নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা সবাই কি সাম্প্রদায়িক নই?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৫



আমরা সবাই কি সাম্প্রদায়িক নই?

অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত কেউ সাম্প্রদায়িক হলে তবু মেনে নেয়া যায়। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের একজন শিক্ষক যখন সাম্প্রদায়িক হন, তখন সে লজ্জা রাখার কোন জায়গা থাকেনা। ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের এবারের ভর্তি পরীক্ষার ৭৬ নম্বর প্রশ্নটি ছিল :

৭৬। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থের নাম কি?

(ক) পবিত্র কুরআন শরীফ (খ) পবিত্র বাইবেল (গ) পবিত্র ইঞ্জিল (ঘ) গীতা।

এই প্রশ্নে প্রশ্নকর্তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। কারণ এই মহাজ্ঞানী প্রশ্নকর্তা নিজেই জানেননা যে বাইবেল আর ইঞ্জিল একই গ্রন্থ। তিনি সাম্প্রদায়িক কারণ তিনি নিজের ধর্মগ্রন্থকে শ্রেষ্ঠ উত্তর ধরে নিয়ে প্রশ্নটি করেছেন। তিনি ভুলে গেছেন যে, সবাই নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থকেই শ্রেষ্ঠ মনে করে। তাই এই প্রশ্নের উত্তর একাধিক হওয়া সম্ভব, (একটি নয়) যা অবজেক্টিভ প্রশ্নের গঠণ পরিপন্থী। এই প্রশ্নের উত্তরে নিশ্চয় একেক পরীক্ষার্থী একেক উত্তর দেবে। পরীক্ষক কোন্ উত্তরকে সঠিক ধরে নম্বর দেবেন? তাছাড়া এমন কোন পরীক্ষার্থীও তো থাকতে পারে যে এর কোনটিকেই সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ বলে মনে করেনা। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এমন সাম্প্রদায়িক, দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রশ্ন কেউ করতে পারে এটি আমাদের কল্পনার অতীত। প্রশ্নকর্তা অবশ্যই সাম্প্রদায়িক। কারণ তিনি অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। তাই তিনি অন্য ধর্মগ্রন্থগুলোর নামের আগে বসালেও গীতার আগে "পবিত্র" শব্দটা বসাননি। অর্থাৎ প্রশ্নকর্তা গীতাকে পবিত্র গ্রন্থ বলে মনে করেন না।

কোন শিক্ষকের সাম্প্রদায়িক হবার কোন সুযোগ নেই। ক্লাসে সব ধর্মের, বর্ণের, গোত্রের ছাত্র-ছাত্রী থাকবে। কারো প্রতিই পক্ষপাতমূলক কোন আচরণ করা যাবেনা। এটি যেকোন শিক্ষকের নীতিবিরুদ্ধ। আমাদের সংবিধানেরও নীতি বিরুদ্ধ। সমঅধিকার নীতি তাই বলে। তাছাড়া চারুকলার মত বিষয়ের প্রশ্ন এমন সাম্প্রদায়িক হলে আমাদের সবার প্রতি উদার মানসিকতার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে মানুষের ধর্মানুভতিতে আঘাত দেবার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি ব্যাহত হবার সুযোগ সৃষ্টি হয়, শিক্ষক তাঁর গ্রহণযোগ্যতা হারান। এটি হতে দেওয়া উচিত নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন করার নিয়ম হলো, উত্তরসহ প্রশ্ন হাতে লিখে জমা দিতে হয়। ফলে কোন্ প্রশ্ন কোন্ শিক্ষক করেছেন, তা সনাক্ত করা সম্ভব। তারপর প্রশ্ন মডারেশন বোর্ডের সদস্যরা প্রশ্নকর্তাদের দেয়া প্রশ্ন থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রশ্ন বাছাই করেন। বাছাইকৃত প্রশ্ন (উত্তরসহ দেয়া) টাইপ করা হয়। যদি ধরে নেই, প্রশ্নকর্তা না বুঝে ভুল করে এমন প্রশ্ন করেছেন, তাহলে প্রশ্ন আসে, মডারেশন বোর্ড কেন এমন বিতর্কিত প্রশ্ন বাদ দিল না? তাই এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী উঠেছে, তদন্ত করে ঐ প্রশ্নকর্তা শিক্ষক ও মডারেশন বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

আমার ভাবনার জায়গাটা অন্য। আপনারা বলুন তো, কেন শিক্ষক এমন একটা প্রশ্ন নির্বাচন করেছেন? ভুল করে নয়। তিনি ইচ্ছে করেও এমন প্রশ্ন করেননি। তিনি প্রশ্নটা করেছেন, কারণ তাঁর মস্তিষ্ক একটি বিশেষ ধরণের ভাবনায় অভ্যস্ত। আর এই প্রশ্ন সেই ভাবনার ফল যা থেকে তিনি বের হতে পারেননি, পারবেন না। কারণ আপনার চিন্তায় গণ্ডগোল থাকলে তার প্রতিফলন আপনার কাজে ঘটবেই। মুখে নিজেকে নিরপেক্ষ দাবী করা সহজ। কিন্তু মন থেকে সাম্প্রদায়িকতা মুছে ফেলা সম্ভব না। সাম্প্রদায়িক মানুষ নিজ ধর্ম, নিজের মত ইত্যাদি সবকিছুকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে সজ্ঞানে ও অজ্ঞানে সদা সর্বদা ব্যস্ত, তা সে যে ধর্মের বা গোত্রের মানুষই হোক না কেন।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে এবং কট্টর হিন্দুত্ববাদের বিপক্ষে লেখালেখির কারণে সম্প্রতি ভারতে গৌরী লঙ্কেশ খুন হয়েছেন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীর হাতে। এর আগে একইভাবে একই কারণে খুন হন এম এম কালবুর্গি ও ডঃ পানসারি। আমাদের দেশে পাঁচজন ব্লগার খুন হয়েছেন কট্টর মুসলিমদের হাতে। আমেরিকাতে এখনও নিগ্রোরা নিগৃহীত হয় শেতাঙ্গদের দ্বারা। ভারতের বর্ণবাদপ্রথা, গরুর মাংস খাওয়ার অপরাধে মুসলিম হত্যা, এসবও তাই। সর্বশেষ বৌদ্ধদের দ্বারা রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনও সাম্প্রদায়িকতার ফসল।

ছোটবেলা থেকে আমরা পরিবার, আত্মীয়, প্রতিবেশীদের আচরণ থেকে এবং সমাজ, বিদ্যালয়, পাঠ্যবই, গণমাধ্যম, ইত্যাদি থেকে যে ধারণা, বিশ্বাস, মূল্যবোধ, আবেগ নিয়ে বেড়ে উঠি, এসব থেকে দিনে দিনে যা কিছু শিখি তা দিয়েই আমাদের ভাবনার ও আচরণের ভিত তৈরী হয়। তাই আপনি ওসব থেকে সাম্প্রদায়িক মানসিকতার অধিকারী হয়ে গেলে বড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেও আপনি সাম্প্রদায়িকতামুক্ত হতে পারবেন না। তাই সব মানুষ, তথা সব শিক্ষকই শিক্ষার কারণে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত হতে চাইলেও কখনো কখনো (সবসময় নয়) নিজের অজান্তে তাঁর সাম্প্রদায়িক আচরণ প্রকাশ করে ফেলেন যা অন্যরা বা শিক্ষার্থীরা তাঁদের কাছ থেকে অনুকরণ করে শিখে ফেলে।

আমরা সবাই কমবেশী সাম্প্রদায়িক। যে কোন বিশেষ সম্প্রদায়কে প্রাধান্য দেয়, সেইই সাম্প্রদায়িক। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, নিজ ধর্ম, গোত্র, এলাকা, মতের, দলের লোকের প্রতি দূর্বল নন (প্রাধান্য দেননা), দেশের প্রতিটা সেক্টরে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ছোটবেলা থেকে আমরা এসব দেখে দেখেই বড় হই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও তাঁরা ভিন্ন দলের, মতের লোকেদের দেখতে পারেন না, তাঁদেরকে কোণঠাসা করে রাখেন, গালি দেন, ন্যায্য পাওনা দেননা, সব সুবিধা নিজেরা ভোগ করেন। নিজ দল বা মতের লোকেদের সাফাই গান, তাঁদের অপরাধ গোপন করেন, ধামাচাপা দেন। এটা নির্মম সত্যি। তাই তাঁরাও সাম্প্রদায়িক।

এক গাধা আর শেয়াল তর্ক করছে। গাধা বলছে, "ঘাস হলুদ।" শেয়াল বলছে, "না, ঘাস সবুজ।" তারা নিজেরা তর্কের সমাধান করতে না পেরে সিংহ রাজার কাছে গেল সমাধান পেতে। সিংহ সব শুনে গাধাকে ছেড়ে দিল, কিন্তু শেয়ালকে দিল জেল। শেয়াল আপত্তি করে বলল, "কেন মহারাজ? আমিই তো ঠিক বলেছি। ঘাস তো সবুজই।" সিংহ বলল, "তোমাকে তো ভুল কথার জন্য জেল দেইনি। জেল দিয়েছি পণ্ডিত হয়ে মূর্খের সাথে তর্কে জড়ানোর মত অন্যায় করেছ বলে।"

আমিও তাই বলি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে সাম্প্রদায়িক হবার মত অন্যায় করলে তার শাস্তি না হওয়াটাই অপরাধ। তাই শাস্তি হতে হবে। হতে হবে সব সাম্প্রদায়িক শিক্ষকের। প্রশ্ন হল, অসাম্প্রদায়িক শিক্ষক পাওয়া যাবে তো? কথায় বলে, "ঠক বাছতে গাঁ উজাড়।"!!!!!!!

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিষয়টা আমারও ভালো লাগেনি। শিক্ষক মনে হয় পড়াশোনার চাইতে ফেসবুকে বেশী সময় কাটাতেন। কারণ, ফেসবুকে শর্টকাট মুসলিমরা এসব করে। তবে এই শিক্ষকের একটা শাস্তি হওয়া উচিত এরকম আবাল প্রশ্ন করার জন্য...

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সহমত। ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

ঢাকার লোক বলেছেন: শুধু ঐ শিক্ষকের না , যারা এ প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত করেছে সবাইকে এর জন্য জবাবদিহি করতে বলা উচিত। এটা অনেকটা আপনি মুসলিম? না হিন্দু? না খ্রিস্টান? জানতে চাওয়া !

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সহমত। ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



রাজশাহী ইউভারসিটির মান মক্তবের সমান

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: এই প্রশ্ন তাই প্রমাণ করে। ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: যিনি এই প্রশ্ন প্রণেতা, তিনি নিঃসন্দেহে একজন অশিক্ষিত মূর্খ ব্যক্তি, যদিও তার পদবি শিক্ষক।
যারা এই অশিক্ষিত মূর্খ ব্যক্তিটিকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে, তারা বর্বর, অশিক্ষিত ও জানোয়ার।
এই অশিক্ষিত মূর্খ ব্যক্তিটির খুঁটির জোর আছে বলেই অশিক্ষিত ও মূর্খ হওয়া সত্ত্বেও এই পদে নিয়োগ পেয়েছে।
যারা এই অশিক্ষিত মূর্খ ব্যক্তিটিকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে, তাদেরও খুঁটির জোর আছে বলেই এই ধরণের অর্বাচীনকে শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে পেরেছে।
যেহেতু এটা একটা ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, তাই এর সাথে একাধিক মূর্খ ব্যক্তি জড়িত আছে।
একজন মূর্খ ব্যক্তি প্রথমে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেছে।
তারপর একদল মূর্খ তা পর্যালোচনা করেছে।
তারপর আরেক দল মূর্খ চূড়ান্ত করে তা ছাপার অনুমতি দিয়েছে।
এটা একটা মূর্খের হাটবাজার।
এখন কি করবেন?
শাস্তির আওতায় আনতে পারবেন না। কারণ আগেই বলেছি, এই মূর্খগুলির খুঁটির জোর অনেক বেশি।
তা হলে কি করবেন?
এদেরকে ঘৃণা করতে হবে। ঘৃণা আর ঘৃণা। ঘৃণার একটা বিশাল শক্তি আছে।
হাদিস আছে, অন্যায়কে হাত দিয়ে প্রতিহত কর। হাত দিয়ে না পারলে মুখ দিয়ে প্রতিবাদ কর। তাও না পারলে মনে মনে এই অন্যায়কে ঘৃণা কর।
এই মূর্খদের সাথে হাত দিয়ে পারবেন না। উল্টা ফৌজদারি অপরাধে পুলিশ গ্রেফতার করবে।
এই মূর্খদের সাথে মুখ দিয়েও পারবেন না। উল্টা মার খেতে হতে পারে।
তাই মনে মনে ঘৃণা করুন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা! ভাল বলেছেন। সবাই একই দোষে দুষ্ট। সবাই সাম্প্রদায়িক। সবাই অপরাধী।

ওকে। আপনার পরামর্শ মেনে নেওয়া গেল। আপাতত ঘৃণা। বাকীটা পরে দেখা যাবে।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনার লেখার শিরোনামটা প্রশ্নবোধক। হয়তো প্রশ্নটা আপনি নিজেকেই করেছেন অথবা পাঠকদেরকে করেছেন?
যদি প্রশ্নটা পাঠকদেরকে করে থাকেন, তা হলে এর উত্তরে বলবো, না, আমরা সবাই সাম্প্রদায়িক না।
নিজের ধর্মের চর্চা করা; নিজ ধর্ম বিশ্বাস দ্বারা মানুষ ও সমাজের কল্যাণ করা; সাম্প্রদায়িকতা নয়।
সাম্প্রদায়িকতা হল, অন্যের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করা; অন্যের ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করা; অন্য ধর্মাবলম্বীদের কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত করা।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: "সাম্প্রদায়িকতা হল, অন্যের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করা; অন্যের ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করা; অন্য ধর্মাবলম্বীদের কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত করা।" - আপনার এই সংজ্ঞা মেনে নিলেও ঐ শিক্ষক সাম্প্রদায়িক। তেমনি আমি, আমরা সবাই নিজ দল, মত, ধর্ম বা পছন্দের লোকেদেরকে কোন সুবিধা দেই, তখন কেউ না কেউ বঞ্চিত হয়। ধন্যবাদ।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

জেন রসি বলেছেন: সাম্প্রদায়িকতার বিষয়টা বাদ দিলেও বলা যায় এই প্রশ্নটাই ভুল। কারন কোন গ্রন্থ কার কাছে শ্রেষ্ঠ এটা একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। তবে যে শিক্ষক এই প্রশ্ন করেছে তিনি একজন সাম্প্রদায়িক চরিত্র। এবং একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই টাইপ শিক্ষক খুবই হার্মফুল। তার উচিৎ মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষকতা করা। চারুকলায় কারা পড়বে এটা জাজ করার কোন যোগ্যতাই তার নেই।







২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সহমত। ধন্যবাদ।

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: আগে একজন এই প্রশ্ন দিয়ে পোষ্ট করেছিল কিন্তু তখন বুঝতে পারি নি ঘটনাটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের। তবে প্রশ্নের উত্তর ঠিকেই বুঝেছিলাম।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা! নিজেই নিজের দূর্নাম করছি, তাইনা?

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: "তার উচিৎ মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষকতা করা।"
মাদ্রাসায় এই ধরণের কোন অর্বাচীনকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিবে না। এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এই ধরণের মূর্খ, অশিক্ষিত ও অর্বাচীনকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়।
যদি প্রমাণ চান, তা হলে এই প্রশ্নপত্রই প্রমাণ করে এই অর্বাচীনের ঠিকানা মাদ্রাসা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ে তবু নিয়োগ পেতে হলে অন্ততঃ ভালো রেজাল্ট লাগে। আর স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার নিয়োগ কিভাবে হয় তা আমরা সবাই জানি। আশা করি আর বলতে হবেনা। ধন্যবাদ।

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:১৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনারা সবাই বলছেন শিক্ষক সাম্প্রদায়িক? আমি অবাক হলাম এই ভেবে চারুকলার শিক্ষক সাম্প্রদায়িক হলেন কি ভাবে ? প্রশ্নতো কেউ একলা করে না | একটা কমিটি নিশ্চই আছে চূড়ান্ত প্রশ্ন যাচাই বাছাই করার জন্য | তাই এই প্রশ্নটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এলো কেমন করে সেটা ভেবেই আমার কাছে অবাক লাগছে |

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সহমত। আসাটা অমার্জনীয় অপরাধ হয়েছে। ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:২৩

খালিদ আহসান বলেছেন: প্রশ্নকর্তা নিশ্চয়ই আমার মতো এ+ এর ছাত্র।

আমরা না পারলাম ধর্ম বুঝতে, না পারলাম শিল্প বুঝতে, না পারলাম বিজ্ঞান বুঝতে, না পারলাম শিক্ষিত হতে।

ফেসবুকের কোন এক ভিডিও তে দেখেছিলাম এক বিচারক সুন্দরী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করছেন, পৃথিবীতে কোন এক রাতে উল্কা বৃষ্টি হয়না। কোন সেই রাত? (প্রশ্নটা অনেকটা এরকম। আমার মনে নেই। বিচারকের উত্তর টা আর না দিলাম।) কোথায় কি প্রশ্ন করতে হবে আমরা তাও ঠিকমত জানিনা।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। অতি সত্যি কথা। ধন্যবাদ।

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: না, আমরা সবাই সাম্প্রদায়িক নই, কেউ কেউ হয়তো আছেন। তবে আমাদের অনেকেই শিক্ষার ডিগ্রীধারী অশিক্ষিত।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সবাই না হলেও সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। ভাল বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

এভো বলেছেন: রাবি ভর্তি পরীক্ষায় কল্পনাতীত প্রশ্ন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ এর ভর্তি পরীক্ষার ৭৬ নম্বর প্রশ্নটি ছিল এমনঃ
৭৬। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থের নাম কি?
(ক) পবিত্র কুরআন শরীফ, (খ) পবিত্র বাইবেল, (গ) পবিত্র ইঞ্জিল, (ঘ) গীতা
এমন সাম্প্রদায়িক, দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রশ্ন কেউ করতে পারে এটি কল্পনা করা কঠিন। আবার তিনটি ধর্মগ্রন্থের পূর্বে পবিত্র লেখা থাকলেও গীতার আগে তা লেখা হয়নি। অর্থাৎ এটি অপবিত্র।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সহমত। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমরা সবাই বিভিন্ন ধর্মের , বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ! সেই হিসেবে সবাই সাম্প্রদায়িকই বটে ! তবে প্রশ্নের মান দেখিয়া অবাক হইতেছি, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকও এমন প্রশ্ন করিবেন না ! আলিয়া মাদ্রাসা আর স্কুলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই ! কওমি মাদ্রাসায় কোনো অমুসলিম পড়ে না! মিশ্র কমিউনিটিতে এধরণের প্রশ্ন করা শিক্ষক ও কমিটির নিম্নমানের পরিচয়ই দিতেছে ! শিক্ষক নিয়োগ এখন সব জায়গাতেই প্রশ্নবিদ্ধ ! এমনকি মিডিয়াতেও এসেছে ২০ লক্ষ টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের কথা ! ইহার সত্যতা বোধহয় এই প্রশ্নের মাধ্যমেই পাওয়া যাইতেছে !
এই জন্যই স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের ট্রেনিঙের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেনিং দরকার ! অনার্স -মাস্টার্স শেষ কইরাই শিক্ষক হিসেবে যোগদান করিয়া প্রশ্নটা করাও শিখে না ! শুধু শুধু শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত্র হয় !

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: যেকোন নিয়োগে অনিয়ম হলে অযোগ্য লোক নিয়োগ পাবে। নিয়োগ পেলে কেউ না কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে - এটাই স্বাভাবিক। হচ্ছেও তাই। স্কুল, কলেজের শিক্ষকরা ক্লাসে না পড়িয়ে প্রাইভেট পড়িয়ে কোটিপতি হয়, প্রশ্ন ফাঁস করে, নম্বর প্রদানে বৈষম করে, শিক্ষার্থীদের মারে ইত্যাদি হাজার অপরাধ করে। দোষটা তাদেরও যারা এসব অনিয়ম হতে দেন বা রুখতে পারেন না। আর ট্রেনিং দেয়া যেতেই পারে। তাতে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। আমার আইইআরে আমরা বিভিন্ন বিভাগের কিছু শিক্ষককে টিচিং মেথডলজির উপরে ট্রেনিং দিয়েছি। ধন্যবাদ।

১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: লেখক আমার ৮ নং মন্তব্যের জবাবে বলেছেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে তবু নিয়োগ পেতে হলে অন্ততঃ ভালো রেজাল্ট লাগে। আর স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার নিয়োগ কিভাবে হয় তা আমরা সবাই জানি। আশা করি আর বলতে হবেনা।"

এই ভালো রেজাল্ট করা একজন মানুষ যখন এই ধরণের প্রশ্ন করে, তখন আমরা বুঝতে পারি এই ভাল রেজাল্টের পিছনের রহস্য।

আমি আমার ৪ নং মন্তব্যে উল্লেখ করেছি, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র একজন প্রণয়ন করে না। এতে একাধিক ভালো রেজাল্টের লোক জড়িত থাকে।

কি ধরণের প্রশ্ন করা যাবে -- এই বোধ, জ্ঞান, বুদ্ধি, শিক্ষা, এমন কি কমন সেন্স যাদের নাই -- এই রকম ভাল রেজাল্টের লোকের কি খুব প্রয়োজন?

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরীতে আবেদনের অন্তত ন্যূনতম যোগ্যতা লাগে, যেটি ছাড়া আবেদনই করা যায়না, যেটা অন্যান্য ক্ষেত্রে নেই। ভাল রেজাল্টের পিছনের রহস্য বোঝার আগে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন কিভাবে করা হয়, সেটা জানুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সাধারণত পরীক্ষার আগের রাতে প্রণয়ন, নিরীক্ষণ ও মুদ্রণ করা হয়। প্রশ্নছাপার কাজ শেষ হতে রাত পেরিয়ে যায়। সব অনুষদের ডীনরা পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন মডারেশন, কম্পোজ, প্রিন্ট ও ফটোকপি করার জন্য সারারাত অফিসে থাকেন।
বিভাগগুলোতে পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন ছাপা ও ফটোকপি হবার পর বিভাগের সভাপতি ও কয়েকজন শিক্ষক (যাঁরা প্রশ্ন করেন শুধু তাঁরা। সব শিক্ষক নন।), সেগুলো খামে ভরে আলমারীতে রেখে তালা মেরে তালা সীলগালা করেন। পুরো প্রক্রিয়ায় ভীষণ গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। কাজটি অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে অল্প সময়ে করা হয় বলে তাতে ভুলত্রুটি থাকা খুবই স্বাভাবিক। কোনভাবেই যেন প্রশ্ন ফাঁস না হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যই পরীক্ষার আগের রাতে অল্প সময়ে প্রশ্ন করা হয়।

অন্যান্য পরীক্ষাগুলোতে এরকম ভুল হবার সুযোগ নেই। কারণ ওসবে সময় এবং গোপনীয়তা নিয়ে অত ভাবতে হয়না যেহেতু শিক্ষার্থী কম থাকে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রচুর ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নিতে হয়। এত প্রশ্ন গোপনীয়তার সাথে ফটোকপি করা এবং অনেকগুলো পরীক্ষার হলে সেগুলো ঠিকভাবে পৌঁছে দেবার টেনশন থাকে।

তারপরেও আমি মনে করি, যে ভুলটি হয়েছে তা হওয়া উচিত হয়নি এবং এজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের শাস্তি হওয়া উচিত। একজন বা কয়েকজন শিক্ষকের ভুলের জন্য সব শিক্ষকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কাম্য নয়। ভাল রেজাল্টের লোকেরা ভুল করতে পারেনা? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশ্ন ফাঁস করেনা? ডাক্তার বাচ্চা পেটে রেখেই পেট সেলাই করেনা?....

এই রকম ভাল রেজাল্টের লোকের কি খুব প্রয়োজন? বেশ। ধরে নিলাম, প্রয়োজন নেই।

ভাল রেজাল্টের লোকেরা ভুল করেছে। খারাপ রেজাল্টের লোকেরা কি করবে না?

১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: লেখক আমার মন্তব্যের জবাবে লিখেছেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরীতে আবেদনের অন্তত ন্যূনতম যোগ্যতা লাগে, যেটি ছাড়া আবেদনই করা যায়না, যেটা অন্যান্য ক্ষেত্রে নেই।"
অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আমি বলব, সব চাকরিতেই আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা লাগে, যেটি ছাড়া আবেদনই করা যায়না, যেটা সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

কাদম্বিনী যেমন মরিয়া প্রমাণ করিয়াছিল, সে মরে নাই; তেমনি অর্বাচীনের মত প্রশ্ন করিয়া তিনি প্রমাণ করিলেন, তাহার কোন যোগ্যতা নাই। (কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই । জীবিত ও মৃত -- রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর)

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন কি ভাবে করা হয়, তা ৪ নং মন্তব্যেই উল্লেখ করা হয়েছে।

লেখক আমার মন্তব্যের জবাবে লিখেছেন, "কাজটি অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে অল্প সময়ে করা হয় বলে তাতে ভুলত্রুটি থাকা খুবই স্বাভাবিক।"
লেখকের এই মন্তব্যটা তার পোস্টের সাথে স্ববিরোধী। ভুলত্রুটি থাকা যদি "খুবই স্বাভাবিক" ব্যাপার হয়, তা হলে এই পোষ্ট কেন দিলেন? "খুবই " বিশেষণ: যোগ করে এই ভুলকে অনিবার্য করে তুলেছেন। অর্থাৎ অনিবার্য ভাবেই এই ভুল হবে। তবে এই অনিবার্য ভুলের জন্য কাউকে কি দায়ী করা যাবে?

তারপর তিনি লিখছেন, "তারপরেও আমি মনে করি, যে ভুলটি হয়েছে তা হওয়া উচিত হয়নি এবং এজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের শাস্তি হওয়া উচিত।" এটাও একটা স্ববিরোধী উক্তি। ভুলটা যদি "খুবই স্বাভাবিক" হয়, তা হলে কেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের শাস্তি হওয়া উচিত?

লেখক আমার মন্তব্যের জবাবে লিখেছেন, "একজন বা কয়েকজন শিক্ষকের ভুলের জন্য সব শিক্ষকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কাম্য নয়।"
আমি আবারো বিনয়ের সাথে বলছি, আমি সব শিক্ষক তো দূরের কথা, কোন যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন করি নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সব সময় যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকদের ছাত্র ছিলাম।

লেখক প্রশ্ন করেছেন, "ভাল রেজাল্টের লোকেরা ভুল করতে পারেনা?"
উত্তরে আমি বলব, অবশ্যই ভাল রেজাল্টের লোকেরা ভুল করতে পারে। মানুষ মাত্রই ভুল করতে পারে। সেই ভুল যদি হয় "খুবই স্বাভাবিক", তা হলে এটা নিয়ে আলোচনা না করে, স্বাভাবিক ভাবেই নেয়া ভালো।

লেখক জানতে চেয়েছেন, "ভাল রেজাল্টের লোকেরা ভুল করেছে। খারাপ রেজাল্টের লোকেরা কি করবে না?"
ভাল রেজাল্টের বিকল্প খারাপ রেজাল্ট না। ভাল রেজাল্টের বিকল্প ভাল রেজাল্ট।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন:

আমি আপনাকে আমার বক্তব্য বোঝাতে পারিনি। সব চাকরীতেই ন্যূনতম যোগ্যতা লাগে যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ্যতার শর্ত পূরণ করা আরো বেশী কঠিণ। আগে স্কুল, কলেজ এমন কি বিশ্ববিদ্যালয়েও ২য়, ৩য় বিভাগ পাওয়া ছাত্ররাও শিক্ষক হতে পেরেছে। গত নভেম্বরের আগেও এসএসসি ও এইচএসসির এবং অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষার যেকোন দুটিতে প্রথম বিভাগ থাকলেই আবেদন করা যেত। গত নভেম্বরে এই ন্যূনতম যোগ্যতা বাড়িয়ে এসএসসি ও এইচএসসিতে ৫ পয়েন্টের মধ্যে ৪.৫ এবং অনার্স ও মাস্টার্সে ৪ পয়েন্টের মধ্যে ৩.৫ না পেলে আবেদন করা যায়না। শুধু তাই নয়, অনার্স ও মাস্টার্সে একাধিক শিক্ষার্থী ৩.৫ পয়েন্ট পেলে শুধুমাত্র এক থেকে সপ্তম স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীরাই আবেদন করতে পারবে, তাও থিসিস গ্রুপ থেকে, বাকীরা নয়। আমি বলতে চেয়েছি, শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার ক্ষেত্রেই এত বেশী যোগ্যতাকে "ন্যূনতম যোগ্যতা" হিসেবে চাওয়া হয় যা অন্য কোন চাকরীর ক্ষেত্রে চাওয়া হয়না।

একাধিক প্রশ্নকর্তা থাকে বলেছেন। পরীক্ষার আগের রাতে হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন গোপনীয়তার সাথে করতে ও তা বিতরণযোগ্য করতে হয়, তা বলেননি।

প্রশ্নে ভুলত্রুটি থাকা আর সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন, তাও আবার অব্জেক্টিভ প্রশ্নের গঠণকাঠামো বিরোধী (একাধিক উত্তর হতে পারে) প্রশ্ন হওয়া এক জিনিস নয়। আমরা আপত্তি করছি সে কারণেই।

ভাল রেজাল্টের বিকল্প ভাল রেজাল্ট বলেই যোগ্যতার মাপকাঠি বাড়ানো হচ্ছে, ভবিষ্যতে হয়তো আরো হবে। ধন্যবাদ।

১৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনার কথা মতোই ধরে নিলাম, সর্বোচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন একজনকেই শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আরো ধরে নিলাম, তিনি এস.এস.সি. এবং এইচ.এস.সি. তে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন, অনার্সে এবং মাস্টার্সে প্রথম বিভাগে প্রথম হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছেন।
তিনি ছাত্রদেরকে প্রশ্ন করছেন, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থের নাম কি?
(ক) পবিত্র কুরআন শরীফ (খ) পবিত্র বাইবেল (গ) পবিত্র ইঞ্জিল (ঘ) গীতা।

এই ধরণের প্রশ্ন করার সাথে সাথে তার অর্জিত সব ডিগ্রির মান দাঁড়াবে শূন্য।

১। লেখক নিজেই বলেছেন, "কারণ এই মহাজ্ঞানী প্রশ্নকর্তা নিজেই জানেননা যে বাইবেল আর ইঞ্জিল একই গ্রন্থ।"
২। কোন অর্বাচীন ছাড়া অন্য কেউ চিন্তাও করতে পারে না, এক ধর্মের বিশ্বাসী মানুষ অপর ধর্মের গ্রন্থকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলবে।
৩। এই প্রশ্নের মান কি ভাবে নির্ধারিত হবে?
চিত্র (ক) উত্তরদাতা মুসলমান, সে লিখল, পবিত্র কুরআন শরীফ; মূল্যায়ন করি মুসলমান, তিনি সঠিক উত্তরের জন্য পূর্ণ নম্বর দিলেন।
চিত্র (খ) উত্তরদাতা মুসলমান, সে লিখল, পবিত্র কুরআন শরীফ; মূল্যায়ন-কারী হিন্দু, তিনি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দিলেন।
চিত্র (গ) উত্তরদাতা হিন্দু, সে লিখল, গীতা; মূল্যায়ন-কারী মুসলমান, তিনি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দিলেন।
চিত্র (ঘ) উত্তরদাতা হিন্দু, সে লিখল, গীতা; মূল্যায়ন-কারী হিন্দু, তিনি সঠিক উত্তরের জন্য পূর্ণ নম্বর দিলেন।

লেখক উত্তরে বলেছেন, "একাধিক প্রশ্নকর্তা থাকে বলেছেন। পরীক্ষার আগের রাতে হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন গোপনীয়তার সাথে করতে ও তা বিতরণযোগ্য করতে হয়, তা বলেননি।"
এইগুলা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ এই ভাবেই আমাদের দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য যোগ্য লোকেরা প্রস্তুতি নেয়। কারণ এটা হঠাৎ করে আসা কোন ব্যাপার না।

লেখক এক জায়গায় লিখছেন, "তারপরেও আমি মনে করি, যে ভুলটি হয়েছে তা হওয়া উচিত হয়নি এবং এজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের শাস্তি হওয়া উচিত।"
আরেক জায়গায় লিখছেন, "প্রশ্নে ভুলত্রুটি থাকা আর সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন, তাও আবার অব্জেক্টিভ প্রশ্নের গঠণকাঠামো বিরোধী (একাধিক উত্তর হতে পারে) প্রশ্ন হওয়া এক জিনিস নয়। আমরা আপত্তি করছি সে কারণেই।"

ভাল রেজাল্টের কথা আমিই বলেছে। কিন্তু ভাল রেজাল্ট মানে, "I am GPA 5" নয়।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনি আমার কথা রিপিট করেছেন। প্রশ্নটি অবজেক্টিভ প্রশ্নের গঠন মানেনি, প্রশ্নকর্তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা আমি বলেছি। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য যোগ্য লোকের প্রস্তুতি থাকে বলেই প্রশ্ন ফাঁস হয়। আর আমাদের শিক্ষার মান কমে যাবার পেছনে অনেক কারণ আছে যা আমি আমার শিক্ষা বিষয়ক লেখাগুলোতে লিখেছি, অনেকেই লিখছেন। ধন্যবাদ।

১৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এইটা যতটা না সাম্প্রদায়িকতা, তার চেয়ে বেশী হল বেকুবীপনা। এই ধরনের প্রশ্নকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলে শিক্ষার মান কেমন হবে তা বলাই বাহুল্য।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। ধন্যবাদ।

১৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: প্রথমেই আমি লেখককে ধন্যবাদ জানাই, খুবই ধৈর্যের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

লেখক ১৬ নং মন্তব্যের জবাবে বলেছেন যে আমি নাকি তাঁর কথা রিপিট করছি।
আমি বিনয়ের সাথে বলতে চাই, লেখার স্ববিরোধিতাগুলি চিহ্নিত করার জন্য লেখককে উদ্ধৃত করেছি মাত্র।

স্ববিরোধীটা ১। প্রশ্নটি অবজেক্টিভ প্রশ্নের গঠন মানেনি বনাম প্রশ্নটি সাম্প্রদায়িক।
স্ববিরোধীটা ২। প্রশ্নটি সাম্প্রদায়িক বনাম প্রশ্নটি ভুল।
স্ববিরোধীটা ৩। অনেক যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হয় বনাম প্রশ্নকর্তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে।

আমি অবিরত ভাবে মন্তব্য নং ৪, ৫, ৮, ১৪, ১৫, এবং ১৬ তে যে মন্তব্যগুলি করেছি, তার যদি উপসংহার টানি, তা হলে বলতে হয় --
১। প্রশ্নটি ভুল।
২। প্রশ্নটি সাম্প্রদায়িক না।
৩। প্রশ্নকর্তা অযোগ্য।
৪। সংশ্লিষ্টরাও অযোগ্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন।
৫। অযোগ্যকে অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে।
৬। অযোগ্য ব্যক্তির অপকর্মকে সাম্প্রদায়িক হিসাবে চিহ্নিত করে, বিশেষ সম্প্রদায়ের দিকে ইঙ্গিত না করা ভালো।
৭। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন যোগ্য শিক্ষক আছেন, মাদ্রাসাতেও যোগ্য শিক্ষক আছেন।
৮। শিক্ষার মান, শিক্ষকের যোগ্যতা মাদ্রাসাতে যেমন কমেছে, বিশ্ববিদ্যালয়েও কমেছে।

পরিশেষে, লেখককে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, প্রাণবন্ত আলোচনায় চমৎকার অংশগ্রহণের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.