নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর জন্যে ভালোবাসা ( ছয়)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:২৭




পদ্মা চুপ করে বসে আছে তার কক্ষে। তাকে একটা বিষয় খুব ভাবাচ্ছে। মানুষ জ্ঞান – বিজ্ঞানে যতটুকু এগিয়েছে সমাজ ব্যবস্থায় ঠিক ততটা নয়।যদিও সে সমাজ বিজ্ঞানী নয়। মনে মনে হেসে ফেলে পদ্মা। তবুও ভীষণ চিন্তায় ফেলেছে মঙ্গলের বর্তমান সামাজিক স্তর বিন্যাসটা।মঙ্গলে লোক সংখ্যা খুবই কম।এখন গর্ভ ধারণের জন্যে দম্পতিদের পৃথিবীতে যেতে হয়।কারণ সন্তান ধারণে বিজ্ঞানীরা কখনও রিস্ক নিতে চায় না। কিভাবে সাজাবে মঙ্গলের সামাজিক স্তরবিন্যাস। এখানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরা উপস্থিত। কেউ কোন বিষয়ে কাউকে ছাড় দিতে চায়না।সবার ইগো অনেক হাই। অনেক সময় পদ্মার মনে হয় প্রাচীন আরবের গোত্রদের সমাজ ব্যবস্থার কথা।সারাদিন হিংসা-হানাহানি লেগেই থাকতো। মঙ্গলে বস্তিতে বস্তিতে ষড়যন্ত্রের জাল তৈরি হচ্ছে।কোন বস্তি মঙ্গলের একচেটিয়া অধিকার নেবে তার চিন্তায় মশগুল। মাঝে মাঝে পদ্মার মনে হয় ও বিজ্ঞানী না হয়ে নেতা হলেই ভাল করতো।মঙ্গলে একটু একটু করে বিশাল গবেষণাগার তৈরি করে ফেলেছে।তবে একটা চালাকি সে করেছে।গবেষণাগারটি কোথায় অন্য কোন দেশকেই বলেনি। এমনকি এখন পর্যন্ত তিতাসও জানে না।জানে ওর মত কিছু একনিষ্ঠ বাঙালি।তবে এবার তিতাসকে আনতে হবে।তিতাসের মেধা সম্পর্কে ওর পুরোপরি ধারণা ছিলনা। ল্যাবের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী পদ্মার কাছে আসে।
-আমাদের গবেষণা এবার মানুষের উপর করে দেখা যেতে পারে।
- আপনি শিওর।
- হ্যাঁ।
- কয়টি ইঁদুর হলো?
- ছয়টি।
- তার অর্থ শতভাগ নয়। শুনুন শতভাগ না হওয়া পর্যন্ত গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। পরীক্ষার সব ডাটা এনেছেন?
- হ্যাঁ।
- তবে আসুন আমরা একবার রিভিউ করি।
পদ্মার গবেষণার বিষয় পৃথিবীর কম লোকই জানে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে পদ্মাকে।
স্ক্রিন অন করে পদ্মা। জেনেটিক মেপ একটির পর একটি পর্দায় আসতে থাকে।
- আপনি বলছেন নাইট্রোজেনাস বেস সবচাইতে উপযুক্ত? বিজ্ঞানীকে প্রশ্ন করে পদ্মা।
- এখন পর্যন্ত পরীক্ষার রেজাল্ট তাই বলে।
- আচ্ছা আমরা তো একদল ইঁদুরকে এই ভাবে পরীক্ষা চালিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি।আর একদলের উপর গ্লাইকোসাইডিক বন্ড নিয়ে করে দেখি।আর হ্যাঁ,কৃত্রিম ডি এন এ নরমাল পরিবেশে স্থায়ী হচ্ছে?
- চারটি ইঁদুরের মধ্যে দেখা গিয়েছে যৌন মিলনের ফলে উৎপন্ন সন্তানের মাঝে জেনেটিক এবনরমালিটিজ হচ্ছে।একটির ক্ষেত্রে আমরা ইন- ভিট্রো পরীক্ষা চালাই।কোন এবনরমালিটিজ নেই।
পদ্মা উঠে বসে।বলে- চলুন ওই ইঁদুর আর তার সন্তানকে দেখবো।
ল্যাব থেকে বেড়িয়ে পদ্মা সোজা বস্তিতে চলে যায়। তিতাস এখনও ফেরেনি।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর গোপন বার্তা ওর টেবিলে পড়ে আছে। পোষাক বদলিয়ে ও সেগুলি পড়তে বসে। বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে ওর কথা মত ভূগর্ভে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে প্রজেক্টের যাবতীয় কাজ। এক কোটির বেশী লোক ধরবে না। পদ্মা ডকুমেন্ট পড়ে সবকিছু ধ্বংস করে।কোন ডকুমেন্টই অবশিষ্ট রাখেনা। পদ্মা ঘরময় কিছুক্ষণ পায়চারী করে।তারপর ওর সুপার কম্পিউটার অন করে বাংলাদেশ সরকারের জন্যে নাগরিকদের একটি দীর্ঘ তালিকা পাঠায় আর উল্লেখ করে দেয় এদের প্রত্যেকের ডিএনএ স্যাম্পল রেডি করে রাখতে।ও পৃথিবীতে গেলে ওর হাতে জেনো দিয়ে দেওয়া হয়।
ঘরময় পায়চারী করতে থাকে পদ্মা।আজ তিতাস আসলে ওর প্লানের কিছু অংশ শেয়ার করতে হবে। তিতাসের দেরি দেখে তিতাসকে কল করে। তিতাস জানায় থার্মাল প্লান্ট হতে ও আজকে আসতে পারবে না। পদ্মা খেয়ে নেয়। রাতে শুতে শুতে ভাবে,যুদ্ধ নিয়ে ওর কোন মাথা ব্যথা নেই। মাথাব্যথা পৃথিবীকে নিয়ে।পৃথিবীকে বাঁচানোর কোন রাস্তা সে বের করতে পারছেনা। মনে মনে ও মানুষের উপর খেপে উঠে- কেন মানুষের এত লোভ,ক্ষমতার লোভ,সম্পদের লোভ।
৪৪৪৪ সালে এক পরিবর্তিত পৃথিবী আমাদের সামনে। পৃথিবী তরতর করে এগিয়ে চলেছে বিজ্ঞানের পিঠে চড়ে।কিন্তু সমাজ ব্যবস্থা ব্যবস্থা ততটা দ্রুত এগোতে পারেনি। আগে যেমন ছিল ধনী আর গরীবের মধ্যে বিশাল ব্যবধান,এখন হয়েছে মেধা আর মেধাহীনদের মধ্যে ব্যবধান।পরিবারের মধ্যে কোন বন্ধন নেই বললেই চলে।মানুষ হয়ে পড়েছে টেকনোলজিক্যাল নির্ভর। ভোগ নির্ভরতা বেড়েছে কয়েক হাজারগুণ। অর্থাৎ পৃথিবীতে মানুষ জন্মেছেই যেন ভোগ করার জন্যে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ধর্মের উপর ফ্যাকাল্টি ওপেন করেছে। মানুষ পড়ছে।শিখছে।তবুও ভোগ বিলাসে ডুবে যাচ্ছে। সমাজের স্তর বিন্যাসে বিশাল এক ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।
ভারত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়ছে।আমেরিকা ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত হলেও সেনা আর অর্থনীতিতে এক সাথে আছে। পৃথিবীতে এখন বাংলাদেশ,রাশিয়া,চীন,দক্ষিণ কোরিয়া ও কানাডা একজোটে। জার্মান,জাপান,ক্যালিফোর্নিয়া,হায়দারাবাদ,শ্রীলংকা একজোটে।এভাবে দলাদলিতে মত্ত সমস্ত দেশগুলি।
পদ্মা ভাবে পৃথিবীকে বদলাতে হবে অথবা ওদের অন্য কোনও গ্রহে, অবশ্যই সেটি মঙ্গল নয়, সরে যেতে হবে।পদ্মার মাথায় গ্যালাক্সী পরিবর্তন করারও চিন্তা আছে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/SudipKumar/30200773
http://www.somewhereinblog.net/blog/SudipKumar/30200852
http://www.somewhereinblog.net/blog/SudipKumar/30200939
http://www.somewhereinblog.net/blog/SudipKumar/30201040
http://www.somewhereinblog.net/blog/SudipKumar/30201108


( চলবে)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আগের পর্ব গুলো আমার পড়া হয়নি।
এই পর্ব টি পরে কিছু বুঝলাম না।
আগামী পর্বে আগের লেখা গুলোর লিংক দিয়ে দিবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.