নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমার পল্লবে বসে আমাকে প্রসারিত করতে চাই।

নারী নির্যাতন বন্ধ করুন। যৌতুককে না বলুন। বাল্যবিবাহ থেকে সমাজকে রক্ষা করুন।

ভিটামিন সি

ঘোলা জল আর ঝরা পাতা মূল্যহীন। ঘোলা হওয়ার আগে বা ঝরে পড়ার আগেই কিছু একটা করা উচিত।

ভিটামিন সি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিটামিন সি\'র প্রথম ট্রেন ভ্রমন (জীবনে প্রথম ট্রেন ভ্রমনের গল্প)।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২



১৯৯৩-৯৪ সালের কথা লিখছি। আমাদের বাড়ি ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ের পাশে। রাস্তার পাশে হওয়াতে যান্ত্রিক যানবাহনগুলির সাথে ছোটবেলা থেকেই পরিচিত। কিন্তু কোনদিনও ট্রেন দেখিনি তখনও। কারণ ট্রেন লাইনের কাছে কোন স্বজনের বাড়ি নেই, ঢাকায়ও তখন যাওয়া হয়নি, ময়মনসিংহে গেলেও ওই মচিমহা/চড়পাড়া পর্যন্তই। তাহলে ট্রেন দেখবো কিভাবে? না দেখার কারণেই মনের ভেতর এক দূর্দমনীয় কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে ট্রেন সম্পর্কে।
১৯৯৩ সাল, আমার বড় আপার এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তারপরই খালুজান আসলো তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যেতে বড় আপাকে। আমার খালা বড় আপাকে খুব আদর করেন, আমাকেও আদর করেন। তবে খালু মনে হয় বেশি আদর করেন আমাকে। কারণ খালু আমাকে ছোট শ্বশুর বলে ডাকেন। শ্বশুর ডাকে বলে লজ্জায় আমি উনার সামনেই যাই না। আমিও তো ছোট তখন। কত আর বয়স হবে, আট বছর মাত্র। খালু কেমন আদর করেন বলছি, আমাকে কেউ তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গেলে উনার সকল কাজ-কর্ম বন্ধ। শেষ রাতে পুকুরে জাল নামাবে, অনেক মাছ ধরবে, তারপর ৪/৫ টা বড় কার্ফু মাছ ছাইয়ের গাদায় রেখে এসে আমাকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে মাছ দেখাবে আর গল্প করবে। বলবে আমি এসেছি শুনে তাদের পুকুরের মাছ নাকি লাফিয়ে বাড়িতে যেতে চেয়েছিলো, পরে রাস্তা চিনে নাই, তাই এখানে লাফাইতেছে!! (সোনলী অতীত)। এলাকার সবার সাথে সকালেই একদফা পরিচয় করাবে, বলবে "আমার ছোট শ্বশুর এসেছে" - আমার এই খালু এইরকমই। থাকে না কিছু মানুষ অতিথীবৎসল, তিনি সেই রকমই একজন। খালার বাড়ি যাওয়ার প্রধান আকর্ষনই ছিল খালার হাতের বানানো নানা রকম মজাদার পিঠা-পুলি।

তো যাই হউক, খালু আমাদেরকে নিয়ে তাদের বাড়িতে গেলেন। রাতে খালার পিঠা বানানোর উৎসব চললো। রাতেই ঠিক হলো ভোরবেলা আমাদেরকে ট্রেন দেখাতে নিয়ে যাবেন, তাই খুব ভোরে উঠতে হবে। তারপর আমাদেরকে ট্রেনে করে নিয়ে যাবেন উনার এক আ্ত্মীয় বাড়িতে। ভোরবেলা উঠলামও ঘুম থেকে। আগেই বলে রাখি আমার খালার বাড়ি একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে সবে মাত্র গতবছর পল্লীবিদ্যুৎ তাদের বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করেছে (ত্রিশাল+গফরগাঁয়ের সীমার কাছাকাছি নদীর পাড় এলাকায়)। এখান থেকে যাওয়ার মাধ্যম তখন কেবল হাঁটাই ছিল, এখনকার মতো এতো রিকশা, ভ্যান, সিএনজি ছিল না তখন। তো শুরু হলো আমাদের জার্ণি টু রেল লাইন। ভোর বেলা খালু, আমি বড় আপা আর খালাতো বোন হাল্কা নাস্তা করেই বেরিয়ে পড়লাম। গন্তব্য ধলা রেল স্টেশন; হাঁটছি তো হাঁটছিই। খালুদের বাড়ি থেকে পূর্বদিকের কাঁচা মাটির রাস্তা ধরে। ট্রেন দেখার উত্তেজনায় কতটুকু রাস্তা হাঁটলাম তার খেয়াল নেই। উত্তেজনা হবেই না বা কেন? খালুদের বাড়ির যত ছেলে মেয়ে আছে তারা ট্রেনের হুইসেল শুনেই বলে দেয় এইটা অগ্নিবীনা, এইটা যমুনা, এইটা বলাকা ইত্যাদি (পরে জেনেছি হুইসেল শুনে নয়, সময় জেনে তারা বলে, তবে সঠিক ও না, আমাকে আবুল পেয়ে মন যা চায় তা ই বলে দেয় আর আমি তো তাই বিশ্বাস করি)। এই রকম করতে করতে চলে আসলাম ধলা রেল স্টেশনে, গফঁরগাঁওয়ের পরের স্টেশন সম্ভবত। এখানে এসেই খালু দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলো যে বলাকা/অথবা অন্য কোন নাম, ঠিক মনে নেই, চলে গেছে কিনা। দোকানদার জানাল, বলাকা আজকে লেট এখনো আসে নাই।

তারপর এক দোকানে বসে আমরা সবাই কাঠগজা নামক মিষ্টি খেলাম, হাঁটতে হাঁটতে ক্ষুধা তো সবারই লেগেছে। খাওয়ার পরেও ট্রেন আর আসে না। অপেক্ষা করছি ট্রেনের জন্য। স্টেশনের পাশেই দেখি তখন দুই-তিনজন লোক পুকুরে কাটা মাংস ছুঁড়ে দিচ্ছে। সেটাই দেখতে লাগলাম। ওই স্টেশনের পাশেই তখন একটা বিদেশী মাগুর মাছের খামার ছিলো। খামারী মরা গরুর মাংস কেটে পুকুরের পানিতে ফেলছে আর মাগুর মাছ সেই কাটা মাংস নিয়ে গুতাগুতি, মারামারি করে খাচ্ছে। ইয়া বিশাল বিশাল মাগুর। (সেটা বর্তমানে শাপলা মৎস হ্যাচারি হয়েছে, ট্রেন থেকে এখনও এই হ্যাচারি দেখা যায়) এই দৃশ্য আগে কোথাও দেখি নাই। তখনো মাছের চাষ আমাদের এলাকায় শুরু হয় নাই। মাছ বলতে বিল আর পুকুরের মাছ চিনি।
তারপর আরো আরো অপেক্ষা, এইবার খালু আমাদের চা-বিস্কিট কিনে খাওয়ালেন। আমি তো গরম চা খেতে পারি না। তখন বুদ্ধি দিলেন কাঠি বিস্কুট (টোষ্ট) চায়ের কাপে ভিজিয়ে খেতে এতে করে চাও খাওয়া হবে, বিস্কিটেরও একটা হিল্লে হবে। আমি তো আর খাইনা। আরে আমি চা খাওয়া শুরু করলাম আর অমনি ট্রেন চলে আসলো, তারপর আমি দেখতে পেলাম না। আমি কি আর এত বোকা নাকি!!

অগত্যা যখন ট্রেন আর আসেই না, তখন ঠান্ডা চা খেলাম। তার আরও পরে ট্রেন আসার হুইসেল শোনা গেল, আমি তো ভেতরে ভেতরে দারুন উচ্ছসিত। ট্রেন আসলো, থামলো। লোকজন নামলে-উঠলো, আমরাও উঠলাম। হায়রে মানুষ আর মানুষ, ট্রেনের ভেতরে পা ফেলার জায়গা নেই। এত মানুষ আমি আগে আর দেখি নাই। নিজেকে কতক্ষন পরে আবিস্কার করলাম আমি এক লোকের কোমর জড়িয়ে আছি। ট্রেন মাঝ রাস্তায় মানে বালিপাড়া/আওলিয়া নগর আসার আগেই থেমে গেল। লোকজন হৈ হৈ করতে লাগলো কি হলো, কি হলো বলে। পরে জানা গেল অন্য ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে এসে পড়েছে এই একই লাইনে। সেটা প্ল্যাটফর্ম ক্রস করলে এটা প্লাটফর্মে ঢুকবে। উরে বাপ্পস, থামা টে্রনে কি গরম!! কোন বাতাস নেই, ফ্যান নেই। ট্রেন থামা অবস্থায় খালু সর্বক্ষন আমার হাত ধরে রাখলেন। সব শেষে ট্রেন আ্ওলিয়া নগর থামলো, আমরা নামলাম। ওমা একি, এখানে তো দেখি রেল লাইন কেম প্যাঁচানো। খালুকে জিজ্ঞেস করে জানলাম এখানে আরো ৩টা লেন আছে। একটা মালগাড়ির মাল রোড করার জন্য, একটা প্লাটফর্ম বিজি থাকলে অন্য ট্রেন বাইপাস করার জন্য। শেষ হলো ভ্রমন, তারপর সেখান থেকে টেম্পুতে করে খালার বাড়ি পেীঁছতে পেীঁছতে দুপুর গড়িয়েছে। একটা ম্যাচ, আমার গপ্প শেষ।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাহঃ ভালো লিখেছেন । চালিয়ে যান জনাব ভিটামিন সি ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

ভিটামিন সি বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। কিন্তু এই বাজারদরে চালায়ে যাওয়া তো বিশাল সমস্যা।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভ্রমন গল্প ভাল লাগলো। আমারও প্রথম ট্রেন ভ্রমন ছিল খুলনা টু রাজশাহী! আসলেই ট্রেন ভ্রমন অনেক মজাদার!!

ধন্যবাদ পোস্টের জন্য!!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭

ভিটামিন সি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সময় করে পড়ার জন্য। আমার ভ্রমনটা ছিলো খুব সংক্ষিপ্ত লোকাল ট্রেনের একটা স্টেশন থেকে আর একটা স্টেশন পর্যন্ত মাত্র। তাই কি কম কৌতুহল ছিল নাকি!!

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

সুমন কর বলেছেন: ভিটামিন সি-এর সাথে আমরা সবাই স্মৃতিতে ট্রেন ভ্রমণ করে আসলাম। !:#P !:#P ঝিক ঝিক ঝিক......

ভালো হয়েছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮

ভিটামিন সি বলেছেন: ঝিক ঝিক ঝিক ট্রেন চলেছে মাঠ পেরিয়ে বায়
আয় ছেলেরা দল বেঁধে ট্রেন দেখতে যাই।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

কাবিল বলেছেন: পইড়া আরাম পাইলাম।
কু---- ঝিক ঝিক ঝিক...... গপ্প শেষ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

ভিটামিন সি বলেছেন: হুম, গপ্প হইলো শেষ,
আহা বেশ বেশ বেশ।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

জুন বলেছেন: ট্রেনতো আমার অবসেশন । ছোট্ট বেলার কয়েকটি বছর কেটেছে ষ্টেশনের পাশে । থেমে থাকা পুরনো লক্কর ঝক্কর মার্কা রেলের মালগাড়ির বগির গার্ডরুমের খোলা জায়গাটিতে পা ঝুলিয়ে বসে ট্রেনের আসা যাওয়া দেখতাম ।
আপনার ট্রেন দেখার অভিগগতা পড়ে পথের পাচালীর অপু দুর্গার কথা মনে হলো ।
অনেক ভাললাগলো
+

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

ভিটামিন সি বলেছেন: তাহলে তো আপনার জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে এই ট্রেন। ধন্যবাদ অফুরান।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। অনেক ভালো।

সুন্দর লিখেছেন।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

ভিটামিন সি বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন।

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

কালীদাস বলেছেন: ভাল!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

ভিটামিন সি বলেছেন: ভালো কে ভালো বলতে এত টাইম লাগে কেনে?

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

ঢাকাবাসী বলেছেন: বাহ চমৎকার নির্ভেজাল একটা আত্মকথার অংশ, বেশ লাগলো যে!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১০

ভিটামিন সি বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী / বাংলার মিঠুন চ্যাকব্যাক ভাইকে।

৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

প্রামানিক বলেছেন: আপনার ট্রেন ভ্রমণ দেখে আমার ছোট কালের কথা মনে পড়ে গেল। আমারও নানা বাড়ি যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে সময় পেলে পোষ্ট দিব। ধন্যবাদ আপনাকে। খুব ভাল লাগল।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

ভিটামিন সি বলেছেন: প্রামানিক দা, ধন্যবাদ। দেবেন, খুব করে লিখে দেবেন যাতে পড়ে ব্যাপক মজা পাই। ঈদ কেমন কাটলো?

১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১০

শায়মা বলেছেন: আমার প্রথম ট্রেন ভ্রমন খুব মজার ছিলো কিন্তু লাস্ট ট্রেন ভ্রমন বাজে। ঘোলা কাঁচের ফাক দিয়ে না খুলতে পারা জানালা!!!!! :(

আমার একদম ভালো লাগেনি আর সেই ছোটোবেলার মত ঝিকঝিক ছুটে চলা দৃশ্য না দেখতে পেয়ে!!!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

ভিটামিন সি বলেছেন: আপনার অতীব কষ্টে আমি দুঃখিত না হয়ে পারলাম না। ডেমু ট্রেন গুলাতে অনপ্রেস জানলা খোলার সিস্টেম রাখি নাই। সব বন্ধ কইরা দিছি। যদি জানতাম আপনি এই ডেমুতে ভ্রমন করবেন, তাহলে ডিজাইনটা একটু পাল্টাইতাম।
যমুনায় চড়ে, "ঝিক্কির ঝিক্কির মৈমনসিং - আইতে যাইতে কত দিন" মনে হয় পুরোনো মজাটা ফিরে পাবেন।

১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

শায়মা বলেছেন: ময়মনসিং কার বাড়ি যাবো??
তোমার বাড়ি???


কিন্তু তুমি সিস্টেম রাখছো মানে কি!!!!!!


তুমি কি ট্রেন বানাও??? B:-)


কেনো সব জানালা বন্ধ করে দিসো!!!!!!!!!!!!!! X((

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

ভিটামিন সি বলেছেন: মৈমনসিং আছে না, অনেকের বাড়ি, থাকে না - বাড়ি, বাড়ি থাকে তো, আছে তো।
না বইনডি, আমার কোন বাড়ি নাই। বাবার যেটা আছে সেটাও ঢাকা থেকে যতদুরে, মৈমনসিং থেকে তার অর্ধেক দুরে।

সিস্টেম রাখছি মানে হইলো - ইয়ে মানে, না এই আর কি (আমার চাকা পাাংচার হয়ে গেছে, ফুটানি করতে গিয়া ধরা খাইছি এই রকমের ইমো হইবে)।
"তুমি কি ট্রেন বানাও?" ও আল্লাহ, হেতি কয় কি? হেতি কি ডাহাইত নি? আমি বাংলাদেশে ট্রেনই দেখলাম মাত্র হাতে গোণা ১০/১২ বার আর চড়লাম মাত্র ৫ বার। (তবে বিদেশে অনেক চড়েছি। ) এইটা বানাইতে পারলে তো আমার থাকার জায়গা টু অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডায় মাটির নিচ দিয়া লাইন বসায়া দিতাম।
ট্রেন না বানাইলেও জাহাজ বানাই। এই পর্যন্ত ৪০০ উপরে জাহাজ বানানোর কর্মকান্ডে জড়িত আছি। বর্তমানে আমার হাতে আছে ৬টি জাহাজের কাগজপত্র। ১. ANDROMEDA V, ২. STOLT AZANI, ৩. AD PHOENIX, ৪. LADY CAROLINE উল্লেখযোগ্য। গুগলে এইসবের নাম লিখে সার্চ দিলে এইসবের ব্যাপারে সব তথ্য হাজির হবে।

জানলা বন্ধ কইরা দিছি কারণ জানলা দিয়া পোলাপাইনে ময়লা, থুতু ছুইড়া মারে, হাত বাইরে রাখে, ঝড়-বৃষ্টির পানি ভিত্রে হান্দায়, বাইরে থেকে পুংটা পোলাপাইনে ঢিল মারে - আরো কত কি সমস্যা.... তাই। হি হিি হি হি হি।

১২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪২

রাবার বলেছেন: চরম মজা পাইলাম আপনের ট্রেন চড়ার গল্প শুইনা ভিটামিন ভাই =p~

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

ভিটামিন সি বলেছেন: তাই, না? মজা দেওনের জন্যই এই ভিটামিন সি এর জন্ম। টিউন করে থাকুন, চলে আসুন - একুশে টিভিতে থুক্কু ভিটামিন সি'র ব্লগে।

১৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮

শায়মা বলেছেন: তোমাদের মত জিনিয়াসদের দেখে মাঝে মাঝে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই! অজ্ঞান হলাম ভাইয়ামনি! জ্ঞান ফিরলে আসবো আবার!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

ভিটামিন সি বলেছেন: এত না, একটু কম টু দ্যা পাওয়ার ১৩ হবে।

১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

শায়মা বলেছেন: জ্ঞান ফিরে আবার এলাম ভাইয়া। এত এত জিনিয়াসভাইয়ারা আমাদের আশে পাশে!!!!!!!!! সত্যিই অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম ভাইয়ামনি! কি যেন তখন বলতে চেয়েছিলাম ভুলেই গেছি।:(

কিন্তু তোমার কমেন্ট পড়তে গিয়ে এই লাইনে এসে

"তুমি কি ট্রেন বানাও?" ও আল্লাহ, হেতি কয় কি? হেতি কি ডাহাইত নি? আমি বাংলাদেশে ট্রেনই দেখলাম মাত্র হাতে গোণা ১০/১২ বার আর চড়লাম মাত্র ৫ বার। (তবে বিদেশে অনেক চড়েছি। ) এইটা বানাইতে পারলে তো আমার থাকার জায়গা টু অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডায় মাটির নিচ দিয়া লাইন বসায়া দিতাম।


নিহারী পরোটা খাচ্ছিলাম ভাইয়া। হাসতে গিয়ে বিষম খেয়ে গলায় আটকায় গেছে। তাই তো অজ্ঞান হলাম!:(

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

ভিটামিন সি বলেছেন: মেশিন তাহলে কি এখন হাইবারনেট (অজ্ঞান) মোড থেকে রিস্টার্ট হয়েছে না স্লিপ মোডেই আছে? আরে আমার (বাবার) বাড়ি তো বাসের রাস্তার পাশে। আমি ট্রেন পাবো কোথায়? শখ করে মাঝে মাঝে চড়ি। আর ট্রেন দেখা, সেতো ঢাকায় ঢুকতে গেলে বনানী / মহাখালী ক্রসিং এ। এখন তো তাও দেখা সম্ভব নয় ফ্লাইওভারের অকল্যাণে। আর ময়মনসিংহে আলমগীর মুনসুর (মিন্টু) কলেজের সামনের ক্রসিং এ।
শুনেছি বাংলাদেশের নিচেই নাকি আমেরিকা (লোকে বরে)!! তাইলে একটা ট্রেন বানায়া গুলিস্তান থেকে (জিরো পয়েন্ট) থেকে উপুড় করে নিচের কে মুখ করে ইণ্জিন স্টার্ট দিয়া ছাইড়া দিতাত, এক সৌরবছর পরে আমেরিকায় গিয়ে পৌঁছায়তো, তাহলেই তো বাংলাদেশ টু আম্রিকা ট্রেন লাইন হয়ে যেত (কি সহজ ভাবনা-চিন্তা আমার!!)।

দেহাড়ি থুক্কু নেহাড়ি'র হাড় ছুইট্টা গিয়া গালে চাপড়া মারলে কিন্তু আমি দায়ী না, কইয়া দিলাম।

১৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

শায়মা বলেছেন: হা হা হা ভাইয়া রম্য বই বের করো!!! একদম বেস্ট সেলার অব ২০১৬ ! :P

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১১

ভিটামিন সি বলেছেন: হি হি হি, তাহলে তোমাকে একাই সবগুলি কপি কিনতে হবে, এমনকি সৌজন্য কপিও।

১৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা বড়ই কষ্টকর প্রথম ট্রেন অভিজ্ঞতা!!!!!!!!!!!

আমরা আবার চুডুকাল থেকেই লাইনে কান পাইতা ট্রেন আসার আওয়াজ শুনতাম ;)

কু ঝিক ঝিক!!!

++++

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

ভিটামিন সি বলেছেন: হুম সিডাই। আংগো বাড়ি তো আর লাইনের কাছে না, যে ট্রেনের ডাকে আংগো ঘুম ভাংবো।
তাইলে তো দাদা বিনা ভাড়ায় দেশ ভ্রমন করেন। বাড়ির পাশ দিয়ে লাইন গেছে, একটা পা্ওয়ার আছে না??

১৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: হি হি হি, তাহলে তোমাকে একাই সবগুলি কপি কিনতে হবে, এমনকি সৌজন্য কপিও।


ওকে ওকে তাহাই হইবেক!!!!! :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০৯

ভিটামিন সি বলেছেন: তাইলে তো কনট্যাক্ট করতে হবে এট ফার্স্ট। পেপার-টেপার, দলিল লেখক ইত্যাদি দিয়ে পেপার তৈরী করে নিতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.