নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অন্য কিছু নই, আমি সবাই.....

বরাবরের মতই প্রতারক এবং পলাতকগণ দূরে থাকুন

মহামহোপাধ্যায়

আমার কিছু সুন্দর সময়, আর খুব প্রিয় কিছু মানুষের কথা মনে করতে চাই বার বার...

মহামহোপাধ্যায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঠশালার প্রথম পাঠ

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৪২

হলিউডের ম্যুভিগুলোতে যখন দেখায় ক্লাসের গোবদা গোবদা পোলাপানের হাতে নতুন আসা ছাত্রছাত্রীরা নাকাল হচ্ছে, আপনাদের তখন কি মনে হয় জানি না!! আমার কিন্তু কিন্ডার গার্টেনের প্রথম দিকের দিনগুলির কথা মনে পড়ে যায়। তবে স্কুলে যে শুধু নাকাল হয়েছি তা নয় মজাও পেয়েছি অনেক। আজো আমার মনে পড়ে মেজ ভাইয়ার সাথে যেদিন প্রথম স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম, জানুয়ারি’৯২ এর কোন এক সকাল। সেদিন স্কুলে বোধহয় কি একটা অনুষ্ঠান চলছিল ম্যামরা সবাই স্কুল গেটের কাছে রোদে চেয়ার নিয়ে বসে ছিলেন। ভাইয়া যেইনা একজন ম্যামকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন “ম্যাম, আমার ছোট ভাইটাকে স্কুলে ভর্তি করাতে চাই সাথে সাথে চারদিক থেকে তীরের মত প্রশ্ন আসতে থাকল, ওর বয়স কত?? লিখতে পারে ?? পড়তে পারে ?? দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এনেছ?? তিনশ টাকা এনেছ?? আমি এহেন প্রশ্ন বাণে বিদ্ধ হয়ে দম নিতে ভুলে গেলাম আর মেজ ভাইয়া, বেচারার কতই বা বয়স সেভেন এইটে পড়ে বোধহয় !! খাবি খেতে কোনমতে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বললেন, আসলে জানতে চেয়েছিলাম ওকে স্কুলে ভর্তি করতে হলে কি কি লাগবে।

বাসায় এসে মেজ ভাইয়া বাবার কাছে একদফা ইন্টারভিউ দিল, তারপর ধার্য করা হল আমাকে এই স্কুলেই ভর্তি করা হবে। প্রথম স্কুলে যাব যথারীতি কপালে জুটল মেজ ভাইয়ার একটা পুরনো স্কুল ব্যাগ, কিন্তু সেটা নিয়ে অভাব অভিযোগ করার কথা মনেই আসে নি। আমি তখন নতুন স্কুলে যাবার স্বপ্নে বিভোর। আমার খুব ইচ্ছা আমার একগাদা বন্ধু হবে। তারা আমার বাসায় ডাকতে আসবে। যেমন আসে মেজ ভাইয়ার বন্ধুরা। খাতা নিলাম, পেনসিল নিলাম, পেনসিল দিয়ে লিখতে হবে জেনেও কলম নিলাম এই ভেবে যে কাজে লেগেও যেতে পারে। পরদিন সকালে বাবার সাথে গেলাম স্কুলে, এবার সরাসরি হেডস্যারের রুমে। নতুন জায়গা কিরকম যেন আড়ষ্ট লাগছিল। আমাকে বসতে বলে কী কী যেন জিজ্ঞাসা করলেন, সবগুলো পেরেছিলাম। তারপর খাতা পেন্সিল দিয়ে কি জানি লিখতে বলে স্যার আর আব্বা রাজনীতি নিয়ে বিশাল গপ্পো শুরু করলেন, আমিও লেখা বাদ দিয়ে হা করে তাদের কথা শোনা শুরু করলাম। এক পর্যায়ে তাদের যখন হুঁশ হলো আমি লিখছিনা তখন আমাকে তাড়া লাগালেন। এই অভ্যাস এখনও রয়েছে আমি প্রায়ই নিজের কাজ করতে ভুলে যাই আর তাড়া না দিলে আমার কাছ থেকে কোন কাজ আদায় করা খুব দূরহ। যা হোক এরপর হেডস্যার আমার খাতা দেখে বললেন, হুম একটু স্লো, তবে ভর্তি করানো যাবে। “স্যার, আমি আজো স্লো-ই আছি ফাস্ট হতে পারিনি”। যাহোক এইবার বাবা তাঁর তুরুপের তাস বের করলেন, হাসতে হাসতে স্যারকে বললেন, দেখুনতো ওকে কেজি টু তে ভর্তি করানো যায় কিনা?? স্যার কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে, খাতার দিকে তাকিয়ে বললেন আচ্ছা সমস্যা নেই। এরপর একজন ম্যাম তার খাতায় আমার নাম লিখে আমার রোল দিলেন ৫২, এরপর এক খালার (আয়া) সাথে চললাম আমার ক্লাসে। ক্লাসরুমে ঢুকে দেখি সব গোবদা গোবদা পোলাপান। যথারীতি আমার বসার কোন জায়গা হলো না। পেছনের দিকে যেতে যেতে আমার চরম অসহায় মূহুর্তে এক দেবী তার ব্যাগটি নিয়ে ভেতরের দিকে চেপে গেলেন আর আমার বসার একটি জায়গা হলো। কিন্তু তখনও বুঝিনি আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে। বসে ছেলেদের দিকে যেই নজর বুলানো শুরুর করেছি অমনি দেখি সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে চোখে মুখে মিচকা শয়তান টাইপ হাসি। আমি ভাবছি হঠাৎ করে আমার কি এমন হল যে সবাই আমার দিকে এমন করে তাকিয়ে আছে, তারপর তাকালাম সামনের দিকে এই সারিতে শুধু মেয়েরা এবং এরাও সবাই তাকিয়ে আছে, এবং তাকিয়ে আছে আমার পাশের মেয়েটির দিকে। তখন আমি তাকালাম তার দিকে, কি কিউট একটা মেয়ে! খানিকটা লজ্জিত। ঘটনা তখন কিছুটা আঁচ করতে পারলাম। একটা ছেলেকে বসতে দেবার জন্য তাকে বিব্রত হতে হচ্ছে। ব্যপক আকারের জেন্ডার বৈষম্য। যাই হোক ফরেস্ট গাম্প আর জেনীর মত তার সাথে আমার কিছুই হয়নি, মাস খানেক পরে সে অন্য কোন স্কুলে চলে যায়। কিন্তু তার প্রতি কোন কৃতজ্ঞতা জানানো হয়নি কখনো, আমার স্কুল জীবনের প্রথম সহানুভূতিশীল অ্যাঞ্জেল।



নাকালের সূত্রপাত



ঘণ্টা পড়লে ম্যাম ক্লাসে আসলেন, সবার দেখাদেখি দম দেয়া পুতুলের মত দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে আবার বসে পড়লাম। ক্ষানিকপর পর তিনি এদিক ওদিক তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের ক্লাসে একটা নতুন ছেলে এসেছে না কোঁকড়া চুলের সে কোথায়?? আমি উঠে দাঁড়ালাম (এই যে আমার নামে “কোঁকড়া চুল” ট্যাগ পড়ল, এই ট্যাগ নামাতে আমার বহুদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। মানুষ সাধারণত পরিচয় দেয় লম্বা/খাটো/ফর্সা/কালো ছেলেটা, কিন্তু আমার বেলা বলা হত কোঁকড়া চুলের ছেলেটা)। ম্যাডাম ঝাড়ি দিয়ে বললেন প্রথমদিন অত পেছনে বসেছ কেন?? আমি মিনমিন করে বললাম, জায়গা পাইনি। ভাগ্যিস তা ম্যাডামের কান অব্দি পৌঁছায়নি নইলে হয়তো আরেক দফা ঝাড়ি খেতে হত। আমাকে ডেকে দুটো ছেলের মাঝখানে জায়গা করে বসতে দিলেন। ম্যাডাম বোধহয় ওদের তখনো ভালো করে চিনতে পারেন নি, নইলে একটা নতুন ছেলেকে ঐ দুই খবিশের পাশে বসতে দিতেন না। পুরোটা বছর ক্লাসের সব্বাইকে জালিয়ে মেরেছে এই দুই বান্দা। এই দুই খবিশের নাম আমার আজো মনে আছে। একটার নাম ছিল মনিরুল, আরেকটার নাম ছিল মাসুম। কিন্তু সে মোটেও মাসুম বাচ্চা ছিলো না, সেই ছিলো ক্লাসের সবচেয়ে স্বাস্থ্যবান গোবদা গোবদা। প্রথম ক্লাস কোনমতে পার করলাম, তারপর শুরু হল অ্যাকশন। গোবদা মাসুম কোন কথা না বলে সোজা আমার ব্যাগের পকেটের চেইন খুলে আমার নতুন রাইটার কলমটা নিয়ে নিল, আমাকে কিছু বলারও প্রয়োজন মনে করল না। আমি অনেকক্ষণ নিজের সাথে যুদ্ধ করার পর তাকে বললাম, ইয়ে আমার কলমটা?? সে আমার দিকে একবার তাকিয়ে বলল, লাস্ট পিরিয়ডে নিস। লাস্ট পিরিয়ডে ঘটল আরেক ঘটনা, হাত থেকে পেনসিলটা নিচে পড়ে গেলো, আমি তুলতে যাওয়ার আগেই মনিরুল সেটা তুলে ফেলল। আমি বললাম এটা আমার। সে আমাকে বিশাল ঝাড়ি দিয়ে বলল, আমার পেনসিল নিচে পড়েছে সেটা ভালো করে খুঁজে দেখতে। আমি হতবাক হয়ে গেলাম। পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি আমার পেনসিল কিন্তু অসহায় বোধ করতে লাগলাম। তারপর খোদার কাছে প্রার্থনা করতে থাকলাম, হে আল্লাহ !! তুমি তাড়াতাড়ি এই ক্লাস শেষ করে দাও। একটা সময় ক্লাস শেষ হল, আমি বাইরে এসে দেখলাম মা দাড়িয়ে আছেন, আমাকে নিতে এসেছেন। আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।

বাসায় এসে সব খুলে বললাম, তাও একজন হলে হত। আপু, ভাইয়ারা, বাবা, মা মিলে পাঁচ দফা বয়ান করতে হল। সব শুনে বাবা মেজ ভাইয়াকে বললেন আমার সাথে পরেরদিন স্কুলে যেতে। পরদিন ভাইয়ার স্কুলে যাবার পথে সাইকেলে চেপে আমার স্কুলে আসলেন, আমাকে ক্লাসে বসিয়ে বললেন কোন ছেলে গুলো?? আমি দেখিয়ে দিলাম। ভাইয়া ওদের খুব সুন্দর করে বললেন “এই বাবু, তুমি আমার ভাইয়ের কলম/পেনসিল নিয়েছ ??” মনিরুল সাথে সাথে আমার পেনসিল দিয়ে ভাইয়াকে বলল, “আমার পেনসিলও এরকম তো তাই ভুল করে নিয়ে গিয়েছিলাম”। আর খবিশ মাসুম বলল “আমার কলম আজ আনেনি আগামীদিন অবশ্যই এনে দেবে”। এরপর ভাইয়া আমাকে নিয়ে বাইরে বেড়িয়ে এল। আরেকটা ছেলেকে বলল টয়লেট কোনদিকে?? ছেলেটা কি বুঝল কে জানে!! একদিক দেখিয়ে দিল। আমি আর ভাইয়া সেদিকে গিয়ে দেখি ঐটা স্কুলের পেছনের গেট। এবার ভাইয়া নিজেই খুঁজতে খুঁজতে আমাকে দেখিয়ে দিল টয়লেট কোথায় আর আমার ক্লাসরুম থেকে কোন পথে যেতে হবে। বাইরে বেরিয়ে এসে দেখলাম অনেকগুলো ছেলে খেলছে। এর মধ্যে দুইটা ছেলেকে ডেকে, ওদের নাম আর ক্লাস জিজ্ঞেস করল ভাইয়া। তারপর আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। ওরাই ছিল আমার স্কুল জীবনের প্রথম দুই বন্ধু, ফজলে রাব্বি আর বিশ্বজিৎ সরকার। একজন হিন্দু, একজন মুসলমান। আমার কাছে আমার দুই বন্ধু। এরপর অনেকদিন আমরা একসাথে স্কুলে পড়েছি।



পরের দিন আসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে আছি, হঠাৎ দেখি পেছন থেকে আমার মুঠোর মধ্যে সরু কি যেন ঢুকছে। ভয় পেয়ে হাত ওপরে তুলে দেখি একটা কলম, পেছনে ঘুরে দেখলাম মাসুম। পরে বললাম কলমের হেড কই?? বলল হারিয়ে গেছে। ভাবখানা এমন কলম দিয়েছি তাই না কত আবার হেড চাস। আমি আর কথা না বাড়িয়ে হেড ছাড়া কলম নিয়েই সন্তুষ্ট থাকলাম।



এভাবেই দিন চলতে থাকল, আমার বন্ধুর সংখ্যা বাড়তে থাকল। তবে ঐ খবিশগুলোর সাথে একবছরের বেশি থাকতে হয় নি, ওরা আমাকে আর ঘাটায়নি তেমন। কেজি টু শেষ করে আমরা যখন ক্লাস ওয়ানে উঠব তখন শুনলাম মাসুমকে ওর বাবা একেবারে ক্লাস টুতে ভর্তি করিয়ে দিল আর মনিরুল থেকে গেল কেজি টুতে আরেক বছর।

ক্লাস ওয়ানের শুরুর দিকে মিলন আর মাসুদ রানার সাথে খুব খাতির হল। আর ক্লাস টুতে উঠে রাসেলের সাথে খুব খাতির হল, তবে প্রথম দিকে আমি তাকে অবজ্ঞা করতেম কারণ আমি শুনেছিলাম ও নাকি একবছর ফেইল করে এখন ক্লাস টুতে রয়েছে। এখন এসব ভাবলেই হাসি পায়।



ক্লাস টুতে বিশ্বজিৎ চলে যায় ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে আর ফজলে রাব্বিকে ওর বাসা থেকে ক্লাস ওয়ানেই আরেক বছর রেখে দেয় আর আমি ক্লাস থ্রিতে চলে আসলাম জিলা স্কুলে পেছনে ফেলে রেখে আসলাম আমার স্মৃতিময় শৈশবের একাংশ। এখন আর ওদের কারো সাথেই কোন যোগাযোগ নেই। তোরা যেখানেই থাকিস ভালো থাকিস বন্ধু .....





********************



উৎসর্গঃ গতকাল ভোরে যখন বাস থেকে নেমে বাসায় ফিরছিলাম, তখন ব্যাগের ভারে নুয়ে পড়া কয়েকটা পিচ্চি কে দেখে খুব মায়া হল। লেখাটা তাদের উৎসর্গ করলাম যারা ব্যাগের ভারে নুয়ে পড়ছে :(

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আহা মজার ইশকুল!

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হা হা !! হুম মজার ইস্কুল !! B-) B-)

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :) :) :) :) :) :) :)


আমার চরম অসহায় মূহুর্তে এক দেবী তার ব্যাগটি নিয়ে ভেতরের দিকে চেপে গেলেন আর আমার বসার একটি জায়গা হলো।


২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আল্লাহ বাঁচাইছে !! নাইলে আমাকে দাঁড়ায় থাকতে হইত :D :D

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোর এই স্মৃতি গুলো পড়তে খুব ভালো লাগলো ! তুই ছোট বেলায় কি ভোলাভালা আছিলি ?

আমার মনেই পড়ে না আমি ক্লাস ওয়ানে পড়ছিলাম কিনা। মা বলে , পড়ছিলাম। ক্লাস টু থেকে অনেক ঘটনা মনে আছে , আবার মাঝ পথের অনেক কিছু ভুলে গেছি। ঘোড়াশাল ছিলাম তিন বছর । ওখানে আমার খুব সুন্দর সময় কেটেছিল, ক্লাস টু টে পড়তাম তখন।

তোর এরকম স্মৃতিময় আরও ঘটনা পড়তে চাই । ভালো থাকিস

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভোলাভালা আছিলাম কিনা মনে নাই !! আছিলাম আরকি আর দশটা স্কুল পড়ুয়া পিচ্চিদের মত। আমার স্মৃতিশক্তি আসলে খুব ভালো ছিল। পড়া মনে থাকতো এমনটা বলছিনা !! কিন্তু যে কোন ঘটনা তারিখ সহ মনে থাকত। ফোর্থ ইয়ার থেকে ধীরে ধীরে সব ভুলে যেতে শুরু করলাম। এখন আর এত কিছু মনে রাখতে পারি না। তবে আগের স্মৃতিগুলো হাতড়ে হাতড়ে এগুলো লিখলাম। আরো কিছু লেখার ইচ্ছে আছে।

এই এখন পোস্টটা পড়ে মনে হচ্ছে হঠাৎ করেই শেষ করে দিয়েছি, ঠিক উপসংহার টানা হয়নি। দেখি একটা ফিনিশিং দেবার চেষ্টা করব। আসলে বাচ্চাগুলোকে দেখে এত ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম যে সারা রাত জার্নির ক্লান্তি নিয়েই লিখতে বসেছিলাম, শেষের দিকে আর লেখা এগোয়নি।

আপা, তোমার ঘোড়াশালের স্মৃতি নিয়ে লিখে ফেলো না একটা পোস্ট। আমরা পড়ে দেখি কত্ত মজা করেছ !!

ভালো থেকো।

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

মামুন রশিদ বলেছেন: লেখাটা পড়ে নস্টালজিয়ার আনন্দ পেলাম । উৎসর্গ যথাযত ।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: প্রিয় ব্লগার, আপনি নস্টালজিয়ার আনন্দ পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। উৎসর্গ যথার্থ হয়েছে জেনে আরো ভালো লাগছে।

ভালো থাকবেন। অনেক শুভকামনা রইল :) :)

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সত্যিই উৎসর্গ যথাযথ।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। এদের ঘাড় থেকে বোঝাটা যদি কমাতে পারতাম !!

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার আসলে স্মৃতিচারণমূলক লেখা তেমন আসে না। আর পড়তে গিয়ে দেখা যাবি হয়তো বোর হয়ে যাবি। আমার তেমন খুঁটিনাটি সব মনে নাই, দেখি মুড আসলে লিখে ফেলবো হয়তো। আশা করি ঈদ ভালভাবে কাটিয়ে ফিরেছিস বাড়ি থেকে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আরে আগে তো লিখো, তারপর না বোর হবার প্রশ্ন!! তোমার মুড আসার অপেক্ষায় রইলাম।

ঈদ ভালোভাবেই কাটিয়ে ফিরেছি আপা, কিন্তু এখন কাজের চাপে হাবুডুবু খাচ্ছি। কত্ত চমৎকার সব পোস্ট পড়া বাকি, দারুণ সব ব্লগারদের পোস্ট জমে আছে :(( :(( :((

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:




চমৎকার স্মৃতিচারণ আর দারুন উৎসর্গ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। ব্লগে আপনাদের উপস্থিতি সবসময় অনুপ্রেরণা জোগায়।

আশা করি ভালো আছেন। শুভকামনা রইল।

৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভাবতে অবাক লাগে আমারও একটা স্কুলজীবন ছিলো! লেখাটা খুব ভালো লাগলো।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপনাকে দেখে বুকে সাহস পেলাম ভাইয়া। পোস্টটা দিয়ে একটু উদ্বিগ্ন ছিলাম। আপনি ভালো বলায় অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। :!> :#>


ঠিক বলেছেন ভাইয়া "ভাবতে অবাক লাগে আমারও একটা স্কুলজীবন ছিলো!" ঐযে, আই মিস দ্য ওল্ড মি :( :(

৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আহা! আমার জীবনের সেরা দিন গুলো!!!!!!!!!!
স্কুলে কি সুন্দর খেলাধুলা করছি, পালাইছি, বৃষ্টিতে ভিজছি, অভিনব সব শাস্তি। সবই মিস করি। এখনকার স্কুল গুলো হয়ত অনেকটা বই এর চাপেই বন্দি।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এই পোস্টে যে স্কুলের কথা বলেছি এইটাতে তেমন মজা করতে পারিনি আর বেশিদিন ছিলামও না। কিন্তু খেলাধুলা, পালানো, বৃষ্টিতে ভেজা, শাস্তি যাই বলেন সব জিলা স্কুলে যেয়ে। ভাবছি এগুলো নিয়ে আরেকটা পোস্ট দেব।

সত্যিই এখনকার পোলাপানদের জন্য কষ্ট হয়। স্কুলে গিয়ে মজাই করতে না পারল তাইলে আর থাকল কি !!

১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

স্মৃতিগুলোর উপস্থাপনা মনের মাঝে যেন অতীত ফিরিয়ে নিয়ে এলো।

+++ রইল।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। আপনাকে অতীতের স্বাদ দিতে পেরে ভালো লাগছে। প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “বসে ছেলেদের দিকে যেই নজর বুলানো শুরুর করেছি অমনি দেখি সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে চোখে মুখে মিচকা শয়তান টাইপ হাসি।”

“ম্যাডাম বোধহয় ওদের তখনো ভালো করে চিনতে পারেন নি, নইলে একটা নতুন ছেলেকে ঐ দুই খবিশের পাশে বসতে দিতেন না। পুরোটা বছর ক্লাসের সব্বাইকে জালিয়ে মেরেছে এই দুই বান্দা। এই দুই খবিশের নাম আমার আজো মনে আছে। একটার নাম ছিল মনিরুল, আরেকটার নাম ছিল মাসুম। কিন্তু সে মোটেও মাসুম বাচ্চা ছিলো না, সেই ছিলো ক্লাসের সবচেয়ে স্বাস্থ্যবান গোবদা গোবদা।”


-ভিলেন সব সময়েই থাকে বিভিন্ন ফরমে! মনে পড়ে গেলো প্রাইমারি স্কুল জীবনের কথা।
-আপনার তো অনেক মনে আছে।
-উৎসর্গ ভালো লাগলো :)

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: খুব বিব্রতকর দুইটা পরিস্থিতির কথা মার্ক করেছেন :!> :!> :#> :#>

আসলেই ভিলেন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রুপে থাকে। নিশ্চয় আপনার স্কুলজীবন অনেক সুন্দর আর ঘটনা বহুল ছিল। লিখে ফেলুন একটা পোস্ট।

হুম। একটা সময় আমার স্মৃতিশক্তি খুব ভালো ছিল। এখন অনেক কিছুই মনে থাকে না :( :( :( :(

১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: পিলাচ B-)

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: পিলাচের লাইগা ধইন্যা B-) B-) B-) B-)

১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: যথারীতি চমৎকার একটা লিখা।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

এরিস বলেছেন: আপনার স্মৃতি পড়ে ভাল লাগলো। স্কুলের প্রথম দিনে বোধয় সবচেয়ে চালাক ছেলেটাও এমন বোকা বনেই থাকবে। স্কুলের কথা আমার খুব একটা মনে পড়ে না। আসলে বছর বছর আব্বুর বদলির সাথে সাথে স্কুল বদলাতে হত, তাই মনে হয় গুলিয়ে ফেলেছি।

ভাল লাগা জানবেন।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এটাও একরকম ভালো। বছর বছর নতুন স্কুল, নতুন বন্ধু, নতুন জায়গা।

জানেন এবার ঈদের ছুটিতে আমার স্কুল জীবনের প্রথম ক্লাসটিচারের দেখা পেয়েছিলাম। ম্যাম কেমন বুড়িয়ে গেছেন। উনাকে দেখেই মন খারাপ হয়ে গেলো। আসলে উনাদের তো চিরতরুণ ভাবতাম :( :(


শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

১৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: স্মৃতির সুন্দর উপস্থাপনা।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। আপনাকে আমার ব্লগে দেখে ভালো লাগছে।


শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

১৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হেহেহে , কাম ডা কি ভালা হইল কলিকাল থুক্কু শিশুকালের কথা মনে পইড়া
গেল যে । :P

অহন ত বহুত সেয়ানা হইয়া গেছে ভাই ;) ;)

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: কি আর করা যাবে ভাই ?? দিন দিন বয়স তো আর কমছে না !!

না রে ভাই আমি এখনও সেই বোকাই আছি :( :( :(

১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৫

জুন বলেছেন: তখন ব্যাগের ভারে নুয়ে পড়া কয়েকটা পিচ্চি কে দেখে খুব মায়া হলো। এমন বাচ্চাদের দেখলে আমার শাশুড়ী দুঃখ করে বলতো 'মা গুলোকে দেখছো ? মনে হয় বিড়ালের গলায় শুটকির ছালা বেধে টেনে নিয়ে যাচ্ছে'।

তোমার অভিজ্ঞতাটা এই বয়সের সব নিরীহ বাচ্চাদের জন্যই মনে হয় একই রকম।
+ দিতে পারছি না ...মনে মনে দিয়ে গেলাম ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: খুব কষ্ট লাগে আপু এদের দেখলে। খেলার মাঠ নেই। খেলার সময় নেই। কি যে দূর্বিষহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে এদের। আসলে আমরা দুনিয়াটা কঠিন করে তুলেছি আর তার দায়ভার বইতে হচ্ছে ওদের।

আমি বাসায় আপু ভাইয়ার পিচ্চিগুলোর সাথে এখনও সমানে মারামারি করি, খেলি, ঘুরে বেড়াই চিড়িয়াখানায়, আর ঈদের আগের রাতের পটকা ফুটাই। বাসায় যাবার সময় পেনড্রাইভ বোঝাই করে অ্যানিমেশন নিয়ে যাই। দেখার সময় এগুলো অনুবাদের দায়িত্ব আমার। তাও যদি ওদের শৈশব আনন্দের হয় এটুকুই চাই।

১৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

রোমেন রুমি বলেছেন:

নস্টালজিয়া;
এই রকম লেখাগুলো সব সময় যেন কোথায় নিয়ে যায় ।
দূরে কোথাও দূরে আমার মন বেড়ায় ঘুরে .........

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: যা গেছে একেবারেই গেছে
কিছুই নেই বাকি :( :(

শুধু মাঝে মাঝে একটু ফিরে দেখা, এই যা !!


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল :)

১৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মাক্স বলেছেন: নস্টালজিক কইরা দিলেন!
আমি অবশ্য কেজি, ওয়ান এইগুলাতে পড়ার সুযোগ পাই নাই। স্কুল ছিল গ্রামে, আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় দুই মাইল দূর। তাই স্কুলে যাওয়া শুরু করসি দেরিতে, ভর্তি হইসিলাম টুতে!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপনাকে নস্টালজিক করতে পেরে ভালো লাগছে ভাইয়া :)

শহরে আছিলাম তো তাই ক্লাস ওয়ানে ওঠার আগে এক কেজি বোঝা বইছি ;) ;) ;)
তবে আপনাকে হিংসা হয়, নিশ্চই একটা দুরন্ত শৈশব কাটিয়েছেন গ্রামে !! নানুবাড়িতে যখন যেতাম কী যে মজা লাগতো !! দিগন্ত জোড়া সবুজ, দীঘি, খাল কত্ত মজা !!

২০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪২

নীরব 009 বলেছেন: চেহারার সাথে আচরণের মিল ছিল মনে হয়। গাবদা গোবদা :-B

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মাসুমের চেহারা ঠিক আপনার মত চেহারা ছিলো জানেন :P :P :P :P
সেই জন্য আপনার উপর আমার এত্ত ক্ষোভ !! আপনার ঘুমের আঠারোটা বাজালে তাই খুব খুশি হই B-)) B-)) B-))

২১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: কি মায়াবি লেখা! খুব ভাল লাগল স্মৃতিরোমন্থন।

আমি যখন প্রথম স্কুলে ভর্তি হয় এত ভাল লেগেছিল সবকিছু যে যখন শুক্রবার আসল তখনও আমি স্কুল ড্রেস পরে রেডি যে স্কুলে যাব। আশ্চার্য! স্কুল কেন বন্ধ হবে! আম্মু আব্বু যতই বুঝাচ্ছে যে আজকে স্কুল বন্ধ আমি বুঝি না, সে কি কান্না "আমি স্কুল যাব, আমি স্কুল যাব" বলে ! হা হা হা । আজও মনে হলে হাসি পায়। তারপর আব্বু আমাকে স্কুলে নিয়ে যায়, গিয়ে দেখি সব রুম তালা মারা, কোন ছাত্রছাত্রী নেই, শিক্ষকও নেই, তারপর আমি শান্ত হই।

আহারে ! কি দিন আছিল!!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হা হা হা হা !! ভাইয়া আপনাকে তো অ্যাওয়ার্ড দেয়া উচিৎ। শুক্রবারেও স্কুল যেতে চায় এমন ছাত্র এই ভূ-ভারতে কতজন আছে খুঁজে দেখতে হবে। বেশিজন নাই মনে হয় !! আসলেই ভাইয়া কি দিন যে ছিলো!! রাজা-গজা স্টাইলে ঘুরে বেড়াতাম। কোন চিন্তা ভাবনা ছিলো না। কত আদর, আহলাদ !! কী বিস্তীর্ণ স্বাধীনতা !! বড় হবার স্বাদ নিতে যেয়ে ধীরে ধীরে সবই বিসর্জন দিয়ে দিচ্ছি :( :(


অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা নিরন্তর।

২২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৮

মাগুর বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ, পড়ে মজা পেলাম :)

আর দারুন উৎসর্গ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। আপনি মজা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগছে।


শুভেচ্ছা জানবেন।

২৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০

শায়মা বলেছেন: আমারও মনে পড়লো প্রথমদিনের কথা!:)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: তাই আপু !! শুনে খুব ভালো লাগলো, আপনাকে পুরনো কথা মনে করিয়ে দিতে পেরেছি :)

নিশ্চই খুব মজার ছিল আপনার "ফার্স্ট ডে অ্যাট স্কুল" ?? আমাদের সাথে শেয়ার করুন না !!


পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল।

২৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: স্কুলের প্রথমদিন ব্যাপক কান্নাকাটি করেছিলাম, একা একা কিছুতেই বসবো না ক্লাসে। ভাবছিলাম হারিয়ে যাব, তখন আম্মা আমার সাথে বসলো ক্লাসে--------এভাবে প্রায় তিন মাস!
তবে ভাববেন না এই সব কথা এমনি এমনি মনে আছে, পরবর্তী জীবনে আমাকে এত বেশি ক্ষেপানো হয়েছে এই ঘটনা নিয়ে যে ভুলে যাবার কোন সুযোগই পাই নাই :(

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: প্রথমদিন হলে মানা যেত, কিন্তু তিন........মাস !! এরকম একটা জলজ্যান্ত ক্ষেপানোর ইস্যু পেয়ে চুপচাপ থাকা অতিশয় নির্বুদ্ধিতা !! B-) B-) B-) B-)

এখন খুব মিস করি জানেন ?? ভাই বোনরা একসাথে আর সেভাবে আর একজন আরেকজনকে ক্ষেপানো হয়না। সবাই এখন ব্যস্ত !! তবে আমাদের গল্প হয় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে। প্রায়ই ফোনে শুনতে হয়, মামা/চাচ্চু তুমি নাকি ছোট বেলায় এই করছিলা? সেই করছিলা ?? B-) B-) B-)

পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সবার স্কুল আনন্দময় হোক এই কামনা করি।

২৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন: স্কুলের দাবড়ানি গুলো মনে পরল =p~

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপনার স্কুলের দাবড়ানিগুলোর কথা মনে করিয়ে দিতে পেরেছি ভেবে ভালো লাগছে B-) B-)


আমার ব্লগে স্বাগতম। ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইল :)

২৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৭

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: :)
কেমন আছেন ভাইয়া!!
ভুলে গিয়েছেন ! :( :( :(

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ভালো আছি আপু :)

আশা করি আপনিও ভালো আছেন।

ভুলে যাব কেন ?? একটুও ভুলিনি, সত্যি বলছি :) :)

২৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

সোহেল রনি বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিরোমন্থন।
খুব চেষ্টা করলাম নিজের প্রথম পাঠশালায় গমনের কথা। কিছুই মনে আসছেনা। :(

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই :)

মনে করতে থাকুন। একদিন দেখবেন হঠাৎ মনে পড়ে গেছে।


শুভকামনা নিরন্তর।

২৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন।এই লেখাটা যারা যারা পড়েছে তাদের সবারই হয়তো আমার মত নিজের স্কুলের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গিয়েছিল।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপু, আপনার স্কুলের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গিয়েছিল জেনে ভালো লাগছে। লিখতে তো ইচ্ছে করে অনেক কিছুই। কিন্তু ব্লগে এত চমৎকার সব লেখা আসে পড়তে পড়তে আর সময় হয় না। কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।




আমার ব্লগে স্বাগতম। ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইল :)

২৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

নীরব 009 বলেছেন: নতুন পুস্ট ছাই... বালপুস্ট ( ;) ) হলেও দেন

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: কেন নতুন পোস্ট দিছি তো !! দেখেন নাই ??


বি.দ্র.- আমি আজাইরা পোস্ট দিই না X(( X((

৩০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

নীরব 009 বলেছেন: বালপুস্ট

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: /:) /:) /:) :-0 :-0 :-0

৩১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

সপন সআথই বলেছেন: purono sriti mone pore gelo. dhonnobad

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।


আমার ব্লগে স্বাগতম। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল :)

৩২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৫১

অপ্রচলিত বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণা। বুদ্ধিদীপ্ত রসবোধের আঁচড়ে সহজ, সাবলীল লেখনী।

উৎসর্গ সত্যিই যথাযথ। মন ছুঁয়ে গেল।
ভালো থাকবেন নিরন্তর।।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যে দারুণ অনুপ্রাণিত হলাম। অনেক কৃতজ্ঞতা রইল। সেই সাথে শুভকামনাও।



অনেক অনেক ভাল থাকুন। নতুন বছর আপনার জীবনে সুখ শান্তি ও সাফল্য বয়ে আনুক।

৩৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

ইমিনা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো কাকতাড়ুয়া।
ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে আরো আরো লেখা চাই ।।

৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: তাই !! শুনে খুব খুশি হলাম :)


কি আর করা যাবে বলুন? সেই চমৎকার দিনগুলোতে ফিরে যাবার তো কোন উপায় নেই। তাই মাঝে মাঝে স্মরণ করে নিজেকেই সান্ত্বনা দেই আর কি!!

অবশ্যই ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে আরো লিখব :)

ভালো থাকুন শুভ কামনা রইল।

৩৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫

কথক পলাশ বলেছেন: মিন্টু নামের একটা ছেলে ছিলো আমার প্রথম ক্লাসের বিভীষিকা। প্রথম ক্লাসে সে আমার 'ইয়ে' ধরে টান দিয়েছিলো :#> :#> । ওকে দেখে খুব ভয়ে ভয়ে থাকতাম। পরের বছর ভরা ক্লাসে ওর হাফপ্যান্ট খুলে দিয়ে শোধ তুলেছিলাম। B-)) B-))

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হা হা হা হা =p~ =p~ =p~

নাহ ভাইয়া!! আমি খুব ভীতু :( প্রতিশোধ নেবার চিন্তা মাথায়ই আসে নাই। এখন মনে হচ্ছে হালকা পাতলা একটা প্রতিশোধ নিলে খারাপ হতো না।

৩৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

কথক পলাশ বলেছেন: ও, লেখা ভালো হচ্ছে। চালিয়ে যাও। ঘটনা লিখার সময় তাড়াহুড়ো করোনা। আশেপাশের ছোট ছোট বিষয়ও লিখবে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অবশ্যই ভাইয়া। আপনার কথাগুলো মনে থাকবে। লেখার সময় আশে পাশের ছোটখাট বিষয়ের প্রতিও নজর দেবার চেষ্টা করব।


আপনাকে ব্লগে দেখলে ভরসা পাই, ভালো লাগে। আশা করি মাঝে মাঝে এভাবেই দেখা দেবেন।

অনেক ভালো থাকুন ভাইয়া :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.