নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর জন্যে ভালোবাসা (পাঁচ)

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২





http://www.somewhereinblog.net/blog/SudipKumar/30201040



সুহার্তোরা চুপচাপ বসে আছে। কি করবে ওদের বোধগম্য হচ্ছেনা। পুত্রের শাস্তির বিষয় ওদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

- আমরা কি ওর সাথে শেষ দেখা করবো না? এডওয়ার্ড বলে।
কেউ কোন কথা বলে না।
- তিতাসকে অনুরোধ করা যেতে পারে। মকারোভা বলে।

উড়ন্ত যান হতে নামার পর পুত্র সুহার্তোদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। রোবট দল কিছুটা দূরত্বে থাকতে বলে ওদের। সবাই হাত নাড়ে। জবাবে স্মিত হাসে পুত্র।

রোবট কমান্ডার পথ দেখিয়ে ডিপার্চার ভবনের ভেতরে নিয়ে যায় পুত্রকে।পুত্ররা এক বিশাল কক্ষে প্রবেশ করে।
- স্যার,আপনার কাছে দুটি অপশন আছে। এক ন্যানো চিপ ইনজেকট করে আপনার রক্তে মিশিয়ে দেওয়া হবে। দুই নম্বর হলো আপনি এখন পুরো ম্যানুয়াল পড়ে নিতে পারেন ইবলিশ ও মঙ্গলে আপনি কি করবেন এবং আপনার জন্যে কি অপশন খোলা আছে। রোবট কমান্ডার বলে।
- ইনজেকট করুন।
- আর একটি কথা,আপনার জেনেটিক পাসপোর্ট ফেরত দিতে হবে।আপনার ভ্রমণ সময় একটিভেট করতে হবে।
পুত্র দিয়ে দেয় জেনেটিক পাসপোর্ট। পুত্রকে ঘরের মাঝখানে রেখে আসে রোবট বাহিনী। উজ্জল আলোয় ভরে যায় চারপাশ। রোবট কমান্ডার সুপার কম্পিউটারে ডুকিয়ে দেয় পাসপোর্ট। পুত্রের চারপাশে কাঁচের দেয়াল উঠে।

মাকারোভা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রোবট বাহিনীকে চলে যেতে দেখে।
- আমাকে পুত্রের রুমে যেতে হবে। সুহার্তো বলে।
- কেন? এডওয়ার্ড বলে।
- বলা যাবেনা। যদি চাও তবে আসো।
সুহার্তো পুত্রের রুমের বিভিন্ন জিনিস নাড়তে থাকে।হঠাৎ এক কোণা হতে পুত্রের হলোগ্রাফিক ছবি ফুটে উঠে।
- আমি জানতাম,কোন না কোন সময় এমনটি ঘটবে। আমি ঠিক তোমাদের মত নই। কোন এক অজানা কারণে আমার সৃস্টির সময় রোবটিক জিন কাজ করতে পারেনি পুরোপুরিভাবে। তাই তোমাদের সাথে আমার কিছু পার্থক্য ছিল।বিশেষ করে চিন্তার ক্ষেত্রে। তোমরা আমার অনেক কথায় অবাক হতে। ঠিক বুঝতে না। আমি কি বলছি। আমিও বুঝতাম না কেন এমন অদ্ভুত চিন্তা আমার মাথায়। আর আমি সেই উত্তরটাই খুঁজছি সব সময়। আমাদের মাঝে ব্যপক অসঙ্গতি আছে। ঠিক কোথায় অসঙ্গতি তাও জানিনা। সুহার্তো,তুমি জেনেটিক এনালাইসিসটা করো। আর চলে যাবার সময় এই মেশিনটা তুমি নিয়ে যেও।
হলোগ্রাফিক ছবি চলে যায়।
- কিছুই বুঝলাম না। এডওয়ার্ড বলে।
মাকারোভাও সায় দেয়।

স্পেসস্টেশনে একটি কক্ষে বসে আছে পুত্র। ওর মনে হচ্ছে বহুদিন ঘুমিয়ে ছিল। ভ্রমণকালিন কোন কথা ওর মনে নেই। মনে থাকবার কথাও নয় ও জানে। ঠিক এই সময় নারী কন্ঠ ভেসে আসে।
- ব্রক্ষ্মপুত্র,আপনাকে ইবলিশ গ্রহে স্বাগতম। কিছুক্ষণ পর আপনার স্পেসশিপ চলে আসবে।ততক্ষণ আপনি এই ঘরে বিশ্রাম নিন।
পুত্র উঠে দাঁড়ায়। বাহিরে আসে। পাশের ঘরে আলোর ঝলক দেখে দরজায় গিয়ে দাঁড়ায়। ঘরে ছোট্ট অদ্ভুত এক প্রাণী। পুত্র চিনতে পারেনা। প্রাণীটি ওর দিকে তাকায়। ছোট্ট একটা লাফ দেয়। ভুক শব্দ করে লেজ নাড়ে। পুত্রের কাছে আসে। পায়ের সাথে গা ঘঁষে। পুত্র ওর রুমে চলে আসে। নারী কন্ঠটি ঘোষণা দেয় ওর স্পেসশিপ চলে এসেছে। পুত্র উঠে পরে।

- ব্রক্ষ্মপুত্র,আপনাকে এই শিপে স্বাগতম। এক নারী রোবট এগিয়ে এসে বলে।
- আপনার সাথে একটি প্রাণীও আছে দেখছি। কিন্তু আমার লিস্টে ওই প্রাণী নেই। ওকে সরিয়ে ফেলতে হবে।
- সরিয়ে ফেলুন।
রোবটটি এগিয়ে যায় প্রাণীটিকে ধরবার জন্যে। প্রাণীটি দৌড়ে ভেতরে চলে যায়। স্পেসশীপ ইবলিশ গ্রহ ত্যাগ করে।

- স্যার,প্রাণীটি ক্ষতিকর নয়। রোবটটি এসে বলে।
- কি প্রাণী?
- আমাকে প্রোগ্রামিং করা নাই প্রাণী আইডেন্টিফিকেশনের জন্যে।
- স্যার,আপনি স্লিপিং স্যুটে গিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে পারেন।
- মঙ্গলে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে?
- চার বছর, দুই মাস,তিন দিন।
- স্পেসশিপ কে আবার ব্যবহার করা যাবে?
- না, স্যার। স্পেশশিপ এবং আমি মঙ্গলে পৌঁছানোর পর অচল হয়ে যাবো।
পুত্র খেয়াল করে প্রাণীটি সব সময় ওর আশে পাশেই ঘুরঘুর করে। পাত্তা দেয়না। পুত্র ঘুরতে ঘুরতে স্টোর রুমে আসে। ওর জন্যে পঞ্চাশ বছরের খাবার আর কিছু অস্ত্র রাখা আছে স্টোর রুমে। নারী রোবটও চলে আসে ওর কাছে।
- স্যার,একটি দুঃসংবাদ আছে।
- কি সংবাদ।
- আমরা ব্লাকহোলের খুব কাছাকাছি চলে যাচ্ছি।
- কত কাছে।
- ইভেন্ট হরাইজনের ইমেজ মনিটরে দেখা যাচ্ছে।
- আমাকে সফটওয়্যার কক্ষে নিয়ে চলো।কনভার্টার একটিভেট করতে হবে।
- অসম্ভব।আপনাকে সফটও্যার কক্ষে নেবার অনুমতি নেই।
- তবে তোমার যা ভাল মনে হয় তাই করো।
রোবট চলে যায়। পুত্র লাইব্রেরীতে গিয়ে বসে।কিছুক্ষণ পর রোবট ফিরে আসে।
- স্যার,চলুন।
পুত্র সফটও্যার কক্ষে প্রবেশ করে। শিপের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
- স্যার,কতক্ষণ লাগবে?
স্পেসশিপ শীতল হতে শুরু করে। পুত্র কাজ চালিয়ে যায়।আচমকা স্পেসশিপ থেমে যায়। রোবটটিও অচল হয়ে পড়ে। পুত্রের মুখে সাফল্যের হাসি খেলতে থাকে।
(চলবে)


মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রহেস্যর মূখে সমাপনী :(

হা হা হা

চলুক সিরিজ...+++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.