নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাসফড়িং

আমি ময়ূরাক্ষী

তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে । যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে । যদি থাকি কাছাকাছি, দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি– তবু মনে রেখ

আমি ময়ূরাক্ষী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসব পরবর্তীকালীন বিষন্নতা বা ‘বেবি ব্লু’

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১


এলো আদরের সন্তান। বাড়ির বয়োজৈষ্ঠ গুরুজন হতে শুরু করে একেবারে শিশুটি পর্যন্ত পরম আনন্দিত সে নবজাতকের স্বর্গীয় হাসিটি দেখে। মায়ের কাছে সে তো সাত রাজার ধন এক মানিক। তার চিন্তা-ভাবনা, কাজ-কর্ম, চলাফেরার প্রতিটি মুহুর্তের সাথেই জড়িয়ে আছে একটি শিশু। তাকে ছাড়া যেন মায়ের জগৎশূন্য। তবুও কিসের এক আকুল বিষন্নতায় কেঁপে ওঠে তার মন। অকারণে কান্না আসে। হু হু বুক ভেঙ্গে যায়। অপ্রতিরোধ্য সে কান্নার আবেগ সামলাতে পারেনা সে। দরজা বন্ধ করে একাকী কাঁদে, কখনও যে কারো সামনেই দুচোখ বেয়ে নেমে আসে কান্নার ঢল। চারিদিকে এত মানুষ তবুও কিসের এ নিসঙ্গতা, কষ্টবোধ নিজেই তার হদিস পায়না খুঁজে। পরিবারের লোকজনও বিস্মিত হন! কি হয়েছে তার কেউ বুঝতে পারেনা?

ঠিক এমনি বিষন্নতায় আক্রান্ত হন কিছু মায়েরা প্রসব পরবর্তীকালীন সময়ে। কিছুদিন আগে এক মাকে নিয়ে একটি স্টিকি পোস্ট ছিলো সামুর পাতায় যেখানে এক মা তার প্রিয় পাঁচ সন্তানকে নিজ হাতে খুন করেছেন। একমাত্র তার স্বামী ছাড়া প্রথমে তিনি কারো স্বীকৃতি পাননি যে তিনি মানষিকভাবে অসুস্থ্য। এ ব্যাপারে বা এসব মানষিক বৈকল্য বা গর্ভকালীন এবং প্রসব পরবর্তীকালীন মানষিক সমস্যাগুলি নিয়ে তাই পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।

দেখা যাক চিকিৎসা বিজ্ঞান এই বিষন্নতা সম্পর্কে কি বলে?সন্তান প্রসবের দিন থেকে ১ বছরের মধ্যে বিষন্নতায় আক্রান্ত হলে তাকে প্রসব পরবর্তী বিষন্নতা বলা হয় ৷ প্রসব পরবর্তী বিষন্নতার কারণ হিসাবে গবেষকগণ প্রধানত মেয়েদের হরমোনের তারতম্যের কথা বিবেচনা করেন৷
গর্ভাবস্থায় এবং প্রসব পরবর্তী সময়ে ঠিক কতজন মহিলা বিষন্নতায় ভোগেন তা আমাদের দেশে জানা না গেলেও গবেষকরা মনে করেন এই গর্ভকালীণ এবং প্রসব পরবর্তী বিষন্নতা একটি অন্যতম প্রধান শারীরিক জটিলতার কারণ হিসেবে কাজ করে কেননা এই সময় স্বাভাবিকভাবেই মহিলাদের ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা, মানসিক বিক্ষিপ্ততা এবং মেজাজের তারতম্য দেখা যায় যেটা বিষন্নতাকে চিহ্নিত করতে আড়াল করতে পারে৷

গর্ভকালীন সময়ে যেসব কারণে বিষন্নতা হতে পারে তা হলোঃ
১। অতীতে মানসিক বিষন্নতার ইতিহাস থাকলে
২। পরিবারে আর কারো মানসিক রোগ এর ইতিহাস থাকলে
৩। পরিবার, বন্ধুমহল থেকে সহযোগিতা না থাকলে
৪। গর্ভের বাচ্চা সর্ম্পকে উদ্বিগ্নতা
৫। পূর্ববর্তী গর্ভসঞ্চারে কোন জটিলতা থাকলে
৬। বিবাহিত জীবনে কোন সমস্যা থাকলে আর্থিক সমস্যা থাকলে
৭। মায়ের অল্প বয়স

উপরে উল্লেখিত স্টিকি পোস্টটি ছাড়াও বর্তমানে ব্লগার মানবীর আপার যে পোস্টটি স্টিকি রয়েছে তাতে কমেন্টের ঘরে দেখলাম শ্রদ্ধেয় জানা আপা ও শ্রদ্ধেয় মানবী আপার মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য । সেখানে জানা আপা উল্লেখ করেছেন যে, প্রসব পরবর্তীকালীন মন খারাপে আক্রাক্ত হয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনাটি জেনে মনে পড়ে গেলো নিজে অভিজ্ঞতাটিও।
হঠাৎ সন্ধ্যাবেলায় ভেতরে এক হাহাকার। হুহু ধুধু অনুভুতি। অবিরল ধারায় বুক ফেটে কান্না আসা। আমার আচরণে বিব্রত সবাই। কিন্তু কি হয়েছে আমি তো নিজেও জানিনা। সে সময় আমেরিকা প্রবাসী এক খালা পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক উনি ফোনে জানালেন, প্রসব পরবর্তীকালীন এই বিষন্নতার কথা। নতুবা বাড়ির গুরুজনেরা এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হিসেবে ধরে নিয়ে আমলে নিচ্ছিলেন না।

এরপর এ ব্যাপারে সবাই সচেতন হলেন এবং আমি নিজেও ইন্টারনেট ও প্রসবকালীন এ সমস্যা সম্পর্কে পড়ে নিজের অবস্থার কারণ জেনেছি। প্রকৃতপক্ষে বর্তমান আধুনিক সমাজে প্রতিটা বাড়িতে প্রতিটা মানুষের এসব ব্যাপার পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। যাতে শিশু জন্মদানের ক্রান্তিলগ্নের সময়টুকু শুধু নয় বরং পরবর্তী এই সময়গুলোতেও পরিবারের সদস্যরা মায়ের পাশে দাঁড়াতে পারেন ও সহযোগীতার হাত বাড়াতে পারেন।

গর্ভকালীন সময় মেয়েদের হরমোন ইষ্ট্রোজেন, প্রজেসটারোন উচ্চমাত্রায় থাকে, সন্তান প্রসবের পর ২৪ ঘণ্টায় এই ইষ্ট্রোজেন, প্রজেসটোরেন হঠাৎ করে কমে যায় এবং আগের অবস্থায় ফিরে যায়, এই দ্রুত হরমোনের পরিমাণ পরিবর্তীত হওয়ার জন্য বিষন্নতা হয় বলে মনে করা হয় কেননা মহিলাদের মাসিক ঋতুচক্রের সময় ও হরমোনের পরিমাণের সামান্য তারতম্যের কারণে মহিলাদের মেজাজের পরিবর্তন হয়৷মাঝে মাঝে থাইরয়েড হরমোন ও প্রসব পরবর্তী সময়ে কমে যায় যেটা বিষন্নতার লক্ষণসমূহ যেমন খিটখিটে মেজাজ, দুর্বলতা, মনোযোগহীনতা, ঘুমের সমস্যা এবং ওজন বেড়ে যাওয়া৷ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এই হরমোনের তারতম্য বোঝা যায়৷ সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শে থাইরয়েড হরমোন নেয়া যেতে পারে৷


আরো যেসব কারণে প্রসব পরবর্তী বিষন্নতা হতে পারে
*প্রসবের পর ক্লান্তি, ঘুমের ব্যাঘাত এবং বিশ্রামহীনতা ।
*নবজাতককে সঙ্গে নিয়ে সম্পূর্ণ একটা নতুন পরিবেশে নবজাতকের যত্ন নেয়া এবং ঠিকমতো নবজাতককে যত্ন করা সর্ম্পকে সন্দেহ ।
*বাচ্চার কারণে ঘরে বাইরের দৈনন্দিন কাজের সময়সূচির পরিবর্তনের কারণে জটিলতা।
*দীর্ঘক্ষণ ঘরে অবস্থান করে বাচ্চাকে সময় দিতে গিয়ে স্বামীকে বা পরিবারের জন্য কাউকে সময় দিতে না পারা।
*নিজস্ব পরিচয় হারানোর ভয় (প্রসব পূর্ববর্তী পরিচয়।
*বাচ্চাকে যত্ন করতে গিয়ে ব্যথা দেয়ার ভয় ।

এ সমস্যা মানে নারীদের মন খারাপের অনুভূতির ঘটনা পৃথিবীর কোনো বিরল ঘটনা নয়। বরং গবেষকরা বলেন, প্রসবের চার থেকে ছয় সপ্তাহের ভেতর প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রসূতি আবেগজনিত সমস্যার মুখোমুখি হন। নতুন মা অস্থিরতা বোধ করেন, অকারণেই মন খারাপ হয়ে যায়, বিহ্বলতা জাগে, সবকিছু যেন বিশৃঙ্খল-এলোমেলো মনে হয়, কান্না পায় প্রায়শই, আবার হঠাৎ করেই খানিকটা সময়ের জন্য উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে, প্রসবের তিন থেকে পাঁচ দিনের ভেতরেই এসব লক্ষণ দেখা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রসব ও প্রসব-পরবর্তী সময়ে নারীদেহে হরমোনের তারতম্য, প্রসবজনিত মানসিক চাপ, মাতৃত্বের দায়িত্ববোধের উপলব্ধি সব মিলিয়েই নারীর এই বিশেষ মানসিক অবস্থাটির সৃষ্টি হতে পারে। স্বস্তির সংবাদ হচ্ছে, এর অধিকাংশই হয়ে থাকে ক্ষণস্থায়ী। কয়েক দিন থেকে সপ্তাহ পর্যন্ত এই লক্ষণগুলো স্থায়ী হতে পারে। প্রসব-পরবর্তী সাময়িক এই মানসিক অবস্থাটির চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একটি পোষাকী নাম আছে- ‘বেবি ব্লু’। এ সময় নতুন মায়ের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত সমর্থন, সহমর্মিতা আর শিক্ষা। পরিবারের, বিশেষ করে স্বামীর বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে এ সময় স্ত্রীর পাশে থাকার, তাকে সাহস জোগানোর। নতুন মায়েরও উচিত মনের এই দুঃখবোধ চাপা না রেখে স্বামী বা প্রিয় কারো সঙ্গে তা শেয়ার করা, সহযোগিতা কামনা করা।

উপসর্গগুলো যদি থেকে যায় দুসপ্তাহের বেশি, তাহলে প্রয়োজন পড়তে পারে বিশেষজ্ঞ সহায়তার। নারী আক্রান্ত হতে পারেন ‘বিষণ্নতা’ নামের মানসিক অসুখে।গবেষকরা বলেন, ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রসূতি আক্রান্ত হন ‘পোস্ট-পারটাম ডিপ্রেশন’ বা প্রসব-পরবর্তী বিষন্নতায়। ‘বেবি ব্লু’র মতো ক্ষণস্থায়ী হয় না এ রোগ, উপসর্গগুলোও হয় তীব্রতর। প্রায় সার্বক্ষণিক মন খারাপ ভাব, হতাশা, অতিরিক্ত উদ্বেগ, অনিদ্রায় ভোগেন নতুন মা। দৈনন্দিন কাজকর্মে উৎসাহ হারান, মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন না কোনো কিছুতে। এমনকি নিজের শখের বা পছন্দের কাজগুলো করতেও আর ভালো লাগে না। অল্প পরিশ্রম বা বিনা পরিশ্রমেই ক্লান্তি বোধ করেন। খাদ্যাভ্যাসে আসে পরিবর্তন। বেশিরভাগেরই খাওয়ার রুচি নষ্ট হয়ে যায়। স্বল্পাহার বা অনাহারে থাকার ফলে কিছুদিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে ওজন কমে যায়। কেউ কেউ আবার বেশি বেশি খেতে শুরু করেন। ফলে তাদের ওজন বেড়ে যেতে পারে অস্বাভাবিক হারে। অনেকেই অকারণে অপরাধবোধে ভোগেন, বিগত দিনের তুচ্ছ-প্রায় ঘটনাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার ফলে নিজেকে দোষী ভাবতে শুরু করেন। সবার মাঝে থেকেও নারী একাকীত্মে ভোগেন, নিজেকে অসহায় লাগে, ধীরে ধীরে পরিবারের সকলের কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে খোলসবন্দী হয়ে পড়েন। মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় সামাজিক, পারিবারিক, ব্যক্তিজীবন। নারী তার নিজের জীবন সম্পর্কেই এক সময় উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন, হয়ে ওঠেন আত্মহত্যাপ্রবণ।
যাদের বিষন্নতায় আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব ইতিহাস আছে অথবা যাদের পরিবারে কারো বিষন্নতা আছে বা ছিল, তাদের ক্ষেত্রে প্রসব-পরবর্তী বিষন্নতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। যথাযথ চিকিৎসা না নিলে মাস থেকে বছরব্যাপী এ রোগ স্থায়ী হতে পারে। এদের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে গুরুতর বিষন্নতায় পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিষন্নতা আক্রান্ত নারী তার সন্তানের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। মায়ের বিষন্নতার কারণে সন্তান বঞ্চিত হয় উপযুক্ত মাতৃস্নেহ ও সেবা থেকে। বিষন্ন নারী যেমন নিজের যত্ন নেন না, তেমনি সন্তানের যত্নেও উদাসীন থাকতে পারেন।
তাই সন্তান-জন্মের আনন্দ উৎসবের মাঝে লক্ষ রাখুন সদ্য মা হওয়া নারীটির মানসিক অবস্থার দিকেও। উপযুক্ত সমর্থন ও সহযোগিতা দিন নতুন মাকে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

প্রসব পরবর্তী ৬-৮ সপ্তাহ সময় একজন মায়ের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ের সঠিক পরিচর্যা একদিকে মাকে যেমন গর্ভ ও প্রসব সংক্রান্ত বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তনের পূর্বের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সাহায্য করে, তেমনি মাকে এ সময়ের বিভিন্ন জটিলতা থেকে রক্ষা করে। সঠিক ভাবে বাচ্চার যত্ন নিতে ও বুকের দুধ খাওয়াতে সাহায্য করে। কিন্তু অজ্ঞতা অথবা অনিহার কারণে আমাদের দেশে মায়েদের প্রসব পরবর্তী সেবার জন্য চিকিত্সকের পরামর্শ নেবার হার অনেক কম।

প্রসব পরবর্তী মায়ের পরিচর্যার পদক্ষেপসমূহ:
মায়ের বিশ্বাম, ঘুম ও চলাফেরা স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে প্রসবকালিন ধকল কেটে ওঠার পর মায়ের ৮-১০ ঘন্টা সম্পূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন। এরপর থেকে মাকে স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু করতে হবে। আজকাল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলাফেরা শুরু করতে বলেন ডাক্তারগণ। কারণ এর উপকারিতা অনেক। যেমন: স্বাভাবিক চলাফেরা মাকে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে, প্রস্রাব-পায়খানার জটিলতা থেকে মুক্ত করে, জরায়ুর ভেতরে জমে থাকা রক্ত বের হয়ে যেতে সাহায্য করে এবং রক্ত জমাট বাধা রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে। তবে স্বাভাবিক চলাফেরা মানে এই নয় যে, মা তার দৈনন্দিন সাংসারিক অথবা চাকুরীস্থলের কাজকর্ম শুরু করবে। প্রসব পরবর্তী ৬-৮ সপ্তাহ সকল পরিশ্রমের এবং ভারী কাজ থেকে মাকে বিরত থাকতে হবে। কারণ মায়ের এসময় মানসিক এবং শারীরিক বিশ্রাম প্রয়োজন। দুপুরে খাবার পর কমপক্ষে ২ ঘন্টা বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিতে হবে। প্রতিদিন বিশ্রামের সময় কিছুক্ষণ উপুড় হয়ে শোয়া ভাল, যা জরায়ুর অবস্থান স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে। শারীরিক ও মানসিক বিশ্রামের ফলে মা নিজে সুস্থ থেকে বাচ্চাকে সঠিকভাবে যত্ন নিতে ও বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন।

মায়ের খাবার:
প্রসব পরবর্তীতে মায়ের স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত ৫০০ ক্যালরি খাবার বেশি খাওয়া দরকার। এই অতিরিক্ত ক্যালরি বুকের দুধ তৈরীর জন্য প্রয়োজন হয়। তাই এ সময় মাকে সঠিকমাত্রায় সুষম খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর শাক সবজি ও ফলমূল খেতে হবে। এ সময় মায়ের দেহে পানির প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায় ও ঘন ঘন পিপাসা পায়। মাকে সব সময় পিপাসা পেলেই প্রচুর পানি পান করতে হবে। পানি পানের উপকারিতা অনেক। যেমন: এই পানি বুকের দুধের মাধ্যমে বাচ্চার পানির প্রয়োজনীয়তা মেটায়। বাচ্চাকে আলাদাকরে পানি খাওয়ানোর প্রয়োজন হয় না। পানি মায়ের শরীরের বিভিন্ন পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে, প্রস্রাবের প্রদাহ, কোষ্টকাঠিন্য এবং রক্ত জমাট বাধা রোগ হবার ঝুঁকি কমায়। সুষম খাবার ছাড়াও মাকে এসময় চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রণ, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন খেতে হবে।

এ ছাড়াও প্রসব পরবর্তীকালীন মেডিকেল চেক আপ প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, মা ও বাচ্চার সুস্থতার জন্য সকল মায়ের প্রয়োজন প্রসব পরবর্তী সেবা। চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উচিত মাকে এই সেবা নেবার ব্যাপারে উদ্ধুদ্ধ করা এবং পরিবারের সহযোগিতা তো অবশ্য প্রয়োজন!
শহর কিংবা গ্রাম অথবা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যেন প্রতিটা মা ভালো থাকেন, আনন্দে থাকেন এ ব্যাপারে আমাদের সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
পৃথিবীর সকল মায়ের জন্য ভালোবাসা।


তথ্যসূত্র
http://mom.windmillinfotech.com/?page=menu&content=8593
http://www.helpguide.org/articles/depression/postpartum-depression-and-the-baby-blues.htm
The Baby Care Book by Jeremy Friedman

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। আশা করি, পোস্টটি সকলের উপকারে আসবে।
এমন একটি পোস্ট দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সহ ভালো লাগা।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ সুমন কর। শুভকামনা।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পৃথিবীর সকল মায়ের জন্য ভালোবাসা।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

লেখোয়াড়. বলেছেন:
খুব ভাল পোস্ট।
সব মায়েদের জন্য শুভকামনা।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ লেখোয়াড়।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:



গ্রেট পোষ্ট। আমার শীর্ষ'র মা জন্য ফেবু তে শেয়ার দিচ্ছি।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুরভাই। আশা করছি শীর্ষ এবং শ্রেষ্ঠ'র মা, আমাদের ভাবী এমন কোনো সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন না।
আপনারা ভালো থাকেন এই শুভকামনা রইলো।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: উপরে উল্লেখিত স্টিকি পোস্টটি ছাড়াও বর্তমানে ব্লগার মানবীর আপার যে পোস্টটি স্টিকি রয়েছে তাতে কমেন্টের ঘরে দেখলাম শ্রদ্ধেয় জানা আপা ও শ্রদ্ধেয় মানবী আপার মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য ।

-আপনার পোস্টটি পড়ে আমি এই কথাটিই বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই দেখলাম আপনি আপনার পোস্টের মধ্যে সেটা উল্লেখ করে দিয়েছেন। আমার মনে হয় আসলে মানবী আপার পোস্টটা যতটাই গুরুর্ত্বপূর্ন ঐ দুটো কমেন্টও ঠিক ততটাই গুরুর্ত্বপূর্ন।

চমৎকার একটা পোস্ট করেছেন। অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পারলাম! সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, এবং শুভকামনা!

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ সাহসী। নারী পুরুষ নির্বিশেষে এ সকল বিষয়ে সঠিক জ্ঞান থাকলে মায়েদের জন্য তা মঙ্গলজনক।

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

আমার মনে হয় মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় এই ব্যাপারটি যোগ করা দরকার। গর্ভবতী মা ক্লিনিকে গেলে ডাক্তার মা-বাবা উভয়কে এই ব্যাপারে জানাবেন, সচেতন করবেন। তাহলে খুব সহজ হবে মনে হয়।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: এই মূল্যবান মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ আপনাকে নীল দর্পন।

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

জেন রসি বলেছেন: চমৎকার এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট।

পৃথিবীর সকল মা এবং শিশু ভালো থাকুক।

সবার জন্য শুভকামনা।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা জেন রসি।

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: খুব উপকারী একটা । ভাল লেগেছে অনেক ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন ।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:১৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বেবি ব্লু কমন একটি সমস্যা। প্রসব ও মাতৃত্বের স্বাভাবিক অংশও বলা যেতে পারে। তবে পোস্ট-পারটাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্ণতা অত্যন্ত গুরুতর। পোস্টটিতে যথেষ্ট তথ্য আছে যা থেকে সচেতন হবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা যায়। মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্যাটেলাইট ক্লিনিক বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলো বর্তমানে প্রো-একটিভ ইতিবাচক কাজ হচ্ছে; যদিও জনবল ও কাঠামোগত দুর্বলতাই কাটাতে আরও প্রচুর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এছাড়াও আমাদের কে বের হয়ে আসতে হবে রক্ষণশীলতা/গোঁড়ামী জাতীয় মনোভাব থেকে। সচেতনতা বৃদ্বি , সু-চিকিৎস্যা সুনিশ্চিত হোক। প্রতিটা মা ভালো থাকুন। লিখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, আমি ময়ূরাক্ষী।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু। বেবি ব্লু এর শিকার তার মানে অনেক মা হয়ে থাকেন। তবে পোস্ট-পারটাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্ণতা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। আজকাল এ ব্যাপারে কাজ হচ্ছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো।ভালো থাকবেন।

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: কেন এমন পোস্ট মিস করেছি বুঝলাম না, যেখানে কদিন পরই আমার স্ত্রী জননী হচ্ছে আর আমি পিতা। খুব কাজের পোস্ট আমার জন্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ ময়ুরাক্ষী।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনি আবার পিতা! সত্যিই হাসি পেলো এবার।আপনার রাগ করা পোস্ট দেখে ভেবেছিলাম আপনি বাড়ির কনিষ্ঠ এবং অনেক আদরের আর তাই অভিমানটাও বেশি।
আপনার স্ত্রীর জন্য শুভকামনা। আর আমার ধারণা প্রসব পরবর্তীকালীন মায়ের যত্ন বা সংসারের অন্যান্য সদস্যদের কেয়ার একটি জরুরী বিষয়। পিতার দায়িত্বের পাশাপাশি স্বামী হিসাবে দায়িত্বটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনাদের জন্য শুভকামনা। আর আমার এ পোস্ট টি আপনার চোখে এড়িয়ে গেছে কারণ এটিও নির্বাচিত পাতায় নেই। তাই আপনার মত যারা শুধু নির্বাচিত পাতা পড়েন তাদের চোখ এড়িয়ে যাবারই কথা। কিন্তু আমি রাগ করিনি আপনার মত। মেয়ে তো , এমন অনেক কিছুই চোখ বুজে যেতে হয়।

ভালো থাকুন অগ্নিসারথি।

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

জানা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ন বিষয়টি নিয়ে লিখে সচেতনতা তৈরীর প্রচেষ্টার জন্য ময়ূরাক্ষী।

মা হতে যাওয়ার দীর্ঘ সময়টি কত জটিল ও কষ্টকর তা প্রতিটি মা মাত্রই জানেন। অদ্ভুত বিষয় হলো, এক অসাধারণ ভাল লাগা আর অমূল্য প্রাপ্তির প্রতীক্ষায় এই কষ্টগুলো প্রতিটি মা'ই বলা যায় উপভোগ করেন এবং ছোট্ট সোনামণিটাকে কোলে পেয়ে সব মা'ই সেই কষ্টগুলোর তীব্রতা ভুলে যান। পৃথিবীতে 'মা' এর চেয়ে সহনশীল, আপন এবং নিরাপদ আশ্রয় আর নেই। সৃষ্টিকর্তার সবচে' বড় উপহার 'মা'। তাই 'মা' এর প্রতি বিশেষ নজর রাখা বা সময় বিশেষে বাড়তি সেবা-যত্ন করা আমাদের সবার 'দায়িত্বশীলতা'রই অংশ।

আমাদের মা-শ্বাশুড়িরা সেই বিশেষ কষ্টের সময়টি পার করেছেন বলেইতো আমরাও 'মা' হওয়ার মত সৌভাগ্য অর্জন করেছি। আমাদের পরিবারে এবং পরিবারের বাইরেও (যতখানি আওতায় আনা সম্ভব) যঁারা মা হচ্ছেন/হতে যাচ্ছেন তাদের দিকে একটু বিশেষ নজর দেয়া, সহমর্মিতা, ভালবাসা আর একটু বাড়তি যত্ন আমাদের কর্তব্য। এই মানবিক চর্চায় নিজে আন্তরিক হলেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা কঠিন নয়। নারী-পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই এই চর্চার বিষয়টি প্রযোজ্য। নিজের পরিবার, শ্বশুরবাড়ির পরিবার, অত্নীয়-স্বজন প্রতিবেশী সবার ক্ষেত্রেই আমরা যদি একটু সহমর্মিতা, সচেতনতা আর ভালবাসা পোষণ করি তবে, 'মা' এবং শিশুর প্রাথমিকভাবে মানিষিক ও শরীরিক সুস্থতা নিশ্চিত সম্ভব। গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টিতে সচেতনতার লক্ষ্যে যাঁরা কাজ করেন/করে যাচ্ছেন তাঁদের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ আমার লেখার বিষয়বস্তুকে এতখানি মূল্যবান মনে করবার জন্য। আসলে বেবি ব্লু বা পোস্ট-পারটাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্ণতা নিয়ে তেমন কোনো ধারণা আমাদের দেশের মানুষগুলোর এখনও কম বলেই মনে হয়। একজন প্রসুতী মায়ের এসব সমস্যাগুলোকে খুব সাধারন হিসাবে এড়িয়ে যাওয়া হয় । এসব সমস্যা নিয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সেলর
দ্বারস্থ হতেও তেমন শোনা যায়না কখনও। আমাদের দেশে একটা বড় সমস্যা শাররিক অসুখের মত মানষিক অসুখও যে হতে পারে আমাদের এবং তার জন্য সুষ্ঠ চিকিৎসা প্রয়োজন সেটা অনেকেই আজও মানতে চাননা। মানষিক অসুখ প্রপার কেয়ারিং ও চিকিৎসায় ভালো করে তোলা সম্ভব। কারো কোনো ক্ষনস্থায়ী সমস্যা মানেই পাগল নয় এই ব্যাপারে এখনও আমাদের অজ্ঞতা রয়েছে।
প্রসুতি মায়ের এই ব্যাপারগুলো নিয়ে অবশ্যই জনসচেতনতার প্রয়োজন। একজন ভালো মা যেমন একটি দেশের একটি ভালো জাতি উপহার দিতে পারেন, একজন মায়ের প্রতিও আমাদের পরিবারের সকল সদস্যের দায়িত্ব রয়েছে।
যুগে যুগে নারী সর্বংসহা ও আমাদের মায়েরা অনেক কষ্ট সহ্য করে পরিবারের সবাইকে কমফোর্ট দেবার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পক্ষান্তরে তাদের আরাম আয়েশ সুবিধা অসুবিধার কথা অন্যেরা কমই ভেবেছে।
একজন মায়ের প্রতি সঠিক যত্ন নেবার ব্যাপারে পরিবারের ও দেশের প্রতিটি মানুষের সচেতনতা জরুরী প্রয়োজন।
আমার পূর্ববর্তী পোস্টটি পড়ে মানবী আপা "সদ্যজাত শিশু ও মায়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কিছু কথা..." এ পোস্টটি লিখতে উদ্ভুত হয়েছিলেন বলে বলেছেন।আর সে পোস্টে আপনার আর উনার কথপোকথন জেনেই মনে হলো আমার উচিৎ এ বিষয়েও মানে এই বেবি ব্লু বা পোস্ট-পারটাম ডিপ্রেশন বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্ণতা নিয়ে একটু লেখা। যা পড়ে যদি কোনো মায়ের এতটুকুও উপকার হয় সে আমার সৌভাগ্য।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ সহস্রকোটি। ভালো থাকবেন।

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরে-
পোষ্ট শেষ করে মনে হচ্ছে আমি বেবি ব্লু এক্সপার্ট হয়ে গেছি;) হুরররররররে.. :)

@ এ সময় নতুন মায়ের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত সমর্থন, সহমর্মিতা আর শিক্ষা। পরিবারের, বিশেষ করে স্বামীর বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে এ সময় স্ত্রীর পাশে থাকার, তাকে সাহস জোগানোর। নতুন মায়েরও উচিত মনের এই দুঃখবোধ চাপা না রেখে স্বামী বা প্রিয় কারো সঙ্গে তা শেয়ার করা, সহযোগিতা কামনা করা।

এটাই সবচে উত্তম কাজ।

কিন্তু অনেক পরিবার এটা সামান্য বিষয় হিসাবে এড়িয়ে যায়। আরে এসব কিছু না ঠিক হয়ে যাবে বলে পাশ কাটিয়ে যায়! যা আসলে ঠিক নয়।

এসব নিয়ে মিডিয়া ওয়ার্কতো নেই বললেই চলে। আমাদের নাটক সিনেমা কেবলই টিনেজার লুতুপুতু প্রেমে ভরা! জীব ঘনিষ্ট এইরকম বিষয় নিয়ে যে চমৎকার হৃদয় স্পর্শী নাটক হতে পারে তাদের মনে হয় ধারনায়ও নেই।

একন বেবি ব্লু ট্রিটমেন্ট প্রাকটিস কেমনে করি?!!! :( আবার ট্রাই করতে হবে যে তাহলে :P =p~ =p~ =p~

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা আরেকটা ট্রাই করেই ফেলুন ভৃগু। তারপর আমরা বেশ একখানা নাটক বা গল্পও পাবো তারপর।

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আবু শাকিল বলেছেন: আপু উপরে ছবিটা কার ??

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: জানিনা ভাই। নেটে মায়ের ছবি খুঁজতে গিয়ে পেলাম।

১৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫২

মানবী বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! আপনার নিজের এমন অবস্থার মাঝে এই পরিশ্রম সাধ্য লেখার জন্য অনেক অনরক সাধুবাদ।
আমাদের দেশের মেয়েদের আর মায়েদের শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভাববা খুব বেশি মানুষ নেই সেখানে তাঁদের মানসিক সমস্যা নিয়ে বিচলিত হওয়া তো অনেক বড় ব্যাপার। সচেতন পুরুষরা একটু চেষ্টা করলেই এদৃশ্যপট বদলে দিতে পারেন।
তাঁরা নিজের স্ত্রীদের প্রতি সহমর্মিতার সাথে সাথে পরিচিত বন্ধু বান্ধবদের সচেতন করে তাঁদের স্ত্রী বোনদের সাহায্য করতে পারেন।

বেবী ব্লুর মতো একটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপু।
আপনি ও আপনার ছোট্ট রাজকন্যা অনেক অনেক ভালো থাকুন।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ আপা। শুভকামনা জানবেন।

১৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি এটার প্রত্যক্ষদর্শী। আমার স্ত্রীর হয়েছিলো। বড় কষ্টের সময়।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব। বেবি ব্লু ক্ষনস্থায়ী যা প্রায় প্রতিটি মাই জেনে বা জেনে এই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেন। কিন্তু যখন এই ডিপ্রেশনটা দীর্ঘস্থায়ী হয় তখন মারাত্বক আকার ধারণ করে আর তাই পরিবারের সদস্যদেরকে এই ব্যাপারে ধারণা রাখতে হবে।

১৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: খুবই চমৎকার ও দরকারী পোষ্ট।

















ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন নিরন্তর।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ। শুভকামনা জানবেন।

১৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব দরকারী লেখা। পড়তে পড়তে ভাবছিলাম একদম নারীর একান্ত এই সমস্যাগুলো আলোয় আসছে মাত্র এখন কিন্তু এরকম কত সমস্যাই না মেয়েরা যুগ যুগ ধরে নীরবে সয়ে গেছে, যাচ্ছে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হ্যাঁ যুগ যুগ ধরে অজ্ঞতা ও নারীর এসব সমস্যা দুই এরই অবসান হোক।

১৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট।
আমি নিজেও ‘পোস্ট-পারটাম ডিপ্রেশন’ বা প্রসব-পরবর্তী বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়েছিলাম কিন্তু বুঝতেই পারিনি কি কারণে এমন হয়েছিলো। সেই সময়টা খুব কষ্টের আর বুক চিরে কেমন হাহাকার একটা কান্না আসতো, আমার সুইসাইডও করতে ইচ্ছে করতো, নিজের সন্তানের দিকে তাকিয়ে একটা অচেনা একটা অনুভব হতো। আমার তখন মনে হতো আমি বোধ হয় ভালো মা নই, এমন অদ্ভুত সব অনুভব হতো, মনে হতো কাউকে এসব বললে আমাকে পাগল ভাববে।

ভালো থাকবেন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অপর্ণা। বলতে গেলে প্রতিটা মাই এই অবস্থার শিকার হন কিন্তু অজ্ঞতার কারণে সে বুঝতে পারেনা কি হচ্ছে তার ভেতরে। আমার লেখাটি পড়বার জন্য অজস্র ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

আমি মাধবীলতা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট । শুভকামনা সব মায়ের জন্য ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ মাধবীলতা। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.