নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ডা: নার্গিস পারভীন। বর্তমানে সরকারের স্বাস্থ্য সৈনিক। আমি ডাক্তারি ছাড়া আর কিছু পারি না।

না পারভীন

©ডাঃ নার্গিস পারভীন [email protected]স্বল্প, মাঝারি মাত্রার সংবেদন শীল মৌলিক লেখা I শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। পূর্বঅনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা ।

না পারভীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য বার্নিং ইস্যু - এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স , প্রেক্ষিত – বাংলাদেশ । দৃষ্টি আকর্ষণ – স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬



প্রিয় পাঠক , গ্রাম্য মেয়ে রেণুর দুঃখের কথা শুনার আপনার কি একটু সময় হবে ? রেণুর প্রথম সন্তান যখন হাঁটি হাঁটি পা পা করে হাঁটতে শুরু করল , তখনি পানিতে পড়ে মরে গেল । সেই শোক কাটিয়ে উঠার জন্য ২য় সন্তান নিয়েছে । সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার সময় হয়ে এসেছে । কয়েকদিন থেকে হালকা ব্যথা । তার স্বামী জেলে । মেঘনায় মাছ ধরতে গেছে । বাড়ি নাই ।



ব্য থা আছে কিন্তু বাচ্চা হচ্ছেনা কেন ? সে ডাক্তার ( ঔষধের দোকানদার ) কে খুলে বলল । ঔষধের দোকানদার তাকে ২ টি ঔষধ দিল । কিছুক্ষণ পর প্রায় মরণাপন্ন অবস্থাতে সে হাসপাতালে ভর্তি হল । প্রচণ্ড ব্যথা ।



নাহ ! জরায়ু ফেটে গিয়ে রেণু মারা যায় নি । তাকে বাঁচানো গেছে । কিন্তু মারা গেছে অন্যজন । পেটের সন্তানটি । প্রচণ্ড ব্যথা সহ্য করতে না পেরে বাচ্চাটি মারা গেছে ।



তার ছোট মৃতদেহটি দেখতে হলে অনেক মানসিক জোর লাগে । ছোট ফুটফুটে বাচ্চাটির কোঁকড়া কোঁকড়া চুল । নিষ্প্রাণ দেহ । পুতুলের মত বাচ্চাটি মারা গেছে বেশিক্ষণ হয়নি ।

আমি শোকে বিহ্বল হয়ে লেবার টেবিলের পাশে রাখা টুলে বসে পড়লাম । চোখের পানি সামলানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগলাম ।



রেণু এখনো লেবার টেবিলের উপর । রেণুর চোখে পানি নাই । সে আমাকে দেখছে আর সে চিঁ চিঁ গলায় শুধু বলছে , আমি এটা কি করলাম , আমি এটা কি করলাম । আমি কেন ঔষধগুলো ব্যবহার করলাম ।



একজন প্রশিক্ষণ বিহীন ফার্মেসি দোকানদারের জ্ঞানের পরিধি কতটা এর একটা নমুনা দেয়ার জন্যই এই ঘটনার অবতারণা । সেই মর্ম বিদারক ছোট মৃত মুখটি আবার স্মরণ করা ।



টেবলেট মিসোপ্রোসটল ৪০০ মাইক্রোগ্রাম সে পূর্ণ গর্ভবতী মায়ের লেবার পেইন বাড়ার জন্য দেয় , ফলশ্রুতিতে মা প্রাণে বেঁচে গেলে ও মারা যায় বাচ্চাটি । আর পরপর দুটি সন্তান হারানোর কারণে রেণুর সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার মত সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়ায় । এর পর ও রেণুর কি হয়েছে আমি জানি । প্রাসঙ্গিকতা রক্ষায় এড়িয়ে গেলাম সে কাহিনী ।



এরকম প্রায় ২ লক্ষ ঔষধের দোকান আছে আমাদের । রেজিস্ট্রেশন ছাড়া । ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৬ কোটিই ডাক্তার । ঔষধের দোকানদার তো অনেক বড় ডাক্তার । আপনি আর আমি বাচ্চাটা মরে গেছে দেখতে পেলাম । মাও মারা যায় । অনেকে বেঁচেও যায় ।



কয়েকদিন আগেই ব্রোমাজিপাম নামের ৬০ টি ঔষধ খেয়ে সুললিত কণ্ঠের গায়িকা আত্মহত্যার অথবা তাঁর ভাষ্য মতে একটু নিদ্রা যাবার চেষ্টা করেন , শেষ পর্যন্ত চিরনিদ্রা থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনা গেছে । অথচ বিদেশ হলে এই ঔষধ কিনতে পারতেন না । আমাদের দেশে চাহিবামাত্র ক্রেতাকে যাবতীয় ঔষধই দিয়ে দেন বিক্রেতা ।



আসুন ঘটনার ভয়াবহতা আরও দেখি । যেটা আজকের পোস্টের মূল আলোচনা । বাচ্চা মরে গেছে চোখে দেখলেন , যত্রতত্র ভাবে মানুষ ঔষধ কিনছে তাও দেখলেন , কিন্তু একটা জিনিস চোখে দেখা যায়না । তা হল এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স ।



আমি নিশ্চিত , এই লেখার পাঠকদের মধ্যেও এমন কেউ নেই যে কখনো প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধের দোকান থেকে ঔষধ কিনে খাননি । এন্টিবায়োটিক ও তারা প্রেসক্রাইভ করে । খাও এক ডোজ , বা দুই ডোজ । তার পর কি । তার পর হল এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স । সবচেয়ে দামী এন্টিবায়োটিক , যা রেজিস্টার্ড ডাক্তার রাও কম ব্যবহার করেন , সেটাও ঔষধের দোকানদার দুইএক ভায়াল রোগীর গায়ে দিয়ে দেয় ।



তারা কি কোন অপরাধী ?

উত্তর – রেজিস্টার্ড ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বাংলাদেশে এন্টিবায়োটিক কিনে নেয়া নিষেধ নাই । ঔষধ প্রশাসন বলে একটা বিভাগ আছে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তাদের এমন আইন সম্ভবত নাই ।



যারা বিদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার গুণগান করতে গলা ফাটান তারাও কিন্তু নিজেরা সরকারী ডাক্তারের কাছে ৫ টাকা দিয়ে প্রেসক্রিপশন করান না অথবা বেসরকারি ডাক্তারের কাছে ৩০০ টাকা ভিজিট দিয়ে প্রেসক্রিপশন নেন না ।

ঠিক ই এন্টিবায়োটিক কিনে নেন দোকানদারের পরামর্শ মত । এই যে এন্টিবায়োটিকের এত সহজলভ্যতার সাইড এফেক্ট বা ভয়াবহতা নিজেরা আঁচ করতে পারেন না । তাই হয়ত এ নিয়ে ভোক্তাশ্রেণী থেকে কখনো প্রতিবাদ ওঠেনা । কিন্তু শেষ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স এর জন্য অসুখ ভাল না হলে দেশি ডাক্তারের দোষ , হাসপাতালের দোষ ।



বিদেশে কিন্তু ওভার দা কাউন্টার ড্রাগ ছাড়া আর কোন ঔষধ প্রেসক্রিপশনের বাহিরে কেনা যায়না ।



“ নকল ঔষধ “



আমাদের গরীব জনগণ কিন্তু রেজিস্টার্ড ডাক্তার কে দেখিয়ে এলেও ছোকরা মত এম , বি, বি , এস ডাক্তার ঠিক ঠাক ঔষধ দিল কিনা দেখিয়ে নেয় দোকানদার কে । আর এই সুযোগে প্রেসক্রিপশন বদল হয়ে যায় ।

“ আরে নেন কোম্পানি ভিন্ন হইলেও ঔষধ একই “ । রোগী একই দাম দিয়ে নকল ঔষধ কিনে খায় । নকল ঔষধে ঔষধের পরিমাণ ঠিক মত থাকেনা , রেজিসটেন্স ডেভেলাপ করে । আবার নামী দামী কোম্পানির ঔষধ ও নকল হয়ে যায় ।



কয়েকদিন আগেই টিভিতে দেখলাম নাভানা নামের ঔষধ কোম্পানিতে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ হয়ে কাজ করত জগন্নাথ ভার্সিটি থেকে ম্যাথ এ মাস্টার্স করা এক যুবক । কিছু দিন পরে নিজেই পুরান ঢাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে নিজেই শিশুদের এন্টিবায়োটিক এর নকল বের করে নাভানার মোড়কেই বোতল জাত করছে ।

পুলিশ তাকে আটক করেছে তার সরঞ্জাম সহ । সে মিটফোর্ড থেকে নকল ঔষধ তৈরির জিনিস পত্র কিনত আবার ঔষধগুলো তৈরি করেও মিটফোর্ডে বিক্রি করতো ।



আর এখন অন্যান্য ভাল ভাল কোম্পানির বিখ্যাত ঔষধগুলো যেগুলির উপর ডাক্তার রা চোখ বন্ধ করে আস্থা রাখতেন , তাও নকল হয়ে যাচ্ছে । ওগুলি এতই নিখুঁত, আমাদের দেশের নকল বাজদের প্রতিভা আছে বলতে হবে ; কেউ ধরতে পারেনা বাহির থেকে । আপনি ঔষধ খান আর ডাক্তারকে গালি দেন কি ঔষধ দিল । আবার ডাক্তার রাও অনেক সময় খুব বিপাকে পড়েন রোগী নিয়ে , রোগীকে কি ঔষধ দিবেন , সে তো সব গ্রুপের ঔষধই খেয়ে এসেছে ।



“ নিম্ন মানের ঔষধ আর মুনাফা লোভী ঔষধ কোম্পানি আর কিছু ঘুস খোর অমানুষ “



একজন ডাক্তার কি নিম্ন মানের ঔষধ লিখেন ? যেই ঔষধ ডাক্তার তার নিজে বা নিজের পরিবারকে খাওয়ানোর জন্য সিলেক্ট করবেননা সেই ঔষধ কিন্তু ঘুস , মাসিক মোটা অংকের টাকা , উপহার সামগ্রী দিয়ে লিখিয়ে নেয়া সম্ভব । তবে আমি বিশ্বাস করতে চাই এম, বি,বি,এস ডাক্তাররা এমন কাজ কখনো করবেন না । যদিও এ বিশ্বাস কত টাই বা কাজের। অসত মানুষ আছে সব প্রফেসনে।



কিছু দিন আগে কোন এক পত্রিকায় এসেছিল কোন কোন কোয়াককে কোন কোন ঔষধ কোম্পানি থেকে কত টাকা নিয়েছে । খবর টাকে একটু উলটে পরিবেশন করলে এমন হয় , কোন ঔষধ কোম্পানি তাদের লো কোয়ালিটির ঔষধ চালানোর জন্য কোন কোয়াককে কত ঘুস দিয়েছে । ঘুস দিয়ে একদুই ডোজ সেফট্রাএক্সন রোগীর গায়ে মেরে দিলেও তারা খুশি । সেল তো বাড়ল ।



ঔষধ কোম্পানি সবচেয়ে বেশি ঘুস বাণিজ্য করে থাকে ক্লিনিকের মালিকের সাথে । মোটা অংকের ঘুস দেয় নিজেদের ঔষধের বাজার ধরার জন্য । আর তখন আপনার ফিজিসিয়ান যেই ঔষধই লিখুক না কেন নার্স দেয়ার সময় ক্লিনিকের সরবরাহ করা ঔষধ টাই দিবে ।



এইসব নকল ঔষধ , ভেজাল ঔষধ দেখার দায়িত্বে কার সেই ঔষধ প্রশাসনের । কোয়ালিটি ঠিক মত আছে কিনা । আমাদের দেশে এগুলি দেখার কেউ নাই কারণ পর্যাপ্ত লোকবল নাই । কিন্তু সময় এসেছে সরকারের নড়েচড়ে বসার । এটা দেখা আমাদের বিবেকবান মানুষের জন্য অনেক পেইনফুল , অনেক কষ্ট করে যে টাকা জোগাড় করে ঔষধ কেনার জন্য সেটা বেনামী কোম্পানির আটা ময়দার গোল্লা ছাড়া আর কিছু থাকেনা ।



সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে তাকালে দেখা যায় কমিউনিটি ক্লিনিকেও সাপ্লাই আছে এন্টিবায়োটিকের । সেখানে কোন রেজিস্টার্ড ডাক্তার এর পোস্ট নাই “ পেটে ব্যথা ? নে ঔষধ টা দুইবেলা খা ।“ কেন ভাই পেটে ব্যথা , অসুখটা কি তার কোন খবর নাই । সার্ভিস প্রোভাইডরা দিয়ে যাচ্ছেন এন্টিবায়োটিক ।

সরকার ৬ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়ার ফলে সাব সেন্টার পর্যন্ত পৌঁছে গেছে রেজিস্টার্ড এম ,বি,বি, এস । নিজ এলাকায় বেশির ভাগের পোস্টিং হওয়াতে কাজ করার জন্য নতুন জেনারেশনের এই ডাক্তারদের আগ্রহের সীমা নেই । টেবিল চেয়ার , ইলেক্ট্রিসিটি , বাসস্থান , নিরাপত্তা , নিজস্ব বেতন কাঠামো বহু কিছুর অভাব একদিন ঠিক করে দেবে এই সরকার , এই আশায় বুক বেঁধে তরুণ ডাক্তার রা কাজ করতে চায় ।



আমার মনে হয় ডাক্তারের অভাবে যে এন্টিবায়োটিক একদিন জীবন বাঁচানোর তাগিদেই সরকার কে ননমেডিকেল পারসন দের হাতে তুলে দিতে হয়েছিল , আবার জীবন বাঁচানোর তাগিদেই তা ফিরিয়ে নিয়ে রেজিস্টার্ড ডাক্তারের হাতে দেয়ার সময় এসে গেছে । প্রিভেন্টিভ মেডিসিন, যা অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ তা অন্যদের হাতে রাখা যায়।



গরীব জনগোষ্ঠীর ডাক্তারদের হাতে সবসময় কালচার সেন্সেটিভিটি নামের মূল্যবান টেস্ট করে ঔষধ দেয়ার সুযোগ কম । তার উপর এই টেস্ট করার ব্যবস্থাও সবজায়গায় নেই । তবুও শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড ডাক্তারের হাতে এন্টিবায়োটিক ছেড়ে দিলে এর যথেচ্ছ , আণ্ডার ডোজ , ওভার ডোজ ট্রিটমেন্টের ঝুঁকি কমে ।



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে । এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে জীবাণু ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। এতে অচিরেই খুব সাধারণ সংক্রমণ, সামান্য কাটাছেঁড়া থেকে মৃত্যু হবে মানুওষের। বিশ্বের ১১৪টি দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।প্রতিবেদনে ‘অ্যান্টিবায়োটিক-পরবর্তী যুগ’ বলে একটি কথা ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, খুব দ্রুত যদি এ ব্যাপারে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে বিপর্যয় এড়ানো অসম্ভব হয়ে উঠবে।



প্রতিবেদনে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও রক্তের সংক্রমণের জন্য দায়ী সাতটি আলাদা ধরনের ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করা হয়।বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের রোগীদের ওপর দুটি প্রধান অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে দেখা গেছে, এগুলো আর কাজ করছে না। এদের একটি কার্বাপেনেম। নিউমোনিয়া, রক্তে প্রদাহ ও নবজাতকদের দেহে প্রদাহের মতো রোগ নিরাময়ে এই অ্যান্টিবায়োটিকটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।বলা হচ্ছে, এ ধরনের ওষুধ বেশি ব্যবহার করায় এবং রোগীরা ওষুধ ঠিকমতো না খাওয়ায় জীবাণু ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে।



কেজি ফুকুদা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে সবার সমন্বিত চেষ্টা দরকার। কারণ বিশ্ব এখন অ্যান্টিবায়োটিক পরবর্তী যুগে প্রবেশ করতে চলেছে। খুব সাধারণ সংক্রমণ, সামান্য কাটাছেঁড়া থেকে মানুষ মারা যাবে। অথচ শুধু অ্যান্টিবায়োটিক থাকায় এ রোগগুলো খুব সহজেই সারত বা সেরেছে এতকাল।





বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, একদিকে আরও নতুন নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে সরকার ও সাধারণ মানুষের উচিত হবে অ্যান্টিবায়োটিকের সুচিন্তিত ব্যবহার নিশ্চিত করা।





সবশেষে সরকারের কাছে কিছু সুপারিশ ঃ

১) প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওভার দা কাউন্টার ড্রাগ ব্যতীত অন্যান্য ঔষধ এর বিক্রি বন্ধ করা ।

২) রেজিস্টার্ড ডাক্তার ছাড়া এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন বন্ধ করা ।

৩) ঔষধ কোম্পানির ঔষধের গুনগত মান তদারকি করা ।

৪) ব্যাঙ্গের ছাতার মত ঔষধ কোম্পানি গজিয়ে ওঠা বন্ধ করা ।

৫) ব্যাঙ এর ছাতার মত ঔষধের দোকান গজিয়ে ওঠা বন্ধ করা যাদের প্রশিক্ষণ ও ড্রাগ লাইসেন্স নেই ।

৬) সরকারী প্যাথলজি ল্যাবে কালচার সেনসিটিভটি টেস্ট করার ব্যবস্থা রাখা ।

৭) নকল ঔষধ সনাক্ত করণের জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা

৮) নকল ঔষধ উৎপাদন , বাজার জাত আর সংরক্ষণকারীদের কঠোর শাস্তি প্রদান করা ।

৯) সবশেষে সরকারের হাতিয়ার এম, বি,বি,এস ডাক্তারদের জনগণের দ্বার গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেবার জন্য তাদের কর্ম ক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যা , বাসস্থানের সমস্যা , নিরাপত্তা , যাতায়াতের সমস্যা, আলাদা বেতন কাঠামো , প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করে সেবামূলক কাজে উৎসাহিত করা । আমার নিজের সেন্টারেই টেবিল চেয়ার লাইট ফ্যান, রোগীদেখার বেড কিছুই নাই। কিভাবে রোগী দেখব? নিরাপত্তাহীন তা তো আছেই। সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি।











** এন্টিবায়োটিক রেজিস্টটেন্স কিভাবে করে ফেলে ব্যক্টেরিয়া, এটা আমাদের জন্য ব্লগার আহমেদ জি এস

ব্যখ্যা করেছেন ৩৮ নং মন্তব্যে অতি প্রাঞ্জল ভাষায়। :)



**ফা হিম ভাই ৬৩ নং মন্তব্যে সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন কেন সমাজের এক অংশের কারণে জীবানু এন্টিবায়োটিক রেজিস্টটেন্স ডেভেলপ করলেই অন্যরাও ক্ষতিগ্রস্থ। আসলে এজন্যই আমরা চিন্তিত।

**রোগী হিসেবে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টটেন্স প্রতিরোধে করণীয় কি তাও আলোচিত হয়েছে।





কৃতজ্ঞতায় : প্রথম আলো, গুগল, টিভির টকশো, টিভির অনুসন্ধানী পোগ্রাম, গ্রামের অসহায় মানুষ, অনেক নবীন স্বাস্থ্য ক্যাডারের ডাক্তার।

মন্তব্য ১৮৭ টি রেটিং +৩১/-০

মন্তব্য (১৮৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

না পারভীন বলেছেন: লেখা নির্বাচিত তো অবশ্যই এমনকি স্টিকি করার জন্য ও আবেদন রইলো । অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট । আমরা ডাক্তাররা চিন্তিত কিভাবে অদূর ভবিষ্যতে জনগণকে চিকিতসা দেব :(

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৯

না পারভীন বলেছেন: পোস্ট মোবাইল থেকে লিংকে ক্লিক করলে দেখা যায় না, এতে মোবাইল ভিউ এর প্রথম পাতায় চলে আসে

ডাক্তার সমাজ তো ব্যস্ত, বেশি কেরাকিচি করে ঝামেলা দেখলে পড়া বাদ দেয়, আর পোস্ট শেয়ার দাতার জন্য ঝাড়ি বরাদ্ধ রাখে। প্লিজ জানা আপা এ সমস্যার সমাধান করুন।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++++++

আমি ইউকেতে থাকাকালীন একরকম আলসেমি করেই আমার জিপি'র কাছে না গিয়েই প্রেসক্রিপশন ছাড়াই গিয়েছিলাম ফার্মেসিতে দুই তিনটা নাপা জাতীয় কিছু পাওয়া যায় কি না , ঠাণ্ডা জ্বর ছিল । ওরা আমাকে দেয় নি , উল্টো ব্যাবস্থাপত্র না থাকায় নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত করে । শেষে একটা সুপার শপ থেকে ( আইসল্যান্ড) ভিটামিন সি জাতীয় একটা প্যাক কিনে খেলাম , যদি কমে । পরদিন জিপি'র কাছে যেতে হয়েছিলো , আলসেমিতে লাভ হয় নি ।

যাই হোক , এই বিষয়ে আমাদের সচেতন হওয়া উচিৎ , সরকারেরও ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ ।

পোস্ট স্টিকি করা যেতে পারে ।

ভালো থাকবেন সবসময় :)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৬

না পারভীন বলেছেন: জ্বী, এই পোস্ট অবশ্যই স্টিকি হবার দাবী রাখে। আমরা সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

না পারভীন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যটি আমার কারণে মুছে গেছে। থ্যানক্স ভাইয়া :)

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:




শুভ জন্মদিন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুর ভাই।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০০

আমিনুর রহমান বলেছেন:




ঢাকার বাইরে এবং ব্লগে সময় দেয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় নেই তাই বিস্তারিত কমেন্ট করলাম না। পোষ্ট পড়লাম। গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট তবে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনার আছে। ঢাকায় ফিরে আবার আসবো আপনার পোষ্টে।



পোষ্টে +++

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

না পারভীন বলেছেন: আলোচনা করেন, সমস্যা নাই ;)

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৪

ভারসাম্য বলেছেন: শুভ জন্মদিন!

সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ লেখা। স্টিকি করা হোক।

শুভকামনা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩০

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ অভি :)

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২৮

ইয়ার শরীফ বলেছেন: শুভ জন্মদিন




গুরুত্বপূর্ণ লেখা। স্টিকি করা হোক। পোষ্টে +++

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

না পারভীন বলেছেন: সুন্দর কেক। :)ধন্যবাদ শরীফ ভাইয়া।
পোস্ট স্টিকি করা হোক।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।

পোস্টটি স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫০

না পারভীন বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করার জন্যই লিখেছি। তা না হলে মাস পিপল আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর দৃষ্টি পড়বেনা
ধন্যবাদ ভাইয়া :)

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৪

সাাজ্জাাদ বলেছেন: শুভ জন্মদিন।

খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক।

আমি একজন ফার্মাসিস্ট। বর্তমানে দেশের বাহিরে কাজ করছি। এখানে দেখেছি ওষুধ ব্যাপারটা তারা কিভাবে মেইনটেন করে। OTC ড্রাগ ছাড়া অন্যান্য ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া কল্পনা-ও করা যায় না। এবং ওষুধ হ্যান্ডেলিং এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ট্রেনিং লাগে।

বাংলাদেশে থাকাকালীন দেখেছি মানুষ মুরির মতো অ্যানটিবায়তিক খায়।

পরিশেষে সরকারের কাছে সুপারিসে আরও একটি বিষয় যোগ করার অনুরোধ রইল-------

পর্যাপ্ত ট্রেনিং ও লাইসেন্স ছাড়া যত্রতত্র ফার্মেসী শপ এর অনুমোদন না দেয়া।

ভালো থাকবেন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

না পারভীন বলেছেন: লাইসেন্স ছাড়া দোকান খোলা যাবেনা এটা সরকারি আইনে আছে। খুব সম্ভব ট্রেইনিং এর কত

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

না পারভীন বলেছেন: কথাও আছে আইনে। আইনের প্র য়োগ নেই এই আরকি
৫ নং সুপারিশ টা এই রিলেটেড। এডিট করে সুন্দর করে দিব।
ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই।

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৬

সুমাইয়া আলো বলেছেন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

তথ্য বহুল লিখা। ঔষুধের সাথে যেহেতু আমি জড়িত সেহুতু আমি জানি কত প্রকার ভাবে ঔষুধ নকল হয়ে বাজার আমার জানা আছে। তবে এখানে যত না দোষ ফার্মেসী ওয়ালাদের আছে তার চাইতে বেশি দোষ আছে হেলথ মিনিষ্টিরির কেননা তারাই অনুমটি দেন ঐ সকল কোম্পানিকে মার্কেটিং করার জন্য। আমাদের হত আইডিয়াই নাই স্ব্যায়ার বা ভাল কম্পানির এক একটি এন্টোবায়োটিক যেখানে ৩৫/- টাকা সেখানে একমাস বা নকল কোম্পানির ১২/- টাকায় ৮টি পাওয়া । আর সেইগুলোতে কতখানি কাজ হবে আল্লাহ মাবুদ জানেন।

আর একজন ফার্মেসীর ঔষুধ বিক্রেতা চাইবেন লাভ করতেই। তবে জনগণের সচেতন করা ছাড়া কোন উপায় নাই।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

না পারভীন বলেছেন: সরকারের বিশাল দায়িত্ব আছে
ধন্যবাদ আলো আপুনি।

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪০

সুমাইয়া আলো বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করা হোক।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ, কর্তৃপক্ষ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

ওনাসিস বলেছেন: ধন্যবাদ খুব ভাল পোসট এর জন্য। তবে খালি কোয়াাকরা টাকার লোভে ওষুদ দেন না। এমবিবিস ডাকতার সাহেবরা ও এই কাজ করেন। তাদের ও যারা করান তাদের বিরুদে এও কঠোর ব্যবসতা নেয়া দরকার।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২৪

না পারভীন বলেছেন: অবশ্য ই শাস্তি দেয়া উচিৎ। ওনাসিস ভাই, ধন্যবাদ।

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:১৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: পোষ্টের প্রথম অংশটা মন ছুয়ে গেছে। ঐটুকু পড়ার পরে ঐ মূহুর্তে নিচের অংশটা পড়ার মতো মনের অবস্থা ছিল না আর। অনেকক্ষন পরে আবার পুরো পোষ্টা পড়লাম।

বেশীর ভাগ ডাক্তারের কাছে একটা রোগী প্রাক্টিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট বা একটা সাবজেক্ট। সেখানে মানুষের যে আবেগ বা বেদনা থাকে সেটা খুব ডাক্তারই উপলব্দি করতে দেখেছি। আপনার লেখনিতে আপনার যে অনুভুতি ফুটে উঠেছে যেটা ঠিক ডাক্তার সুলভ মনে হল না। জীবন মৃত্যুকে এত কাছ থেকে দেখেন, তবু এত আবেগী হন কিভাবে?


পোষ্টের বিষয়বস্তু আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে খুবই কমন কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ন ইস্যু। বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগত করার জন্য আপনার প্রচেষ্টার সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আপনার কি মনে হয় এই বিষয়গুলো সরকার জানে না? আমার ছোট ভাই এবার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে অনার্স ফাইনাল দিল। সে একটা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি। তিন বছর যাবত সে প্রতিদিন ষাট থেকে সত্তর জন রোগীকে ডাক্তারি সেবা দিয়ে থাকে। এটা সরকারী উদ্যোগ। আমি আপনি কি বলবো???


শুভ জন্মদিনে দারুন একটা পোষ্ট নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ দিচ্ছি।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪১

না পারভীন বলেছেন: হুম, আবেগী হই কারণ এ মৃত্যু টি হবার কথা ছিলনা। ডাক্তার রা অনেক মন খারাপ করে কিন্তু কাউকে বলার নাই। আমি যতবার বানান ঠিক করার জন্য অই লাইন গুলো পড়েছি, তত বার ই চোখ আদ্র হয়ে গেছে।

CHCP র এত স্বল্প মেয়াদী কোর্স, তাদের পক্ষে কিভাবে গ্রাম পজেটিভ, গ্রাম নেগেটিভ, এনারোবিক অর্গানিজম বুঝা সম্ভব। এন্টিবায়োটিক বাদ দিয়্এ অন্য চিকিৎসা তাদের হাতে দেয়া যায়। সরকারের এ ব্যপারে ভেবে দেখার সময় এসেছে। অবস্থা কতটা ভয়াবহ এই বিশাল পোস্ট আমি আরো বিশাল করলাম না। শুধু দেখে ই যাই।

১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২৮

আবু শাকিল বলেছেন: অনুসরণ করলাম।

গুরুত্বপূর্ণ সচেতনমূলক পোষ্ট ।

পোষ্ট স্টিকি হওয়ার যোগ্য ।

" সবশেষে সরকারের কাছে কিছু সুপারিশ ঃ

১) প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওভার দা কাউন্টার ড্রাগ ব্যতীত অন্যান্য ঔষধ এর বিক্রি বন্ধ করা ।

২) রেজিস্টার্ড এম, বি,বি,এস ছাড়া এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন বন্ধ করা ।

৩) ঔষধ কোম্পানির ঔষধের গুনগত মান তদারকি করা ।

৪) ব্যাঙ্গের ছাতার মত ঔষধ কোম্পানি গজিয়ে ওঠা বন্ধ করা ।

৫) ব্যাঙ এর ছাতার মত ঔষধের দোকান গজিয়ে ওঠা বন্ধ করা ।

৬) সরকারী প্যাথলজি ল্যাবে কালচার সেনসিটিভটি টেস্ট করার ব্যবস্থা রাখা ।

৭) নকল ঔষধ সনাক্ত করণের জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা

৮) নকল ঔষধ উৎপাদন , বাজার জাত আর সংরক্ষণকারীদের কঠোর শাস্তি প্রদান করা ।

৯) সবশেষে সরকারের হাতিয়ার এম, বি,বি,এস ডাক্তারদের জনগণের দ্বার গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেবার জন্য তাদের কর্ম ক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যা , বাসস্থানের সমস্যা , নিরাপত্তা , যাতায়াতের সমস্যা, আলাদা বেতন কাঠামো , প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করে সেবামূলক কাজে উৎসাহিত করা । "


সরকার নজরে নিলে খুশি হই।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল ভাই।

১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: জনগুরুত্বপূর্ণ চমৎকার এই পোস্টের জন্য প্রথমেই আপাকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিচ্ছি ।

এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার নিয়ে কারো দ্বিমত নেই । এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্সের জন্য মুলত দায়ী হলো কেমিস্ট এবং গ্রাম্য ডাক্তার । একই সাথে আমাদের সচেতনতার অভাবও এর জন্য কমবেশি দায়ী । তবে একটু গভীরে তাকালে এমবিবিএস পাশ জিপিদের দায়ও এড়ায় না । বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বন্ধুদের সাথে আলাপকালে এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার নিয়ে ওদের অসহায়ত্ব চোখে পড়ে । একজন রোগী জিপি লেভেলে যেসব এন্টিবায়োটিক নিয়ে আসে, রেফার হয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছে আসার পর তাদের দেয়ার মত কোন ওষুধ থাকেনা । অবশ্য জিপিদেরও একই কমপ্লেইন, কোয়াকদের কাছ থেকে হায়ার এন্টিবায়োটিক নিয়ে আসার পর তাদেরও নাকি কিছু করার থাকেনা ।

ঔষধ কোম্পানীর ঘুষবানিজ্যের মত আড়ালের খবরও আপনি দিয়েছেন । এজন্য মুলত কোয়াক আর ক্লিনিক মালিকদের দায়ি করেছেন । আপা, এরা মাত্রই চুনোপুটি । জিপি, স্পেশালিস্ট থেকে শুরু করে দেশবরেণ্য প্রোফেসর কারা ঔষধ কোম্পানীর কাছে বিক্রি হচ্ছেন না । অবশ্য সবাই এ কাজটি করেন না, তবে তাদের সংখ্যাটা নেহাত অল্প । যাইহোক, এ বিষয়ে আলাপ করাটাও বিব্রতকর । চোখকান খোলা রেখে ব্যাপারটি খেয়াল করলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন । ওহ হ্যাঁ, এই অবৈধ বানিজ্যের সাথে ঔষধের অপব্যবহার সরাসরি জড়িত ।

চমৎকার এই পোস্টের জন্য আবারও আপনাকে ধন্যবাদ আপু ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য পোস্ট টি স্টিকি করার আবেদন জানাই মডারেশনের কাছে ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

না পারভীন বলেছেন: এম,বি,বি,এস কথা টি দিয়েই এলোপ্যাথি র জুনিয়র টু সিনিয়র সবাইকে বুঝানো হয়েছে। আলাদা করে প্রফেসর, বা কোন পোস্ট বুঝানো হয় নি


বেশির ভাগ ডাক্তার ই অকারণ এন্টিবায়োটিক কম লিখেন। এটা বহুল প্রচলিত কথা ডাক্তার রা অকারণ এ বেশি বেশি ঔষধ লিখেন কোম্পানির টাকা খেয়ে।

অনেকে আবার বিদেশি চিকিৎসার সাথে বাংলাদেশের চিকিৎসা তুলনা দিয়ে বলেন, বিদেশে অমুক অসুখে কোন এন্টিবায়োটিক দেয়া হয় না, আমাদের দেশে দেয় কেন?

আসলে আমাদের মত গরীব, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এর অসুখ বিসুখ আর বিদেশের অসুখ বিসুখ আলাদা।
অনেক মডিফিকেশন আছে আমাদের জন্য। এমন কি মেডিকেল বই গুলোর ও আলাদা রকমের সংস্করণ আছে এই দক্ষিন এশীয় জোনের জন্য।

ধন্যবাদ মামুন ভাই।

১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: দরকারী পোস্ট। এ্যন্টিবায়োটিকের রিয়াকশন নিয়েও কিছু তথ্য দরকার । কিছুদিন আগে আমার এক আত্মীয়র বাচ্চাকে সেফ ৩ ঔষধ দেবার পর সারা গায়ে ছোট ছোট দানায় ভরে যায় সেসব আবার ধীরে ধীরে বড় হয়ে ভয়ংকর অবস্থা ধারণ করে।
শুভকামনা জানবেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। মাথায় রাখলাম।

১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন জনসচেতনতামূলক পোষ্ট । আপনার পরামর্শগুলোয় সরকার সদয় দৃষ্টি দেবেন আশাকরি ।

সুন্দর সাবলীল উপস্থাপনের জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা । :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০০

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:১৬

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: ছুরি চাকু দিয়ে মানুষ মারলে সেটা খুন / খুনি বলে বিবেচিত হয় , টুকটাক বিচার হয়তো আমরা দেখি অথচ এইভাবে ঠান্ডা মাথায় হাজার লক্ষ মানুষ কে মেরে ফেললেও কিছু হয়না কারো, বলা হয় সসচেতনতার অভাব !!


।এই পোস্ট অবশ্যই স্টিকি করা উচিত

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০১

না পারভীন বলেছেন: তুমি বললে সবই ঠিক ;)

১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৩

তন্ময় দেবনাথ 007 বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।

১৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার প্রসারে ,কোয়াক আর ঔষধের দোকানীরা বেশী দায়ী ।
এরা না যেনেও রোগীদের এন্টি বায়োটিক দেয় , ডোজ ও দেয় আনকমপ্লিট ।
এব্যাপারে অনেক সময় ডাক্তার রাও রোগিদের সচেতন করেনা ।
রোগীদের বলে দেয়া দরকার , রোগ সেরে গেছে মনে হলেও যেন ডোজ টা কমপ্লিট করে ।
সচেতনতা মূলক পরিশ্রমী পোস্টের জন্য আপনাকে অভিনন্দন ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১২

না পারভীন বলেছেন: পোস্ট লিখে বিপাকে আছি। এটা নাকি এম,বি,বি,এস স্বার্থান্বেসী পোস্ট :( :(

২০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: "এইসব নকল ঔষধ , ভেজাল ঔষধ দেখার দায়িত্বে কার সেই ঔষধ প্রশাসনের । কোয়ালিটি ঠিক মত আছে কিনা । আমাদের দেশে এগুলি দেখার কেউ নাই কারণ পর্যাপ্ত লোকবল নাই । "

অথচ আমাদের দেশে বেকার লোকের অবাব নেই।

আমার চিন্তায় আসে না মানুষ কেন ডাক্তারী পড়ে। যেখানে আমাদের আবুল ভাই, মফিজ ভাই, আরো কত ভাই এস এস সি পাশ না করেও ওনাদের দেয়া ঔষধেই মানুষ বাল হয়ে যাচ্ছে আর যাদের হায়াৎ নেই তারা মারা যাচ্ছে।



" সবশেষে সরকারের কাছে কিছু সুপারিশ ঃ

১) প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওভার দা কাউন্টার ড্রাগ ব্যতীত অন্যান্য ঔষধ এর বিক্রি বন্ধ করা ।

২) রেজিস্টার্ড এম, বি,বি,এস ছাড়া এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন বন্ধ করা ।

৩) ঔষধ কোম্পানির ঔষধের গুনগত মান তদারকি করা ।

৪) ব্যাঙ্গের ছাতার মত ঔষধ কোম্পানি গজিয়ে ওঠা বন্ধ করা ।

৫) ব্যাঙ এর ছাতার মত ঔষধের দোকান গজিয়ে ওঠা বন্ধ করা ।

৬) সরকারী প্যাথলজি ল্যাবে কালচার সেনসিটিভটি টেস্ট করার ব্যবস্থা রাখা ।

৭) নকল ঔষধ সনাক্ত করণের জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা

৮) নকল ঔষধ উৎপাদন , বাজার জাত আর সংরক্ষণকারীদের কঠোর শাস্তি প্রদান করা ।

৯) সবশেষে সরকারের হাতিয়ার এম, বি,বি,এস ডাক্তারদের জনগণের দ্বার গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেবার জন্য তাদের কর্ম ক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যা , বাসস্থানের সমস্যা , নিরাপত্তা , যাতায়াতের সমস্যা, আলাদা বেতন কাঠামো , প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করে সেবামূলক কাজে উৎসাহিত করা । "



একমত



পোষ্টটি স্টিকি করা হোক

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

না পারভীন বলেছেন: বেকার দের চাকরি দেয়া দরকার
বিনীত ধন্যবাদ ইমতিয়াজ ভাইয়া।

২১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

মদন বলেছেন: ++++++++++++

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ মদন ভাইয়া।

২২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: জাফরুল মবীন এর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে যা জানা খুবই জরুরী পোষ্টটি একটি স্টিকি পোষ্ট তাই লেখার শেষাংশে আপনার এই পোষ্টের লিংকটা দেয়ার অনুরোধ করেছি।

ভুল হল কি ?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

না পারভীন বলেছেন: পুরাই আলাদা প্রসংগ ।


একসময় জানা আপার নজর পড়লে এমনিতেই করবে চিন্তা নাই। আপনার প্রচেষ্টা র জন্য বিনীত
ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ঈদ মুবারাক নার্গিস !!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

না পারভীন বলেছেন: আপনি কি আসলে আমার বড়? গত কাল আমার বার্থ ডে গেছে। বয়সে ভারে ব্লগ ভেংগে পড়েছে


আপনি যে আমাকে একটু ইজ্জত টিজজত না দিয়া নাম ধরে ডাকাডাকি করতেছেন ব্যপার খানা কি? ইহা কি ব্লগীয় ভদ্রতা নাকি আসলেই আপনি সিনিয়র ;) :)

২৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন:


ঈদ মুবারাক নার্গিস আপা !! আপা ডাইকা আপনার ইজ্জত বাড়ায়া দিলাম । নামধরে ডেকে আপনাকে বেইজ্জত করারা জন্য দূক্ষিত ;) ;)


আমি ডাক্তারদের নামধরে ডাকতে পছন্দ করি। অভ্যাস



০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

না পারভীন বলেছেন: জুনিয়র বাচ্চা হইয়া নাম ধইরা ডাকলে কান মলা প্রাপ্য।

২৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১২

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আপনার আমাকে কখনই চেনার কোন সম্ভাবনা নাই !!! =p~ =p~ =p~ =p~

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

না পারভীন বলেছেন: :) :) :)

২৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১২

হাসমত০০৯ বলেছেন: দেশে একটি নামকরা ওষুধ কোম্পানী তে কাজ করার সুবাদে দেশের ফার্মা মার্কেটের প্রকৃত অবস্থা দেখার সুযোগ হয়েছিল । প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার মার্কেট হওয়া সত্ত্বেও মার্কেট প্রায় স্যাচুরেটেড হয়ে যাওয়ার কারনে এবং প্রায়ই নিত্যনতুন কোম্পানির আবির্ভাবের ফলে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি পড়তে হচ্ছে ফার্মা কোম্পানিগুলোকে । বড় প্রায় সব কোম্পানিই ডাক্তার এবং কেমিস্টদেরকে মাসিক ভিত্তিতে মাসোহারা দেয় । কেউ কেউ সরাসরি নগদ অর্থ না দিলেও নানারকমের দামী দামী গিফট দিয়ে সেটা পুষিয়ে দেয় ।

ফলাফল কি দাড়াচ্ছে আমরা দেখতেই পাচ্ছি । এদিকে আমেরিকাতে প্রেসক্রিপশন ড্রাগ এমনিতে না কেনা গেলেও ওটিসি তে যে পরিমাণ ড্রাগ পাওয়া যায় তার পরিমাণও কম নয় । এন্টি হিস্টামিন প্রায় সবই, জ্বর ব্যথার জন্য এসিটামিনোফেন, অ্যাসপিরিন এমনকি ন্যাপ্রোক্সেনও ওটিসি তে পাওয়া যায় ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২২

না পারভীন বলেছেন: এত কোম্পানি বলেই মনিটরিং অসম্ভব । ধন্যবাদ হাসমত ভাই।

২৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ এবং জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। এই বিষয়টি ভুক্তভোগী'রা ভালো জানে। আমাদের দেশে ঔষধ কেনা হয় রোজকার বাজার সদাইয়ের মত। জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট অবশ্যই স্টিকি হওয়ার দাবী রাখে, মডারেটরদের ঈদ শেষ হলে দেখতে পাবো আশা করি।

ঈদের শুভেচ্ছা নিবেন আপু, উৎসবের সময়গুলো ভালো কাটুক।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য ও শুভকামনা :)

২৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

না পারভীন বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করার জন্য জানা আপুকে অনেক ধন্যবাদ।

২৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি হইল।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮

না পারভীন বলেছেন: :) :) :)
ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

লাবনী আক্তার বলেছেন:
খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।


আইনের কঠোর প্রয়োগই পারে এসব দূর্নীতি বন্ধ করতে। আমাদের দেশে কবে যে আইনের কঠোর প্রয়োগ হবে আল্লাহই ভাল জানেন। প্রত্যেকটা সেক্টরে দূর্নীতি ঢুকে গেছে। মানুষের নীতিবোধ কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ লাবনী। আইন লাগবে, লোকবল লাগবে, লজিস্টিক সাপোর্ট লাগবে।

৩১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

এম ই জাভেদ বলেছেন: আমরা বসবাস করছি ভেজালের রাজ্যে , আপনি গাঁটের পয়সা খরচ করে ভাল কোম্পানির দামি ওষুধ কিনেও নিশ্চিত হতে পারবেন না এটা আসল না ডুপ্লিকেট- ভেজাল্কারিরা আসলেই এ বিষয়ে প্রতিভাবান। তো এসকল প্রতিভাবান দের দৃষ্টান্ত মুলক সাজা দিতে না পারলে এ সমস্যা থেকেই যাবে। আমাদের অসচেতনতা আর নিজের উপর ডাক্তারি বিদ্যা ফলানোর আত্মঘাতী অভ্যাস এন্টিবায়োটিক রিজিস্টেন্সের অন্যতম প্রধান নিয়ামক।

আপনি যে ব্রয়লার মুরগির মাংস খাচ্ছেন তাতে কি এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে তা ভেবে দেখুন- আজকাল সিপ্রফ্লক্সাসিন ও অনেকের দেহে কাজ করতে চায়না- ব্রয়লারে উহার ব্যবহারই এর অন্যতম কারন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

না পারভীন বলেছেন: জ্বী, একেবারে খাঁটি কথা বলেছেন। সিপ্রোফ্লক্সাসিন খুব কম কাজ করে।।

৩২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: না পারভীন ,





শিরোনামে "দ্য বার্নিং ইস্যু - এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স" বলা হলেও এন্টিবায়োটিক রেজিসট্যান্স কেন হয় এ নিয়ে কিছু বলেন নি । ইনফেক্টিং এজেন্ট বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়ার জেনেটিক মিউটেশানের কারনে যে এটি ঘটে থাকে তা বিশদ করে বললে পাঠকরা বুঝতে পারতেন, কতোটা ভয়ানক এই যত্রতত্র এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার এবং এর অহেতুক আর অনিয়ন্ত্রিত ও অপর্য্যাপ্ত ব্যবহারে সতর্ক হতেন ।
এটা ও বলা যেত, যে দ্রুত হারে ব্যাকটেরিয়াগুলো এন্টিবায়োটিক রেজিসট্যান্স ডেভেলপ করছে ততো দ্রুত হারে মানুষ নতুন নতুন এন্টিবায়োটিক তৈরীতে ব্যর্থ হচ্ছে । কারন একটি এন্টিবায়োটিক আবিষ্কারে সামর্থ্য, বছরের পর বছর সময় লেগে যাওয়া আর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচের একটা ব্যাপার থাকে । তাই মানুষ ব্যাকটেরিয়াগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে এটে উঠতে পারছেনা ।

তবুও দেশের ঔষধ ব্যবসার ও ব্যবহারের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে মানুষের সচেতন হওয়ার জায়গাটি দেখিয়ে দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ।

শুভেচ্ছান্তে ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৩

না পারভীন বলেছেন: আহমেদ ভাই, এখানে মাউক্রোবায়োলজি আলোচিত হয়নি। সামাজিক প্রেক্ষাপট দেখানো হয়েছে। আপনি ধরে ধরে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টটেন্স ঠিক কিভাবে ব্যক্টেরিয়া গুলো করে নিচ্ছে আলোচনা করলে বাধিত হব

আমার পোস্ট এ ওগুলি এড করলে বোরিং আর আসল দাবী ঢাকা পড়ত বলেই করা হয় নি।

ধন্যবাদ।

৩৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

জুন বলেছেন: অনেক এন্টিবায়োটিক এখন রেজিস্টেন্স হয়ে পরেছে ।
কি ভয়ংকর দিন সামনে ।
অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন লেখাটি ষ্টিকি হওয়ায় সামুর কত্রিপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আর আপনার জন্য রইলো শুভকামনা না পারভীন ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৫

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু। ঈদ মোবারক।

৩৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: সাংঘাতিক গুরুত্বপুর্ণ পোস্ট। আপনার সুপারিশগুলো অতীব দরকারী। তবে আমাদের এইটা দুনিয়াতে একমাত্র দেশ যেদেশে কোন প্রকারের আইন টাইন নেই! অষুধ বেচা বা বানানোর জন্য কোন এক্সপার্ট লাগে বলে মনে হয় না।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৭

না পারভীন বলেছেন: আসলেই কিছু লাগেনা বলে মনে হয়
ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ভাইয়া।

৩৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক কিছু জানা হলো। সাধারণ মানুষের তাহলে উপায় কী?


চমৎকার লেখাটির জন্য আপনাকে অভিনন্দন, পারভিন আপা :)
আপনার পোস্টগুলো সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
ব্লগের সম্পদ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

না পারভীন বলেছেন: আমাদের ও প্রচুর ঔষধ কিনতে হয় পরিবারের জন্য নিজের জন্য। ভাল কোম্পানির ঔষধ ও নকল করে ফেলা হচ্ছে, কোনদিকে যাব :(

মইনুল ভাই, সব ব্লগার রাই ব্লগের সম্পদ। আপনি আমার অনেক অনেক প্রিয় ব্লগার। :)

৩৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল পোষ্ট, কাজের পোষ্ট।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ সুজন ভাই। :) :)

৩৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪১

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

সামু কতৃর্পক্ষকে ধন্যবাদ, এমন একটি পোস্ট স্টিকি করার জন্য।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০১

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই। :)

৩৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: না পারভীন ,




৩২ নং মন্তব্যের জবাবে আপনার অনুরোধে, একদম খাস বাঙলায় খানিকটা চেষ্টা করছি লে-ম্যান ষ্টাইলে ।

সার্ভাইভাল অব দ্য ফিটেষ্ট বা বীর ভোগ্যা বসুন্ধরা প্রবাদটির সাথে আপনারা সবাই পরিচিত । আর মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ এবং বুদ্ধিমান তো বটেই । তাই মানুষ বেঁচে থাকে স্বদম্ভে । আপনি মানুষ হিসেবে ক্ষমতার এই দম্ভে কীটানুকীট অতি তুচ্ছ একটি প্রান যার একটি মাত্রই কোষ ( যাকে আমরা বলি ব্যাকটেরিয়া ) তাকে স্ববংশে মেরে ফেলতে এ্যাটম বোমা ( এন্টিবায়োটিক ) বানাবেন আর তারা মুখ বুজে তা সইবে ? তারা মানুষ কে মারতে এ্যাটম বোমার তুলনায় নগন্য গ্রেনেড ছুঁড়ে মারতে না পারুক , নিদেন পক্ষে একটা গুলতিবাঁশের গুলতি তো ছুঁড়তে চেষ্টা করবে , না কি ? তারাও তো প্রানী ।
বেঁচে থাকার অধিকার আর চেষ্টা তো তারও আছে প্রকৃতিগত ভাবেই।

ব্যাপারটি এরকমের - আপনার প্রবল প্রতিপক্ষ যদি আপনাকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে ফেলে আর আপনি যদি তার একটি চুলও স্পর্শ করতে না পারেন তবে কি করেন ? মনে মনে তো গালাগালি দেন , তাইনা ? না হয় , অভিশাপ । আর ভবিষ্যত প্রজন্মকে সাবধান করে দেন ঐ শত্রু সম্পর্কে । যাতে ঐ শত্রুর বিরূদ্ধে তারা শক্তি অর্জন করতে পারে ভবিষ্যতে।

ব্যাকটেরিয়াও কিন্তু ঠিক এই কাজটিই করে । তারা ঝাঁড়ে বংশে মরে গিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে এই মেসেজটি দিয়ে যায় যে , এই রকম দেখতে একটি বোমা ( এন্টিবায়োটিক ) তোমাদের মারতে আসবে , তোমাদের যা যা হাতিয়ার আছে তা নিয়ে তোমরা ঐ শত্রুর মোকাবেলা করো ( আমরা মুক্তিযুদ্ধর সময় যেমনটা করেছি ) । এই মেসেজটিই ব্যাকটেরিয়ার জেনেটিক ( ডি.এন.এ) মিউটেশানের মাধ্যমে আর একদল ব্যাকটেরিয়ার কাছে চলে যায় বংশ পরম্পরায়। তখন সেই ব্যাকটেরিয়াগুলোই ধীরে ধীরে মানুষের বানানো বোমার ( এন্টিবায়োটিক ) বিরূদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কৌশল শিখে ফেলে । আর এটাকেই বলা হয় ব্যাকটেরিয়াল রেজিস্ট্যান্স ।


উদাহরন হিসেবে পেনিসিলিন নামের এন্টিবায়োটিকটির কথাই ধরা যাক । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই এই নতুন এন্টিবায়োটিকটির মারনঘাতী সাফল্যে মানুষ দেদারসে এবং অপরিকল্পিত ভাবে ও অহেতুক এর ব্যবহার শুরু করে দেয় । ব্যাকটেরিয়াগুলো এই পেনিসিলিনের আকার – আকৃতি চিনে ফেলে ধীরে ধীরে । গড়ে তোলে প্রতিরোধ । কয়েক বছর ঘুরতেই দেখা গেল পেনিসিলিন দিয়ে আর কাজ হচ্ছেনা । ব্যাকটেরিয়াগুলো রেজিস্ট্যান্স তৈরী করে ফেলেছে ।
মানুষও তো কম চালাক নয় ! যেহেতু ব্যাকটেরিয়াগুলো পেনিসিলিনের আকার – আকৃতি চিনে ফেলেছে তাই মানুষ পেনিসিলিনের আকার - আকৃতি মানে রাসায়নিক গঠন খানিকটা পরিবর্তন করে বানালো এমপিসিলিন নামের নতুন আর একটি এন্টিবায়োটিক । বেশ কিছু বছর চললো এমপিসিলিনের রাজত্ব । কারন ব্যাকটেরিয়ার দল এই নতুন বোমাটিকে তো আর চেনেনা । তাই প্রথমে মরতে মরতে কবছরের মধ্যেই এটার বিরূদ্ধে যুদ্ধ করার কলা-কৌশল শিখে ফেললো তারা । ধূর্ত মানুষ এমপিসিলিনের রাসায়নিক গঠন আবার একটু পরিবর্তন করে বানালো এমক্সিসিলিন । এভাবেই মানুষ যে মরনঘাতী বোমা ( এন্টিবায়োটিক ) বানাতে লাগলো তার তালিকা দীর্ঘ হতে থাকলো ক্রমান্বয়ে । আর ব্যাকটেরিয়াগুলো ও তো বসে নই । তারাও মানুষের সাথে পাল্লা দিয়ে দিনে দিনে নতুন নতুন এইসব এন্টিবায়োটিকের বিরূদ্ধে গড়ে তুললো রেজিস্ট্যান্স । এবং তুলছে আজও ।

কেবল মাত্র অযথা, অপরিমিত, অসংলগ্ন, অকার্য্যকর মাত্রায় এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারই এই ব্যাকটেরিয়াল রেজিস্ট্যান্স জনিত অশনি সংকেতের মূল হোতা ।

( জানিনে আপনার কিম্বা পাঠকদের মনমতো বোঝাতে পারলুম কিনা ! )

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৯

না পারভীন বলেছেন: অন্নেক সুন্দর হয়েছে। কবি মানুষ আপনি কাব্যিক ও হয়েছে বেশ।
এই মন্তব্যের লিংক টি পোস্ট এ যুক্ত করে দেই :)

৩৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

মুকতোআকাশ বলেছেন: নার্গিস পারভিন, অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন। পোস্টটি স্টিকি হওয়া উচিৎ। তবে সঠিক মাত্রায়,অনিয়মিত,অযথা এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করার ফলে কি কি সমস্যা সৃষ্টি হয় ও কি ভয়াবহ বিপদ হতে পারে তা বিস্তারিত উদাহারন সহ যদি লিখতেন তা হলে আমার মত সাধারণ পাঠকের অনেক উপকার হত। পরিশেষে আহমেদ জি এস সাহেব কে ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলার জন্য।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:১৬

না পারভীন বলেছেন: জ্বী আকাশ ভাই পোস্ট স্টিকিতেই আছে

আসলে পোস্ট টি মূলত সরকারের করণীয় এর দিকে আলোকপাত করা হয়েছে যার কোনটাই ভোক্তা বা ডাক্তার কেউ সমাধান দিতে পারবেনা ।

রোগীর করনীয় হল
সঠিক ব্রেন্ডের ড্রাগ টি কেনা
সময় মত ওষধ খাওয়া
ডোজ কমপ্লিট করা
ঔষধ ডাক্তার লিখলেই কোম্পানির সাথে যোগ আছে, এই অবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসা
কালচার সেনসিটিভিটি টেস্ট করতে দিলে করা ডাক্তার কমিশন খাওয়ার জন্য দিসে এ থেকেও বেরিয়ে আসা


ডাক্তার যত ই খারাপ হোক রোগি ভাল হোক এটা সব ডাক্তার চায়। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।

৪০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০৫

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: সাধারণ জ্বর হলে আপনি এন্টিবায়োটিক না দিলে আপনি ভালো ডাক্তার না,আপনার প্রেসক্রিপশন নিয়ে এক দিন না পেরুতেই যাবে আরেক ডাক্তারের কাছে,নতুন ডাক্তার দেখছে এই পেসেন্ট আবার ডাক্তার পাল্টাবে , তাই সেও এন্টিবায়োটিক দেয়,ওইদিকে তিন-পাঁচ দিনের মধ্যে সাধারণ জ্বর এমনিতেই কমতে শুরু করে। শহর অঞ্চলে এন্টিবায়োটিক একারনেও যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৫

না পারভীন বলেছেন: ভাইরাল ফিভারে এন্টিবায়োটিক না দিলেও চলে সেটা এমনিতেই সারে, কিন্তু ব্যাকটেরিয়াল ফিভার এ এন্টিবায়োটিক দিতেই হয় না হয় সমস্যা বাড়ে


রোগীদের মনে এত অবিশ্বাস, দূর করার জন্য দৌড়াচ্ছে পাল্টাচ্ছে। কি বলব। কে যে এসব মনে ঢুকিয়েছে। আমরা যখন রোগী হই, পর্যাপ্ত কাউন্সেলিং না পেলে আমাদের ও মনে হয় ডাক্তার ঠিক মত লিখল কিনা।

৪১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৭

টুম্পা মনি বলেছেন: আগের যুগে মানুষ মরত এন্টিবায়োটিকের অভাবে। পরের যুগে মরবে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সে।

অসাধারণ পোষ্ট আপু।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৯

না পারভীন বলেছেন: ঠিক, টুম্পামনি। এখন বিশেষত গ্রামে, যেকোন ইনফেকশন মানেই শেপটিসেমিয়া, দেন ডি আই সি, মাল্টি অর্গান ফেইলুর, লাক খারাপ হলে ডেথ।

৪২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৮

বেলায়েত হােসেন ইমন বলেছেন: এমন একটি লেখার জন্য আমি কেন, পুরো সমাজকেই লেখকের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ। এর আগেও গরুর গোস্তে বিষ, এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আমি এ দেশের অসচেতন মানুষদের অসচেতনতার সুজোগ নিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু আর সুবিধা ভোগী মানুষরাই এ দেশের সমাজ আর রাষ্ট্রীয় অবক্ষয়কে যে ধ্বংশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তার জন্য রাষ্ট্রের করনিয় সম্পর্কে বলেছিলাম। এখনও বলছি। আনেকের মন্তব্যে উঠে এসেছে এ দেশের লাইসেন্স বিহীন ওষধ দোকানের কথা। আরো বলেছেন ডাক্তারের প্রেসক্রিপসন ছাড়া কি করে ক্রেতা ওষধ কিনে এবং বিক্রেতা বিক্রি করে ? সব কথার উত্তরে বলবো আইনের প্রতি অবহেলা এবং অশ্রদ্ধা। আরো একটি কথা । তা হলো লাইসেন্স বিহীন ওষধের দোকান নেহাত কমই পাওয়া যাবে। কারন দুই নম্বরী লাইসেন্সের ছড়া ছড়ি এখন বাজার সয়লাব। বলতে গেলে অনেক কথা। মোদ্দা কথা হলো সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষায় - কুইনাইন জ্বর সারাবে বটে কিন্তু কুইনাইন সারাবে কে ? দল মত নির্বিশেষে সমাজের একজন ভোক্ত ভোগী হিসেবে আমার এ মন্তব্য। মনে হয় এত অল্প কথায় বুঝানো সম্ভব হয়নি।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৩২

না পারভীন বলেছেন: ইমন ভাই, কি বলব, সব লেভেলেই সাফারার আমরা।

৪৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৩

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আমাদের দেশের স্বাস্থ্য খাতের ক্ষত নিয়ে যদি বলা শুরু করি মনে হয় টানা কয়েক পর্ব হয়ে যাবে, আমার মতে আমাদের দেশে দুটো সমস্যাই সকল রোগের কারণ। অসচেতন মানুষ আর চরিত্রহীন রাজনীতিবিদ।

দেশের সকল প্রশাসন নীতিহারা হয় নেতাদের টাকা দিয়ে কিনতে পারে বলে।নেতারা টাকা চেনে বলে প্রসাশন সুবিধা নেয়,এবার সেটা যেই বিভাগই হোক, স্বাস্থ্য পুলিশ বিচারলয় শিক্ষালয় থেকে কোন কিছু আর বাদ থাকেনা।


সহজ করে বলি- ২০০৪ সালে সাদাকালো আল্ট্রা দাম ছিলো ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা, বিশেষ করে মেডিসন৬০০ আল্ট্রার কথাই বলি। ২০০৭ সালে কালার ডফলার সহ আল্ট্রা বাজারে চলে আসে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকায়।কিভাবে সম্ভব? আর কেনইবা এটা বাজারে আসলো।

রুগীর মধ্যে কারা এই ধারণা দিলো যে রিপোর্টের সাথে বেবীর মুভমেন্ট দেখাতেই হবে বা দেখা যায়,রিপোর্টের গায়ে বেবীর ছবি প্রিন্ট করে দেয়া হয়।বিষয়টা এমন হয়ে গেছে যে ডাক্তারের রিপোর্টের চেয়ে রুগীর বাচ্চার ছবি দেখা জরূরী হয়ে গেছে বাজারে।হুহু করে বাজারে চলে আসছে কথিত কালার ডফলার,সাদাকালো ডফলার যেন বাসায় ব্যবহারিত সাদাকলো টিভির মতই ক্লিনিকের স্টোর রুমের কোনায় স্থান পেলো,আর এই নতুন বউ সাজানোর মত নতুন আল্ট্রাসোনোগ্রাফীর গ্রাফ আর এখানে তুলে ধরলামনা,লেখক তা আপনি ভালো করেই জানেন।

২০০৮ যখন সারা দেশের জেলা উপজেলায় এবং কি ইউনিয়ন পরিষদ লেভেলে প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে এই জিনিস পৌছে গেলো ঠিক তখন আমার সৌভাগ্য হয়েছে সাউদি আরবে জেদ্দায় কোন এক ক্লিনিকের নিমন্ত্রণে সেখানে যাওয়ার,জেদ্দা নাসিম পলি হসপিটাল একটা নামি দামি হসপিটাল।বিশেষ করে সেখানে ভারতীয় পাকিস্তানি ও বাংলাদেশিদের রুগী আনা গোনা বেশি, আমি ঘুরে ঘুরে দেখছি সেটা সহ জেদ্দায় আরো কিছু ক্লিনিক, তাদের কোথাও আমি কোন কালার ডফলার পাইনি, আমি ডাক্তার সোলায়মান সাঈদ কে প্রশ্ন করলাম আপনারা কি কালার ডফলার ব্যভার করেননা, সে অবাক হয়ে বললো কেন? এটার কি দরকার, রিপোর্টের জন্য কি এটা খুব বেশি জরূরী।যাইহোক আমি ডাক্তার নই তাই এসব বিষয়ে আমার ধারণা নেই।

তবে এইটুকু ধারণা আমার ঠিকি হয়েছে যে আমাদের দেশে মানুষ বাঁচানোর মেডিকেল সরঞ্জাম গুলো ইমপোর্ট করা হয়না,ব্যবসা করার সরঞ্জাম গুলোই নিয়েই সবাই ব্যস্ত। আপনি দেখবেন হয়তো অনেক ক্লিনিকের ওটিতে পালস অক্সিমিটার নেই কিন্তু তারা ঠিকি কালার ডফলার দরজায় বসিয়ে রেখেছে।

কোয়াক বলে একটা প্রাণী আছে আমাদের সমাজে- এদের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছিলো আমার,সে এক অদ্ভুদ প্রাণী,পরে আবার এসে বলবো কিছুটা।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭

না পারভীন বলেছেন: হার্ট ভাই , আমরা আসলে কোন এক অতলে হারিয়ে যাচ্ছি, মুনাফালোভীদের কাছে।

৪৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:১৩

কয়েস সামী বলেছেন: আপি, আপনার এ চমৎকার লেখাটি আমি আমার ম্যাগাজিনে পাবলিশ করতে চাই। অনুমতির অপেক্ষায়। ন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স নিয়ে সরাসরি একটা পোস্ট দিলে উপকৃত হতাম।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

না পারভীন বলেছেন: কোন ম্যাগাজিন?
সমস্যা নাই, দিয়ে দেন।
সরাসরি এন্টিবায়োটিক রেজিস্টটেন্স এর পোস্ট : ঠিক আছে মাথায় রাখলাম। আহমেদ জি এস ভাই কিন্তু খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছেন ৩৮ নম্বর কমেন্টে

৪৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১৩

শুভ্র গাঙচিল বলেছেন: পোস্ট আর কমেন্টস গুলো পরে অনেক কিছু শিখলাম জানলাম আর বুঝলাম। ধন্যবাদ আপু। আমরাও এন্টিবায়োটিক পরবর্তী যুগে প্রবেশ করতে চাই না। তাই এখন থেকেই এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করা হোক। সেই দাবী জানাচ্ছি সরকারের প্রতি।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ্র ভাই।

৪৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৩২

আমিনুর রহমান বলেছেন:



আপনার পোষ্টের সাথে আমার দ্বিমত ২/৩টা জায়গায় তাও সমাধান হয়ে যাবে যদি সরকারের সদিচ্ছা থাকে। দ্বিমতের জায়গাটা একটু বলি।


সরকার ৬ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়ার ফলে সাব সেন্টার পর্যন্ত পৌঁছে গেছে রেজিস্টার্ড এম ,বি,বি, এস । নিজ এলাকায় বেশির ভাগের পোস্টিং হওয়াতে কাজ করার জন্য নতুন জেনারেশনের এই ডাক্তারদের আগ্রহের সীমা নেই ।



এখানে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকেই বলছি। আমার স্কুল জীবনের ২জন বন্ধু এবং পরবর্তীতে আরো একজন বন্ধু ডাক্তারের কথা বলছি। তিনজনই এডহক'র মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন।

প্রথম জনের ঢাকা জেলার পার্শ্ববর্তী এক জেলায় পোষ্টিং হয়েছে কিন্তু আমি নিয়মিতই আমি তাকে ঢাকায় পাই। আমার সাথে কথা হলে সে বলে থাকে তুই শাহবাগের আশেপাশে আসলেই পিজি'র লাইব্রেরীতে পাবি চলে আয়। পিজি'র লাইব্রেরীতে কেনো সেটা আমার চেয়ে আপনিই ভালো জানবেন।


দ্বিতীয় জনও ঢাকা জেলার পার্শ্ববর্তী এক জেলায় পোষ্টিং। বছর খানেক আগে পর্যন্ত তার সাথে আমার যোগাযোগ ছিলো নিয়মিত। এবং তার কর্মস্থল আর গ্রামের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় আমি তার খবরটাও নিয়মিত পেতাম। সকালে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হাজিরা দিয়ে প্র্যাকটিসে চলে যেতো।


তৃতীয় জন ঢাকা থেকে দুরেই এবং উনি আপনার সাবেক কর্মস্থলের পার্শ্ববর্তী জেলাই আছেন এখনো। হয়ত চেষ্টা করলে ঢাকার আশেপাশে উনি আসতে পারতেন কিন্তু ওখানে প্রাকটিশ ভালো জমবে বলেই উনি ওখানেই রয়ে গেছেন।


যেভাবেই ভাবুক বা বলুক না কেনো আমার কাছে মনে হয় সরকারের সদিচ্ছার আগে আমাদের সদিচ্ছাটুকু বেশী প্রয়োজন। আমরা চাই বলেই আজকে সরকার এভাবে চলছে।



আপনার সুপারিশঃ


১) প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওভার দা কাউন্টার ড্রাগ ব্যতীত অন্যান্য ঔষধ এর বিক্রি বন্ধ করা ।

সহমত, কিন্তু প্রয়োজনে কি গরীবরা প্রেসক্রিপশন পাওয়ার মত আশেপাশে ১০/২০টাকার সরকারী ডাক্তার পাবে? গ্রামে কখন কখন একটা সাবসেন্টারে যেতে ১/২ ঘন্টার পথও হয়ে থাকে।


২) রেজিস্টার্ড এম, বি,বি,এস ছাড়া এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন বন্ধ করা ।

সহমত। অন্য ঔষধ যেমন লোরটিন প্লাস, ওরাডিন প্লাস, প্রি-টিন-ডি, এলাট্রন, এসিট্রিন, রূপা ট্যাবলেটসহ ফেনারগেন, ডেক্সপোটেন, পিরিটন সিরাপ জাতীয় ঔষধ।

৩) ঔষধ কোম্পানির ঔষধের গুনগত মান তদারকি করা ।

সহমত।

৪) ব্যাঙ্গের ছাতার মত ঔষধ কোম্পানি গজিয়ে ওঠা বন্ধ করা ।

কোম্পানী হলে অসুবিধা নাই তবে মান ঠিক থাকলেই চলবে।


৫) ব্যাঙ এর ছাতার মত ঔষধের দোকান গজিয়ে ওঠা বন্ধ করা ।

দোকান হইলেও সমস্যা নাই নিয়ন্ত্রন করতে হবে যেনো প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ না দিতে পারে।


৬) সরকারী প্যাথলজি ল্যাবে কালচার সেনসিটিভটি টেস্ট করার ব্যবস্থা রাখা ।
- এই ব্যাপারে জানা নাই।


৭) নকল ঔষধ সনাক্ত করণের জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা

সহমত

৮) নকল ঔষধ উৎপাদন , বাজার জাত আর সংরক্ষণকারীদের কঠোর শাস্তি প্রদান করা ।

সহমত।


৯) সবশেষে সরকারের হাতিয়ার এম, বি,বি,এস ডাক্তারদের জনগণের দ্বার গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেবার জন্য তাদের কর্ম ক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যা , বাসস্থানের সমস্যা , নিরাপত্তা , যাতায়াতের সমস্যা, আলাদা বেতন কাঠামো , প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করে সেবামূলক কাজে উৎসাহিত করা । "


সরকারের হাতিয়ার এম,বি,বি,এস ডাক্তারদেরকে মানুষের সেবা কিভাবে করতে হয় সে ব্যাপারে সচেতনা তৈরি করে তাদের কর্মস্থলে পাঠাতে হবে। এবং সাথে এটাও তাদেরকে জানিয়ে দিতে হবে বাংলাদেশ গরিব দেশ এবং এই দেশের প্রায় প্রতিটি সরকারী পেশার মানুষেরই তাদের কর্ম ক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যা , বাসস্থানের সমস্যা , নিরাপত্তা , যাতায়াতের সমস্যা, আলাদা বেতন কাঠামো , প্রশিক্ষণ এর অভাব রয়েছে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৩১

না পারভীন বলেছেন: প্রথম ডক্টর হিসেব মতে শিক্ষা ছুটি পেয়েছেন, এডহক ডাক্তার রা নিয়মমতো ২বছর গ্রামে ছিলেন বলেই পেয়েছেন এবং তিনি পোস্ট গ্রেজুয়েসন কোর্সে আছেন সরকারি বিধান মোতাবেক। তাই পিজির লাইব্রেরিতে আসতে বলছেন, ঠিক ই তো আছে।
আপনারা যে ডাক্তার কে এত ভুল বুঝেন, দাঁড়ান, আমার সংগে দেখা করতে চাইলে আমি আপনাকে সমগ্র বাংলাদেশ সফর দেওয়াইয়া তারপর জায়গামত আনমু ;)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮

না পারভীন বলেছেন: ২য় ডক্টর এর হেলথ সেন্টারে হাজিরা খাতা ছাড়া আর কিছু আছে কিনা জানা জরুরী।
সরকারি চাকরি করতে গিয়ে বুঝি কেন ডাক্তার রা এটা সেটা করে। আমার একটা ফেইসবুক স্ট্যাটাস ছিল কিরকম বিরুপ অবস্থায় আছি। সে অবস্থা এখনো চলছে। যাই হোক ব্লগ বলেই ঘটনা বিস্তারিত বললাম না।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৯

না পারভীন বলেছেন: ৩য় ডক্টর গ্রামে থাকেন ভাল প্রেকটিসে র আশায়, ঢাকাতে আসেন না পোস্টিং নিয়ে। আমি অর্ধেক নিশ্চিত স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও খুশি হবে এই কথা শুনলে। ঢাকার জন্য লবিং এর শেষ নাই, সবাই ঢাকা থাকতে চায়। কেউ যদি গ্রামে থাকতে চায় এটা সবাই এপ্রিসিয়েট করবে। আর গ্রামে প্রেকটিস জমবেই কারণ গ্রামে ডাক্তার নাই। আর ডাক্তার নাম টি খুব ওজন দার হলেও সব চেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকেন একজন ডাক্তার
যারা ইন্ডিয়ার সরকারি বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা আর বিডির স্বাস্থ্য সেবার তুলনা করেন কখনো ই ডাক্তারদের ফেসিলিটি নিয়ে কথা বলেন না। এটা এড়িয়ে যান।

ইন্ডিয়ায় রয়েছে ডাক্তার দের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো, জুনিয়র ডাক্তার ৪০০০০ হাজার রুপি বেতন পায়। ওখানে পোস্ট গ্রেজুয়েসন করার জন্য অল্প সময় লাগে আর টাড়াতাড়ি পাশ ও হয়, সব ডিগ্রি ইন্টারনেশনালি রেকগনাইজড। তাই দেশে বিদেশে হায়ার সেলারিতে চাকরি নিশ্চিত।


আমাদের দেশে MBBS কে বানিজ্যিক লেভেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, ঘরেঘরে মেডিকেল কলেজ আবার পোস্ট গ্রেজুয়েসন এ ভয়াবহ হতাশা জনক পরিস্থিতি।

আচ্ছা এত কথা যে লিখলাম, কেন লিখলাম, কেউ তো আমাদের কষ্টের কথা বুঝেনা।

সময় আসুক আমি অটোবায়োগ্রাফি রেখে যাব, শুধু এটুকু বুঝানোর জন্য মেডিকেল লাইফ একজন ডাক্তারের জীবন কিভাবে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যায় :( আমি নিজেও আপনাদের এই শহরে ফিরে আসতে চাই না।

দেন আপনি বলবেন ডা,নার্গিস প্রেকটিস এর জন্য গ্রামে পড়ে আছে ;)

৪৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৫১

নতুন বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূন` বিষয়ে লিখেছেন... সবার সচেতন হওয়া দরকার....


সবাই সেয়ার করুন যাতে বেশি মানুষ এই বিষয়ে জানতে পারে...

আর আমাদের দেশের মানুষের লোভে এই অবস্তার জন্য দায়ী... নৈতিকতার পাঠ দিতে হবে সমাজে... :(

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭

না পারভীন বলেছেন: আচ্ছা নতুন ভাই, নৈতিক বিষয় গুলো কি এখন আর পড়ায় না? আমাদের মধ্যে এর ই বড় অভাব।

৪৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:০৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট কিন্তু অরণ্যে রোদন ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:০৪

না পারভীন বলেছেন: নির্মম সত্য কথা :( তবু ও আশা কে মেরে ফেলতে পারিনা। কত ভাল কাজ ও হয়, এটা ও যদি হয়।

৪৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭

শেখ মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: এসব অনাচার কবে বন্ধ হবে? উত্তর কারো জানা নাই। অনেক শিক্ষিত জনকে দেখেছি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ফার্মেসীর সেলসম্যানের পরামর্শমত ওষুধ ক্রয় করতে। আমরা কেন সচেতনতার পরিচয় দিতে পারি না? ডাক্তারের চেম্বারে যাওয়ার জন্য সময়ের অভাব নাকি সামান্য অর্থের মায়া? আমাদের মনে রাখা উচিত জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নয়।
৩৮ নং মন্তব্যটি পড়ার সুযোগ হলো না। কিছুদিন যাবত এ সমস্যাটা ফেস করছি। পোস্টের মন্তব্যগুেলো ডিসপ্লে করছে না।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, সাথে আরও অনেক সুন্দর পোস্ট পাওয়ার প্রত্যাশা।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ মেসবাহ ভাই। সচেতনতার বিকল্প নাই।

৫০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৫

এহসান সাবির বলেছেন: বেশ পোস্ট।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান ভাই।

৫১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৮

সরদার হারুন বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:১০

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ সরদার ভাই

৫২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

সোহানী বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই বরাবরের মতই খুবই গুরুত্বপূর্ন এ পোস্টের জন্য। কিন্তু শুনছে কে ??? সবাই তো কানে তুলো দিয়ে আছে !!!!

পার্সোনাল ঘটনা শেয়ার করি... জার্মানীর জানুয়ারীর ঠান্ডায় ভাইয়ের মেয়েটার প্রচন্ড ঠান্ডা লেগেছে ... নিশ্বাস নিতে পারছে না প্রায় সাথে অনেক জ্বর। ডাক্তারের কোন ঔষধই দিল না ডাক্তার বললো গরমে রাখো আর খুব জ্বর হলে প্যারাসিটামল দাও। মেয়ের কান্নায় পেরেশান হয়ে তিনবার ডাক্তারের কাছে গেলাম এবং প্রতিবারেই একই কথা। যাহোক স্কুল বন্ধ করে বাসায় কঠিন টেক কেয়ার করে প্রায় ২০ দিনের মাথায় কমলো। ঠিক তার দু'মাস পরে বাংলাদেশে ঠান্ডা গরমে একটু খারাপ অবস্থায় গেলাম দেশী পেডিয়েট্রিশান এর কাছে এবং যথারীতি এন্টিবায়োটিক দিল। কিন্তু এবার আর আমরা খাওয়ালাম না অথচ ৭ দিনের মাথায় ও ঠিক হয়ে গেল...

আসলে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের নীতিমালা থাকা উচিত.,.. আমরা সাধারন মানুষতো এসব বুঝি না।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

না পারভীন বলেছেন: আমরা গলা ব্যাথা জাতীয় শিশুদের সমস্যায় এন্টিবায়োটিক না দেয়ার কথা ভাবতে পারিনা কারণ এখানে যে জীবানুটি থাকে তা ক্রস রিএকশন করে হার্টের ভালব নষ্ট করে, অথবা কিডনির ক্ষতি করে। এটা আমাদের সাবকন্টিনেন্টের সমস্যা। আমাদের আনহাইজিনিক পরিবেশ এটাকে বিশেষ ভাবে ফেবার করে।

যথেচ্ছ এন্টিবায়োটিক এর সুফল হচ্ছে আমরা শিশুদের মধ্যে ভালবুলার হার্ট ডিজিজ কম পাচ্ছি।

মামুন ভাই এর কমেন্টে আগেও বলেছি সব মানুষ এক হলেও প্লেইস এর ভেরিয়েশন এর জন্য ডিজিজ প্যাটার্ণ আলাদা।
এমন কি আমাদের জন্য আলাদা ভার্সনের ইন্টারন্যাশনাল বই আছে।


তবে অনেক ডাক্তার রুটিন লি বিচার বিবেচনা বাদ দিয়ে এন্টিবায়োটিক দেয়। আমাদের ফেমিলির সবচেয়ে ছোট আর আদুরে মেম্বার টি এরকম ডাক্তারের হাতে পড়ে অনেক এন্টিবায়োটিক শেষ করেছে।
শেষে একজন অত্যন্ত ভাল ডাক্তার আপার হাতে পড়ে এন্টিবায়োটিক বাদ দিতে পেরেছে। আল্লাহ ওনার মংগল করুন।
ধন্যবাদ সোহানী আপু।

৫৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

লিখেছেন বলেছেন: না পারভিন আপা, একতা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চাই , জানি না এটা আপনার field কিনা!

recently, আমার ঘুম থেকে উঠার পর, পায়ের গোড়ালিতে প্রচণ্ড ব্যাথা হয়। কিছুক্ষণ চলা ফেরা করলে তা আবার মিলিয়ে যায় । আমি কি বাতে আক্রান্ত ???

আমার কি ধরনের specialist কে দেখাতে পারি? ঢাকায় এ ব্যাপারে ভাল ডাক্তার কে হতে পারেন ?

আর হ্যাঁ, ঈদের শুভেছা ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

না পারভীন বলেছেন: হুম, আমার ফিল্ড না। বাত ব্যাথা বিশেষজ্ঞ ( রিউমাটোলজি) দেখান। অল্পতেই দেখান, বেশি হবার আগে।

৫৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬

বিডি আইডল বলেছেন: আমি কানাডাতে থাকি। আমার মেয়ের বয়স এখন ৫। ছোট থেকেই ঠান্ডা-সর্দি-জ্বর নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে কোন ঔষুধই দিত না ডাক্তার । এখানে বাচ্চাদের ঠান্ডাদের ঔষুদ (ওভার দ্যা কাউন্টার) পাওয়া যায় ৬ বছর বয়স থেকে। কারণটা হলো যাতে বাচ্চার শরীরে রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। ৬-৭ দিন জ্বরে ভুগলে বাংলাদেশী স্বল্পমাত্রার এন্টোবায়োটিক দেয়া হয়।

এতে লাভটা যেটা হয় সেটা এখন দেখলাম। আমার মেয়ে এখন জ্বর-ঠান্ডায় ফাইট দিতে পারে। কোন ডাক্তারের কাছে নেয়া লাগে না।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

না পারভীন বলেছেন: কানাডা তো শীতের দেশ। আচ্ছা আইডল ভাইয়া জেনে ভাল লাগলো ওদের চিকিৎসা পদ্ধতি।

আপনার উপরে সোহানী আপুর মন্তব্য ও কাছাকাছি। প্লিজ ওটা দেখুন। কেন আমরা ওদের মত চিকিৎসা দেই না। ভুলবুঝাবুঝির অবসান না হোক কমতে পারে ;)

৫৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: এই বয়সে তিনটা অপারেশন আর নানাবিধ অসুস্থতার কারণে আমাকে গাদিগাদি ওষুধ খেতে হয়েছে, হচ্ছেও। একটা ওষুধ খেলে আরেকটা নতুন অসুখ শুরু হয়ে যায়। এক সমস্যায় আয়রন খাওয়া যাবে না, আরেক সমস্যায় আয়রন খেতে হবে। বাচ্চাদের পারতপক্ষে ওষুধ খাওয়াতে চাই না। এ্যান্টিবায়োটিক তো বটেই। তবু খাওয়াতে হয়। আরও সাবধান হলাম। সুন্দর পোস্ট।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২২

না পারভীন বলেছেন: আহারে সাদিয়া আপা আপনি একটু বিপাকে আছেন ;) ;)

ভাল থাকুন এই শুভ কামনা রইলো

৫৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

আমিনুর রহমান বলেছেন:




আমি জানি আপনাদের লজিক থাকবেই তাই প্রথম ডাঃ এর কথা বলি সে চাকুরী'র শুরু থেকেই এফসিপিএস এর জন্য ঢাকাতেই আছেন। আমি কাউকে নিয়ে অভিযোগ করবো তাকে অভিযোগ করা যায় কিনা আদৌ সেই বিবেচনা বোধ নিশ্চয়ই আমার আছে ! আপনার প্রতিউওর দেখে মনে হলো সব ডাঃ রা ধোয়া তুলসি পাতা। এমন অনিয়মগুলো আপনে জীবনেও শুনেননি।


একটা কথা আপনাকে জানিয়ে রাখি। দেশ-বিদেশ কোথাও আমার লাইফে আজ পর্যন্ত একজন মন্দ ডাক্তার পাইনি।


বাকী ডাঃ দের আর আপনার বিদেশের ডাক্তারদের প্রসঙ্গে আসছি পরে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

না পারভীন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে খুশি হতে পারলাম না,কিছুটা আক্রমানাত্মক ভংগি আছে। আপনি সব কিছু ভেংগে বলেন নি। ডাক্তার দের ধোয়া তুলসি পাতা কোথাও বলিনি। যাই হোক অর্ধেক অর্ধেক শুনে মন্তব্যের উত্তর দিলে ভুলবুঝাবুঝি আরো বাড়বে।

আর সকল ডাক্তারের মান ইজ্জৎ প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব আমার না।

৫৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

নতুন বলেছেন: বিদেশে কামলা খাটি... এইখানে সব জিনিস ভাল... তাই রোগ ব্যাধি হয়না বললেই চলে....

গত ৮ বছরে ৪/৫ বারের বেশি ডাক্তারের কাছে যাইনি...

কিন্তু দেশে গেলেই এসিডিটি...ঠান্ডা/কাশি..এলাজি`... শুরু হয়.. :( ওষুধ খাওয়া চালু করতে হয়... ( মন্টিলুকাস্ট+ফেক্সোফেনাড্রিন>> রেনিটিডিন) :(

আমার পরিবার/আন্তীয়ের প্রায় সব মানুষই প্রতিদিন কয়েকটা ওষুধ খায়...

ঠান্ডা/কাশি হয়েছিলো... কয়েকদিন ছিলো.. কয়েকজন পরামশ` দেয় এজিথ্রমাইসিন ৩ দিন খেতে.... ( সবাই ডাক্তার হয়ে যাচ্ছে )>> সপ্তাহ খানেক পরে ঠিক কয়ে গিয়েছিল...

দেশে সবার স্বাস্হের এই খারাপ অবস্তার জন্য সবাই দায়ী...

ব্যবসায়ীরা ভ্যাজাল দিচ্ছে লাভের জন্য... >> কিন্তু সবাই অসুস্হ হচ্ছে...

বাজারে লেগে কিছুই খাবার জন্য কিনতে গেলে চিন্তা হয় সবটাতেই তো ভ্যাজাল কোনটা খাব??

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

না পারভীন বলেছেন: ভাইয়া আপনি আসল পয়েন্টে চলে এসেছেন। একেত ঠান্ডা গরমের দেশ, অন্যদিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী হবে কিভাবে সব কিছুতে ভেজাল, ফরমালিন। বাতাসে সীসা
রোগ ও বেশী। আবার ঔষধ ও ভেজাল। তাই আমরা সব ভেজাল। খাঁটি কেউ নাই।

৫৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, আপনার তথ্যবহুল পোস্টের জন্য।

আমি ব্যক্তিগতভাবে ঔষধ জিনিসটা অপছন্দ করি। আমার ঠান্ডা লাগলে, কফ হলে আমি কোন ঔষধ খাই না। দেখা যায়, ২/৩ সপ্তাহ ভুগে সেটা ঠিক হয়ে যায়। আমি কি সঠিক কাজ করছি?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

না পারভীন বলেছেন: জানিনা, পর পর ৩ সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে কফ পরীক্ষা ( ফ্রি) করাতে হয়, এই টুকু জানি।

৫৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: ইচ্ছে করলে অনেক কিছুই করা যায়।

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর সচেতনতামূলক পোষ্ট এর জন্য।

স্বাস্থ্য সেবায় সরকারের করনীয় ক্ষেত্র বিশাল।
সে জন্য বিস্তারিত লিখতে হলে প্রবন্ধের আকার নয়, মহাকাব্যের আকারও হয়ে গেলে অবাক হবার কিছু নেই।

প্রথমতঃ
১। সরকারের পরিষ্কার করা উচিত, স্বাস্থ্য সেবা পুরোপুরি সরকারী নিয়ন্ত্রনে থাকবে না ব্যক্তিমালিকানায় (বীমার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যয়) থাকবে না মিশ্র প্রকৃতির হবে।

২। সরকারী নিয়ন্ত্রনে থাকলে, ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যকটিস প্রথাটি বিলুপ্ত করত, সম্পূর্ণ স্বাধীন ও উচ্চতর বেতন কাঠামোতে তাদের (এখানে "তাদের" বলতে পুরো স্বাস্থ্য খাতের কর্মীদের কথা বলছি)অবস্থান থাকা উচিত।

৩। যে সব দেশে এ ধরনের প্রথা বিদ্যমান, তাদের উদাহরন দিয়ে বলছি; প্র্যকটিসের ক্লিনিক তাদের দেশেও বিদ্যমান, কিন্তু হেল্থ কার্ড ধারি রোগী এই সকল ক্লিনিকে কার্ড সহ আসেন, ডাক্তার দেখান। কার্ড এর কারনে সয়ংক্রিয়ভাবে সন্ট্রাল ডাটাবেসে উপাত্ত্ব সংরক্ষিত হয়ে যায়, হেল্থ কার্ডধারী রোগীঃ-
কবে এসেছিলেন
কোন ডাক্তার দেখিয়েছেন
ডাক্তার কি পরামর্শ পত্র দিয়েছেন
রোগী প্রতি সরকার ডাক্তারের কোটায় নির্দিষ্ট ফি জমার হিসাব ডাটাবেসে সংরক্ষন করেন।
ক্লিনিকের খাতায় ও সরকার একটি ভাড়া হিসাব রোগী প্রতি জমার জন্য ডাটাবেসে একই সময়ে সংরক্ষিত করেন।


(এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ডাক্তারের প্র্যকটিস বজায় রয়েছে ঠিকই, কিন্তু সাধারন জনগনকে ডাক্তারী ফি টি সরাসরি দিতে হয় না। সরকার পরোক্ষ ট্যক্স এর মাধ্যমে তা সম্ভাব্য রোগীর কাছ থেকে নিয়ে নেন। যা বাংলাদেশের সরকার ভ্যাটের ৫% শতাংশ থেকে সহজেই আহরন করতে পারেন এবং বিতরন নিশ্চিত করতে পারেন)

৪। স্বাস্থ্য নীতিতে থাকা উচিত, কত জনসংখ্যার জন্য একটি এলাকায় একটি ১০০(একশত) বেডের হাসপাতাল থাকা উচিত।
উদাহরন স্বরুপঃ প্রতি ১(এক) লক্ষ জনসংখ্যার জন্য এরকম একটি পূর্ণ সুবিধা ও জনবল সজ্জিত হাসপাতাল প্রয়োজন।

আগেই বলেছিলাম স্বাস্থ্য নীতি করতে হলে অনেক কিছু করতে হয়, নীতিমালার সুপারিশ গুলোই লিখতে গেলেই প্রবন্ধ রচনা হয়ে যাবে।

সংক্ষীপ্ত আকারে সবশেষে, এই সেক্টরের সবার থাকা উচিত
স্বদিচ্ছা
এই মহান পেশাকে যতটুকু সম্ভব মুনাফা ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখা
সুন্দর লক্ষ অর্জনে পরিশ্রম, ত্যাগ, মহানুভবতা এবং এরকম ত্যাগ করনের বহু বিশেষন সম্বলিত কাজ।
সর্ব প্রথমে একটি সর্বজন গ্রহনযোগ্য স্বাস্থ্য নীতি (যেখানে আমার ব্যক্তিগত মতামত হোল, স্বাস্থ্য খাতটি সরকারী পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে থাকা উচিত।)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

না পারভীন বলেছেন: গঠন মূলক আলোচনা সবসময় ভাল লাগে
যদিও আমরা পোস্ট প্রসংগে নাই আপাত দৃষ্টি তে মনে হতে পারে কিন্তু অদূর ভবিষ্যতের পরিকল্পনা, উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আনতে হলে সেভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।।

৬০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

নতুন বলেছেন: দেশের জনগনের শিক্ষিত হতে হবে... নিজের ভাল মন্দ বুঝতে হবে... নিজেরাও বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনা করতে হবে... তাতে সচেতনা বাড়বে... ভন্ডরা মানুষকে প্রতারনা করতে পারবেনা....

আমাদের দেশে ডাক্তারের জন্যও সেবা দেবার একটা গাইডলাইন থাকা দরকার.... ডাক্তারা রোগীকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে কি হয়েছে... এখন কি করনিয়... কি হতে পারে...

আর দরকার ডাক্তারের জবাব দিহিতা... যদি তার দায়ীত্বে অবহেলা হয় তবে তা যেনো সাজা পেতে হয়...



একটা কাহিনি>>

এক রোগীর জ্বর জ্বরের জন্য... ম্যেডিক্যাল কলেজের মেডিসেন বিভাগের প্রধান... টায়ফয়েডের জন্য widal test দেখে ২৮টা azithromycin লিখে দিলো....

আমার মনে হয়েছে যে ২য় মতামত নেই.... অন্য ডাক্তারের কাছে গেলাম...
তিনিও সেই কলেজের নেয়া মেডিসিনের প্রধান ছিলেন..অবসর নিয়েছেন তার কাছে গেলাম.... টেস্ট দেখে বলো টায়ফয়েড না এই টেস্ট অন্য কারনেও পজেটিভ হতে পারে...এবং ৭ দিনের ওষূধ দিলেন ... এবং রোগী সুস্হ...

প্রথম জন রোগী দেখার সময় ক্রিকেট খেলা দেখছিলেন আর ঔষুধ লিখছিলেন.... :(

কিছু ডাক্তারও মনে হয় বেশী মাত্রার ওষুধ দেয় যাতে সব`রোগ ভাল হয়ে যায়... তাতে রিক্স থাকেনা আর সুনাম বাড়ে... :)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

না পারভীন বলেছেন: Widal test নানা কারণে পজিটিভ হয়


ধন্যবাদ নতুন ভাই।

৬১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আপনার সরকারের কাছে পেশ করা নয়টি সুপারিশ এর সাথে সম্পূর্ণ একমত।

একজন ডাক্তার কি নিম্ন মানের ঔষধ লিখেন ? যেই ঔষধ ডাক্তার তার নিজে বা নিজের পরিবারকে খাওয়ানোর জন্য সিলেক্ট করবেননা সেই ঔষধ কিন্তু ঘুস , মাসিক মোটা অংকের টাকা , উপহার সামগ্রী দিয়ে লিখিয়ে নেয়া সম্ভব । তবে আমি বিশ্বাস করতে চাই এম, বি,বি,এস ডাক্তাররা এমন কাজ কখনো করবেন না । যদিও এ বিশ্বাস কত টাই বা কাজের। অসত মানুষ আছে সব প্রফেসনে।

আপনার মত আমরাও বিশ্বাস করতে চাই, কোন ডাক্তারই সামান্য অর্থের লোভে রোগীদের নিন্ম মানের ঔষধ প্রেস্ক্রাইব করবেন না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি অনেক ডাক্তারই কিন্তু এ কাজটি করে থাকেন। তবে আমরা প্রত্যাশা করি একদিন সকল ডাক্তার লোভের উধ্রে উঠে এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

না পারভীন বলেছেন: উচ্চমানের লিখেও আসল ঔষধ পাওয়া যাবে কি নকলের ভিড়ে?


ধন্যবাদ প্রপা ভাই।

৬২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

গোধুলী রঙ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু গুরুত্বপূর্ন ব্যাপারটা সামনে আনার জন্য, মডারেটরকেও ধন্যবাদ জনগুরুত্ব বিবেচনা করে স্টিকি করার জন্য।

আমি যদিও কোন ডাক্তার বা এর ধারে পাশের কেউ না, তারপরও আশেপাশের মানুষদেরকে কে বলি এসব বিষয় গুলো, কেউ মানে কেউ মানে না। আসলে সমস্যা আমাদের সবার স্বডাক্তারি মনোভাব, আর অন্যান্য প্যারামিটার মিলিয়ে আমাদের পুরো মেডিকেশন সিস্টেমের যাচ্ছেতাই অবস্থা। আশা করি সরকার বাহাদুরের দ্রুত বোধদয় হবে এইসব প্যারামিটারগুলো দূর করার একই সাথে আমাদের সাধারন জনগনেরও বোধদয় হবে স্বডাক্তারি বন্ধ করার।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২

না পারভীন বলেছেন: ডাক্তারি আসলেই জটিল আর নিত্য পরিবর্তন শীল, আমরা নিজেরাই সর্ববিষয়ে জ্ঞান দেখাতে যাই না, যথাযথ ডাক্তারের হেল্প নেই

ধন্যবাদ গোধুলী ভাই।

৬৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

ফা হিম বলেছেন: রেজিস্টেন্স জিনিসটা খুব সহজেই এবং খুব দ্রুত ছড়াতে পারে। এমনকি, একটি ব্যাক্টেরিয়া থেকে অপর ব্যাক্টেরিয়াতেও রেজিস্টেন্স চলে যায়। এটা কঞ্জুগেশন বা অন্যকোন উপায়ে জিন ট্রান্সফার করার মাধ্যমে সম্ভব।

এতে দেখা যাচ্ছে একটি প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতি বা উপপ্রজাতির ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে রেজিস্টেন্স ছড়িয়ে যাচ্ছে। অনেক ব্যক্টেরিয়াই মাল্টি-ড্রাগ রেজিস্টেন্স হয়ে যাচ্ছে। এদের "সুপার বাগ"ও বলে।

আর এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারই এর কারণ। এ বিষয়ে একবার লিখেছিলাম বলে মনে পরে।


গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সামনে আনার জন্য ধন্যবাদ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

না পারভীন বলেছেন: অত্যন্ত ধন্যবাদ, এন্টিবায়োটিক রেজিস্টটেন্স সম্পর্কে ২য় গুরুত্বপূর্ণ লিখাটি পেলাম।

আমাদের আর বেশি কাজ বাকি নেই। এন্টিবায়োটিক রেজিস্টটেন্স এর সমস্যা কি হয় এটা লিখলেই কাজ শেষ।

এই মন্তব্য ও এড করে দিচ্ছি।

৬৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

এগুলোর সমাধান কি জানি না! তবে আমার মনে হয় বেশীর ভাগ দোষ ডাক্তারদের! এ্যটলিস্ট মানুষ যদি তাই মনে করে, তাহলে তাই সত্যি। কারন ডাক্তারের অন্যতম প্রধান কাজ হল রোগীদের কনফিডেন্স জিতেনেয়া। আমার রোগীরা আমাকে পছন্দ করেন, এটা আমার কাছে আল্লাহের রহমত মনে হয়। কারন আমি মানুষ হিসাবে অত ভালো না, তাই আমার হিসাবে মাঝে মাঝে ঐ পছন্দ আমার অপ্রাপ্য মনে হয়। যেহেতু বিষয়টা এন্টিবায়টিক রেজিসটেন্স তাই দুই-চারটা দুঃখের কথা না বললে নিজেকে অপরাধী লাগছে।

১) দেশে আজ কোন ডাক্তারই বোধ হয় আই,সি,ডি,ডি,আর,বি তে করা কালচার সেন্সিটিভিটি ছাড়া অন্য কারোটা বিশ্বাস করেন না!! তা সে যে হাসপাতালই হোক!! ধরেন ইউনাইটেড, ল্যাব-এইড এই জাতীয় হাসপাতালের ডাক্তাররাও তাদের নিজেদের ল্যাবকে বিশ্বাস করেন না!! কি ফকিন্নি আমরা !!! খালি জ্ঞানে না কর্মেও !! এটা যে আমার কত বড় একটা দুঃখ আমি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।



২) ঔষধ কোম্পানি গুলার বাড়াবাড়ি ডাক্তাররা সকলে এক হইলে বন্ধ করা কোন ব্যাপার না। সরকার এই ব্যাপারে কিছুই করতে পারবেন না, আই মিন কিছুই না। এই পঁচনের অনেক খারাপ অবস্থা। তবে ব্যাপারটা এক মুহূর্তে রিভারসিবল।


৩) পি সি বা পল্লি চিকিৎসক বা ফার্মেসি দোকানদার ডাক্তার নামক জালেম সমাজ থেকে মুক্তি পেতে হলে সরকারের অত্যন্ত কঠর হতে হবে। এবং প্রকৃত ডাক্তারদের রোগীদের প্রতি আন্তরিক হতে হবে। অর্থাৎ এই আন্তরিকতা অর্থণৈতিক ভাবে রোগীকে স্পর্শ করতে হবে, মনে রাখতে হবে যে আমি ধনী ডাক্তার হলেও আমার রোগীরা বেশীর ভাগই গরীব।


৪) এন্টিবায়টিকের অপ-ব্যাবহারের দায় ডাক্তারদেরো কিছু আছে। এই ব্যাপারে ডাক্তারদের ১০০% সচেতন হতে হবে। চুরি, ডাকাতি, ঘুষ খাওয়া অন্য পেশার লোকের অপরাধ, আর ডাক্তারদের অপরাধ পড়ালেখা না করা, বেসিক জ্ঞান না থাকা, বা সামগ্রিক জ্ঞান না থাকাই ডাক্তারদের সবচেয়ে বড় ক্রাইম। এই ব্যাপার ডাক্তারদের কে বুঝাবে। আমি না হয় আমার ছাত্রদের বুঝাবো কিন্তু যারা নিজেদের মহাজ্ঞানী মনে করে তাদের কে বুঝাবে ???


থাক বেশী কথা বইলা ফালাইলাম!!! আজাইরা!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:১২

না পারভীন বলেছেন: নাহ!! কিচ্ছু বলব না।

৬৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

আশীষ কুমার বলেছেন: আজ থেকে ২০ বছর আগে আমাদের উপজেলা সদরে ঔষধের দোকান ছিল ছোট বড় মিলে খুব বেশি হলে ৬ টি। সেসব দোকানের মালিক যারা ছিলেন তারা নিজেদের নামের আগে ডাক্তার লাগাতেন। যদিও তাদের কেউ ডাক্তার ছিলেন না। সেসব দোকানে যারা কর্মচারী ছিলেন তাদের প্রত্যেকে আজ বড় দোকানের মালিক এবং তাদের প্রত্যেকের নামের আগে ডাক্তার বসেছে। পরবর্তী প্রজন্মের দোকানগুলিতে যারা কর্মচারী ছিলেন তাদের প্রত্যেকেরই এখন নতুন দোকান আছে। তারাও ডাক্তার বনেছে!

তো এই ডাক্তারদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ঔষধ বিক্রয়। আমি খুব খেয়াল করে দেখেছি তারা রোগীদেরকে কখনোই ভালো কোম্পানীর ঔষধ দেন না। খুব সামান্য কোন সমস্যার জন্য প্রচুর ঔষধ ধরিয়ে দেন। হয়তো রেজিস্টার্ড ডাক্তার কোন রোগীকে মেট্রোনিডাজল দিতোন কিন্তু ঐ দোকানদার রোগীকে এমন এমন সব ঔষধ ধরিয়ে দেন যার দাম হয় অনেক আর কাজ হয় কম। আমি নিজে এর ভুক্তভোগী। একবার পেটের পীড়ায় ভুগে এই অভিজ্ঞতাটা হলো। পরে এক ডাক্তার বন্ধুকে ফোন করে মেট্রোনিডাজল নিলাম। কিন্তু ঐ দোকানদার আমাকে ২২৭ টাকার ঔষধ দিয়েছিলেন যেখানে একটাও মেট্রোনিডাজল ছিল না। এর পর থেকে ডাক্তারের কাছে যেতে না পারলেও রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া (ওটিসি বাদে) কখনোই ঔষধ খাই না।

আরেকটা কথা, আপনি আমি এন্টিবায়োটিক এর যথেচ্ছ ব্যবহার না করলেও যারা করছেন তাদের জন্য কিন্তু আমাদেরকেই ভুগতে হবে। অন্য কারো যথেচ্ছ ব্যবহার জীবাণুকেই শক্তিশালী করে দিচ্ছে। সেই একই জীবাণু পরবতীতে আপনাকে আক্রমন করলে আপনার এন্টিবায়োটিকের আগের ইতিহাস কাজে দিবে না। তাই কেবল আপনি নিজে সচেতন হলে মুক্তি মিলছে না। সার্বিক সচেতনতা দরকার।

এখন কি মশা মরে? মরে না। আগেতো কয়েল জ্বালালেই মশা থাকতো না। এখন কেন কয়েল স্প্রে কিছুতেই কিছু হচ্ছে না??

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০৮

না পারভীন বলেছেন: আশীষ ভাই, ধন্যবাদ সুন্দর অবজারভেসন এর জন্য। আর গুরুত্ব পূর্ণ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করার জন্য।

৬৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: এই ভিনদেশের ডাক্তারদের মনে মনে যে কত্তো গালি দিছি.....। বাচ্চার জ্বর-বমি-কাশিতে বিচলিত হয়ে মধ্যরাতেও কয়েকবার হাসপাতালে নিতে হয়েছে......তারা এমন ভাব দেখায় যে কিছুই হয়নি......। মাথায় দু চারবার পট্টি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে :( :( মনে করতাম ইন্সুরেন্সে সব ঔষধই মাগনা দিতে হবে বলে ডাক্তাররাও কিপ্টামি করে।

এই আম্রিকাতে বাচ্চাদের একমাত্র ঔষধ হচ্ছে টাইরানল(প্যারাসিটামলের ছোট ভাই).....তাও মারাত্মক খারাপ অবস্থা হলে ডাক্তাররা দয়া করে প্রেসক্রাইব করে। তবে এখন আমার আড়াই বছর বয়সি বাচ্চাকে নিয়ে সীবিচে ২-৩ঘন্টা হিমশীতল পানিতেও ঝাপাঝাপি করি নিশ্চিন্তে.....হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজলেও বিচলিত হতে হয়না...... ;)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০৩

না পারভীন বলেছেন: ভাল লাগলো মেহেদী ভাইয়া, সুন্দর আলোচনা।

৬৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:



নাপা, কোথাও এমন কোন ভঙ্গি ছিলো না আক্রমণের !

তাহলে আগে এই কমেন্ট করতাম না। "একটা কথা আপনাকে জানিয়ে রাখি। দেশ-বিদেশ কোথাও আমার লাইফে আজ পর্যন্ত একজন মন্দ ডাক্তার পাইনি।"


যাইহোক সরি আলোচনায় অংশগ্রহন করে ভুল করে ফেলার জন্য :)


আপনি সব ডাক্তার না হোক আপনার নিচে আমার দেয়া আপনার লিখায় কিন্তু আপনি ৬০০০ ডাঃ এর দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছেন তাই বললাম।


সরকার ৬ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়ার ফলে সাব সেন্টার পর্যন্ত পৌঁছে গেছে রেজিস্টার্ড এম ,বি,বি, এস । নিজ এলাকায় বেশির ভাগের পোস্টিং হওয়াতে কাজ করার জন্য নতুন জেনারেশনের এই ডাক্তারদের আগ্রহের সীমা নেই ।



আবারও দুঃখিত আপনাকে বুঝাতে না পারার জন্য।

৬৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

নাসরীন খান বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূূর্ণ একটি লেখা।ধন্যবাদ

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ , ভাইয়া।

৬৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২৯

শামীমুল বারী বলেছেন: সুন্দর তথ্যবহুল লেখা, তবে ডাক্তারদেরও আরো মানবিক অবস্থানে থাকতে হবে। এরাই সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে যে কোন কোম্পানির অষুধ লিথে থাকেন। রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তারদের প্রেসক্রিসশন ছাড়া অষুধ বিক্রয় নিষিদ্ধ হলে সাধারণ মানুষ তাদের হাতে আরো জিম্মি হয়ে যাবে, সেটা আরো ক্ষতিকর হতে পারে। তবে আমি নিয়ন্ত্রণের পক্ষে, সেটা হতে হবে সব কিছু বিবেচনা করে।
ধন্যবাদ, আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫২

না পারভীন বলেছেন: আপনার কথায় সহমত পোষন করতে পারছিনা, ঠিক আছে আপনার যখন মনে হচ্ছে রেজিস্টার্ড ডাক্তার রা রোগীদের জিম্মি করবে সে ক্ষেত্রে আপনার সুপারিশ কি। অবশ্যই দায়িত্বশীল ইন্টারন্যাশনাল সুপারিশ আশা করি আশা করি।

৭০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:১৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শুভজন্মদিন +

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া :)

৭১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৩১

কাঙাল বলেছেন: আপাতত কোন সমাধান নাই। এই দেশে জিপি কনসেপ্ট কাজ করবে? মানুষ থাকার কথা দুই কোটি, আছে প্রায় বিশ কোটি!
তারপরও আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিশ কোটিকে তিনি "সম্পদ" মনে করেন।
এই সম্পদ(!) ধুয়ে ধুয়ে আমরা পানি খাইতে থাকি.........
জনসচেতনতামূলক লেখাগুলো এইজন্যই আর ভাল্লগে না।
লেখার জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

না পারভীন বলেছেন: আপনার কথা গুলো নিয়ে অনেক ক্ষণ ভাবলাম :) ভেবে ভেবে আমিও কিছু পেলাম না।


ধন্যবাদ ভাইয়া।

৭২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৪১

তুষার কাব্য বলেছেন: সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ লেখা।সবার সচেতন হওয়া দরকার....

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

না পারভীন বলেছেন: আমরা সবাই মিলে সচেতন হলে অনেক সমস্যা কমে যাবে। থ্যানক্স ভাইয়া।

৭৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২০

বৃতি বলেছেন: চমৎকার পোস্ট নার্গিস আপু- অনেক ভালো লাগা থাকল। আপনারা যারা স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন, তাঁদের এরকম লেখার মাধ্যমে জনসচেতনতা অনেক বাড়বে। ভালো থাকবেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

না পারভীন বলেছেন: মনোমুগ্ধকর মন্তব্য, বৃতি আপু।

৭৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

শাবা বলেছেন: চমৎকার আর্টিক্যাল।
আপনার লেখাগুলো দিয়ে ভাল বই হতে পারে এবং এবারের বইমেলা প্রকাশ করতে পারেন।
আপনি চাইলে আমি আপনার লেখাগুলোর প্রুফ দেখে, কিংবা বানান সংশোধন করে দিতে পারি। সবার কাজে আসবে আপনার লেখাগুলো।
ধন্যবাদ আপু।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৮

না পারভীন বলেছেন: গ্রেট কমেন্ট। মনে পড়ে গেল আমি যখন প্রথম প্রথম ব্লগ লিখতাম, আমার সহ ব্লগার এর কাছে লেখা জমা দিতাম, লেখার আবেগ টা ঠিক মত এসেছে কিনা, বলে দেয়ার জন্য। উনি কি দেখতেন জানিনা, অকুন্ঠ প্রসংশায় ভাসিয়ে দিতেন শুধু। এখন তিনি আমার জানের বন্ধু

বই নিশ্চয় লিখব বেঁচে থাকলে, তখন ঠিক এই দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিব।

কে আমার বানান ঠিক করে দিবে এই চিন্তাতেই কাজ শুরু করা হচ্ছিল না।

এই গুরু দায়িত্ব নেয়ার অংগিকার করে ভার মুক্ত করার জন্য ধন্যবাদ শাবা আপু।

৭৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

সবুজ সাথী বলেছেন: অনেক আগে থেকেই ব্লগ বা ফেসবুকের ডাক্তারদের সাথে থাকায় এটা নিয়ে কিছুটা জানতাম। আপনার বিস্তারিত পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শরীরে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে এর যে সুফল পাওয়া যায় তার উদাহরণ আমি নিজেই। এইটা গর্ব করেই সবাইকে বলি। আলহামদুলিল্লাহ। আমার সবশেষ কবে যে জ্বর হয়েছিল মনে পড়েনা। বছর তিনেক আগে সর্দি-কাশি থেকে গলা বসে গেল। খুব হাল্কা শরীর গরম ছিল। হারবাল সিরাপ খাইতাম আর গরম পানিতে লবণ দিয়ে গড়্গড়া করতাম। এক সপ্তাহে সর্দিকাশি আর গলা ভাল হতে দুই সপ্তাহ লেগেছিল।

এই শক্তি পাওয়ার ইতিহাস সবার সাথে শেয়ার করতে চাই। স্কুল জীবনে খুব ঘন ঘন জ্বরে পড়তাম। মারাত্মক জ্বরে মাথার মধ্যে উথাল পাথাল স্বপ্ন দেখতাম। ৪/৫ দিনের জ্বর থেকে উঠে দুই সপ্তাহ লাগত দুর্বলতা কাটাতে। পরিবার ছেড়ে ব্যচেলর লাইফেও ঘন ঘন সর্দিজ্বরে পড়ে একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম জ্বর হলে আমার যা খাইতে ভাল লাগে তাই খাব। যা করতে ভাল লাগে তাই করব। কিন্তু কোন ওষুধ নিব না। তখন থেকে জ্বর/সর্দিজ্বর হলে আমি গরম গরম খাবার খেতাম। গরম পানি দিয়ে গোসল করতাম। শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকতাম যাতে শরীর ঘেমে যায়। ঘাম হলেই শরীরের তাপমাত্রা কমে যেত। তখন আবার কাঁথা ফেলে দিতাম। আবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে আর শীত অনুভুত হতে থাকে। আবার কাঁথা মুড়ি দিয়ে একই ভাবে শরীর ঘামাতে থাকতাম। এভাবে করতে করতে একসময় জ্বর ভাল হয়ে যেত। সর্দি কাশি ভাল হতে সময় লাগলেও একসময় এমনি এমনি ভাল হয়ে যেত।

এভাবে দেখা গেল একবার জ্বর থেকে ভাল হয়ে উঠলে আবার জ্বর হতে বেশি সময় লাগত। একসময় জ্বর একেবারেই পালিয়ে গেল কয়েক বছরের জন্য। আল্লাহর রহমতে এখন ঠাণ্ডা লাগা বলতে শুধু সামান্য সর্দি আর কাশি হয়। ভাইরাস জ্বর বলতে কি বুঝায় তা একেবারে ভুলেই গেছি।

আমার মত সিস্টেমেই যে সবার কাজ করবে তা হয়ত নয়, কিন্তু খুব বেশি সমস্যা না হলে ওষুধ না নেওয়াটাই ভাল। এতে আবার ধৈর্যের দরকার আছে। সবকিছুর তাড়াতাড়ি ফল লাভ সবসময় সুফল আনে না।

আবার কিছু ক্ষেত্রে সময়মত ওষুধ না নিলে ফলাফল উলটা হতে পারে। ডাক্তারগণই ঠিক করবেন কোনটা করতে হবে।

নাপা আপুকে আবারও ধন্যবাদ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৯

না পারভীন বলেছেন: সবুজ ভাই, আপনার ঘটনা গুলা মজার । ভাল লাগলো জেনে


ধন্যবাদ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করার জন্য।

৭৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:১৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

না পারভীন বলেছেন: :) :) :) বিনীত ধন্যবাদ খেয়া ভাই ।

৭৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন পোস্ট। নকল ঔষধ আর ছাতার মত গজিয়ে ওঠা মানহীন ঔষধ কোম্পানিগুলোকে শায়েস্তা করা প্রয়োজন।সাথে সাধারন মানুষকেও সচেতন হতে হবে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। ধন্যবাদ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করার জন্য।

৭৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এ সব বার্নিং ইস্যু নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভাবার সময় কই? উনারা বাণিজ্য করবেন না এগুলো নিয়ে ভাববেন? সবার আগে বাণিজ্য! তাই নয় কী?

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

না পারভীন বলেছেন: সকলে সচেতন হলে সরকার ও ভাববে এই বিশ্বাসে লিখা। আশা বেঁচে আছে
ধন্যবাদ ভাইয়া

৭৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: অতি গুরুত্বপূর্ন পোস্ট। পোস্ট স্টিকি করেও সামু কর্তৃপক্ষও তা জানান দিয়েছে। সেজন্য তাদের অনেক ধন্যবাদ।

আজব এই দেশ বাংলাদেশ। “সর্বাঙ্গে ব্যাথা, ঔষধ দিব কোথা "। যাই নিয়ে আলাপ হবে তা পড়েই প্রেসার উঠে যাবে। আপনার লেখা পড়ে খুবই টেনশন হচ্ছে। ক্যামনে আমরা টিকে থাকবো। সরকার কি করবে? নগদ নারায়ণের কাছে সবাই যে তুচ্ছ! জনগণ কি করবে? তাদের আসলে কতটুকু করার আছে? তাতক্ষণিক সমস্যার ফলে অনেকেই কোয়াকদের/ঔষধের দোকানদারদের কাছে যায়, যেতে হয়। এর সমাধান কে করবে? কিভাবে করবে?

তবু সাহসী হতে হবে আমাদের। সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকার, মন্ত্রণালয়, ডাক্তার, জনগণ, ঔষধ কোম্পানী, ক্লিনিক মালিকসহ সকলকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তবে সবচেয়ে বেশী দায়িত্ব নিতে হবে স্বয়ং ডাক্তার ও সরকারকে।

এমন জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ও হ্যা, শুভ জন্মদিন।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৯

না পারভীন বলেছেন: ধন্যবাদ ইছামতি ভাই। সচেতনতা প্রয়োজন। গুরুত্ব পূর্ণ মতামত ব্যক্ত করার জন্য আবারো ধন্যবাদ।

৮০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

জামান শেখ বলেছেন: আমার মতে সব রোগের জন্যই যে এমবিবিএস এর কাছে যাওয়া ঠিক নয়। ছোট খাট অনেক রোগ আছে যা জেনারেল ফিজিসিয়ান/পল্লি ডাক্তাররাই সারাতে পারেন। না পারলে এমবিবিএস/ স্পেশালিস্ট এর কাছে পাঠাবে। গ্রামে এমবিবিএস ডাক্তার available নয়। উদাহরনে বলা যায়, গ্রামে একটি টিন সেড বাড়ী বানাতে আর্কিটেক্টের কাছে যাওয়া কি ঠিক হবে? ঠিক হলেও আর্কিটেক্টের যোগ্যমূল্য কি গ্রামের মানুষ দিতে পারবে?

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৪০

না পারভীন বলেছেন: OTC ড্রাগ গুলো তো রয়েছে। তারা সে চিকিৎসা করলে সমস্যা কিছু নাই । এন্টিবায়োটিক নয়।
সব কিছুই যেন তেন ভাবে হেলাফেলা করলে চলেনা।
এক যুগে নাপিত ফোঁড়া কাটত, এখনো নিশ্চয় সে যুগে থাকতে চান না। তার পরও বলি অর্শ্ব গেজ এ এসিড দিয়ে পুড়িয়ে পাইলিসের চিকিৎসার ভয়াবহতা কখনো দেখেন নি, নিজের উপর এন্টিবায়োটিক রেজিস্টটেন্স এর প্রভাব না পড়া পর্যন্ত আমরা আসলে কোন কিছুই সিরিয়াসলি নেই না, এটাই আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য, কিন্তু আমরা এ দোষ থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।

৮১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: মনে পড়ে ২০০০ সালের দিকে জ্বরের কারণে রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শেই টানা ২০ দিন নাগাদ ২ বেলা সিপ্রোফ্লক্সাসিন খায়া জীবনডারে সেই খানেই শেষ কইরালাইছি :(

আজকে ৩০ এজ এ যখন আমি ডায়াবেটিস রোগী, তখন বুঝি সিপ্রো টাইপের এন্টিবায়োটিক আমার কি সর্বনাশ করছে

তখন জ্বর ভালো হয়ই নাই, এরপর বোনমেরু কইরা কালা জ্বল ধরা পড়ছে

এরপর শুরু হইলো কালা-জ্বরের ইংজেকশন নেয়া :(

৮২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪

মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: ওহ হো কালাজ্বরের ইনজেকশনটার নাম মনে পড়ছে: সোডিয়াম স্টিবোগ্লোকোনেট বা স্টিবাটিন ইনজেকশনটা নিতে হইতো, এটা পুশ করা মাত্রই শরীরের ভিত্রে যে কি যন্ত্রণা হইতো :( বিশেষ কইরা মাথায় :( আল্লাহ মাফ করো !

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৫০

না পারভীন বলেছেন: ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে, আহারে এখন নিয়ন্ত্রিত জীবন। ডায়াবেটিস আজকাল প্রায় অনেকের। ভেজাল ফর্মালিন খাবার এর প্রভাব থাকার সম্ভাবনা আছে, এর একটা গবেষনা দরকার

কালা জ্বর, ম্যালেরিয়া হলে সহজে সারবেনা যতক্ষণ না ঠিক ঔষধ টা পড়ে।

আপনার বাড়ি কোন দিকে। সাধারনত যে অঞ্চল ম্যালেরিয়া আর কালাজ্বর বেশি হয়, সেদিকে ২য় চিন্তা হিসেবে এসব আসে।

এর বাহিরের অঞ্চল হলে অবশ্যই অনেক পরে চিন্তা করা হয়।
সুস্থ্য থাকুন, প্রার্থনা করি ।

৮৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

জগাই মাধব বলেছেন: আমার একটা অব্সার্ভেসন আছে। অনেক রুগী এন্তিবীয়টিক কভারেজ এ থাকার সময় নিজেই এন্তিবীয়টিক বন্ধ করে দেয়। দেখা গেল ৭ দিন এর ডোজিং এ ৩ দিন পর রোগী সুস্থ বোধ করলে সে নিজে কোনো পরামর্শ ছাড়াই ডোজিং বন্ধ করে দেয়। ডাক্তারদের উচিত প্রত্যেক রোগী যাদের এন্তিবীয়টিক দিয়া হয় তাদের রেজিস্তান্স সম্পর্কে কাউন্সিলিং করা। আরো ৫০ বছরে ক্যামিস্ট এর ঔষধ সাজেশন করা বাংলাদেশ এ বন্ধ হবে না। তাই তাদের কিছু সাইন্টিফিক সেমিনার এর অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। আর এন্তিবীয়টিক রেজিস্তান্স নিয়া পাবলিক প্রমোশন ও ঘটনা কিছুটা কন্ট্রল এ আনবে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৭

না পারভীন বলেছেন: আপনার মন্তব্য অনেক গঠন মূলক। খুব ভাল লাগলো

আমার চেম্বার যেখানে, সেখানে অনেক পল্লী ডাক্তার আসে। আমার প্ল্যান আছে, একটা আলোচনা সভার আয়োজন করার।

তারা দীর্ঘ দিন ধরে স্বাস্থ্য খাতে অবদান রেখে আসছে, জ্ঞানের অভাবে মানুষের ক্ষতি সম্পর্কে জানেনা।
ধন্যবাদ ভাইয়া।

৮৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:০২

রুবন্স বলেছেন: প্রিয় আপু,আপনার লেখাটি আমাদের বুঝিয়ে দিল আমরা একটু সচেতনতার অভাবে কতোট বলির পাঠা হয়ে আছি। আমার ছোট্ট একটা অভিঙ্গতা বলি,আমার স্ত্রী যখন ১ কি ২ মাসের প্রেগনেন্ট তখন বেশ জ্বর এ ভুগছিল। আমি গাইনী মহিলা ডাক্তারের শরনাপন্ন হলাম। তিনি ব্লাড টেষ্ট সহ আরো কিছু পরীক্ষা করতে দিল। পরীক্ষা রির্পোট উনার কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। দেখলো মোটামুটি সব ঠিক আছে। কিছু আয়রন, ক্যালশিয়াম আর ভিটামিন টাইপ অষুধ প্রেসকিপশন করলো। কিন্তু তার পরও অনবরত জ্বর উঠা নামা করায় আমি চিন্তিত হয়ে পরি। কিছুদিন পর আবার যখন সেই ডাক্তার আপার কাছে যাই উনি কিছু না দেখেই বললো আমার স্ত্রীর টাইফয়েড হয়েছে তাই তিনি সেই ২ মাস চলার মাথায়ই আমার স্ত্রীকে টাইফয়েডের এন্টিবাইটিক সাজেস্ট করলো। কিন্তু আমি বাহিরে অনেকের কাছে জানতে পারলাম প্রেগনেন্সির শুরুর সময় নাকি হাই পাওয়ার এর এন্টিবাইটিক খাওয়া ঠিক না, আর প্রেগনেন্সির সময় জ্বর কমন ব্যাপার আরো অনেক টাইপ অসুখও এই সময় দেখা দেয়। তাই আমি এন্টিবায়টিক না নিয়ে শুধু ভিটামিন,ক্যালশিয়াম আর আয়রন টাইপ মেডিসিন গুলোই খাওয়াতে লাগলাম। পরে অবশ্য অন্য আর একজন গাইনী ডাক্তারের তত্যাবধানে ছিল আমার স্ত্রী। আল্লার রহমতে আমার এখন দেড় বৎসরের একটি কন্যা সন্তান সুস্ত স্বাভাবিক আছে। আমার মনে হয় শুধু ফার্মাসীর দোকান নয় আমাদের চিকিৎসক গন যদি অান্তরিকতা আর মানবতা বিচার করে চিকিৎসা সেবা দেয় তাহলে আমাদের সচেতনতা অনেক বেড়ে যাবে। কারন আমাদের এতো চিকিৎসক আছে শুধু প্রতিদিন সিরিয়ালে ভিজিট নিয়ে কনোরকমে ৫-১০ মিনিটে দেখে বিদায় করে দেবার জন্য যার কারনে তাদের উপর মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। সব রোগের কিছু কমন অসুধ লেখে দিলেই ৫০০ টাকা ভিজিট। আর সরাদিন যত বেশী রোগী দেখতে পারবে ততো লাভ ডাক্তার আর ক্লিনিকের। তাই একজন রোগীর সমস্যা স্টাডি করার সময় কই তাদের। মানুষ এতে অভস্ত্য, কারন আমরা জানি এতো ক্লিনিক, হাসপাতাল আর চিকিৎসক থাকতেও অসুস্থ রোগী নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সিরিয়ালে দাড়িয়ে থেকে সেই ডাক্তারের দর্শন ৫ মিনিটের জন্য ৫০০ টাকার বিনিময়ে পাবো। এর চাইতে কিছু কমন অসুখের মেডিসিনের নাম নিজেই শিখে নেই। পরে দেখা যাবে যা যয়। প্রাথমিক চিকিৎসা আমরা নিজেরাই ডাক্তারী কায়দায় দেবার চেষ্টা করি। যেটা হয়তো মহা ভুল কাজ। আর ফার্মাসীগুলোতো মাঝে মাঝে খেয়ালি করে না তাদের অসুধের মেয়াদ আছে কি নাই। আমকেও একবার ভুলবশত মেয়াদ উত্তীর্ণ চোখের ড্রপার দিয়ছিল। আমি খেয়াল করেছি বলে হয়তো রক্ষা কিন্তু আমাদের গ্রামের মা বোন ভাই যাদের এতো কিছু বোঝার শিক্ষা নাই তারাতো এদের উপরি ভরসা করে চিকিৎসা সেবা নেয়। অথচ তারা গিনিপিকের মতো পরীক্ষামুলক চিকিৎসায় পরিনত হয়। এদিক থেকে আপনাদের মতো শিক্ষিত মানুষগুলোকেই আগে এগিয়ে আসতে হবে। আজকাল আরো দেখা যায় বিভিন্ন ফার্মাসিটিক্যাল কম্পানীর মার্কটিং এর লোকজন তাদের মেডিসিন বাজারজাত করার জন্য ডাক্তারদের বিভিন্ন গিফট দেয়, রোগীদের অপেক্ষায় রেখে ডাক্তারের চেম্বারে আলাপ করে। নিজেরাই বিভিন্ন রোগীকে প্রেসকিপশন করে তাদের মেডিসিনের জন্য, যেন তারাই ডাক্তার। সাধারন মানুষ এতে মোডিবেশন হয় খুব সহজে। আসলে চিকিৎসা সেবাটা মানুষের দুর্বলতাকে পুঁজি করে করা হচ্ছে বলেই আমাদের এই দুরহ অবস্থা। এই একটি ক্ষেত্রে মানুষ সব থেকে বেশী অসহায় আর কোন কোন মানুষ সেইটাকে পুঁজি করে কমর্শিয়াল হয়ে ব্যাবসা করছে যা অতন্ত বেদনাদায়ক। এখনতো আবার ক্লিনিক্যাল মার্কেটিং শুরু হয়েছে। হাসপাতালের এডর্ভাটাইজ হয়, মার্কেটিং লোক নিয়োগ দেয়া হয়। রোগী নিয়ে আসতে পারলে কমিশন পায়। তাহলে সেবা চিন্তাধারা থেকে আমরা ব্যাবসায়িক চিন্তাটা বেশী মনোযোগ দিয়ে করছি না। সরকার বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখবে বলেই আমরা সাধারন মানুষ আশা করি।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:০৭

না পারভীন বলেছেন: এখানে একটা ভুল তথ্য আছে, যা হল প্রেগনেন্সীতে জ্বর খুব কমন।
আসল তথ্য হল, প্রেগনেন্ট মহিলাদের তাপমাত্রা সাধারন মানুষ থেকে পয়েন্ট ফাইভ বেশি থাকে।

জ্বর খুব বিপদ জনক গর্ভবতী মায়ের জন্য। এতে বাচ্চার ক্ষতি হয়। জ্বরে বেবী পেটে মারা যেতে পারে অথবা প্রিম্যাচিউর ডেলিভারী হয়ে যেতে পারে।
যা হোক, সুস্থ্য বেবী হয়েছে শেষ পর্যন্ত এটা আল্লাহর রহমত।

ধন্যবাদ ভাই, গুরুত্ব পূর্ণ আলোচনায় অংশ নেবার জন্য।

৮৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

হাসান বিন নজরুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপা খুবই চিন্তা হয় দেশ নিয়ে কিন্তু মাথাগুলোই যেন চিন্তাহীন! তাই আমাদের চিন্তা আলোর মুখ দেখে না :(

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

না পারভীন বলেছেন: হতাশ হবার মতই বিষয় । এন্টিবায়োটিক এর মত বিষয় এভাবে যত্র তত্র ইউজ হলে বিপদ ।


ধন্যবাদ হাসান ভাই ।

৮৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

এমএম মিন্টু বলেছেন: খুবই গুরুত্ব পূর্ণ একটি পোষ্ট । আগে পড়েছি এখন মন্তব্য করে গেলাম ধন্যবাদ আপু আপনাকে পোষ্টটি শেয়ার করার জন্য ।

৮৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

নীল রাত বলেছেন: এই রকম ভাবে ফার্মেসি থেকে ঔষন নেওয়া রেনু নামের অসংখ্য অশিক্ষিত মহিলা রয়েছে,
শিক্ষিত লোকেও এটা কম করে না।

সর্বপুরি আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি।

৮৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

জাকির হায়দার বলেছেন: ভাল লেগেছে।

৮৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩২

জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট। আমাদের সকলের পড়া উচিত।
িইচ্ছে ছিল ফেসবুকে শেয়ার করবো। শেয়ার বাটন কাজ করছে না। ঘটনাটা কি!

৯০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:০৬

মুছাফির বলেছেন: আমার জানামতে, গ্রামের ৮০ ভাগ ডাক্তারই ভুয়া।

৯১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২১

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: একটি সুন্দর ও সময় উপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ। ডাক্তাররা ওষুধের নাম না লেখে জেনারিক নাম লিখলে ভালো হয়।

৯২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:১১

কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: পোষ্টে প্লাস! কুব বেশীদিন নেই, পেনিসিলিন, সেফালোস্পোরিন, এবং ফ্লুরোকুইনোলন বাংলাদেশে আর কাজ করবে না। সিপ্রোফ্লোক্সাসিন, অ্যামোক্সিলিন ইতিমধ্যেই রেজিস্ট্যন্ট করতে শুরু করেছে। একদিন বাস্তবতা যাবে মুভির এই ডায়লগের মতঃ

Remember a world where you've infection but no antibiotics to treat!

৯৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:২৮

রুবন্স বলেছেন: ধন্যবাদ আপু আমাকে জানানোর জন্য।

৯৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:২৯

রুবন্স বলেছেন: ধন্যবাদ আপু আমাকে জানানোর জন্য।

৯৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৯

সুফিয়া বলেছেন: বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য সব সময়কার বার্নিং ইস্যূ। আমরা সাধারণ মানুষেরা এসবের কাছে যেন জিম্মি হয়ে আছি।

পুরো লেখাটা পড়লাম। লেখাটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে এর গুরুত্বকে সীমাবদ্ধ করে ফেলতে চাইনা। তবে আপনার কাছে একটা শব্দের অর্থ জানতে চাই। সেটা কোয়াক। এই কোয়াক বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে।

আপনার সুপারিশ গুলোর সাথে সম্পূর্ণ একমত। এ প্রসংগে আমি একটা কথা বলতে চাই। আজকাল কোথাও ডাক্তার দেখাতে গেলে রিপ্রেজেনটেটিভদের অত্যাচারে অতীষ্ট হতে হয়। দেখা যায় ডাক্তাররা রুগীর চেয়ে ওদেরকে সময় দিতে কার্পণ্য করেন না। আমার নিজের চোখে দেখা। আমি ডাক্তারকে আমার সমস্যার কথা বলছি। মাঝখানে একজন ব্যাগ হাতে ঢুকে গেল। ডাক্তার বললেন, উনার কথাটা আগে শুনে নিই। সেই লোক কয়েকটা ওষুধের সেম্পল ডাক্তারকে দিয়ে এগুলো দেখতে বলল। তারপর রসের মিস্টির প্যাকেট এগিয়ে দিল। সে লোক চলে যাবার পর ডাক্তার আমার দিকে মনযোগী হলেন।

শুধু তাই নয়। ডাক্তার কি ওষুধ দিয়েছে ? --সেটা দেখার জন্য রুগীর প্রেসক্রিপশান নিয়ে এদের টানাটানি রীতিমতো বিরক্তিকর।

আমি জানিনা আপনি ডাক্তা কি-না। হয়ে থাকলেও কিছু করার নেই। আমার কথায় এতটুকু মিথ্যে জড়িয়ে নেই। তবে আপনি ডাক্তার বা আমার মতো সাধারণ মানুষ, যে-ই হোন না কেন ? যেহেতু এ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন, সেহেতু একটা প্রশ্ন আমি রাখতেই পারি এখানে। সেটা হলো আপনার মতে এই সমস্যা (যেটা আমি বললাম) থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?

ধন্যবাদ আপনাকে।

৯৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৪

কয়েস সামী বলেছেন: আপি, আপনার নামটা কি নার্গিস পারভীন হবে? আমি কি ম্যাগজিনে নামটা এভাবে লিখব: ডা. নার্গিস পারভীন?

৯৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

কয়েস সামী বলেছেন: আপনার ঠিকানাটা কি দিবেন? [email protected]

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫০

না পারভীন বলেছেন: [email protected] অভ্র কাজ করছেনা , তাই কমেন্টের উত্তর দিতে পারিনি ভাইয়া । এখনো কপি করে দিচ্ছি । :)

৯৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৭

কয়েস সামী বলেছেন: আপি আমি একটা ম্যাগাজিন পাঠাব আপনার ঠিকানায়। তাই ই মেইলে হবে না। আপনি বরং আমার মেইলে আপনার ঠিকানাটা পাঠান।

৯৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অরন্যে রোদন না হলে ভাল, অনেক গুরুত্ব বহন করে লেখা. শুভ কামনা :)

১০০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৮

প্রামানিক বলেছেন: না জেনে যারা ডাক্তারী করে তাদের শাস্তির আওতায় আনা দরকার। নিম্নমানের ঔষধ চালানোর জন্য যারা ঘুষ প্রয়োগ করে তাদেরকেও শাস্তি দেয়া দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.