নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্মশান ঠাকুর

শ্মশান ঠাকুর

nothing to say

শ্মশান ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক ডাইরি: এক

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০২



বাংলাদেশ এর সরকারী নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। তাই বাংলাদেশকে প্রকৃত সংস্কার করতে প্রয়োজন সরকারী নাম থেকে শুরু করে সকল সরকারী কাগজপত্রে লেখা ক্রীতদাস প্রথার ধারাগুলোকে বদলে স্বাধীন এবং সার্বভৌমের জীবন উপযুক্ত করে ধারা তৈরি করা। ক্ষমতার লিখিত রূপ থেকেই তার বন্টন এবং প্রয়োগ হয়। অবশ্য রাষ্ট্র বিষয়টা এত বড়, যার প্রকৃত উদাহরণ দিতে গিয়ে, অসংখ্যা গ্রুপ অব কোম্পানীর মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে, কাছাকাছি রূপ হিসাবে বুঝাতে পারি। এই উদাহরণ বর্তমান সময়ের কর্পোরেট রাজনীতিতে দখল এবং অর্থ পাচার হিসাবকে মনে করানোর জন্য দেয়া যেতে পারে। বৃটিশ কোম্পনী যেমন অর্থ পাচার করতো, এখানেও তাই হচ্ছে। বরং বৃটিশের চেয়ে হত্যা, গুম, ধর্ষন বেশি হচ্ছে। যেমন বৃটিশ তার দেশে অর্থ পাচার করেছে এবং নিজেদের পরিবারকে ইংল্যান্ড রাখতে, তেমন আমাদের রাজনৈতিক নেতারা সেই কোম্পনীর মালিকের মতো নিজের পরিবার দেশের বাহিরে রাখার জন্য, অন্যদশের নাগরিকত্ব্ নিয়ে রাখছেন নিজেও, রাজনীতি ব্যবসায় ঝামেলা হলে এদেশ ছেড়ে চলে যায় বিদেশে। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং জনগণের জীবন-যাপন দেখলে, রাষ্ট্র একটি বিমূর্ত ধারণাও মনে হতে পারে। কারণ স্বাধীন দেশগুলোর মানুষের জীবন যাপন অন্য রকম। তাই তো সেদেশে আধুনিক ক্রীতদাসের প্রভুরা নাগরিকত্ব নিয়ে রেখেছেন।
অবশ্য রাষ্ট্রকে মূর্তি বা আকৃতিময় দেখতে পারে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি, এই জন্য তারা সরকার পরিচালনা করেন। আমাদের রাজনৈতিক বিধান এবং চিন্তা বৃটিশের দেয়া, সেখানে জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে স্বাধীন হয়ে, পূর্ব প্রভুদের নির্বাচন করতে বাধ্য হয়। বৃটিশ আমলের অত্যাচারের হাতিয়ার গুলোকে চিহৃিত করলে বর্তমান সরকার ব্যবস্থার শক্তিগুলোকে স্পষ্ট হবে। যেমন সামরিক হাতিয়ার, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী আছে। ইতিহাসিকভাবে বৃটিশ সেনাবাহিনী ভারর্তবর্ষ ছাড়া আরো কোথাও যুদ্ধ করে নাই। ক্রীতদাস ধরে নিয়ে গিয়ে, বৃটিশ যে আমাদের মালিক; তা বুঝানোর জন্য তৈরি করেছিলো আইন এবং বিচার বিভাগ। আইনকে বলা যায় আধুনিক ক্রীতদাসের ভগবানতন্ত্র। স্বাধীন একটি দেশের আইন হয় জাতীয় সত্য এবং ঈশ্বরের মতো স্বাধীন, শক্তিশালী, যিনি প্রতিটি প্রাণকে ন্যায় দেয়। এই আইন কোন ধর্মগ্রন্থ নয়, এটা মানুষই তৈরি করে। ভোটের মধ্য দিয়ে আমরা যাদের বাংলাদেশ সরকারের মালিকত্ব দিয়েছি, তারাই এই আইন বানায়। এত এত শক্তি যে বৃটিশের আছে এবং তারা আমাদের চেয়ে উন্নত, তা বুঝানোর জন্য আমাদের উপযুক্ত করতে, তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করলো মানে শিক্ষা ব্যবস্থা দিলো। বিশ্বময় বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যায়ল বানাল । এই শিক্ষাব্যবস্থা তারা তৈরি করা হয়েছিলো কুকুর শিকারী প্রক্রিয়া থেকে। যাতে এই শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হওয়া প্রতিটি মানুষকে বৃটিশ সরকারের কাছে সত্যতার সাথে অর্থ পাচারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে পারে, নিজ ইচ্ছায়। বৃটিশ এই বিশাল অর্থপাচারের জন্যই এত এত দেবতা হওয়া, ক্ষমতা ধরা, জ্ঞানের সিঁড়ি দেয়া। অর্থের সারকারি নাম অর্থনীতি। ব্যাংক, বাজেট, উন্নয়ন, বিদেশে পাচার। সব টাকার গতিপথ। অর্থনীতির গতিপথ নির্ধারণ করাই রাজনীতির গোপন নাম। তাই একটি দেশকে স্বাধীন এবং সার্বভৌমত্ব পূর্ণ করতে হলে আগে দেশের মানুষকে এই হাতিয়ারগুলোকে জানতে হবে। সে কাজও রাজনৈতিক ব্যক্তির কাজ, যার কাছে রাষ্ট্র একটি স্পষ্ট ধারণা, বিমূর্ত নয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: লিখেছেন তো খুব সুন্দর।
কিন্তু গনতন্ত্রের লোকেরা মনে করে দেশতা তাদের।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: ভাই গনতন্ত্র আর গন নাই । সব পেটতন্ত্র হয়ে গেছে । যা দেখি সব ই পর্দা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.