নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উতস

আবু সায়েদ

student

আবু সায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাল কিছুর অন্বেষনেঃ স্যাটেলাইট ও গরুর গল্প

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

দেশে একটা স্যাটেলাইট হোক এটা সবারই স্বপ্ন, সন্দেহ নেই। এই স্যাটেলাইট-এর আয়ু হবে ১৫ বছর। প্রতি বছর স্যাটেলাইট (অরবিটাল) ভাড়া বাবদ দিতে হবে ১১০ কোটী টাকা, ১৫ বছরে দাঁড়াবে ১৬৫০ কোটি টাকা। স্যাটেলাইট নির্মান খরচ ৩০০০ কোটি টাকা। গ্রাউন্ড স্টেশন খরচ প্রতি বছর ২৫ কোটি টাকা, ১৫ বছরে ৩৭৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ১৫ বছরে মোট খরচ ৫০২৫ কোটি টাকা।
এই স্যাটেলাইট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দিয়ে বছরে আয় করবে ১১৯ কোটি টাকা, ১৫ বছরে ১৭৮৫ কোটি টাকা। নিট লস, ১৫ বছরে ৩২৪০ কোটি টাকা। এই ক্ষতি বহন করবে কে?

গল্পটা বুঝতে হলে আসুন, নিচের উদাহরন্টা দেখি;
এক পরিবারের দিন ১ কেজি করে দুধ লাগে। ফি কেজি ৪০ টাকা হলে মাসে খরচ হত ১২০০টাকা। মালিক চিন্তা করে দেখল, প্রতিদিন দুধ না কিনে একটা আস্ত গরুই কেনা হোক। দুধ খাব, বেচব-ও। মহৎ ও বৃহত পরিকল্পনা। যে চিন্তা, সেই কাজ। গরু কেনা হইল এক লাখ টাকা দিয়ে। কিন্তু সমস্যা বাধল, গরু লালন পালন আর রাখার জায়গা নেই। তাই সিদ্ধান্ত হল, গরু থাকবে গেরস্থের বাড়িতেই। গরুর ভরন-পোষন বাবদ মাসিক ১৫০০টাকা গেরস্থকে দেওয়া হবে। তাছাড়া দুধ সংগ্রহ ও বেচা-কেনার জন্য আলাদা লোক নিয়োগ দেওয়া হল, সে গেরস্থ ও মালিকের মধ্যে ‘সমঝোতা ও মধ্যস্থতা’ করবে। তার কন্সাল্টেন্সি মাসে ১০০০ টাকা। তারপরে গরুর সুন্দর একটা নাম রেখে প্রচার করা হল-আমাদের একটা গরু আছে।
(সংগৃহিত)

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

নায়লা রহমান বলেছেন: আরে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানুন

২| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

ক্স বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি!

৩| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১০

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ভালো উদাহরন দিছেন দাদা

৪| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৪

শহীদ আম্মার বলেছেন: আমিও চাইছিলাম ওটা কপি পেস্ট করবো। বাট আপনি করাতে আমার দায়িত্বমুক্তি ঘটলো!
আমি এখন টেনশনে আছি গরু ১৫ বছর বাঁচে কিনা।

৫| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ও আচ্ছা।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

টাকাওয়ালা বলেছেন: তথ্য অসম্পূর্ণ।

-ভূমি জরিপে কাজে লাগবে
-দুর্যোগের সময় ও এমনিতেই দুর্গম এলাকাগুলোতে যোগাযোগ সম্ভব হবে
-মিলিটারি যোগাযোগ ও সার্ভেইল্যান্স এ কাজে লাগবে
-উপকূল, সীমান্ত ও সমুদ্রসীমা রিয়েলটাইম নজরদারির আওতায় আসবে
-ভূমিরুপ পরিবর্তন, চর পড়া, নদী ভাংগন ধারা অনুমান করা যাবে
-জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরক্ষা, নগর পরিকল্পনার কাজে লাগবে
-বন্যা, আবহাওয়া, ঘূর্ণিঝড় অনুমান করা যাবে
-আশেপাশের বিশাল এলাকা জুড়ে গাইডেড মিসাইল নিখুত ভাবে আঘাত হানতে পারবে
-একটু টিভিও দেখতে পারবেন যেগুলো আগে মানুষের স্যাটেলাইট ভাড়া করে দেখতে হইত

স্যাটেলাইটের ব্যবহারের শেষ নাই, ওড়ানোর যৌক্তিকতা চিন্তা করার চেয়ে সর্বোচ্চ ব্যবহারের ব্যাপারে আওয়াজ উঠান। আরও আগেই উড়ানোর দরকার ছিল।

এবং ব্রাদার, এইগুলার ১৫ বছরের মুনাফা নিরূপণ করেন তারপর গরুর গল্পটা রিভাইজ দেন...

৭| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: আমি পক্ষে আছি এতে একটু নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বিধায়। তবে ছাড় দিতে হবে। তবে টাকাওয়ালা আকাশ কুসুম কল্পনা শুরু করেছে। যা একমাত্র ওয়ামী সমর্থকই করতে পারে। অতিরিক্ত বলা ঠিক না।
১৫ বছরে কোন মুনাফাই হবে না। (আর্থিক)
তবে ব্যবহারিক জ্ঞানটা কাজে লাগাতে পারবে যদি লাগাতে চায় সরকার তরুন ছাত্রদের দিয়ে।

৮| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৪

টাকাওয়ালা বলেছেন: প্রযুক্তির উন্নতির পক্ষে কথা বলে ওয়ামী ট্যাগ কেন খেলাম ভাই?

আর আকাশ কুসুম নয়,
এই সার্ভে এবং গবেষণার কাজ গুলা আমরা এখনই করি, GeoEye টাইপ জায়গা থেকে প্রতি বর্গ কিমি হিসেবে ইমেজ কিনে।
আর যোগাযোগ আর নেভিগেশনের কাজ গুলো নগদ ফি পরিশোধ করে করতে হয়।

এখন শুধু এই খরচটা কমবে। আমদানী এবং দেশে উৎপাদনের পার্থক্যের মত অনেকটা। যতটুকু কমল সেটা মুনাফা নয় কি?

৯| ২৫ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: @টাকাওয়ালা আসাম কুসুম ই চিন্তা। যতদূর জানতে পেরেছি এটা কোন সাইফাই সিনেমার রোল প্লেয়িং স্যাটালাইট নয় যখন যা মর্জি কাজ উদ্ধার করা যাবে। নির্দিষ্ট কাজের জন্য এই বি১ কৃত্তিম উপগ্রহ তৈরী।

আমার যুক্তি হল, টাকা তো জলেই যাক, এ থেকে যা শিখতে পারে। টাকা জল থেলে উদ্ধার করা সম্ভব না। এর থেকে যতটুকু আদায় করা যায় ততটুকুই কাজে দিবে।

একটা ব্যবহারিক হয়ে যাবে নিয়ন্ত্রুণ এর। এটা কাজে লাগিয়ে আগামীতে ভাল কিছু করতে পারবে আগামী প্রজন্ম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.