নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছুটা অসামাজিক

অনলাইনে করে খাই। লিখতে ভালোবাসি। আমার সেন্স অফ হিউমার ত্যারা।

কিছুটা অসামাজিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক ডজন বালকের দুই ডজন ব্যান্ডেজের রহস্য !

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:২১

ঘটনার শুরু থেকে না লিখলে ভিষন অন্যায় হয়ে যাবে। একদংগল ছোটভাই এর একের পর এক ফোন পেয়ে শেষে বাধ্য হয়েই গেলাম দেখা করতে। তাও এক নতুন ঠিকানায়। একসাথে ডজনখানেক ছেলে বাসা চেঞ্জ করে ফেলছে, পেছনে কোন চৌধুরী সাহেবের হাত না থেকেই পারে না, আমার ও দিনকাল ভালো যাচ্ছে না, প্যান্টে বেল্ট টা গুজেই বেরিয়ে পড়লাম সকাল সকাল।

গিয়ে বাইরে থেকে আঃ উঃ চিৎকার শুনে ভয় ই পেয়ে গেলাম, হইতেছে টা কি এখানে! ভিতরে ঢুকে এই বছরের সবথেকে আজব দৃশ্যের সমুক্ষিন আমি। এক ডজন ছেলের সবার দুইহাতে ব্যান্ডেজ ! দু একটার পায়েও ব্যান্ডেজ দেখা গেলো। দেখে এবার আমি ভয় ই পেলাম,জংগী সন্দেহে ধরে নিয়া যায়া ডিম থেরাপী দিলো নাকি দেশের আমজনতা এই নিরীহ ছেলেগুলারে ! এই ছেলেগুলার শয়তানীর দৌড় যে পাশের বাসার ছাদের শুকাইতে দেয়া অন্তর্বাস চুরি পর্যন্ত তা তো আমার থেকে কেউ ভালো জানে না, তাহলে কি অপরাধে এই অবস্থা এদের? রহস্য স্পিকার সাহেব, কোন গভীর রহস্যের গন্ধ পাইতেছি।

পড়শুদিন বালকগনের সাধ হইছিলো তাহারা নেশা করিবেন। মারিজুয়ানার নেশায় বুদ হইয়া দিন কে রাত, আর কুদর্শন প্রেমিকাকে জয়া আহসান মনে করিয়া মোবাইল ফোনেই নানাবিধ অপকর্ম সাধন করিবেন। এই উদ্দেশ্যে বালক গন নিকটবর্তী গোপন স্থান হইতে ( রংপুরে গোপন স্থান ! কসকি মমিন, সব তো দেখি ওপেনে ) ৮ টোপলা গাজা সংরক্ষন করিয়া নিজেদের ম্যাসের দরজা জানালা বন্ধ করিয়া উহা সেবন করিতে শুরু করে। ইহার মধ্যে ৪ টোপলা ভক্ষন করিবা মাত্র গাজার সুগন্ধ দিকবিদিক ছরাইয়া পড়ে, এবং এলাকাবাসী ঘটনা টের পায়। মাননীয় এলাকাবাসী ঘটনা পর্যবেক্ষন করিবার লক্ষ্যে দলবাধিয়া ঘটনাস্থলে পদার্পন করেন। এলাকাবাসীদের মধ্যে সিনিয়ার গুন্ডা শ্রেনীর বালকেরাও ছিলো। তাহাদের দেখিয়া বালক গন গাজার আসর ফালাইলা কোন এক অতি উন্নত মস্তিস্কের বালকের বুদ্ধিতে দেয়াল টপকাইয়া পালাইবার চেষ্টা করে। তাহারা সফল ও হয়, তবে দেয়ালে থাকা তারকাটা উহাদের হাতে ইলুমিনাটি ট্যাটু অঙ্কন করিলে তাহাদের দোষ দেওয়া যায় না। এই রাত্রি অন্ধকারে পলাইতে গিয়া কতিপয় বালক পেছন পার্শের পুকুরেও পতিত হয়, যাহাদের একজন আবার সাতার জানিত না, একটু পর তাহার বাংলা সিনেমার নায়িকার উপযোগী বাচাও বাচাও চিৎকার সবাইকেই থামিতে হয়। ইহার পর বাকিটা ইতিহাস।

এখন প্রশ্ন থাকিয়া যায়, বাকি ৪ টোপলা গাজার কি হইলো ? এ সম্পর্কে আমি চোখ গরম করিয়া জানতে চাইলে তাহাদের উত্তর " হালার ফুত খাচ্চর বাড়িওয়ালার দ্বিতীয় কন্যার দিকে কোনরুপ নজর ছিলো না আমাদের কারো, তদাপী হালা আমাদিগতে আগামীকল্যের মধ্যে ম্যাসগৃহ ছারিয়া দিতে কইলো, এ সহ্য করা কি যাতা কথা শিমুল দা ? রাগ অভিমান ঐ রাতেই বাকি টোপলা ভক্ষন করিয়া সকালে এইখানে আসিয়া উপস্থিত হইলাম। আসিবার পথে ব্যান্ডেজ এবং টিটেনাস ইঞ্জেকশন ও দিয়া আসিয়াছি। "

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.