নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনে সফল হতে না পারি দুঃখ নেই...একজন ভাল মানুষ হিসেবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে চাই...
ফারসি বির'ইয়ান (بریان) শব্দটির অর্থ ভাজা বা রোস্টকৃত। ইরানিরা ভাজা মাংসের সাথে পোলাও মিশিয়ে যে বিরিয়ানি তৈরি করত, সেটা মোগল আমলে ভারতবর্ষে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ওউধের [আধুনিক লখনৌ] শেষ নবাব ওয়াজেদ আলী শাহের বিরিয়ানিপ্রীতি প্রায় কিংবদন্তির পর্যায়ে। নবাব ওয়াজেদ ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৬ সাল পর্যন্ত ওউধের নবাব [ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কৃপাচুক্তির মাধ্যমে] ছিলেন। এর পর ব্রিটিশরা তাঁর রাজ্য সরাসরি দখলে নিয়ে নেয় - তাঁকে কলকাতার মেটিয়াবুরুজে নির্বাসিত করে। ১৮৮৭ সালের ১ সেপ্টেম্বরে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নবাব ওয়াজেদ আলী শাহ মেটিয়াবুরুজেই থাকেন। তাঁর নবাবির শেষ সময়গুলোর প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে সত্যাজিত রায়ের অমর চলচ্চিত্র 'শতরঞ্জ কি খিলাড়ি' (১৯৭৭)।
নবাব ওয়াজেদ কলকাতায় নির্বাসিত হওয়ার সময় তাঁর মনে একটা আক্ষেপ ছিল। আহা, ওই ওউধি বিরিয়ানি ছেড়ে চলে আসতে হবে! নবাবের আবদারে তাই কলকাতা আসতে হয়েছিল তাঁর পেয়ারের খানসামা-বাবুর্চিদেরও। নবাব যায় বঙ্গে, নবাবি যায় সঙ্গে!
শাহবাগীদের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের বিরিয়ানিপ্রীতি, বিশেষত শাহবাগ আন্দোলনের সেই সোনালি অতীতে শাহবাগে ব্যাপক বিরিয়ানি-ভোজন নিয়ে যেসব কথা অনলাইনে চালু আছে, সেগুলো ওই বিরিয়ানির চেয়ে কম মুখরোচক নয় মোটেও! অনেকে শাহবাগের নামও দিয়ে বসেছিলেন বিরিয়ানি চত্বর! এমন কি, শাহবাগ আন্দোলন বিলীন হয়ে যাওয়ার পরও সেই বিরিয়ানির দায় মেটাতে হচ্ছে ইমরানপন্থীদের। এখন সেই স্বাদের বিরিয়ানির ফান্ড নিয়ে অনেক বিস্বাদ কথাবার্তা খোদ শাহবাগী বিদ্রোহী গ্রুপই বলছে। পরাণের বান্ধব ছাত্রলীগই এখন ইমরানকে পেটাচ্ছে! পুলিশও এখন আর ছেড়ে কথা বলে না!
আসলে বিরিয়ানিপ্রিয় ব্যক্তিদের নিয়তিই বোধ হয় বড় বিচিত্র। যে ফিরিঙ্গিদের দালালি করে দুই শতাধিক স্ত্রীর হেরেমের আয়েশ ও গান-নৃত্য-ফুর্তিতে জিন্দেগি গুজার করতে চেয়েছিলেন বিরিয়ানিপ্রিয় ওয়াজেদ আলী শাহ, সেই ফিরিঙ্গিরাই সিপাহি বিদ্রোহের উষালগ্নে নবাবকে পাততাড়ি গুটিয়ে কলকাতা পাঠিয়ে দেয়।
এই প্রজন্মের বিরিয়ানিপ্রিয় নেতাটি শাসকের দালালি করেও 'রূপসী বাংলা'র আয়েশ বা গান-নৃত্য-ফুর্তির জিন্দেগি টিকিয়ে রাখতে পারছেন না। কাজ ফুরিয়ে যাওয়ার পর ইমরানকেও হয়তো তার পেয়ারের খানসামা-বাবুর্চিদের নিয়ে কলকাতামুখোই হতে হবে।
.... .... ....
পুনশ্চ: কিংবদন্তি আছে, নবাব ওয়াজেদের দাঁত ছিল না - তাই তাঁর জন্য নরম 'গলাওয়াতি কাবাব' বানাতে হতো, যেন তিনি দাঁত ছাড়াই কাবাব খেতে পারেন। কাবাবের লোভ ছাড়বেন কেন দন্তহীন নবাব!
http://tinyurl.com/oe8e8l3
এসব বিরিয়ানিপ্রিয় লোক আসলে নিজেদের অওকাতের চেয়েও বেশি খেতে চায়। একটা মঞ্চই ঠিকমতো চালাতে পারে না, তবু নতুন পার্টি খোলার বাবুগিরি মারতে চায়!
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
মৃত মানব বলেছেন: গণজাগরন মণ্চের প্রথম ভুলটা ছিলো এই বিরিয়ানিখোরটাকে মুখপাত্র বানানো
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৫
শোয়াইব আহেমদ বলেছেন: মুদ্দাকির বলেছেন: ব্যাপক মজা পেলাম !!!!!
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫০
তিক্তভাষী বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
মুদ্দাকির বলেছেন: ব্যাপক মজা পেলাম !!!!!