নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাসফড়িং

আমি ময়ূরাক্ষী

তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে । যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে । যদি থাকি কাছাকাছি, দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি– তবু মনে রেখ

আমি ময়ূরাক্ষী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার পশুপ্রেমী শ্বশুরবাড়ি

১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৬



"কুকুর" এই প্রাণীটি আমার কাছে যমের চাইতেও ভীতিকর। কিন্তু আমি যেদিন প্রথম শ্বশুরবাড়িতে এলাম। বিয়ের গাড়ি থেকে নামার পর সেখানে অনেক মানুষের হুড়োহুড়ি, হাসাহাসি বা নানা রকম উচ্চশব্দের বাদ্য-বাজনার কারণে জানতে পারিনি যে এই বাড়িতে আমার এই যমটি আছেন।

বিয়ের পরদিন সাত সকালে সুদূর জার্মান থেকে এক মামা শ্বশুর আর মামী শ্বাশুড়ি ভোরের ফ্লাইটে ঢাকা এলেন। তাদেরকে নতুন বউ দর্শন করাতে আমাকে আনা হলো তাদের সামনে। আমার এক কাজিন ননদ আমাকে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে আনলেন তাদের সামনে কারণ নতুন বউদেরকে একটু সাজগোজ ছাড়া কারু দর্শন নিষেধ যেমন একটু কাজল দিতে হবে, টিপ পরতে হবে, গয়না পরতেই হবে এমন নিয়মে ঠিকঠাক করে বসার ঘরে নিয়ে এলেন। আমি উনাদের সামনে এসে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে উঠে দাঁড়িয়ে যেই না ঘুরে পাশের সোফায় বসতে যাবো । লম্বা ঘোমটা থাকা সত্বেও এবং মুখ মেঝের দিকে আটকিয়ে রাখার পরেও দেখতে পেলাম ইয়া বড় হুমদোমুখো এক বুলডগ দাঁড়িয়ে আছে ঠিক আমার মেঝেতে ঝুলে থাকা শাড়ির আঁচলের পাশেই। আমি সব ভুলে চিৎকার করে উঠতে গিয়েও অনেক কষ্টে চোখ বুজে, ঢোক গিলে বসে পড়লাম সোফায়।

আর সেই পাঁজি বুলডগ ঠায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মামাশ্বশুর, শ্বাশুড়ির সাথে সাথে আমাকে দর্শন করতে লাগলো। এমন এক দশাধারী কুকুর ঘরের মধ্যিখানে দাঁড়িয়ে আছেন আর আমার নামাজী শ্বাশুড়ির তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই যেন উনি এই বাড়ির আরেক সদস্য এমন ভাবখানা দেখে আমি বেশ অবাক আর তারও চাইতে অনেক বেশি বিরক্ত হলাম। আমার মামা শ্বশুর শ্বাশুড়ি কি বলছিলেন না বলছিলেন তার কিছুই মাথায় ঢুকছিলো না আমার। এই যমের সাথে আমাকে এ বাড়িতে থাকতে হবে ভেবে বেশ কান্নাও পাচ্ছিলো আমার। কি আর করা! বাবা মায়ের উপর বেশ রাগও হচ্ছিলো এটা ভেবে যে বিয়ের আগে এত তাড়াহুড়ো করলেন যে এইখানে যে এই বাড়িতে তার মেয়ের জন্য একখানা যমও বসে আছেন সে খবরও রাখলেন না। সত্যি চোখ ফেটে কান্না আসছিলো আমার। একটা কথা সত্যি , যতই বাবা মায়ের বাধ্যগত সন্তান হই না কেনো, এই যম বাবাজী এখানে আছেন জানলে জন্মে এই বিয়েতে রাজী হতাম না আমি।

সবকিছু চুপচাপ মুখ বুজে মেনে নেওয়াই আমার স্বভাব তবুও আমার বোবা হাসব্যান্ডকে একদিন না বলে পারলাম না, "আচ্ছা এই কুকুরটা বাড়ির মধ্যে সব সময় ঘুরে বেড়ায় । শুনেছি কুকুরের লোম বা লালা যেখানে পড়ে সেখানে নামাজ হয়না, মা তো অনেক নামাজী, বাবাও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন তারপরও ......
আমার বোবা কালা স্বামীর আমার এ কথা শুনে কোনো ভাবলেশের পরিবর্তন হলোনা । তিনি তার স্বভাবসিদ্ধ নীরবতা পালন করে গেলেন। আমার বেশ মেজাজটা খারাপই হয়েছিলো তবুও কিছু করার নেই তাই চুপ রইলাম।

এই কুকুরটি বাড়ির সকলের প্রিয় হলেও তার আসল মালিক আমার একমাত্র দেবরজী। ইউনিভার্সিটি থেকে যখন উনি ফিরেন তখন মনে হয় যেন এই তার বহু জনমের গার্লফ্রেন্ড তার অদর্শনে অধীর হয়ে ছিলেন। বাড়ির গেইটে তার মোটর সাইকেলের হর্নের শব্দ পেলেই শুরু হয়ে যায় ডগ বাবাজীর লম্ফ ঝম্প হাউ মাউ। আর তার এক এক ডাক আমার বুকের মধ্যে কাঁপুনি ধরায় যেন বাঘ ডাকছে।

আমার দেবরজী তার জন্য আনেন নানারকম খাবার। তিনি যা খান তার থেকে কিছু অংশ ডগবাবাজীকে না দিয়ে তিনি খানই না। এমনকি একদিন আমার শ্বাশুড়ীর এক বান্ধবী এলো পিজ্জা হাটের এক বাক্স পিজা নিয়ে। সেখানে ৬ টুকরা ছিলো । আমরা পাঁচজন মানুষ পাঁচটুকরা আরেক টুকরা নাকি রুমেল মানে আমার দেবরজীর সাধের ডগবাবাজীর জন্য! আমার চোখ আর একটু হলে শুধু আকাশে না মনে হয় স্বর্গেই উঠে যেত। যত সব আদিখ্যেতা । কি আছে বাবা এত নেকামীর। কত মানুষ খেতে পাচ্ছেন না আর ইনারা কিনা ......অবশ্য আরেকটা কথা তারা জানেনা পিজা আমার খুবই প্রিয়। মনে পড়লো ছোটবেলায় পড়া পন্ডিৎ সাহেব ও সেই সাহেবের কুকুরের কথা। কিন্তু এরা তো সেই সাহেবও না আবার এতও কোনো উচ্চবিত্ত পরিবারও না। খুব সাধারণ এক মধ্যবিত্ত পরিবার তবুও .....

সে যাই হোক, শুধু কি কুকুর? আছেন আরেক বিড়াল। আমার এমনিতেই বিড়ালের লোমে এলার্জী আর এই বিড়াল মাসী সুযোগ পেলেই আমার একটু অসতর্কতার সুযোগে টেবিলের তলা দিয়ে বা সোফার নীচ দিয়ে কই থেকে যেন এসে আমার পায়েই ঘষা দেবে। কি সর্বনাশ, একদিন তো শ্বশুরের সামনেই এক মহা চিৎকার দিয়ে বসেছিলাম। শ্বসুরবাবাজীর সাথে সেদিন তার সামনে সোফাতে বসে বৈকালিক চা পান করছিলাম হঠাৎ শাড়ির তলা দিয়ে আমার পায়ের সাথে বিড়াল মহারাণীর নরম কোমল রেশম রোমের স্পর্শে আমি তো চিল চিৎকারে আর একটু হলে চা টা সবই উলটে ফেলতাম আর কি। উফ এইসব যন্ত্রনা কি সহ্য করার মত? শ্বশুরজী বলেন "কিচ্ছু হবে না বৌমা, ও খুব আদুরে।" গা জ্বলে যায় আমার এ কথা শুনে! এই বিড়ালনী আবার আমার শ্বসুরের বিশেষ প্রিয় । খেতে বসেন যখন পায়ের কাছে বসে থাকে এই বদ বিড়ালনী। এত কাঁটা খায়, মাছ খায় তবুও ননস্টপ ম্যাও ম্যাও এ কান ঝালাপালা করে ছাড়ে। ছোটবেলায় একবার আমাদের বাড়িতে এমনি এক বদবিড়ালকে সুফিয়া বুয়ার পাঁজি ছেলে বস্তায় করে রেইল স্টেশনে ফেলে দিয়ে এসেছিলো। তার যুক্তি ছিলো এত দূরের পথ বিড়ালটা চিনে যেমনি আসতে পারবেনা তেমনি যদি সে ভুল করে কোনো ট্রেইনে উঠেই পড়ে তো একেবারেই তেঁতুলিয়া বা টেকনাফে পৌছে যাবে। মনে মনে আমি সারাটাক্ষনই এই বিড়ালেরও তেমন কিছু ব্যাবস্থা করার নানা রকম প্ল্যান করি কিন্তু এই বাড়িতে বস্তা কোথায় রাখা হয় তাও জানিনা আর সুফিয়া বুয়ার ছেলেটাও এখন কোথায় আছে সেটাও জানা নেই। এসব ব্যাপারে শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে আবার বিশ্বাস করতে নেই। এরপর বাবার বাড়ি থেকেই এমন কাউকে আনতে হবে যে ....

আরও এক অবাক বিস্ময়, শুনেছি কুকুরে বিড়ালে কোনোদিন মিত্রতা হয়না । কিন্তু এই বাড়িতে সবকিছুই কেমন যেন উলটা। কুকুর যে পাত্রে পানি খায় সেখানে গিয়েই বিড়ালমাসী চুকচুক করে পানি পান করে আসেন । কুকুরটা একচোখ খুলে তা দেখেও না দেখার ভান করে ঘুমিয়ে পড়েন, কোনো উচ্চবাচ্য নেই । মাঝে মাঝে আমার সন্দেহ হয় এরা কি টম এ্যান্ড জেরী দেখে বড় হয়েছে কিনা। আবার ব্যকারণ বই এ পড়েছিলাম বাঘে গরুতে এক ঘাটে পানি খাওয়ার কথা আর এখন চাক্ষুষ দেখলাম কুকুরে বিড়ালে এক বাটিতে পানি খেতে।

এরপর আসি শ্বাশুড়ির কথায়। বাড়িতে আছে বিশাল এক বনেদী এ্যকুরিয়াম। তাতে গোল্ডফিশগুলোর বুড়া হয়ে একেবারে দাঁড়িমোছ হয়ে গেছে। আরও কত রকম যে মাছ। রোজ সকালে শ্বাশুড়ি মা নিজে হাতে একটা কাঁচের বোতল থেকে উনাদেরকে খাদ্য খাওয়ান। আমি শুধু অবাক হয়ে দেখি। উনি হুইল চেয়ার নিয়ে মাছগুলোর কাছাকাছি যেতেই মাছেদের মাঝে এক চাঞ্চল্য দেখা দেয়। শুনেছিলাম গোল্ডফিশ মেমোরী বলতে মানুষ মেমোরীহীনদেরকে বুঝায়। কিন্তু এই গোল্ডফিশদের তো মনে হয় আমার অনেক মেমোরী। তারা আমার শ্বাশুড়িমাকে খুব ভালোভাবেই মনে রাখেন। অবশ্য এই মাছেদের উপর আমার কোনো রাগ নেই কারন তারাই এ বাড়ির একমাত্র প্রাণী যারা আমাকে কোনোরকম ডিস্টার্ব করেনা। ওরা ওদের মত দিনরাত জলকেলী করে বেড়ায় । কারো প্রতি ওদের কোনো অভিযোগও নেই। শুধু ওদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সাঁতার কেটে যাওয়া দেখে বিস্মিত হই আমি। তবে একটা জিনিস আবিষ্কার করেছি ওরা তাকিয়ে তাকিয়েই রাতে ঘুমায়। কারন রাত হলে ওরা একদম নড়েনা। চুপ করে এক একজন এক একখানে বসে যায়। তাদের সবার আছে আলাদা আলাদা নির্দিষ্ট বিশ্রামের স্থান।

এবার আসি আমার স্বামীদেবতার কথায়। উনি আবার পশুপ্রেমী না পা্খি প্রেমী। শুনেছি ছোট থেকে নাকি মুরগী থেকে শুরু করে কাক, বক, শকুন, টিয়া সবই পুষেছেন। ভাগ্যিস সেসব এখন আর বেঁচে নেই এ বাড়িতে। তাহলে তো আমার কাজিনরা আমার এক চিড়িয়াখানাতেই বিয়ে হয়েছে বলেই খেপাত নিশ্চয়। যাই হোক আমার স্বামীদেবতার পায়রার সংখ্যা যে কত নিজেও বুঝি জানেননা। আমাদের ছাঁদের তার থেকে শুরু করে ফুলগাছ টব সবখানেই তাদের রাজত্ব। এদের নিয়েও আমার তেমন মাথা ব্যাথা নেই কারণ তারা আছেন তাদের মত শুধু সকালে বিকালে খাবার দেওয়া আর ছাঁদ ঝাড়ু দেওয়া সেতো আর আমার কাজ না!!! তবে ছাদে মেলা কাপড়চোপড়ে উনারা তাদের বর্জাংশ্য ফেলে রাখতে দ্বিধা করেন না। মাঝে মাঝেই হাজেরা বুয়া বা মোমেনা বুয়ারা সেসব দেখে যখন উচ্চস্বরে তাদের গুষ্ঠি উদ্ধার করে সত্যি বলতে আমি মনে মনে এক পৈচাশিক আনন্দ উপভোগ করি। মনে মনে বলি ঠিক হয়েছে আরও আরও চিড়িয়াখানার মালিক হও তোমরা।

একদিন আমি শপিং থেকে ফিরলাম। গেটে নামতেই দেখি আমাদের বাড়ি সংলগ্ন আমগাছের নীচে এক চাঁদরের এক প্রান্ত ধরে দাঁড়িয়ে আছেন আমার শ্বশুর আর বাকী তিনপ্রান্তে হাজেরাবুয়া আর তার নাতী। তারা সবাই গাছের উপরের দিকে তাকিয়ে আছেন আর আমার শ্বশুর মহা চিল্লাপাল্লা করে বলছেন ঐ ঐ দিক না এইদিকে, হ্যাঁ হ্যাঁ এই দিকে, আস্তে নামানোর চেষ্টা কর। ঐ তুই কি এইটারে আম পাইসিস যে খোঁচা দিলেই পড়ে যাবে? এমন নানা কথাবার্তা। উপরে তাকিয়ে দেখি পাশের বাড়ির কাজের ছেলেকে ডাকা হয়েছে কিছু একটা গাছ থেকে নামানোর জন্য। তখন শীতকাল। কাঁচা আম পাকা আম কোনো আমেরই সময় না ।তাহলে গাছ থেকে নামাচ্ছেন কি তারা? আমি খুব কৌতুহলী হয়ে উঁকিঝুকি দিলাম ও তারপর যা জানতে পেলাম সেটা শুনে কিছু বলার ভাষা আর আমার ছিলোনা।
এক অজ্ঞাত পরিচয় বিড়ালের বাচ্চা নাকি আমাদের বাড়ির দুয়ারে এসেছিলো ও আমাদের বুলডগবাবাজীর তাড়া খেয়ে এই আমগাছে উঠেছেন আর ভয়ে নামতেই পারছেন না শুধু মিউ মিউ করে করুন আর্তি জানাচ্ছেন। এখন এই নিস্পাপ বিড়াল শাবকের করুন আর্তিতে তাকে রেসকিউ করার জন্য এই বিশাল বাহিনী নিয়ে আমার শ্বশুরসাহেব তৎপরতা চালাচ্ছেন।ঘন্টাখানেক তৎপরতা শেষে সেই অভিযান সফল হলো ও সেই বিড়াল শাবককে ঘরের মাঝে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হলো। এক বাটি দুধ খেয়ে আর কিছু মাছের কাঁটা পেয়ে এরপর এই নাতিন বিড়াল পরম আদরে আমাদের পায়ে গা ঘসাঘসি শুরু করলেন। মাগো, এক মাসীর জ্বালায় বাঁচিনা আবার আনা হলো তার নাতী। পোড়া কপাল হলে এমনি হয়, যা হয়েছে আমার।

এরপর একদিন আমার স্বামীদেবতা এবং সাথে দেবরজী অফিস থেকে ফেরার পথে এক খাঁচা হাতে বাসায় ঢুকলেন । খাঁচার ভেতর চোখ পড়তেই আমি তিন লাফে পেছনে এলাম। দেখি মহা রাগী এক চিলবাবাজী সেই খাঁচার ভেতর চোখ উলটে উলটে চারিদিকে তাকাচ্ছে। তাকে ড্রইং রুমের টেবিলে এনে রাখা হলো। শুনেছি চিল ওয়াইল্ড এনিমেলস এ্যান্ড বার্ডের আন্ডারে পড়ে। আর সেই চিলকেই আমার ভালোমানুষ স্বামীদেবতা কই থেকে চুরি করে আনলেন! তাহলে কি .... নানা চিন্তা যখন আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো তখন শ্বশুর সাহেবের কৌতুহল নিবারণে আর আমার বাঁচাল দেবরজীর উত্তরে জানতে পারলাম আজ অফিস থেকে ফেরার পথে আমার স্বামীদেবতার ফোন কলে ইউনিভার্সিটি থেকে ছুটে গিয়ে নাকি আমার দেবরজীকে কাঁটাবন থেকে খাঁচা কিনে নিয়ে যেতে হয়েছে। আমার স্বামীদেবতা ফেরার পথে রাস্তার পাশে এই ডানা ভাঙ্গা চিলটাকে পড়ে থাকতে দেখেন ও কিছু ছোট বাচ্চারা পাখিটাকে খোঁচাচ্ছিলো সেই মর্মান্তিক দৃশ্য আমার পক্ষীপ্রেমী স্বামী সহ্য না করতে পেরে এই অসুস্থ্য অতিথিকে কিছুদিন সেবা শুশ্রুসার জন্য আমাদের বাড়িতে এনেছেন। এরপর শ্বশুরজীর হাঁকডাকে শুরু হলো ফ্রিজ থেকে বেছে বেছে মুরগীর গিলা কলিজাগুলো পাখিকে খানাপিনা করানো ও আমার ইন্জীনীয়ার দেবরজী কি করে যেন এক ড্রপার দিয়ে খাঁচার বাইরে থেকে তাকে পানি খাওয়ানোর উপায় আবিষ্কার করে ফেললেন।কিন্তু বিপত্তি বাঁধলো পাখির মেজাজ নিয়ে। তার ধারে কাছে কেউ গেলেই হা করে যেন খেয়ে ফেলবে এইভাবেই সে খাঁচার মাঝে নিস্ফল আক্রোশে তেড়ে আসছিলো ও ফুঁসছিলো। কিন্তু শেষমেশ আমার পক্ষীপ্রেমী স্বামী ও পশু, মাছ লতা পাতা দুনিয়ার সবকিছু জীবজন্তু প্রেমী শ্বশুরকূলের লোকজনের নিস্বার্থ ভালোবাসার কাছে সেই হিংস্র পাখিটিকে হার মানতে হলো। এরপর ধীরে ধীরে তার পাখা ভালো হতে শুরু করলো। তাকে খাঁচার বাইরে বের করে আনা হলো তবুও সে তখনও ভালোভাবে উড়তে পারতোনা। কিন্তু তার পাশে গিয়ে কোনো গাছের গুড়িতে যখন আমার স্বামীদেবতা বসতেন সে কিছু বলতো না আর আগের মত রেগে মেগে। বরং সাধু মুনিষ্যির মত চুপচাপ কি যেন ধ্যান করতো। একদিন প্রায় মাস দুয়েক কাটাবার পর সে যেন কোথায় উড়ে চলে গেলো। তার পাখা ভালো হয়ে গিয়েছিলো ও অনাবিল নীল আকাশের বুকে ততদিনে সে আবার উড়তে শিখে গিয়েছিলো।

আমার স্বামীদেবতা দুদিন একটু মন খারাপ করে থাকলেন তারপর বরাবরের মত নির্লিপ্ত বোবা কালা হয়ে তার কাজকর্ম সম্পাদন করে যেতে লাগলেন।

এখানেই শেষ নয় আমার এই পশুপাখিপ্রেমী শ্বশুরবাড়ির পশু ও পাখি প্রেমের আরও বহু গল্প আছে। সময় স্বল্পতায় আর আজ লিখলাম না তবে কখনও সুযোগ আর ইচ্ছা হলে সেসবও ইনশাল্লাহ লিখে ফেলবো।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:২১

বনসাই বলেছেন: আপনার লেখার স্টাইল বেশ ভাল। আরো ভাল আপনার শ্বশুরবাড়ি। আমার তো মনে হয় আপনার সৌভাগ্য এমন একটি প্রাণীপ্রেমী পরিবারের অংশ হতে পেরেছেন।

আপনার নিজের পোষা প্রাণীর গল্প শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।

আমার বাসায় বিভিন্ন পাখি-মাছ আছে। আছে কচ্ছপও। বিড়ালও ছিলো, এতো সুন্দর দেশী বিড়াল আর দেখি নি। ওটার লেজ ছিলো ইয়া মোটা। দুই চোখ দুই রঙের। মাছ খেতো, তা আবার হালকা হলুদ-লবন দিয়ে সেদ্ধ করা, কাঁটা রেখে দিতো। কাঁচা মাছে মুখ দিতো না। মিষ্টি, আইসক্রিম খেতে বেশ পছন্দ করতো। বিড়ালছানাটি পথ থেকে তুলে আনা ছিলো।

শীতের এক সকালে ফ্লাটের বারান্দায় দেখলাম, লক্ষ্মীপেঁচা বসে আছে। শহুরে পাখিদের কষ্ট নতুন করে উপলব্ধি করেছিলাম যেদিন বারান্দায় এসির জন্যে করে রাখা গর্তে দোয়েল বাচ্চা ফুটিয়েছিল।

জীবে দয়া করে যে জন সে জন সেবিছে ঈশ্বর- এ রকম বাংলা ব্যকরণে পড়েছিলাম ছেলেবেলায়। ভালো থাকুন।

১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৩১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ বনসাই।
আমার শ্বশুরবাড়ির পশুপাখিগুলির জ্বালায় আমি যদিও অতিষ্ঠ তবুও আমি এটা বুঝেছি নিস্বার্থ পশু ও পাখি প্রেমে এক অপার্থীব আনন্দ লুক্কায়িত আছে। আমার পোষা প্রাণী বলতে ছোটবেলায় উপহার পাওয়া এক জোড়া কবুতর। সেই কবুতরের জোড়ার একটির ফ্যানের আঘাত লেগে অকাল প্রয়ান আর তারপর সঙ্গীটির অন্তর্ধনের সে কষ্টটাকে আর মনে করতে চাইনা তাই লিখতেও চাইনা সেটা।

বুঝতে পারছি আপনিও আরেক চিড়িয়াখানার মালিক গোত্রীয় কেউ একজন। বলাও যায়না হয়তোবা আমার শ্বশুরকুলের আত্মীয়ও হতে পারেন।

জীবে দয়া করে যে জন সে জন সেবিছে ঈশ্বর- এ রকম বাংলা ব্যকরণে পড়েছিলাম ছেলেবেলায়।
আমিও পড়েছি কিন্ত কিছু জীবকে যে যমের মত ভীতিকর লাগে , কিছু আবার গায়ে পায়ে রোম ঘষে ভয় ধরায় দেয় । কি যে করি ? অবশ্য ইদানিং আমি ওদেরকে ভয় পাওয়া কমিয়েছি। আমি সাহসী হয়ে উঠছি দিনে দিনে।

ভালো থাকুন। শুভকামনা।

২| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: পোষাপ্রাণীরা মানুষদের নিজেদের জীবন দিয়ে অনেক সময় রক্ষা করে। তাদের মত প্রাণীকুলের সেবা মানবজাতি আদিম থেকে বর্তমান আধুনিক কালেও পেয়ে আসছে। সকল পোষাপ্রাণীকুলের সুস্থতা ও শুভ কামনা করছি, আপনার পোস্টটি অনেক হৃদয়গ্রাহী। প্রাণী প্রেমিক/প্রেমিকাদের জয় হোক।

১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: মানুষের চাইতে বুঝি তাদেরই মাঝে মনুষ্যত্ব বেশী এমনটা মনে হয়েছে আমার মাঝে মধ্যে। আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা।ভালো থাকুন।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: জানেন আমার ওর বিড়াল পালার খুব শখ , ওর তিনটে বিড়াল আছে । আর আমার আব্বু বিড়াল একদমই সহ্য করতে পারত নাহ । কিন্তু ও যখন আব্বুর বৌমা হয়ে আসবে তখন তো বাসায় বিড়াল নিয়ে আসবে । তো এখন কি করব :(

তারপর একসময় আমি আব্বুকে বুঝিয়ে বিড়াল পালা শুরু করলাম , প্রথম কিছুদিন আব্বু চিল্লা পাল্লা করলেও এখন আমাদের মিশুকে আব্বু ভীষণ পছন্দ করে , নিজ হাতে মাছ ভেজে করে খাওয়ায় , আর মিশুও খিদে পেলে প্রথম আম্মু তারপর আব্বুর কাছে যায় , আর সবার শেষে আমার কাছে । এখন আমাদের বাসায় বিড়াল পালার পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে । ও আসার পর আর কোন সমস্যাই হবে না B-)

তবে আপনার কাহিনী পরে খুবই ভাল লাগল , মধুর যন্ত্রণা সহ্য করে সুখেই আছেন আপনি ।

১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা আপনার কাহিনী এবং বলার স্টাইলটি বেশ মজার। বেশ ছেলেমানুষী আছে আপনার মাঝে। আপনার উনি আসার আগেই বড় হয়ে যাবেন আশা করছি। শুভকামনা জানবেন।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: চমৎকার ভাবে বর্ণনা করেছেন পশু প্রেমী একটি পরিবারের কথা । আমারও একটি এ্যকুরিয়াম আছে, যার সাইজ ১ X ১ X ১.৫ এবং মাছ সংখ্যা ৮টি। খুব ভাল লাগে ওদের দেখতে।


আপনার পোস্টে কিছু ছবি থাকলে আরো প্রাণবন্ত হত।



ভাল থাকুন নিরন্তন ।

১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ ইমতিয়াজ। আমিও আমার পশুপাখিদের ছবিগুলি মিস করছি লিখবার সময়। তবে বর্তমানে শ্বশুরবাড়ি হতে দূরে থাকায় ও বাবার বাড়ি অবস্থানের কারণে ছবি দিতে পারিনি। তবে নিশ্চয় আগামী অক্টোবরে শ্বশুরবাড়ি মানে ঢাকা ফিরে ছবি তুলে দেবো। ততদিন দোয়া করবেন আমার জন্য।

৫| ১৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: এ্ত কিছু আছে, সাপ নাই? সাপ কেমন লাগে আপনার? কোনদিন না দেখা যায় সাপ নিয়ে উপস্থিত হবে! হাহা! পশুপাখিদের নিয়ে আদিখ্যেতা নেই আমার, তবে কুকুর খুব পছন্দ করি। কুকুর নিয়ে শৈশবের চমৎকার কিছু স্মৃতি আছে। বিড়াল পছন্দ করি না।

ভালো লাগলো আপনার লেখাটি।

১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কি সর্বনাশ আপনি দেখছি আমাকে প্রানে মারবার আকাঙ্খা পোষন করছেন। এমনিতেই বাঁচিনা যম তথা যমের মাসীপিসিদের জ্বালায় এখন আবার সাপ আনবার বদদোয়া দিচ্ছেন ।

আপনি দেখছি বড়ই বেসুবিধার লোক। সে যাইহোক আমার লেখাটি কষ্ট করে পড়বার জন্য অজস্র ধন্যবাদ হাসান।

৬| ১৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আমি পশু পাখি ভালো বাসলেও তাদের পোষবার জন্য সময় করতে পারিনা।
তবে আমার কন্যার শখ খরগোস, কিছুদিন আমি তাদের দেখা শুনা করেছি।
বর্তমানে তা আবার উধাও। তবে আপনি ভাগ্যবান প্রকৃত পশু পাখিদের নিয়ে
ভালোই আছেন। মানুষরূপী কুকুর বিড়াল আপনার পরিবেষ্ঠিত নয় তার জন্য
ধন্যবাদ দিন সৃষ্টিকর্তাকে।

১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা ভালো বলেছেন । তা বটে মানুষরূপী কুকুর বিড়াল হতে দূরে আছি।
আপনার কন্যার জন্য দোয়া রইলো।

৭| ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

সুফিয়া বলেছেন: আপনার শ্বশুর বাড়ি তো দেখি একটা -----। মন্দ কি ! লেখাটা তো ভালই লেগেছে।

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ সুফিয়া। ভালো থাকুন।

৮| ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

অপু তানভীর বলেছেন: কয়েকটা ছবি তুলে পোস্ট করতেন । আমিও ঠিক করেছি যখন চাকরি বাকরী নিয়ে কোথাও থিতু হব তখন সেখানে এরকম পশু পাখি পুষবো !
ঘরের ভেতর একটা বিড়াল ম্যাও ম্যাও করে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে দেখলেই তো ভালু লাগে ;);)

১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: বাহহ! ভারী ভালো ইচ্ছা। পশুপাখি একটু প্রথম প্রথম ভয় লাগলেও ওরা মানুষের চাইতেও বেশি ভালোবাসতে জানে। আপনার এত বিড়ালপ্রীতির রহস্যটা মনে হয় আমি জানি।

৯| ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

গরল বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে আপনিও ওদের পছন্দ করতে শুরু করেছেন। খুবি ভাল, পশু পাখি নি:স্বার্থ, তাদের উপস্থিতি শিশুসুলভ। আনন্দদায়ক এবং সময় কাটানর একটি ভাল ইন্টার‌্যাক্টিভ জিনিষ। এদের উপস্থিতি মানসিক স্বাস্থের জন্য ভালো, মনবিঞ্জানীরা বলেন।

১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হ্যাঁ আমি ইদানিং ওদের সঙ্গ উপভোগ করছি ।যদিও তাদের থেকে শত হস্ত দূরে থেকে। ধীরে ধীরে কাছে যাবার মত সাহসী হয়ে উঠবো নিশ্চয়। অজস্র ধন্যবাদ গড়ল।

১০| ১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

আজাদ মোল্লা বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে । আর আপনি ওদের সাথে থাকার চেষ্টা করেন । দেখবেন ভালো লাগবে । পশু পাখিরা মানুষের মনে আনন্দ এনে দেয়

১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ওদের সাথেই তো থাকছি। ইচ্ছা না থাকলেও উপায় নেই তো। ধন্যবাদ আজাদ।

১১| ১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপুনি একটা বুদ্ধি দেই, আপনি একটা বানর পালা শুরু করে দেন। কোথায় পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, আপনি শুধু একবার রাজী হন। দেখবেন আপনার শ্বশুরবাড়ী সত্যিকারের চিড়িয়াখানা বানিয়ে ছেড়ে দিবে। :P

=p~ =p~ =p~

১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:০৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আমি রাজী। বানর এনে দেন।

১২| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: নিরীহ পশুপাখিদের প্রতি আপনার এমন নির্মম অনুভুতি কেনো? এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করছি।

আমি বিলাই কোলের উপরে রাইখা ঘুমাইতাম ছোটবেলায়। কুত্তা বিলাই পাখি মাছ কিছুই বাদ দেইনাই। বর্তমানে যদিও কয়টা মাছ ছাড়া আর কিছু নাই। আবার অন্তত একটা বিলাই নিয়া আসলে মন্দ হবেনা। সিরিয়াসলি চিন্তা করতেছি। :)

১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনার হুমকীতে রিতীমত ভয় পেলাম। আপনি নিশ্চয় পশুসম্পদ মন্ত্রনালয়ে চাকরী করেন। না না বিচার আচারে নিবেন না।
আপনার কুত্তা, বিলাই মাছ পাখিপ্রেম শুনে আপনাকেও আমার শ্বশুরকুলের আত্মীয় মনে হচ্ছে।
আপনি কু্ত্তা, বিলাই , বাঘ ভাল্লুক যা খুশি নিয়ে আসুন আমাকে আর হুমকী দিয়েন না ভাই। আপনার পশুপ্রেম দীর্ঘজীবি হোক।

১৩| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার পোস্ট মনে কারায়ে দিল আমার বাচ্চাদের আবদার .।
মাছ, পাখি, রাখা যায় কিন্তু বাকি গুলো ফ্ল্যাট বাড়িতে পসিবল না বলে দিছি .।

লেখা অনেক মজা করে লিখেছেন :)

১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:০৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা। আমাদের ফ্লাট বাড়ি না তাই এইসব পোষ্যদের আবাসস্থল। অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:১০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আপু কুকুরকে আম ভয় পাই। ছোট থাকতে একবার কামড়ে ধরেছিল। ধরেছিল কিন্তু ছাড়তে ভুলে গেছিল। :(

১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কি সর্বনাশ! তারপর কি ইনজেকশন নিতে হয়েছিলো? সাধারণত পাগলা কুকুর ছাড়া কামড়ায়না বলে শুনেছি।

১৫| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

এন জে শাওন বলেছেন: আপনাকে সাহসিনী হতে হবে, কারন দুইদিন পর বাঘ বা সিংহ আনলে কি করবেন?

১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আরে একজন বলছেন সাপ আপনি বলছেন বাঘ সিংহ। এ দেখছি মহা বিপদ। আসলেও কিছুই বলা যায়না কোনদিন দেখা যাবেন উনারা বাঘ সিংহ নিয়েই হাজির হয়েছেন।

১৬| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২২

এস কাজী বলেছেন: আমি নিশ্চিত আপনি এখন অনেক সাহসী। লেখা সবসময়ের মত ভাল হয়েছে।

১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা তা বটে। কিছুটা তো সাহসী হতেই হয়েছে। ধন্যবাদ ও শুভকামনা এস কাজী।

১৭| ১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার লেখার ধরণটা ভাল লেগেছে। খুব সাধারণ কথা, কিন্তু খুব মজা করে উপস্থাপন করেছেন:
//এমনকি একদিন আমার শ্বাশুড়ীর এক বান্ধবী এলো পিজ্জা হাটের এক বাক্স পিজা নিয়ে। সেখানে ৬ টুকরা ছিলো । আমরা পাঁচজন মানুষ পাঁচটুকরা আরেক টুকরা নাকি রুমেল মানে আমার দেবরজীর সাধের ডগবাবাজীর জন্য! আমার চোখ আর একটু হলে শুধু আকাশে না মনে হয় স্বর্গেই উঠে যেত।এমনকি একদিন আমার শ্বাশুড়ীর এক বান্ধবী এলো পিজ্জা হাটের এক বাক্স পিজা নিয়ে। সেখানে ৬ টুকরা ছিলো । আমরা পাঁচজন মানুষ পাঁচটুকরা আরেক টুকরা নাকি রুমেল মানে আমার দেবরজীর সাধের ডগবাবাজীর জন্য! আমার চোখ আর একটু হলে শুধু আকাশে না মনে হয় স্বর্গেই উঠে যেত।//

পশু-পাখীদের আরও কথা জানার অপেক্ষায় রইলাম।

১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ শামছুল ইসলাম। ভালো থাকবেন।

১৮| ০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ২:২২

একলা ফড়িং বলেছেন: আমি তো আপনার শ্বশুরবাড়ির প্রেমে পড়ে গেলাম!!!! আমার তো এমনটাই দরকার!! ইয়ে! আপনার দেবরের সিটটা কি খালি আছে? :!> :#>


:P :P


ভয় লাগলেও আস্তে আস্তে সেটা দূর করে ফেলে ওদের কাছে যেতে শুরু করুন, দেখবেন অনেক ভালো লাগবে! আমার এখন শুধু একটা বিল্লি আছে, তবে বিভিন্ন সময়ে মাছ, পায়রা আর খরগোশও ছিল!

০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা আমার দেবরের সিটটা খালি নেই বটে তবে আপনি চাইলে দ্বিতীয়ার পদের জন্য চেষ্টা করে দেখতে পারি! তিনার আবার অলরেডি তিনি আছেন কিনা।

১৯| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

জেন রসি বলেছেন: ছোটবেলায় একবার কুকুরের হামলার মুখে পড়েছিলাম।

তারপর থেকে একটু ভয়েই থাকি।

১৬ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কুকুর আমারও খুব ভয় লাগে। কিন্তু কি আর করা? পড়েছি কুকুরের বাড়িতে, বাস করতে হবেও একই সাথে।

২০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা, দারুণ পশুপ্রেমি ফ্যামিলি আপনার!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ শঙ্কু।

২১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৩

এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
শুভ কামনা রইল।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সাবির।

২২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: মানিয়ে নিতে চেষ্টা করুন । ভাল লাগবে। পশু পাখির সাথে সময় কাটানো বর্তমান সময়ের কোন কোন মানুষের চেয়ে সময় কাটানোর চেয়ে ভাল। লক্ষ করলে দেখতে পাবেন পশু পাখিদের থেকে এমন আচরণও প্রকাশ পায় যা মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়ে থাকে। আবশ্য যদি বিবেকবান হয়।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: মানিয়ে নিয়েছি এমনকি আমিও ওদের সঙ্গী হয়ে পড়েছি। ধন্যবাদ অজস্র।

২৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ভাল লাগলো।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ খুরশীদভাই।

২৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০০

লীলা চক্রব্ত্তী বলেছেন: আমি ঠিক পশুপ্রেমী নয়, তবে আমাদের বাড়ীতে গৃহ পালিত অনেক পশু ছিল। যেমন গরু, পায়রা কুকুর, ছাগল। হা্‌স আর নানান রকমের অনেক রঙীন রঙীন পাখী। এদের ভালবেসে এদের মাঝে আমরা খুব- ই আনন্দে মানুষ হয়েছি। আজ আপনার লেখা আমায় আবার সেদিনে নিয়ে গেল। ভালো থাকবেন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ লীলা আপনাকে। আমাদের ছোটবেলাতেও এসব ছিলো তবে শ্বশুরবাড়ির এসব পশুপ্রীতির অতিরিক্ত আদিখ্যেতা প্রথম প্রথম খানিক বিস্মিত করলেও এখন তা মানিয়েই গেছে।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো। কুকুরের সাথে মানুষের সম্পর্কটা কিন্তু বহু পুরনো। এটা নিয়ে অনলাইনে চমৎকার কিছু লেখা পাবেন। আমাদের ঘ্রাণ ও শ্রবণ শক্তি খুব সাধারণ মানের হবার পেছনেও এই কুকুরই দায়ী (মানে এই বন্ধনের কারনেই উক্ত শক্তিগুলো উপযোগিতা হারিয়েছে)। এই ব্যাপারটা আমাকে আলোড়িত করেছিলো ভীষণ। যদিও ব্যক্তিজীবনে কুকুর বিড়াল দুটোকেই এড়িয়ে চলি। আমার প্রিয় হচ্ছে, এক/দুই দিন বয়সী হাঁস/ মুরগির ছানা......... :)

শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন :)

১৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়। হাঁস মুরগী ছানাও আমার প্রিয়। পাখির মাঝে কবুতর।অসংখ্য ধন্যবাদ পুরান লেখা পড়বার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.