নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমাপ্রেমী । ট্র্যাভেলার । বইপোকা । রন্ধনশিল্পী

আলভী রহমান শোভন

খাই, দাই, ব্লগ লিখি ।

আলভী রহমান শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেসিপিঃ বিদুর - কা - শাগ (মহাভারতের পাতা থেকে নেওয়া শাকান্ন)  

১১ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৩



সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা। আজ এই বিশেষ দিনে সকলের সাথে শেয়ার করবো বিশেষ একটি রেসিপি।

'বিদুর-কা-শাগ'

খাবারের নামটা খুব অদ্ভুত শোনাচ্ছে? জেনে রাখুন, এই খাবারের পেছনে রয়েছে হাজার হাজার বছর আগের ইতিহাস। একদম মহাভারতের পাতা থেকে উঠে এসেছে এই রান্না। এই শাকান্নটি রাঁধতে ব্যবহার করা হয় পাকা কলার খোসা এবং আখের গুড়ের মত উপকরণ যা কেউ কখনো ভাবেনি আগে। প্রাচীন এই রেসিপিটি সবার সাথে শেয়ার করবো তবে তার আগে জানাচ্ছি এই রান্নার পেছনের গল্প।

কুরু রাজসভার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিদুর। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সময় শান্তি  প্রস্তাবের উদ্দেশ্যে শ্রীকৃষ্ণ কুরুতে গেলে বিদুরের গৃহে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন তিনি। বিদুরের স্ত্রী সুলভা শ্রীকৃষ্ণকে পেয়ে এতটাই মুগ্ধ হয়ে যান যে আপ্যায়নের সময় শ্রীকৃষ্ণকে থালায় কলার খোসা ছাড়িয়ে কলা দেওয়ার বদলে ভুলক্রমে কলার খোসা দিয়ে দেন এবং কলা ফেলে দেন। শ্রীকৃষ্ণ সেই  কলার খোসা গ্রহনও করেন এবং সুলভাকে অনুরোধ করেন এই কলার খোসা দিয়েই উনাকে শাকান্ন রেঁধে দিতে। সুলভা এই কলার খোসার সাথে নিজের বাগানে আর যে শাক সবজি পেলেন তা দিয়েই রান্না করে ফেললেন অসাধারণ এক শাকান্ন যা পরবর্তীতে 'বিদুর-কা-শাগ' নামে পরিচিতি পায়। 

এবার আসি রেসিপিতে। বিদুর-কা-শাগ রাঁধতে লাগবে লাল শাক, ঢেঁকি শাক, বরবটি, পাকা কলার খোসা, জিরা, থেঁতলে নেওয়া গোলমরিচ, হিঙ, হলুদ গুঁড়া, কাঁচামরিচ, আখের গুড়, ঘি এবং লবণ। 

এবার বলছি রন্ধনপ্রণালী। প্রথমে শাক, বরবটি এবং কলার খোসা কুঁচি করে নিন। পাত্রে ঘি গরম করে জিরা, গোল মরিচ এবং হিঙ ফোঁড়ন দিয়ে একে  বরবটি, লাল শাক এবং ঢেঁকি শাক দিয়ে নাড়ুন। এবার এতে হলুদ গুঁড়া, লবণ এবং কাঁচামরিচ দিয়ে হালকা নেড়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। শাক এবং সবজি সেদ্ধ হয়ে আসলে এতে কলার খোসা কুঁচি এবং আখের গুড় দিয়ে আবার ভালোভাবে নাড়ুন। সব কিছু ভালোভাবে এক সাথে মিশে গেলে চুলা বন্ধ করুন।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: না ভাই এ খাবার আমার পোষাবে না।

১১ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: সব খাবার সবার ভালো লাগবে এমন কোন কথা নেই

২| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: “থালায় কলার খোসা ছাড়িয়ে কলা দেওয়ার বদলে ভুলক্রমে কলার খোসা দিয়ে দেন এবং কলা ফেলে দেন।”
হা..হা আপ্যায়নের দারুণ অবস্থা..............

রেসিপিটা পড়লাম তবে এমন বায়না করলে বাড়ী ছাড়তে হবে। তারচেয়ে একদিন বিদুরের বাড়ী গিয়ে খেয়ে এসে আপনাকে গল্প করবো।

শুভেচ্ছা রইল।

১১ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১১

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: জানিয়ে রাখি পাকা কলার খোসায় কিন্তু অনেক গুণ আছে। একটি কলার চেয়ে কিন্তু এর খোসায় বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। নিদ্রাহীনতা হলে দুটি পাকা কলার খোসা ধুয়ে এক কাপ পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি ছেঁকে খেয়ে নিবেন, নিদ্রাহীনতা দূর হবে।


আপনাকে ধন্যবাদ

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বিদুর- কা -শাক রান্না করলেন কিন্তু বলেনি সাধ কেমন ।

১১ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

আলভী রহমান শোভন বলেছেন:

খুব মজার খেতে। জানি কলার খোসার জন্য কনফিউজড হতে পারেন কিন্তু রান্নার পর খেয়ে একদমই মনে হবে না কলার খোসার ব্যবহার করা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

অন্তরা রহমান বলেছেন: ইন্টারেস্টিং রেসিপি

১১ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৫| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কঁচা কলার খোসার ভর্তা কিন্ত খেতে দারুন লাগে।রেসিপি জানি না

১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৫

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: রেসিপি বলছি। কলার খোসা সেদ্ধ করে নিবেন। এরপর কলার খোসার সাথে ধনিয়া পাতা, কাঁচা মরিচ, তেলে ভাজা পেঁয়াজ মিশিয়ে বেটে নিবেন মিহি করে। এরপর এর সাথে একটু সরিষার তেল মেখে নিয়ে গরম ভাতের সাথে খেয়ে নিবেন।

৬| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১১

এইচ তালুকদার বলেছেন: অবশ্যই ট্রাই করবো

১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০১

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৭| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অভিনব রেসিপি।

১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০২

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সব খাবার সবার ভালো লাগবে এমন কোন কথা নেই

আমি আসলে সব খাবার খাই না। অনেক বাছবিচার করি।

১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৪

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: জী, বুঝতে পেরেছি।

৯| ১২ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ছবিটা আপনার রেসিপি বিদুর-কা-শাগ

১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫২

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

১০| ১২ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কখনই নাম শুনিনি এ শাকের বা রান্নার।

১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫২

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

সোহানী বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার লেখা দেখলাম।

এ রেসিপি ট্রাই করার কোন ইচ্ছে নেই কারন,
পাট শাক তিতা তাই খাই না,
শাকের সাথে গুড়!!! খাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
তারউপর কলার খোসা!!!!!!!!!!! মাপ করে দেন..........

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১২

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

তবে খাবারটা কিন্তু অখাদ্য নয়, সকল উপকরণ সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করলে অসাধারণ হয় এই শাকান্নটি।


আমি ঢেকি শাকের কথা বলেছি, পাট শাক নয়। ঢেকি শাক কিন্তু একদম তিতা নয়।

ওপার বাংলার নিরামিষ খাবারে কিন্তু এখনো কয়েক দানা চিনি ব্যবহার করা হয়, খেতে কিন্তু খারাপ হয় না। তৎকালীন সময়ে চিনির প্রচলন ছিল না বলে খুব সামান্য পরিমাণে গুড় দেওয়া হত।

এক কড়াই শাকে একটা ছোট পাকা কলার খোসার মিহি কুঁচি দিলেও সমস্যা নেই কিন্তু, আপু। সহজেই সেদ্ধ হয়ে যায় শাকান্নতে। আপনি খাওয়ার সময় বুঝতেই পারবেন না যে এতে কলার খোসা দেওয়া হয়েছে।

১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কাঁচা কলার খোসার ভর্তা আমার অন্যতম প্রিয়।আমি বরং প্রিয় তে নিয়ে রাখি একদিন অবশ্যই চেষ্টা করবো।
ইতিহাস জানতাম না তবে এই রানার নাম পড়েছি কোথাও।

ধন্যবাদ :)

১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৮

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.