নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখা নিয়ে লেখালেখি

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০



একটু গুমোট দিন; মেঘলা আকাশ; সূর্য ডোবার আগেই দিনের আলো ছাতার মতো বন্ধ হয়ে আসছে। ব্যস্ত শহরের জনাকীর্ণ ফুটপাথে মেয়েটি বাসের লাইনে দাঁড়িয়ে; গড়পড়তা বাঙ্গালী মেয়েদের উচ্চতা; কালচে নীল টাইট জিন্সের প্যান্টের ওপরে হালকা হলুদ ফতুয়া। ফতুয়ার ওপরের ঝাপসা নীলচে সবুজ ডোরাকাটার সাথে মিলিয়ে গলার দুপাশে ঝুলছে সবজে নীল কুচানো স্কার্ফ। মেয়েটার শরীরের বাঁক মোহময় হলেও চোখ আটকে যায় মেয়েটার মুখের আদলে; চোখে একটু দিশেহারা ভাব; মধ্যকুঁড়ি পেরোলেও এই তরুণীর সৌন্দর্যে কৈশোর বাঁধা পড়েছে।

তারপরেও কি যেন নেই...কিসের অভাবে যেন এই ছবিটা সম্পূর্ণ মনে হচ্ছে না!! হঠাৎ এক পশলা দমকা বাতাস এসে মেয়েটার কব্জিছোয়া চুলের রাশি উড়িয়ে দিলো; শুধু কিছু মুহূর্তের জন্য মেয়েটার কিশোরী মুখের দু’পাশে উড়ন্ত চুলেরা ফনা মেললো। আর...আর ছবিটা সম্পূর্ণ সুন্দর হলো।

লেখালেখির ব্যাপারটা আমার জন্য ঠিক তেমনই। প্রাত্যহিক, ঘষটানো, কালসিটে পড়া, পুরোনো, খুব চেনা, দৈনন্দিন শব্দদের এলোমেলো করে সাজানো; খুব চেনা গল্পের শরীরে হঠাৎ করেই দমকা হাওয়া দেয়া। তবে ঐ হাওয়া দেয়ার কাজটা কঠিন; বাতাসে কাঁপন ধরে তখনই যখন কোন কথা, কোন মানুষ, কোন দৃশ্য আমাকে নাড়া দেয়; তারপরে হাওয়ার তান্ডব কখনো ওঠে, কখনো ওঠে না। যারা নন্দিত লেখক তারা যখন তখনই শব্দের বাগানে ঝড় তুলতে পারেন। আমি সবসময় পারি না; হাওয়ার হাল এখনো ঠিকমতো রপ্ত করতে পারিনি। কখনো কখনো হাওয়ারা দিকভ্রান্ত হয়।

শব্দ নিয়ে খেলার জন্যই লিখতে ভালো লাগে। একটা শব্দের পরে কোন শব্দটা বসবে? শব্দের পুরোনো শরীরে আচমকা কো্ন নতুন শব্দ, কোন সুন্দর শব্দ। সব মিলিয়ে সর্বাঙ্গ সুন্দর; আলাদা করে প্রত্যেককে সাজতে হয় না, সাজাতে হয় না। ঠিক যেমনটা কপালে রক্তলাল টিপ দেবার সাথে সাথেই একজন রমনীর সৌন্দর্য বদলে যায়; আটপৌরে কেউ হয়ে ওঠে অনন্যা।

প্রতিটা শব্দই একেকটা বাঁক; একটা মোচড়, যার রয়েছে আগে এবং পরে। প্রতিটা বাঁকেই আছে শুরুর আনন্দ, ফুরানোর ক্লান্তি, আর ছেড়ে আসার কষ্ট। শব্দদের কাজ পাঠককে সঠিক বাঁকে দাঁড় করানো; সঠিক মোড়ে ছেড়ে যাওয়া। কম্পোজিশন, পারস্পেকটিভ; সঠিক মোড়ে দাঁড় করিয়ে সঠিক পারস্পেকটিভ চোখের সামনে খুলে দেয়া। সোজাসুজি কিছু না বলেও সবকিছু বলে দেয়া। কবিতা এটা পারে; কখনো কখনো সিনেমাও। আমি চাই আমার গল্পরা ঠিক এমনটাই হোক।

কখনো কখনো কোন বিষন্ন মুখের দিকে তাকিয়ে সানাইয়ের করুন সুর শোনা যায়। সব নীরবতা সত্ত্বেও দুপুরের ঝলমলে রোদে মাদলের শব্দ বেজে উঠে বা বৃষ্টির শব্দে জলতরঙ্গের আওয়াজ বা মেঘলা আকাশে কারো চাঁপা কান্নার শব্দ। জগতের সকল প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধেই এমনটা ঘটে; সম্ভব হয় এক ইন্দ্রিয় দিয়ে আরেক ইন্দ্রিয়ের বিষয়কে অনুধাবন করা। শ্রবন দিয়ে রুপকে অনুভব; দৃষ্টি দিয়ে শব্দকে; শব্দ দিয়ে স্বাদ, আর গন্ধ, আর বর্ণ, আর স্পর্শ। আমি চাই আমার শব্দেরা ঠিক এমনটাই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য হোক।

লেখক হিসাবে আমার তেমনটাই হওয়ার কথা পাঠক হিসেবে আমি যেমন। লেখার বা লেখকের ক্ষেত্রে তেমন বাছবিচার নেই আমার; আবেগ তৈরী করে তেমন যে কোন লেখাই আমার কাছে গ্রহনযোগ্য বা প্রিয়। লেখার পদ্ধতি শেখার জন্য আমি কখনোই কোন লেখা পড়িনি; অনুভবের জন্য পড়েছি।

লেখালেখি আমার মতে জীবন্ত কিছু; অনুভবের বিষয়; যান্ত্রিক কোন পদ্ধতি নয়। কোন গল্প, উপন্যাস বা কবিতা সুন্দরী কোন রমনীর মতো; তাকে দু’আঙ্গুলে ঘাটাঘাটি করে, সাড়াশী কাচির ব্যবহারে ব্যবচ্ছেদ করাটা কখনোই মঙ্গলজনক হয়নি; বরং অশ্লীলতা হয়েছে। জোছনার মতোই সৌন্দর্য ধরা যায় না; তাকে শুধু অনুভব করা যায়।

তারপরেও কিন্তু গল্প কবিতাকে টুকরো টুকরো করে খুলে আবার জোড়া দিয়ে কবি সাহিত্যিক সমালোচকেরা আয়ত্ত করার চেষ্টা করেন শিল্পকে। আসলেই কি এতোটা যান্ত্রিক পদ্ধতিটা? তাহলেতো সার বেঁধে কোয়ালিটি কন্ট্রোল করা আচারের বোতলের মতো প্রোডাকশন লাইন থেকে গল্প কবিতা বেরিয়ে আসতো। যে কোন লেখকের জন্য যা হরর ফিল্মের দৃশের মতো।

কিন্তু ওই যে বললাম শব্দের সংস্থাপন, কোন এক বাতাসের ঝটকায় নিরীহ শব্দরা অসামান্য সুন্দর। সেই বাতাসে শব্দের পাল তোলা শেখার জন্যই নন্দিত লেখকদের লেখা পড়া। প্রতিটি লেখা নতুন বলেই শাদা কাগজেরা আকুল হয়। নতুন সৃষ্টির আগে বা পরে কোন পূর্ব নির্ধারিত ছক থাকে না; থাকা উচিতও না। সেটা শিল্পের প্রতি অসম্মানজনক!!

আমি আবেগতাড়িত লেখক এবং অন্তর্মুখী; লেখালেখির শুরুই নিজেকে খোঁজার জন্য। বছর তিনেক আগে যখন লেখা শুরু করেছিলাম কখনো ভাবিনি যে এখনো লিখবো। যখন কোন গল্পের প্রথম বাক্যটা লিখি টের পাই বাবা শুনছেন; আকাশবাড়িতে থাকা বাবার সাথে কথা বলার আর কোন উপায় আমার জানা নেই। কখনো কখনো স্বর্গ থেকে ছুটি নিয়ে বাবা আমার স্বপ্নে আসেন; আঙ্গুলগুলো আমার কপাল ছোঁয়।

ছোট্ট বেলায় যেমন মার্বেল সাজিয়ে খেলতাম ঠিক তেমনি শব্দদের নিয়ে খেলতে খেলতে অপেক্ষা করি বাবা ডাকবেন “বুড়ি!! আয় কবিতা পড়ি...” সম্ভব অসম্ভবের মাঝামাঝি কোথাও একটা ঝাপসা জগত আছে; প্রতিটা লেখার সময়েই অপেক্ষা করি কোন একদিন ঠিক ঠিক তার ডাক শোনা যাবে।

© শিখা রহমান

বিঃদ্রঃ উপরে কথিত সকল মতবাদ লেখকের নিজস্ব এবং নিজের লেখার বিষয়ে প্রযোজ্য।

যারা হৃদয়বান পাঠক তাদেরকে বলতে চাই “কিছু শব্দ উড়ে যায়, কিছু শব্দ ডানা মুড়ে থাকে,/ তরল পারার মতো কিছু শব্দ গলে পড়ে যায়।/ এমন সে কোন শব্দ নক্ষত্রের মতো ফুটে থাকে_/ তুমি কি দেখেছো তাকে হৃদয়েশ্বরের আয়নায়?”। তাদেরকে ধন্যবাদ হৃদয়েশ্বরের আয়নায় আমার গল্পদের পড়ার জন্য।

“দেয়ালের গায়ে আমি শ্যাওলা হয়ে থাকি বহুকাল/ আমাকে পিছল ভেবে সতর্ক থেকেছে পাঠকেরা”...সেইসব পাঠকদেরও ধন্যবাদ আমার সাধ্যের আর আয়েশের সীমানার বাইরে আমাকে ঠেলে পাঠানোর জন্য।

আর যারা ধন্যবাদ আর ভালোবাসার বাইরে কঠিন চোখে ভাবছেন যে আমি আমার আবোল তাবোল লেখা গ্রহনযোগ্য করার জন্য এইসব তত্ত্ব ফেঁদেছি তাদের বলছি “ছোট মাপের লেখক হওয়ার এইতো সুবিধা!! নিজের আনন্দের জন্যেই লেখালেখি করা যায়।”

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০০

হাবিব বলেছেন: মারহাবা মারহাবা

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

শিখা রহমান বলেছেন: হাবিব প্রথম কমেন্ট ও লাইকের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। সবসময় পাশে থাকার জন্য এত্তো ধন্যবাদ।

শুভকামনা প্রিয় কবি ও প্রিয় ব্লগার।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩

হাবিব বলেছেন:



প্রসঙ্গ: ছোট মাপের লেখক হওয়ার এইতো সুবিধা,
নিজের আনন্দের জন্যই লেখালেখি করা যায়!

নিজেকে যে ছোট বলে ছোট সেই নয়
লোকে যারে ছোট বলে ছোট সেই হয়! :-B

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

শিখা রহমান বলেছেন: হাবিব লেখকের মাপ ছোট বা বড় যাই হোক লেখা হোক আনন্দের জন্য, নিজের জন্যে।

"নিজেকে যে ছোট বলে ছোট সেই নয়
লোকে যারে ছোট বলে ছোট সেই হয়!" --- আজকাল কিন্তু অন্যকে ছোট করার প্রবনতাই বেশী। তাই লোকে বললেই নিজেকে ছোট ভাবাটা মনে হয় ক্ষেত্র বিশেষে ঠিক নয়। :)

ভালো থাকুন প্রিয় কবি ও ব্লগার। শুভকামনা সতত!!

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


কবিতা লেখা কি শব্দ নিয়ে খেলা, নাকি মানুষের অনুধাবন, ভাবনা, কল্পনাকে ভাষা দেয়া?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

শিখা রহমান বলেছেন: ”কি কবিতা? তা, আমিও জানি না। কিংবা কো নো সময় থেকে জানতে জানতে আমি পদ্য লেখা শুধু করিনি। এবং বোধহয় কেউই তা করে না। অর্থাৎ এ নিয়ে কোনরূপ নিদান হানার পক্ষপাতী আমি নই। পদ্যভাব পড়ে আছে মাঠেঘাটে, ফলফুলুরিতে, আছে গাইবাছুরে, পুঁইমাচায়…এমনকি বাশঁবাগানের মাথায় ঘুড়ির মতো লটকে থাআক চাঁদের টুকরোয়। ভাঙ্গা দেয়ালের পাশে, চাঁদের রুজুরুজু উন্মাদ দৌড়ঝাপ এবং হৃদয়, হৃদয়ের চতুর্দিকে ঘিরে ফেলার নেশা আমদের পেয়ে বসে এবং আমরা শব্দে শব্দে ঘা মেরে বাজিয়ে, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেইসব আলেখ্যর কাছে এনে সবাইকে দাঁড় করাতে চাই।“ --- কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়

কবির কথা ধার করেই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিলাম। মানুষের অনুধাবন, ভাবনা আর আবেগকে শব্দের খেলায় সঠিকভাবে বাঁধলেই তা কবিতা হয়ে ওঠে।

শুভকামনা ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: কিছু লেখা আরো বেশিদিন বাঁচতে শেখায় ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শিখা রহমান বলেছেন: ইমন কিছু লেখা বাঁচতে শেখায় আর কিছু লেখাতেই মানুষ বেঁচে থাকে।

মন্তব্যের জন্য ভালোলাগা আর আপনাকে শুভকামনা।

ভালো থাকুন সবসময়, লেখাতে আর ভালোবাসাতে।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২২

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

শিখা রহমান বলেছেন: সাত সাগরের মাঝি ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ও পড়ার জন্যে।

আপনাকেও অফুরন্ত শুভকামনা। ভালো থাকুন সবসময়।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

Sujon Mahmud বলেছেন: সুন্দর লেখা

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

শিখা রহমান বলেছেন: Sujon Mahmud মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ও পড়ার জন্যে।

ভালো থাকুন সবসময়। অফুরন্ত শুভকামনা।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

শিখা রহমান বলেছেন: সেলিম আপনাকে ধন্যবাদ। +++

পাশে থাকার জন্য ভালোলাগা ও শুভকামনা। ভালো থাকুন সবসময় প্রিয় কবি।

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

হাবিব বলেছেন: আপনার লেখা সবসময়ই ভালো লাগে। আপনি স্বমহিমায় উজ্জ্বল। আপনার জন্য সবসময় দোয়া থাকবে। আপনি মোটেই ছোট নন!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৪

শিখা রহমান বলেছেন: হাবিব মন্তব্যে অভিভূত ও আপ্লুত হলাম। কবির কাছে থেকে এমন প্রশংসা অনেক বড় পাওয়া।

আপনি সবসময় পাশে থেকে অনুপ্রেরণা যোগান সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার ও কবি। ভালো থাকুন ভালোবাসায় ও কবিতায়।

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

আরোগ্য বলেছেন: লেখাটা খুব বেশি ভালো লাগলো। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই শিখা আপু।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

শিখা রহমান বলেছেন: আরোগ্য মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

পাশে থাকার জন্য ভালোলাগা ও শুভকামনা। ভালো থাকুন সবসময় প্রিয় ব্লগার।

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

জাহিদ অনিক বলেছেন:
একজন কবি যখন লেখেন না, তখন তিনি মনে মনে লেখেন ঢের ঢের বেশি। প্রত্যেক লেখকের নিজস্ব মৌলিক রেসিপি থাকে লেখার জন্য। এগুলো কবির/লেখকের একান্ত আপন।
মাঝেমাঝে লেখকের বিহাইন্ড দ্যা স্টোরি পড়তে ভালো লাগে। আপনার এই লেখাটাও তেমনি--
ভালোলাগা ও ভালোবাসা শিখা আপু।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:১৩

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ নিজের লেখালেখি বিশ্লেষন করার জন্যেই, নিজের কাছে অথবা কে জানে পাঠকদের কাছে, এই পোস্টটা লিখেছিলাম। বুঝতে চেয়েছিলাম আমি কেমন লেখক, কি আমাকে লিখতে অনুপ্রাণিত করে বা লেখার কারণ কি? নিজেকে খোঁজা নাকি হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মুখদের খুঁজে ফেরা?

আমি বদলালে লেখালেখির সাথে জড়িয়ে থাকা এই ব্যাপারগুলোও বদলাবে। হয়তো তখন ফিরে দেখা হবে কেন কেমন কি ছিলাম। আর হুউউউউ...লেখাটা আসলেই আমার একান্ত আপনকথা, যেমনটা আয়নার সামনে বলি।

তোমাকেও এমন মনছোঁয়া মন্তব্যের জন্য ভালোলাগা ও ভালোবাসা প্রিয় কবি।

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জাহিদ অনিক ভায়ার মতে সহমত :)

অফিসের প্রচন্ড ক্লান্তিতে ফাঁকিবাজি মন্তব্য :P
হা হা হা

++++++

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:১৬

শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী অফিসের কাজের ক্লান্তির মাঝেও লেখাটা পড়ার জন্য ও মন্তব্য (যদিও ফাঁকিবাজি মন্তব্য :P ) করার জন্যে কৃতজ্ঞতা রইলো।

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন কবিতায় ও ভালোবাসায়।
শুভকামনা সতত!!

১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: লেখালেখি আসলেই জীবন্ত, আমার কাছেও তাই মনে হয়।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:১৯

শিখা রহমান বলেছেন: মাহের ইসলাম অনেকদিন পরে লেখায় আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো।

আমার কাছে লেখালেখি আসলেই জীবন্ত একটা ব্যাপার। আমি অনুভব করি বলেই লিখি। অনুভূতিগুলোকে বাঁধতে চাই শব্দের খেলায়। আর এটাও চাই যে শব্দেরা আমার অনুভূতি গুলোকে, অনুভব গুলোকে পৌঁছে দিক পাঠকের হৃদয়ে। পাঠকরাও আকুল হোক আমারই মতো।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভালোলাগা। শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার।

১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০২

রাজীব নুর বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা লেখা লেখি করে এক ধরনের তৃপ্তি পাওয়া যায় যা অন্য কোনো কিছুতেই পাওয়া যায় না।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:২২

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব অবশ্যই। ভালো না লাগলে, আনন্দ না পেলে লেখালেখির সার্থকতা কোথায়?

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভালোলাগা। শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার।

১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৮

সোহানী বলেছেন: লেখনির আত্মপক্ষ সমর্থন বা বিশ্লেষন ভালোলাগলো শিখা। সবারই এরকম কম বেশী বিশ্লেষন আছে। তবে ওই যে বললে আমরা লিখি নিজের জন্য এটাই ছোটখাটো লেখকের মূলকথা। তবে যখন বড় লেখক হিসেবে পা দিবে তখন অন্যের জন্যই বাচাাঁর আনন্দ আর সে পথ তোমার জন্য বেশী দূরে নয় !!!!!!!!!!!!!!!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৪৪

শিখা রহমান বলেছেন: সোহানী আসলেই লেখকের-কবির সবাইয়েরই এমন নিজের বিশ্লেষণ আছে।

আমার অবশ্য মনে হয় আনন্দের জন্যেই লেখা উচিত, সেটা যে মাপের লেখকই হোক না কেন। আমার নিজের কথা বলতে পারি যে আনন্দ না পেলে হয়তো লেখালেখি করা হবে না।

ধন্যবাদ সবসময় পাশে থাকার জন্যে আর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্যে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় সোহানী।

১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান,



এও তো ভাবের কারিকুরি করে গেলেন!

আস্তিনে গোটানো এক পশলা দমকা হাওয়ার মতোই শুরুটা শুরু করে, কুশলী হাতে বাদামের খোসা ভাঙার মতো শব্দ তুলে লেখালেখির ঝাঁপিটা খুলে দিলেন। ঝাক ঝাক পিঁপড়েদের মতো গর্ত থেকে বেড়িয়ে এলো সাধ্য ও আয়েশের উঠোন ছাড়িয়ে যাওয়া একপাল শব্দের ঘোড়সওয়ার।

আসলে শব্দেরা তো আসে হেমন্তের ঝড়ো হাওয়ার মতো, কুঁড়ি ঝরিয়ে, বীজ ছড়িয়ে, ঝরাপাতার মতো ভাবনাগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে । ইন্দ্রিয়সমূহের বিপুল ও সচেতন বিস্তারে অদৃশ্যকে দেখে দেখে, অশ্রুতকে শুনে শুনে , সব গরল আত্মসাৎ করে-- তবেই না লেখার ঝাঁপটি খোলে ।

মনে হলো, কিসের যেন অভাব রয়ে গেলো এই মন্তব্যে! মোমবাতির শিখার আধো আলো-আধারিতে এই চোখে কিছু যেন সম্পূর্ণ ধরা দিতে গিয়েও অসম্পূর্ণ হয়েই থেকে গেলো......................

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৫৪

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস আপনার মন্তব্য পড়ে সবসময় কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকতে হয়। শব্দের যাদু আত্মস্থ করার জন্য, মোহাবিষ্ট হওয়ার জন্য।

আপনার এই দুর্দান্ত মন্তব্যের উত্তর দেবার মতো শব্দ আমার ভান্ডারে নেই। আপনাকে তাই আমার আরেক প্রিয় শব্দের যাদুকর অরুণ মিত্রের কিছু কথা উপহার দিলাম। কোনদিন যদি ওনার মতো একবারও লিখতে পারি তবে নিজেকে সার্থক মনে করবো। He has merely reduced an affair of things to an affair of words!!

“শব্দগুলোকে আমি দারুণভাবে সাজিয়েছিলাম। মিল অমিল সমস্ত নিয়ে এক দুর্ধর্ষ ব্যূহ। লড়াই শুরু হতেই সেটা প্রমাণিত হল। দিনদুপুরে আমি সূর্য ঢলিয়ে দিলাম। নিকষ কালোয় আমার চোখ শত সহস্র পতন দেখল। নোঙর করা কত নৌকো দড়িদড়া ছিঁড়ে সর্বনাশে ভেসে গেল। …।আকাশ বাতাস আমি আওয়াজে আওয়াজে দলে তাল পাকিয়ে দিলাম। কিছু রাস্তাঘাটে এককালে চলাফেরা করতাম। সেগুলো ছত্রছান হল। মারাত্মক নেশায় আমার রক্ত নাচতে লাগল।

কোনো মুহূর্তে আমার শরীরটাকে হয়তো একলা বিছানায় শোয়াতে চেয়েছি। নেশা একটু পাতলা হয়ে এলে এমন হয়েছে। কিন্তু নতুন শব্দকে ছুঁয়ে আমি আবার পরাক্রান্ত হয়ে উঠেছি। আমার বিছানাও এক রণক্ষেত্র, এটা বুঝে আমি ঝাঁপিয়ে পড়েছি। সেও এক লড়াই বটে। ঘর্মাক্ত হয়ে আমি একের পর এক অবরোধ ভেঙেছি, কথায় চড়ে অন্ধকার সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেছি, কল্পনা যতখানি যেতে পারে আমি হাড়মাংসের আড়ালকে বিধ্বস্ত করেছি। এবং তারপর রসিয়ে রসিয়ে আমার বিক্রমের আস্বাদ নিয়েছি।

কিন্তু কার সঙ্গে এতক্ষণ লড়লাম? কে জানে কার সঙ্গে? অথচ আমি যে লড়েছি তাতে সন্দেহ নেই। … আমার ক্ষমতাকে আমি তো জাহির করেছি। বাহবার জন্যে আমি গোড়া থেকেই কান পেতে ছিলাম। অক্ষরের ঝঞ্ঝনায় দিগবিদিক বাজিয়েছি এবং তারই ফাঁকে ফাঁকে বাহবা শুনেছি…।" --- অরুণ মিত্র

ভালো থাকুন মন্তব্যের যাদুকর। শুভকামনা নিরন্তর!!

১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: লেখা নিয়ে লেখিকার অকপট স্বীকারোক্তি !! বেশ সুন্দর !


শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রিয় আপুনিকে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৫৭

শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক পাশে থাকার জন্য ও সবসময়ে মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য একরাশ ভালোলাগা রইলো।

ব্যস্ততার জন্য আপনার ধারবাহিকটা পড়া হচ্ছে না। বই, বইমেলা ও দেশে যাওয়ার প্রস্তুতিতে একটু ব্যস্ত। সময় করে পড়ে নেবো একসাথে সবগুলো পর্ব।

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার। শুভকামনা সতত!!

১৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

বলেছেন: দেয়ালের গায়ে আমি শেওলা হয়ে থাকি বহুকাল - আমার বাউলা মনে রচিত করি জীবনের গল্প গান।



মুগ্ধতা

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৫৯

শিখা রহমান বলেছেন: ল সুন্দর কাব্যিক মন্তব্যে একরাশ ভালোলাগা ও মুগ্ধতা রইলো।

ধন্যবাদ সবসময় পাশে থাকার জন্যে আর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্যে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় কবি।

১৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী বলেছেন: আসলে সবকিছু শব্দরই কাজ। নতুন, পুরনো মিষ্টি মিষ্টি শব্দগুলো বাক্যের ভিতরে জমিয়ে তুললে নিশ্চয় সেটি দারুণ একটি লেখা হয়।। লেখাটি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে।। শুভেচ্ছা।।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:০১

শিখা রহমান বলেছেন: মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আপনার মন্তব্য পড়ে আমারও ভাললাগায় মন ভরে গেলো।

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর ও আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।

আশা করছি মাঝে মাঝে লেখায় আপনাকে পাবো। শুভকামনা সতত!!

১৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শব্দ ... শুধু কি তিনটা বর্ণ প্রকাশ করে??
না.... এই ছোট্ট বর্ণমালার সমষ্টি ধারণ করে বিশ্বচরাচরের সকল কিছু। মাথার উপরের নক্ষত্ররাজি থেকে শুরু করে পায়ের তলার মাটি সবখানেই তার অবিরাম পথচলা।

লেখালেখিটা অনেকটাই স্বপ্রনেদিত..... যেন নিজে থেকেই হয়ে যায়.....
শব্দে শব্দে গড়ে ওঠে মায়ার জাল..... একটুকরো লেখা.....

চমৎকার চিত্ররূপময় লেখায় মুগ্ধতার পরশ বুলিয়ে গেলাম.....

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:০৪

শিখা রহমান বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স শব্দতো আজকাল আপনার হাতের আঙুলে পোষা। কি দারুণ সব শব্দমালা উপহার দেন প্রতিটা মন্তব্যে!!

"লেখালেখিটা অনেকটাই স্বপ্রনেদিত..... যেন নিজে থেকেই হয়ে যায়.....
শব্দে শব্দে গড়ে ওঠে মায়ার জাল..... একটুকরো লেখা..... "
--- একদম মনের কথাটা খুব সুন্দর করে লিখেছেন।

আপনার মন্তব্যেও একরাশ ভালোলাগা ও মুগ্ধতা!!
অফুরন্ত শুভকামনা প্রিয় ব্লগার।

২০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শব্দে শব্দে শব্দধারা....
ঝরে পড়ে অঝোরে ......
কাগজের নদীতে....
কালো কালিতে ভর করে.....

মনে জাগা শত কথা....
নিমেষে হয় লেখা......
হয়ে যায় জীবনের গান......
তাতেই মূহুর্ত পার.....

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:১৬

শিখা রহমান বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স আপনার ওপরে কাব্যদেবী ভর করেছে আসলেই!! আজকাল আপনি কি আনায়াসেই কাব্য লিখে চলেছেন।

কবিতায় একরাশ ভালোলাগা ও মুগ্ধতা!!

ভালো থাকুন ভালোবাসায় ও কবিতায়। অফুরন্ত শুভকামনা প্রাচীন পক্ষী।

২১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখালিখি আসলে আনন্দ !

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

শিখা রহমান বলেছেন: নীরা তুমি যে কি আনন্দ নিয়ে লেখো সেটা তোমার কবিতাদের পড়লেই টের পাওয়া যায়। তোমার আনন্দ পাঠকদের মন ছুঁয়ে যায়।

ভালো থেকো কবিতার মেয়ে, ভালোবাসায় আর লেখার আনন্দে।
এত্তো ভালোবাসা!!

২২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৭

মুক্তা নীল বলেছেন: মেঘলা দিনের সাথে তরুণীর যে বণর্না তা আমাকে দাশনিক করে দিলো।
শব্দ নিয়ে খেলার জন্য লিখতে ভালো লাগে বলেছেন শিখা আপা, কিন্তু আপনার এই লেখাগুলোই যেনো একেকটি নিদারুণ গদে্্যর তুফান তোলা কাব্যকথা । যা পড়ে অনেক পাঠকের ভালো লাগে।
শুভ কামনা রইলো আপনার আগামীর জন্য।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৯

শিখা রহমান বলেছেন: মুক্তা নীল আপনার বর্ণনা ভালো লেগেছে শুনে মন ভরে গেলো। আমার শব্দে ছব আঁকতে ভালো লাগে। কেউ যখন সেই ছবি দেখতে পায় তখনই লেখাটা সার্থক মনে হয়।

"শব্দ নিয়ে খেলার জন্য লিখতে ভালো লাগে বলেছেন শিখা আপা, কিন্তু আপনার এই লেখাগুলোই যেনো একেকটি নিদারুণ গদে্্যর তুফান তোলা কাব্যকথা । যা পড়ে অনেক পাঠকের ভালো লাগে।" --- নিজের আনন্দের জন্য যে লেখালেখি তা যখন অন্যদের ভালোলাগার কারণ হয় তখন সেটা অনেক বড় প্রাপ্তি!!

বরাবরের মতোই সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার।

২৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। পোস্টের "থোরাই গ্রাহ্য করি" (ড্যাম কেয়ার) ভাবটি লক্ষ্য করার মত।
আমি যতটুকু আপনার লেখা পড়েছি, তাতে মনে হয় আপনার লেখা অধিকাংশ শব্দই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য। লেখার শব্দ-বাগানে হাওয়ার কাঁপনও ভালই তুলতে পারেন আপনি।
আর পাঠকের জন্য মন্তব্য প্রতিমন্তব্যেও আপনি যেভাবে অন্তঃস্থ অন্তর ঢেলে দেন, তা খুব কম লেখকই পারেন বা পাঠকের জন্য করে থাকেন।
পোস্টে ভাল লাগা + +

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪৪

শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান আপনি যে খুব মনোযোগী পাঠক আর আমাকে খুব ভালো বোঝেন সেটা এই মন্তব্য পড়ে বেশ বুঝতে পারছি। আপনিই সম্ভবত একমাত্র পাঠক যে এই লেখায় আমার 'থোরাই গ্রাহ্য করি" (ড্যাম কেয়ার) ভাবটি' বুঝতে পেরেছেন। আসলে নিজের আনন্দের জন্য লেখালেখি করলে চারপাশের অকারণ সমালোচনা বা অযাচিত কথা সহজেই অগ্রাহ্য করা যায়। অন্যদের কি ভালো লাগবে বা পাঠকের চাহিদা বুঝে লিখতে হয় না। আমি আমার মতো সামান্য লেখকের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখালেখির পটভুমি আঁকার চেস্টা করেছি মাত্র।

"আমি যতটুকু আপনার লেখা পড়েছি, তাতে মনে হয় আপনার লেখা অধিকাংশ শব্দই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য। লেখার শব্দ-বাগানে হাওয়ার কাঁপনও ভালই তুলতে পারেন আপনি।" ---- অনুপ্রেরণার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা!!

"আর পাঠকের জন্য মন্তব্য প্রতিমন্তব্যেও আপনি যেভাবে অন্তঃস্থ অন্তর ঢেলে দেন, তা খুব কম লেখকই পারেন বা পাঠকের জন্য করে থাকেন।" --- সামান্য লেখক আমি। পাঠকের কাছে কৃতজ্ঞ আর নতজানু হতেই হয়। আপনার মতো গুণী মানুষেরা যে আমার লেখা পড়ে উৎসাহ দেন সেটা আমার পরম পাওয়া। লেখালেখির কাছে এর চেয়ে বেশী কিছু তো কখনোই চাওয়ার ছিলো না।

বরাবরের মতোই সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.