নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাসফড়িং

আমি ময়ূরাক্ষী

তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে । যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে । যদি থাকি কাছাকাছি, দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি– তবু মনে রেখ

আমি ময়ূরাক্ষী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ময়ুরাক্ষীর বিয়ে

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪


আমি ময়ূরাক্ষী মানে আমার ব্লগ নিক ময়ূরাক্ষী। শিরোনামের মত ঠিক আজই আমার বিয়ে না তবে একটি বিশেষ স্মরনীয় দিন। আর তাই আজ সকালে ঘুম ভেঙ্গেই মনে পড়লো, আমার জীবনের সেই অমূল্য স্মরণীয় দিনটির কথা। ঠিক এমনই এক ভোরে ঘুম ভেঙ্গেছিলো আমার বাড়ি ভর্তি এক গাঁদা লোকজন আর উৎসব বাড়ির কর্মযজ্ঞের কোলাহলে। চাচাত বোন সূবর্না এসে ডাক দিয়ে গেলো, মা ডাকছেন। সকালে গতদিনের এক প্যাচ দিয়ে পরিয়ে দেওয়া এলোমেলো শাড়ী কোনোমতে গুছিয়ে, খুলে যাওয়া আঁচল হাতে ধরেই দাঁড়ালাম গিয়ে উনাদের সামনে। উনারা বললাম কারণ মায়ের সাথে বসে ছিলেন চাচী, মামী আরও সব মুরুব্বী স্থানীয় মহিলা স্বজন ও পাড়া পড়শীরা। পাঠকেরা এতক্ষনে নিশ্চয় আঁচ করে নিয়েছেন আজ না হলেও সেদিনটি ছিলো আমার বিয়ের দিন। হ্যাঁ আর সেদিনটি নিয়ে লিখতে গিয়েই মনে পড়লো আমার প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের আজ চিত্রার বিয়ে উপন্যাসটির কথা। তাই এমন শিরোনাম দিলাম আমিও। যদিও ময়ুরাক্ষীও তারই একটি উপন্যাসের নাম আর তাই এই নাম এবং নদী আমার খুব প্রিয়।

যা বলছিলাম, সেদিন সকালে মানে আমার সেদিন বিয়ের দিন ছিলো। আমি যখন তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম, দেখলাম প্রচন্ড শীতের সকালেও তারা সব জবুথুবু না হয়ে পান সুপারী ও নানা মিষ্টান্ন সহযোগে ও গালগল্পে সে জায়গাটি সরগরম করে তুলেছেন। সত্যি বলছি আমাদের রাজশাহীর সেই হাঁড় কাঁপানো শীতের সকালও সেই মুরুব্বী স্থানীয় মহিলাদের কলকাকলী ও হাসি তামাশায় উত্তপ্ত আলোকিত হয়ে উঠেছিলো সেদিনটিতে। ওরা সবাই বসে ছিলেন আমাদের রাজশাহীর বাড়ির উঠোন লাগোয়া অন্দরের সিড়িতে। এই বাড়িটা বেশ পুরোনো হলেও বেশ রাজকীয়ও বটে। উঠোনের দিকে যে সিড়ি নেমে গেছে তার দুই পাশে দুই সিংহ হা করে আছে। অন্যদিকে রান্নাঘর, গোয়াল, মুরগীর ছোট্ট বাড়ী এসব সাঁজানো ছিলো। সেই উঠোন, বরইগাছ, শিউলিতলা, হা করা সিংহের মুখ চোখ বুজলেই আমার চোখে ভাসে। ছোটবেলা এই ভয়ংকর পাথরের সিংহের হা করা মুখে হাত ঢুকিয়ে এক রকম রোমাঞ্চ অনুভব করতাম। রবিঠাকুরের বীরপুরুষ কবিতার মতন যেন নিজেকেই ভাবতাম বিষম সাহসী কেউ একজন যে জীবন্ত সিংহের মুখে হাত ঢুকিয়ে দিতে পারে।

মা, চাঁচীদের সামনে গিয়ে দাড়াতেই তারা আমাকে কাছে টেনে নিলেন। চুমু খেয়ে বসালেন কাছে,আমার মামী তো কেঁদেই ফেললেন। আমাকে অনেক ভালোবাসতেন তারা হয়তোবা সাত চড়ে রা না করা মেয়ে বলেই আমি। তারা আমাকে নানা গয়না, শাড়ী এসব উপহার দিয়ে ফেললেন সেই সকালবেলাতেই। মামী একটা খাঁচার মত ঝুমকা পরিয়ে দিলেন। পরে দেখেছি খাঁচাটার ভেতরে পাখি বসার মত একটা দাঁড়ও ছিলো। শুধু সেখানে ছিলো না কোনো রুপকথার গল্পের মত সোনার তোতা। থাকলে বেশ হত। সে যাইহোক, চাচী দিলেন আমার হাতের তুলনায় বেশ বড় সড় অনন্তবালা । বললেন একটু বড় করেই বানালাম যেন ছেলেপুলে হয়ে মোটা হয়ে যাবার পরেও পরতে অসুবিধা না হয়। বাবাহ কি ভবিষ্যৎ দূরদর্শী চাচীমা আমার। আরও সবাই আরও কত কি যে দিলেন! শাড়ির স্তুপ হয়ে গেলো এক পাশে। তবে সবচেয়ে ভয়ংকর তারা আমাকে নানা উপদেশ দিচ্ছিলেন যা শুনে আমার এই শেষ মহুর্তে বেশ ভয় ভয় করতে লাগলো।

এমনিতেই আমি শুধু মুখচোরাই ছিলাম না সাথে বেশ ভীতুও। অকারন ঝামেলা ফ্যাসাদ সর্বদা এড়িয়ে চলেছি। তাদের উপদেশ বাণীতে আমি রিতীমত ভড়কে গেলাম। তারা বলছিলেন, শ্বাশুড়িকে সেবা করবে, শ্বসুরের কথা শুনবে, স্বামীকে আপনি করে বলবে, দেবর ননদদেরকে আরও সব কি কি যেন আমার মাথায় আর ঢুকছিলো না। আমি যতটুকু বা কথা বলতাম সেসব শুনে ভয়ে আমার সেদিন থেকে আরো সোজা ভাষায় বাকযন্ত্র মিউট হয়ে গেলো। একটা গোপন কথা বলি আমার হাজব্যান্ডের সাথে আমি হ্যাঁ না হু হা ছাড়া কোনো কথাই বলিনি বিয়ের দুই সপ্তাহ পর্যন্ত।

কারো সাথেই বলতামও না হয়তো তবে বিয়ের পর পর নানা চমকপ্রদ ঘটনা ঘটতে শুরু করলো যে কথা না বলে আর উপায় ছিলো না।

ঘটনা -১ আমি আর বিশ্বাসঘাতক ফুলদানী
বিয়ের একদিন পর। সারা বাড়িতে ফুলের ছড়াছড়ি। গোলাপ, বেলি, জুঁই আরও কত কি! ফুল দিয়ে বিছানা সাজানো হয়েছে, গেট সাজানো হয়েছে এমনকি দরজা জানালার গ্রিলগুলো পর্যন্ত। আসলে আমার শ্বাশুড়ীর পুস্পপ্রীতি আর তার বড়ছেলে প্রীতি আর তারই আবার বিয়ে এর কারণেই এই ফুলে ফুলাকার বাড়িঘরের অবস্থা। সত্যি বলতে কি প্রথম এ বাড়িতে পা দিয়ে আমারও মন ভরে উঠেছিলো, রজনীগন্ধা, বেলি, গোলাপের সুবাসে। বাসর ঘর সাজানো হয়েছিলো গন্ধরাজ ফুলে। সেই অভাবনীয় বাসরের ঘ্রাণ আমি কখনও আমার জীবনে আসলেও ভুলবোনা।

তো এত ফুল শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাবে! আমার শ্বাশুড়ির সইলোনা । তিনি নিজে হাতে ফুলগুলিকে রক্ষা করতে পারছিলেন না তাই আমাকে বললেন, " বউমা যাও তো এই ফুলদানীটার মধ্যে ঐ ফুলগুলো পানি দিয়ে রাখো।" বলে বেশ মোটাসোটা একটা ফুলদানী ধরিয়ে দিলেন উনি আমার হাতে। আমিও তড়িঘড়ি মিউট মুখেই উনার হাত থেকে ফুলদানীটা নিয়ে আর আরেক হাতে ফুলগুলি নিয়ে বাথরুমে গেলাম বেসিন থেকে পানি ভরে ফুলগুলো রাখতে। ইয়া খোদা, ঠুক করে ফুলদানীর মাথাটা বেসিনের গায়ে লাগতেই গলা ভেঙ্গে খুলে পড়লো ফুলদানীর মাথা। আমি তো ভয়ে শেষ। আমার রিতীমত হাত পা কাঁপাকাঁপি শুরু হলো। আমি এখন কি করবো?

মনে পড়লো আমার ছোটমামীর বিয়ে দিনে একটা পোলাও এর ডিশ ভেঙ্গেছিলো বলে মামীকে অপয়া উপাধী পেতে হয়েছিলো। মামী এটা নিয়ে কতদিন যে কেঁদেছেন। এইসব সাত পাচ ভেবে আমি আর কোনো বুদ্ধি না পেয়ে বাথরুমের দরজা একটুখানি ফাকা করে চারিদিকে খুঁজলাম আমার স্বামীকে। তাকে কোথাও দেখতে পেলাম না, দেখলাম আমার এক ছোট ননদকে। তাকে হাত ইশারায় ডেকে বললাম, রুমকী সুপার গ্লু হবে? সে অবাক হয়ে আমাকে বাথরুমের দরজা থেকে উঁকি দিয়ে বের হয়ে সুপার গ্লু খুঁজতে দেখে চোখ গোল গোল করে তাকিয়ে রইলো, তারপর বললো, সুপার গ্লু দিয়ে কি করবা? আমি বললাম, দেখোনা এই যে ফুলদানীটা একটু ভেঙ্গে গেছে। প্লিজ কাউকে বলো না। আমার খুব লজ্জা লাগছে, ভয় লাগছে। তুমি প্লিজ আমাকে একটু সুপার গ্লু এনে দাও না। সে বললো আমি বাবা জানিনা কিছু এ বাড়ির। কিচ্ছু হবেনা তুমি বের হও তো। আমি মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম। শেষে উপায় না দেখে আমার নাবলা কথা স্বামীর অবলা বউ হয়ে তাকেই একমাত্র আপন ভেবে ফোন দিলাম । ভাবলাম সেই একমাত্র আমার সমস্যা বুঝবে। তাকে ফোন দিয়ে বললাম, "প্লিজ খুব তাড়াতাড়ি একটু সুপার গ্লু এনে দিতে পারবেন?"

সে নিশ্চয় একে আমার ফোন পেয়ে অবাক হয়েছিল, দ্বিতীয়ত আমার মিউট গলার শব্দ শুনে আর সুপার গ্লু কি কাজে লাগবে হঠাৎ এটা তো যে কারোর মনেই প্রশ্ন জাগাবে। সে যাইহোক তিনি কোনো প্রশ্ন না করেই ৫ মিনিটের মাঝে সুপার গ্লু এনে দিলেন। আমি কোনো কথা না বলেই কাঁচুমাচু মুখে তাকে দেখালাম আমার সে অপয়া কীর্তি। সে আমার হাত থেকে ফুলদানীটা নিয়ে দু মিনিটের মধ্যে সযতনে সুপার গ্লু লাগিয়ে নিখুতভাবে রিপেয়ার করে দিলো।কৃতজ্ঞতায় আমার মুখে ভাষা আরও ছিলোনা তবে চোখের ভাষায় হয়তো কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলাম।

এরপর ফুলসহ ফুলদানীটা নিয়ে শ্বাশুড়ীর কাছে গেলাম। উনি বললেন, এতক্ষণ কই ছিলা? আমি বললাম, বাথরুম ধুচ্ছিলাম মা। তিনি অবাক হয়ে বললেন, বাথরুম ধুইতেছিলা! কেন? যাইহোক কই কই ভাঙ্গছে দেখি? রুমকিরে কইলাম কিছু হইবো না .............
ফুলদানীসহ কেঁপে উঠলাম আমি। হয়তো টলেও পড়ে যেতাম। সাত কান্ড রামায়ন পড়ে সীতা কার মা ছিলো যেন? মনে করতে পারছিলাম না , ঐদিকে দূরে দাঁড়িয়ে হাসছিলো রুমকি।

ঘটনা -২ আমি আর ওয়াশিং ম্যাশিন
তখন বেশ কিছুদিন পার হয়েছে। আত্মীয়, স্বজন সব বিদায় নিয়েছেন, দুদিন পরেই আমার হাজব্যান্ডের অফিস খুলে যাবে। তো শ্বাশুড়ির ব্লাড, ইউরিন এসব টেস্ট করতে সিএমএইচে গেছেন তারা দুজন শ্বাশুড়ি আর হাজব্যান্ড। শ্বাশুড়ি ফোন দিলেন, বউমা ওয়াশিং ম্যাশিনটা চালায়া দিও। আমি বললাম, আমি তো ওয়াশিং ম্যাশিন চালাতে জানিনা মা।উনি বললেন, বাম দিকের ড্রয়ার খুলে দুই চামিচ ওয়াশিং পাউডার দিবা। কটন লেখা বাটনটা ঘুরাইবা আর ডানদিকের স্যুইচ টিপ দিবা। এক্কেরে সোজা। আমি তার কথা মত সব করলাম। পানির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বাহ! তার মানে আমি পেরেছি।
কয়েকঘন্টা পর শ্বাশুড়ি ফিরে আসলেন।
-বৌমা মেশিন চালাইছিলা?
-হ্যাঁ মা। উনি খুশি হয়ে ডালা খুললেন।
- বাহ কাপড়গুলা মেলে দিসো?
আমি অবাক হয়ে
-নাতো
শ্বাশুড়ি আরও অবক হয়ে,
- তাইলে কাপড়গুলা গেলো কই?
আমি
-আমি কি জানি? আমি তো কোনো কাপড়ই দেইনি কোথাও। নেইওনি.....
পিছে ফিরে দেখলাম আমার হাজব্যান্ড মুখ নীচু করে, কপালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।


ঘটনা-৩ ( আমি আর মাইক্রোওয়েভ)
আবারও শ্বাশুড়ি অর্ডার দিয়ে গেলেন । কালরাতে বিরিয়ানী যেন দুপুরে আমি মাইক্রোতে গরম করে রাখি। এটা তো সহজ কাজ, আমি জানিও। আমি খুব আনন্দে এবং নিশ্চিন্ত মনেই বিরিয়ানীর সসপ্যানটা মাইক্রোতে দিতেই। ওমা ! ঠাস ঠাস করে আগুন জ্বলতে শুরু করলো ভেতরে। কাচের ভেতর দিয়ে সেটা দেখে আমি ভয়ে শেষ। তাড়াতাড়ি প্লাগ খুলে ফেললাম টেনে। বাসায় কেউ নেই। ফোন দিলাম ওকে। প্লিজ শিঘ্রি আসো, শিঘ্রি। আমি আর কিছুই বলতে পারছিলাম না। ও মিটিং এ ছিলো তাড়াতাড়ি ছুটে আসলো। তারপর সব শুনে।
- ওহ তোমাকে নিয়ে কি করি বলোতো? জানোনা স্টিলের জিনিস মাইক্রোতে দেওয়া যায়না? তুমি আস্ত স্টিলের সসপ্যান মাইক্রোতে দিয়ে দিলে!
আমি আমতা আমতা করে,
- এটা তো জানতাম কিন্তু ভুলে গিয়েছিলাম কেনো যে....
তাড়াতাড়ি সব অপরাধের চিহ্ন মুছে ফেললাম দুজন মিলে। কৃতজ্ঞ আমি আসলেও তার কাছে সবটা সময় আমার সকল লজ্জা দুঃখ যে এইভাবে লুকিয়ে দিয়েছে সবার থেকে।

ঘটনা-৪ আমি আর আমার হারিয়ে যাওয়া স্বামী
আমরা হানিমুনে কলকাতায় গেলাম। এক বিকেলে নন্দন সিনেপ্লেক্সে ম্যুভি দেখতে গেলাম দুজনে। তো উনি বললেন তুমি নীচে ঘুরো আমি একটু কাজ সেরে ঠিক আধা ঘন্টা পরে সিনেমা হলের সামনে থাকবো। আমি একটু ঘুরলাম। দশ মিনিটও পার হয়নি এমনই মনে হচ্ছিলো আমার। হঠাৎ ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি কোথায় দশ মিনিট, আধা ঘন্টা পার হয়ে গেছে সেই কখন! আমি তড়িঘড়ি সিড়ি দিয়ে উপরে উঠলাম । হলের গেইটে , সামনে আর একটু এদিকে সেদিকে কোথাও কেউ নেই। ভয়ে কাঁপছিলাম আমি। আমার কান্না পাচ্ছিলো। নিশ্চয়ই সে আমার দেরী দেখে রাগ করে আমাকে রেখেই চলে গেছে। আমার সাথে তো ফোনও নেই কি করবো এখন আমি? হোটেলের এ্যাড্রেস কিছুই জানিনা কি হবে এখন?

আমি নীচে নেমে এসে ইনফরমেশন সেন্টারে ওদেরকে জানালাম, ভালো হিন্দিও পারিনা। সেই লোক হিন্দিতে কথা বলছিলো,আমি বললাম আমার হাজব্যান্ড, আমার হাজব্যান্ড, ফোপাচ্ছিলাম আমি। সে বললো, কিয়া! তুমি তোমার হাজব্যান্ডকে হারায় ফেলেছো? আমি বললাম, তার সাথে এসেছিলাম, উনি আমাকে রেখে কোথায় গেছেন? পাচ্ছিনা, আরও কি সব আবল তাবল। সেই লোক খুব বিজ্ঞের ভঙ্গিতে মাথা নাড়লেন। সব বুঝেছেন, এমন কত দেখেছেন, কত হয়। উনি কেমন দেখতে আমাকে জিগাসা করলেন। আমি বললাম ইতনা লম্বা, ইতনা চওড়া। তো তিনি হাজির করলেন ইতনা লম্বা, ইতনা চওড়া দুই দুইজন ষন্ডা গন্ডা পুলিশ পেয়াদা টাইপ কিছু। ইতনা লম্বা, চওড়াকে ধরতে তো তেমন কাউকেই লাগবে। তাদেরকে বললেন আমাকে নিয়ে আমার স্বামীকে আশপাশ খুঁজে দেখতে।

আমি তাদের সাথে আবার উপরে গেলাম। দূর থেকে দেখি ভারী উদ্বিগ্ন মুখে ঘড়ি দেখছে আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন আমার হাজব্যান্ড। আমি দূর থেকে তাকে দেখেই চিৎকার করে উঠলাম। তর্জনী তুলে চিল্লাতে শুরু করলাম, ঐ যে ঐ যে আমার হাজব্যান্ড। ঐ ষন্ডা গন্ডা পেয়াদা দুজন চোখের নিমেষে গিয়ে তার দুইদিকে চেপে ধরলো। আমি দৌড়ে গেলাম তার কাছে। কান্নাকাটি, কোথায় চলে গিয়েছিলে আমাকে ফেলে?

আমার হাজব্যান্ড এতটাই অবাক যে কিছুই মিলাতে পারছিলেন না। ঐ দুজন লোক তাকে বকা ঝকাশুরু করলো। কই গেছিলেন বউকে ফেলে? এই বেচারী তো আপনার চিন্তায় কাঁদতে কাঁদতে মর গ্যায়া। আরও কি কি সব। আমার হাজব্যান্ড রাগবেন নাকি কাঁদবেন না কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না । উনি বললেন আমি তো ঠিক সময় মতই আসছি। আমি বললাম, কই? এই যে এখন দেখোতো কয়টা বাজে? সে বললো, ঠিকই তো বাজে। দেখি তোমার ঘড়ি। আমি ঘড়িটা দিলাম।
সে বললো তুমি তো ঘড়ির টাইমই পাল্টাওনি। এটা তো বাংলাদেশ টাইমেই আছে। চারিদিকে লোকজনের ভীড় লেগে গেলো। সিনেমা আর দেখবো কি নিজেই সিনেমা করে ফিরে এলাম আমরা।

আরও আছে এমন কত স্মৃতি গত চার বছরে। হুড়মুড় করে মনে পড়লো আজকে সকালে। এত অপরাধ, এত দোষ করেও আমার শ্বশুরবাড়িতে আমি এত আদর পাবো এটা ভাবতেই পারিনা আমি। আর আমার দেবতাতুল্য স্বামী , তার কথা আর কি বলবো? বলার ভাষাই খুঁজে পাইনা আমি। তার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আমার। সে কথা কখনও বলা হয়নি তাকে। বলা হবেও না হয়তো কখনও। শুধু জানি সব কথা বলতেই হবে এমন কথা নেই। কিছু জিনিষ না বলাতেও জানা হয়ে যায়।

আর একটা কথা আজও তাকে বলা হলোনা । কখনও বলা হবেও না হয়তো, বলেনতো কি সেই কথাটা?

কেউ বলতে পারবেন? :`>

মন্তব্য ১১১ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (১১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক শুভকামনা রইলো। আপনার বিবাহিত জীবনের দীর্ঘ পথ চলা আরও সুখের হোক, আনন্দের হোক। আর তিন শব্দের বাক্যটা বলা খুব বেশী জরুরী কিছুও না।

সব কথা কি মুখে বলতে হয়, কিছু কথা হয় চোখের ইশারায় !!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কান্ডারীভাই অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে।
আর কথাটা মনে হয় বলাই হবেনা কখনও। হা হা

চোখের ভাষাই সই।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাপনার বিয়ে এবং তৎ পরবর্তী কেচ্ছা পড়লাম । ভালোই লাগলো । অাপনাদের দাম্পত্যজীবন সুখী ও সমৃদ্ধ হোক । অামার জীবনের সবচে স্মরণীয় (এখন পর্যন্ত) ঘটনাটি ঘটেছিলো রাজশাহী থেকে ট্রেনযোগে ঢাকা অাসার সময় । সে অন্য কথা ।
(কিছু কিছু কথা না বলাই বোধহয় ভালো । অাপনি যে কথাটি বলতে পারেননি, অাপনার অাচরনেই ভাইসাহেব হয়তো বুঝেই নিয়েছেন) ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: বুঝেছেন নিশ্চয় নইলে কি আর এত দয়া দেখাতেন?

আপনার ঘটনাটি জানতে চাই। কবে জানাবেন?

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

প্রামানিক বলেছেন: হাজিরা দিয়ে গেলাম একটু পড়ে এসে পুরো পড়বো। ধন্যবাদ

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হাজিরার জন্য ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: স্মরণীয় করে রাখতে উপন্যাস অাকারে সাজানোর চেষ্টা করছি । দেখা যাক শেষ করতে পারি কিনা ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: শেষ হলে জানাবেন। আমরাও জানতে চাই।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২১

অগ্নি সারথি বলেছেন: হে হে হে। বিবাহ পরবর্তী অম্ল-মধুর বিব্রতকর ঘটনা গুলোয় মুচকি হাসি জানিয়ে গেলাম। শুভ হোউক দাম্পত্য জীবন।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা শুধু মুচকি না আমার এখন খুবই হাসি লাগে যখন মনে পড়ে সেসব কাহিনী।

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

লেখোয়াড়. বলেছেন:
হা হা হা ............ ইন্টরেস্টিংসসসসসসসসসসসস!!

শুভকমনা রইল সবসময়ের।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: এসব ইন্টারেস্টিং নিয়ে আমাকে যে কত অপদস্ত হতে হয়েছে একটা সময়।

৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

সুলতানা রহমান বলেছেন: শেষ থেকে বলি ………আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি, এই তো??

কান্ডগুলো পড়ে হাসতে হাসতে আমার চোখে পানি চলে এসছে।
প্রথম দিককার বর্ণনাটা একদম গল্পের মত, দারুণ!!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাদের এই বিবাহ বার্ষিকীতে ……
যুগ যুগ ধরে ভালবাসা টিকে থাকুক, কখনো যেন মনে না হয় ভালবাসা পুরান হয়ে গেছে।
ভালবাসার কথা মাঝে মাঝে বলতেও হয়। আবার শুভেচ্ছা, শুভকামনা।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: শুধু কি এসব? আরও কত কিছুই না করেছি। কলকাতা থেকে ফিরবার সময় বর্ডারে দেখি সে বড় বড় মাখনের বার। ছোট থেকেই আমার মাখনের প্রতি এক অন্য রকম দূর্বলতা রয়েছে। মাখনের কোমল শরীর আর মাখনের মত রঙ এ দুই ই আমি চরম পছন্দ করি। ছোটবেলায় ছোট ছোট নাবিস্কো বিস্কিটে মাখন লাগিয়ে খাওয়ার সেই অসাধারণ স্বাদ কি ভোলা যায়? সে মাখন আনতো আমাদের ননীদা বিশাল হাড়িতে করে পানিতে ভাসিয়ে। কলাপাতায় করে করে বিক্রি করতো সে আমাদের বাড়িতে।

তো সে সব মাখন দেখে আমি আমার স্বামীদেবতাকে বললাম, আমি কয়েকটা মাখন কিনতে চাই। সে অবাক হয়ে বলে, পাগল নাকি এসব তো বাড়ি যেতে যেতে গলে ভুত হয়ে যাবে। আমি মন খারাপ করে বসে রইলাম। স্বামীদেবতার একটু এদিক অদিক যাবার সুযোগে আমি তাড়াতাড়ি চুপি চুপি কিনে ফেললাম চার চার খানা ইয়া বড় বড় ইটের সাইজ মাখনের বার। তখুনি দেখি উনি আসছেন তাড়াতাড়ি চেয়ারের নীচে চালান করে দিলাম সেসব। উনি বললেন চলো চলো , তাড়া দিতেই আমি উনার পিছু পিছু বাধ্যগত বউ এর মত হাঁটা শুরু করলাম। কিন্তু পেছনে এক কুলীকে বললাম ভাই প্লিজ ঐ চেয়ারের তলে আমার কিছু মাখন আছে। এনে দেবেন ? সে বললো আচ্ছা। কিছুদুর যেতেই আমার সন্দেহ হলো কুলী যদি না আনে আমি আরেক জনকেও পথে যেতে যেত বললাম, প্লিজ ঐ পেছনে চেয়ারের নীচে কিছু মাখন আছে এনে দেবেন প্লিজ। আবার কিছুদূর যেতে আরেকজনকে। এই ভাবে ৪/৫ জনকে বলা হলো । মনের সন্দেহ তবুও গেলোনা। নাহ যদি ওরা না আনে। আমার এত সাধের মাখন!:(

তো আমাকে বসিয়ে রেখে উনি আবার গেলেন লাগেজ আনতে। ফিরে এসে বললেন , উফ কোন মহিলা যে মাখন রেখে এসেছে। পুরা ঐখানে মাখন মাখন করে শোরগোল পড়ে গেছে। সব কুলী মজুরেরা মাখন মাখন করে বাড়ি মাথায় করেছে। যত্তসব। আমি করুণ চোখে তাকিয়ে রইলাম। ঠিক এমন সময় ইয়া মুসকো এক কুলি এসে বলে,
এই যে ম্যাডাম ধরেন আপনার মাখখন। উফ এই মাখখন নিয়ে তো ৭/৮ জনে টানাটানি, কয় জনকে পাঠাইসিলেন হাহ?

আমি কুলীর রুষ্ঠ মুখের দিকে তাকিয়ে কি বলবো বুঝে ওঠার আগেই স্বামী দেবতা বললেন---

ও তুমি-ই -ই সেই মাখনওয়ালী!

আমি তখন.....:(

৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: এইসব দোষ? আপনি আসলেই ভীতু। এসব তো খুব সাধারন ব্যাপার। তবে শ্বশুর বাড়িতে যাবার পর সব মেয়েদেরই মনে হয় অন্য একটা ভয় কাজ করে। তাদের কেউ কেউ আপনার মত সবকিছুতেই নিজের দুর্বলতা খুঁজে পেয়ে সেগুলোকে কাভার করতে আপ্রান চেষ্টা করে, আর তখন পরিবারটা আসলেই পরিবার হয়ে ওঠে। আবার কেউ কেউ হয় হিন্দী সিরিয়ালের ক্যারেক্টারগুলোর মত, ঢুকবার সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় ভাঙ্গনের সুর। ওরা বোঝে না সবার সাথে একসাথে মিলে মিশে থাকাতে কত মায়া। আপনার পোস্ট পড়ে আমার এক বান্ধবীর কথা মনে পড়ছিলো, কয়দিন আগে বলছিলো ও জীবনে সবচেয়ে পছন্দ করে ওর শ্বশুরকে। কারন ওর শ্বশুর ওকে প্রচন্ড ভালোবাসে এটা ও বোঝে। আমি উদাহরন দিতে বললে বললো, আমি ঈদে একটা পাঞ্জাবী কিনে দিয়েছিলাম, সেটাই প্রতিদিন পরবে। কিংবা ওর সন্তান হবার পর সবাই বাচ্চাকে নিয়ে মাতামাতি করছিলো, কিন্তু ওর শ্বশুরই কেবল ওর জন্য এটা সেটা করছিলো। এর বাইরে তেমন কিছু বলতে পারেনি। বলছিলো, শিক্ষিত না তো তেমন, তাই সবকিছু বলতে পারে না, কিন্তু আমি বুঝি। এরকম মায়াময় পরিবারগুলোর কথা শুনতে ভালোলাগে।

আর সব কথা বলে বোঝাতে হয় না। যে কথা কেউ জানে না প্রিয় মানুষেরা ঠিকই জানে।

শুভকামনা রইলো। :)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা দোষ নয় তো কি? আপনি কি জানেন ? আমার নিজের বাড়িতেই আমি তখন খুব ছোট তবুও মনে আছে আমার। আমি দেখেছি আমার নতুন বিয়ে হয়ে আসা মামীকে পরদিন ভোরে উঠে গোসল করে কিচেনে পরোটা বানাতে দেওয়া হলো। নতুন বউ এ বাড়ির মত করে ঘিয়ে ঠাসা পরোটা না বানিয়ে অন্য স্টাইলে কোনা মুড়ে পরোটা বানালো কিনা এটা নাকি দোষের। আমি তখন নতুন বউ এর নথ ঝলকানো রুপে মুগ্ধ দর্শক তাকে নিয়ে আমাকে পিচ্চি ভেবে না পাত্তা দিয়ে আমার সামনেই তার নামে বদনাম আমার মোটেও ভালো লাগছিলোনা তবুও শুনতে বাধ্য হচ্ছিলাম।
এরপর দুপুরে সবাইকে খাবার পরিবেশনের সময় হাত ফসকে ভেঙ্গে ফেললো সে পোলাও ভরা ডিশ। এই নিয়ে সারাটা জীবনই বুঝি তাকে শুনতে হয়েছে প্রথম দিনই প্লেট ভাঙ্গে যে মেয়ে তার পদার্পনে এ বাড়ির আর কি মঙ্গল হবে।

আর আমার কথা বলছেন, আমি তো সত্যিই একটু ভীতু আর তাই অতি সাবধান হতে গিয়েই অনেক অঘটন ঘটিয়ে ফেলি। এমন ভাবে দরকারী জিনিস সাবধানে সরিয়ে রাখি যে দরকারের সময় খুঁজেই পাইনা। শ্বাশুড়ির এত দিনের সংসারে হঠাৎ কোনো ছোট্ট একটা বাসন কোসনও এধার থেকে অধার পরিবর্তন তিনি পছন্দ করেন না এটা বুঝেছিলাম অনেক পরে। সেসব নিয়ে সব সময় সাবধানে থাকতে গিয়ে বছর দুয়েক লেগেছিলো আমার। তারপর ধীরে ধীরে বুঝলাম । এটাও আরেক নতুন জীবন আর নতুন জীবনে সব নতুন করেই শুরু হয় আসলে। শুধু দরকার একটু ধৈর্য্যের যা শুধু আমারই না আমার ধারণা আমার স্বামীদেবতার আরও বেশিই ছিলো। সবচেয়ে অবাক করা এত দোষের পরেও সে কখনও আমাকে কিছুই বলেনি যে আমি দোষ করেছি কেনো? বরং আমাকেই বুঝতে দিয়েছে আমি কি করেছি।

আমার শ্বশুরও মনে হয় আপনার বান্ধবীর মতনই। আমার যে কোনো প্রয়োজনে পাশে পেয়েছি তাকে। একদিনের ঘটনা বলি, শ্বাশুড়ি বাড়ি ছিলেন না। আমি তাকে চিতলমাছের ঝোল আর কি যেন এক তরকারী খেতে দিলাম। তিনি বললেন আমাকেও তার সাথে বসতে। সাধারণত আমরা দুজন একসাথে খাই কিন্তু উনার কথা শুনে উনার সাথেই বসলাম সেদিন। তিনটা মাছের থেকে উনি একটা প্লেটে নিলেন আর আমি একটু পরে আরেকটা। উনি বললেন ছোটটা নিলে কেনো? আমি তোমার জন্য বড় টুকরোটা রাখলাম। আমার নিজের কাছেই এত লজ্জা লাগলো আমি নিজেও খেয়াল করিনি কোনটা বড় ছিলো তাহলে আমারই তো উচিৎ ছিলো উনি নেবার সময় সেটা তাকে খেতে বলাটা।

এছাড়া আমি একবার রান্নার বুয়া ছিলোনা সে সময় অনেক শখ করে এটা সেটা রাঁধতে বসেছিলাম। আমার খুঁটিনাটি ছোট ছোট নানা ভুল আমার শ্বাশুড়ির পছন্দ হয়নি আর তিনি সেটা বেশ বুঝিয়ে দেওয়ায় আমি একটু হলেও মন খারাপ করতে যাবার আগেই আমার শ্বশুর এবং দেবর তাদের প্রশংসা বাক্যে বা সহযোগীতায় বুঝিয়ে দিয়েছেন আমরা তোামর পাশে আছি। শ্বাশুড়ির কথা মন খারাপ করোনা। আমি যেহেতু মিউট থাকতে জানি এটাই নাকি আমার সবচেয়ে বড় গুন এই কথা বলেছেন আমার এক ননাসের হাজব্যান্ড। আর আমারও সেটাই মনে হয় নইলে যাই বলেন আর তাই বলেন হিন্দী সিরিয়ালের ক্যারেক্টার বাংলাদেশের বাড়িতেও কম বেশি দেখা পাওয়া যাবেই।

তবে ঐ যে ধৈর্য্যই সকল সুখের গুণ আর একটু চুপ থাকা । কথায় আছে বোবার শত্রু নেই। আসলেও তাই কদিন বোবার সাথে যুদ্ধ করা যায় বলেন? যদি আপনি জেনেও যান আপনার সাথে আছে পরিবারের সবাই মানে বেশিভাগ মানুষই। আপনার বান্ধবীর জন্য রইলো শুভকামনা।

আর আমার প্রিয় মানুষটি আমার না বলা কথা জানে কিনা জানিনা তবে না জানলেও আমার তেমন সমস্যা নেই ভালোই তো আছি তাহার সাথে।

সবশেষে একটা অপ্রাসঙ্গিক কথা। আপনার কথা বলা মানে আপনার কমেন্ট স্টাইল খুব পরিচিত লাগছে। মনে হয় এমন কিছু আগেও কেও বলেছিলো আমার অন্য কোনো পোস্টে।

আপনাকে কি আমি চিনি?

ভালো থাকবেন অনেকখানি। শুভকামনা রইলো।

৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

নেক্সাস বলেছেন: দাম্পত্য জীবনের স্মৃতি দিয়ে গড়া স্মৃতি কথন ভাল লাগলো। সামনের জীবনও এমন মজার মজার স্মৃতি দিয়ে ভরা থাকুক।
তবে একটা কথা কি এক হাতে তালি বাজেনা। কোনদিন বাজেনা। আপনি যত বোকামী, কিংবা ছেলেমানুষী ভুল করেন না না কেন আপনার অজান্তেই আপনার ভিতরে এমন কিছু ভাল দিক আছে যেটা আপনার হাব্বি, শাশুড়ি নোটিশ করেছে। হয়তবা আপনার সারল্য, হয়তবা মানুষ কে আপন করে নেওয়ার আপনার ভিতরে প্রচন্ড শক্তি, হয়তবা হাব্বি কি খুব নগন্য ছোট ছোট কিন্তু খুব কাঙ্খিত খুব প্রিয় অনুভুতি গুলো দিয়ে আপনি ভরিয়ে রাখতে পারেন। তাই সবাই আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছে
একান্ত ভালবাসায়। তাই তারা আপনার কাছেও দেবতুল্য।

ভাল থাকুন পারাবারিক ভালবাসায়।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আমার মত এত ভুল মনে হয়না আর অন্যেরা এত করে। আমি বেশি সাবধান হতে গিয়ে বেশি ভুল করি। এখন বাড়িতে নতুন বউ এসেছে। সে বিষম সাহসী। বিয়ের বয়স বছর গড়ায়নি অথচ তার বিষম সব সাহসিনী কর্মকান্ড দেখে তাক লেগে যায় আমার। একদিন লিখবো তার কথা।

তাদের অবশ্য লাভ ম্যারেজ তাই আগে থেকেই চেনা জানা। আর আমার পতিদেবকে তো আমি বিয়ের দুইদিন পরে চেহারা দেখেছি তাও যদি ফুলদানী না ভাঙ্গতো আর আমার এত ভয় না লাগতো তো দেখাও হত না।

আপনার জন্যও অজস্র শুভকামনা নেক্সাস।

১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ওফ আপু আপনি পারেন ও বটে, অনেক সুন্দর একটা জীবন আপনাদের, বাকী জীবনটাও যেন এভাবে কাটে সেই দোয়া রইল।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ মাহবুবুল আজাদ। আপনার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করি।

১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

মানবী বলেছেন: হ্যাপি এ্যানিভারসারি আমি ময়ুরাক্ষী আর মিস্টার আমি ময়ুরাক্ষীকে :-)

আপনি খুব ভালো মেয়ে আপু, আর আপনার স্বামী মনে হলো দেবতুল্য!
"অতি বড় ঘরনী না পায় ঘর, অতি বড় সুন্দরী না পায় বর" প্রবাদটি আপনাদের ক্ষেত্রে ভুল প্রমানিত, একদম মানিকজোর মনে হলো। একে অপরের প্রকৃত সম্পূরক আপনারা!

কলকাতার লোকজন বাংলা না বলে হিন্দী কথা বলে জেনে মজা পেলাম তবে বেচারা স্বামীর উপর অমন অতর্কিতে ষন্ডা মার্কাদের আক্রমণে ভড়কে যাবারই কথা :-)

আপনাদের দুনজনের জন্য আন্তরিক শুভকামনা আর চমৎকার পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ মানবীআপা।

হা হা আমি অতি বড় ঘরনীও না , অতি বড় সুন্দরীও না। তবে ভুলে ভালে, ভয়ে ভীতিতে এবং ভালোবাসায় ভালোই কাটছে আমাদের।

কলকাতার কিছু লোক বাংলা বলতেই চায় না। যেমন ঐ পুলিশগুলা ছিলো। আমি বুঝিইনা কিছু।

অনেক কষ্টে হিন্দী বাংলা মিলিয়ে যা বলেছিলাম তাতে তো ষন্ডা গন্ডা ভেড়িয়ে দিলো হাজব্যান্ড ধরে আনতে।

আপনাকেও অজস্র ধন্যবাদ লেখাটি পড়বার জন্য।

১২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

জুন বলেছেন: আরো অনেক অনেক বছর পরেও আপনি যেন এমন করেই আপনার জীবনের মধুর দিনগুলোর কথা লিখতে পারেন সেই শুভ কামনাই করি আমি ময়ুরাক্ষী। মাখনের কাহিনী পড়ে অনেক মজা পেলাম।
+

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ আপা। ভালো থাকবেন।

১৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: অবশ্যই ভাল । তবে কতাটা ভাল তা প্রকাশ করতে পারলাম ভাষা দিয়ে ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা ধন্যবাদ দেবজ্যোতিভাই। আমি আজ লগ করে সত্যিই আপ্লুত হলাম সকলের কমেন্টগুলি দেখে। আর লজ্জা পাচ্ছি এত মানুষ এত কিছু বলেছেন কিন্তু আমি তার জবাব দিতে পারিনি বলে।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো অজস্র।

১৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: উপরের লেখায় একটু ভুল আছে 'পারলাম'-এর জায়গায় "পারলাম না" হবে

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: বুঝতে পেরেছি ভাই। ধন্যবাদ অসংখ্য।

১৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তরে আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম সেটা সুলতানা আপু বলে দিয়েছেন, আর সেজন্য ওনার উপর ভীষণ হিংসে হচ্ছে! আহরে, ক্যান যে আপুটার আগে মন্তব্য করতে পারলাম না (মুখ ভার করা ইমো হবে)!


তবে আপনার বৈবাহিক জীবনের প্রথম ঘটনাটা পড়ে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভাল লেগেছে! কারণ উক্ত ঘটনা আমার এক চাচাতো আপুর জীবনেও ঘটেছিল! আর আমি ছিলাম তার স্বাক্ষী! ঐ যে বউয়ের সাথে দু'একজন করে যায় না? আমি গিয়েছিলাম আমার ঐ আপুর সাথে! আর সেই ঘটনায় আমি আর আমার আপুর সে কি হাটু কাঁপা-কাঁপি অবস্থা! পরে কেউ যাতে হঠাৎ বুঝতে নাপারে সেজন্য দোকান থেকে একটা জাপানী আঁটা নিয়ে এসে ফুলদানীটা আবার ঠিক করেছিলাম! আর সেই গল্প পরে দুলাভাইয়ের সাথে বলাতে সবাই সেকি হাসাহাসি.......!!


শুভ কামনা আমার প্রিয় আপুটার জন্য! আর দুলাভাইকে সালাম জানাবেন!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা শেষের প্রশ্নের উত্তর আসলে সকলেরই জানা। আর অনেকেই যে এমন ভুক্তভুগী তাও অনেকের কমেন্টেই বুঝা যাচ্ছে।

আপনার আপুর জন্য শুভকামনা।

বিয়ের পর কে কি ভাবলো, কার মন যুগিয়ে চলতে হবে এসব ভাবতে ভাবতেই অনেক বউদের অবস্থা একটু বেগতিক হয়ে যায়। আর এ ব্যাপারে সবচেয়ে বড় যে কারণটা তা হলো বাবার বাড়ি থেকে আগে থাকতেই শ্বশুর বাড়ি নিয়ে ভীতি ঢুকিয়ে দেওয়া।

আমি যেদিন শ্বশুরবাড়ি এলাম। মাথায় ঘোমটা ফেলে বসে ছিলাম। সন্ধ্যায় আমাদের এক আত্মীয়া এলেন। মানে আমার বাবার বাড়ির। একটু আড়াল হতে তিনি বললেন, ঘোমটা দে গাধী। ঘোমটা ছাড়া কেউ শ্বশুর শ্বাশুড়ির সামনে ঘোরে নতুন বউ?

আমি তড়িঘড়ি ঘোমটা টানলাম। বাবা না জানি কি ভুল হয়ে গেছে ভেবে।

১৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

সুমন কর বলেছেন: কথাটি তো সবাই বলে দিয়েছে কিংবা উনি জানেন'ই। না জানলে এ লেখাটা আজ রাতে ভাইয়াকে পড়তে দিয়েন (মন্তব্যগুলোসহ)। ;)

আপনার ঘটনাগুলো পড়ছিলাম আর হাসছিলাম....দারুণ অভিজ্ঞতা !!

আপনাদের বিবাহিত জীবন এমন অানন্দে ভরে থাকুক সারা জীবন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: না না তাকে পড়তে দেওয়া যাবেনা। তাহলে এমনিতেই যে লাজুক হয়তো প্রয়োজনীয় কথা বলাও বন্ধ করে দেবেন।

আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ সুমন কর। ভালো থাকবেন।

১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: সব পরিবারই এমন। সন্তানদেরও কেউ হয় চুপচাপ, কেউ দুরন্ত। দেশে আওয়ামীও থাকবে বিএনপিও থাকবে, দুনিয়াতে ভারতও থাকবে পাকিস্তানও থাকবে। আপনার শাশুড়িকেও ভালো মানুষই মনে হইলো, একটু ডমিনেটীং এই যা। উনি হয়তো পছন্দের ব্যাপারগুলো মুখে বলা পছন্দ করেন না। আর চুপ থাকা এবং সহনশীলতা একটা বড় গুন। মনে হতে পারে যে এটার জন্য ভুগতে হয়, কিন্তু আমার মনে হয় এই ধরনের মানুষদেরই অন্যরা বেশি পছন্দ করে।

আর অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন অপ্রাসংগিক ভেবে এড়াইলাম। এটা গুরুত্বপুর্ন কিছু না। সবসময়ের জয় শুভকামনা রইলো। :)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: না উনিও বেশ গুরু গম্ভীর এবং চুপচাপ তবে একটু খুতখুতে। বাড়িতে এখন নতুন আরেকজন এসেছেন। খুবই চঞ্চল আর ছটফটে স্বভাবের এক মজার মেয়ে। সে অনেক কথা বলে এবং আগ বাড়িয়ে অনেক কাজও করে ফেলে তবুও আমার শ্বাশুড়ির তার কোনো কাজই পছন্দ হয় না।
যেমন একটা এক্সামপল দেই, বিয়ের পর থেকে উনার বিছানা আমি টান টান করে পেতে দেই রোজ সকালে। এখন নতুন বউ আসার পর আমি এটা করি দেখে সেও আগ্রহী হয়ে একদিন বিছানার বেটশিট পাততে গেলো। কিন্তু বিছানার মাঝের ফুলটা কিছুতেই ঠিকঠাক বিছানার মাঝ বরাবর হচ্ছিলোনা আর এটা আমার খুতখুতে শ্বাশুড়ির পছন্দ হবার কথাও নয়। তবে উনি সেটা ডাইরেক্ট মুখের উপর বলেননি মেয়েটার আর তাই তারপর কি হলো? নতুন বউ এর আগমনেও আমার এই ডিউটি কমলোনা। শ্বাশুড়ি আমাকে আড়ালে ডেকে বললেন, বউমা তুমিই আমার বিছানাটা করে দিও । ও তো ছোটমানুষ তাই ঠিকঠাক পারছেনা। আমি আর কি করবো বললাম, তাই হবে।

বড় বউ হিসাবে আর বোবা হিসাবে বেশ কদরও পাওয়া যায়। এটাও বেশ মজার অনুভুতি।

১৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

প্রামানিক বলেছেন: আপনার পুরো লেখাটাই পড়লাম। পড়ে খুব মজাই পেলাম, তবে আপনার শেষের না বলা কথাটার উত্তর কি হবে সেটা চিন্তা করেও পাচ্ছি না। কারণ, আমার এই গোবর মাথা অনেক কিছু বুঝতে পারে না।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: প্রামানিকভাই আপনি অন্যদের থেকে শুনে নেন। আমিও আপনাকে বলতে পারবোনা।

১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

তিমিরবিলাসী বলেছেন: লেখায় কমেন্ট এ অনেক ভাল লাগা।
শুধু একটা জিনিস খারাপ লেগেছে আপু কমেন্ট এ সিরিয়াল ঢুকিয়ে দেওয়া …আপু, আপনি তো একটু প্রতিবাদ করতে পারতেন।
শুভকামনা।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ ভাই। আর সিরিয়াল দেখে বোকা হবে এমন বোকা মনে হয় না আমাদের বাংলাদেশের বউরা।

২০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

পুলহ বলেছেন: আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি- একজন ভালো লাইফ পার্টনার পাওয়াটা বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়! আপনি নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান।
ভালো থাকবেন! সৃষ্টিকর্তার করুণা আপনাদের ঘিরে থাকুক, ভালোবাসায় উদ্ভাসিত হোক আপনাদের বাকি জীবন!
অনেক শুভকামনা রইলো আপু ! :)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ পুলহ। আর বিজয়ী হবার জন্য অভিনন্দন।

২১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:





হাহাহা... তিনটি ঘটনা দিয়ে অন্তত তিনটি পোস্ট দেওয়া উচিত ছিল :)
বড়ই সাসপেন্স! বিশেষত ওয়াশিং মেশিন এপিসোড ;)

আহা.... কত মিষ্টি করে শুরু হয় দিনগুলো.... সেরকমই যেন রয় :)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ঘটনার শেষ নেই ভাই। এত ঘটনা মনে পড়ে লিখতে গেলে এপিসোডের আর শেষ হবেনা ।
বেবি হবার পরেও ঘটেছে নানা হাস্যকর সব ঘটনা।

আরেকবারের ঘটনা শুনেন, আমি আর সে কি করে যেন মনস্থির হলো আমরা ফ্যান্টাসী কিংডম যাবো। আমি কখনও কোনো রাইডে চড়িনি তার আগে। তো প্রথমেই ম্যাজিক কার্পেট আমার খুব ভালো লাগলো। আমি মুখ ফুটে কিছু না বললেও সে বললো, চড়বা? আমি একটু লজ্জা লাগছিলো তবুও বললাম ওকে। তো উঠার সময় দেখি তিনি উঠবেন না আমাকে একাই উঠতে হবে। একটু অভিমানও হলো তবুও বোবা বলে কিছু বললাম না । মেনে নিলাম তার কথা। একাই চড়ে বসলাম। আমি যেখানে বসেছিলাম সেখানে এক ছেলে আগে থেকেই ছিলো, আমি বসতে আরেকজন এসে ধপ করে আরেক পাশে উঠে বসলো। কি আর করা ম্যাজিক কার্পেট তো আর আমার বাবার বাড়ির না কাজেই একটু কাঁটা হয়ে বসে রইলাম চেপে চুপে।

কিন্তু আলাদীন ম্যাজিক কার্পেট চলা শুরু করতেই আমার কাটা ফাটা সব কই গেলো? আমি চিৎকার। মানে যে সে চিৎকার না গগণ বিদারী চিৎকার শুরু করলাম। সাথে দুইদিকের দুই ছেলের জামা চেপে ধরে সেই চিৎকার।তারা বলে আপা ছাড়েন , ছাড়েন। আমি কোনো কথাই কানে তুলি না। ম্যাজিক কার্পেট একবার উঠে আবার বিভৎস্য রুপে নেমে আসে আমিও ওদের শার্ট ছিড়েই ফেলার দশা।

পরে যখন রাইড থেকে নেমে কাঁচু মাঁচু মুখে, উড়ু উড়ু চুলে আমার হাজব্যান্ডের সামনে এসে দাঁড়ালাম। উনি হেসে ফেললেন। বললেন, কি করেছো?? তোমার পাশে যারা বসেছিলো তারা তোমার আগে রাইড থেকে নেমে আমার পাশে দিয়েই যাচ্ছিলো, বলছিলো, এক মহিলা উঠছে, এমন চিল্লানী শুরু করছে! ধুর! রাইডে চড়াটাই মাটি হলো । আর একটু হইলে জামাজুমা সব ছিড়া ফেলতো। এমন মানুষ যে কেন আসে আল্লাহ জানে....

২২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: না বলা কথাটা কী আমিও বলব আপুনি? "আমি তোমাকে ভালোবাসি" নিঃসীম...
এটাইতো?
প্রথমে ভাবছিলাম শুধুই গল্প।পড়তে পড়তে দেখতেছি আপুনিরই জীবনের খণ্ড খণ্ড গল্প। এই সর্বশ্রেষ্ঠ শুভদিনে আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই...আর আগামীর দিনগুলোও এরকম দারুণ কাটবে অবশ্যই। দৃশ্যগুলি পড়তে গিয়ে আমার আপুর বিয়ের সময় খুব কাছ থেকে যা দেখছি সেই দিনের কথা খুব মনে পড়ে গেল...

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ রুদ্রভাই।

২৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: প্রথমেই বলি যে ওয়াশিং ম্যাশিন এর ঘটনায় হাসতে হাসতে চোখে পানি এসে গেছে। আপনি খুব নার্ভাস ছিলেন। একটু বেশিই তাই না? তবে আপনার লেখাটা পড়ে ভাইয়ার (আপনার হাবি) প্রতি একধরনের শ্রদ্ধা জন্মে গেল। তবে ভালোবাসা যেখানে প্রবল ছোট ছোট ভুল সেখানে সম্পর্ককে দৃঢ় করে। আমি চাই আপনি ভুল করুন বারবার। আর এ ও চাই যেন সেই ভুলগুলো যেন ভাইয়া লুকিয়ে রাখুক ভালোবাসার অন্তরালে।

সুমন কর বলেছেন: কথাটি তো সবাই বলে দিয়েছে কিংবা উনি জানেন'ই। না জানলে এ লেখাটা আজ রাতে ভাইয়াকে পড়তে দিয়েন (মন্তব্যগুলোসহ)। ;)

দাদার সাথে আমিও একমত। ভালো থাকুন আপু। সবসময়।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আমার দোষ ঢাকতে ঢাকতেই তার জীবন গেলো।
তবে শুধু উনি নন, আমার শ্বশুরবাড়িতে একেকজন একেকরকম মানুষ। যাদের ভালোবাসা চোখে দেখা যায়না শুধুই সময় আসলেই ফিল করা যায়। একবার রোজার সময় আমি ইফতার বানাচ্ছিলাম তড়িঘড়ি। হঠাৎ শরবৎ বানাতে গিয়ে হাত থেকে শ্বাশুড়ির পানি খাবার গ্লাস পরে চুরমার।সেখানে ছিলো ছোট দেবর। সে রোজা ছিলো না। শ্বাশুড়ি আসার আগেই সে গ্লাসটার টুকরো গুলো কুড়োতে লাগলো। শ্বাশুড়ি এসে জানতে চাইলেন কি হলো? কেমন করে হলো? আমি কোনো উত্তর দেবার আগেই সে বললো, আমি পানি খেতে গিয়েছিলাম। নিজের গ্লাস নিতে গিয়ে হাতে লেগে তোমার গ্লাসটা পড়ে গেছে মা। শ্বাশুড়ি এত ধাড়ি ছেলের এ হেন কীর্তিতে এক গাদা কথা শুনিয়ে চলে গেলো।

এইসব ভালোবাসা কোথায় রাখবো বলেন?

২৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
মন ভাল করে দেয়া লেখা!
অভিনন্দন আর এত্ত এত্ত শুভকামনা ময়ুরাক্ষী || :)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: মুনভাই অজস্র ধন্যবাদ।

২৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:

বাংলা ভাষায় এমন লিখাই বাংলা সাহিত্য।
সত্যিই ভালো লাগল লিখিকা'র আজকের লিখাটি।
লিখিকা'র প্রতি সুভকামনা রহিল।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ ভাই।

২৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

কল্লোল পথিক বলেছেন: বেশ হয়েছ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

২৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার বিয়ের পরের ঘটনাগুলো পড়তে। সেসময়ে হয়তো আপনার ভয়ে আত্মা শুকিয়ে গিয়েছিলো কিন্তু এখন নিশয়ই ভালো লাগে এটা ভেবে কেন এতো অহেতুক ভয় পেয়েছিলেন। সবাই তো খুব ফ্রেন্ডলি।
আপনাদের জন্য রইলো বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা মন্ময়। এখনও নানা কান্ড ঘটায়মান এবং মাঝে মাঝেই নিজেরই হাসি পায় নিজের কান্ড দেখে।

২৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সুলতানা আপু তো বলেই দিল, শেষ কথাটা কী হতে পারে। বলে দেন। ;)

কোন স্মরণীয় ঘটনাকে ধরে রাখার জন্য সবচেয়ে সেরা মাধ্যম হলো লিখে ঘটনাকে আঁটকে রাখা। চমৎকার ভাবে লিখেছেন।

দেরীতে হলেও বিবাহ বার্ষিকীরর শুভেচ্ছা। :)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ অজস্র। আমিও লিখেই ঘটনাকে আটকে রাখতে চেয়েছি।

২৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

ধমনী বলেছেন: হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাটা বেশি মজার লেগেছে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা আমি তো আতঙ্কিত ছিলাম।

৩০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

এস কাজী বলেছেন: যেই কথাটি বলা হল না সেই কথাটি বলে ফেলুন না আপু একদিন?? ;)

ভাল লাগল। আজকাল অনেক মা বাপ বা চাচা চাচী মামা মামীরা বলে দেয়না শ্বশুর বাড়িতে কাকে কিভাবে ট্রিট করতে হয়। দুঃখিত আমি ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বললাম। তবে শুনে ভাল লাগলো আপনার মুরুব্বীরা বলেছে সেটা।

আপনার গল্প পড়তে গিয়ে একটা মজার কথা মনে পড়ে গেল। আমার আপুর বিয়ের রাতে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে আমি, আপু, আপুর বর আর আপুর ভাসুরের মেয়ে নাস্তা করেছিলাম। হাহাহাহা। গ্রামে নিয়ে যাচ্ছিল। জ্যামে পড়ে পথে খিদা লেগে গেসিল। অবশ্য আপুর আগেই আকদ হয়ে যাওয়াতে পথে তেমন প্রবলেম হয়নি। বর তো পুরনো ছিল। হাহাহহা


মাইনুল ভাই বলেছেন ৪ টি ঘটনা নিয়েই আলাদা আলাদা পোস্ট দেয়া যেত। মনে হয় আরও অনেক কিছু জানা যেত। হাহাহা।

ভাল থাকবেন সবসময়। :)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আমার বাড়ির মা চাচীরা এত উপদেশ দেন । এখনও যে আমি তাল গোল হারিয়েই ফেলি। ধন্যবাদ এস কাজী মন্তব্য ও পড়বার জন্য।

৩১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সম্ভবত আপনার কুইজের আনসারটি দেয়া হয়ে গেছে। আপু, আপনার লেখার প্রাঞ্জলতা রীতিমত ইর্ষণীয়। অনেক অজানা কিছুই গোচরে চলে আসলো। বিশেষ করে বিয়ের পর একটি বাঙালি মেয়ের মানসিক অবস্থাটা কিরকম হতে পারে সেটা আমার কাছে নতুন লাগলো। কালই পড়া হয়েছিল। কিন্তু সময় ঘাটতির জন্য জানাতে পারিনি।

হ্যাপি ব্লগিং। আপনার বাবুর জন্য রইল অনেক অনেক আদর।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার। আমার লেখা, এসব মনের চেপে রাখা কথন। সাহিত্যের মান বিচারে এসব কিছুই না। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ প্রশংসার জন্য।

৩২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি ময়ূরাক্ষী ,




যেন ময়ূরের মতোই পেখম তুলে নেচে নেচে গেছে আপনার সোনালী দিনগুলোর কথা । দারুন ঋজু হাতে একজন ময়ূরাক্ষীর জীবনে একবারই আসা একটি মধুর দিন আর তার পরবর্তী আরো স্মৃতিময় কিছু চুমকি দিয়ে সাজিয়েছেন পোষ্টের এই আঁচলখানি । গল্পের ময়ূরাক্ষীর বিয়ের শাড়ীর মতোই বর্ণময় আভা ছড়িয়ে গেছে যেন তা ।

এ আভা ছড়িয়ে যাক আরো দীর্ঘপথ । সে আলোয় আপনাকে যেন চিনে নিতে পারি এমনি করেই ....................

শুভেচ্ছান্তে ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আহমেদ জি এস ভাই
বিয়ের জরি চুমকি শাড়ির কথা বলেছেন, এটা পড়েই মনে পড়লো আরও একটি ঘটনা।
গায়ে হলুদের পর বিয়েতে ছেলে পক্ষ থেকে যে গোসলের শাড়িখানি দেওয়া হয়, আমার সেই শাড়িটি ছিলো জরির ফিতে আর চুমকি দিয়ে ভরপুর কারুকার্য্যময়। তো হলুদের পর যখন গোসল করানো হলো ঐ ভুতুড়ে হাড় কনকনে শীতে তখন কি দশা ছিলো ভাবুন একবার। তারপর আমাকে পরানো হলো সেই গোলাপী রঙ জরি চুমকির শাড়িটি। শাড়িটি কেন যেনো আমার মুরুব্বী স্থানীয় মাতৃকুলের একেবারেই পছন্দ হলোনা। তারা একটু নাক সিটকাচ্ছিলো, এটা সেটা বলছিলো মানে কি একখান শাড়ি দিলো, ওদের রুচির .... ..... .......

কিন্তু আমার আবার তাদের কথা একদম পছন্দ হচ্ছিলো না আমার সে শাড়িখানি আমার খুবই ভালো লেগেছিলো। কত সুন্দর ঝিকমিক তারা জ্বলছিলো সেই শাড়িতে। প্রতিবাদ করতে পারিনি বা মুখে বলতেও পারিনি যে , কি বলছো এসব আমার তো এ শাড়ি অনেক ভালো লেগেছে।এ কথা বললে নির্ঘাৎ আমার আত্মীয়াকুল আমাকে বকা দিতেন , বলতেন এই রে বিয়ে না হতেই শ্বশুরবাড়ির উপর এত দরদ?

৩৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: So cute a post. So cute Apu :P

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ মায়াবী রুপকথা। শুভকামনা সর্বদা।

৩৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

টোকাই রাজা বলেছেন: আমার বিয়ের প্রায় ০৯ বছর চলল, আজও আমি ওর মুখ থেকে আমি তুমাকে .............. এই কথাটা শুনতে পারলাম না।
চমৎকার পোস্ট ও দেরীতে হলেও বিবাহ বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা রইল।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: এই কথা বলা আসলেও অনেকের জন্যই কঠিন ভাই। তাতে অবশ্য বিশেষ সমস্যা নাই। আপনাদের জন্যও শুভকামনা রইলো।

৩৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আবহমান কাল থেকে চলে আসা এক বাঙ্গালী বঁধুর প্রতিকৃতি ।
চমৎকার লাগলো আপনার জীবন কাহিনী ।

আপনারদের হারিয়ে যাওয়ার অংশে খুব টেনশনে ছিলাম ।
সে বললো তুমি তো ঘড়ির টাইমই পাল্টাওনি। এটা তো বাংলাদেশ টাইমেই আছে। চারিদিকে লোকজনের ভীড় লেগে গেলো। সিনেমা আর দেখবো কি নিজেই সিনেমা করে ফিরে এলাম আমরা।

এইখানে এসে হেঁসে দিয়েছি ।

হাঁসি দেখে আপনার ভাবী কয় ,''এর মাথা পুরাই গেছে !'' :P

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা ভাবীকে আমার সালাম দেবেন। শুভকামনা আপনাদের জন্য গিয়াসভাই।

৩৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লেখাটা খুব এনজয় করেছি, এটুকু শুধু বলছি

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ভালো থাকবেন আরন্যক রাখাল। শুভকামনা রইলো।

৩৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ডি মুন বলেছেন: হা হা হা
খুব মজার মজার ঘটনা। :)

আনন্দময় হোক আপনাদের সারাজীবন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো ডি মুন।

৩৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হা হা হা । স্মৃতির কিছু অংশ খুব মজা করে লিখেছেন। অনেক মজা পেলাম।

বিয়ে বার্ষিকীর শুভেচ্ছা।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: রুহীআপা স্মৃতি যত বেদনারই হোক একটা সময় সেটা কোনো না কোনো ভাবে মানুষকে আনন্দ দেয়। অজস্র ধন্যবাদ।

৩৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

Ahmed Musa বলেছেন: লেখার হাত ভাল

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন মুসাভাই।

৪০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: উফ! মনে হচ্ছিলো এতক্ষণ যেন শরৎচন্দ্রের কোন নায়িকার কাহিনী শুনছিলাম। এক নিঃশ্বাসে পড়লাম, সন্দেহাতীতভাবে প্লাস ও প্রিয়, দুটোতেই রাখলাম। আপনার লেখা খুবই অল্প পড়েছি, তবে মনে পড়ছে ইতোপূর্বে গামছা বিষয়ক একটা লেখা পড়ে এত ভালো লেগেছিল যে সেটাকেও প্রিয়তে রেখেছিলাম। সত্যিই, আপনার লেখা খুবই প্রাঞ্জল আর হৃদয়গ্রাহী হয়ে থাকে।
আপনার সহজে 'মিউট' হয়ে যেতে পারাটা আমার মনে হয় আপনার শশুরবাড়ী বিজয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। এটা যতদিন সাথে আছে, ততদিন অশান্তির কোন ভয় নেই।
আমার মনে হয়, আপনার এ লেখাটা পড়ে পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে পাঠকমাত্রই একবার অন্ততঃ পেছন ফিরে নিজেদের বিশেষ দিনটার কথা স্মরণ করবেন। আর একমাস পরে আমাদের ৩৬তম বার্ষিকী হতে যাচ্ছে। এই ৩৬ বছরে আপনার অনুক্ত ঐ তিনটে শব্দ একবারের জন্যেও আমি আমার প্রিয়তমার মুখে শুনিনি। কিন্তু তাতে কী? আমার, আমার সন্তানদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আর আমার সংসারের প্রতিটি আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে তার ভালোবাসার, মায়া মমতার আর স্নেহের পরশ। সব কিছু মুখে বলে জানানোর প্রয়োজন হয়না।
কোলকাতায় হারিয়ে যাবার ঘটনায় বেশ টেনশনে ছিলাম। এরকম ঘটনা আমাদের ক্ষেত্রেও বহুবার ঘটেছে। ফিরে পাবার পর স্বস্তির অনুভূতিটা অতুলনীয়।
আপনার স্বামী বা শশুড় কি আর্মিতে ছিলেন/আছেন? শাশুড়ীর সিএমএইচে যাবার কথা শুনে মনে হলো কথাটা।
অত্যন্ত সুখপাঠ্য একটা লেখা উপহার দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেকেই ব্লগে ব্যক্তিগত জীবনের স্মৃতিচারণ করতে চান না। আপনার এ সাহসী প্রয়াসের প্রশংসা না করে পারছি না।
পরিশেষে, হ্যাপী এ্যানিভার্সারী! আপনার এবং আপনার ভালোমানুষ পতি দেবতার জন্য আন্তরিক দোয়া ও শুভকামনা রইলো।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: খায়রুলভাই আপনার মন্তব্যগুলি এমনই আন্তরিক যে আমি জবাব দেবার ভাষা খুঁজে পাইনা। হ্যা এমন লেখা পড়লে আমারো নিজের জীবনের গল্পগুলিই মনে পড়ে। আর ৩৬ বছরে যা শুনেননি তা আর কখনও শোনা না হলেও আপনি জানেন সেই কথাটা তার হৃদয়ে গাঁথা আছে। সব কিছু মুখে বলে জানানোর প্রয়োজন হয়না। অতি সত্যিই বলেছেন।

আর কলকাতায় ঘড়ির টাইম না চেঞ্জ করাতেই যে বোকামীটা করলাম তাতে এটা প্রমানিত যে আমি অল্পে উদ্বিগ্ন করে যাই আর তাই এমন সব বোকামী করি।
না উনারা আর্মীতে ছিলেন না তবে আমাদের অন্যান্য আত্মীয়েরা থাকায় আমরা সি এম এইচের সেবা নেই।

অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে এমন ভুয়সী প্রশংসায় আপ্লুত হচ্ছি।

৪১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনশ্চঃ
সবার উপরে দেয়া চমৎকার ছবিটা খুবই ভালো লেগেছে। অতীব সুন্দর!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ খায়রুলভাই। ভালো থাকবেন।

৪২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অজস্র শুভকামনা রইলো।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনাদের জন্যও শুভকামনা। নতুন বছর আনন্দে কাটুক।

৪৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫

লেখোয়াড়. বলেছেন:
আমার ওই দিকে শায়মারও বিয়ে হচ্ছে।
এবার আপনার মতো পড়বে গ্যাঁড়া কলে বেচারি!!

আবারো আপনাকে শুভকামনা।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আজ লগ করে এই মন্তব্যটি দেখে সবার মন্তব্য স্কিপ করে এখানেই আসতে হলো?
সত্যি নাকি? আমাদের সবার আদরের শায়মার বিয়ে? এখুনি তাকে আশীর্বাদ করে আসছি। গেড়াকলে পড়লেও যেন সে আমার মত বোবা হয়ে থাকতে শেখে। তবে সে কি তা পারবে? যা কথা বলে মেয়েটা?( ফান) চুপ থাকতে পারলে আর যেখানে যে সমস্যাই হোক না কেনো শ্বশুরবাড়িতে অনেক ঝামেলা কাটানো সম্ভব আর সকলের ভালোবাসা বা মন জয়ে তো বিজয় অবশ্য সম্ভাবী।

৪৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

জেন রসি বলেছেন: মজা পেলাম। শুভ্কামনা রইলো। :

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ জেন রসি ভাই। ভালো থাকবেন অনেক।

৪৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

আমি ইহতিব বলেছেন: ২৬ তারিখেই পড়েছিলাম আপনার এই পোস্ট। সময় সল্পতায় মন্তব্য করা হয়নি। এত সুন্দর করে লিখেছেন যে মুগ্ধতায় ভরে গিয়েছিলো মন। তাই আজ খুঁজে বের করে আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে এলাম। এমনিভাবেই ভালো থাকুন, ভালোবাসায় পরিপূর্ণ থাকুন সব সময়।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ ইহতিব। আপনি ভালো থাকুন সবাইকে নিয়ে। নতুন বছর আনন্দে কাটুক।

৪৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: শুভ বিবাহ বার্ষিকী।
আপনাদের সুখী দাম্পত্য জীবন আরও সুখময় হোক।

আপনার দাম্পত্য জীবনের কথা পড়তে পড়তে খুব হাসলাম।

আবার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ও জানা হলোঃ মন জয় করার অমোঘ অস্ত্র চুপ থাকা

এক নিঃশ্বাসে যে লেখা পড়ে শেষ করা যায়, পড়ার অনেকক্ষণ পরও যে লেখার অনুরণন মনকে আবিষ্ট করে রাখে-তাইতে মহৎ সাহিত্যের অংশ।

ভাল থাকুন। সবসময়।





২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: চুপ থাকা এক অব্যার্থ্য অস্ত্র। মনে হয় না কেউ এটা এপ্লাই করে ব্যার্থ হবেন।

আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ । সকলে মিলে ভালো থাকবেন।

৪৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বাহ্ বাহ্ অনেক সুন্দর সুখী জীবনচারণ। ভাল লাগা সহ আপনার জীবনের সব দিক উজ্জ্বল কামনা করছি।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন।

৪৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: যা কথা বলে মেয়েটা? --(৪৩ নম্বর উত্তর)
আমার তো মনে হয় শায়মা শুধু ওর কথা দিয়েই শশুড়বাড়ীর সবাইকে মাতিয়ে রাখতে পারবে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: সেও সত্য। কথা দিয়ে সকলকে ভুলানো এবং মাতানোও সেও এক বিরাট গুণ। বোবার যেমন শত্রু নাই তেমনি কথায় ভুলিয়ে দেওয়া মানুষেরও তেমন নাই। বরং তারা ভালোবাসায় থাকেন।

৪৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

এহসান সাবির বলেছেন: ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ এহসান সাবির। শুভকামনা আপনার জন্যও।

৫০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি বললাম ইতনা লম্বা, ইতনা চওড়া

হাহাহাহ!

অনেক শুভেচ্ছা রইল দুজনের জন্যে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হাহা মনে পড়লে আজও হাসি। ধন্যবাদ শঙ্কু।

৫১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসম্ভব মায়াভরা লেখা
শুভ কামনা ময়ূরাক্ষী :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ আপা। ভালো থাকবেন অনেক বেশি।

৫২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

আরমিন বলেছেন: এত সুন্দর পো্স্টটা এতদিন বাদে চোখে পড়লো!

পোস্টে অনেক ভালোলাগা, আপনার রম্য হিউমার খুবই চমৎকার, বাকিটা জীবনও এমনি সারল্য সুখে কাটুক, সেই শুভকামনা রইলো।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ আরমিন। ভালো থাকবেন আর দোয়া করবেন।

৫৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

আবু শাকিল বলেছেন: সাম্প্রতিক মন্তব্য অংশ থেকে দেখলাম "আজ ময়ুরাক্ষীর বিয়ে"
পোষ্ট লেখা হয়েছে ২৫ ডিসেম্বর।পুরনো পোষ্ট হলেও পড়া শুরু করলাম।
একটা মেয়ের বিয়ের হবার পর শ্বশুর বাড়িতে ঘটে যাওয়া টুকরো ঘটনা গুলো আপনার লেখনি দ্বারা মজার করে উপস্থাপন করেছেন।যদিও ঘটনা গুলো যেকোন মেয়ের জন্য শ্বশুর বাড়িতে এসব কাম্য নয় এবং সুখকর নয়।আপনার ভাগ্যটা ভালই বলতে হবে।
লেখাটা খুব উপভোগ করলাম।
বিলম্বিত শুভেচ্ছা আপু।সুস্থ এবং সুন্দর থাকুন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আমাদের দেশে শ্বশুরবাড়িতে এমন সব ঘটনা প্রায়শই ঘটে যা একজন নতুন বউ এর জন্য বিড়ম্বনাময় বা সে নিজেই ভীতির কারণ থাকে। যেমনটা আমারও হয়েছিলো।

আপনাকে ধন্যবাদ আবু শাকিল। ভালো থাকবেন।

৫৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনি যে কথাটা উনাকে মুখে বলতে পারেন নি সেটা মনে হয় "ওগো, আমি তোমাকে খুব ভালবাসি "। তবে লেখা পড়ে সিউর হলাম হৃদয় নিংড়ে দিয়ে শুধু ভালবেসেছেন এই চারটি বছর। খুব ভাল লাগল। আপনাদের প্রতি রইল শুভকামনা।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ভাই যথার্থ উত্তর। আপনার জন্য শুভকামনা।

৫৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: সবসময় সুখে থাকুন, সুখি রাখুন। শুভকামনা রইল। আর আপনার লেখার শৈলী নিয়ে নতুন কিছু বলার নাই, বরাবরের মতই অনন্য :)

১৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন। এক রাশ শুভকামনা।

৫৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে।
জানিনা এটা জানতে চাওয়া খারাপ দেখায় কিনা,মেয়েদের বয়স যেহেতু জানতে চাওয়া ঠিকনা তবুও
খুব জানতে ইচ্ছে করছে বিয়ের সময় আপনার বয়স কত ছিল।
যাইহক, আপনার ভালবাসার অনুভূতি মেশানো সুন্দর মুহূর্তকাল শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.