নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'সে একজন হেডস্যার। সে যা ভাল বোঝে তোমাদের বলছে।\'

১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০১




সাম্প্রদায়িক ঘৃণার বিষয়টা আর ভাল লাগছে না। এই ধরনের একটা করে ঘটনা ঘটবে, আর পাল্লা ভারি হবে চরমপন্থীদের। পাল্লা ভারি হবে চরমপন্থীদের সমর্থকের। সহজাত ভালবাসায় ভরা প্রতিবেশী মুহূর্তে পরিণত হবে তীব্র তীক্ষ্ণ ঘৃণার পাত্রে। এইযে প্রধান শিক্ষক, তার ওই ক্লাসের কয়টা ছাত্রছাত্রী তাকে শ্রদ্ধা করে, ভালবাসে এখনো?

বাচ্চার পেটে ঘুষি মারা। তাও আবার শুনতে না পাবার বা জবাব না দেয়ার অপরাধে। একাধিক। এরপর তাকে এন্টাসিড আর প্যারাসিটামল জোর করে খাওয়ানো। বাসায় যেতে চাইবার পরও না দেয়া। জোর করে ধরে রাখা। এরপর ক্লাসে এসে বিনা কারণে এমন উগ্র সাম্প্রদায়িক উক্তি!

শুধু বাচ্চাকে মারা এবং তাকে জোর করে অষুধ খাওয়ানো ও শেষে তাকে আটকে রাখা এই তিনটার যে কোনও একটা অভিযোগ প্রমাণিত হলেই ইউরোপ আমেরিকায় তার জেল তো হতই, শিক্ষক পেশাও নিষিদ্ধ হতো তার জন্য।

উগ্র সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপূর্ণ কথা একা বলা এক কথা। পুরো ক্লাসের উদ্দেশ্যে বলা অন্য কথা। আল্লাহর পাক নাপাকির কথা নাহয় পরে আনা যাবে। আল্লাহ্ আছে না নাই সেই খবরই যে জানে না আল্লাহর পাক নাপাকির কথা তার কাছ থেকে ধর্তব্য না।

তার ছাত্ররা আছে এটা একটা কংক্রিট ফ্যাক্ট। সে এই ছাত্র-ছাত্রীদের চূড়ান্ত অভিভাবক এবং মডেল এটাও একটা কংক্রিট ফ্যাক্ট।
শিশু কিশোরদের, নিজ ছাত্রদের নাপাক জানার মত তীব্র ঘৃণা ও বিতৃষ্ণার উৎসটা কোথায়?

অ্যাত্তো ঘৃণা নিয়ে একজন শিক্ষক কী শিখাবেন এবং তার ছাত্রদের কী যত্ন নিবেন?

আল্লাহকে নিয়ে বললে তো আল্লাহর কিছু যাবেও না, আসবেও না। কিন্তু এই ক্লাস টেনের ছেলেমেয়েগুলো কী যে ট্রমা নিয়ে বড় হবে! ঘৃণার বটবৃক্ষ সাম্প্রদায়িকতার চূড়ান্ত আগুন এদের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া হল।

যারা শিক্ষক বনাম ধর্ম দ্বন্দ্বে পড়বে তারা পড়বে ট্রমায়।
যারা এই দ্বন্দ্ব পদদলিত করে ধর্মের বিষয়ে স্থির থাকবে তারা পড়বে ঘৃণায়। এই ছেলেমেয়েগুলো হয়তো মডারেট মুসলিম হতো, কিন্তু ঘৃণা-উৎসারক মুসলিমে পরিণত করার জন্য তাদের সম্মানিত প্রধান অভিভাবকই যথেষ্ট ছিলেন।

বি. দ্র.
ওসমান ফ্যামিলির মত ধুরন্ধর পরিবার খোদ্ নারায়ণগঞ্জেও কম আছে। বিশেষ করে সেলিম ওসমানের ব্রেন তো চলে না, বুলডোজার চলে। সে মামলা-মোকদ্দমা এবং কোপাকুপি হামলা সবকিছু এক মিনিটের বৈঠকের মধ্যে শেষ করে দিয়েছে।

বি. দ্র.-২
স্যারের অপমানে কান ধরে উঠবস করে করে সেলফি দিয়ে সারা অনলাইন সয়লাব।

'সে একজন হেডস্যার। সে যা ভাল বোঝে তোমাদের বলছে।' কথাটা বলেছিলেন সেখানে উপস্থিত আরেক শিক্ষক। স্যার তার পুরো ক্লাসের ছাত্রদের অস্তিত্বগতভাবে অপবিত্র জানাটাকে ভাল মনে করেন। আমরা সেই স্যারকে ডিফেন্ড করাকে ভাল মনে করছি।

আরে বাবা স্যারের পরিচয় কাদের সাপেক্ষে? ছাত্রছাত্রীদের সাপেক্ষে। তাদের অভিভাবকত্বে, প্রদর্শনে। শিক্ষক সম্মানিত কারণ তিনি শিশু কিশোরদের আলোকিত করেন। আর কোনও কারণে না।
যে শিক্ষক শিশু কিশোরদের অপূরণীয় ট্রমার মধ্যে ফেলে, তাও আবার ক্লাস জুড়ে শিক্ষার্থীদের, তাকে শিক্ষকতার ক্ষেত্রে বিবেচনা করে সম্মান করা আর পরিমলের জন্য জাঙ্গিয়া পরে পোজ দেয়ার মধ্যে কোনও তফাত নেই এটা কি খুব বেশি অস্পষ্ট এবং উচ্চতর কথা হয়ে গেল?

যে তার ক্লাসের সমস্ত কিশোর ও শিশুকে অস্তিত্বগতভাবে অপবিত্র জানে সেই শিক্ষকের জন্য যে কানে ধরে উঠবোস করে ফেবুতে পোস্ট দেয় তার অস্তিত্বের প্রতি করুণার বাইরে কিছু হয় না।
শিক্ষক পদবীর কথা তার মনে আছে, শিক্ষক কী কারণে শিক্ষক সেটা মনে নাই।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শুধু বাচ্চাকে মারা এবং তাকে জোর করে অষুধ খাওয়ানো ও শেষে তাকে আটকে রাখা এই তিনটার যে কোনও একটা অভিযোগ প্রমাণিত হলেই ইউরোপ আমেরিকায় তার জেল তো হতই, শিক্ষক পেশাও নিষিদ্ধ হতো তার জন্য।

শিশু কিশোরদের, নিজ ছাত্রদের নাপাক জানার মত তীব্র ঘৃণা ও বিতৃষ্ণার উৎসটা কোথায়?

অ্যাত্তো ঘৃণা নিয়ে একজন শিক্ষক কী শিখাবেন এবং তার ছাত্রদের কী যত্ন নিবেন?

শিক্ষক পদবীর কথা তার মনে আছে, শিক্ষক কী কারণে শিক্ষক সেটা মনে নাই।

শিক্ষকের অপমান কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়। আবার শিক্ষকেরও তার দায় মনে রাখা উচিত। এখানে একটা বিষয় কালকে কারো পোষ্টে দেখেছিলাম.. ইমোশনার গেইমটাই বেশী হচ্ছে মনে হল। বুয়েঠের মুসলিম শিক্ষককে যখন ছাত্রলীগের হিন্দু নেতা পেটায় তার জন্য কোন ছাত্র সুশীল প্রতিবাদ করেনা বা সোসাল ইস্যু হয়না। কিন্তু ইসলামকে গালী এবং ভিন্নধর্মী হলেই তাতে যেন পালে হাওয়া লাগে। এই লক্ষনটাও ভয়াবহ ভবিষ্যতের জন্য।

কোন ধরনের শিক্ষক অবমাননা কাম্য নয়। শিক্ষকেরও সামাজিক শিস্টাচার ভুলে যাওয়া উচিত নয়।

১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অবশ্য ভাই মানুষের মাথা গরম থাকলে অনেক কিছুই করে ফেলে।
তখন তার ধর্মপরিচয়টা অনেক বড় দোষ হয়ে যায়।

একই ভুল অন্য কেউ করলে হয়তো এতটা পক্ষ-বিপক্ষে রিঅ্যাক্ট হতো না, যতটা হচ্ছে প্রধান শিক্ষক ও ধর্ম-দূরত্বের কারণে।
নারায়ণগঞ্জে হাটে মাঠে ঘাটে এমন বাজে মন্তব্য অহরহ চলে। সারা দেশেই চলে।

২| ১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: বুঝলাম না অনেক কিছুই। কোন একটা কিছু মিস করে গেছি।

১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হামাভাই ওই ক্লাসের ছাত্রদের কিছু ভিডিও দেখেছি। সেখানে তারা বিষয়টা এভাবে বলছে, তিনি বলেছেন, 'তোরা নাপাক তোদের আল্লাহও নাপাক'।

বিষয়টা নিয়ে আর বাড়ব না ঠিক করেছি। মানুষ মুহূর্তের মধ্যে অনেক কিছুই করে। পরে গিয়ে সেটার দোষ পড়ে সম্প্রদায় ভিত্তিতে। এর বাইরে সারা দেশে উস্কানির একটা প্রক্রিয়া চলছেই।

৩| ১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মানুষের মাথা গরম থাকলে অনেক কিছুই করে ফেলে।
তখন তার ধর্মপরিচয়টা অনেক বড় দোষ হয়ে যায়।

একই ভুল অন্য কেউ করলে হয়তো এতটা পক্ষ-বিপক্ষে রিঅ্যাক্ট হতো না, যতটা হচ্ছে প্রধান শিক্ষক ও ধর্ম-দূরত্বের কারণে।
নারায়ণগঞ্জে হাটে মাঠে ঘাটে এমন বাজে মন্তব্য অহরহ চলে। সারা দেশেই চলে।

৪| ১৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

Same to U বলেছেন: আপনার কথাটা মানতে পারছিনা।
কারো ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলে সে যেই হোক তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
আর একজন শিক্ষক এমন কাজ করলে তার শাস্তি আরো বেশী হওয়া উচিৎ।।
কারন সে মূর্খ না। সে বুঝবান।

৫| ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১:৪৮

এস বি সুমন বলেছেন: পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি যে ঐ শিক্ষকের নাকি বেধরক পিটুনিতে ছাত্র রিফাত অচেতন হয়ে পড়েছিল । অচেতন অর্থাৎ চেতনাহীন হলে তো কারো কথা/শব্দ শুনার কথা না । যদি সত্যি মারধোরের কারনে অচেতন হয়ে পরে তবে তো রিফাত ঐ শিক্ষকের কিছুই কথা শুনতে পাবে না সেহেতু ইসলাম নিয়ে কটূক্তিমূলক কথার অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা । আবার যদি সত্যি ঐ শিক্ষক ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করে থাকে,আর রিফাত যদি সেটা শুনে থাকে তবে রিফাত অচেতন হয়ে পরেছিল শিক্ষকের পিটানিতে এই অভিযোগ টাও মিথ্যা । কেননা একসাথে দুটো অভিযোগই সত্য হতে পারে না । একটা সত্যি বলে মেনে নিলে আর একটা অভিযোগ মিথ্যা হবেই । তাছাড়া ছাত্র রিফাতকে ৮ই মে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত প্রহার করেছিল এটার রিয়েকসন ১৪ই মে হবে মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেছে সেটা মুমিনরা এত দিন পর ক্ষেপে যাবে ব্যাপারটা তাদের পরিপ্রেক্ষিতেই অযৌক্তিক ধরা পরে । তারমানে বুঝাই যাচ্ছে এই কদিনে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অপসারণের জন্য সুযোপযোগি কারণ সৃষ্টি করার জন্যই এসব ইস্যু তৈরি করা হয়েছে কথাটা বলা আমার ভুল হবে না । উল্লেখ্য যে স্কুল পরিচালনা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই তার সাথে এমনটা করা হয়েছে বলে শ্যামল কান্তি ভক্ত বিবিসি বাংলা কে বলেন ।

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০২

বিজন রয় বলেছেন: আপনি কোথায় হারালেন?

নতুন পোস্ট দিন।

৭| ২৩ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:২২

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে ফিরে আসুন, নতুন পোস্ট দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.