত । এখানে পেতে পারেন। আমি প্রথম পর্বের লিঙ্ক দিলাম।
https://www.youtube.com/watch?v=PZZ6G7cSx3s

০৬ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কথা গুরুত্বের সাথে শুনলাম। নাবীজী কথাটা মোহাম্মদ (সা : ) এর জীবনীতেও এখানে যে বই এর কথা উল্লেখ করেছি তাতে আছে

কিন্তু আমরা ছোট বেলা থেকে নবীজী পড়ে এসেছি। আমার এ লেখার উদ্দেশ্য একটা আরবী শব্দ পাঠককে উপহার দেয়া নয়। লোকাল শব্দ ব্যবহার করে মানুষের কাছাকাছি যাওয়া।

আল্লাহর কাছে সব ভাষার গুরুত্ব আছে।

০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:২৮

না পারভীন বলেছেন: আরেক্টা কথা বলি যদি আপনি ভুল বুঝে অহংকারের প্রকাশ ধরে না নেন, বাংলা, ইংরেজি সব ভাষার ই বানান রীতি আছে। ইংরেজি তে স্কুলের উচ্চারণ অনেক সময় স্খুল আসে। তাই বলে বানান টি আপনি উচ্চারনের মতে লিখত পারবেন না। আ: মল যে শব্দ টি লিখেছেন সংগত কারনে সেটি ভুল। আমাদের ভাষার প্রতি ও শ্রদ্ধা দেখানো আমাদের দায়িত্ব। নিজ ধর্ম কেে নিজর ভাষায় জানতে হবে আমাদের। লিংক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪১| ০৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

অকুল পাথার বলেছেন: এক কথায় দারুন। খুবই ভাল লাগলো এমন একটা লেখা পড়ে। অনেক কষ্ট করেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:০০

না পারভীন বলেছেন: জী ভাইয়া, প্রচুর কষ্ট করেছি। আপনার সহানুভূতি শীল সুন্দর মন্তব্যে মন ভাল হয়ে গেছে। অনেক ধন্যবাদ।

৪২| ০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: খুব খুব ভালো লাগলো ।
আল্লাহ আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দিক ।

০৭ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:৫৪

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা রইল।

৪৩| ০৭ ই মে, ২০১৪ ভোর ৫:২১

মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বলেছেন: আস সালামু আলাইকুম বোন।

আমি দুঃখিত এবারে খুব বেশী বাংলায় লেখতে পারছি না। আশা করে এটাকে সহজ ভাবে নেবেন।

Abu Dharr al-Ghaffari narrated that the Prophet (saws) said, 'The most miserly amongst people is the one who fails to invoke blessings upon me when my name is mentioned in his or her presence.’

এটা এই লিঙ্কগুলিতে পেতে পারেন।
http://www.islamhelpline.net/node/8729
http://www.islamhelpline.net/node/5846

আমি ৩ ঘন্টা সময় ব্যয় করে বুখারী, মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, মালিক, মাযাহ, এই হাদীসের বইগুলিতে একটা নিজস্ব “pattern” খুঁজতে গিয়েছে কিন্তু হাদিসটি পাই নি। হয়তো বিস্তারিত পড়লে পেয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। তবে হাদিসটি “নাসাঈ” বা তিরমিজিতে আছে।
এরপর, এটা পড়ুন,

Ka’b bin ‘Ujrah (RA) relates that the Prophet (PBUH) once asked us to come close to the pulpit. So we came close. When he ascended the first step he said Ameen. He did the same with the second and third step. After the sermon when he came down we asked him,

“O Messenger of Allah, we have heard you saying something which we have never heard you say before!” He explained saying, “Jibreel came to me and said,

‘’Woe to the person in whose presence you name is mentioned and does not invoke blessings on you.” I said “Ameen”.

এখানে ও “reference” দেয় নি। আমি ও খুঁজে পাই নি। তবে, আমি স্মরণ করতে পারছি যে, এই হাদিসটি আমি পূর্বে হাদিসের বইতেই পড়েছি।
এর লিঙ্ক এখানেঃ Click This Link

আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করি, যদি ভুল বলে থাকি তাহলে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দিন। আর যদি সত্য বলে থাকি, তাহলে আল্লাহ যেন যে এই সত্যকে ছড়িয়ে দিন এবং সবাইকে অনুসরন করতে সাহায্য করেন।

৪৪| ০৭ ই মে, ২০১৪ ভোর ৫:৩৪

মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বলেছেন: দুঃখিত, এখানে আরো আছেঃ
Click This Link

Fiqh-Us-Sunnah: By As-Sayyid Sabiq Vol 4, Page No. 139 (English)

published by “American Trust Publications, USA” in 1991, distributed by “International Islamic Publishing house” Ryadh

৪৫| ০৭ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:১৩

মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বলেছেন: আসসালামু আঃলাইকুম বোন, আসল সূত্র দিতেই ভূলে গেছিঃ
কোরআনঃ শুরাঃ আল আহযাবঃ জোটঃ

33:56


Muhsin Khan
Allah sends His Salat (Graces, Honours, Blessings, Mercy, etc.) on the Prophet (Muhammad SAW) and also His angels too (ask Allah to bless and forgive him). O you who believe! Send your Salat on (ask Allah to bless) him (Muhammad SAW), and (you should) greet (salute) him with the Islamic way of greeting (salutation i.e. AsSalamu 'Alaikum).

Pickthall
Lo! Allah and His angels shower blessings on the Prophet. O ye who believe! Ask blessings on him and salute him with a worthy salutation.

Bangla
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর।

বোন, দয়া করে এই আয়াতের তাফসির পড়বেন কি? অসংখ্য হাদিস পাবেন “দুরুদ” পড়ার ব্যপারে কিন্তু তাফসির ইবনে কাসীরঃ ভলিউম ৫ঃ পৃষ্ঠা ৮৫৬, ৮৫৮ এখানে মোহাম্মদ এর নামের সঙ্গে “সাল্লেল্লাহু আঃলাইহে ওয়া সাল্লাম” পড়ার বিষয়ে পাবেন।

০৭ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:৫২

না পারভীন বলেছেন: জী ধন্যবাদ ভাই। কষ্ট করেছেন প্রচুর। আমি অবশ্যই জানি। মহানবীর নাম নিলেই সা: পড়তে হয়।


এমন কি বক্তা না বললেও। যেমন আযানে বলা হয় না। কিন্তু আযান যে শুনে তার দায়িত্ব।


এই লেখার পাঠক দের প্রতি অনুরোধ করবো নিজ দায়িতে পড়ে নেবার জন্য
আমি যথা সম্ভব ব্যবহার করেছি।

যেহেতু লেখাটি আর এডিট করা সম্ভব পর হবেনা। প্রতিটি লাইনে লাইনে লেখা হয়নি বলে আল্লাহ আশা করি মাফ করবেন।

৪৬| ০৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮

মেলবোর্ন বলেছেন: পার্ট ২ যেটা দেখে মন পুরোপুরি ভালো হয়ে গিয়েছিল প্রথমটা আমনার ভালো লেগেছে তাই এটা দেয়া আশা করি নিরাশ হবেন না
Ustadh Nouman Ali Khan - Why Do Bad Things Happen

০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১

না পারভীন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ফয়সাল। শুনে জানাবো। অনার আয়াতুল কুসরী শুনেছিলাম, বাংলায়। খুব ভাল লেগেছিল। ( আপনার ফেবু শেয়ার থেকে)

৪৭| ০৭ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আবার পড়লাম সুন্দর হয়েছে, সব সময়ের মত উচ্ছল , আর আমার আবু লাহাব পোষ্টের চেয়ে একেবারে ভিন্ন এক ডায়মেনসন, শিরোনামটা হয়েছে যথাযোগ্য, আসলেই কেন সে জাহান্নামী তা বুঝবার জন্য সে হযরত মুহাম্মাদ সাঃ কে কতটা যন্ত্রনা দিয়েছেন তা বুঝা জরুরী!! আল্লাহ আমাদের হেদায়েত করুন!! আল্লাহ আমাদের সঠিক সরল পথে চলবার সমর্থ দিন !! (আমিন)

০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

না পারভীন বলেছেন: এটা একটা বিশাল পাওয়া আবার পড়ার ব্যপারটি। আমি আবু লাহাবের উপর এ যাবত প্রকাশিত সব লেখা পড়েছি ( সামুর গুলো) যারা বুঝে ও বুঝতে চায় না, তাদের সব মন্তব্য, ঝগড়াগুলো ও পড়েছি।

৩ মাস ধরে লিখেছি। বারে বারে এডিট করেছি। ফাইনাল লেখাও অনেক দিন রেখে দিয়েছি নিজের জাজমেন্টের জন্য।

লেখা বড় কিন্তু ছোট হলে ঠিক আবেগ গুলো ধরা পড়তো না। যারা বুঝে তাদের জন্য অবশ্য এত কথার দরকার নাই। আমাদের মধ্যে যাদের মনে অনেক প্রশ্ন ছিল তাদের জন্য দরকার আছে। অবশ্য যদি তারা চায়।

মুদদাকির অনেক অনেক ধন্যবাদ। এটা একটা গ্রেট কমপ্লিমেন্ট। আলহামদুলিল্লাহ। আমি খুব খুশি।

৪৮| ০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:০২

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:

@ ডাঃ নার্গিস পারভীন :


আবু লাহাবের স্ত্রী উম্মে জামিল কি ভাবে মারা গেলো, সেটাও আরেকটু বিস্তারিত লিখলে ভালো হতো।

০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:১৬

না পারভীন বলেছেন: মাহফুজুর রহমান ভাই, উম্মে জামিল কিভাবে মারা গেলো আমি জানি না। আপনার জানা থাকলে প্লিজ আমাদের সাথে শেয়ার করুন।

ধন্যবাদ ভাই।

৪৯| ০৮ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পুরো লেখাটা পড়তে ভাল লাগল অনেক।

০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

না পারভীন বলেছেন: কি বলে কৃতজ্ঞতা জানাব ভেবে পাচ্ছিনা। অনেক ধন্যবাদ প্রফেসর ভাই।

৫০| ০৯ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: প্লাস দিয়ে গেলাম, আর মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়লাম আপ্পি।


বিশাল পোস্ট না হলে তো, সব কিছু ক্লিয়ার হইত না। সো পোস্ট সাইজ ঠিক আছে।

০৯ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

না পারভীন বলেছেন: আসলেই তার অপরাধ কিন্তু কম না। ঘুন পোকা ভাই অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো।

৫১| ১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

কাজী মাসুক বলেছেন: ভালোকে ভাল বলার মজা আলাদা ...সিরিজ আকারে লিখুন

১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০২

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাজী মাসুক ভাই উতসাহ ব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য। শুভ কামনা রইলো।

৫২| ১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট , শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ , আমিও মাঝে মাঝে নবীদের জীবনী ও মুজেজা তাদের দিক নির্দেশ নিয়ে গবেষণা করি এবং লিখি । থাকল অনন্ত শুভকামনা ।

১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

না পারভীন বলেছেন: পরিবেশ বন্ধু ভাই পোস্ট পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো। ভাল থাকবেন :)

৫৩| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

টিকিটাম বলেছেন: ...it is super good post ....i had allready read more time ...studied your others writing too.
Beautiful, good explaination.
Thank you very much.

১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

না পারভীন বলেছেন: টিকিটাম ভাইয়া, অগনিত ধন্যবাদ আর অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো। অনেক ভাল থাকবেন :)

৫৪| ১১ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:৫০

জাফরুল মবীন বলেছেন: কোরআনের বিভিন্ন বিষয়ের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজে বেড়ানোটা এখন আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।এবিষয়ে ক্ষুদ্রজ্ঞানে কিছু কিছু পড়াশোনাও করছি।কিন্তু আবু লাহাবের বিষয়ে এত বিস্তারিত জানতাম না।এখানেই ব্লগের স্বার্থকতা।জ্ঞান অর্জনের এক অনুপম প্ল্যাটফর্ম।আর এ জ্ঞান দানের জন্য আল্লাহ আপনাকে সাদকায়ে জারিয়ার অশেষ নেকী দান করুন।আমীন।প্রিয়তে নিলাম....

১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:০০

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ মবীন ভাই। সামু ব্লগে আপনাকে স্বাগতম জানাই। কুরআন কি বিজ্ঞান ময় এই নামে আমার একটা পোস্ট আছে অপর পেইজে আপনি সেটা পড়ে আমাকে জানান আর কেউ কি সেটা আগেই বের করে ফেলেছে কিনা

হ্যাপি ব্লগিং :)

৫৫| ১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৪২

এইচ. আর. হাবিব বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি যুগউপযোগী পোষ্ট দেয়ার জন্য।

১১ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

না পারভীন বলেছেন: হাবিব ভাই, আপনাকেও ধন্যবাদ আরো কৃতজ্ঞতা জানাই।

৫৬| ১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩

এহসান সাবির বলেছেন: খুব ভালো পোস্ট আপু ।

শুভেচ্ছা।

১১ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাবির ভাই। কৃতজ্ঞতা আর শুভ কামনা রইলো।

৫৭| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৮

জাফরুল মবীন বলেছেন: হ্যাঁ আপা সূরা কাহাফ এর আয়াতটির চিকিৎসাশাস্ত্রীয় ব্যাখ্যাটি পড়লাম।আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন।বেড সোর প্রিভেন্ট করার জন্য পাশ্ব পরিবর্তন অত্যাবশকীয় যা আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর কুদরতীতে করেছেন।আমার মনে হয় কাহাফবাসীরা সাসপেন্ডেড এনিমেশনে ছিল।এরূপ অবস্থায় বেজাল মেটাবলিজম সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকে।

"আর উদয় কালে সূর্যকে তাদের গুহা থেকে ডান দিকে হেলতে দেখবে আর যখন অস্ত যায় তখন তা বাম দিক দিয়ে অতিক্রম করে , অথচ তারা সে গুহার প্রশস্ত স্থানে থাকে । এটি আল্লাহর নিদর্শন । "-এর একটা সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দিতে পারি।সম্ভবতঃ গুহার মুখ দক্ষিণমুখী ছিল যাতে সূর্য উদয় বা অস্তকালে গুহার মধ্যে আলো প্রবেশ করতে না পারে।আমরা জানি মুখের উপর তীব্র আলো পড়লে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে।যেহেতু আপনি ডাক্তার কাজেই আপনি জানেন আমাদের ব্রেনের নিদ্রা উদ্রেককারী নিউরোহরমোন মেলাটোনিনের নিঃসরণ আলোর সাথে সম্পর্কিত।অন্ধকার যত বাড়ে এর নিঃসরণও তত বাড়ে আবার আলো বাড়তে আরম্ভ করলে এর নিঃসরণও কমে যায়।
আপনি দক্ষিণ দিকে মুখ করে দাঁড়ান;দেখবেন সূর্য আপনার ডান দিক থেকে উদয় হচ্ছে এবং আপনার বাম দিকে অস্ত যাচ্ছে।আপনার মুখের সামনে দিয়ে সূর্য অতিক্রম করবে না।ব্যাখ্যাটির উপর আপনার মতামত আশা করছি।ভালো থাকুন....

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০৫

না পারভীন বলেছেন: মবীন ভাই, আপনার ব্যক্ষা আমার খুব ভাল লেগেছে। দক্ষিণ দিকেই তাদের মুখ ছিল। এটা কিভাবে রহস্য রেখে আল্লাহ বললেন সত্যি শীতল স্রোত বয়ে গেলো। আচ্ছা আরেক্টা রহস্য কিন্তু থেকে গেলো, আপনিও ডাক্তার নন?

৫৮| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:১৭

জাফরুল মবীন বলেছেন: আপা আমি কোরআনের অালোকে কিয়ামতের উপর একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছি;দু’ একদিনের মধ্যেই পোষ্ট দিব ইনশাল্লাহ।আশা করি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাবেন।আল্লাহ আপনাকে কুশলে রাখুন-আমীন।

১২ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

না পারভীন বলেছেন: জ্বী, ধন্যবাদ। অবশ্যই চেষ্টা করবো।

৫৯| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: পড়া শুরু করছি, ভাল লাগতেছে।। চলবে ।।
বেশ পরিশ্রম সাধ্য পোস্ট + গুছিয়ে লেখা। উপস্থাপন বেশ ভাল।

১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ, পড়া শেষ করে আবার জানিয়ে যাবেন :)

৬০| ২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

পংবাড়ী বলেছেন:


@ জাফরুল মবীন ,

আপনার কেয়ামত কি কাছে এসেছে?

৬১| ২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

না পারভীন বলেছেন: পংবাড়ি নামের ব্লগারের মন্তব্য ২য়টি ভুল বসত মুছে গেছে।

৬২| ২৪ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:৫২

পংবাড়ী বলেছেন: ধর্ম তৈরি করতে হাজার গল্পের অবতারণা করা হয়েছে; গল্পকে যারা গল্প হিসেবে নিয়েছে, তারা মানুষ; আর যারা গল্পকে বাস্তব হিসেবে নিয়েছে, তারা ধর্মিক।

২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

না পারভীন বলেছেন: আপনি সিনিয়র ও সন্মানিত ব্যক্তি, মুক্তি যোদ্ধা।
কিন্তু অপরের বিশ্বাস কে শ্রদ্ধা না করলেও উপহাস করতে নেই এটাই তো গুরুজনের কাছে শিক্ষনীয়। জাফরুল মবিন ভাই কে তার পোস্টের জন্য এই পোস্টে উপহাস করাতে আমি কনফিউজড আপনার বিষয়ে।

৬৩| ২৭ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

শেখ মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: প্রথমে প্রিয়-তে নিয়েছিলাম। এখন সময় করে পড়ে নিলাম। সুন্দর, প্রাঞ্জল বর্ণনা। আল্লাহ আপনাকে আরও বেশী ইসলামের খেদমত করার সুযোগ দান করুন। অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:১০

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আলহামদুলিল্লাহ, সুন্দর মন্তব্য অনুপ্রেরণা দায়ক। আপনার জন্য ও অনেক শুভ কামনা রইল।

৬৪| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:১৬

না পারভীন বলেছেন: নীল জোসনা আর সুমাইয়া আলো আপু ছাড়া ফিমেল ব্লগার রা আর কেউ লেখা পড়লোনা :( একজন মহিলা জানা মানে তার সন্তান রা জানা। :(

৬৫| ২৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র !

সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওল্লহু আকবার...

অনেক অনেক সুন্দর পোস্ট, আল্লাহ আপনার জ্ঞান ও মর্যাদা আরো বাড়িয়ে দিন, আমিন।

২৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ জহিরুল ভাই। আলহামদুলিল্লাহ। আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার জন্য ও শুভ কামনা রইল।

৬৬| ৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

রায়হান কবীর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটি। ধন্যবাদ, লেখায় প্লাস, প্রিয়তে।

৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

না পারভীন বলেছেন: রায়হান, অনেক অনেক দিন পর!!!

অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইল

৬৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

আমি ইহতিব বলেছেন: পড়া শুরু করেছিলাম আপু। অনেকটা পড়ে প্রিয়তে রেখেছি। এতো বড় লেখা এক সাথে পড়ার ধৈর্য + সময় হয় না। একসাথে পড়লে মাথায় ঢুকবেওনা হয়ত। আস্তে আস্তে পড়বো।

৬৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১২

না পারভীন বলেছেন: it is a very painful story. long painful time was given to Mohammad (sm). as most of the people say,"why this

৬৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

না পারভীন বলেছেন: sura abu lahab is so aggressive? " this is the ans.
thank u and good wishes for u.

৭০| ০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

সত্য৭৮৬ বলেছেন: আপনার উপস্থাপনা বেশ সুন্দর-

আসুন! মিথ্যাকে দূরীভূত কোরে সত্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করি

০৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ জহিরুল ভাই। সময় করে পড়বো। সত্যের জয় নিয়ে আমার ধারনা হল। "মানুষ এক জীবনে সব সত্যের জয় দেখে যেতে পারেনা। '

৭১| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৬

গোধুলী রঙ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু, এ ব্যাপারগুলো আগে ভালভাবে মিলাতে পারতাম না, একসময় আমিও সংশয়বাদী ছিলাম, আল্লাহ কেন আবু লাহাবের জন্য দুনিয়াতেই শাস্তির ঘোষনা দিয়ে দিলেন।

হে আল্লাহ আমাদের সরল পথ সিরাতুল মুস্তাকিম দেখিয়ে দাও । তাদের পথ যাদের তুমি অনুগ্রহ করেছো । তাদের পথ নয় যারা অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে । ( সুরা ফাতিহা )

০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:১১

না পারভীন বলেছেন: গোধুলী ভাইয়া আমিও সংশয়বাদী ছিলাম। ৩ বছর আগে খুব এক বিপদে পড়ে আমি কুর আন পড়েছিলাম। আর তখন বুঝতে পারলাম। এত দিন পরে এসে লিখলাম। আমার কষ্ট সার্থক আজ। আপনার মন্তব্য সেরা মন্তব্য হিসেবে গ্রহন করলাম। কারণ আগে যারা পড়েছেন সবাই আগে থেকেই জানে। আপনাকে পেলাম আমার দলে। বিনীত ধন্যবাদ।

৭২| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:২৯

জুন বলেছেন: যারা পূর্ব পুরুষদের ইতিহাস দেখে শিক্ষা নিতে চায় তাদের জন্য আবু লাহাব ও তার স্ত্রীর পরিণতি শুধু একটি উদাহরণ
অসাধারন পোষ্ট, অনেক পরিশ্রম করেছেন সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য না পারভীন ।
+

২৫ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ জুনাপ্পি :)

৭৩| ১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:২৯

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: পোস্ট পড়েছি তবে তখন ব্যস্ত থাকায় মন্তব্য দেয়া হয়নি :(

তুমি অনেকগুছিয়ে সুন্দর করে লেখ সবসময়ই , আর প্রথম মন্তব্য এর রিপ্লাই দেখে পুরাই ৪ডানা ওয়ালা পাংখা !!! আমার বেলায়ও ঘটনা তাই B:-)


।তোমাকে আজকে খুজে পেলাম না কেন? ?? মাইন্ড খাইছি :'(

২৫ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

না পারভীন বলেছেন: হৃদয়ে আছি :) :) :) জাস্ট স্মরণ করবে দেখবে কিভাবে হাজির হয়ে গেছি :)

৭৪| ১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:৫১

পাউডার বলেছেন:
কোরানের আলোকে লেখায় ধন্যবাদ।

২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩

না পারভীন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। কৃতজ্ঞতা রইলো। :)

৭৫| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম :)

২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

না পারভীন বলেছেন: প্রচুর প্রচুর ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা রইলো আমি, তুমি আমরা ভাইয়া :)

৭৬| ২০ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:২০

এম হাবিব আহসান বলেছেন: ভাই, মানুষের অ প্রানীর ছবি সরিয়ে নেন। প্লিয। লেখায় ++++++

২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

না পারভীন বলেছেন: গাছের ও প্রাণ আছে, তাহলে সব ছবি সরিয়ে নিতে হয় :( ছবির ব্যাপারে আমি সময় করে হাদিস ঘেটে দেখব, তারপর সরানোর পক্ষে চোখে পড়লে সরিয়ে দিব। প্লাস দেয়ার জন্য বিনীত ধন্যবাদ ভাইয়া :)

৭৭| ২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১১

আহলান বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট ..... আমরা সেই তুলনায় অনেক আরামপ্রিয় মুসলমান .... !(:

০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আহলান ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৭৮| ৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:





++++++++++

০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০০

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া :)

৭৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

বোকামানুষ বলেছেন: অসম্ভব ভাল একটি পোস্ট এই পবিত্র রমজানের মাসে রোজা রেখে পোস্টটা পড়েছি বলে আরও বেশি ভাল লাগছে নিজের ভিতর অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে


না পারভীন বলেছেন: নীল জোসনা আর সুমাইয়া আলো আপু ছাড়া ফিমেল ব্লগার রা আর কেউ লেখা পড়লোনা :( একজন মহিলা জানা মানে তার সন্তান রা জানা। :(


এইতো আমরা মেয়ে ব্লগারগণ চলে আসছি মন খারাপ করেন না আপু :D যদিও বাচ্চা-কাচ্চারে জানানোর সুযোগ নাই এখনি :) :P

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

না পারভীন বলেছেন: আপু, অনেক অনেক প্রাণঢালা ধন্যবাদ। :) :)
বাচ্চা র শুভাগমন হলে মনে রেখে বলবেন :) :) না হয় বাচ্চারা আমার ছোট বেলা বা আরো অনেকের ছোট বেলার মত বলবে এই সুরা এমন কেন? :) :)

৮০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৬

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: লেখাটা সময় নিয়ে পড়লাম । ঘটনা গুলো জানা ছিল, আপনার উপস্থাপনার জন্য আরও বেশি ভালো লাগলো ।
এত চমৎকার করে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন আপু । ভালো আছেন নিশ্চয়ই ?

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৪

না পারভীন বলেছেন: অদ্বিতীয়া আপুনি, অনেক দিন পর দেখা হল :) আমি ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন? পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ফ্রি থাকলে বা ব্যস্ত থাকলেও সুন্দর সুন্দর ব্লগ লিখুন। আপনার ব্লগের বিষয় বৈচিত্র আর উপস্থাপনার জন্য পড়তে খুব ভাল লাগে :) :)

৮১| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অনেক বড় লেখা। নিজে যেমন চিন্তা করেছেন, অন্যদেরও চিন্তার খোরাক যুগিয়েছেন।


শুভেচ্ছা সতত।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় লেখক। শুভেচ্ছা সবসময় :)

৮২| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ এবং এই পবিত্র মাসের সকল সুফল আপনার উপর বর্তীত হোক ।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

না পারভীন বলেছেন: হার্ট ভাইয়া, অগনিত ধন্যবাদ। আপনার জন্য ও শুভকামনা রইল।

৮৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০১

চড়ুই বলেছেন: ভালো লিখেছেন আপু। আরেকটা কথা দেশি খেজুরের ছবি দিছেন
পেটে মোচর দিয়ে উঠলো তো। :( :( :(

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। ইফতার তো হয়ে গেছে, এবার সেহেরির আগ পর্যন্ত যত খুশি খান :) :) :)

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

না পারভীন বলেছেন: এগুলি আরব দেশের খুরমা খেজুরের ছবি ;) ;)

৮৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আসসালামুয়ালাইকুম , রামজান মুবারাক :) :)

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৩

না পারভীন বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম :) রোজায় ভালই ধরছে আমাকে ;) আল্লাহ যদি এই কষ্ট আমলে নিয়ে একটা বেহেশতের টিকিট দিতেন :) :) :)

৮৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮

অপরিচিত অতিথি বলেছেন: আপনার পোস্টটা খুব ভাল লেগেছে। কিন্তুু কিছু কিছু যায়গায় সাহাবায়ে কেরাম উনাদের নামের শেষে রদিয়াল্লাহ তায়ালা যুক্ত থাকলে আর ভাল হত।

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৮

না পারভীন বলেছেন: অতিথি ভাইয়া, অনেক ধন্যবাদ। এডিট করা দরকার কিন্তু টেকনিকাল সমস্যার জন্য হয়ে উঠছেনা
নিয়তে আছে (সা: ) ও সব জায়গায় দিয়ে দিব :)

৮৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

শাবা বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে। গল্পে গল্পে দারুণভাবে বড় একটি ঘটনাকে তুলে ধরেছেন। আমি শিশু শিক্ষা নিয়ে অনেক কাজ করেছি। একসময় এ বিষয়ে রিসার্চ স্কলারও ছিলাম। বাংলাদেশ ও বৃটেনের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর এম.ফিল করেছিলাম। তখন দেখলাম, বৃটেনের শিক্ষাব্যস্থায় ধর্মীয় প্রভাব অনেক বেশি এবং দেখলাম, বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে সরাসরি বাইবেল থেকে নেয়া অনেক গল্প ও কবিতা রয়েছে।
আর আমরা আমাদের শিশুদের রূপকথার গল্পের নামে আজগুবি ও অবাস্তব গল্প শিখাচ্ছি। শিশুরা রূপকথা থেকে সরাসরি শিরক শিখছে। কুরআনের অসংখ্য ঘটনার বর্ণনা রয়েছে, যা রূপকথা চেয়েও চমৎকার। তাই আমি চেয়েছিলাম যে, এসব ঘটনাকে শিশুতোষ গল্পের আকারে নিয়ে আসা। এতে শিশুরা গল্পের মত মজাও পাবে এবং আল্লাহর শক্তিমত্তা সম্পর্কে ধারণাও পাবে। আমি তেমন কিছু চেষ্টাও করেছি। আমার অজনপ্রিয় অপর ব্লগে একটা গল্পও পোস্ট করেছিলাম। তেমন সাড়া পাই নি।
আপনার এ লেখা পড়ে আমি আশান্বিত হয়েছি। আপনি আরো লিখে যান। আল্লাহ আপনাকে কামিয়াবি দান করুন। আমীন।।

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

না পারভীন বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি, আমার আশা আমার ছোট্ট বোন ঝি একদিন বড় হবে আর সে এই লেখাটি পড়বে। ছোটদের মনের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ে যখন সে জানেনা কেন এই ভাবে একটা সুরা নাযিল হল।
আপু আপনাকে অগনিত ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইলো।

৮৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:২৩

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: অনিয়মিত হয়ে যাওয়ায় পোস্ট টি পড়তে দেরি হল।
খুবই ভাল লাগলো। প্রসংশা করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।

আবু লাহাব সম্পর্কে এত পরিষ্কার ধারনা আগে কখনও হয়নি।

আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন। আমিন।

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। কৃতজ্ঞতা রইলো সুন্দর মতামতের জন্য

ঈদ মোবারক :)

৮৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

দুরন্তু পথিক বলেছেন: অসাধারন হয়েছে । ধন্যবাদ । আশা করি ভবিষ্যতে আরো এই রকম লেখা পাবো ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩১

না পারভীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পথিক ভাইয়া কষ্ট করে পড়ার জন্য । দোয়া করবেন।

৮৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: অসাধারণ! দারুন! আশাকরি আপনার কাছে এরকম আরও অনেক লেখা পাব।

কেমন আছেন আপু? শুনলাম আপনার পোস্টিং হয়ে গেছে। যদি কখনও রাজশাহীতে আসেন তাহলে এই ছোট ভাইটিকে একবার স্মরণ করেন :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৬

না পারভীন বলেছেন: প্রিয় তন্দ্রা
ভাই আমার ,
আপনি কেমন আছেন ? রাজশাহীর পাশেই দীর্ঘদিন ছিলাম । পদ্মার পাড়ে পিকনিকেও গিয়েছিলাম একবার । আবার কখনো গেলে অবশ্যই মনে করবো ।
অনেক শুভ কামনা রইলো ।

৯০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪২

পাখির বাপ বলেছেন: কিছু কিছু পোষ্ট স্থান,কাল বা পাত্র সাপেক্ষ নির্ণয় করা যায় না এবং এটি তারই মধ্যে একটি। লেখিকা আপুকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি গুরুত্ত্বপুর্ণ সুরার ব্যাখ্যা ও বিস্তারিত বিবরনসহ ইতিহাস ব্লগের পাতায় তুলে আনার জন্য। অবশ্যই প্রিয়তে এবং +++++

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৯

না পারভীন বলেছেন: মোস্ট এমাজিং আর ইন্সপায়ারিং মন্তব্য । ধন্যবাদ ভাই ।

৯১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনার পোষ্টাটাকে অসাধারণ , চমৎকার এসব বিশেষনে লিখলে ছোট করা হবে এতটাই ভালো হয়েছে। ধর্মীয় বিষয় নিয়ে অনেকেই লেখেন কিন্তু সেখানে আবেগ থাকে বেশী, যুক্তি আর তথ্য থাকে কম। আপনার লেখাতে এই সবগুলো দিকই আছে। অসংখ্য ধন্যবাদ।

একটা ছোট কনফিউশন অবশ্য আছে। একটা লেখায় কিছু দিন আগে পড়েছি, নবীজী (সা:) নিজেও তার কন্যাদের আবু লাহাবের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিজের কাছেই পেতে চেয়েছিলেন। তাঁদের উপর ঐ পরিবারে অকল্পনীয় অত্যাচার করা হতো। এমনকি আবু লাহাবের স্ত্রীর বাজে স্বভাবের কারণে হযরত খাদিজা ( রাা: ) ঐ পরিবারে তাঁর মেয়েদের বিয়ে দিতেও অনিচ্ছুক ছিলেন।
মেয়েরা যখন তালাকপ্রাপ্ত হয়ে পিতার ঘরে ফিরে আসেন তখন তিনি যথেষ্ট আনন্দিত ও খুশি হন।

আপনার লেখায় পড়লাম , তিনি কন্যাদের তালাক প্রাপ্তিতে খুব দুঃখিত হন। এই ব্যাপারটা নিয়ে তাই খটকা থেকেই গেল।


আমি একটা ছোট ইস্যু ধরে কথা বাড়াতে চাইনি। কিন্তু আমার মনে হয় , এই বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে , কেননা স্বামী শ্বশুরবাড়ি যেমনই হোক , মুসলিমসহ তথা সমাজ সবসময় মেয়েটাকেই সবর করে টিকে থাকার পরামর্শ দেয়।

আর এই সব ক্ষেত্রে নবীজী (সা: ) ও তার পারিবারিক জীবন সিদ্বান্তের ছোট বড় সব কিছুতেও আমাদের শিক্ষার ব্যাপার আছে। ইসলামী ব্যবস্থায় নারীর যে মর্যাদা তাতে করে এটাই সমীচীন যে নবীজী (সা:) তার মেয়েদের তথা নারীদের কোন রকম অবমাননা ও নিগ্রহ থেকে মুক্তিতেই সমর্থন দেবেন , কোন রকমে মেনে নেয়াকে না। ইসলাম লোক দেখানো কিংবা প্রচলিত সমাজের চল থেকে ধর্ম ও মানবিকতাকে অনেক বেশী গুরুত্ব দেয়।


আশা করি আমার এই কথাগুলোতে কিছু মনে নিবেন না আপু।

ভালো থাকবেন।অজস্র শুভকামনা।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৫

না পারভীন বলেছেন: প্রিয় প্রিয় এবং প্রিয় তনিমা আপুনি, আপনার মন্তব্য চমতকার লেগেছে। নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে। তবে ইমোশনাল দিকটি আমি আলোচনা করবো না। তবুও আমার বিশ্বাস, ঠিক শিওর রা, কিছু ব্যক্তি থাকবে যারা যে কোন ঘটনা কেই ভাল বলবে " যা হয়েছে ভালই হয়েছে। " হয়ত নিজেদের সন্মান বাড়ানোর জন্য বা নিজেদের ছোট না হতে দিতে চাওয়ার জন্য।

আমি যে কয়টা বই ঘেঁটেছি যার রেফারেন্স দেয়া আছে পোস্টে তা দিয়ে এই এসেছে। আপনার বই এর রেফারেন্স দিলে আমি জোগাড় করে নিয়ে পড়ে নিব।
আর কিছু মনে নিব কেন বলেন, আপনি আমাকে জানেন কম তো দিন নয়, জানার ব্যপারে আমি ইগো সমস্যায় কখনো ভুগিনা।

ভাল থাকবেন। নতুন বছরের শুভেচ্ছা। :)

৯২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ........................

The whole of the Prophet's family suffered from the violent and
mindless Quraysh. Her sisters, Ruqayyah and Umm Kulthum also suffered. They were living at this time
in the very nest of hatred and intrigue against the Prophet. Their husbands were Utbah and Utaybah,
sons of Abu Lahab and Umm Jamil. Umm Jamil was known to be a hard and harsh woman who had a
sharp and evil tongue. It was mainly because of her that Khadijah was not pleased with the marriages of
her daught ers to Umm Jamil's sons in the first place. It must have been painful for Ruqayyah and Umm
Kulthum to be living in the household of such inveterate enemies who not only joined but led the
campaign against theft father.
As a mark of disgrace to Muhammad and his family, Utbah and Utaybah were prevailed upon by their
parents to divorce their wives. This was part of the process of ostracizing the Prophet totally. The
Prophet in fact welcomed his daughters back to his home w ith joy, happiness and relief.
Fatimah, no doubt, must have been happy to be with her sisters once again. They all wished that their
eldest sister, Zaynab, would also be divorced by her husband.
In fact, the Quraysh brought pressure on
Abu-l Aas to do so but he refused. When the Qurays h leaders came up to him and promised him the
richest and most beautiful woman as a wife should he divorce Zaynab, he replied:
"I love my wife deeply and passionately and I have a great and high esteem for her father even though I
have not entered the religion of Islam....



অংশটা Click This Link

এর ফাতিমা বিনতে মোহাম্মদ ( সা:) অধ্যায়ের ১০৫ নং পৃষ্ঠা থেকে নেয়া।





প্রাসঙ্গিক অংশটা বোল্ড করে দিলাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.