নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাসফড়িং

আমি ময়ূরাক্ষী

তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে । যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে । যদি থাকি কাছাকাছি, দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি– তবু মনে রেখ

আমি ময়ূরাক্ষী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যদি বন্ধু যাবার চাও ঘাড়ের গামছা থুইয়া যাও রে- বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী গামছাকথন

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৫


যদি বন্ধু যাবার চাও
ঘাড়ের গামছা থুইয়া যাও রে
বন্ধু কাজল ভ্রমরারে
কোন দিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও কয়া যাও রে .....

আমাদের গ্রাম-বাংলার এমন সব লোকসঙ্গীতের মাঝে “গামছা” কথাটির অস্তিত্ব বুঝিয়ে দেয় যে, বাঙ্গালীর কাছে গামছা শুধু প্রয়োজন মেটাবার উপকরণই নয় বরং তা আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি বা এক কথায় বাংলার শ্বাশত রূপের সা্থে কতখানি জড়িয়ে আছে। একজন গাড়িয়ালভাই এর মাথায় বা বাংলার দুরন্ত দামাল রাখাল ছেলের কোমরে বাঁধা গামছা কিংবা লাজুক লাজুক কিষানী বউটির ভাত তরকারী বেঁধে আনা গামছাটি জানান দেয়, গ্রাম বাংলার যে কোনো পেশার যে কোনো মানুষের কাছে এই গামছার কদর কতখানি। উথাল নদীতে বয়ে চলা একখানি বিশাল বজরা বা কোনো শাখা নদীর ছোট্ট একখানি কোষা নৌকার মাঝিকেও আমরা গামছা ছাড়া কল্পনা করতে পারিনা।

গামছার কথা উঠলেই মনে পড়ে রবিঠাকুরের সেই প্রিয় কবিতা,
তীরে তীরে ছেলেমেয়ে নাহিবার কালে
গামছায় জল ভরি গায়ে তারা ঢালে।

কাজেই দেখা যায় গ্রামবাংলার দৃশ্যের সাথে গামছা যেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। শুধু গ্রামেই নয় এখনও শহরেও গামছার বহুল প্রচলন রয়েছে। নরম সুতায় হাতে বোনা গামছার কদর বুঝি বাঙ্গালীর কাছে কখনই ফুরোবার নয়।

গামছা বুনন প্রক্রিয়া-
“গামছা” শব্দটি এসেছে বাংলা শব্দ গা মোছা থেকে। কাজেই এই গামছাকে গা মোছাও বলা হয়। এটি মূলত এক টুকরো কাপড়। গামছা নানা রকম বর্ণীল রঙ্গে বোনা হয়। অধিকাংশ গামছাতেই চেকের ব্যবহার দেখা যায়। গামছা সাধারণত লাল, কমলা, সবুজ ইত্যাদি রঙের হয়। তবে ঠিক কবে থেকে এই গামছার ব্যাবহার শুরু হয়েছিলো তা জানা নেই । ধারনা করা হয় মানুষ যখন থেকে কাপড়ের ব্যাবহার শুরু করেছে প্রায় তখন থেকেই গামছার ব্যবাহার শুরু।
গামছা বোনা হয় তাঁতে আর এই তাঁতও দু রকম। গর্ত করা তাঁত বা পিটলুম, আরেক প্যাডেলে চালিত তাঁত। আরও আছে পাওয়ার লুম। তবে হাতে তাঁত চালিয়ে বানানো গামছাই সবচাইতে জনপ্রিয়।
গামছা মূলত তাঁতশিল্প। তবে শুধু গ্রাম বাংলার তাঁতীরাই নয় বাঙ্গালী মণিপুরি সাঁওতাল, চাকমা, মারমা, গারো ইত্যাদি উপজাঁতি জনগোষ্ঠীর হৃদয় নিংড়ানো কল্পনার রঙ ও মনের মাধুরী দিয়েও হাতে তৈরী হয় এই শিল্পটি। এসবের ভাঁজে ভাঁজে ছড়িয়ে আছে এক একটি জনপদের সহস্র বছরের সঞ্চিত আবেগ, দক্ষতা, স্মৃতি ও ঐতিহ্য । এগুলো কেবলই সুতোর পরে সুতো দিয়ে গাঁথা কোন আটপৌরে শিল্প নয়, যেন পরম মমতা ও ভালবাসার এক একটি স্মারক।
গামছা তৈরীতে লাগে সুতা এবং রঙ। সুতা কিনতে হয় পাউন্ড হিসাবে।ব্যাস অনুযায়ী সুতাকে কাউন্ট হিসাবে বিভিন্ন সংখ্যায় চিহ্নিত করা হয়। তুলা থেকে সাধারনত ৩২ থেকে ১০০ কাউন্টের সুতা তৈরী হয়। কাউন্ট চিহ্নিত হয় জোড় সংখ্যায়, ৩২, ৩৪, ৩৬ এভাবে এবং সাধারনত ৬৪ কাউন্টের সুতা দিয়ে গামছা তৈরী হয়। সুতা থাকে লাছি আকারে। গামছা বোনার আগেই সুতাতে মাড় ও রঙ দেওয়া হয়। রঙ ও মাড় একই পাত্রে গুলে তার ভেতরে সুতা ভিজিয়ে রাখা হয় ছয় থেকে আট ঘন্টা তারপর লম্বা বাঁশে ঝুলিয়ে রোদে শুকানো হয়। রঙ গুলানোর সময় ম্যানথল ব্যাবহার করা হয়।
রঙ পাকা করার জন্য আট থেকে চব্বিশ ঘন্টা মানে বেশী সময় সুতা রঙ্গে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এছাড়াও রঙ্গের সাথে সোডা মিশিয়ে প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা জ্বাল দিতে হয়। তবে সাধারনত গামছায় কাঁচা রঙই ব্যাবহার করা হয় ও মাড় হিসাবে ব্যাবহৃত হয় ভাতের মাড় বা বার্লি।
গামছায় বিভিন্ন রকম চেক ফুটিয়ে তোলা হয় বিভিন্ন রকম সুতা দিয়ে। গামছা বিভিন্ন মাপের হয়। বড় ও ছোট দুইরকম গামছার মাঝে বড় গামছার দৈর্ঘ সাধারনত চার হাত ও প্রস্ত পৌনে ২ হাত হয়। ছোট গামছার দৈর্ঘ ২ হাত ও প্রস্থ পৌনে এক হাত হয়। মাঝারি গামছা বিভিন্ন মাপের হয়।
গামছার দুটি দিক থাকে, টানা এবং পোড়েন। টানা হলো দৈর্ঘ ও পোড়েন হলো প্রস্থ।গামছার টানায় নির্দিষ্ট দৈর্ঘের পোড়েন বোনা শেষ হলে ইঞ্চি দুয়েক আঁচল রাখা হয়।পুরো টানা বোনা শেষ হলে এই আঁচল অংশে কেটে প্রতিটি গামছা আলাদা করা হয়। গামছা জোড়ায় জোড়ায় ভাঁজ দিয়ে পাইকারী বিক্রি করা হয়। এরপর খুচরা ব্যাবসায়ীদের হাত ধরে গামছা পৌছায় বাঙ্গালীর ঘরে।
একটি গামছা তৈরী করতে শ্রমিকের সময় লাগে ৩৫ মিনিট। প্রতিটি গামছা তৈরীর জন্য শ্রমিকের মুজুরী দেয়া হয় ২২ টাকা।দিনে একজন শ্রমিক প্রায় ১০টি গামছা তৈরী করে এবং দিন শেষে একজন শ্রমিক ২০০-২২০ টাকা আয় করে।আর গামছা তৈরী করার পর বিভিন্ন এলাকার হাটে-বাজারে পাইকারী-খুচরা দামে সরবরাহ করা হয়।
আমাদের দেশে তোয়ালের তুলনায় গামছা জনপ্রিয় কেননা এটি ইউরোপীয় ঘরানার তোয়ালের মত মোটা নয়, পাতলা যা এই উপমহাদেশের আদ্র আবহাওয়ার সাথে মানানসই। যান্ত্রিক বুননের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের সমতল ও পাহাড়ের গ্রামীন জনপদ এখনও টিকিয়ে রেখেছে নিজ নিজ ঐতিহ্য-মণ্ডিত বুনন শিল্প। উৎপাদন প্রক্রিয়া আঞ্চলিক ও লোকজ হলেও এসকল গামছা ব্যবহারিক ও শৈল্পিক মানের বিচারে অতুলনীয়।

কিছু অঞ্চলের বিখ্যাত গামছা-
নওগার রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউপির তাঁতিপাড়ার গৃহিণীরা গৃহের কাজকর্মের সাথে সাথে গামছা বুননের শিল্পটি আজও ধরে রেখেছেন।এক একজন দিনে এক থান বা চারটি গামছা বুনতে পারেন। সাধারণত বড় গামছাগুলো ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রয় হয়। অনেক সময় রঙ, নকশা ও গুণগতমানের জন্য গামছার দাম কম বেশিও হয়ে থাকে।
উপজেলার কুবরাতলী গ্রামের গামছা ব্যবসায়ী আজাহার আলী বলেন, মিরাটের তাঁতিদের তৈরি গামছা দেশের ঐতিহ্যবাহী বুনন শিল্পের অন্যতম। কিন্তু সুতার দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এখানকার তাঁত ও তাঁতির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফলে হারানোর পথে এই ঐতিহ্যবাহী বুনন শিল্প।

এছাড়াও বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের প্রবেশদার অন্যতম পোশাক শিল্প নগরী সিরাজগঞ্জ। এই জেলায় ছোট-বড়-মাঝারী কয়েক হাজার তাঁত এবং কুটির শিল্প রয়েছে।এই জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় কয়েক হাজার তাঁত শিল্প রয়েছে এবং এই শিল্পে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। এখানে শ্রমিকেরা নিজ হাতে তাঁতের বস্ত্র সামগ্রী ও গামছা উৎপাদন করে।
ঐতিহ্যবাহী খুলনার ফুলতলার গামছা শিল্পের প্রচুর চাহিদা ছিল। রং ও নিখুঁত বুননের জন্য ফুলতলার গামছার কদর ছিল দেশের বিভিন্ন স্থানে। উপজেলার দামোদর, আলকা ও গাঁড়াখোলা গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতে ছিল তাঁতকল। উৎপাদিত গামছা এলাকার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হত সাতক্ষীরা, যশোর, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায়।
ঝালকাঠি জেলার তাঁত শিল্প বিশেষ করে গামছার সুনাম আছে। ঝালকাঠি শহরের নিকটবর্তী প্রবাহিত বাসন্ডা নদীর পশ্চিম দিকের গ্রামগুলোতে গামছা শিল্পের বিস্তৃতি। ।আনুমানিক দেড় থেকে দুইশত বৎসর ধরে ঝালকাঠি জেলা এবং এ জেলাধীন রাজাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ শিল্পের সুনাম ছিল। সুতা হল এ শিল্পের প্রধান উপকরণ।একসময় ঝালকাঠি শহরের নিকটবর্তী প্রবাহিত বাসন্ডা নদীর পশ্চিম দিকের গ্রামগুলোতে পুরো এলাকা জুড়ে প্রায় ৩৫০/৪০০ তাঁতি পরিবার ছিল।
ঝালকাঠি তাঁতে বোনা গামছা একসময় খ্যাতি অর্জন করেছিল সারাদেশব্যাপী। জাতীয় পর্যায়ের কিংবা বিদেশী কোন বরেণ্য অতিথি ঝালকাঠি বেড়াতে এলে তাদের হাতে বিশেষ উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হতো ঝালকাঠির গামছা। ঝালকাঠি পৌরসভার ইছানীল এলাকা আর বাসন্ডা গ্রাম ঘুরলে ও একটু উঁকি দিলেই দেখা যাবে প্রায় প্রতিটি বাড়ির বারান্দায় কিংবা আলাদা ঘরে বসানো কাঠ বাঁশের তৈরি ছোট ছোট তাঁত। তৈরি হচ্ছে নানা ডিজাইনের আর সাইজের গামছা। রঙ-বেরঙের সুতা গুটিয়ে-গুছিয়ে দিচ্ছে মহিলা ও শিশুরা। এ দৃশ্য প্রতিদিনকার। তাঁতীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় দেড়শ’বছর ধরে ঝালকাঠিতে গামছা তৈরির কাজ চলে আসছে।সারাদেশে এমনকি বিদেশেও এ গামছার কদর আলাদা। তাই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বাইরেও এখানকার গামছা পাওয়া যায়।
সেই হস্তচালিত তাঁতে তৈরি ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী গামছা এখন মার খাচ্ছে বিদ্যুৎচালিত তাঁতে তৈরি গামছার কাছে। এছাড়াও তাঁত শিল্পের কাঁচামাল সূতা ও রঙের দাম আকাশচুম্বি। তাই গামছা তৈরির খরচও বেড়ে গেছে। যুগ যুগ ধরে বাপ-দাদার এ শৈল্পিক পেশা ছেড়ে শত শত কারিগর তাঁত শিল্প বন্ধ করে দিনমজুর, রিকশা, ভ্যান চালনাসহ বিভিন্ন পেশায় চলে গেছে। যারা এখনো এই পেশায় আছেন তারা অন্য কাজ করতে না পারায় শুধু বেঁচে থাকার তাগিদে দুঃখ-কষ্ট নিয়ে রাত দিন পরিশ্রম করে টিকিয়ে রেখেছেন এ শিল্পকে। এ গামছা শিল্পে স্বর্ণালী দিন ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা। আর তা না হলে হয়তো মসলিন কাপড়ের মতো হারিয়ে যাবে ঝালকাঠির গামছা শিল্প। আর ঠাঁই নেবে পাঠ্য বই কিংবা যাদু ঘরের উপকরণ হিসেবে।

গামছার ব্যাবহার-
গামছা মূলত গোসল ও ধোয়াধুয়ির কাজে ব্যাবহার করা হয়। তবে এর বহুবিধ ব্যাবহার আছে। ইদানিংকালে বিবি রাসেলের ফ্যাশনে ও শহুরে বাঙ্গালীয়ার উৎসব অনুষ্ঠানে এই গ্রাম বাংলার গামছার বহুল ব্যাবহার দেখা যায়। বাংলাদেশে গামছা ফ্যাশনের সূচনায় ব্যাপক ভূমিকা রাখেন আন্তর্জাতিক ফ্যাশন আইকন, ডিজাইনার বিবি রাসেল। তিনিই মূলত বাংলার এ ঐতিহ্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেন। এরপর থেকে ফ্যাশনের একটি আলাদা অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় গামছা। পাতলা কাপড়ের ধরন এবং প্যাটার্নটি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আলাদা একটি ফ্যাশন জগৎ। গামছা নিয়ে বিশ্বের ফ্যাশন জগৎ মাতিয়ে চলছেন আমাদের ডিজাইনাররা।

গ্রামীণ ঐতিহ্যের সঙ্গে যুগ যুগ ধরে মিশে আছে গামছা তবে শহুরে জীবনে নরম তোয়ালের প্রভাবে অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল। জীবনযাত্রায় সেই গামছা ফিরিয়ে এনেছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল। শুধু দেশেই নয়; বরং গামছাকে তিনি তুলে ধরেছেন বিদেশেও। তবে এটিকে জনপ্রিয় করেছেন একটু অন্যভাবে। গামছাকে ঠিক গামছা হিসেবে নয়, কাপড় হিসেবে তুলে এনেছেন পোশাকে, গৃহসজ্জা সামগ্রী এমনকি জুয়েলারিতেও।

শাড়ি, ফতুয়া, টপস, স্কার্ট, ওড়না, সালোয়ার-কামিজ এমনকি পাঞ্জাবিতেও ব্যবহার হচ্ছে পিওর গামছা।'পোশাকে গামছা শুধু কাপড় হিসেবেই নয়; বরং বাংলার আবহমান ঐতিহ্য হিসেবেই উঠে এসেছে। শুধু পোশাকেই নয়; ফ্যাশন দুনিয়ায় রয়েছে গামছার বহু ব্যবহার। ফ্যাশনেবল ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে গামছা। তৈরি হচ্ছে স্যান্ডেলও। রাবারের সোল, লেদার আর গামছা গিয়ে তৈরি হচ্ছে ছেলেমেয়েদের স্যান্ডেল। রয়েছে ল্যাপটপ ব্যাগও। এ ছাড়া রয়েছে রুমাল, জুয়েলারি বঙ্, মাথার ব্যান্ড ও ফিতা।
ঘর সাজাতেও ব্যবহার হচ্ছে গামছা। বিছানার চাদর, বালিশ, পর্দা, সোফার কুশন কভার, ম্যাট এমনকি খাবার টেবিলের রানার হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে গামছা। ঘরের কোণে রাখা টেবিল ল্যাম্পটিও গামছার তৈরি। গামছা বাঙালিয়ানার প্রতীক। আর গামছার রংগুলো সাধারণত অনেক উজ্জ্বল হয়। ফলে এর ব্যবহারে অন্দরের শোভা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। বিছানার চাদর, পর্দা, কুশন কভার, ম্যাট ইত্যাদিতে সরাসরি গামছা ব্যবহার না করে সুতি কাপড়ে গামছা মোটিফ ব্যবহার হয়েছে। লাল, সবুজ, হলুদ, মেরুন, কালো, নীলসহ উজ্জ্বল সব রং ব্যবহার হয় গামছায়।

যদিও আমাদের সমাজে গামছার নানামুখী ব্যবহারের সাথে সাথে গামছা নিয়ে নানা রকম বাগধারাও রয়েছে যেমন- গলায় গামছা দিয়ে ধরে আনা বা গলায় গামছা বেঁধে মরার মত বাগধারা তবুও গামছা কথন শেষ করার আগে আরেকটি কবিতার কথা না বললেই নয় , তা আমাদের পল্লীকবি জসিমুদ্দিনের সেই বিখ্যাত কবিতা আমার বাড়ি।

আমার বাড়ি যাইও ভ্রমর,
বসতে দেব পিঁড়ে,
জলপান যে করতে দেব
শালি ধানের চিঁড়ে।
শালি ধানের চিঁড়ে দেব,
বিন্নি ধানের খই,
বাড়ির গাছের কবরী কলা
গামছা বাঁধা দই।


অটুট থাকুক পল্লীকবি জসিমুদ্দিনের কবিতায় উঠে আসা বাঙ্গালীর গামছা বাঁধা দৈ এর স্বাদ আর সাথে বেঁচে থাকুক আমাদের বহুমুখী ব্যাবহার্য্য গামছা শিল্প। সকল বাঙ্গালীর প্রিয় গামছা ও বাংলাদেশের গামছা শিল্প চিরজীবি হৌক।

ছবি ও কিছু তথ্য

গামছা শিল্পরাণীনগরে হারানোর পথে ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প

ঐতিহ্য হারিয়েছে ফুলতলার গামছানওগাঁয় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প

বাঘায় তাঁত পল্লীর নারীরা গামছা বুনে জীবিকা নির্বাহ

কেমন আছে মনিপুরীদের তাত শিল্প...


Related pictures

মন্তব্য ৯৬ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৯৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১১

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর গামছা পোষ্ট। ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি ময়ূরাক্ষী ,



গামছার বুনটের মতোই ঠাস বুনটে লিখেছেন ।
পুরোনো দিনের কথা গেঁথেও দিয়েছেন সেই বুনটের মাঝেমাঝে ।
গ্রামীণ সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের সঙ্গে মিলিয়ে গামছা সংক্রান্ত সব ছবিই এঁকেছেন , দিয়েছেন ও অনেক । তবে রাজনীতিতে গামছার ব্যবহার নিয়ে কিছু বলেন নি । বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর গলাতেও গামছা যে আভিজাত্য নিয়ে ঠায় বসে আছে তার কথা লেখেন নি ।
ভালো লাগা ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: গামছা আসলেও একটা দারুন ব্যাপার আহমেদ জী এস ভাই। একজন গ্রাম্য চাষী থেকে শুরু করে গাড়িয়ালভাই কিংবা মাঝি কিংবা রাখাল ছেলেকে গামছা ছাড়া ভাবাই যায়না। লেখাটা লিখতে গিয়ে আমার খুব ভালো লেগেছে কারণ গামছার নানা ব্যবহার কবিতা, গান বা নাচের সাজে মাথায় ও কোমরে গামছা জড়ানোর ছবিটা বার বার ভেসে উঠেছে।

কিষানী বউটির গামছা বেঁধে ভাত তরকারী নিয়ে যাবার দৃশ্যটাও চোখে ভেসে উঠেছে। লেখার সময়টুকু দারুন এক আনন্দে কেটেছে।

তবে নেটে সার্চ দিয়ে দিয়ে তথ্যগুলো মিলিয়ে নেবার সময় মানে গামছার বুনন প্রক্রিটায়া খোঁজার সময় রাজনীতির গামছাও চোখে পড়েছে তবে সত্যি বলতে গামছা শিল্পে সেটাই আমার কাছে কটু লেগেছে। গামছার মত একটি বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে রাজনীতিতে নামানোটা আমার ঠিক পছন্দ হলোনা।

অজস্র ধন্যবাদ ভাই।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অামাদের দৈনন্দিন জীবনে গামছা অতিব প্রয়োজনীয় একটা উপকরণ । ভালো লাগলো গামছা কথন ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ সাধুভাই। আপনার গলায় ওটা কি ঝুলছে? গামছার মত লাগছে। এটা নিশ্চয় শীতের চাঁদর হবে আপনার।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: গামছার সাত কাহন জানলাম আপু! অনেক ভাল লাগলো! সেই সাথে বিচিত্র অভিজ্ঞতাও হলো! সকল কাজে যে জিনিসটা ওৎপ্রত ভাবে জড়িত তার সম্পর্কে জানতে আসলেই ভাল লাগে!

শুভ কামনা!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আমারও বেশ মজা লেগেছে এবং আনন্দে কেটেছে লেখার সময়টা। কিন্তু আমার লিংকে ক্লিক করলে কিছু দেখাচ্ছেনা। আপনার থেকে লিংক দেওয়া শিখতে হবে এখন।

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২২

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর গলাতেও গামছা যে আভিজাত্য নিয়ে ঠায় বসে আছে তার কথা লেখেন নি ।ালো লেগেছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: রাজনীতির গলায় গামছার চাইতে আমার গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের গামছা নিয়ে লিখতেই ভালো লেগেছে। যদিও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও এই বাংলারই মানুষ। তবুও আমি সকল বাঙ্গালীর গামছা নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: "বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর গলাতেও গামছা যে আভিজাত্য নিয়ে ঠায় বসে আছে তার কথা লেখেন নি ।"

-জি এস ভাইয়ের সাথে সহমত! আমিও এটাই বলতে চেয়েছিলাম, তবে আপু কিছু মনে করে কিনা সেজন্য বিষয়টা চেপে গিয়েছিলাম!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনার দেখি আজকাল দারুন ভয় কে কি মনে করে সে চিন্তায়। না আমি কিছু মনে করিনি এবং এই ব্যাপারটা নিয়েও ভেবেছিলাম। শুধু কি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী? ডঃ ইউনুস, বিবি রাসেল উনাদের সকলের অঙ্গেই শোভা পেয়েছে বাংলার গামছা শিল্পের অসাধারণ সব পোষাক।

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৪

মানবী বলেছেন: আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ অথচ মৃত প্রায় শিল্প নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।

সিরাজগন্জ গামছা শিল্পে বেশ সুপরিচিত তবে ঝালকাঠি বা বরিশাল অণ্চলের তাঁত শিল্প সম্পর্কে জানা ছিলোনা।

"কলের নাও ধোঁয়া ছাইড়া" মাঝির গান কেড়ে নিয়েছে, কলের তাঁতও কেড়ে নিয়েছে তাঁতির হাতের মাকু!!!

সুন্দর পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আমি ময়ূরাক্ষী।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ মানবী। গামছা আর গ্রাম-বাংলার প্রতিটি পেশার মানুষ একে অন্যের সাথে জড়িত। বাংলার মানুষের সাথে জড়িয়ে থাকা এই অবিচ্ছেদ্য বস্ত্র খন্ডটি আজ শহুরে জীবনে প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবুও যতদিন বাংলার গ্রাম আর বাংলার গ্রাম গুলোয় মানুষেরা থাকবে বেঁচে থাকবে এই শিল্প।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ।কবিগুরুর কবিতাংশ পোস্টটিকে আরও সুন্দর করে তুলল । গামছা নিয়ে এমন পোস্ট আর দেখিনি । অভিনন্দন আপনাকে এমন সুন্দর পোস্ট দেয়ার জন্য ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার। গামছা নিয়ে কবিগুরু ছাড়াও গ্রামঞ্চলে আরও নানা গান ও গ্রাম্য কবিতা রয়েছে। জসিমুদ্দিনের গামছা বাঁধা দই ও ঘাড়ের গামছা থুইয়া যাও রে এর এক একটি উদাহরন। শুভকামনা ও ধন্যবাদ আবারও।

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভাই, ওটা গামছা নয়, অামার পছন্দের শাল । অনেকদিন অাগে একবার রাজশাহী গিয়েছিলাম, সেখান থেকেই কেনা ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: রাজশাহী গিয়েছিলেন? কোথায়? সপুরা সিল্কে? ভাই আমার বাড়িও রাজশাহী। আপনার শালটি দারুন একটি শাল। আমি যদিও প্রথমেই বুঝেছি এটি শাল তবু মজা করে বলেছি ওটা গামছা কিনা। দারুন রঙ্গিন শালটি প্রশংসার যোগ্য। ভালো থাকবেন।

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সম্পূর্নটা পড়েছি । কবির গুরুর তুল্য কেউ নেই তাই আর কমেন্টে উল্লেখ করিনি ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিমভাই। সবটা পড়ার জন্য আর মন্তব্যের জন্য। আপনিও নিশ্চয় গামছা বিলাসী।

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একটা কাজে গিয়েছিলাম '১০ সালের দিকে । রেলস্টেশন সংলগ্ন একটা দোকান থেকে কিনেছিলাম ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: রাজশাহী সিল্কের দোকানগুলোতেও দারুন সব শাল পাওয়া যায়। রাজশাহী আমার প্রাণের শহর। এমন শান্ত সুনিবিড় একটি বিভাগীয় অঞ্চল মনে হয়না আর কোথাও আছে।

রাজশাহীর তিলের খাঁজা এবং আম লিচুও অনেক নামকরা। ধন্যবাদ সাধুভাই। আপনাকে শারদীয় শুভেচ্ছা।

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রিয়তে সংরক্ষণ করলাম। সময় করে পড়ব। নিদারুণ ব্যতিব্যস্ত। দুঃখিত আপু।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ওকে গেম চেঞ্জার। ব্যাস্ততা কাটুক খুব শিঘ্রি।

১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: সত্যই আপু আমি ইদানিং আর আগের মত সুস্থ ভাবে ব্লগিং করতে পারছি না! বিতর্ক যেন আমার পিছুই ছাড়ছে না! তাই কিছুটা ভয়ে ভয়েই অন্যের পোস্টে মন্তব্য করছি বলতে পারেন? কেন যে এমন হচ্ছে তা আমি নিজেই বুঝতে পারছি না.....!!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ভালোই তো। আপনি বিতার্কিক হবেন । ভয় কিসের? কিন্তু বুঝতে পারছেন না এটা কেমন হলো?

১৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪০

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু, কই তথ্যসূত্রতো ঠিকই কাজ করছে! কোন সমস্যা হচ্ছে নাতো? আমি আপনার মন্তব্য দেখেতো এই মাত্র তথ্যসূত্র থেকে ঘুরে আসলাম!

' বিলুপ্তির পথে এগুচ্ছে নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী হস্তচালিত
তাঁতশিল্প'

এটাইতো তথ্যসূত্রের লেখা তাই না?

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আরও ছিলো । আরও কিছু তথ্য ছিলো। দেইনি এরপর। এইটুকুও মুছে দেবো ভাবছি।

১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ভালো লাগল গামছাকথন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক।

১৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। অনেকগুলো বিষয় তুলে ধরেছেন। এতো কিছুতে গামছা ব্যবহার করা হয়, আগে জানতাম না।

ঝালকাঠি তাঁতে বোনা গামছা একসময় খ্যাতি অর্জন করেছিল সারাদেশব্যাপী। জাতীয় পর্যায়ের কিংবা বিদেশী কোন বরেণ্য অতিথি ঝালকাঠি বেড়াতে এলে তাদের হাতে বিশেষ উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হতো ঝালকাঠির গামছা। --
এটি আবার শুরু করা হোক। তাহলে এ শিল্পটি আরো প্রচলন ঘটবে।

কেমন আছেন?

পোস্টে ভালো লাগা।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ সুমন কর। আমি ভালোই আছি তবে খানিক ব্যাস্ততায় কাটছে জীবন।
আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য জামদানী, মসলিন, তাঁতের মত গামছারও রয়েছে এক ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস। জামদানী, মসলিন হয়তো গ্রামবাংলার সকল মানুষের সার্বক্ষনিক সঙ্গী নয় তবে গামছা ছাড়া কোনো বাংলার মানুষ ভাবাই যায়না।

আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যের অংশ স্বরূপ অবশ্যই গামছা একজন বিদেশীর জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার হতে পারে।

১৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বাঙ্গালীর জনপ্রিয় গামছা আর তার জন্মবৃত্বান্ত ভাল তো লাগবেই।। এই সুদুর মরুভূমির দেশেও কতজনকে দেখেছি দেশ থেকে শুধু একটি গামছা আনতে।। অর্থাৎ এটা তার কাছে মহার্ঘ কিছু।।প্রানের কিছু।।
তৈরী প্রনালীটা অনেকটা বোধহয় মিলে যায় আরেক শ্রেষ্ঠ ব্যাবহার্য (অবশ্যই বাঙ্গালীর) লুঙ্গির সাথে।। গামছা নিয়ে যখন লিখেছেন পরবর্তিতে লিখুন না লুঙ্গি নিয়ে।। অন্যায় আবদার করলাম কি??

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আমার নানী তার জীবদ্দশায় তার ছেলেদের বিদেশ থেকে এনে দেওয়া নরম তুলতুলে হাজারো বাহারী টাওয়েল ফেলে এই গামছাই সবখানে সাথে রাখতেন। গামছা তাড়াতাড়ি শুকোয়, এতে ভালো পানি শুষে নেয় এরকম হাজারও গামছার গুণপনা ও উপকারীতার কথা তার মুখেই শুনেছি।

ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী।

১৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। :)


গামছা আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিস। গামছা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানলাম।

ভাল থাকুন নিরন্তর।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা জানবেন।

১৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২১

আমিনুর রহমান বলেছেন:


গামছা আমার কাছে সবসময় একটা ওপড়্যোজোণীয় একটা ব্যবহার‍্যোগ্য জিনিস। বিশেষ করে ট্যুর যাওয়ার সম্য এরচেয়ে দরকারি আর কিছু হতে পারে না।

গামছা পোষ্টে +

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আমিনুরভাই প্রয়োজনীয় নাকি অপ্রয়োজনীয় কি বলেছেন? হা হা

তবে 'বিশেষ করে ট্যুর যাওয়ার সম্য এরচেয়ে দরকারি আর কিছু হতে পারে না।

গামছা পোষ্টে +' এটুকুতে বুঝেছি গামছা আপনার প্রিয় বস্ত্র খন্ড।

শুভকামনা সর্বদা। ভালো থাকুন।

২০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:



অনবদ্য গামছা পোস্ট। এনসাইক্লোপিডিয়া অভ গামছা!
গামছা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হলে এক পোস্ট পড়েই সব জানা যাবে।

গামছা-বাঁধা দই খেতে চাই....

মুয়ূরাক্ষীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা মইনুলভাই। আমার বাড়ি চলে আসেন দেখি কবি জসিমউ্দ্দিনের দেশের গামছা বাঁধা দই যোগাড় করতে পারি কিনা।

অজস্র ধন্যবাদ আপনার আর আপনার পরিবারের জন্য।

২১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

-সাইরাস বলেছেন: হাহাহা, দারুন লেগেছে গামছা পোস্ট। বেশ তথ্যবহুল লেখা।
সবার জীবন হোক সুখী ও গামছাময় :)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: সাইরাস ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইলো।

২২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কবি দিপক কুমার পুশিলালের কাছে শুনেছিলাম , কোন এক অঞ্চলে '' পাগলের গামছা'' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
আছে । এরা পাগলদের খানা খাদ্য ও দিগম্বর দের গামছা বিতরণ করে ।
কাদের সিদ্দিকির গামছার কথা মন্তব্যে উঠে এসেছে ।
আরেকটি হৃদয় বিদারক কাজে গামছার বহুল ব্যবহার পরিলক্ষিত হয় , ''ফাঁস'' ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: দারুণ উদ্যোগ যাই বলেন। পাগলের গামছার উন্নতি কামনা করছি।

কাদের সিদ্দিকী আমার গামছা পোস্টখানা দেখলে নিশ্চয় অনেক খুশী হবেন।

আর গলার গামছা দিয়ে টেনে আনা বা ফাঁস এটা অবশ্যই হৃদয় বিদারক তবে জন্ম থেকে মৃত্যু মানুষ এই গামছাকেই বেঁছে নেয় সেও বুঝা গেলো।

আমরা এটা চাইনা। সবাই সুখী ও সুন্দর জীবন কাটাক।

২৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগলো আপনার গামছার ইতিহাস আমি ময়ুরাক্ষী :) অনেক অজানা তথ্য জানা হলো ।

২০১৪ এর ডিসেম্বরের শেষে আমরা ৫ দিনের জন্য সুন্দরবন গিয়েছিলাম ভ্রমনে । আমাদের সাথে বেশিরভাগই বিদেশি পর্যটক ছিল । কটকা সৈকতে ব্যাবহারের জন্য ট্যুরিষ্ট কোম্পানী সবাইকে একটা করে দেশি গামছা দিয়েছিল । এই ব্যাতিক্রমী কি যে ভালোলেগেছিল আমাদের। ওরাও অনেক খুশি , ঐ পাঁচ দিন তারা পারলে সারাক্ষনই গামছা ঘাড়ে বসেছিল ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ট্যুরিষ্ট কোম্পানীটির নাম নিশ্চয় গাইড ট্যুর ছিলো। জুন আপা তারা সব সময়ই দেশীয় ঐতিহ্যের কিছু না কিছু বিদেশী ও ভ্রমনকারীদেরকে উপহার দেয়। আমাদের সময় দেওয়া হয়েছিলো হোগলার তৈরী ঝুড়ি। সেটাও দারুন কিছু ছিলো। অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে । কটকাবিচের স্মৃতি মনে পড়ে গেলো।

২৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: গামছা আমার সেভাবে ব্যবহার করা হয়নি কোনদিন, তবে গ্রামীন শোরুম থেকে চেক কাপড় কিনে পাঞ্জাবী, শার্ট এসব বানাইছি। গামছা নিয়ে তেমন কোন ভালোলাগা নেই, কারন আমাদের প্রজন্ম মনে হয় গামছা থেকে টাওয়েলে শিফট করে গেছিলো।

পোস্ট ভালোলাগলো। চমৎকার লেখা। ++

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: গামছা ভালো লাগুক আর নাই লাগুক গামছাকে ফেলে দিতে পারবেননা শতদ্রুভাই । গামছা আমাদের গ্রাম বাংলার শত কোটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে। আপনাদের প্রজন্ম গামছা ভালোবেসে শার্ট পাঞ্জাবী বানায় সেও কম কিছু নয়। এ্যাট লিস্ট গামছা তো শোভা পায় তাদের গলায় না হয়ে দেহে।
আপনার জন্য আপনার বঁধু না হয় গান গাইবে না যদি বন্ধু যাবার চাও টাওয়েল খানা থুইয়া যাও রে। কিন্তু গামছাকে ভালোবেসে আপনারা গামছা ফ্যাশনে পোষাক পরবেন। বিবি রাসেল বা ডঃ ইউনুসের ট্রেডমার্কই তো হয়ে উঠেছে এই গামছা ফ্যাশন।

অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৩

জেন রসি বলেছেন: গামছা নিয়ে চমৎকার পোষ্ট। শ্রমজীবী মানুষের সাথে এই গামছার একটি ঐতিহ্যগত সম্পর্ক আছে। গামছা মানেই আমার কাছে শ্রমজীবী মানুষের ক্লান্তি মোছার আয়োজন।

++

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ভুল বললেন জেন রসি। শুধু শ্রমজীবি নয় বাংলার আদরের দুলাল মানে গ্রাম্য মোড়ল এবং তার আদরের সন্তানটির কাঁধেও শোভা পায় লাল নীল রঙ্গিন চেকের টানাপোড়েনের চকচকে গামছাটি। এ দৃশ্য যদি সরাসরি দেখা না হয়ে থাকে তো নিশ্চয় বাংলা ম্যুভি এবং নাটকে দেখেছেন।

আর শুধু ক্লান্তি মুছামুছির জন্যই নয় গামছার নানাবিধ ব্যাবহার, কিষানী বউটির পরম যতনে রাঁধা ভাত তরকারীর পাত্রগুলিও বাঁধা হয় এ গামছাতেই, আবার কবিতার মজাদার দৈও বেঁধে নিয়ে যাওয়া যায় এই গামছায়। যদিও গামছা কথাটির অর্থ গা মোছা তবে তা দিয়ে শুধু গা নয় আরও অনেক কিছুই মুছামুছি থেকে শুরু করে ফ্যাশন পর্যন্ত টেনে নেওয়া যায়।


কাজেই শুধু শ্রমজীবি মানুষের জন্য উহা প্রযোজ্য এই কথা বলে আমাদের আদরের গামছাকে এক পেশে করে ফেলবেন না।

হা হা

অজস্র ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যে।

২৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আপা, আমি আর আপনি মনে হয় কাছাকাছি প্রজন্মেরই। আমি আপনি ব্যবহার করি আর না করি সেটা বড় ব্যাপারনা। আমরা পুরো দেশের প্রতিনিধিত্ব করিনা। আমরা পশ্চিমা আর দেশীয় সংস্কৃতির একটা হাইব্রিড সংস্করন হয়ে গেছি। কিন্ত দেশের বড় অংশ এখনো এই গামছা কিংবা লুঙ্গি কেন্দ্রিক, তারাই আসল বাংলাদেশ। যদিও গ্রামেও এখন পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগে গেছে। আমি নিজেও কোন্দিন লুঙ্গি পরিনাই। তবে আমার বাবাকে দেখতাম লুঙ্গি পরতে। আমার নানা ঢাকায় আসলে লুঙ্গি পাঞ্জাবী পরেই আসতেন। তাদের মধ্যে মেকী ভাবটা কম ছিলো। আমরা টাওয়েল, থ্রি কোয়ার্টারে নিজেকে অভ্যস্ত করে ফেলার সাথে সাথে নিজেদেরও অনেকটা কৃত্তিম করে ফেলছি, এটাই সমস্যা। নাহলে পোষাক আআশাক সংস্কৃতির ধারা সবসময় পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েই যায়, যাবে, এটা কোন সমস্যা না। শোঅফের টেন্ডেন্সিটাই খারাপ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ফ্যাশন এর সোজা বাংলা কি বলেন তো?
সোজা ভাষায় ঢং।
সিজনে সিজনে পোষাক আশাক দিয়ে নিজেকে নানা ঢংএ সাজিয়ে তোলার উদ্দেশ্যেই ফ্যাশন। আর সেটাই ফ্যাশন যেটাতে মানুষ কমফোর্ট ফিল করবে। এইক্ষেত্রে যদি বলি আমাদের গ্রাম-বাংলার মানুষের ফ্যাশন লুঙ্গি এবং গামছা তাহলে কথাটি ঠিক হবে? হা হা মনে হয়না কারণ যুগে যুগে বাঙ্গালীর অস্তিত্বের সাথেই জড়িয়ে আছে এই লুঙ্গি গামছা ফ্যাশন বা ঐতিহ্য।

আমরা ক্ষুদ্র শহরভিত্তিক মানুষেরা পুরো দেশের প্রতিনিধিত্ব করিনা এবং আপনার সাথে এ ব্যাপারে তর্ক করার স্পর্ধাও আমার নেই। আপনার লেখাগুলো থেকে এটা অন্তত বুঝি দেশ এবং দেশের মানুষ নিয়ে ভালোবাসাটা আমার চাইতে আপনার কম তো নয়ই বরং অনেক বেশি। তবে আধুনিক মনন ও রুচির একজন মানুষ হিসেবেই আপনি এই পশ্চিমা আর দেশীয় সংস্কৃতির হাইব্রিড সংস্করণকে যে স্বাভাবিক চোখে দেখছেন বা মেনে নিয়েছেন এবং সেটাই উচিৎ। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা।

গ্রামে এই বিদেশী ফ্যাশন বা সংস্কৃতির ছোঁয়া লাগুক বা আমরা যতই টাওয়েল থ্রী কোয়ার্টারে অভ্যস্ত হইনা কেনো আমরা কোনোদিন ভুলে যেতে পারবোনা বা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করতে পারবোনা আমাদের এই গামছা বা লুঙ্গি ঐতিহ্যকে । শেকড়ের টানে সবসময়ই থেকে যাবে শেকড় প্রোথিত আমাদের এই ঐতিহ্য এবং ভালোবাসা।

অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

জেন রসি বলেছেন: আমি গ্রাম্য মোড়ল কিংবা তার আদরের সন্তানকে কখনো গামছা কাঁধে ঝুলিয়ে বসে থাকতে দেখিনি। এখন তারাও বোধহয় আর এভাবে গামছা ব্যাবহার করেনা। তবে রাস্তায় বেড় হলেই দেখা যায় রিকশা চালকের কাঁধে গামছা। শ্রমিকের কাঁধে গামছা। কিংবা ক্ষেতে কাজ করা কৃষকের কাঁধে গামছা। আমি গামছার ব্যাবহার এভাবেই দেখেছি বলে বলেছি গামছা মানেই আমার কাছে শ্রমজীবি মানুষের ক্লান্তি মোছার আয়োজন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: তাহলে তো আপনাকে গ্রামে যেতে হবে ভাই। গ্রাম-বাংলার মানুষেরা যাদের পায়ে আজও মাটির সম্পর্ক রয়েছে, যাদের প্রানে রয়েছে মাটির টান তাদের কাছে গামছা আজও আদরনীয়। শুধু শ্রম ও ক্লান্তি ছাড়াও গামছা তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ।

আপনার শহুরে নাগরিক জীবনে হয়তো ওপরের তলায় গামছা অনাদরনীয় এবং তা শুধু শ্রমজীবি মানুষের প্রয়োজনীয় দ্রব্য। তবু সকল শ্রেনী নির্বিশেষে গামছা বাঙ্গালীর প্রাণের অংশ।
ধন্যবাদ আবারও।

২৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

আবু শাকিল বলেছেন: সবটুকু পড়া হয়নি ।আবার আসব :)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ আবু শাকিল। শুভকামনা।

২৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: গামছা মন্থন ভালো লেগেছে ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: মামুনভাই বহুদিন পর। আশাকরি ভালো আছেন। শুভেচ্ছা রইলো।

৩০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: গামছাময় পোস্টে ভাললাগা।
যদিও গামছার ব্যবহার তেমন একটা দেখি না। হয়তো মডার্নাইজ হতে যেয়ে গামছা সংষ্কৃতি আমরা ভূলে যেতে বসেছি। কাদের সিদ্দিকীর গামছার কথা অনেকেই বলেছে। আপনার পোস্টে নেই দেখে আমিও অবাক হয়েছিলাম।

ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা রইল। বিশেষতঃ আপনার বাবুটার জন্য অনেক অনেক আদর রইল। মেয়েটা ভালো আছে তো?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার। আমার বাবুটা ভালো আছে। ওকে নিয়ে খুব শিঘ্রি একটা লেখা লিখবো ভাবছি। কাদের সিদ্দিকীর গামছা নিয়ে কেনো কিছু বললাম না এটা আমার হাসব্যান্ডও জিগাসা করেছেন। এমনিতে সে আমার লেখালিখি নিয়ে মাথা ঘামায় না। পিসি অন ছিলো আর লেখাটাও সামনে থাকায় আজ হঠাৎ পড়লেন। জানেন বোধ হয় উনি এমনি লাজুক প্রকৃতির যে পেটে বোমা ফুটালেও কথা বের হয়না। তার এমন মন্তব্যে বেশ অবাক হলাম। লেখাটা মনে হয় এবার এডিট করতেই হবে। বঙ্গবীরের গামছা না নিয়ে লিখলে আর চলছে না।


একরাশ শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।

৩১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গামছা ব্যবহার করিনা । তাতে কি গামছা দেখলেই গ্রাম গ্রাম একটা ভাব চলে আসে ।বাংলাদেশের গ্রামীন ঐতিহ্য গামছা ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: সেটাই । গামছা আর গ্রামীন ঐতিহ্য একে অপরের সাথে জড়িত।

৩২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একটানে শেকড়ে নিয়ে গেলেন!!!!

ও বন্ধুরে, তোরে
গামছায় বান্ধিয়া রাখব বুকের ভেতরে ;)

অটুট থাকুক পল্লীকবি জসিমুদ্দিনের কবিতায় উঠে আসা বাঙ্গালীর গামছা বাঁধা দৈ এর স্বাদ আর সাথে বেঁচে থাকুক আমাদের বহুমুখী ব্যাবহার্য্য গামছা শিল্প। সকল বাঙ্গালীর প্রিয় গামছা ও বাংলাদেশের গামছা শিল্প চিরজীবি হৌক।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: বাহ আরও একটা গান নিয়ে এলেন। এই গান শুনিনি বিদ্রোহী ভৃগু।

ধন্যবাদ অজস্র।

৩৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গামছা এখনও ব্যবহার করি| অপরিহার্য একটুকরা কাপড়| পোস্ট ভাল লেগেছে

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: এতক্ষনে একজন নতুন প্রজন্ম পাওয়া গেলো যে অকুন্ঠ চিত্তে গামছা ব্যাবহারের কথা জানালেন। অজস্র ধন্যবাদ ভাই। গামছা এখনও বাঙ্গালীর ঐতিহ্য তা আমরা নাগরিক জীবনে ভুলতে বসেছি।

৩৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার ঐতিহ্যগত একটা লেখা লিখেছেন । এই লেখাগুলোই বাংলার আদি ঐতিহ্যকে দেয় প্রাণ । এই গামছা জড়িয়েই তো শতাব্দীর পর শতাব্দী নরম ছোঁয়ায় আদুরে উষ্ণতা পেয়ে আসছে কতশত জীবন !!
খুব ভাল লেগেছে ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ কথাভাই। সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো।

৩৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৫

বন্যলোচন বলেছেন: দারুণ লেখা। ভাল লাগল।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ বন্যলোচন।

৩৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। পড়েছি এবং ভাল লেগেছে। অনেক সুন্দর হয়েছে। চাই সুন্দর সুন্দর লেখা।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ খুরশীদভাই।

৩৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

কলমের কালি শেষ বলেছেন: গামছা ইতিহাস এবং তার বুনন এবং তার নানাবিধ ব্যবহারিক রীতি বেশ লেগেছে । পোস্টটা ব্যতিক্রমী এবং ঐতিহ্যের জন্য অনেক মূল্যবান ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: গামছা ঐতিহ্য বাঙ্গালীর চিরায়ত ঐতিহ্য। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

৩৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!!!!!!!

গামছাকাব্য!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


গামছা ছাড়া আমার নাচের গ্রামের ছেলেদেরকে আমি সাজাতেই পারিনা!!!!!!!!!!!!!!!


মাঝি, রাখালছেলে, চাষী, গাড়িয়াল, লাঠিয়াল সবার সাথেই চাইই চাই গামছা!!!!!!!!!!!!!

ছোট ছোট বেবিদের গামছাও পাওয়া যায় আপুনি!!!!!!!!!!!!!!


ও কি গাড়িয়াল ভাই
কত রব আমি পন্থের পানে চাইয়ারে .......

মজার পোস্ট আপুনি!!!!!!!!!!!!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা। নাচের গান বা গ্রামের দৃশ্যাভিনয়ে সবসময়ই গামছার প্রয়োজন। কারণ গামছা ছাড়া গ্রামের কোনো মানুষকেই আমরা কল্পনা করতে পারিনা।

৩৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: "ফুটপাতে কাঁদে বীর খুঁজে সুখ গামছায়,
তাই দেখে হেসে কুটি-রাষ্ট্রীয় চামচায়" ...

এককথায়,অসাধারণ!!!
বাঙালির ঐতিহ্যের অপূর্ব ধারক " গামছা " নিয়ে আপনার নান্দনিক পোষ্টটি,সে জন্য আপনাকে সশ্রদ্ধ সালাম! গামছায় বঙ্গবীরের কথাটা থাকলে আরও পরিশুদ্ধ হতো।সত্যিই আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সিপাহসালাকে খুব বেশী অবহেলা করে ফেলেছি।তাই ঐতিহ্যের বর্ণনে,তার রক্ষকদের অবলিলায় ভুলে যাই।তাই হয়তো অভিমানে কয়েক প্রজন্ম ধরে,বীরের দেখা নাই-আপনার আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে।

ভালো থাকবেন,স্নিগ্ধতার মতো...

সতত শুভকামনা ...

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: বীরের গামছা এবারে যুক্ত করে দেবো। ধন্যবাদ কিরমানী লিটন। ভালো থাকুন।

৪০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

দর্পণ বলেছেন: কিরমানী লিটন বলেছেন: "ফুটপাতে কাঁদে বীর খুঁজে সুখ গামছায়,
তাই দেখে হেসে কুটি-রাষ্ট্রীয় চামচায়" ...

এককথায়,অসাধারণ!!!
বাঙালির ঐতিহ্যের অপূর্ব ধারক " গামছা " নিয়ে আপনার নান্দনিক পোষ্টটি,সে জন্য আপনাকে সশ্রদ্ধ সালাম! গামছায় বঙ্গবীরের কথাটা থাকলে আরও পরিশুদ্ধ হতো।সত্যিই আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সিপাহসালাকে খুব বেশী অবহেলা করে ফেলেছি।তাই ঐতিহ্যের বর্ণনে,তার রক্ষকদের অবলিলায় ভুলে যাই।তাই হয়তো অভিমানে কয়েক প্রজন্ম ধরে,বীরের দেখা নাই-আপনার আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে।


দারুন। আপনার মত বঙ্গবীরের গামছার কথাটা আমার মাথাতেও এসেছিলো। ময়ুরাক্ষীর উচিৎ বঙ্গবীরের গামছার কথাটা একটু ভেবে দেখা।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ঠিক আছে। তাই হবে। একটু সময় করে উঠে বঙ্গবীরের গামছাও জুড়ে দেবো পোস্টে। শুভকামনা দর্পনভাই।

৪১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো একটা ফিচার। অনেকদিন হলো গামছা ইউজ করা হয় না। এবার একটা কেনা দরকার!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ হাসানভাই। কিন্তু এবার একটা কেনা দরকার কেনো?

৪২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই সুন্দর, পরম যত্ন আর মমতা মাখা আপনার এই পোস্টটা পড়ে আমি চমৎকৃ্ত, অভিভূত! অনেক অনেক সুন্দর সুন্দর মন্তব্য আর তার জবাবগুলোও খুব ভালো লেগেছে, তাই সেগুলোকে 'লাইক' দিয়েছি। আর পোস্টটাকে রাখলাম 'প্রিয়' তালিকায়।
"এগুলো কেবলই সুতোর পরে সুতো দিয়ে গাঁথা কোন আটপৌরে শিল্প নয়, যেন পরম মমতা ও ভালবাসার এক একটি স্মারক" - একদম আমার মনের কথাগুলোই বলে ফেলেছেন।
"আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যের অংশ স্বরূপ অবশ্যই গামছা একজন বিদেশীর জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার হতে পারে।" - ১৬ নং মন্তব্যের উত্তরে দেয়া আপনার এই কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত।
নানা অজানা তথ্যগুলো এ লেখার প্রধান আকর্ষণ, তাতে সন্দেহ নেই। তবে তার সাথে যদি আপনার রুচিবোধের প্রশংসা না করি তাহলে অন্যায় হবে। ছবিগুলো ভীষণ সুন্দর হয়েছে, আর তার চেয়ে আমার আরো ভালো লেগেছে চয়নকৃত কবিতা/গানের চরণগুলো। আমি উত্তরাঞ্চলের মানুষ। যদিও শহরে বড় হয়েছি, গ্রামের সাথে চিরদিন নাড়ীর সম্পর্ক ছিলো/আছে। এখনো বছরে অন্ততঃ একবার, ক্বোরবানী ঈদে, কেউ না গেলেও আমি একাই বাড়ীর পথে হাঁটা দেই। আপনার পোস্টের প্রথম চারটি চরণ যে গানের, সে গান আমার কন্ঠস্থ। কবিগুরুর পংক্তি দুটোও আমার ছোটবেলায় খুব প্রিয় ছিল, কারণ তখন আমরা ঢাকার যে জায়গাটাতে থাকতাম, বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে সেখানে পানি জমে যেত। আমরা তখন গামছা দিয়ে ডানকানা মাছ ধরতাম, যেগুলো উঠে আসতো পাশের কোন খাল খন্দক থেকে। তাই এই পংক্তিদুটো আমাকে নস্টালজিক করে ফেললো। আর পল্লীকবি জসিম উদ্দীনের "গামছা বান্ধা দই"ও আমার একটা প্রিয় লাইন, কেননা ছোটবেলায় আমার নানীকে দেখতাম গামছায় দই বাঁধতে।
"লাজুক লাজুক কিষানী বউটির ভাত তরকারী বেঁধে আনা গামছাটি"র কথা আপনি মূল লেখায় আর মন্তব্যে কয়েকবার বলেছেন, এটাও খুব ভালো লেগেছে।
সবশেষে বলি, আমি নিজেও একটা গামছা ব্যবহার করি। অবশ্য এ নিয়ে অনেক কটুক্তিও সহ্য করতে হয়েছে। এখন আর কেউ তেমন কিছু বলেনা। আপনার এ লেখাটি পড়ে যদি ব্লগাররা গামছা ব্যবহারে উৎসাহী হন, তবে খুশী হবো।
আমার মন্তব্যটা খুব বড় হয়ে গেলো। বুঝতেই পারছেন, আপনার লেখা পড়ে কতটা চমৎকৃত হয়েছি। হ্যাটস অফ!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: খায়রুলভাই আপনাকে প্রথমেই জানাচ্ছি সশ্রদ্ধ সালাম। আপনার এ মন্তব্যটি মনে হয় আমার লেখক জীবনে পাওয়া এক শ্রেষ্ঠ উপহার। এতটা বিশ্লেষনী মন্তব্য কেউ করবে আমার লেখাটি পড়ে তা আমার জানা ছিলো না।

আমার লেখাতে উঠে আসা গান ও কবিতার চরণগুলি আপনার এতটা প্রিয় জেনে খুব ভালো লাগলো। আমার লেখাতে আপনার অনেক প্রিয় স্মৃতিও দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আপনাকে ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা জানাবার ভাষা আমার জানা নেই। শুধু প্রার্থনা করি আপনি অনেক ভালো থাকুন।

আপনার সুখী জীবন কামনা করি।

৪৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: গামছা পোস্টে ভাললাগা।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্নি সারথী। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৪৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪

ফান তুফান বলেছেন: গামছায় এত কিছু!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: গামছা আমাদের পুরান ঐতিহ্য। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৪৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৮

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: ছবি আর লেখা -সব মিলিয়ে গামছা নিয়ে চমৎকার একটি লেখা । তবে রাজনীতিতে গামছার প্রবেশ নিয়ে কিছু বলেন নি !

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ আপা। রাজনীতিতে গামছা নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু সময়াভাবে আর এডিট করে হয়ে ওঠা হয়নি।

৪৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: ভাই অনেক পরিছ্রম অনেক সময় ব্যয় করে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া সৃতি তুলে ধরার জন্য আপনাকে কাদের ছিদ্দিকির গামছা উপহার দিলাম।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ গামছার জন্য।

৪৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৩

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: একটু আগে একটা টেকস পেয়েছি , এখানে হুবহু তুলে দিলাম

'Can u ask mother to get some bangali towels from Bangladesh .." :)

বরাবরের মতোই বিষয় ভিত্তিক পরিশ্রমী পোস্ট , গুণবতী যাকে বলে ;)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: টেক্সটা মজার।
আপনার কমেন্টটাও মজার সোহেলী।

৪৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: গামছা নিয়ে যে এত কিছু লেখা যায় সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। বাপরে অনেক কিছু জানা হল গামছা নিয়ে। সিরাজগঞ্জের গামছা আমার বাসায় আছে। খুবই নামজাদা গামছা। ২বছরেও নতুন। হা হা হা।

পোস্টে ভাল লাগা।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন:


গামছাকে খুব অনাদরে অবহেলেই ফেলে রাখি আমরা। কিন্তু একে নিয়েও লেখা যায় যে কত কিছু সে আমিও লিখতে গিয়েই বুঝলাম ।

ভ্রমরের ডানা অজস্র ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.