নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রংধনু প্রকৃতি

শাবা

হাসতে হাসতে বেদনা ভোলা চাই.... আমি হেঁটে বেড়াই সীমাবদ্ধ পৃথিবী ফুরিয়ে যায়। সত্যের ভূবনে সবই সত্য শুধু মিথ্যা আমার অস্তিত্ব। * শামীমুল বারী নামে আমার অন্য একটি ব্লগ রয়েছে।

শাবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বানান আসর -১ : ই-কার না ঈ-কার, কখন কী হবে

২০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

বানান আসরে আপনাদের জানাই সাদর সম্ভাষণ।



বানানের দুশ্চিন্তায় নাকি অনেকেই বাংলা ছেড়ে দিতে চাচ্ছেন, সত্যি কি তাই? আসলে বানান কি অত কঠিন? নাকি বসে বসে বানান মুখস্ত করতে হয়?



নাহ, ব্যাপারটা তত মারাত্মক নয়। যদিও বানান এক সময় অসংখ্য নিয়ম কানুনের বেড়াজালে বাঁধা ছিল। তখন হয়তো কঠিন বলা যেত। এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। বাংলা একাডেমীর প্রমিত বানানরীতি সহজীকরণের একটা অংশ। তবে একদল লোক আছেন যারা এর চেয়েও বেশি সহজীকরণ চান, আমরা আপাতত তাদের পক্ষে নই। আমরা আমাদের এ আসরে বাংলা একাডেমীকে অনুসরণ করবো।



আসলে বানান নিয়ে এত ভয়ের কোন কারণ নেই। বিশিষ্ট লেখক, শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কথাই ধরা যাক। তিনি বলেছেন, বানান নিয়ে বিশৃঙ্খলার মূলে রয়েছে আমাদের অনুশীলনের অভাব। চর্চার মাধ্যমেই শুদ্ধ বানান আয়ত্ত করা সম্ভব।



প্রকৃতপক্ষে আমাদের এ আসরের মূল লক্ষ্যই হলো বানান চর্চা করা। অর্থাৎ আমরা প্রতিটি আসরে কিছু নিয়ম আলোচনা করবো, তারপর সেগুলোর অনুশীলন করবো। এতে আমাদের বানানের দুর্বলতা দূর হবে, শুদ্ধ বানানে লিখতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠবো।



বাংলা বানান এখনও বহুলাংশে ব্যাকরণ-অনুসারী। আর আমরা রোগাক্রান্ত ব্যক্তির ন্যায় ব্যাকরণাতঙ্কিত। আসুন এ আতঙ্ক দূর করতে আমরা প্রতি আসরে বাংলা বানানের এক-একটি নিয়ম উদ্ঘাটন করি।



বাংলায় বানান ভুলের যে শংকা নিয়ত আমাদের তাড়া করে তা একটু সংখ্যামানে ধরে দেখা যাক। ই/ঈ, /ি ী জনিত বানানে ভুলের আশংকা ৮.১% শতাংশ, তেমনি উ/ঊ, ু / ূ ভুল= ২.৩%, ণ/ন ভুল=৫.৪%, জ/ঝ/য ভুল=২.২, শ/ষ/স ভুল=৪% শতাংশ।

প্রথমে কোন্ নিয়ম বেছে নিবো? ব্যবহারের আধিক্যের কারণে প্রথমেই ই-কারের হ্রস্ব ও দীর্ঘকরণ- কখন কোথায় কী হবে তা জেনে নেই।



প্রথমেই বলে নেই, একদল আছেন যাঁরা বাংলা বানান সহজীকরণের বিপক্ষে। এক্ষেত্রে তাঁরা কোনো নিয়ম বা সূত্র আরোপের বিরোধী। আরেকদল আছেন যাঁরা সহজীকরণের নামে সর্বত্র ই-কার প্রবর্তনের পক্ষে। আর আমরা (বাংলা একাডেমীর প্রমিত বানানরীতি) উভয়ের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছি।



এবার দেখা যাক বাংলা একাডেমীর প্রমিত বানানরীতি এ ব্যাপারে কী বলছে?



বাংলা ভাষার তৎসম ও অ-তৎসম শব্দের বানানরীতিতে পার্থক্য রয়েছে। তৎসম শব্দের বানান সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুসারী, যৎসামান্য পরিবর্তন ছাড়া এখানে হস্তক্ষেপ করা হয় নি। এই তৎসম শব্দের বানান নিয়েই যত সমস্যা তৈরি হয় এবং বাংলা বানান অনেকের কাছেই জটিল ও দুরূহ ঠেকে। তাই কিছু নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। ফলে বানান সহজ হবে, অথচ ব্যাকরণও আহত হবে না।



নিয়ম ১. ই-কার/ঈ-কার (ি / ী)



ই-কার ব্যবহৃত হবে



ক. যেসব তৎসম (বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অবিকৃত সংস্কৃত) শব্দে ই-কার বা ঈ-কার দুটোই শুদ্ধ এবং প্রচলিত, বানানের সমতাবিধানের লক্ষ্যে সেইসব শব্দে কেবল ই এবং তার কার চিহ্ন ( ি ) ব্যবহৃত হবে।

যেমন : কিংবদন্তি, খঞ্জনি, চিৎকার, ধমনি, পঞ্জি, ধূলি, পদবি, ভঙ্গি, মঞ্জরি, মসি, লহরি, সরণি, সূচিপত্র ইত্যাদি।



খ. সকল অ-তৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং এদের-কার চিহ্ন ই-কার ব্যবহৃত হবে। যেমন : গাড়ি, চুরি, দাড়ি, বাড়ি, ভারি (অত্যন্ত অর্থে), শাড়ি, তরকারি, ছুরি, টুপি, সরকারি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, দিঘি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, সিঙ্গি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বে-আইনি, ছড়ি, কুমির, নিচ, নিচু ইত্যাদি।



এমনকি স্ত্রীবাচক, ভাষা ও জাতিবাচক ইত্যাদি শব্দের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে । অর্থাৎই ও এর কার-চিহ্ন ই-কার ব্যবহৃত হবে। যেমন— হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, বাঙালি/বাঙ্গালি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, নানি, দাদি, বিবি, মামি, চাচি, মাসি, পিসি, দিদি, ইত্যাদি।



ব্যতিক্রম : বহুল ব্যবহারের কারণে আরবি শব্দ ঈদ, ঈমান ঠিক থাকবে।



গ. অনুরূপভাবে- আলি বা আবলি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন : খেয়ালি, বর্ণালি, মিতালি, হেঁয়ালি, রূপালি, সোনালি, দৃশ্যাবলি, গ্রন্থাবলি, সূত্রাবলি ইত্যাদি।



ঘ. পদাশ্রিত নির্দেশক টি-তে ই-কার হবে। যেমন : ছেলেটি, লোকটি, বইটি।



ঈ-কার (ী) ব্যবহৃত হবে

অনেক তৎসম শব্দেই শুধুমাত্র ঈ-কার (ী) শুদ্ধ। এসব শব্দের বানান ও ব্যাকরণগত প্রকরণ ও পদ্ধতি নির্দিষ্ট রয়েছে, তাই এইসব শব্দের বানান যথাযথ ও অপরিবর্তিত থাকবে। কখন ঈ-কার ব্যবহৃত হবে তার কিছু নিয়ম নিচে বর্ণনা করছি।



ক. তৎসম শব্দ যদি বিশেষণ হয় তাহলে বানানের অন্তে ঈ-কার হবে। যেমন- উপকারী, জয়ী, আগামী, আইনজীবী, কর্মচারী, যুদ্ধাপরাধী, প্রবাসী, বিদ্যোৎসাহী, বিধর্মী, তপস্বী, প্রতিবাদী, আত্মীয়, অর্ধাঙ্গিনী ইত্যাদি।



মনে রাখতে হবে যে ঈ-কারান্ত বিশেষণবাচক পদের শেষে তা ও ত্ব প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষ্য-এ পরিণত হয়। তখন পদ পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে ঈ-কার ই-কার-এ রূপ নিবে। যেমন-

উপকারী+তা = উপকারিতা

সহযোগী+তা = সহযোগিতা

প্রতিযোগী+তা = প্রতিযোগিতা

কৃতী+ত্ব = কৃতিত্ব

দায়ী+ত্ব = দায়িত্ব

মন্ত্রী+ত্ব = মন্ত্রিত্ব



খ. বাংলা ভাষায় যে কোনো ধরনের শব্দ অর্থাৎ তৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দের শেষে ঈয় প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ-এ রূপ নিলে তখনও ঈ-কার হবে। যেমন-

নাটক+ঈয়= নাটকীয়, মানব+ঈয়= মানবীয়,

ধর্ম+ঈয়= ধর্মীয়, রোবট+ঈয়= রোবটীয়,

আচরণ+ঈয়= আচরণীয়, নিন্দন+ঈয়= নিন্দনীয়।



গ. ব্যক্তির '-কারী'-তে (আরী) ঈ-কার হবে। যেমন— সহকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী, পথচারী, কর্মচারী ইত্যাদি। ব্যক্তির '-কারী' নয়, এমন শব্দে ই-কার হবে। যেমন— সরকারি, দরকারি ইত্যাদি।



২. ঈ-কার যেভাবে ই-কারে পরিণত হয়



সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুযায়ী এই পরিবর্তন হতে পারে।



সমাসবদ্ধ হওয়ার কারণে শব্দ শেষের ঈ-কার পরিবর্তিত হয়ে ই-কার হবে। যেমন : প্রাণীদের নিয়ে যে জগৎ = প্রাণিজগৎ। সমাসবদ্ধ হওয়ার সময় প্রাণী শব্দের ঈ-কার পরিবর্তিত হয়ে ই-কারে পরিণত হয়েছে। তেমনি প্রাণিবিদ্যা, প্রাণিসম্পদ, মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিপরিষদ ইত্যাদি।



শব্দের শেষে ঈ-কার থাকলে সংস্কৃত –গণ বিভক্তি যুক্ত হলে ই-কার হয়। যেমন : মন্ত্রী+গণ= মন্ত্রিগণ। মন্ত্রী শব্দের সাথে সংস্কৃত গণ বিভক্তি যুক্ত হওয়ায় মন্ত্রী শব্দের ঈ-কার ই-কারে পরিণত হয়েছে। তেমনি সহকারী>সহকারিগণ, কর্মচারী>কর্মচারিগণ, কর্মী>কর্মিগণ, আবেদনকারী>আবেদনকারিগণ ইত্যাদি।



কিন্তু বাংলা -রা বিভক্তি যুক্ত হলে ঈ-কার ঠিক থাকবে। যেমন : মন্ত্রী+রা= মন্ত্রীরা। মন্ত্রী শব্দের সাথে বাংলা -রা বিভক্তি যুক্ত হওয়ায় মন্ত্রীরা বানানে কারের পরিবর্তন হয় নি। তেমনি কর্মীরা, কর্মচারীরা, সহকারীরা ইত্যাদি।



৩. কী/কি

‘তুমি কি জানো সে আমার কত প্রিয়’ আর ‘তুমি কী জানো সে আমার কত প্রিয়’, এই দুই বাক্যের একটাতে জানা সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হচ্ছে আর একটাতে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে জানার প্রকৃতি বা পরিমাণ সম্বন্ধে, এখানে বানানের তফাত না থাকলে ভাবের তফাত নিশ্চিতরূপে আন্দাজ করা যায় না।-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।



সত্যিই তাই। কোথায় কি লিখব আর কোথায় কী লিখব তা নিয়ে কমবেশি অনেকেই সন্দেহে ভোগেন। তাহলে আসুন জেনে নেই কী/কি-এর ব্যবহার-



সর্বনাম, বিশেষণ ও ক্রিয়া-বিশেষণ রূপে স্বতন্ত্র পদ হিসেবে ব্যবহৃত হলে ঈ-কার বসবে। যেমন



কী পড়? (বইটি পড়)-সর্বনাম

কী খাবে? (কোন খাবারটি খাবে)-সর্বনাম

কী জানি? ("কোন বিষয়টি জানি)-সর্বনাম

এটা কী বই? (এটা কোন রকমের বা কোন বিষয়ের বই)-সর্বনাম

পরীক্ষায় সাফল্যের উপায় কী? (পরীক্ষায় সাফল্যের কোন কোন উপায় আছে)-সর্বনাম

কী আর বলব? (আর কোন কথাটি বলব)-সর্বনাম

কী আনন্দ! (কত আনন্দ)-বিশেষণ

কী বুদ্ধি নিয়ে এসেছিলে? (কেমন বুদ্ধি নিয়ে এসেছিলে)-বিশেষণ

ছবিটা কী রকম লাগল? (ছবিটা কেমন লাগল)-ক্রিয়া-বিশেষণ

কী করে এ কথা বললে! (কেমন করে এ কথা বললে)-ক্রিয়া-বিশেষণ



অব্যয় পদরূপে ব্যবহৃত হলে কি শব্দটি ই-কার দিয়ে লেখা হবে। যেমন



তুমিও কি যাবে? (প্রশ্নবোধক, উত্তর হবে হ্যাঁ/না বোধক)

সে কি আসলেই আসবে? (সংশয়সূচক, উত্তর হবে হ্যাঁ/না বোধক)

কি বাংলা কি ইংরেজি উভয় ভাষায় তিনি পারদর্শী। (বাংলা অথবা ইংরেজি উভয় ভাষায় তিনি পারদর্শী)

কি শীত কি গ্রীষ্ম তার সর্দি লেগেই থাকে। (শীত কিংবা গ্রীষ্ম তার সর্দি লেগেই থাকে)

বেটা নবাব আর কি! (প্রায় তদ্রূপ অর্থে)

বল কি! তার এ কাজ? (বিস্ময় প্রকাশক উক্তি)

বলতে কি, ভুত আমিও ভয় পাই। (সত্য বলতে হলে)

কত কি দেখব কালে কালে! (বহু কিছু বা নানা কিছু অর্থে)



লক্ষ্য করুন ওপরের প্রতিটি বাক্যে কি অব্যয় পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রথম দুটো লাইনে

কি-এর উত্তর হবে হ্যাঁ অথবা না বোধক। হ্যাঁ এবং না অব্যয় পদ। পরের দুটি বাক্যে

কি অথবা/কিংবা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। অথবা/কিংবা অব্যয় পদ। বল কি, আর কি, বলতে কি, কত কি-এগুলো সবই অব্যয় পদ।



৪. কি না/ কিনা/কি-না



কি-না : অশুদ্ধ। ব্যবহার করা যাবে না।



কি না : ক. সন্দেহসূচক অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন : টাকা দেবে কি না জানি না।

খ. বিতর্কসূচক অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন- আমার লেখায় কোনো ভুল আছে কি না বলো?

গ. প্রশ্নবোধক অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন : তুমি যাবে কি না?



কিনা : ক. এই কারণে বা যেহেতু অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন : অসুস্থ কিনা তাই আসে নি।

খ. অর্থাৎ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন : হ্রী কিনা লজ্জা।

গ. বাক্যালঙ্কার (বাক্যে যা না থাকলেও অর্থ পরিবর্তন হয় না) হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন : আর তুমি কিনা ঘরের ভেতর গিয়ে বসে আছো (এখানে কিনা শব্দটি ছাড়াও বাক্যের অর্থ একই থাকে)।



৫. এমনকি/এমন কী

এমনকি-অধিকন্তু বা আরও অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন- এমনকি তার বইও চুরি হয়েছে।

এমন কী-সর্বনাম, বিশেষণ ও ক্রিয়া-বিশেষণ রূপে স্বতন্ত্র পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন : এমন কী ক্ষতি হয়েছে তোমার! (তোমার কতখানি ক্ষতি হয়েছে)-এখানে এমন কী একটিই পদ, ব্যবহৃত হয়েছে বিশেষণ হিসেবে।



লক্ষ্যণীয় যে, লেখার সময় তৎসম শব্দগুলোর ব্যাপারে একটু বাড়তি দৃষ্টি দিলেই হয়ে যাচ্ছে। আর সংস্কৃত ভাষার তো মৃত্যু হয়েছে, নতুন আর কোনো তৎসম শব্দ যোগ হবে না বাংলা ভাষায়! যেগুলো আছে সেগুলো আয়ত্ত করার জন্য খুব অল্প স্মরণশক্তিই যথেষ্ট।



অনুশীলনী



১. রাস্তা অর্থে কোন্ শব্দটি শুদ্ধ : ক. সরণী, খ. স্বরণি, গ. সরণি, ঘ. স্বরণী।



২. গাড়ি, চুরি, দাড়ি, বাড়ি, শাড়ি, তরকারি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, নানি, দাদি, মামি, চাচি, বাঙালি, ইংরেজি ইত্যাদি শব্দগুলোতে ই-কার ব্যবহৃত হয়েছে, কেন?

ক. তৎসম শব্দ বলে, খ. স্ত্রীবাচক শব্দ বলে, গ. বিদেশি শব্দ বলে, ঘ. অ-তৎসম (তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দ) এবং স্ত্রীবাচক ও জাতিবাচক শব্দ বলে।



৩. খেয়ালি, বর্ণালি, মিতালি, হেঁয়ালি, রূপালি, সোনালি শব্দগুলোতে ই-কার হয়েছে, কারণ-

ক. আলী প্রত্যয়যুক্ত হয়েছে, খ. আলি প্রত্যয়যুক্ত হয়েছে, গ. আবলি প্রত্যয়যুক্ত হয়েছে, ঘ. আবলী প্রত্যয়যুক্ত হয়েছে।



৪. কোন্ শব্দগুলো শুদ্ধ? শুদ্ধ শব্দগুলো একদিকে এবং অশুদ্ধ শব্দগুলোকে শুদ্ধ করে অপরদিকে লিখুন-

উপকারী, দায়ীত্ব, সহযোগিতা, জয়ি, আগামি, আইনজীবি, কর্মচারী, উপকারীতা, যুদ্ধাপরাধী, প্রবাসি, প্রতিযোগিতা, বিদ্যোৎসাহি, বিধর্মী, তপস্বী, প্রতিবাদি, আত্মীয়, কৃতিত্ব, অর্ধাঙ্গিনি।



৫. বিদেশি শব্দটির সঠিক বানান কোনটি এবং কেন -

ক. রোবটীয় : কারণ শব্দের শেষে ঈয় প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ-এ রূপ নিয়েছে।

খ. রোবটিয় : কারণ শব্দের শেষে ইয় প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ-এ রূপ নিয়েছে।



৬. কখন 'কী' হবে?

ক. অব্যয় পদরূপে ব্যবহৃত হলে।

খ. যখন উত্তর হবে হ্যাঁ অথবা না বোধক।

গ. যখন অথবা/কিংবা অর্থ প্রকাশ করবে।

ঘ. সর্বনাম, বিশেষণ ও ক্রিয়া-বিশেষণ রূপে স্বতন্ত্র পদ হিসেবে ব্যবহৃত হলে।



৭. অশুদ্ধ হলে শুদ্ধ করে লিখুন-

কী আনন্দ!

বল কী! তার এ কাজ?

কি করে এ কথা বললে!

বেটা নবাব আর কী!

তুমিও কি যাবে?

কী আর বলব?

পরীক্ষায় সাফল্যের উপায় কি?

কি শীত কী গ্রীষ্ম তার সর্দি লেগেই থাকে।



৮. বাক্যগুলোতে কোন ভুল থাকলে শুদ্ধ করে লিখুন-

আমার লেখায় কোনো ভুল আছে কি না বলো? তুমি যাবে কিনা? টাকা দেবে কিনা জানি না। জ্বর হয়েছে কি না তাই আসে নি। আর মা কি না ঘরের ভেতর গিয়ে বসে আছে।



৯. নিচের বাক্যগুলোতে সঠিকভাবে এমনকি অথবা এমন কী বসান-

........ তার বইও চুরি হয়েছে। তুমি ক্লাসে গেলে ...... সমস্যা হতো তোমার! ...... ক্ষতি হয়েছে তোমার! ....... আমি বাড়িতেও গিয়েছিলাম।



১০. কোন্ বানানগুলো সঠিক- প্রাণীজগৎ, প্রাণিজগৎ, প্রাণিজগত, মন্ত্রিগণ, মন্ত্রীগণ, মন্ত্রিগন, মন্ত্রীরা, মন্ত্রিরা?



বিশেষ অনুরোধ :

অবশেষে বানান আসরের যাত্রা শুরু হলো। চেষ্টা করেছি সহজভাবে বানানের একেকটি নিয়ম তুলে ধরতে। সাথে অনুশীলনীও দিয়েছি। অনুশীলনী আপনারা নিজে নিজে চর্চা করতে পারেন। ইচ্ছা করলে মন্তব্যেও উত্তরগুলো দিতে পারেন।

আশা করবো সামু কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব বিবেচনা করে এ পোস্টগুলো স্টিকি করবেন এবং শুদ্ধ বাংলা বানান লেখায় সবাইকে উৎসাহিত করতে এগিয়ে আসবেন।

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

টুং টাং বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

কাজে লাগবে।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ টুং টাং। কাজে লাগলে খুশি হবো।

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সুমন কর বলেছেন: গুড পোস্ট।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

রিফাত ২০১০ বলেছেন: সারাজীবন লিখে আসছি প্রতিবাদী আপনি এই পোস্টে বলছেন প্রতিবাদি :( মন্ত্রী লিখে আসছি ী আকার দিয়ে আপনি বলছেন ি । মন্ত্রি কখনো কাউকে তো লিখতে দেখলাম না ।

আপনি কি নিশ্চিত আপনি যে বানান গুলো এখানে দিয়েছেন সেগুলো ১০০ % সঠিক !!

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

শাবা বলেছেন: রিফাত ভাই, আপনি হয়তো ভুল দেখেছেন, প্রতিবাদী শব্দটির ঠিক বানানই লেখা আছে। আর মন্ত্রী শব্দটি এককভাবে লেখলে মন্ত্রীই হবে এবং পোস্টে সেভাবেই আছে, তবে সমাসবদ্ধ বা বিভক্তি যুক্ত হলে তখন মন্ত্রি হবে, যেমন মন্ত্রিপরিষদ, মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিগণ, তবে আবার ঠিকই মন্ত্রীরা হবে। এটা একটা সংস্কৃত ভাষার ব্যাকরণের নিয়ম। যেমন, কালী (দেবী) কিন্তু সমাসবদ্ধ হয়ে কালিদাস, কালিপদ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অনেক কাজে লাগবে। পোস্ট প্রিয়ে নিলাম।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ে নেব পুরোটা পরে। চমৎকার কাজ।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০০

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

প্রান্তিক জন বলেছেন: বাংলা একাডেমীকে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ থেকে আগত মামদা ভূতকে তাড়াতে বলেন আগে। নইলে একদিন বাংলা ভাষাও থাকবে না, আর যারা একাডেমী করে পেট চালাচ্ছে তারাও পানির সাথে গুলে যাবে।
ভাষার একত্ব একাডেমী, বইয়েই খাটে। ভাষা চায় নানা ঘাটের জল। সে পুকুর বা ডোবা-নালা নয়।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

শাবা বলেছেন: না ভাই, মামদো ভূত তাড়াতে হবে না। বাংলা একাডেমীর বানানরীতিকে মধ্যমপন্থি বলতে পারি। যদিও আমি তাদের সব নীতির সাথে একমত নই, তারপরও মধ্যমপন্থি হিসেবে মেনে নিচ্ছি। কারণ আমরা যদি সবাই সবার পাণ্ডিত্য জাহিরের জন্য ইচ্ছে মত বানান লিখে যাই, তাহলে সেটাই হবে ভাষার মৃত্যুর কারণ। আমি আমার প্রথম পর্বে তাই দেখিয়েছিলাম। পশ্চিম বঙ্গের অবস্থাটা অনেকটা এমনই। সেখানে কোন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান না থাকায় সব পত্রিকা, প্রতিষ্ঠান বা বড় বড় সাহিত্যিকের নিজস্ব বানানরীতি রয়েছে এবং নতুন পাঠকরা প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে।
অতএব নানা ঘাটের জলকে ভালভাবে পেতেই কোন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন রয়েছে।
ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

প্রান্তিক জন বলেছেন: বাংলা একাডেমীকে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ থেকে আগত মামদা ভূতকে তাড়াতে বলেন আগে। নইলে একদিন বাংলা ভাষাও থাকবে না, আর যারা একাডেমী করে পেট চালাচ্ছে তারাও পানির সাথে গুলে যাবে।
ভাষার একত্ব একাডেমী, বইয়েই খাটে। ভাষা চায় নানা ঘাটের জল। সে পুকুর বা ডোবা-নালা নয়।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫২

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রান্তিক জন।
উপরে আপনার জবাব দেয়া হয়েছে।

৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

জাফরুল মবীন বলেছেন: বাংলা বানানের পোষ্টগুলোর ব্যাপারে আমার দূর্বলতা হেতু অনেক ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।খুবই প্রয়োজনীয় পোষ্ট বিশেষতঃ ব্লগারদের জন্য।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ জাফরুল মবীন।
অনুশীলনী করলে বানান আসর-১-এর সবগুলো নিয়ম আয়ত্বে এসে যাবে আশা করি।

৯| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

আরজু পনি বলেছেন:
@রিফাত, প্রতিবাদী আর মন্ত্রী এতোদিন যেভাবে লিখেছেন আপনার বানান ঠিকই আছে। :)

বানান নিয়ে ভালো পোস্ট ।
ধন্যবাদ রইল শেয়ারের জন্যে।

বানানে আমার বেশ দূর্বলতা আছে, তাই নিজের জন্যেই একটা পোস্ট লেখেছিলাম। জানি না কতোটুকু শুদ্ধ...

♣বানান সতর্কতাঃ "হ্রস্ব ইকার এবং দীর্ঘ ঈকার"♣

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০০

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, আপনার পোস্ট দেখেছি, সুন্দর হয়েছে।

১০| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৮

আরজু পনি বলেছেন:

অনুশীলনীর আইডিয়াটা দারুন পছন্দ হয়েছে।
কালকে সবগুলো সমাধান করবো ।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

শাবা বলেছেন: আমি এমনভাবে অনুশীলনী তৈরি করেছি, যাতে এ আসরের সব নিয়মের চর্চা হয়ে যায়।
আপনি তো অভিজ্ঞ ব্লগার, কিন্তু সাধারণ এবং নতুন ব্লগাররা এটা বেশি চর্চা করলে তাদের বানানের দুর্বলতা কেটে যেতো। এ জন্য আশা করেছিলাম এ পোস্টগুলো স্টিকি করে সবার দৃষ্টিতে নিয়ে আসবে সামু কর্তৃপক্ষ।

১১| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫৭

টাবলীগহেপী বলেছেন: তুলনাহীন- ভাল লেখা।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ টাবলীগহেপী।

১২| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০৭

is not available বলেছেন: মনোযোগ দিয়েই পড়লাম,মনে থাকলেই হয়! সংগ্রহে রাখার মত পোষ্ট! আপনার পরিশ্রম সার্থক হোক!

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ। অনুশীলনী চর্চা করতে পারেন।

১৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

এই তৎসম শব্দের বানান নিয়েই যত সমস্যা তৈরি হয় এবং বাংলা বানান অনেকের কাছেই জটিল ও দুরূহ ঠেকে।

তৎসম শব্দের নিয়ম আমরা যতই মুখস্থ করি না কেন, সবচেয়ে বড় অন্তরায় হলো তৎসম শব্দকে না চিনতে পারা। অভিধান না ঘেঁটে তৎসম শব্দ চিনবার উপায় কী?

বরাবরের মতই ভালো উদ্যোগ।

শুভেচ্ছা জানবেন শামীমুল বারী ভাই।

২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৭

শাবা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে পেয়ে ভাল লাগছে।

আপনার সাথে আমিও একমত যে, সব সমস্যা সেই তৎসম শব্দ নিয়েই। আমার অনেক সময় মনে হয়, তৎসম শব্দগুলোকে বাংলা ভাষা থেকে বাদ দিয়ে দেই। পরে জানলাম, এ ব্যাপারে মনির চৌধুরি, শহিদুল্লাহ কায়সার, আবদুল হাই প্রমুখ ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তারা তৎসম শব্দ বাদ সাহিত্য চর্চা শুরু করেছিলেন। অনেকটা সফলও হয়েছিলেন। আমরাও এ যুগে তা করতে পারি কিনা তা দেখা দরকার। এ জন্য উদিয়মান একদল শক্তিশালী কলম যোদ্ধা দরকার।

অন্যদিকে বিপুল তৎসম শব্দ তো আর বাদ দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আমরা আরো কিছু কাজ করতে পারি-

তৎসম শব্দকে কিছু পরিবর্তন বা রূপান্তর করে তদ্ভব শব্দ বানিয়ে ফেলা।
অথবা শুধু তৎসম শব্দের জন্য কুলীনতা না মানা। এ ক্ষেত্রেও শান্তি নেই। তখন অনেক বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। রবীন্দ্র-নজরুলের বিপুল সাহিত্যই অপরিচিত হয়ে যাবে সে সময়।

অভিধান না ঘেঁটে তৎসম শব্দ চিনবার ভালো কোন উপায় নেই। তবে আনেক সময় কঠিন দাঁতভাঙা শব্দগুলো দেখেই বুঝা যায় যে এগুলো তৎসম শব্দ। এ ছাড়া চর্চা করতে করতেও তৎসম শব্দ চেনাটা সহজ হয়ে যাবে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮

শাবা বলেছেন: আসলে তৎসম শব্দ চেনার কয়েকটি শর্টকাট উপায় হচ্ছে : ঈ, ঊ, ী, ূ, ঋ, ৃ, ড়, ঢ়, ষ, ক্ষ, ণ।এসব স্বরবর্ণ বা ব্যঞ্জনবর্ণ শুধুমাত্র তৎসম শব্দেই বসে।

১৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৮

ভারসাম্য বলেছেন: বাংলা একাডেমীর প্রমিত বানানরীতি সহজীকরণের একটা অংশ। তবে একদল লোক আছেন যারা এর চেয়েও বেশি সহজীকরণ চান, আমরা আপাতত তাদের পক্ষে নই। আমরা আমাদের এ আসরে বাংলা একাডেমীকে অনুসরণ করবো।

আমার কাছে মনে হয় সহজীকরণের চেয়েও ভাষাকে প্রমিতিকরণই মূল কাজ, যার একটা অংশ হল নিয়মকানুন যতটা সহজ রাখা যায়। বাংলা একাডেমী যদিও প্রমিতিকরণের কাজ মোটামুটি দাঁড় করাতে পেরেছে, তবে সহজীকরণ কতটা হয়েছে সেটা যথেষ্ট প্রশ্নসাপেক্ষ। আমার মনে হয় জটিলতা আরো বেড়েছে, তবে যেহেতু তারা একটা কাঠামো দাঁড় করাতে পেরেছে তাই সেটাকে ভিত্তি করেই ভাষাচর্চা ও তার বানান অনুশীলনও হওয়া চাই। তাই আমিও, যারা নিজেদের মত করে সহজীকরণের পক্ষে, তাদের পক্ষে নই আপাততঃ। আমার অবস্থান আসলে 'আপাততঃ' এর জায়গাতেই। কারণ বিশ্বাস করি, প্রমিতিকরণও একটা চলমান প্রক্রিয়া এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আগামীতে সেসব সংস্কার আসতেই পারে, যা এখন নেই কিন্তু হওয়া উচিৎ ছিল। যতদিন সেটা না হচ্ছে এবং যতদিন যা বাংলা একাডেমীর প্রমিত মান হিসেবে বহাল থাকছে, সেটাই চর্চা করা উচিৎ, সেই সাথে সেখানেই চুড়ান্তভাবে স্থির হয়ে যাওয়া উচিৎ নয়, যদি কোন নিয়মে ভিন্নমতের অবকাশ থাকে।

যেহেতু এটি বাংলা একাডেমী প্রনীত প্রমিত বানানরীতির বর্ণনা ও সেগুলো অনুশীলন এর উপর একটি লেখা, তাই এখানে ভিন্নমত সংশ্লিষ্ট আলোচনা না নিয়ে আসাই উচিৎ। তবুও যেহেতু লেখায় লেখকের নিজস্ব অবস্থান ও মন্তব্যেও পাঠকের অবস্থান কিছু কিছু আসছে, তাই আমিও আরেকটু বলার চেষ্টা করে দেখি।

ওপরে 'সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই' যেমনটা বললেন, সেরকম কথাই আমি আপনার আগের সিরিজের প্রথম লেখায়ই সম্ভবতঃ বলেছিলাম। এত নিয়মকানুন জানার পরও খুব একটা কাজে লাগছে না, যদি না তৎসম শব্দগুলো আলাদা করে আগে জানা না থাকে। সেটাই আমি বলেছিলাম, শব্দগুলো অনেকটা মুখস্তই রাখা লাগছে। এদিক দিয়ে ইংরেজী ভাষার হিসেব কত সহজ! প্রায় সব শব্দের বানানই মুখস্ত রাখা লাগে অনেকটা।

আসলে, 'সোনাবীজ .. ছাই ' এর মন্তব্যের উত্তরে আপনি যে সকল প্রস্তাব করেছেন তার কোনটাই খুব বেশি ফলপ্রসূ হবার লক্ষণ দেখি না। অথচ সমাধানটি কত সহজ, সুন্দর ও যৌক্তিক হয়, যদি তৎসম শব্দে যে বানানবিধি অনুসৃত হয় সেই একই বিধি বাংলাভাষার অন্য সকল প্রকার ( তদ্ভব, দেশী, বিদেশী) শব্দের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয়। সংস্কৃত ব্যাকরণ ও বানানরীতি যথেষ্ট যৌক্তিকভাবে বিধিবদ্ধ হয়েছিল, যা আমাদের ব্যাকরণেরও ভিত্তি। অযথাই তৎসম ভিন্ন অন্যান্য শব্দের জন্য আলাদা বানানরীতি করতে গিয়ে আরো জটিল করে ফেলা হয়েছে ব্যাপারটা। জটিল হলেও প্রমিতরীতি যেহেতু দাঁড় করানো গিয়েছে, তাই সেটাই মানতে হবে। সেটা তবু ইংরেজীর প্রায় সব শব্দের বানান মুখস্ত করার চেয়ে অনেক ভাল। :)

এবার এই লেখার এবারের সাবজেক্ট ( ই-কার/ ঈ-কার ) নিয়ে বলি। এই কথাগুলোও আগে বলা হয়েছে, যার কিছু ব্যাপারে আপনিও একমত ছিলেন। যেমন, বাংলা শব্দে যেহেতু দীর্ঘস্বরের প্রয়োগ তেমন নেই তাই 'তৎসম' ভিন্ন প্রায় সকল ক্ষেত্রে 'ই-কার' ব্যাবহারের নিয়মটি আপাতঃদৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্যই মনে হয়। কিন্তু বিদেশী অনেক ভাষায় দীর্ঘস্বরের ব্যাবহার আছে, আর আমাদেরও দীর্ঘস্বরের বর্ণ ( কার ) আছে। তাই বিদেশী ভাষা থেকে আগত বাংলা শব্দের ক্ষেত্রে বা নিদেনপক্ষে প্রতিবর্ণায়ন বিধিতে অন্ততঃ দীর্ঘ-কার বা দীর্ঘ-স্বরবর্ণের যথাযথ প্রয়োগের ব্যাবস্থা রাখা উচিৎ ছিল। সেটা যখন হচ্ছে না, তখন ইসলামিক ফাউন্ডেশন যদি আরবীর ট্রান্সলিটারেশনে দীর্ঘ-কারের ব্যাবহার করে, সেটায় বিশেষ দোষের কিছু দেখি না। বিভিন্ন কর্পোরেইট প্রতিষ্ঠানও ( বিশেষ করে প্রিন্ট মিডিয়া) যখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য বানানরীতি অনুসরণ করে, সেখানেও একই যুক্তি প্রযোজ্য হয় কিছুটা। আমরা আম-জনতা। আমাদের মানতেও সমস্যা নেই, বলতেও দ্বিধা নেই। তাই বর্তমানে প্রচলিত 'ই-কার' এর বদলে, 'ঈ-কার' কেই 'ই-কার' হিসেবে ব্যাবহারের সুযোগ দেয়ার কথাও বলে যাব ( যেহেতু বর্ণের আগে কার-চিহ্ন প্রয়োগ যৌক্তিক না)।

তবে যতদিন সুযোগ না পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন অনিচ্ছাসত্বে হলেও যে নিয়ম বহাল আছে সেটারই অনুশীলন করতে হবে এবং সেদিক দিয়ে বাংলা একাডেমীর প্রমিতমানই আদর্শ। আর সেটার অনুশীলন হিসেবে আপনার এর আগের সিরিজ ও এবারের লেখাগুলো দারুন একটি উদ্যোগ। লিখছেনও অনেক প্রাঞ্জলভাবে। আমি কিন্তু আপনার লেখার সমালোচনা মোটেও করছি না, বরং সাধুবাদ জানাই।

এবারের লেখাটিও যথারীতি প্রিয়তে থাকছে। :)

পরে আরো কথা হবে হয়তো ( আসলে এখনো ভাল করে পড়া হয় নি সময়াভাবে :P ) । শুভকামনা।

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

শাবা বলেছেন: যৌক্তিক সমালোচনাকে আমি খুব উপভোগ করি। আর আপনার সমালোচনা তো পুরোটাই আলাদা একটা রচনা। তাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুরুতেই আপনাকে অভিন্দন।

আপনি লিখেছেন,
সংস্কৃত ব্যাকরণ ও বানানরীতি যথেষ্ট যৌক্তিকভাবে বিধিবদ্ধ হয়েছিল, যা আমাদের ব্যাকরণেরও ভিত্তি। অযথাই তৎসম ভিন্ন অন্যান্য শব্দের জন্য আলাদা বানানরীতি করতে গিয়ে আরো জটিল করে ফেলা হয়েছে ব্যাপারটা।

এ মতামতের ভিত্তিতে আপনাকে প্রথম দলের অন্তর্ভুক্ত মনে হচ্ছে। এবং আপনার পূর্বের অন্যান্য মন্তব্য থেকেও এমনটা মনে হয়েছে। তবে আপনি 'আপাতত' বাংলা একাডেমীর নিয়ম মানতে ইচ্ছুক।

আমাদের সামনে এখন ৩টি মত এসেছে-

১. সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুসরণ করে সকল শব্দের ক্ষেত্রে একই নিয়ম। এ মতের পক্ষে রয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

২. বাংলা শব্দগুলোকে দু'ভাগে ভাগ করে একভাগে তৎসম শব্দ এবং অন্যভাগে অতৎসম সকল শব্দ। তৎসম শব্দের জন্য এক নিয়ম (সেখানে অনেক নিয়মনীতির বেড়াজাল) আর অতৎসম শব্দের জন্য অন্যনিয়ম অর্থাৎ অন্য শব্দের বানানকে সহজ করা হয়েছে। সব ক্ষেত্রে হ্রস্ব-ইকার ও হ্রস্ব-উকার এবং ষ ও ণ উঠিয়ে দেয়া। এটাই বাংলা একাডেমীর প্রমিত বানানরীতি।

৩. সকল ক্ষেত্রে বানান সহজীকরণ। অর্থাৎ তৎসম ও অতৎসম সকল শব্দের বানানে দীর্ঘ স্বর থাকবে না।

আমি দেখছি, মাঝের পথটা কঠিন। ১ম ও ৩য় মতটা সহজ, হয় সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুসরণ করে সব ধরনের শব্দের জন্য একই নিয়ম অর্থাৎ নিয়ামানুসারে হ্রস্ব ও দীর্ঘ স্বরের ব্যবহার। না হয় কোথাও দীর্ঘস্বর থাকবে না।

শুধু তৎসম শব্দের জন্য কুলীনতা- এটাও একধরনের বর্ণবাদ। আধুনিক যুগে এমন নিয়ম মানতে আদতেই ঘৃণা লাগে।

আমি আপনার সাথে একমত যে, বাংলা বর্ণমালা সমৃদ্ধ। যদি দীর্ঘ স্বরকে লোপ করে সব ক্ষেত্রে হ্রস্ব স্বর চিহ্ন বা বর্ণ ব্যবহার করা হয় তাহলে বাংলা বর্ণমালা থেকে অনেকগুলো মৌলিক ধ্বনি হারিয়ে যাবে এবং বিভিন্ন বিদেশি শব্দের প্রকৃত উচ্চারণ বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে আমার মত হলো, তৎসম ও বিদেশি শব্দের জন্য হ্রস্ব ও দীর্ঘ স্বরচিহ্ন/বর্ণ ব্যবহার। বাকি অন্যান্য শব্দ (তদ্ভিদ ও দেশি)-এর জন্য হ্রস্ব স্বরচিহ্ন/বর্ণের ব্যবহার। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামও এ মতের কাছাকাছি মত ব্যক্ত করেন।

তবে বিশৃঙ্খলা থেকে বাঁচতে আপাতত বাংলা একাডেমীকে অনুসরণ করার পক্ষে আমি।

শুভ কামনা।

১৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভারসাম্য’র কমেন্ট এ পোস্টকে আরও সমৃদ্ধ করলো।


এবার আপনার কথায় আসি। আপনি লিখেছেনঃ তৎসম শব্দকে কিছু পরিবর্তন বা রূপান্তর করে তদ্ভব শব্দ বানিয়ে ফেলা। অথবা শুধু তৎসম শব্দের জন্য কুলীনতা না মানা। আমার মনে হয়, এটাই একটা ফলপ্রসূ কাজ হতে পারে।

ই/ই-কার ব্যবহারের নিয়মগুলো রেখে বাকি নিয়মগুলো সব বাদ দিয়ে দেয়া যেতে পারে। নিচে দেখুনঃ

খ. সকল তৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং এদের-কার চিহ্ন ই-কার ব্যবহৃত হবে। এমনকি স্ত্রীবাচক ও জাতিবাচক ইত্যাদি শব্দের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

প্রমিত রিতি প্রবর্তিত হবার পর থেকে সব লেখাই প্রমিত রিতি অনুযায়ি লেখা হচ্ছে। কাজেই, বঙ্কিম, রবিন্দ্রনাথ, নজরুল বা মাইকেল কোন বানানে লিখেছিলেন তা আর গোনায় ধরা হবে না, সব শব্দই একই রিতিতে লিখিত হবে।

সংস্কৃত থেকে যেসব শব্দ আমরা বাংলায় পেয়েছি, সেগুলোর ব্যুৎপত্তি জানা থাক, যেমন ইংরেজিতে ল্যাটিন বা গ্রিক শব্দের প্রাচুর্য রয়েছে, কিন্তু বানানরিতি হবে বাংলা একাডেমি যে রিতি বেঁধে দিবে, সেটি। তাহলেই কিন্তু বানান-জটিলতা বহুলাংশে কমে আসে।

ধন্যবাদ শামিমুল বারি ভাই।


২৩ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

শাবা বলেছেন: মাহমুদ ভাই, আপনি বাংলা একাডেমীর প্রমিত বানান প্রবর্তনের জন্য ইতোপূর্বে অনেক কষ্ট করেছেন। এ নিয়ে একাধিক পোস্ট লিখেছেন। সম্ভবত আপনিই প্রথম অনলাইনে বাংলা একাডেমীর প্রমিত বানানরীতির সফট কপি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন দেখছি, আপনি ৩য় দলে যোগ দিয়েছেন। অর্থাৎ সকল ক্ষেত্রে হ্রস্ব স্বরের পক্ষে মত দিয়েছেন। অশব্য এ মত গ্রহণের পক্ষে যথেষ্ট যৌক্তিক কারণও রয়েছে। এমনকি মত ব্যক্ত করেই ক্ষান্ত হন নি, সেটা প্রয়োগ করাও শুরু করে দিয়েছেন। যেমন রীতিকে রিতি, শামীমুল বারীকে শামিমুল বারি লিখেছেন। (প্রথম মন্তব্যে শামীমুল বারী লিখেছেন, আর এখন শামিমুল বারি)

আপনার এ কথার সাথে একমত যে, আমরা যে বানানরীতিটি গ্রহণ করবো সেটাই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। প্রাচীন সাহিত্য নতুন কোন বানানরীতি প্রবর্তনের প্রতিবন্ধক হতে পারে না। সেগুলোর বানানও নতুন বানানরীতি অনুযায়ী হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে আমার হয়তো ভুল ধারণা ছিল।

কিন্তু আমরা যে মতই পোষণ করি না কেন, তা তখনই প্রয়োগ করা ঠিক হবে, যখন এটা সার্বজনীন হবে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ এটা গ্রহণ করবে। নইলে সবাই সবার মত বানান লিখতে শুরু করবে এবং ভীষণ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, যেমনটা এখন কোলকাতায় হচ্ছে।

আমিও বাংলা একাডেমীর বানানরীতির অনেক বিষয়ের সাথে একমত নই। তারপরও মেনে নিচ্ছি একতার স্বার্থে। আমরা যদি বাংলা বানানকে সহজ, স্বাভাবিক ও গতিশীল করতে চাই; তাহলে আসুন সবাইকে নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করি এবং চেষ্টা করি বাংলা একাডেমীর মত কোন কর্তৃপক্ষকে সাথে রাখতে অথবা নতুন আরেকটি কেন্দ্র তৈরি করে সকলের মাঝে আমাদের চেতনা জাগিয়ে দেই।

আপনার দীর্ঘ আলোচনায় সত্যি কৃতজ্ঞ, মাহমুদ ভাই।

১৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে- কোনটি তৎসম, কোনটি তৎসম নয়- আমাদের তা নিয়ে আর মাথা ঘামাতে হবে না।

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

শাবা বলেছেন: হ্যাঁ, ৩য় মত গ্রহণ করা গেলে বানান নিয়ে চিন্তা করার তেমন কিছুই থাকবে না। শুধু শুদ্ধ উচ্চারণ লিখে গেলেই চলবে।

ধন্যবাদ।

১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৮

ভারসাম্য বলেছেন: গ্রেইট! @ সোনাবিজ; অথবা ধুলোবালিছাই। ;)

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

শাবা বলেছেন: ;) ;) ;)

১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহাহ ;)


আমারও মনে এটাই ছিল, কিভাবে যে আপনি জানলেন!

@ভারসাম্য

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

শাবা বলেছেন: আপনাদের সংলাপ ভালোই জমে উঠেছে।
@ভারসাম্য এবং সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

১৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

আসফি আজাদ বলেছেন: প্রয়োজনীয় পোষ্ট। মার্ক করে রাখলাম।

তবে কিনা অনেক অনেক কাল আগে সেই যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছিলাম, তার পরে আর কখনও বাংলা পরীক্ষায় বসতে হয় নি তাই রক্ষে!

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাইয়ের প্রস্তাব ভালো মনে হচ্ছে। আমাদের জন্যই ভাষা, ভাষার জন্য আমরা না। কাজেই শব্দের শ্রেণী (কাষ্ট) প্রথা তুলে দেওয়াই উত্তম।

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ আসফি আজাদ।

শব্দের শ্রেণী (কাষ্ট) প্রথা তুলে দেওয়াই উত্তম। কথাটা খুব পছন্দ হয়েছে। আমরা সামাজিকভাবে জাতিভেদ প্রথা প্রবর্তন করে রেখেছি, কী অদ্ভুত! সেই প্রথা আমরা আমাদের ভাষাতেও রেখে দিয়েছি। এটা আসলেই অন্যায় এবং সংস্কৃত পণ্ডিতদের কারসাজি। খোদ রবীন্দ্রনাথও তৎসম শব্দ ও সংস্কৃত ব্যাকরণ বাংলা ভাষায় প্রবর্তন নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ ছিলেন।

তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ছাড়া নতুন কিছু করতে গেলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে, যা আমি উপরের মন্তব্যগুলোতে বলেছি। তাই আপাতত বাংলা একাডেমীকে মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই।

২০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪০

না পারভীন বলেছেন: অনুশীলনী যুক্ত করাতে পোস্ট অন্য মাত্রা পেয়েছে। আর ও কয়েক বার পড়ে বানান শুদ্ধ করে নিতে চাই। :)

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, আপনার উৎসাহ পেয়েই বানান আসর-এর উদ্যোগ নিয়েছিলাম।

২১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০৮

আরজু মুন জারিন বলেছেন: আসলে বানান নিয়ে এত ভয়ের কোন কারণ নেই। বিশিষ্ট লেখক, শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কথাই ধরা যাক। তিনি বলেছেন, বানান নিয়ে বিশৃঙ্খলার মূলে রয়েছে আমাদের অনুশীলনের অভাব। চর্চার মাধ্যমেই শুদ্ধ বানান আয়ত্ত করা সম্ভব। +++্

অনেক ভাল লাগল পোস্ট টি। কস্ট করে লেখা পোস্ট সবার সাথে আমার ও অনেক উপকারে আসবে। আমি কপি করে নিব তোমার পোস্ট টি। আমার ডকুমেন্টস এ সেভ করে রাখব যাতে বানান বিভ্রাট এ আর না পড়ি।

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ আরজু মুন জারিন।
হ্যাঁ, অনুশীলনীর মাধ্যমেই শুদ্ধ বানান আয়ত্ব করা সম্ভব।

২২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১০

আরজু মুন জারিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাবা প্রয়োজনীয় উপকারী পোস্ট টির জন্য। ভাল থাকবে কেমন।

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১০

শাবা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
এ লেখা কারো প্রয়োজনে আসলে আমার কষ্ট সার্থক হবে।

২৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কিন্তু এই কয়দিন আগেও তো একটা দিঘির ছবি দিয়া গল্প লিখলাম ।শিরোনাম দিলাম দীঘির নাম কালশা। তার মানে আমার বানান ভুল? আপচুচ! X(

এইটারেও প্রিয়তে রাইখ্যা দেখি।

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১২

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ জুলিয়ান সিদ্দিকী।
আসলে দিঘি বানানই সঠিক।

২৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কিন্তু গ্রীণ তো বিদেশি শব্দ। এইখানে দীর্ঘ-ঈ কার আর মূর্ধণ্য-ণ কিল্যাই?

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

শাবা বলেছেন: গ্রিন হবে, গ্রীণ হবে না, কিন্তু কোথায় আপনি গ্রীণ দেখলেন।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

২৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২২

রাজিব বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ঈশ স্কুল কলেজে যে যেভাবে মন দিয়ে ইংরেজি বানান শিখেছি বাংলার পেছনে কেন যে এত কষ্ট করিনি। বাংলা একাডেমী অনেক জটিলতা দূর করেছে তবে স্কুলে মন দিয়ে বানান শেখা ও শেখানোর বিকল্প নেই।

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব।
আসলে আমাদের সবাই বানান নিয়ে যত্নবান হলে আমাদের বাংলা লেখায় এত ভুল হতো না।

২৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

ডি মুন বলেছেন: বাহ, আপনার ব্লগে আসলে মন ভরে যায়।

অনুশীলনী যুক্ত করাতে পোস্টটি আরো সমৃদ্ধ হয়েছে। অনুশীলন করে নেব একসময়।

প্রিয়তে রাখলাম।

ভালো থাকুন সবসময়।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন।
মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো।
সহসা পরবর্তী পোস্ট দিবো। সাথে থাকবেন আশা করি।

২৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

ময়নামতি বলেছেন: ভাল লাগল।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার লাগলো...দরকার হবে!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ মাঘের নীল আকাশ।
আপনার মা-মনিকে আদর।

২৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৮

একলা ফড়িং বলেছেন: কি আর কী, কিনা আর কি না!

এখনো ভুল হয়ে যায় মাঝে মাঝে :| :|


আশা করছি এখন থেকে ঠিকঠাক হবে! পোস্টে প্লাস! :)

১৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ একলা ফড়িং।
শুদ্ধ-অশুদ্ধ নিয়েই পৃথিবী। আমরা চেষ্টা করি শুদ্ধ হতে, কতটুকু আর পারি? !!

৩০| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩২

পুতুল আলতাব বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে............... :)

১৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

শাবা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: খুব বানান ভুল করছি আজ কাল। google মামুরে দিয়া search করালাম :P আর আপনাকে পাইলাম। ভাল লাগলো আর সাথে প্রিয় তে রাখলাম ।

১৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

শাবা বলেছেন: যাক, গুগল মামু তাহলে আমায় মনে রেখেছে!!
এবার তবে ভাল করে বাংলা শেখা (!) হবে.... :D

৩২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

কোনটা ঠিক? বলেছেন: "বাংলা একাডেমী" না কি "বাংলা একাডেমি" হবে?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

শাবা বলেছেন: সূত্র মতে, বাংলা একাডেমি হবে, তবে লেখাটা যে সময় প্রকাশ পায় তখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলা একাডেমী ছিল। সম্ভবত এখন নাম পরিবর্তন করেছে।

৩৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সানভী সালেহীন বলেছেন: মনে হচ্ছে ব্যাকরণ ক্লাস করলাম

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

শাবা বলেছেন: ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ :D

৩৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি বাংলার শিক্ষক?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

শাবা বলেছেন: না ভাই, আমি একজন বাঙালি হিসেবে বাংলা ভাষাটা জানার চেষ্টা করেছি মাত্র।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.