নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের বিচার বিভাগ ধ্বংস হলে সবকিছু ধ্বংস!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭

একটি দেশের বিচার বিভাগ হল সেই স্তম্ভ যা আইনের শাসন নিশ্চিত করে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা ছাড়া একটি দেশে আইনের শাসন সম্ভব নয়। আইনের শাসন না থাকলে দেশে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়

বিচার বিভাগ ধ্বংস হলে এর ফলে যেসব ক্ষতি হতে পারে সেগুলো হল:

১. আইনের শাসন লঙ্ঘিত হবে।

বিচার বিভাগ আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য দায়ী। বিচার বিভাগ ধ্বংস হলে আইনের শাসন লঙ্ঘিত হবে। এর ফলে দেশে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।

২. মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে।

বিচার বিভাগ মানবাধিকার রক্ষার জন্য দায়ী। বিচার বিভাগ ধ্বংস হলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে। এর ফলে দেশে নানা ধরনের অত্যাচার ও নির্যাতন দেখা দেবে।

৩. বিনিয়োগ হ্রাস পাবে।

বিনিয়োগকারীরা একটি দেশের আইনের শাসন ও মানবাধিকারের অবস্থা বিবেচনা করে বিনিয়োগ করে থাকেন। বিচার বিভাগ ধ্বংস হলে বিনিয়োগকারীরা দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ হারাবে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি দুর্বল হবে।

৪. সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে।

বিচার বিভাগ ধ্বংস হলে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। কারণ, মানুষ জানবে যে তাদের অধিকার রক্ষার জন্য কোনও ভরসা নেই।
এছাড়াও, বিচার বিভাগ ধ্বংস হলে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।

তাই বলা যায়, একটি দেশের বিচার বিভাগ ধ্বংস হলে সে দেশের সবকিছু ধ্বংস!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন দেশের বিচার বিভাগ ধ্বংস হয়ে গেলে সেটাকে কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কোন দেশের বিচার বিভাগ ধ্বংস হয়ে গেলে সেটাকে পুনরুদ্ধার করা একটি জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি নিম্নলিখিত ধাপগুলি নিয়ে গঠিত হতে পারে:

১. ধ্বংসের কারণগুলি চিহ্নিত করা

প্রথমত, বিচার বিভাগের ধ্বংসের কারণগুলি চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণগুলি রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বা অন্যান্য হতে পারে। কারণগুলি চিহ্নিত করার মাধ্যমে, পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াটিকে আরও কার্যকরভাবে লক্ষ্য করা যেতে পারে।

২. একটি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা তৈরি করা

দ্বিতীয়ত, একটি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা তৈরি করা প্রয়োজন। এই পরিকল্পনাটি বিচার বিভাগের পুনর্গঠন, পুনর্নির্মাণ এবং পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করবে। পরিকল্পনাটিতে বিচার বিভাগের কাঠামো, কার্যক্রম এবং সংস্কৃতি পুনর্গঠনের জন্য পদক্ষেপগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

৩. জনমত গঠন করা

তৃতীয়ত, জনমত গঠন করা গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের পুনরুদ্ধার একটি সামাজিক চুক্তি, এবং জনগণের সমর্থন ছাড়া এটি সফল হবে না। জনমত গঠনের জন্য, বিচার বিভাগের গুরুত্ব এবং এর পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা প্রয়োজন।

৪. আন্তর্জাতিক সহায়তা গ্রহণ করা

আন্তর্জাতিক সহায়তা গ্রহণ করাও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বিচার বিভাগের পুনরুদ্ধার একটি ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া, এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা এই প্রক্রিয়াটিকে দ্রুত এবং আরও কার্যকর করতে পারে। আন্তর্জাতিক সহায়তা বিভিন্ন রূপ নিতে পারে, যেমন অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি সহায়তা।

৫. ধৈর্য ধরা

বিচার বিভাগের পুনরুদ্ধার একটি ধৈর্যশীল প্রক্রিয়া। এটি কয়েক বছর বা এমনকি দশক সময় নিতে পারে। ধৈর্য ধরার মাধ্যমে, একটি কার্যকর এবং ন্যায্য বিচার বিভাগ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।

নিম্নলিখিত কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ রয়েছে যা বিচার বিভাগ পুনরুদ্ধারের জন্য নেওয়া যেতে পারে:

১. বিচারকদের পুনর্নিয়োগ করা

যদি বিচারকদের অপসারণ করা বা অকার্যকর করা হয়, তাহলে তাদের পুনর্নিয়োগ করা প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াটি অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালিত করা উচিত।

২. বিচার বিভাগের অবকাঠামো পুনরুদ্ধার করা

যদি বিচার বিভাগের আদালত ভবন, জেলখানা বা অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে সেগুলি পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াটি অর্থায়ন এবং কারিগরি সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।

৩. বিচার বিভাগের কার্যক্রম পুনরুদ্ধার করা

যদি বিচার বিভাগের কাজ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এটি পুনরায় চালু করা প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াটি বিচার বিভাগের কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে পরিচালিত করা যেতে পারে।

৪. বিচার বিভাগের সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার করা

যদি বিচার বিভাগ দুর্নীতিগ্রস্ত বা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে যায়, তাহলে এর সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পরিচালিত করা যেতে পারে।

কোন দেশের বিচার বিভাগ ধ্বংস হয়ে গেলে, এটি পুনরুদ্ধার করা একটি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই প্রক্রিয়াটি সফল হওয়ার জন্য, এটি অবশ্যই ধৈর্যশীল, পরিকল্পিত এবং জনমত গঠনের উপর ভিত্তি করে হতে হবে।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: বিচার ব্যবস্থা ভালোছিলো কবে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা কখন ভালো ছিলো এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে "ভালো" শব্দটির সংজ্ঞার উপর। যদি "ভালো" শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয় যে বিচার ব্যবস্থা ন্যায্য এবং সঠিক ছিলো, তাহলে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সবচেয়ে ভালো ছিলো ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়নের পর। এই সংবিধানে বিচার বিভাগকে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

১. বিচারপতিদের অপসারণের জন্য সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন ছিল।

২. বিচার বিভাগের কর্মচারীদের নিয়োগ এবং পদোন্নতিতে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ কমানো হয়েছিলো।

এই পদক্ষেপগুলির ফলে বিচার বিভাগ একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলো। ফলে বিচার প্রক্রিয়া আরও ন্যায্য এবং সঠিক হয়ে ওঠে।

চতুর্থ সংশোধনীর পর বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতা হ্রাস পায়। এরপর থেকে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

(ক) বিচারপতিদের রাজনৈতিক প্রভাব এবং হস্তক্ষেপের শিকার হওয়া।
(খ) বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা এবং ব্যয়বহুলতা।
(গ) বিচার বিভাগের দুর্নীতি।

এই সমস্যাগুলির কারণে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উপর জনগণের আস্থা হ্রাস পেয়েছে।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪

রাােসল বলেছেন: অবশ্যই কিছু মানুষ উপকৃত হয়। কারা সেই নিষ্পাপ, নির্দোষ, সাদা মনের মানুষ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


খারাপ-ভাল যেকোনো অবস্থাতেই কিছু মানুষ উপকৃত হয়। যেমন যুদ্ধের সময় অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অনেকেই ঐ সময় ব্যবসা করে অনেক ধনী হয়ে যায় এবং অনেক সম্পদের মালিক হয়।

নিষ্পাপ, নির্দোষ, সাদা মনের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত বা লাভবান হতে পারে।

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: প্রধান বিচারপতির ফটকে হামলা মামলায় মির্জা সাহেব সহ অনেক নেতা কারাগারে, সেইম মামলার আসামী কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে শাহজাহান নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করতে যাচ্ছে, বাকীরা এখনো কারাগারে, সুতরাং হাল হকিকত কী অনুমান করা যায়। দেশ কিন্তু উন্নতির মহা শিখরে, সেটা বিশ্বাস ও প্রচার না করলে আওয়ামী ধর্মের বেহেস্তের তালা বন্ধ থাকবে

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা রাষ্ট্রে স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য প্রয়োজন।
কেউ যদি স্বাধীন থাকতে চায় তাহলে স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকতে হবে।

সিদ্ধান্ত আপনার।

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিচার বিভাগ চলে সরকারের খেয়াল খুশি মতো। ব্যস শেষ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


বাংলাদেশের সংবিধানে বিচার বিভাগকে একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উপর সরকারের প্রভাব রয়েছে।

বিচারপতিদের নিয়োগ এবং পদোন্নতিতে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

বিচার বিভাগের অবকাঠামো এবং কর্মীদের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। সরকার বিচার বিভাগের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে এবং বিচার বিভাগের কর্মীদের নিয়োগ করে। এই নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সরকার বিচার বিভাগের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে।

বিচার প্রক্রিয়াতেও সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে। সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট কর্মকর্তারা বিচারকদের চাপ দিতে পারে বা তাদের প্রভাবিত করতে পারে।

এই কারণে, অনেকে মনে করেন যে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ পূর্ণরূপে স্বাধীন নয়। সরকারের প্রভাব এবং হস্তক্ষেপের কারণে বিচার প্রক্রিয়া ন্যায্য এবং সঠিক হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.