নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাণবিক বাংলাদেশ চাই

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪০



বাংলাদেশের কোন না কোন জায়গায় রোজ প্রকাশ্যে (গোপনে যেসব অপরাধ ঘটছে, সেগুলোকে এই আলোচনার বাইরে রাখলাম) অনেক লোকের সামনে মানুষ, শিশু, নারী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নির্মমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে, কখনও কখনও খুনও হচ্ছে। কখনও তুচ্ছ কারণে, কখনও একেবারেই অকারণে। তার প্রমাণ আমরা রোজ পাই প্রিন্ট ও সোশাল মিডিয়াগুলোতে পোস্ট হওয়া খবর, ছবি ও ভিডিওগুলো থেকে। কেউ কেউ গোপনে বা প্রকাশ্যে এই ছবি-ভিডিওগুলো তুলছে ও পোস্ট করছে। তারমানে অপরাধের প্রত্যক্ষদর্শী কিছু মানুষ এসব ছবি-ভিডিওগুলো তুলতে পারছে কিন্তু অপরাধ ঠেকাতে পারছে না বা ঠেকানোর চেষ্টা করছে না। কেন? আজ এই কেনর উত্তর জানার চেষ্টা করব।

মনোবিজ্ঞানে বাই-স্ট্যান্ডার ইফেক্ট (By-Stander Effect) বলতে বোঝায় জনসমক্ষে কোন অপরাধ সংঘটিত হতে দেখেও কেউ আক্রান্ত ব্যাক্তিকে সাহায্য করতে এগিয়ে না যাওয়া।(A bystander is a person who, although present at some event, does not take part in it; an observer or spectator. Bystander effect, a social psychological phenomenon wherein individuals do not offer help in an emergency when other people are present - Wikipedia). কেটি জেনোভেস নামে এক তরুণীর প্রকাশ্যে খুনের পর এই ধারণাটি মানুষের সামনে আসে।

নিউইয়র্ক শহরে ১৯৬৪ সালের ১৩ মার্চ কেটি জেনোভেস নামক এক তরুণী মোশেল নামে এক যুবকের আকষ্মিক উপর্যুপরি চাপাতির আঘাতে নিজ বাসার সামনে ৩৭/৩৮ জন লোকের উপস্থিতিতে খুন হন। কেটি এ সময় ১০/১৫ মিনিট ধরে প্রাণ বাঁচাতে সাহায্যের জন্য "হেল্প হেল্প" চিৎকার করলেও কেউ তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায়নি। কেন যায়নি তার কারণ বের করার জন্য এই খুনের পর আমেরিকান সাইকিয়াট্রিস্টরা গবেষণা করে বাই-স্ট্যান্ডার ইফেক্টের কারণ হিসেবে "ডিফিউশন অব রেসপনসিবিলিটি (Defusion of Responsibility)" র কথা বলেন। পরে আমেরিকান সাইকিয়াট্রিস্ট এসোসিয়েশন জেনোভেসের নামানুসারে ডিফিউশন অব রেসপনসিবিলিটিকে "জেনোভেস সিনড্রোম" নামকরণ করে। ডিফিউশন অব রেসপনসিবিলিটি বলতে বোঝায়, যখন কোন স্থানে অনেক মানুষের সামনে অপরাধ ঘটে, তখন মানুষ মনে করে কেউ না কেউ আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করবে বা করেছে। (Diffusion of responsibility is a sociopsychological phenomenon whereby a person is less likely to take responsibility for action or inaction when others are present. Considered a form of attribution, the individual assumes that others either are responsible for taking action or have already done so - Wikipedia).

কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, শেষ পর্যন্ত কেউই আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করেনা বা অপরাধীকে ঠেকায় না। ফলে সাহায্যের অভাবে মানুষ নির্যাতিত বা নিহত হয়। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে - ভাগের মা গঙ্গা পায়না। অবস্থাটা সেরকম। কেটির হত্যাকান্ডের পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, "যত বেশী মানুষের সামনে কেউ আক্রান্ত হবে, তত বেশী তার সাহায্য পাবার সম্ভাবনা ডিফিউশন অব রেসপনসিবিলিটি/জেনোভেস সিনড্রোমের কারণে কমতে থাকবে।"

অপরাধী শক্তিশালী হলে তার নির্যাতনের ভয়ে, দেশে আইনের শাসনের অভাব ও রাজনৈতিক-সামাজিক স্থিতিশীলতার অভাব থাকলে, পুলিশী হয়রানীর ভয়ে এবং আশপাশে মানুষের সমর্থন না পাওয়া গেলে মানুষ অপরাধের প্রতিবাদ বা প্রতিকার করেনা, করতে পারেনা। এতে অপরাধী যেমন প্রশ্রয় পেয়ে আরো অপরাধ করে, তেমনি নির্যাতিত ব্যাক্তি ন্যায় বিচার না পেয়ে বার বার নির্যাতিত হয়।

অপরাধী শাস্তি পায়না বলে আরো অপরাধ করার স্পর্ধা ও সুযোগ পেয়ে যায় এবং বীরদর্পে অপরাধ করে। তাদের নির্যাতনে মানুষের মনে ভয় সৃষ্টি হয়। ফলে মানুষ অপরাধের প্রতিবাদ করেনা, অপরাধীকে এড়িয়ে চলে, অপরাধ হজম করে আত্মরক্ষার বিকল্প পথ খোঁজে।। একারণে অপরাধীদের মনোবল বাড়ে, শাস্তির ভয় কমে যায়, আইনকে তোয়াক্কা করেনা। শাস্তি না পাওয়া অপরাধীদের দেখে অন্য লোকেরাও অপরাধ করতে উৎসাহিত বোধ করে। এভাবে আরো মানুষ অপরাধ করে। এভাবে সমাজ, দেশ কলুষিত হয়।

আগে প্রকাশ্যে কেউ কাউকে নির্যাতন করলে সেখানে উপস্থিত কেউ না কেউ বাধা দিত। এখন মারতে মারতে মেরে ফেললেও শিশুর আর্তচিৎকারেও কারো মন গলেনা। চারপাশে মানুষের এত ভয়ংকর আচরণ, এত অনাচার দেখেও আর কোন কিছুই মানুষকে অবাক বা বিচলিত করেনা, কষ্ট দেয়না, প্রতিবাদী করেনা। নিষ্ঠুর সব অপরাধ প্রকাশ্যে ঘটতে দেখেও মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে দেখে, ছবি তোলে, ভিডিও করে, আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে যায়না। দেখে মনে হয়, যেন এমনটা ঘটাই স্বাভাবিক।

প্রতিদিন খুন, গুম, ধর্ষণ, ঘুষ, নির্যাতন,... ইত্যাদি সব ধরণের অপরাধের লাগামহীন বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে, এখন আমাদের সমাজে কোন সাধারণ মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই। কেউ অন্যায়ভাবে আক্রান্ত হলেও রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় যণ্ত্র তাদেরকে সাহায্য করেনা বা রক্ষা করতে পারেনা। উল্টে অপরাধীরাই জয়ী হয়। জয়ী হয়ে নির্ভয়ে আরো বড় বড় অপরাধ করে। চোখের সামনে প্রতিনিয়ত মানুষ অপরাধীদের ফুলে-ফেঁপে ওঠা দেখে। তাই মানুষ এখন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত। অন্য কারো নিরাপত্তা দিতে গিয়ে নিজের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে সাহস পায়না। কারণ সে জানে, সে নিজে আক্রান্ত হলে কেউ তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেনা।

কেন সাধারণ মানুষ (সাংবাদিকরা নন) অপরাধ ও অপরাধীর ছবি-ভিডিও তোলে এবং সেগুলো প্রচার করে?

২০০৯ সালের ২৪ অক্টোবর ক্যালিফোর্ণিয়ার রিচমন্ড হাইস্কুলের পনেরো বছর বয়সী এক ছাত্রীকে স্কুলের জিমনেশিয়ামে দশজন যুবক ধর্ষণ করতে থাকে। প্রায় একশ' জন লোকের সামনে ঘটনাটি ঘটলেও দু'ঘন্টার বেশী সময় পর্যন্ত কেউ পুলিশকে বিষয়টি জানায়নি বা মেয়েটিকে রক্ষা করেনি। বরং তারা ছবি তোলা ও ভিডিও করায় ব্যস্ত ছিল। পরে ভিডিও করেছিল এমন একজন বলে, "ভিডিও করব না কেন? এমন লাইভ দেখার সুযোগ কি বার বার আসে?"

তারমানে নির্যাতনের দৃশ্য মানুষের কাছে উপভোগ্য হয়ে গেছিল বা তারা এমন যৌন ঘটনা প্রত্যক্ষ করার লোভ সামলাতে পারেনি (যেহেতু যৌনতা গোপনীয় বিষয়)। বাংলাদেশের মানুষের বেলায় কারণটা ভিন্ন। তারা ক্ষমতাবান অপরাধীর কোপে পড়ার ভয়ে চুপ করে থাকে।

কখনও কখনও ভয়ে বা অসহায়ত্বের কারণে চুপ করে থাকলেও মানুষ যেহেতু স্বভাবগতভাবে ন্যায়পরায়ণ, তাই তার প্রতি বা অন্য কারো প্রতি ঘটে যাওয়া অপরাধ দগদগে ঘায়ের মত মানুষের মনে চিরস্থায়ীভাবে থেকে যায়, যা কোনদিনও শুকায়না। ভিকটিম বা প্রত্যক্ষদর্শী কখনোই তা ভুলতে পারেনা, মেনে নিতে পারেনা। মানুষের অবচেতন মনে প্রতিনিয়ত এই কষ্টের অভিজ্ঞতা অবদমিত অবস্থায় থেকে মনের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।

ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টারের কথা আপনাদের মনে থাকার কথা। দূর্ভিক্ষ পীড়িত মৃত্যুপথযাত্রী আফ্রিকান শিশুর মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা একটি শকুনসহ শিশুটির ছবি (যা পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিল) তোলার কিছুদিন পর মানুষের চরম মানবিক বিপর্যয়ের প্রতিকার করতে না পারার কষ্টে কেভিন কার্টার আত্মহত্যা করেন। জাপানে পারমানবিক বোমা নিক্ষেপকারী পাইলটদের কারো কারো মানসিক অসুস্থতার কথা জানা যায়। ভয়াবহ কোন অপরাধ ঘটতে দেখে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা মানুষের সংখ্যাও পৃথিবীতে অনেক।

কখনও কখনও আমরা জেনেশুনে আমাদের আপনজনের, নিজ দল বা মতের লোকের অপরাধ গোপন করি বা তাদের অপরাধকে অপরাধ বলে স্বীকারই করিনা। তাতে তারা প্রশ্রয় পেয়ে আরো অপরাধ করে।

আমি সম্প্রতি কিছু ক্ষমতাবান অপরাধীকে অপরাধ করতে বাধা দিয়েছি এবং তাদের অপকর্মের কথা সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি যাতে তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার হয়। হয়েছেও। আমি ওদেরকে উচিত শিক্ষা দেবার পর অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, আসলে অপরাধীদেরকে কেউ পছন্দ করেনা। এমনকি তাদের নিজেদের লোকেরাও না। সবাই তাদেরকে ঘৃণা করে এবং নিজেদের স্বার্থে তাদেরকে ব্যবহার করে মাত্র। আমি যাদেরকে শায়েস্তা করলাম, তাদের কাছের মানুষরাই তাতে সবচেয়ে বেশী খুশী হল। কারণ তারা নিজেরাও ঐসব অপরাধীদের অনাচার পছন্দ করেনি। যদিও ভয়ে কেউ প্রতিবাদও করেনি। আমি প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করার পর ওরা আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছে। একজনকে প্রশ্ন করেছিলাম, "সব জেনেও আপনারা চুপ করে থাকেন কেন?" তিনি বললেন, "বললেও ওরা শোনেনা। ওদের মধ্য ভালমন্দ বোধই নেই। ওরা বিরাট বেয়াদব।"

এর আগে যখন আমি কিছু মানুষের নির্লজ্জতা, অপকর্ম ও লোভের কথা বললাম, তখন অপরাধীরা আমাকে হুমকি দিল, আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করলো। তখন অপরাধীদের আপনজনদের একজন আমাকে বলল, "তুমি ভয় পাবে কেন? তুমি তো কোন অপরাধ করনি। লেট দ্য ডগস বার্ক।"

আমার অনেক শুভাকাঙ্খী আমাকে পরামর্শ দিচ্ছে, চুপ করে থাকতে। অনাচার দেখেও মেনে নিতে, দেখেও না দেখার ভান করতে। সবাই যদি জেনোভেস সিন্ড্রোমে ভুগে অপরাধ-অনাচার নীরবে হজম করি, তাহলে দেশটা একসময় রসাতলে যাবেনা? গেলে আমরা কেউ কি রক্ষা পাব? রসাতলে যেতে কি খুব বাকী আছে?

যেকোন বাড়াবাড়ি থামাবার জন্য প্রকৃতির নিজস্ব একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা আছে। নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ দিয়ে প্রকৃতি আসলে মানুষকে বলে দেয়, "এ প্রলয়ের জন্য তোমরাই দায়ী।" যে ভয়াবহ বন্যা নিয়ে এত কথা হচ্ছে, তা কি আসলে মানুষেরই তৈরী নয়?

যুগে যুগে ক্ষমতাবান মানুষরা বীরদর্পে অপরাধ করে। তারা মনে করে, তারা পার পেয়ে যাবে। কখনোই তাদের অপরাধের জন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে বা শাস্তি পেতে হবেনা। কেউ তাদের কিচ্ছু করতে পারবেনা, শাস্তি দিতে পারবেনা, তাদের অপরাধ নিয়ে কথা বলতে পারবেনা। কিন্তু তারা ভুলে যায়, যতবড় ক্ষমতাবানই হোক না কেন, একদিন ক্ষমতা থাকবেনা, থাকেনি, থাকেনা।

যেকোন মানুষের ন্যায়বিচার পাবার অধিকার তার বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার। তাই আমাদের উচিত, সাহস করে প্রতিকূলতা আছে জেনেও ছোট বা বড় যেকোন অপরাধের প্রতিবাদ ও প্রতিকার করা। কেননা ছোট ছোট অপরাধ মেনে নিতে নিতেই একসময় বড় বড় অপরাধে দেশ ছেয়ে যায়। গেছেও। যাচ্ছেও।

আল্লাহও সে ব্যক্তিকে সাহায্য করেন না যে নিজেকে সাহায্য করেনা। তাই নিজেকে, আপনজনকে, আশপাশের মানুষকে ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করুন। যেকোন বিপদে সোচ্চার হোন, অপরাধীকে প্রতিহত করুন। জেনোভেস সিন্ড্রোমে ভুগবেন না।

বন্যার পানিতে একটি কুকুরের হাত ধরে দুই মহিলার হেঁটে যাবার ছবিটি দেখে মন ভরে গেল। প্রাণের জন্য আরেক প্রাণের অনুভূতিই হল প্রাণবিকতা। প্রাণবিক (যেকোন প্রাণের জন্য মানবিক) হোক বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ। বীরের জাতি বাঙ্গালী 'বীর' হয়েই বাঁচুক।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৯

মূর্ক্ষের পিতা হস্তী মূর্ক্ষ বলেছেন: Cannibalism politics. cannibalism politician. Cannibalism best friend Indian politician. Your Crocodiletears.

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তাই? যাইহোক, ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


"২০০৯ সালের ২৪ অক্টোবর ক্যালিফোর্ণিয়ার রিচমন্ড হাইস্কুলের পনেরো বছর বয়সী এক ছাত্রীকে স্কুলের জিমনেশিয়ামে দশজন যুবক ধর্ষণ করতে থাকে। প্রায় একশ' জন লোকের সামনে ঘটনাটি ঘটলেও দু'ঘন্টার বেশী সময় পর্যন্ত কেউ পুলিশকে বিষয়টি জানায়নি বা মেয়েটিকে রক্ষা করেনি। বরং তারা ছবি তোলা ও ভিডিও করায় ব্যস্ত ছিল। পরে ভিডিও করেছিল এমন একজন বলে, "ভিডিও করব না কেন? এমন লাইভ দেখার সুযোগ কি বার বার আসে?"

-দরকারী বিষয়; কিন্তু এই ঘটনাকে আপনি সঠিকভাবে তুলে ধরেননি: এটা জিমনেসিয়ামে ঘটেনি, জিমনেসিয়ামে গান ও নাচ হচ্ছিল; মেয়েটাকে ধর্ষণ করেছে জিমনেসিয়ানের বাহিরে একটা অব্ধকার যায়গায়। ২ ঘন্টা অবধি ২০ জন লোক এই ঘটনা জানতো, তারা পুলিশকে জানায়নি; এরা সবাই ওখানে ড্রিং করছিলো, ওরা "বাইস্টানডার: নন। ২ ঘন্টা পরে অন্য কেহ পুলিশ ডেকেছে; মেয়েটা অনেক ড্রাংক থাকায় অনেকে বুঝতে পারেনি কি হচ্ছে

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: কিন্তু বাইস্ট্যান্ডার না হলে যারা ভিডিও করল, ছবি তুলল, তারা কারা? যাইহোক, ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:১৯

কানিজ রিনা বলেছেন: কখনও কখনও আমরা জেনেশুনে আপন
লোকদের অপরাধ গোপন করি বা তাদের
অপরাধকে অপরাধ বলে স্বীকার করিনা
তাতে তারা আরও অপরাধ করতে প্রস্রয়
পায়। কোনও ছোট ছোট অপরাধ মেনে
নিতে নিতে তারা বড় অপরাধ করে বসে।
আলপনা কথা গুল এতদামী বলেছ।
সত্যি ছোট ছোট অপরাধ করতে করতে
বড় অপরাধ করার সাহস পায় আপন
লোকদের প্রস্রয়ে। একদম খাটি কথা
তুলে ধরেছ।
তোমার লেখাগুল দেশও জাতির জন্য শিক্ষার উপসংহার। তাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:০৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আপা। ভাল থাকুন।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:২৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ম্যাম হৃদয়স্পর্শী ছবি। Genovese syndrome সম্পর্কে জানার জন্য গুগল করলাম। আপনার লেখা আমাকে কৌতূহলী করে তুললো। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:০৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তাই? ওকে। বেশ ভাল। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। জানিয়ে গেলাম।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রাণবিক বাংলাদেশ চাই সহমত। সামনে ঈদুল আযহা ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৫৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, ধন্যবাদ। মানুষ ঈদ করতে পারবে বলে মনে হয়না। বড় দূর্দিন!

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০১

প্রামানিক বলেছেন: এমন একটি মানবিক লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার এই লেখা পড়ে ও ছবি দেখে ছড়া লেখার খোরাক পেয়েছি। ছড়াটি এই ব্লগে আপনার নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তাই? আমার পরম সৌভাগ্য!!! আপনাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা!! জ্বি, নিশ্চয় পড়ব। ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.