নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বলা সহজ, মানা কঠিণ

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১১




বলা সহজ, মানা কঠিণ

বলা বা উপদেশ দেয়া খুব সহজ। বলাই যায়, অন্যায় সহ্য করোনা, প্রতিবাদ করো, এতদিন কেন সহ্য করেছ, কেন প্রতিবাদ করনি, অপরাধীকে শাস্তি দাও, ইত্যাদি। কোন মানুষই স্বেচ্ছায় কোন নির্যাতন মেনে নেয়না। নেবার কথা নয়। কারণ নির্যাতন উপভোগ্য কোন বিষয় নয়।

বহূ মেয়েকে পাওয়া যাবে যারা স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে ঘর ছাড়েন। আবার কিছুদিন পর সেই মেয়েই সুড়সুড় করে সেই হারামী স্বামীর সাথেই ঘর করেন। অনেকে তালাকও দেন। পরে আফসোস করেন।

আমাদের এক ম্যাডামের স্বামী অন্য এক মেয়ের সাথে ধরা পড়ার পর ম্যাডাম দুই বাচ্চা নিয়ে বাবার বাড়ী উঠলেন। তখন শুনলাম ওদের ডিভোর্স হচ্ছে। তার মাসখানেক পরেই শুনি উনি আবার স্বেচ্ছায় স্বামীর ঘরে ফিরে গেছেন। কারণ জানতে পারলাম। ম্যাডামের বাবা, মা, ভাই, বোন তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে। কারণ ম্যাডাম ও তাঁর বাচ্চার দেখাশোনা অসুবিধা হচ্ছিল। আরো সহজ করে বললে, ম্যাডামের ঝামেলা তার পরিবার নিতে চায়নি। ফলে একা বাসা নিয়ে দুই বাচ্চা ও চাকরীর ঝামেলা উনি সামলাতে পারছিলেন না। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা, দুই বাচ্চা তাদের বাবাকে মিস করছিল। আমাদের আকতার জাহান ম্যাডামও স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে অনেকবার তালাক দিতে চেয়েও পরিবারের কারণে পারেননি। পরে শেষ পর্যন্ত তিনি আত্মহত্যা করেন। এতো গেল উচ্চবিত্ত, উচ্চশিক্ষিত, চাকুরীজীবী মেয়েদের কথা।

মধ্যবিত্ত ঘরের এক ননদ বাপের বাড়ী থাকে স্বামী ছেলে নিয়ে। স্বামীটা বেকার, নেশাখোর, জুয়ারী, মিথ্যেবাদী। বাজারের নানা দোকানে বাকী করে রেখে আসে। বউ স্কুলমাস্টারী করে সেসব শোধ দেয়। রাতদিন খায়, ঘুমায় আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়। নিজের ছেলেটাকেও পড়ায় না। আরো সমস্যা, রাতদিন বউ ছেলেকে গালি দেয়, নির্মমভাবে মারে। কেউ কিছু বলতে গেলে তার সাথেও খারাপ ব্যবহার করে। একদিন শ্বাশুড়ীর কাছে দুলাখ টাকা চাইলো। শ্বাশুড়ী দিতে রাজী না হওয়ায় বউ, শ্বাশুড়ী ছেলে সবার উপর চড়াও হল। আলমারীতে লাথি, বউয়ের গলা টিপে ধরা, সবাইকে মারতে যাওয়া। লোকজন এসে কোনরকমে তাদেরকে প্রাণে রক্ষা করলো। এরপর ননদকে তার এক ভাবী বলল, "তুমি যদি মনে কর এই স্বামীর সাথেই ঘর করবে, তাহলে আলাদা বাসা নিয়ে স্বামী-ছেলে নিয়ে চলে যাও। আমাদের বাসায় এসব অত্যাচার চলবেনা।" এরপর ননদ স্বেচ্ছায় স্বামীকে তালাক দিল। তার কিছুদিন পর ননদ, শ্বাশুড়ী সহ শ্বশুরবাড়ীর সবাই ভাবীকে বলল, "তুমি ওর জীবনটা নষ্ট করলে।" এই হল আমাদের মানসিকতা!!!

এবার বলি নিম্নবিত্তদের অবস্থা। আমার অফিসের এক সুইপার পরকীয়ায় আসক্ত। তার বউ প্রতিবাদ করাতে মারধর করে। বাধ্য হয়ে বউ অফিসে এসে বিষয়টা জানালো। এই শুনে অফিস থেকে সেই সুইপারকে শোকজ করা হলো। তার পরের দিন বউটা এসে স্বামীর মারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শরীর দেখিয়ে বলল, "আমাকে মেরে ফেলবে। আমি কি করব?" এই মেয়ের না আছে কোথাও যাবার জায়গা, না আছে মামলা করার সামর্থ। তার পাশে সাহায্য করার মত কেউ নেই।

আসল সমস্যাটা এখানে। এসব অসহায় মেয়েদের পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ থাকেনা। নিজের পরিবারও না। ভারতে অনেক এনজিও আছে এসব অসহায় মেয়েদের সাহায্য করার জন্য, এদেরকে নিরাপদ আশ্রয় দেবার জন্য। আমরা কি সেটা দিতে পেরেছি? কিছু এনজিও আইনগত সহায়তা দেয়। কিন্তু সেটা কি যথেষ্ট?

মেয়েরা প্রতিবাদ করেনা, জেনেশুনে নির্যাতন হজম করে। কারণ প্রতিবাদ করার পর মেয়েটার পাশে আর কাউকে পাওয়া যায়না। দু'চারদিন সমবেদনা জানানোর জন্য কেউ কেউ আসে, তারপর ভোগান্তি একা মেয়ের, মেয়ের পরিবারের। আমরা এখনও এমন পরিবেশ তৈরী করতে পারিনি যেখানে নির্ভয়ে প্রতিবাদ করা যায় এবং ন্যায় বিচার পাবার সম্ভাবনা সুনিশ্চিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযোগ করলেও অপরাধীদের শাস্তি হয়না। টাকার জোরে ছাড়া পেয়ে যায়। এই কারণগুলো নারীকে মানসিকভাবে অসহায় ও দূর্বল ভাবতে শেখায়।

কখনও কখনও আর্থিক সঙ্গতি না থাকা, পুলিশের হয়রানির ভয়, বিচারিক দীর্ঘসূত্রিতা, অপরাধী শক্তিশালী হলে তার নির্যাতনের ভয়, প্রিয়জনদের সমর্থন না পাওয়া,.... ইত্যাদি কারণে আমরা অপরাধের প্রতিবাদ বা প্রতিকার করিনা, করতে পারিনা। এতে অপরাধী যেমন প্রশ্রয় পেয়ে আরো অপরাধ করে, তেমনি নির্যাতিত ব্যাক্তি ন্যায় বিচার না পেয়ে বার বার নির্যাতিত হয়।

বর্তমানে মিডিয়ার কারণে মেয়েদের উপর নানা সহিংসতার বিভৎস চেহারাটা খুব তীব্রভাবে আমাদের সামনে এসেছে। মানুষের পশু প্রবৃত্তির জঘণ্য প্রমাণ মাঝে মাঝেই আমাদের বিবেককে নাড়া দেয় সব অপরাধের ক্ষেত্রেই। সুষ্ঠু রাজনৈতিক, সামাজিক পরিবেশ ও সত্যিকারের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারা এসব অপরাধের ব্যাপক বিস্তৃতির মূল কারণ।

আমাদের দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন তা আমরা সবাই জানি। যেদেশে পুলিশ ঘুষ খেয়ে মানুষ খুন করে, সেদেশে আইনের শাসন আশা করা মূর্খতা ছাড়া আর কি? অসংখ্য আলোচিত হত্যাকাণ্ড আছে যার সুরাহা হয়নি, কোনদিন হবেও না, তা সবাই জানে, মেনেও নিয়েছে। কিছুদিন আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। তারপর ভুলে যাই। আবার নতুন কোন ঘটনা ঘটলে পুরোনোটা আবার মনে পড়ে।
বাঘে ছু্ঁলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুঁলে চুয়ান্ন ঘা। একারণে আমরা অপরাধ গোপন করি। আর গোপন করি বলেই একের পর এক শিশু, নারী বা মানুষ অপরাধের শিকার হয়।

বাংলাদেশে আগে শতকরা ৬৪ ভাগ, বর্তমানে শতকরা ৮০ ভাগ নারী নিজ গৃহে অতি আপনজন দ্বারা নির্যাতিত। এই ৮০ ভাগ মেয়ে প্রতিবাদ করে বেরিয়ে এলে এদেশের পারিবারিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে।

প্রতিবাদ করে বেরিয়ে আসা যায়। কিন্তু তাতে সবাই আপনাকেই খারাপ বলেবে, দোষ দিবে। তাও হয়তো মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হলো, যখনি সমাজ দেখবে কোন মেয়ে একা, তখন অন্য পুরুষেরা আপনাকে খুবলে খাওয়ার চেষ্টা করবে। আত্মীয়, প্রতিবেশী, বন্ধু, অফিসের কলিগ, রাস্তার বখাটে, পরিচিতজন,...। মেয়েরা যাবে কোথায়? তাই স্বামী হল মেয়েদের সাইনবোর্ড, মন্দের ভালো। স্বামী ছেড়ে একা হওয়া মানে গরম কড়াই থেকে সোজা জ্বলন্ত চুলায় পড়া। ডিভোর্সি, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা বা অবিবাহিতা একা মেয়েদেরকে প্রশ্ন করলে জানা যাবে প্রতি পদে পদে তারা কত রকমভাবে নির্যাতিত হয়।

পৃথিবীর সভ্য দেশগুলোতে সত্যিকারের আইনের শাসন আছে। অর্থাৎ সেসব দেশে অপরাধ করে কেউ পার পায়না। ঘুষ খেয়ে কেউ অপরাধীকে শাস্তি থেকে রেহায় পেতে সাহায্য করেনা। ওসব দেশে অপরাধীদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা লজ্জায় মুখ দেখাতে পারেনা। অপরাধীরা নানাভাবে হেয় হয়। আর আমরা জেনেশুনে ঘুষখোর অফিসার, কর্মকর্তা-কর্মচারী বা ঘুষখোর পুলিশের সাথে আত্মীয়তা করি। অপরাধ করেছে জেনেও সব ভুলে তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করি। নিজ দল বা মতের লোকেদের বা আত্মীয়দের অপরাধের কথা গোপন করি। মেনে নেই। মনে করি তার অপরাধ এমন গুরুতর কিছুনা বা অপরাধই না।

আমেরিকার মত দেশেও একই কাজের জন্য ছেলেদের বেতন বেশী, মেয়েদের কম। আর কি বলব?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন তুলনামূলক চিত্র আর বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।

আমরা সবাই দায়ী আমাদের বাস্তবতার জন্য।
কারণ যে জাতি নিজে বদলায় না আল্লাহও তাদের সাহায্য করেন না!

+++++

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, ঠিক। ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

রক বেনন বলেছেন: অন্য চিত্র ও আছে।

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: যেমন? একটু বিস্তারিত বললে ভাল হয়। ধন্যবাদ।

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সত্যতা আছে সত্যি ! তবে নারী জাতিতো এখন আর অবলা নাই ! তাদের আছে নারী নির্যাতন আইনের মতন ভয়ঙ্কর অস্ত্র , মিডিয়ার মতন শক্তিশালী সহযোগী ! তারপরও কেন যে নির্যাতন বাড়ে !

তাও তো নারী নির্যাতনের কথা আলোচনায় আসে , পুরুষ নির্যাতনের কথাতো আলোচনাতেই আসে না ! নারী নির্যাতন কেসে কত অসহায়, নির্যাতিত পুরুষ যে চৌদ্দশিকে ঢুকে আছে কে জানে !

আমরা সব নির্যাতন , পরকীয়ার বিপক্ষে ! পরিবারে শান্তি আসুক , ভালোবাসা থাকুক ! আমাদের পারিবারিক , ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত হোক ! পশ্চিমা , ভারতীয় পারিবারিক সংষ্কৃতি নিপাত যাক !

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন:
"আমরা এখনও এমন পরিবেশ তৈরী করতে পারিনি যেখানে নির্ভয়ে প্রতিবাদ করা যায় এবং ন্যায় বিচার পাবার সম্ভাবনা সুনিশ্চিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযোগ করলেও অপরাধীদের শাস্তি হয়না। টাকার জোরে ছাড়া পেয়ে যায়। এই কারণগুলো নারীকে মানসিকভাবে অসহায় ও দূর্বল ভাবতে শেখায়।"

তারপরেও নির্যাতিত হয়। কারণ আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নেই। "পুরুষ নির্যাতন" শিরোনামে আমার একটি পোস্ট আছে। চাইলে দেখে নিতে পারেন।

জ্বি, সব নির্যাতন বন্ধ হোক। শান্তি আসুক। ধন্যবাদ।

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: আপু শুভেচ্ছা নিবেন। আপনি একজন নারী, আর সেজন্যই বোধহয় শুধুমাত্র নারী অধিকার এবং নারী নির্যাতনে আইনের প্রয়োগ নিয়ে কথা বললেন।

আপনার লেখা পড়েই জানলাম আগে ৬৪ শতাংশ নারী আপনজন দ্বারা নির্যাতিত হতো, এখন সেটা ৮০ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু আগের থেকে এখন নারীরা অনেক বেশি শিক্ষিত এবং অনেক ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হয়েছে। বিষয় টা কেমন জানি হয়ে গেলো না?
আপনি শুধু পুরুষের পরকীয়ার কথা তুলে ধরলেন। কিন্তু সংসারে অশান্তির জন্য নারীদের পরকীয়াও কম দায়ী না।
আপনি আপনার অফিসের সুইপার এর পরকীয়ার উদাহরণ দিলেন, কিন্তু উচ্চ শিক্ষিত ম্যাডাম অফিসের নাম করে কলিগের সাথে কি করছে তা বললেন না।
আপনি বললেন বর্তমানে মিডিয়ার কারণে মেয়েদের উপর নানা সহিংসতার বিভৎস চেহারাটা খুব তীব্রভাবে আমাদের সামনে আসছে। কিন্তু আপনি এইটা লক্ষ্য করেছেন কি,,, মিডিয়াতে আলোচিত বেশির ভাগ ঘটনার জন্য ঐ ভিকটিম মেয়েটিই দায়ী।
পাশাপাশি পুরুষ নির্যাতন কিন্তু মিডিয়াতে আসেনা।
আপনি বললেন ডিভোর্সি, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা বা অবিবাহিতা কোন মেয়ে একা থাকলে পুরুষেরা তাকে খুবলে খাবার চেষ্টা করে।
কথা সত্য। কিন্তু এক্ষেত্রে মেয়েরা কেন নিজেদের সেইফ পজিশনে রাখার চেষ্টা করছে না।
কেন তারা গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে বারবার প্রতারিত হচ্ছে? তার মানে কি আমি ধরে নেব যে তাদের একা থাকতে কষ্ট হয়, জেনেশুনে অবৈধ পথে হলেও তাদের একটা সঙ্গি দরকার! আর এক্ষেত্রে তো পুরুষদের দোষ দিয়ে লাভ নাই।

সভ্য দেশের উদাহরণ দিলেন, কিন্তু সভ্য দেশ কোনগুলো সেটা জানালেন না।

পারিবারিক , ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত হোক।
পশ্চিমা এবং ভারতীয় সংস্কৃতি নিপাত যাক।

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: শিক্ষিত, স্বাবলম্বী হয়ে লাভ নেই যদি না আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নেই। সুষ্ঠু রাজনৈতিক, সামাজিক পরিবেশ ও সত্যিকারের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারা এসব অপরাধের ব্যাপক বিস্তৃতির মূল কারণ।

"পুরুষ নির্যাতন" শিরোনামে আমার একটি পোস্ট আছে। চাইলে দেখে নিতে পারেন।

পৃথিবীর সব চাইতে উন্নত দেশগুলো যেখানে অপরাধ নেই বললেই চলে, সেসব দেশকে সভ্য দেশ হিসেবে ধরা হয়। যেমন ফিনল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড। নেদারল্যান্ডসে অপরাধীর সংখ্যা শূণ্যের কোঠায় চলে যাওয়ায় সেখানে কারাগারগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে একসাথে ১৯ টি ও ২০১৫ সালে আরো ৫টি কারাগার বন্ধ করে দেয়। অপরাধী না থাকার কারণে তারা অন্য দেশ থেকে অপরাধী আমদানী করে জেলখানা ভরাবার জন্য। অন্যদিকে এশিয়ার বৃহত্তম কারাগার নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশে; অপরাধীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে জ্যামিতিক হারে।

বাবা যখন মেয়েকে রেপ করে, তখন মেয়েরা আর কিভাবে নিজেদের সেভ করবে? আগেই বলেছি, "কোন মানুষই স্বেচ্ছায় কোন নির্যাতন মেনে নেয়না। নেবার কথা নয়। কারণ নির্যাতন উপভোগ্য কোন বিষয় নয়।"

ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

কল্লোল পথিক বলেছেন:

এই প্রথম আপনার কোন পোস্ট পড়লাম মনে হয়।
সুন্দর উপস্থাপন।

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তাই? ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.