নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাসফড়িং

আমি ময়ূরাক্ষী

তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে । যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে । যদি থাকি কাছাকাছি, দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি– তবু মনে রেখ

আমি ময়ূরাক্ষী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার প্রিয় ১০ টি বই এর মাঝে একটি ( ধারাবাহিক- ১ম পর্ব)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯



কলকাতার কাছে- খুবই কাছে। শহরের এত কাছে যে এমন দেশ আছে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত............

উপন্যাস বা গল্পটির শুরু এমনিভাবে, শহরের সেই অতি সন্নিকটে মনুষ্য বসতির স্থানটুকু সম্পর্কে সুক্ষাতিসুক্ষ অপূর্ব সব বর্ণনা দিয়ে। প্রকৃতি, পারিপার্শ্বিকতা বা মানুষের অনুভুতিগুলির এত সুক্ষ বর্ণনা যে এত অসাধারণ হতে পারে এই বই না পড়লে আমার জানা হত না। লেখাগুলো পড়তে পড়তে চোখের সামনে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে, সেই গহীন অরন্যসম দুর্ভেদ্য এবড়ো খেবড়ো, খানা-খন্দপূর্ণ দূর্গম পথ। মশা মাছি ভাম ভোদড়ে পরিপূর্ণ বাঁশঝাঁড় বা বনাঞ্চলের মাঝে মনুষ্যবসতির অযোগ্য সেই স্থান। এই স্থানে তাহলে থাকে কারা?



হ্যাঁ সেই দুর্গম দূর্বিসহ স্থানে বসবাসকারী মানুষগুলি আর তাদের প্রস্তর কঠিন জীবনযাত্রার খুঁটিনাটি বিষয়াবলী নিয়ে রচিত কথকতাই এই উপন্যাসের মূল বক্তব্য। আর উপন্যাসের নায়িকা এক অতিশীপর বৃদ্ধা "শ্যামা ঠাকরুন"।



" পথে যেতে যেতে দু চারখানা বাড়ি নজরে পড়বে। কিন্তু বন জঙ্গল তাতে এমন কিছু কমেনি। খানিকটা এগিয়ে খালের পুল পার হয়ে রাজার বাড়ি ডাইনে রেখে বাজারের পাশ কাটিয়ে আরও যদি চলতে থাকেন তো একসময় মনে হবে দুপুরেই বুঝি সূর্য্য অস্ত গেছে- ভ্যাপসা গন্ধ আপনার নিশ্বাস রোধ করে আনবে। বুঝবেন এইবার আপনি শ্যামা ঠাকরুনের বাড়ির কাছাকাছি এসেছেন।



অনেকখানি জমি নিয়ে ওর বাড়ি।ওঁরই নিজস্ব বাড়ি, স্বামীর নয় কিংবা ছেলেমেয়েদেরও নয় এখনও পর্যন্ত।পুকুর আছে, তেইশটা নারকেল গাছ, প্রায় শতখানেক ঝাঁড়কলা, আম জাম জামরুল আমড়া সুপুরি আরও কত যে গাছ তার ইয়ত্তা নেই। বাঁশঝাড়ও আছে এর মধ্যে। শ্যামা ঠাকরুন তার জমির এক বিঘৎ স্থানও বৃথা ফেলে রাখতে প্রস্তুত নন, ফলে গাছগুলি এত ঘন সন্নিবিষ্ট যে কোনো গাছেই আজ আর ভালো ফলন হয়না।



শ্যামাঠাকরুন প্রতিবেশীদের গাছে গাছে ফল দেখেন, লাউ মাচায় লাউ। মাটিতে কুমড়ো দেখেন আর নিজের অদৃস্টকে ধিক্কার দেন, "মরণ আমার, মরণ! পোড়া কপাল হলে কি গাছপালাও পেছনে লাগে রে! কেন কেন আমি কি করেছি তোদের?ঐ সব চোখ খাকী, শতেক খোয়ারীদের বাড়ী মরতে যেতে পারো আর আমার কাছে আসতে পারোনা না? .........."



রাগে দাঁত কিড়মিড় করেন উনআশি বছরের এই বৃ্দ্ধা। দাঁত তার ঐ বয়সেও ছিলো অনেকগুলোই কিন্তু কোমর ভেঙ্গে গিয়েছিলো । মাটির উপর উবু হয়ে হাঁটতেন। তাই বলে তার কর্ম বিরতি ছিলো না। হেঁটে হেঁটে সুদ আদায় থেকে শুরু করে দিনমান এক মিনিটও বসে থাকতেন না তিনি শুকনো লতাপাতা, কলার বাসনা, নারকেল সুপুরী বেলদো এইসব সংগ্রহ করে বেড়াতেন সারাদিন অবিশ্রান্ত। বাড়ির একখানা ঘর, রক দালান বোঝাই করে ফেলেছিলেন, তবুও তার সংগ্রহের বিরাম ছিলোনা।



"যদি কেউ প্রশ্ন করে" ও বামুন মা, তোমার গত বছরের পাতাই যে রয়েছে-" তিনি বেশ একটু ঝেঁজেই জবাব দিতেন," থাক না বাছা, পাতায় নজর দাও কেনো? এক বছর যদি বর্ষা বেশিই হয়, তখন কার কাছে ধার করতে ছুটবো বলো? "



শুকনো পাতা আর টাকার সুদ এই নিয়েই ছিলো তার শেষ বয়সের জীবন। কতবার সুদের লোভে আসল ডুবেছিলো তার। বন্ধকী ঘটি বাটি বাসনে স্তুুপীকৃত পাহাড় জন্মেছিলো তার খাটের তলা। কোনটা কার কোনও হিসাবও আর ছিলোনা তবুও অক্লান্ত পরিশ্রমে সারাজীবনের কষ্টার্জিত টাকায় খেলা করতে ভালোবাসতেন তিনি তবে মোটেও উপভোগ করতে পারতেন না তার কষ্টার্জিত অর্থ বরং আরও কষ্টকে বরণ করে বেঁচে থাকাতেই বুঝি ছিলো তার সকল সুখ।



সেই ছিলো তার আত্মতৃপ্তি হয়ত। আরাম করতে বুঝি ভয় পেতেন ।সারাজীবনের দুঃখ কষ্টের সাথে চলতে চলতে এই দুঃখের সাথে কখন যে সখ্যতা হয়ে গিয়েছিলো তার জানতেও পারেননি বুঝি তিনি আর। জগৎ সংসার সব কিছু ছিলো তার কাছে তুচ্ছ । তিনি নিজের মনে আপনমনে নিজের গড়া সম্পদ নিয়ে নিজের গড়া খেলাঘরে বসে বসে খেলতেন একাকী। নিঃসন্তান ছিলেন না তিনি। তিন ছেলে, তিন মেয়ে, অসংখ্য নাতি নাতনী ছিলো তার। নাতীদেরও ছিলো ছেলেমেয়ে। চাঁদের হাট বসবার কথা ছিলো বাড়িতে। তবু তার কেউ ছিলোনা । এত বড় বাড়িটায় তিনি ছিলেন একা।



অসংখ্য লতা পাতা, গাছ গাছালি ঢাকা বাড়িতে ছিলোনা একটুকরো আলো বা হাওয়া। সেই অন্ধকার ঝুপসি ভয়াবহ বাড়িতে শ্যামাঠাকরুন ঘুরে বেড়াতেন একা একা। দিন যাও কেটে যেত, রাত্রী ছিলো দুঃসহ তার। ঘুম হত না আর শেষ বয়সে ভালো মত। তেল খরচের ভয়ে আলোও জ্বালতেন না তিনি। দিনের খাবার বেলা করে খেতেন তাই খাবারের ঝামেলাও করতেন না রাতে। খুব বেশি ক্ষিধে লাগলে অন্ধকার হাতড়ে টিনের কৌটোর ঢাকনী খুলে বের করতেন চাল ভাজা।অন্ধকারেই একটু তেল হাত বুলিয়ে নিয়ে দীর্ঘ রাতভর কুড়কুড় করে খেতেন তিনি।সেই গাঢ় অন্ধকারে নক্ষত্রের আলোও প্রবেশ করতো না তার ঘরে।সেই চাপা দুঃসহ অন্ধকারে প্রেতিনীর মত বসে থাকতেন শ্যামাঠাকরুন। মনকে বুঝাতেন চোখেই ভালো দেখতে পাননা আলো জ্বালিয়ে লাভ কি? শুধু শুধু পয়সা নষ্ট।



এইসব কার জন্যে করছেন জানতেন না তিনি। প্রাণে ধরে কাউকে কিছুই দিতেও পারতেন না। তবুও তিনি করেই চলেছিলেন। আপন মনে নিজের খেলাঘরে। বাগান গাছপালার যত্নের ত্রুটি ছিলো না।সারাটাক্ষন পয়সা বাঁচিয়েই ছিলো তার শান্তি। নিজেেকে কষ্ট দিয়েও দুই পয়সা বাঁচলে বুঝি তার শান্তি হবে। কিন্তু তাতেও তার শান্তি ছিলোনা। যেন এক জলন্ত হুতাশন!





তবে শ্যামাসুন্দরীর এই বৃদ্ধা বয়সের চেহারা দেখে তার এককালের সৌন্দর্য্য কল্পনা করা কঠিন। শুধু সুন্দরী না বেশ অসাধারণ রকমের সুন্দরীই ছিলেন তিনি। এই ধনুকের মত বাঁকা দেহ একদিন ছিলো কালাগাছের চারার মতই সতেজ ও পুষ্ট। মাথাজোড়া টাকের জায়গায় ছিলো মাথাভর্তি এক ঢাল মেঘের মত কালো চুল।ঐ ছানি পড়া স্তিমিত চোখে একদিন খেলতো বিদ্যুৎ। শ্যামা তার নাম মিথ্যে করে গোলাপের মত গাত্রবর্ন নিয়ে হয়ে উঠেছিলেন এক অসাধারণ সুন্দরী।



দশ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিলো তার উনিশ বছর বয়সী আরেক অসাধারণ সুশ্রী চেহারার বালক নরেন্দ্র কুমারের সাথে। বাবা যজমানী করতেন, নিজেদের বাড়ি আছে, ছোট সংসার, শ্বাসুড়ী ও দু ভাই এর সংসারে এই ছেলে এখন বেকার হলেও ভবিষ্যতে কিছু জুটিয়ে নিতে পারবে বড় ভাই এর মত এই ভরসায় বেশ পছন্দ করেই বিয়ে দিয়েছিলেন শ্যামার মা। শ্যামার মা রাসমনি দেবী নিজেও বিধবা ছিলেন ও ঘটনাচক্রে বিশেষ বিষয় সম্পত্তিও ছিলো না তার। কাজেই এত কিছু ভাববার মত সুযোগও ছিলোনা তেমন। তবে তিনি বিশেষ ব্যাক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন যার পরিচয় পরে পাওয়া যায়।



শ্যামারও সেদিন বিয়ের ব্যাপারটা মন্দ লাগেনি। এক গা গয়নাঘাটি, বেনারসী শাড়ি, সাজগোজ, পায়ে মল বাজিয়ে শ্বসুরবাড়ি যাওয়া। আলো বাজনা লোকজন, শ্বাসুড়ির সদয় ব্যাবহার সব মিলিয়ে যেন এক মজার নেশায় ছিলো সে। ঘোর কাটলো ফুলশয্যার রাতে।





সবাই বর কণেকে রেখে ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে, শ্যামা অপেক্ষা করছে দুরু দুরু বুকে।ফুলশয্যার রাতে স্বামীরা অনেক রকম আদর করে।অনেক রকম মিষ্টি কথা বলে- এ তার শোনা আছে আবছা আবছা ............



যাইহোক, আশা যেমন আছে, লজ্জাও বড় কম নেই। কোথা থেকে যেন রাজ্যের লজ্জা এসে আছন্ন করে ফেলেছে। সে বসে বসে ঘামছে। কিন্তু নরেন বেশ সপ্রতিভ, সবাই চলে যেতেই সে লাফ দিয়ে উঠে দরজাটা বন্ধ করে আবার খাটে এসে বসলো। তারপর মিনিটখানেক একটু ইতস্তত করে চাপা গলায় ডাকলো, "এই শোনো।"

শ্যামা হয়তো এই আহ্বানেরই অপেক্ষা করছিলো কিন্তু সুরটা যেন ঠিক কানে বাজলো না।ডাকলেই কি সাড়া দেওয়া যায়?

" এই শোনোনা কি ইয়ার্কী হচ্ছে?" নরেন ওর এক খানা হাত ধরে হ্যাচকা টানে কাছে নিয়ে এলো। সে টানের জন্য প্রস্তুত ছিলোনা শ্যামা। একেবারে নরেনের গায়ের ওপর এসে পড়লো। অস্ফুট কি একটা বিস্ময়েরে স্বরও ওর গলা দিয়ে বেরিয়ে গেল।

: আহা ঢঙ দেখোনা। লজ্জা দেখে মরে যাই একেবারে। দেখি সোজা হয়ে বসো।।মুখখানা দেখি ভালো করে। সবাই বলছে সুন্দর সুন্দর- আমার ছাই ভালো করে দেখাই হলোনা একবার।



সে জোর করে শ্যামার মুখখানা শেজ এর আলোয় যতবার তুলে ধরতে যায়। ততই ওর মুখ লজ্জায় গুঁজে পড়ে। সুগৌর,সুডৌল চন্দন চর্চিত একটি ললাট ও আবীর ছড়ানো দুটি গালের আভাস পায় নরেন অথচ ভালো করে দেখতে পায়না। কিছুতেই না। এমনি মিনিট খানেট চেষ্টা করার পর ওর মাথায় সজোরে এক গাট্টা মেরে বলে, "ও আবার কি ছেনালি হচ্ছে- সোজা হয়ে বসো বলছি নইলে মেরে একেবারে পস্তা উড়িয়ে দেবো। তেমন বর আমাকে পাওনি। হু হু- আমি বাবা পুরুষ বাচ্চা।মাগের ভেড়ো হবার বান্দা নয়। সোজাসুজি চলো বেশ আছি। ন্যাকামী করেছো কি আমি বাপের কুপুত্তুর।"





শ্যামা আড়স্ট হয়ে গেছে ততক্ষনেএই কি ফুলশয্যার তার? এই তার স্বামীর প্রথম প্রনয় সম্ভাষন! তাছাড়া তখকার হিসাবে তার মা ভালোই শিক্ষিতা ছিলেন। অনেক রকমের বাংলা সাহিত্যের বই আছে তাদের তোরঙ্গে।

এই শ্রেণীর ভাষা শুনতে তারা অভ্যস্ত নয়। ভদ্রসমাজে এমন কথাবার্তা অচল বলেই জানে।



কাজেই তার দুচোখ ছেপে কান্নার ঢল নামে। তাই দেখে লজ্জিত বা দুঃখিত হওয়া তো দূরের কথা। নরেন বলে ওঠে,

"উঃ অমনি পানসে চোখে পানি এসে গেলো। আলগোছ লতা। সে আবার জোরাজুরি শুরু করে। শ্যামা চোখ চাইতে না পারায় ওর বাহুমূলে সজোরে চিমটি কাটে নরেন। ফলে শ্যামার চোখে আরও বেশি জল ঝরতেই..........



:ধ্যেস- বদমাইশ অবাধ্য কোথাকার! বলে ওকে এক ঠেলা দিয়ে খাট থেকে নামিয়ে দিয়ে পা ছড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ে নরেন।



সেই শুরু। নির্দয় নির্মম ভালোবাসাহীন সংসারে শ্যামাঠাকরুনের বাস। শ্বাসুড়ী ছিলেন বেশ মায়াবতী আর বিবেচক আর তার ছেলেদের বদ স্বভাব রগচটা মূর্খামীর জন্য সদা ও সর্বদা বউদের কাছে বিব্রত থাকতেন তিনি। পরম মমতায় ভুলিয়ে দিতে চাইতেন তার সকল দুঃখ কষ্ট ও বেদনাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে নরেনের অত্যাচার বাড়লো বই কমলো না।সে যেন নরেনের নিজস্ব সম্পত্তি আর শুধু যথেচ্ছ অত্যাচার করার জন্যই বুঝি ভগবান তাকে এই সম্পত্তি মিলিয়ে দিয়েছেন।



বউকে অত্যাচার করার সম্পত্তি মিলিয়ে দিলেও নরেন ও দেবেন দুইভাই তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা করতে পারলোনা। বাড়ি বেঁচা টাকায় ফূর্তি করে বেড়ালো কদিন। মা ও স্ত্রী কি খাবে কি করবে সে ভাবনা ছিলোনা তার। বড় ভাই অন্যত্র হাতুড়ে ডাক্তারী করতেন। সেও একই গোয়ালের গরুই ছিলো। তবুও বুঝি নরেনের চাইতে কিছুটা ভদ্রতা জানা ছিলো তার।

যাইহোক যেদিন বাড়ি বেঁচা টাকায় খুব ফুলবাবুটি সেজে বাড়ি ফিরলো নরেন।

মা বললেন, এত সাজগোজ ! এলো কোথা থেকে?

নরেন রাগ করে বলে, তোমার এক কথা। আমি বুঝি রোজগার করতে পারিনা?

মা রেগে বললেন, "হ্যাঁ তুই করবি রোজগার! মুখখুর ডিম।"

নরেন নির্বিকার বললে, "কি বলবো অবোধ মেয়েমানুষ, তায় মা, নইলে এ কথা অন্য কেউ বললে এক চড়ে মুন্ডু ঘুরিয়ে দিতুম।"



এই সেই নরেন যার অদূরদর্শিতায় শ্যামাকে হতে হয় পথের ফকির। সহায় সম্পদ হারিয়ে নরেন শ্যামাকে এক সন্তান সহ এক সময় এনে তোলে এক বিজন বনে। সরকারবাড়ির মন্দিরের বামুনের পুজো করাবার চাকুরী নিয়ে। কিন্তু তাও কি সে ঠিকঠাক করে। দুদিন বাদে বাদে শ্যামার সঞ্চিত অর্থ চুরি করে পালিয়ে যাওয়াই ছিলো তার স্বভাব। বন্ধনহীন পাশবিক অমানবিক চরিত্রের নরেন কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করতো না আর শ্যামা একে এক ছয় ছয়টি সন্তান নিয়ে তাদের মুখে অন্ন যুগিয়েছেন কি নিদারুন দক্ষতায়, কি নিদারুন কষ্ট সয়ে তারই বর্ণনা এই বইটিতে চলচ্চিত্রের মত ফুটে উঠেছে।



শ্যামার ছোটবোন উমা। তার কপালেও সুখ জোটেনি। স্বর্গের অপ্সরীদের মত রুপ নিয়েও সে কোনোদিন পায়নি স্বামীর ভালোবাসা। বিয়ের পর পরই মায়ের জোরাজুরিতে বিয়ে করে ফেলা স্বামী রক্ষিতার প্রতি ভালোবাসা রক্ষার্থে চিরজীবন মাঝে পাশবালিশ রেখে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন উমার সাথে। সে অন্য এক গল্প ! অন্য এক ইতিহাস! শুধু উমার মুখ বুজে সকল কষ্ট সয়ে নেবার কাহিনী পড়ে বুক ফেটে যায়। অবাক হতে হয় কি করে লেখক এই রমনীদের হৃদয়মাঝে বসত করে লিখে গিয়েছিলেন সেই অভুতপূর্ব অনুভুতির কথাগুলি। শ্যামা- উমা কিংবা তাদের মা রাসমনি, শ্বাসুড়ী ক্ষমাসুন্দরী বা শ্যামা এর বড় জা রাধারাণী সকলের অনুভুতিগুলির সুক্ষ প্রকাশ কি করে সম্ভব, কি করে সম্ভব নরেণ, বড়ভাই দেবেন বা সরকার গিন্নী মঙ্গলার এত সুক্ষ চরিত্র বর্ণন, এই লেখকের লেখনীতে তা বুঝি একমাত্র জানা যায়। গজেন্দ্রকুমার মিত্রের এই বইটি তাই আমার হৃদয়ের কুঠুরীর অনেকটা জায়গা জুড়েই রয়ে গেছে। ।







বই এর নাম: কলকাতার কাছেই

লেখক: গজেন্দ্রকুমার মিত্র



কলকাতার কাছেই উপকণ্ঠে, পৌষ-ফাগুনের পালা - এই ট্রিলজি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ। কথাসাহিত্যিক গজেন্দ্র কুমার মিত্রের সর্বোত্তম সাহিত্যসৃষ্টি। উনবিংশ শতাবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর শুরু -এই রকম সময়ের পটভূমিতে এই ট্রিলজি কাহিনীর সূত্রপাত। কুলীন ব্রাহ্মণের বিধবা পত্নী রাসমণি ও তার তিনি কন্যার জীবন নিয়ে এই উপন্যাস-ত্রয়ীর কাহিনী শুরু। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মধ্যমা শ্যামাকে কেন্দ্র করে কাহিনী আবর্তিত হয়েছে, তবু রাসমণির তিন কন্যার ক্রমবর্ধমান পরিবারের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার নরনারী বিভিন্ন ঘটনাসূত্রে কাহিনীতে অসাধারণ বৈচিত্রের সৃষ্টি করেছে এবং শেষ পর্যন্ত কাহিনীর অখন্ডতা লাভ করেছে। সংস্কারে সংস্কৃতিতে উন্নত অথবা নিদারুণ দারিদ্রক্লিষ্ট মধ্যবিত্ত সমাজের এই সব মানুষের ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থ-সংকীর্ণতা, আশা-নিরাশা, ছোট বড়, সুখ দুঃখ. বিপদ আপদ সবকিছুর মধ্যদিয়েও তাদের অপরাজেয় জীবনাকাঙ্ক্ষার এবং জীবনযুদ্ধের এক নিটোল অনবদ্য কাহিনী শুনিয়েছেন লেখক যা আমরা আগে শুনিনি, আজকাল শোনা যায় না, অদূর আগামীকালে শুনব কিনা সন্দেহ। বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের ইতিহাসে এই টিলজি নিঃসন্দেহে একটি দিকচিহৃ।



এই বই সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিকায় লিখেছেন-

যারা আমার সাঁঝ সকালের গানের দীপে জ্বালিয়ে দিয়ে আলো, আপন হিয়ার পরশ দিয়ে; এই জীবনের সকল সাদা কালো যাদের আলো-ছায়ার লীলা; সেই যে আমার আপন মানুষগুলি নিজের প্রাণের স্রোতের ‘ পরে আমার প্রাণের ঝরণা নিল তুলি; তাদের সাথে একটি ধারায় মিলিয়ে চলে, সেই তো আমার আয়ু, নাই সে কেবল দিন গণনার পাঁজির পাতায়, নয় সে নিশাস-বায়ু।

...................................................

এই ভালো আজ এ সঙ্গমে কান্নাহাসির গঙ্গা-যমুনায়

ঢেউ খেয়েছি, ডুব দিয়েছি, ঘট ভরেছি, নিয়েছি বিদায়।



বিভূতিভূষণষ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন-

বাংলাদেশের সাহিত্যের উপাদান বাংলার নর-নারী; তাদের সুঃখ-দারিদ্র্যময় জীবন, তাদের আশা-নিরাশা, হাসি-কান্না-পুলক-বহির্জগতের সঙ্গে তাদের রচিত ক্ষুদ্রজগৎগুলির ঘাত-প্রতিঘাত,বাংলার ঋতুচক্র, বাংলার সকাল সন্ধ্যা-সকাল, আকাশ বাতাস, ফলফুল। বাঁশবনের,আমবাগানের নিভৃত ছায়ায় ঝরা সজনে ফুল বিছানো পথের ধারে যে সব জীবন অখ্যাতির আড়ালে আত্নগোপন করে আছে-তাদের কথাই বলতে হবে, তাদের সে গোপন সুখ-দুঃখকে রূপ দিতে হবে।





গজেন্দ্রকুমার মিত্রের ত্রয়ী উপন্যাস 'কলকাতার কাছে উপকণ্ঠে ও পৌষ ফাগুনের পালা' অবলম্বনে এ টি এন বাংলায় "পৌষ ফাগুনের পালা" ধারাবাহিক নাটক বাংলাদেশে নির্মিত হয়েছে।





লেখক পরিচিতি-

গজেন্দ্রকুমার মিত্র

জন্ম : ১১ই নভেম্বর, কলকাতা শহরেই | বাল্যশিক্ষা শুরু হয় কাশীর অঙ্গলোবেঙ্গলী স্কুলে | কলকাতায় ফিরে এসে ঢাকুরিয়া অঞ্চলে গজেন্দ্রকুমার বসবাস শুরু করেন এবং বালিগঞ্জ জগদ্বন্ধু ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন | স্কুল জীবন অতিক্রম করে অতঃপর তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন | স্কুল শিক্ষা সমাপ্তির কিছুপরেই সুমথনাথের সঙ্গে মাসিক সাহিত্যিক পত্রিকায় 'কথাসাহিত্য' শুরু করেন | গজেন্দ্রকুমারের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস 'মনে ছিল আশা', গল্পগ্রন্থ 'স্ত্রিয়াশ্চরিত্রম' | ১৯৫৯ সালে তাঁর 'কলকাতার কাছেই' উপন্যাস আকাদেমি পুরুস্কারে সম্মানিত হয় | কলকাতার কাছেই, উপকন্ঠে, পৌষ-ফাগুনের পালা-এই ট্রিলজিকে আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যের Land-Mark বলে গণ্য করা হয় | পৌষ-ফাগুনের পালা ১৯৬৪ সালে রবীন্দ্র পুরুস্কার পায় | গজেন্দ্রকুমারের লেখনীর বিচরনক্ষেত্র বিরাট ও ব্যাপক, সামাজিক উপন্যাস, পৌরানিক উপন্যাস, ঐতিহাসিক উপন্যাস, ছোট গল্প.কিশোর সাহিত্য-সর্বত্র তাঁর অবাধ গতি | সুদীর্ঘ ষাট বছরের অধিককাল ধরে তাঁর লেখনী সৃজনশীল | ১৯৯৪ সালের ১৬ অক্টোবর তাঁর তিরোধান হয় |



২য় পর্ব আগামী পোস্টে---

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বই মানুষের সবচাইতে বড় বন্ধু , আমিও একসময় প্রচুর বই পড়তাম । বই পড়া নিয়ে সতন্ত্র পোস্ট ভাল লেগেছে ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: এখন কি বই পড়া বাদ দিয়েছেন? আগের মত না হলেও কিছুটা হলেও বই পড়ার অভ্যাস মনে হয় আমাদের সকলের রাখা উচিৎ।


অসংখ্য ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চমৎকার । পোষ্টে ভাল লাগা ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মাহমুদ। একে একে সব বইগুলি নিয়েই ভালোলাগার বিষয়গুলো শেয়ার করবো আশা আছে।

আসলে বই পড়ে নিজের সঠিক মুগ্ধতা বা ভালো লাগার অনুভুতি গুলি যদি সেই সব লেখকদের মত করে ব্যাক্ত করতে পারতাম তাহলেই বড় ভালো হত। দূর্ভাগ্য তাদের মত লেখনী নেই আমার আর তাই মনের অসম্ভব ভালোলাগা গুলি লেখনীতে প্রকাশ করে ওঠা হয়না আমার।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

জুন বলেছেন: কলকাতার কাছেই উপকণ্ঠে, পৌষ-ফাগুনের পালা - এই ট্রিলজি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ। কথাসাহিত্যিক গজেন্দ্র কুমার মিত্রের সর্বোত্তম সাহিত্যসৃষ্টি। ঠিকই বলেছেন অগনিত বার পড়া এই উপন্যাস নিয়ে ময়ুরাক্ষী ।
সত্যি রাসমনীর তিনটি মেয়েই কি কপাল নিয়েই এসেছিল শ্যমা উমা কমলা ।
শ্যমার মেয়েদের ভাগ্যও তেমনি । ঐন্দ্রিলা তো বাদই দিলাম মহাশ্বেতাও সব কিছু পেয়ে ও পেলোনা । কি করুন পরিনতী ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় এই বইগুলো নিয়ে আলাপ করার জন্য।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: খুব ভালো লাগছে আপনাকে পেয়ে জুন। ভালোলাগার কারনটা কি জানেন? আমার অতি পছন্দের এই বইগুলি নিয়ে আমি কতটা বর্নণা করতে পেরেছি বা পারবো জানিনা তবে এতটুকু জেনে খুশি হলাম যে আপনিও বইগুলি পড়েছেন আর তাতে আপনার ভালোলাগাটা বা মুগ্ধতাটাকে ছুঁয়ে দিতে পারছি ভাবতেই ভালো লাগছে।

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫

জুন বলেছেন: পড়েছি নয় ময়ুরাক্ষী এখনো পড়ি। মাথার কাছেই সাজানো আমার অন্যান্য প্রিয় বই এর সাথে । এই ট্রিলজির আরেকটি হলো কনরাড রিকটরের লেখা বনানী, মৃত্তিকা আর নগরী এক অসাধারন বর্ননা আমেরিকার ওহাইওতে যখন বন কেটে মানুষ প্রথম বসতি গড়ে তোলে ।
থাক অনেক কথা বলে ফেললাম অপ্রাসঙ্গিক ভাবে। আশা করি কিছু মনে করবেন না :)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কিছু তো মনে করিইনি বরং সেই ট্রিলজী সম্পর্কে জানতে মন চাইছে। আশা করছি আপনার থেকে তা জানতে পাবো খুব শিঘ্রী। বনানী মৃত্তিকা আর নগরী নিয়ে কিছু লিখুন অন্তত আমার অনুরোধটুকুর কথা ভেবে।


অনেক ভালো লাগলো একজন সমমনা পাঠক পেয়ে আপনাকে। সমমনা বলতে একই ধরণের পছন্দের মিলে যাবার ব্যাপারটা বলেছি।


ভালো থাকবেন।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গজেন্দ্র কুমার মিত্রের "কলকাতার কাছেই" বা অন্য দুইটিও পড়া হয় নি। রিভিউ চমৎকার লাগল। খুব দ্রুত পড়ে ফেলার আশা রাখি।


এরকম কিছু রিভিউ দিলে খুব ভালো হয়। সাধুবাদ রইল।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: সত্যি বলতে আমি চাই সকলের এই বইগুলি পড়া উচিৎ। বিশেষ করে পরিবর্তিত এই সমাজের আদি বা ক্রমপরিবর্তনের ধারা। সে সময়ের প্রেক্ষাপটে সাধারণ জন মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থা, তাদের সংস্কার বিচার বিবেচনা বা মানষিকতার দিকগুলো যে এই বই এ শতভাগ ফুটে উঠেছে। এযুগের তরুন সমাজ এই ধরনের বইগুলি পড়ে ধারনা পাবে। আর শুধু ধারনাই না এখানে লেখনী শৈলী দেখবার ও শিখবারও আছে অনেককিছুই। এই বই এর লেখকের অপূর্ব লেখনী শিল্পে মুগ্ধ হতে হয়।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯

আবু শাকিল বলেছেন: অনেক দিন বই পড়া হয় না।টিভি দেখা হয় না।
ব্লগ দেখি আর ফেসবুক দেখি।


"কলকাতার কাছেই"
বইয়ের সুন্দর রিভিউ পড়ে,পড়ার ইচ্ছা পোষণ করলাম।

বই পড়তে গেলে আরেক সমস্যা । পিডিএফ ফাইলে বই পড়ে মজা পাই না। =p~ =p~ =p~


১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: এই কথা সত্যি পিডিএফ ফাইল পড়ে মজা নেই তবে নিউমার্কেটে এই বইগুলি পাবেন। আমি জানি নিউ মার্কেটের যে কোনো দোকানে বইগুলি সহজ লভ্য।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। খুব শিঘ্রী এই ত্রয়ী উপন্যাসের বাকী রিভিউগুলি নিয়ে আসবো।

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

সুমন কর বলেছেন: অাপনার রিভিউ ভাল হয়েছে। বইটি সংগ্রহে অাছে। পড়তে হবে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। বইটি অবশ্যই পড়বেন। আমার ভালোলাগা এবং মুগ্ধতার রেশ ছড়িয়ে পড়ুক সবার হৃদয়ে এইটুকুই চাওয়া।

৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: প্রিয়তে।
আফসোস বইটার নাম এই প্রথম শুনলাম।
এই মুহূর্তে জহির রায়হান রচনা সমগ্র পড়ছি। এর আগে উনার ছোটগল্পগুলো পড়ার সুযোগ হয়নি। অসাধারণ সব লেখা। আমরা হতভাগা এমন একজন গুনিকে হারিয়েছি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: জহির রহমান রচনা সমগ্রও একটি অনবদ্য রচনা। ভালো লাগলো জেনে আপনার রিসেন্ট বইটির কথা।

তবে আমি নিশ্চিৎভাবে বলতে পারি গজেন্দ্রকুমারের এই উপন্যাসটির চরিত্রগুলি আপনার মনের অীগলিতে হেঁটে বেড়াবে বহুদিন।

উপরে জুন আপার মন্তব্য পড়ুন। উনি শুধুই একবারে সন্তুষ্ট হননি। জীবনে বহু বহুবার পড়েছেন এক উপন্যাসটি। এই কথাটি আমার বেলাতেও প্রযোজ্য। আমিও যে কতশতবার পড়েছি এই উপন্যাস তার ইয়ত্তা নেই।

যতবার পড়ি ততবার নতুন চলচ্চিত্র ভেসে ওঠে মনের গভীরে জেগে থাকা পর্দায়।

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বই কিনে জমিয়ে রাখা একটা বদ অভ্যাস আমার। তবে এতোদিনে ফল পাচ্ছি, এই ক মাসে যে সব বই শেলফ থেকে খুঁজে নিচ্ছি তা হয়তো বছর দুই আগে কিনা। তার মানে হলো সংগ্রহের বইয়ের প্রতি আগ্রহ টা আবার আসেই। পিডিএফ আমিও পড়তে পারিনা। অসহ্য লাগে। তবুও কিছু পিডিএফ সংগ্রহে আছে। পিডিএফ থেকে যে জিনিসটা হয়েছে, এই বইগুলোর কাগজে বই ও কিনতে হয়েছে দ্রুত, না হয় এই বইটা আমার নেই এমন একটা শূন্যতা কাজ করে।

আপনার আলোচিত বইটা নেই। আপনার পাঠ পরবর্তী বর্ণনা আর মন্তব্যে জুন আপুর আলোচনায় বইটি নিয়ে লোভ জাগলো। আজিজে খোঁজ করতে হবে। এই সিরিজটা মনোযোগ দিয়েই দেখবো, বইয়ের প্রতি একটা ঝোক আছে, আপাতত তা দুঃখ ও। কিন্তু লোভ ফেরান যায় না।

ভালো থাকুন। শুভকামনা।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: পিডিএফ আমারও পছন্দ নয়। সেই ছোটবেলায় পড়া বিভুতিভূষনের এক অসাধারণ বই নিজের সংগ্রহে রাখবার জন্য কত কত যে খুঁজেছি। শেষে পিডিএফএ পাবার পরেও পড়ার ইচ্ছে হয়নি।

আমার বইটা অবশ্য পড়বেন দূর্জয় । এ আমার অনুরোধ। আমার মুগ্ধতা আমার ভালোলাগাটা ছড়িয়ে যাক সবার হৃদয়ে এই আমার প্রত্যাশা।

শুভকামনা সর্বদা।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

এস কাজী বলেছেন: কিছুক্ষনের জন্য ডুবে গিয়েছিলাম। ভাল লেগেছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ এস কাজী।
ভালো থাকবেন।

১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ১মপর্বে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম 2য় পর্বের অপেক্ষায় ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার। ২য় পর্ব খুব শিঘরী লিখে ফেলবো আশা রাখছি।

১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১২

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
রিভিউটা চমৎকার হয়েছে ! ++

বেশ কিছু ভালো বই হাতের কাছে রাখার পরেও
সময় নিয়ে পড়া হয়ে উঠছে না, যা হোক

বইয়ের কোন বিকল্প নেই তাই পড়তে হবে বৈকি !
আপনার সাথে খুব একটা কথা হয়নি, সময় করে
আমার ব্লগে আসার নিমন্ত্রণ জানাই, ভালো থাকুন ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনার নিকটা অসাধারণ! এমন একটি নিক খুঁজে বের করার জন্য ও আমাদের সামনে আনার জন্য প্রথমেই আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

আপনি এ সম্পর্কীয় একটি পোস্ট লিখেছিলেন। অসম্ভব ভালো লেগেছিলো স্বপ্নচারী গ্রানমা। কিছুদিন রেগুলার থাকতে পারবো আশা করছি । আপনার ব্লগে ও উপরের সকলের ব্লগেই খুব শিঘ্রী যাবো।

শুভকামনা।

১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৭

বাংলার পাই বলেছেন: বইটা পড়িনি। আপনার লেখা পড়ে পড়ার জন্য আগ্রহ হল। পড়ে ফেলব আশা করি।

আর আফসোস হচ্ছে কিভাবে এতো সুন্দর একটা বই আমার না পড়ার তালিকাই রইলো।

আর পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ বাংলার পাই।
আফসোসের কিছু নেই নিউমার্কেট খুঁজলেই পেয়ে যাবেন বইটি আশা করছি। আর আমার বইটি এতই প্রিয় যে যদি পারতাম পুরো তিন খন্ডই কপি করে করে এইখানে দিয়ে দিতাম আপনাদের জন্য।


শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।

১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার আয়োজন, এরকম পোস্টের বড় অভাব আজকাল ব্লগে। আপনাকে সাধুবাদ জানাই এই ধারাবাহিকটি শুরু করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা এবং আপনার পোস্টের জন্য +++

ভালো থাকবেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন বোকা মানুষ ভাই। এমন মন্তব্য পেলে উৎসাহিত হই ও ভালো লাগায় মন ভরে ওঠে।

১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৩

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটা।

আমাকে আপনার এই পোস্টের লিঙ্ক দিয়ে, একজন বললো অনেক ভালো লেখা।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনার প্রতি ও সেই বন্ধুর প্রতি রইলো অশেষ কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা জানবেন।

১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: পোস্ট ভালো লেগেছে । বইটা পড়ার ইচ্ছে রইলো ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ মামুনভাই। আশা করছি বইটি আপনার ভালো লাগবে।

১৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১১

যমুনার চোরাবালি বলেছেন: পড়ার ইচ্ছা তৈরি হলো।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। বইটি পড়বে মুগ্ধ হবেন নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

১৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: Khub bhalo laglo

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ অনন্য দায়িত্বশীল আমি। শুভকামনা জানবেন।

১৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টে +++++ । অনেক কষ্ট করেছেন ------- প্রিয় বই পড়ার ইচ্ছে রইল -----
শুভকামনা

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অংসংখ্য ধন্যবাদ লাইলী। যদি পারতাম পুরো বইটাই কপি করে তুলে দিতাম সকলের জন্য। নিজের একান্ত ভালোলাগার অনুভুতিগুলি অন্যের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে পারার আনন্দ অনেক।

শুভকামনা জানবেন।

২০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার কাজ...

চলুক...

শেষটা শোকেসে রেখে দেবো...

৫ম ভালোলাগা...

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ মুনতাসির নাসিফ। শুভকামনা রইলো।

২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

আমিনুর রহমান বলেছেন:



এমনিতেই আপনাকে বলি ব্লগে নিয়মিত হোন, কিছু ভালো পোষ্ট লোভটাই মুখ্য সেখানে :P

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ইনশাল্লাহ নিয়মিত হতে পারছি কিছুদিনের জন্য। তবে ঠিক কতদিন নিশ্চয়তা দিতে পারছিনা। আর কেনো সেই অনিশ্চয়তা, সেটা পরবর্তী পোস্টে জানাবো।

আপনার প্রতি বরাবরের মত কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা রইলো।

২২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বাহ্ ! লেখা ভালো।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। শুভকামনা জানবেন অন্ধবিন্দু।

২৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

নীল কথন বলেছেন: ঝরঝরে রিভিউ। জীবনের কত শত বইতো পড়িনি এখনও। এটা একটা।
কিনে নিব। পড়বো।
আপনার পাঠের ভিন্নতা দেখে মুগ্ধ হলাম। গত কয়েকদিনে প্রিয় বইয়ের লিস্টের ঝড় বয়ে গেল ফেবুতে। ওখানে এই বইটা চোখে পড়ে নি। অনেকগুলো বইয়ের লিস্ট করলাম। পকেট গড়ের মাঠ। তবুও দেখি আস্তে আস্তে কিনে নিব।

পোষ্ট একরাশ মুগ্ধতা। থলে থেকে সামনের পর্বগুলোয় কী বের করেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। নিরন্তর শুভেচ্ছা।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনার মন্তব্যে মজা পেলাম। আসলে আইডিয়াটা সেখান থেকেই পাওয়া। ১০টি প্রিয় বই ও দশজন মানুষ। আমার কাছে একটু হাস্যকর লেগেছিলো বটে তবে সবকিছুতেই পজিটিভিটি দেখবার একটা ব্যাপারও তো আছে। সে যাইহোক হাস্যকর লাগার কারনটা আজকালকার প্রগতীর এই যুগে নেট থেকে কিছু বই এর লিসট নামিয়ে মান সন্মান রক্ষার্থে কিছু নাম দিয়ে দেওয়াটা খুব সহজ। এই রকম একটা জোচ্চুরি মার্কা সন্দেহ কেনো মনে এলো এবার বলি। আমার এক ও অদ্বিতীয় ছোট দেবর পাঠ্যবই ছাড়া একমাত্র ফেসবই পড়ে। এছাড়া জীবনে আর কোনো বই এর ধারে কাছে যায়না। সে আমাকে বললো ভাবী কিছু ভালো বই এর নাম বলো । সন্মান বাঁচাই। আমি বললাম এটা আবার আমাকে জিগাসা করা লাগে? নেট থেকে বুক লিস্ট নামিয়ে নিলেই তো পারো।
কাজেই বুঝতেই পারছেন---

আপনার বই এর লিস্টে অবশ্যই আমার বইটি রাখবেন আশা করছি। মুগ্ধ হবেন। বিফলে মূল্য ফেরৎ।

আপনার মন্তব্যেও একরাশ মুগ্ধতা , শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা রইলো।

২৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বইটা আগেই পড়তেছিলাম, রিভিউটা চমৎকার লাগলো।+

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ রেজওয়ানা। শুভকামনা জানবেন।

২৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০১

নীল কথন বলেছেন: হা হা, একি কান্ড! যুগোপযোগী বুদ্ধি দিয়েছেন।

সেরার ঝড় সেরা মানুষেও গিয়ে ঠেকছে দেখি। আমি ঐ বই লিস্টের বাহিরে চোখ রাখিনি।

আপনার মন্তব্য পড়ে আনন্দ পেলাম।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ভালো থাকবেন নীল কথন। আমার এ ধারাবাহিকের ২য় পর্বেও আমি এই উপন্যাসের বাকী দুখন্ডের মুগ্ধতা নিয়েই লিখেছি। লেখা প্রায় শেষের পথে। ইনশাল্লাহ কালকেই বাকীটুকু শেষ করে ফেলবো। হরতালের ছুটিটা এবার ভালো কাজে লাগবে বুঝতে পারছি। যদিও বাড়িতে বসেই অফিস মানে কিছু অফিসিয়াল কাজও সারতে হবে।

২৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

ডি মুন বলেছেন: ধারাবাহিক পোস্টের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ থাকলে আমরা উপকৃত হব।

শুভেচ্ছা :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধারাবাহিক পোস্টের দ্বিতীয় পর্ব আজই পাবেন। এত তাড়াতাড়ি কোনো ধারাবাহিক লেখার তাড়না আমি এর আগে কখনও পাইনি। শ্যামা ঠাকরুনের ভুত যেন আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

আপনার জন্যও রইলো অজস্র শুভকামনা।

২৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: চমৎকার রিভিউ !!

++

অনেক আগে শরতবাবুর এরকম একটা গল্প পড়ছিলাম, গল্পটার নাম মনে পড়ছেনা!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুম।

শরতবাবুদের আমলের অনেক গল্পই এমন। সেই সময়কার আর্থ সামাজিক অবস্থার সঠিক চিত্রায়ন তারা এমনি ভাবে লেখনীর মাঝে সফলভাবে করে গেছেন পড়ে অবাক হতে হয়।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা জানবেন মাসুম।

২৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

ডি মুন বলেছেন: অতিশীপর বৃদ্ধা "শ্যামা ঠাকরুন"। --- এখানে ''আতিশীপর'' শব্দটা কি সঠিক?

একটু জানাবেন প্লিজ, আমি কনফিউজড তাই জিজ্ঞেস করলাম।

শুভকামনা রইল।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কোনটা সঠিক জানিনা ভাই। তবে আমার কাছে তো অতিশীপরই সঠিক মনে হয়। এ ব্যপারে কোনো বানানবিদের সাহায্য নিতে হবে। আপনার কথাটা মাথায় রাখলাম।

শুভকামনা ডি মুন।

২৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাহ চমৎকার লিখেছেন। বইয়ের রিভিউ কিংবা যে কোন ধরণের রিভিউ লেখা আমার কাছে খুব কঠিন কাজ বলে মনে হয়। কারণ লেখক যে দৃষ্টিভঙ্গীতে লিখলেন তার সঠিক মূল্যায়ন হলো কিনা, আমি ভালো বুঝে লিখলাম কিনা ইত্যাদি অনেক ব্যাপার আমার মাঝে কাজ করতে থাকে।

পছন্দের বইয়ের লিস্ট নিয়ে ফেসবুকের এই ইভেন্টে ট্যাগ পেয়েও সাড়া দেয়া হয়নি। অলসতা একটা কারণ, প্রচুর বই পড়ার অভ্যাস থাকলেও এখন সবই কেমন যেন মুখ থুবড়ে পড়ে যাচ্ছে সময়াভাবেও।

শুভকামনা রইলো।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অপর্না আপা উপরে ডিমুনের বানান দুটি দেখে কোনটা সঠিক যদি বলেন তো কৃতজ্ঞ থাকবো। আমি জানি আপনি এ বিষয়ে বেশ পারদর্শী। আমার জানা মতে অতিশীপর শব্দটাই সঠিক। আপনি কষ্ট করে জানালে খুশী হবো।

আপা লেখক কি দৃষ্টিভঙ্গিতে লিখেছিলো জানিনা। তবে আমি আমার মত করে ভেবে নেই। লেখকের বর্নিত চরিত্রগুলিরও একটা চেহারা দাঁড়া করাই মনে মনে, যা অনেক সময় চলচ্চিত্র বা নাটকে নির্মিত হলে তাদের চেহারায় খুঁজে পাইনা। আমি আমার মত করে ভাবতে ভালোবাসি।

ভালো থাকবেন অপর্ণা মন্ময়। আপনার নামটা অনেক সুন্দর!

৩০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অতিশিপর হবে বানান টা। আর এটাই সঠিক যতটা জানি।
ধন্যবাদ ময়ূরাক্ষী

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অপর্ণা। আমিও এটাকেই সঠিক জানি। ভালো থাকবেন। কৃতজ্ঞতা।

৩১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: শব্দটা অশীতিপর হবে। অতিশিপর বলে কিছু কোনদিন শুনি নাই। অপর্ণাও বানান ভুল করে! দেইখা মজা পাইলাম। :P

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা আমার বানানটাই সবশেষে ঠিক হবে ভেবেছিলাম। সে যাইহোক ধন্যবাদ সমুদ্র কন্যা। কিছুক্ষনের মাঝেই প্রকাশ করছি আমার দ্বিতীয় পর্ব ধারাবাহিকা।

৩২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হেহহেহ , তিথি আমি কি ভুলের ঊর্ধ্বে নাকি ? B-)
অনলাইন অভিধানের লিঙ্ক নাই আপাতত , আর দুইটা পত্রিকায় আমি আজকেই এই বানান টা দেখছি ! :( ভুলের জন্যও মার্জনা। ধন্যবাদ তিথিকে

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: দু'জনকেই অশেষ ধন্যবাদ।

৩৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

আমি ইহতিব বলেছেন: গজেন্দ্রকুমার মিত্রের নাম আগে শুনিনি। এমন চমৎকার রিভিউ পড়ে বইটা পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে। রকমারিতে পাওয়া যায় কিনা দেখছি।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ ইহতিব। পিডিএফ ফাইলে পাওয়া যায়। নিউমার্কেটেও পাবেন।

পড়ে দেখুন ভালো লাগবে আশা করছি।

ভালো থাকুন।

৩৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি ইহতিব আপু সহ আগ্রহীদের জন্য এই বইটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড লিংক Click This Link

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ বোকামানুষভাই।

৩৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপুর রিভিউ পড়ার পর অনেকের এই বইটির প্রতি আগ্রহ দেখছি, নীচের লিংক থেকে আগ্রহীরা ডাউনলোড করে নিতে পারেন পিডিএফ ফাইলটি
https://app.box.com/shared/zxl1r2icau0mklnmq3e3

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ আবারও।

৩৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

আমি ইহতিব বলেছেন: বোকা মানুষ ভাইয়াকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আমার পক্ষ থেকেও ধন্যবাদ অজস্র।

৩৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: চমৎকার রিভিউ!
সব রিভিউ পড়ে বই পড়ার ইচ্ছা জাগে না। আপনার এত সুন্দর রিভিউ পড়ে আমার এখনই বইটা কিনে পড়া শুরু করে দিতে ইচ্ছা করছে। এতটাই ভাল লিখেছেন!

পরের পর্ব গুলো পড়ার জন্য আপনাকে অনুসরণে রাখলাম। ব্লগে এইরকম বই নিয়ে পোস্ট নিয়মিত দেখলে ভাল লাগত।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ ইলিউশনিস্ট। বই রিভিউ পড়ে আমরা আসলেই অনেক অজানা বই এর কথা জানতে পারি।

আপাতত আমার প্রিয় বইগুলো নিয়ে নিয়মিত দশটা পোস্ট দেবার ইচ্ছা আছে। ভালো থাকবেন । শুভকামনা।

৩৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

বোকামানুষ বলেছেন: বই পড়া হয় সব সময় বই ছাড়া কিছুদিন থাকলেই অস্থির লাগে

এই ট্রিলজির কথা জানতাম না পড়তে হবে মেয়েদের জীবনের কাহিনী শুনে আরেক বিখ্যাত ট্রিলজি আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রতিশ্রুতি, সুবর্ণলতা, বকুলকথা মনে পড়ে গেল

রিভিউ ভাল লেগেছে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ বোকামানুষ। এই উপন্যাস শুধু মেয়েদের কথায় বলেনি। লেখকের সময়কালের পুরো আর্থ সমাজিক অবস্থা হতে শুরু করে রাজনীতি, সুখ দুঃখ অভিমান বেদনার কথা বলেছে।

আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.