নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাসফড়িং

আমি ময়ূরাক্ষী

তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে । যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে । যদি থাকি কাছাকাছি, দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি– তবু মনে রেখ

আমি ময়ূরাক্ষী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় বই- নির্বাসন- হুমায়ুন আহমেদ ( প্রিয় লেখকের জন্মদিনে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫



"নির্বাসন" শব্দটির মাঝেই যেন জড়িয়ে আছে একরাশ বিষন্নতা বা অভিমান। শুনেছি আগেকার দিনে দুর্ধর্ষ অপরাধীকে নির্বাসন দেওয়া হত যেখানে মানুষকে নির্বাসনে যেতে হত সম্পূর্ণ তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে। অনিচ্ছা সত্বেও পাঠানো হত নির্বাসনে বা কালাপানি দীপান্তরে। তবে সে যুগ আমার দেখা নেই, শুধুই শুনেছি তেমন নির্বাসনের কথা। আমার কাছে নির্বাসন মানে অনেক অভিমানে নিজেকে নিজেই নির্বাসন দেওয়া বা দূরে সরিয়ে নেওয়া। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের লেখা 'নির্বাসন" উপন্যাসের জরী তাকে নিজেই নির্বাসন দিয়েছিলো নাকি নির্বাসিত হতে বাধ্য হয়েছিলো তা পুরোটা বুঝে উঠতে পারিনা আমি "নির্বাসন" বইটি পড়ে।। মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের সমাজের মুখ বুজে চলা নারীদেরকে কখনও কখনও সমাজ ও পরিবারের চাপে বিয়ে দেওয়াটা এক প্রকার নির্বাসনের সামিল। ইচ্ছা বা অনিচ্ছাতেই আমাদের সমাজের অনেক মেয়েকেই নির্বাসনেই যেতে হয় প্রায়শই। জরীও ছিলো তেমনই এক পরিস্থিতির শিকার। আর আনিস ! তার জন্য বুক ভেঙ্গে যায়। এক বাড়ি মানুষের মাঝে থেকে, কোটি জনতার একটি শহর কিংবা দেশে সেও কি নির্বাসিত হয়নি?

‘নির্বাসন’ উপন্যাসের নায়িকা বা মনে দাঁগ কেটে যাওয়া একটি নাম জরী। যে দিনের ঘটনা নিয়ে এ উপন্যাস রচিত হয়েছে সে দিনটি জরীর বিয়ের দিন। সেদিন জরীর বিয়ে হচ্ছিলো একটি অচেনা মানুষের সাথে। সারাবাড়ি হৈ চৈ, আনন্দের বন্যা। অথচ যাকে নিয়ে এত আয়োজন সে নির্বাসনে যাচ্ছিলো। এক বুক ব্যাথা নিয়ে। অব্যাক্ত ব্যাথা। সচরাচর আমাদের দেশে এ্যারঞ্জড ম্যারাজে এমনি হয়, এমনি হবার কথা। কিন্তু জরীর ক্ষেত্রে এমন হওয়ার কথা ছিল না। জরীর বিয়ে হবার কথা ছিলো তার চাচাতো ভাই আনিসের সাথে। বাড়ির সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে আনিসের সাথে গড়ে উঠেছিলো জরীর সখ্যতা আর সে সখ্যতা থেকে প্রেম। বাঙ্গালী পরিবারগুলোতে সচরাচর যা হয় বা সেই সময়কার পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায় এ ধরনের প্রেমগুলোতে পারিবারিক বাঁধা এসে দাঁড়াতো। জরী আনিসের প্রেমের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছিলো। তবুও সকল বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে জরী আনিসের প্রেম সফলতার মুখ দেখতে তেমন কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়াতো না। কারণ আনিস ছিলো সফল একজন আর্মি অফিসার। তার যোগ্যতায় সে জরীকে বিয়ের প্রস্তাব করতে কোনো দিকেই বিফল হবার কথা ছিলোনা। কিন্তু এরই মাঝেই এল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ । আর তাতে একটি দুর্ঘটনা কেড়ে নিলো তাদের সুখের স্বপ্নটিকে। আনিস মারাত্বক আহত হলো। বাড়ীর কোনার একটি ঘরেই কাটে তার নির্বাসিত জীবন। যে জীবনে আশা নেই, ভবিষ্যৎ নেই, প্রিয়তমাকে চাইবার দাবীর কোনো ভাষা নেই। আনিসের কষ্ট কিংবা জরীর কষ্ট আঘাত হয়ে এসে লাগে আমাদের বুকে।

জরীর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয় এবং তারা দুজনেই কেউই মুখফুটে কাউকেই জানাতে পারেনা তাদের ভালোবাসার গোপন বারতাটি। এ দুঃসাহসিক কথাটি বলবার সাহস হারিয়েছিলো তারা। জরীর যেমনি সাহস হয়না এ বিয়ে ভেঙ্গে দেবার বা আনিসকে বিয়ে করবার কথাটি পরিবারের কাউকে জানাবার। তেমনি আনিসও জানে তারমত অক্ষম অযোগ্য একজন পাত্রের মুখে এ দুঃসাহস মানায় না। অথচ সে ছিলো এক দুঃসাহসিক যোদ্ধা। দেশমাত্রিকার টানে ছুটে গিয়েছিলো যে একদিন জীবনের মায়া উপেক্ষা করে সেই সাহসী মানুষটিকে ভীতুর মত মুখ বুজে থাকতে হয়। নিয়তির করাল গ্রাসে এক সাহসী যোদ্ধার অনাকাঙ্ক্ষিত নির্বাসন হয়। এই উপন্যাসে বিয়ের দিনের ঘটনায় দেখা যায়, বিয়ে-বাড়ির হই-হুল্লোড়ের মাঝে কোনার একটা ঘরে আনিস অসহায়ের মত পড়ে থাকে।

জরী চলে যায়- আমারই বঁধুয়া আনবাড়ি যায় আমারই আঙ্গিনা দিয়া.......
জরীর জন্য অনেক কেঁদেছি আমি। আনিসের জন্যও। আমার মত আরও অনেকেই কাঁদিয়েছে জরী এবং আনিস। তবুও তাতে জরী বা আনিসের বেদনা এক বিন্দু কমেনি।

এমনি এক উপন্যাস "নির্বাসন"। হুমায়ুন আহমেদের সকল অমর রচনার একটি অনবদ্য অংশ।

এই উপন্যাসটি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কোন উপন্যাস নয় তেমনি কাহিনীর প্রেক্ষাপটও মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক নয়। তারপরও এই উপন্যাসের কাহিনীর একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারটি। শুধু একটা দিনের গল্প বর্ণিত হয়েছে 'নির্বাসন' উপন্যাসে। জরীর বিয়ের দিন। এই বিশেষ দিনটির একদম প্রথম প্রহর থেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়া পর্যন্ত এই উপন্যাসের সময়কাল। তবে বিয়ের দিনের বিভিন্ন ঘটনা ঘটতে থাকে, ফ্লাশব্যাকে ভাসে জরী আনিসের সুখের দিন বা দুঃখের ঘটনা প্রবাহ।

এই উপন্যাসে জরী আর আনিসের সম্পর্কের সাথে উপস্থাপিত হয়েছে জরীর সাথে তাদের বান্ধবীদের সম্পর্ক, আনিসের সাথে তার মায়ের সম্পর্ক, আনিসের সাথে তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর সম্পর্ক, জরীর সাথে বড়চাচার সম্পর্ক, আনিসের সাথে বড়চাচার সম্পর্ক আর জরীর বড় বোন পরীর সাথে তার স্বামী হোসেন সাহেবের সম্পর্ক ইত্যাদী ইত্যাদী। তবুও সবকিছু ছাপিয়ে হৃদয়ে গেঁথে রয় জরী আনিসের ব্যার্থ প্রেম। বিয়ের নামে প্রেমাস্পদকে ছেড়ে নির্বাসনে পাঠানো জরীর বুকভাঙ্গা কষ্ট। একজন সাহসী যোদ্ধার ভালোবাসার পরাজয়। উপন্যাসের শেষ অংশে এসে সারা উপন্যাস জুড়ে বুকে চেপে থাকা কষ্টটা যেন বাঁধ ভাঙ্গে। চোখের জল ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

জরী চলে যাচ্ছে। সানাই এর সূর বাঁজছে। সে বাড়িরই ছাঁদের কোনার ঘরে বসে আছে আনিস। তার চোখে কি জল? নাকি শুস্ক চোখে তাকিয়ে রয়েছে সে সীমাহীন কষ্টের দিকে? জানিনা...

প্রিয় হুমায়ুন আহমেদের "নির্বাসন" নিয়ে লিখতে গিয়ে আরও এক ভক্তের একটি লেখার কথা মনে পড়লো। অনেক আগে তার মৃত্যুর পর এক পত্রিকায় পড়েছিলাম। সেটা খুঁজে বের করলাম আর এখানে তুলে দিলাম-

লিখেছেন আন্দালিব রাশদী
আমার বয়স তখনও কুড়ি ছোঁয়নি। বিচিত্রার এমনি একটি বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত হল হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস নির্বাসন।
উপন্যাস পড়ে কষ্ট পাওয়ার অভিজ্ঞতা তখন আমার হয়েছে। কিন্তু উপন্যাস পড়ে হু হু করে কাঁদার অভিজ্ঞতাও যে হতে পারে নির্বাসন আমাকে দিয়ে তা-ই করালো। ভাবলাম ব্যাপারটা ‘মেয়েলি ধরনের’ হয়ে গেল। সুতরাং মাস ছয়েক পর নিজের পুরুষালি ধরনটাকে সচেতনভাবে জাগিয়ে বিচিত্রার পাতা উল্টে আবার নির্বাসন পড়তে শুরু করলাম। জরী বধূবেশে চলে যাচ্ছে। আনিস উপর থেকে দেখছে। এ পর্যন্ত আসার পর আমার প্রতিরক্ষা ব্যূহ খান খান করে ভেঙে গেল। আমি আবার সেই আগের মতোই কেঁদে ফেললাম। তারপর ছ’মাস এক বছর পরপর নির্বাসন পড়া আমার নেশায় পরিণত হল আমার যখন কাঁদতে ইচ্ছে করে আমি নির্বাসন নিয়ে বসি। আমি বইটি কিনিনি, কেবল বিচিত্রার পাতা উল্টে বারবার পড়েছি।
এই ব্যাপারটি ঘটল এমন এক সময় যখন আমি এ গর্বে বলে বেড়াচ্ছি আমার প্রিয় লেখকের নাম বুদ্ধদেব বসু। একশত ষাটেরও বেশি বুদ্ধদেবগ্রন্থ থেকে এক এক করে এক শতাধিক গ্রন্থ মুগ্ধ বিস্ময়ে পাঠ করেছি। আমার তখন যতটুকু সাধ্য সেই সাধ্যমতো বুদ্ধদেবের মৌলিনাথ, রাত ভরে বৃষ্টি মেঘদূত তপস্বী ও তরঙ্গিণী এবং চরম চিকিৎসা নিয়ে প্রবন্ধ লিখছি।
কান্না নিয়ে কি আর প্রবন্ধ লেখা যায়? বুদ্ধিজীবী ধরনের লেখকরা ‘ইমম্যাচুরুড’ ভাবতে পারেন সেই আতংক থেকেই নির্বাসন যে কাঁদিয়েছে সে কথা আর লেখা হয়ে উঠেনি।
তারপর তেত্রিশ নয়, ছত্রিশ বছর কেটে গেল। হুমায়ূন আহমেদ তাড়াহুড়ো করে চলে গেলেন। বলে গেলেন কিংবা বলেননি : মৃত্যু এমনই, এভাবেই আসে।
সে রাতে টেলিভিশনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরেনি। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হুমায়ূন আহমেদ। এক সময় সন্ধিক্ষণ অপসৃত হল। নতুন করে লিখা হল : হুমায়ূন আহমেদ আর নেই।
বাকি রাতটা কেটে গেল ঘোরের মধ্যে। তাহলে আমাকে আর কাঁদাবেন কে?
একটি দিন কাটল কোন কিছু না পড়েই। না, একটা কিছু করেছি। এতসব বিখ্যাত বইয়ের মাঝখানে নির্বাসন খুঁজে বেড়ালাম। এত বছর পর আরও একবার পড়ব। যদি আবার চোখ অশ্র“ ভারাকান্ত হয়ে উঠে, যদি দুফোঁটা অশ্র“বিন্দু নেমে আসে। হুমায়ূন আহমেদের জন্য এটাই হবে আমার শ্রেষ্ঠ নৈবেদ্য।
কিন্তু নির্বাসন পেলাম না। দৈবচয়ন পদ্ধতিতে তারই অন্য একটি বই হাতে তুলে নিলাম। সেই বইটির নাম এপিটাফ। এটিও নিশ্চয়ই কোন না কোন ঈদসংখ্যায় পড়েছি।
নাতাশা কিংবা টিয়া নামের তের বছরের মেয়েটি ক্যান্সারে ভুগছে। তার রোগটির নাম মেনিনজিওমা। ডাক্তার বলেছেন, মাঝে মাঝে মেনিনজিওমার গ্রোথ ইউলিউসিভ হয়। ধরা দিতে চায় না।
নাতাশা কিংবা টিয়া নামের মেয়েটিকে বিদেশ নিতেই হচ্ছে মাথায় মটরদানার মতো যে টিউবমারটি বেড়ে উঠছে তা অপারেশন করে ছেঁটে ফেলতে হবে।
রিকশায় মা আর মেয়ে। মা বলছে :
‘ডাক্তার অপারেশন করে ওই টিউমার সরিয়ে ফেলবেন। সেই অপারেশনও সহজ অপারেশন। আমাদের দেশে হচ্ছে না, তা বিদেশে হরদম হচ্ছে। তোর অপারেশন আমি বিদেশে করাব।’
‘এত টাকা কোথায়?’
‘সেটা নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না। যেভাবেই হোক আমি জোগাড় করব।’
‘কত টাকা লাগবে?’
‘তাও তোর জানার দরকার নেই। তুই শুধু মনে সাহস রাখবি। তোর মনে সাহস আছে তো?’
‘হুঁ আছে।’
‘সাহস খুব বড় একটা গুণ। এই গুণ পশুদের অনেক বেশি। মানুষের কম। কেন কম বল তো?
‘মানুষ বুদ্ধিমান, এ জন্যই মানুষের সাহস কম। বুদ্ধিমানরা সাহসী হয় না।’
হুমায়ূন আহমেদ নাতাশার আঙ্গুলে আমাদের চোখে খোঁচা দিয়ে বলে গেলেন, সাহসের অহঙ্কারটা বড্ড মিথ্যে’ আমাদের সংসারটা বড্ড ভয়ের। কষ্টের। কখনও আনন্দেরও।
যেভাবেই হোক চিকিৎসার জন্য নাতাশার বিদেশ যাওয়া হচ্ছে। যাওয়ার আগে চারটি চিঠি লিখেছে নাতাশা। চারটি চিঠির একটু একটু কথা উল্লেখ না করে পারছি না :
৭৮৬
১. প্রিয় ফুলির মা বুয়া,
তুমি যখন আমার এই চিঠি পড়বে আমি তখন বেঁচে থাকব না। মৃত্যুর পর সবাই মৃত মানুষকে দ্রুত ভুলে যেতে চেষ্টা করে। সেটাই স্বাভাবিক। যে নেই বার বার তার কথা মনে করে কষ্ট পাবার কোন কারণ নেই।
২. প্রিয় নানীজান,
আসসালামু আলাইকুম।
ঃ আমাদের বাংলা রচনা ক্লাসে একবার রচনা লিখতে দেওয়া হল তোমার জীবনের আদর্শ মানব। কেউ লিখল, মহাত্মা গান্ধী, কেউ লিখল, শেখ মুজিবুর রহমান। একজন লিখল, ফ্লোরেন্স নাইটংগেল, একজন লিখল, মাদার তেরেসা। শুধু আমি লিখলাম আমার নানীজান।
৩. প্রিয় বাবা,
বাবা, তোমাকে আমি কতটা ভালোবাসি সেটা কি তুমি জান? জান না, তাই না? আমিও জানি না। ভালোবাসা যদি তরল পানির মতো কোন বস্তু হতো তাহলে সেই ভালোবাসায় সমস্ত পৃথিবী তলিয়ে যেত। এমনকি হিমালয় পর্বতও।
বাবা, আমি যখন থাকব না তখন তুমি আমার কথা ভেবে কষ্ট পেও না। তুমি কষ্ট পেলে সেই কষ্ট কোন না কোনভাবে আমার কাছে পৌঁছবে। তখন আমার খুব খারাপ লাগবে।
৪. প্রিয় মা-মণি
ঃ আমি ঠিক করে রেখেছি, মৃত্যুর ঠিক আগে আমি আল্লাহকে বলব হে আল্লাহ, তুমি আমার মার মন থেকে আমার সমস্ত স্মৃতি সরিয়ে নিয়ে যেও। কোন দিন যেন আমার কথা ভেবে মা কষ্ট না পায়। আল্লাহ নিশ্চয়ই আমার সেই প্রার্থনা শুনবেন।
চিঠি পড়তে পড়তে বহু বছর পর আবার আমার ভেতরটা খাখা করতে থাকে। আমার প্রতিরোধ ব্যূহ আবার ভাঙতে থাকে। আমার ভারাক্রান্ত চোখের সামনে নাতাশা হয়ে যায় আমারই মেয়ে। ঝাপসা চোখে আমি দেখতে পাই নাতাশা ইমিগ্রেশন পার হয়ে যাচ্ছে। দুই ফোঁটা অশ্র“ দুদিক থেকে নেমে আসে। হুমায়ূন আহমেদ, আপনার জন্য এটাই আমার নৈবেদ্য।
এ বছর আমি কার্লোস ফুয়োন্তস, মারিও বার্গাস য়োসা এবং ওরহান পামুক পড়েছি। কিছু কিছু লিখেছিও। কিন্তু আপনার নাতাশা যেভাবে কাঁদিয়ে গেল, এমন তো কেউ কাঁদাতে পারেননি। নাকি ছত্রিশ বছর পরও আমি ‘ইমম্যাচুরড’ই রয়ে গেছি?
বিকট গর্জন করে ডিসি ১০ আকাশে উঠে গেল। নাতাশা আমেরিকা যাচ্ছে। আপনি কিন্তু নাতাশাকে ফিরিয়ে আনেননি। তাহলে আপনি কেন ফিরে এলেন?

প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিনে তাকে জানাই শ্রদ্ধা ও অন্তরের অন্তস্থল হতে এক রাশ ভালোবাসা। কাল সারাদিন নানা ব্যাস্ততার মাঝে বুকের মধ্যে খুত খুত করছিলো। খুব মনে পড়ছিলো প্রিয় লেখক আর তার প্রিয় লেখাগুলির কথা। তাই সকল কর্মব্যাস্ততার পর যখন
প্রায় মাঝরাতে ব্লগের পাতায় চোখ বুলাচ্ছিলাম হঠাৎ চোখে পড়লো দুজন ব্লগার (রক্তিম দিগন্ত ও বনমহুয়ার) কথপোকথন। তারা আনিস ও জরীর এই বইটির নাম মনে করতে পারছিলেন না। আর তখনি মনে পড়ে গেলো আমার কিশোর বেলায় পড়া অনবদ্য এ বইটির কথা যা পড়ে কত রাত, কত দিন আমি চোখের জলে বুক ভাসিয়েছিলাম।


তেপান্তরের মাঠে বধু হে একা বসে থাকি, তুমি যে পথ দিয়ে গেছো চলে তারই ধুলা মাখি হে

ভালো থাকুন হুমায়ুন আহমেদ । আরও হাজার কোটি বছর কাঁদাক কিংবা হাসাক তার সৃষ্টিগুলো আমাদেরকে। আমাদের ভালোবাসায় তিনি বেঁচে রবেন চিরদিন।



"নির্বাসন" বইটির ডাউনলোড লিঙ্ক

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: রিভিউটা চমৎকার। বইটা দেখি এখন না পড়লে আর চলছে না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

[ওই দুইজনের একজন আমি ই ছিলাম আপু]

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অবশ্যই আপনি ছিলেন রক্তিম দিগন্ত। আপনাদের নাম দুইটা এখুনি এ্যাড করে দিচ্ছি। আর আপনাদেরকে ধন্যবাদ আমাকে আবারও জরী এবং আনিসকে মনে করিয়ে দেবার জন্যে আর একটু কাঁদাবার জন্য। এত ব্যাস্ততায় থাকতে হয় আজকাল যে মন খুলে একটু কাঁদবারও সময় নেই।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভালো থাকুন হুমায়ুন আহমেদ । আরও হাজার কোটি বছর কাঁদাক কিংবা হাসাক তার সৃষ্টিগুলো আমাদেরকে। আমাদের ভালোবাসায় তিনি বেঁচে রবেন চিরদিন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারীভাই। ভালো থাকবেন। প্রিয় হুমায়ুন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সন্মান জানাই।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: কিংবদন্তীর সৃষ্টি নিয়ে দারুণ লেখা । ভাল লাগলো খুব ।

উনি তো মারা যান নি । তাহলে আপনি উনাকে নিয়ে লিখলেন কেন !! উনি বেঁচে আছেন হাজারো হৃদয়ের মায়ায় ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: উনি বেঁচে আছেন। উনি বেঁচে থাকবেন। ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন। শুভকামনা।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬

জেন রসি বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের সবচেয়ে বড় ক্ষমতা ছিল তিনি পাঠকের মনের ভিতরে ঢুকে যেতে পারতেন। তার লেখায় মধ্যবিত্ত জীবনের নানা রকম সুখ দুঃখ গুলো খুব জীবন্ত হয়ে উঠত। পড়ে মনে হত সবকিছু যেন চোখের সামনেই ঘটে চলছে। নির্বাসন উপন্যাসটি আমারো অনেক প্রিয়। প্রিয় বই নিয়ে চমৎকার এই রিভিউ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

++

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: নির্বাসনের আনিসের জন্য যে কষ্টটা হয় সে কষ্টের সাথে বুঝি আর কিছুরই তুলনা হয়না। ধন্যবাদ জেন রসি। ভালো থাকবেন।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: নির্বাসন... খুব মন খারাপ করে দেয়া একটা উপন্যাস। অদেখা জগতে ভালো থাকুন হুমায়ূন আহমেদ। পোস্টে ভালো লাগা রইলো।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ভালো লাগছে জেনে আপনি পড়েছেন নির্বাসন। আনিস আর জরী এই মর্ত্যলোকের বাসিন্দা না হয়েও আমাদের হৃদয়ের গভীঢুকে যায় । অনেক ভালো থাকবেন। শুভকামনা ।

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: অবশ্যই ভাই। আমাদের ভালবাসায় তিনি বেঁচে থাকবেন চিরকাল।
আপনার লেখনী শক্তি অসাধারণ। ভাল থাকবেন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ অজস্র বিদ্রোহী সিপাহী। শুভকামনা।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ এর সবচেয়ে দৃঢ় ক্ষমতা ছিল তার লেখনী দ্বারা পাঠকের মনকে ছুয়ে যাওয়া। যারা তার লেখাটাকে ফিল করতে পেরেছে তারা আজীবন হুমায়ূন শূন্যতায় ভুগবেন। হুমায়ূন বেঁচে থাকবেন অনন্ত কাল আমাদের মাঝে। রিভিউ চমৎকার হয়েছে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ অজস্র প্রবাসী পাঠক। ভালো থাকবেন। হুমায়ুন আহমেদের জন্য শূন্যতা কোনোদিন পূরণ হবেনা।

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: অন্যতম প্রিয় বই এটি আমার। সুন্দর লিখেছেন রিভিউটি। ধন্যবাদ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: রিভিউ খুব চমৎকার হয়েছে আপু। হুমায়ুন আহমেদেরও অপছন্দকারী মানুষ থাকবে সেটা আমি ভাবতে পারিনি একসময়। অথচ এই ব্লগেই একটা পোস্ট পেলাম যেখানে হুমায়ুন আহমেদকে কটাক্ষ করে সমালোচনা করা হয়েছে।

যাকগে সেকথা। আপনার পোস্টে +৮

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: একজন পরাজিত মধ্যবিত্ত না কি যেন একটা নিক প্রতি বছরই এ দিন গুলোতে এসে হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে অনেক কিছু বলেন। কিছু তো বলার নেই। তবে কোটি মানুষের হৃদয়ে হুমায়ুন আহমেদ বেঁচে থাকবেন আজীবন।

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কতশত'বার যে মনের বিষাদ অশ্রুজলে ঝরাতে হুমায়ূন আহমেদের বই হাতে নিয়েছি আর চোখ দুটি ভিজিয়েছি আনন্দাশ্রুজলে তা বলে বোঝাতে পারবো না। আসলেই কোটি মানুষের হৃদয়ে হুমায়ুন আহমেদ বেঁচে থাকবেন আজীবন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: বোকামানুষভাই তার মত কোনো লেখক আর জন্মাবেনা আমাদের দেশে। আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকুন তিনি।

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একটা কথা ছিলো এমনঃ একটা যুদ্ধে অনেককিছুই হয় । অানিসের জন্য সত্যিই খুব খারাপ লেগেছে ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: বইটা পড়লে ভীষন খারাপ লাগে। আনিসের জন্য পৃথিবীর সবটুকু ভালোবাসা এনে দিতে ইচ্ছা করে।

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

তাশমিন নূর বলেছেন: সুন্দর রিভিউ লিখেছেন।


নির্বাসন হুমায়ূন আহমেদের ভালো বইগুলোর মধ্যে একটি। আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল বইটি পড়ে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: তাশমিন আপনাকে ধন্যবাদ। অনেক ভালো থাকবেন। নির্বাসনের এত ভক্ত পেয়ে আমারও ভালো লাগছে।

১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

এস কাজী বলেছেন: রিভিউ পড়ে ভাল লাগল আপু। আমার এই বইটি পড়া হয়নি। রিভিউ পড়ে বেশ লোভ হয়ে গেল।

দেখি অতি শীঘ্রই সংগ্রহে নিয়ে আসতে হবে বই টি।

ভাল থাকবেন আর ছোট্ট বাবুকে আদর দিবেন :)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: বইটা নিসন্দেহে ভালো লাগার মানে কাঁদবার জন্য। আনিসের দুঃখ, জরীর কষ্ট পাঠক হৃদয়ে একিভূত হয়ে যায়। আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।

১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: সুন্দর রিভিউ, কোটি মানুষের হৃদয়ে হুমায়ুন আহমেদ বেঁচে থাকুক-আজীবন।
আপনাকে শুভকামনা...

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ বেঁচে থাকবেন কোটি মানুষের হৃদয়ে। অজস্র ধন্যবাদ লিটনভাই।

১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

রমিত বলেছেন: আমার প্রীয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ-কে নিয়ে আপনার লেখাটা ভালো হয়েছে।
সুন্দর লেখেন আপনি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ রমিতভাই। কৃতজ্ঞতা।

১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মাসরুর আরেফিন বলেছিলেন - বিষণ্ণতা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ শিল্প । তাই যদি হয় হুমায়ূন আহমেদ এই শিল্পের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী ।
নির্বাসন এখনো হাহাকারে ছুয়ে যায়। হুমায়ূন আহমেদের এই সব লেখার কোন জবাব নেই।
ভাল থাকুক মন ছুয়ে যাওয়া লেখক।
পোষ্টে অনেক ভাললাগা রইল।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: মাহমুদভাই অজস্র ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। হুমায়ুন আহমেদ এই বাংলার শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন চিরকাল।

১৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: রিভিউ দেখে বইটা পড়ার ইচ্ছাটা আর দমানো যাচ্ছে না। ডালো দিচ্ছি। রিভিউ চমৎকার হইসে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অবশ্যই পড়বেন অগ্নি সারথি। অসাধারণ অনুভুতির একটি বই নির্বাসন। অজস্র ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

১৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার রিভিউ ।
"নির্বাসন"। হুমায়ুন আহমেদের সকল অমর রচনার একটি অনবদ্য অংশ।

সঠিক বলেছেন ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াসভাই। আমার কাছে নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগারের পরেই এই নির্বাসন বইটিই শ্রেষ্ঠদের তালিকায় পড়ে।

১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু, প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি বিলম্বে মন্তব্য করার জন্য! কিভাবে যে এই পোস্টটা চোখ ফসকে বেরিয়ে গেল বুঝতে পারছি না! তবে সম্ভাবত চশমার পাওয়ার বাড়াতে হবে......!!

আপনার উপস্থাপিত বইটা আগেই পড়া আছে! তবে বইটা পড়ার পরে 'এইটা কি হুমায়ুন আহমেদের লেখা?' এমনই একটা প্রশ্ন মনের ভিতরে ঘুরপাক খাচ্ছিল। কারণ হিমু চরিত্র পড়লে বিশ্বাসই হতে চায় না এমন একটা বিষাদ ময় লেখা হুমায়ুন আহমেদ লিখতে পারেন! লেখকরা যে পাঠককে ইচ্ছা করলে হাসাতে এবং কাঁদাতে পারেন তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হিসাবে হুমায়ুন আহমেদের নাম পাঠক হৃদয়ে আজীবন অমলিন থাকবে!

চমৎকার রিভিউয়ে ভাল লাগা জানবেন!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: সাহসীভাই অজস্র ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য আর বইটি পড়বার জন্য। হিমুর জন্ম হয়েছে নির্বাসনের এই আনিসের অনেক পরে।


লেখকরা যে পাঠককে ইচ্ছা করলে হাসাতে এবং কাঁদাতে পারেন তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হিসাবে হুমায়ুন আহমেদের নাম পাঠক হৃদয়ে আজীবন অমলিন থাকবে!


কথাটি অনেক ভালো লাগলো।

ভালো থাকবেন।

২০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পছন্দ অপছন্দ , দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকবে এটা স্বাভাবিক ।
আমার কাছে তাঁর ইতিহাস ভিত্তিক লিখা গুলিই শ্রেষ্ঠ বলে মনে হয়েছে ।( মধ্যাহ্ন , বাদশাহ নামদার, জোছনা ও জননীর গল্প ইত্যাদি)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ঠিক বলেছেন গিয়াসভাই। তবে সে সময়কার লেখাগুলির মধ্যে নির্বাসন একটি বড় ভালো লাগার বই।

২১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

রোষানল বলেছেন: না কেঁদে আর নিজেকে শান্ত করতে পারলাম না । এপিটাফ বইটা পড়েছিলাম অনেক বছর আগে ।পাঠককে কাঁদাতে আর হাসাতে পারায় তো এক ধরনের একটা বিস্ময়কর ম্যাজিক যা হুমায়ুন আহমেদ এর ছিল
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই লেখাটার জন্য । সেই সাথে নির্বাসন বইয়ের লিঙ্ক দেয়ার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: রোষানল আমাদের বুকের মাঝে জমে থাকা দুঃখ কষ্ট ভালোবাসা সবই যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে হুমায়ুন আহমেদের সৃ্ষ্ট পাত্র পাত্রীদের মুখে। আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: পড়ার ইচ্ছা আছে। ধন্যবাদ

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

২৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অনেকদিন পর আপনার চমৎকার লেখা পড়ে ভাল্লাগলো ||

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ মুন। অনেকদিন পর মনে হয় আপনাকেও দেখলাম।

২৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

শায়মা বলেছেন: রিভিউ পড়ে অবাক হলাম।যদিও অবাক হবার কিছুই নেই।হুমায়ুন আহমেদের সব গল্পই একদম বুকের গভীরে ঢুকে যায়।:(

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ আমাদের হৃদয়ের লেখক।

২৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

পার্থ তালুকদার বলেছেন: চমৎকার রিভিউ।

জরী আর আনিসকে যেন চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি।

শুভকামনা আপনার জন্য।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: বইটি পড়লে সব চলচ্চিত্রের মত ভেসে ওঠে চোখে। ধন্যবাদ পার্থভাই।

২৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপু আপনার গল্পটা কই হারাইলো? কালরাতেই তো দিলেন মাত্র!!!! :||

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: গল্পটা হারায়নি ভাই। আমিই গল্পটাকে ড্রাফ্ট করেছিলাম। কারণ লেখাটা ব্লগ প্রতিযোগীতায় পাঠিয়েছিলাম এবং নোটিস বোর্ডের দেওয়া পোস্টে লেখা ছিলো ব্লগ প্রতিযোগীতায় পাঠানো লেখাগুলি ৫ তারিখ পর্যন্ত কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা তবে ৬ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ ব্লগে প্রকাশ করতে হবে। তাই আমি গত ৬ তারিখ সেটা প্রকাশ করি। পরদিন দুপুরে একটি নোটিস পাই যে লেখাটি যেহেতু আমি ব্লগ প্রতিযোগীতায় পাঠিয়েছি এবং পরবর্তীতে লেখা পাঠাবার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে তাই এই লেখা এখন না প্রকাশ করাই ভালো।
তখন আমি পুনরায় গিয়ে নোটিসবোর্ডের পোস্ট চেক করে দেখি সেখানে লেখা পাঠাবার সময় বাড়ানো হয়েছিলো কিন্তু পাঠানো লেখা প্রসঙ্গে সেটা নিজ নিজ ব্লগে প্রকাশ করার সময়সীমা মানে ৬ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মাঝে তা নিজ নিজ ব্লগে প্রকাশ করতে হবে যে এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি বা এই সময়সীমা পরিবর্তন করা হয়নি।

তারপর আমি সেই পোস্টে এবং ফিডব্যাকে মেইল দিয়ে ব্যাপারটা জানতে চাই কিন্তু সেখান থেকে কোনো উত্তর না পাওয়ায় আজ আবার প্রকাশ করেছি।

ভালো থাকবেন এবং লেখাটি সম্পর্কে জানতে চাইবার জন্য ব্যাপারটি খেয়াল করবার জন্য ধন্যবাদ রক্তিম দিগন্ত।

২৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যে বই পড়ার কারনে ক্লাস ফাইভে থাকতেই চোখে উঠেছিলো মাইনাস ৭/৮ এর চশমা।। বয়ে বেড়াচ্ছি আজও।। সেই বইই আজ দূর্লভ।। সত্যি বলতে সময়ও পাই না আর ভালও লাগে না (ব্যক্তিগত কারনে)।। প্রবাসে থাকায় আরো দূর্লভ।।
তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মিটালাম।।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: সচেতনহ্যাপীভাই শুভেচ্ছা নেবেন। ভালো থাকুন।

২৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ স্যার লিখনির মাধ্যমে মধ্যবিত্ত জীবনের টানাপোড়েন,হাসি-কান্না,আনন্দ-উচ্ছ্বাস,চাওয়া-পাওয়া হৃদয়ের গভীরের কথা অসাধারনভাবে ফুটিয়ে তুলেন।প্রিয় লেখকের প্রিয় বইটি নিয়ে অসাধারন রিভিউ লিখেছেন আপুনি।লেখাটি আগে পড়েছি।আবার পড়তে এসে কমেন্ট করলাম

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ রুদ্রভাই। শুভকামনা জানবেন।

২৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: প্রিয়তে....

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ।

৩০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ বই। হুমায়ূনের কতিপয় মানসম্পন্ন নিতান্ত মানবিক বোধে ডুবে থেকে লেখা বইগুলোর মাঝে একটি।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: প্রিয় বইটির সকল চরিত্র পড়ার সময় যেন চোখে ভাসে। রেশ রয়ে যায় সারাটাজীবন। অজস্র ধন্যবাদ শঙ্কুভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.