নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমরত্বের সন্ধানে

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৫





অমরত্ব লাভের নেশায় মানুষ সেই আদিম কাল থেকেই বিভোর রয়েছে আজও পর্যন্ত। কারও কাছে অনন্ত কালের জন্য জীবন প্রত্যাশাই হলো অমরত্ব, কারও কাছে মৃত্যুর পর তাঁর কীর্তি দিয়ে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার নামই হলো অমরত্ব আর কারও কাছে তার বয়স ধরে রাখার মাঝেই অমরত্বের স্বাদ কিংবা মৃত্যুর পর পুনর্জন্ম লাভের প্রত্যাশাই হয়তবা কারও কাছে অমরত্ব। মানুষের মরদেহকে মমি করে রাখার সময়কাল থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের ক্রিওনিক্স পদ্ধতি সবই মানুষের অমরত্ব লাভের নেশার প্রতিফলন স্বরূপ। এমনকি র‍্যাপামাইসিন নামের এক ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে মানুষকে চিরযৌবন দেয়ার প্রত্যয়ে যা মানবদেহের কোষের উপর ক্রিয়াশীল। অসংখ্য কল্প কাহিনী লেখা হয়েছে এই অমরত্বকে কেন্দ্র করে। এমনকি বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে যাচ্ছে সময়কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। জেমস ক্যামেরুন নির্মিত এভাটার চলচ্চিত্রটির কথাও ধরা যেতে পারে, যেখানে মানুষকে যন্ত্রের সাহায্যে দেয়া হয়েছে এক ভিন্ন মানব রূপের। যার পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকবে যন্ত্রের মাধ্যমে ক্রিয়াশীল। হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড তার বিখ্যাত নোভেল শী এবং রিটার্ণ অফ শী-তেও দেখিয়েছেন অমরত্ব লাভের নেশায় আয়েশা নামক এক চরিত্রের, যে কিনা বেঁচে থেকেছে অনন্ত কাল ধরে শুধু মাত্র তার ভালোবাসার মানুষটিকে আপন করে পাওয়ার জন্য। কবি জীবনানন্দ দাশ প্রিয় স্বদেশ ভূমিকে ভালোবেসে লিখেছেন;

আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে-এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়-হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হ'য়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে...






হিন্দু পুরাণ এবং মিশরীয় পুরাণের দুইজন দেবতার মূর্তির মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান

হিন্দু ধর্মে দেবতা বিষ্ণু তাঁর দশটি রূপে আবির্ভূত হয়েছেন মানুষের কল্যাণে ব্রত হয়ে। বিষ্ণুর দশ অবতার হলো;

১. মৎস্য - মাছের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
২. কূর্ম - কচ্ছপের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৩. বরাহ - শূকরের রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৪. নৃসিংহ - অর্ধনরসিংহ রূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ
৫. বামন - বামনের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৬. পরশুরাম - পরশু অর্থাৎ কুঠারধারী রামের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৭. রাম - রামচন্দ্র অযোধ্যার রাজপুত্রের রূপে ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ
৮. কৃষ্ণ - দ্বাপরযুগে ভ্রাতা বলরামের সঙ্গে অবতীর্ণ
৯. বুদ্ধ - কলিযুগে অবতীর্ণ
১০. কল্কি - সর্বশেষ অবতার, হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, কলিযুগের অন্তে তাঁর আবির্ভাব ঘটবে।

আবার, শয়তান মানুষের অনিষ্ট সাধন করে তাদেরকে আল্লাহ্‌র পথ থেকে বিচ্যূত করার প্রত্যয়ে খোদ মহান আল্লাহ্‌ তাআলার কাছেই চেয়েছে কেয়ামত পর্যন্ত বেঁচে থাকার শক্তি। মানব সভ্যতার শুরু থেকেই চলে আসছে অমরত্বের নেশা। অমরত্বের সন্ধানে মানুষ বহু প্রাচীন কাল থেকেই করে আসছে আলকেমি নামক এক বিশেষ শাস্ত্রের চর্চা।

আলকেমি শব্দের উৎপত্তি আরবি আল কিমিয়া শব্দ থেকে যার প্রাচীন গ্রিক রূপ কেমিয়া। আলকেমি হচ্ছে সেই শাস্ত্র যার চর্চার মাধ্যমে লাভ করা যায় পরিপূর্ণতা, ধাতুকে পরিণত করা যায় স্বর্ণে, আর মানুষ লাভ করতে পারে অমরত্ব। আলকেমিতে দরকার একটি অদৃশ্য আধ্যাত্মিক শক্তির অতিপ্রাকৃত সাহায্য যেটা ছাড়া কোন আলকেমিক্যাল কাজ সম্পূর্ণ হবে না। এ আধ্যাত্মিক সাহায্য আসতে পারে ভাল দিক থেকে অথবা খারাপ দিক থেকে। যখন খারাপ শক্তি ব্যবহার করে করা হয় তখন তাকে বলা হয় ডার্ক আর্টস।



গ্রীসে মারিয়া ইতিহাসের প্রথম আলকেমিস্ট হিসেবে পরিচিতি। জন্মসূত্রে ইহুদী হওয়ায় ডার্ক আর্টস সম্পর্কে তাঁর জানা ছিলো। মিশরের মেমফিস নগরীতে তাঁর সাথে পরিচয় হয় ডেমোক্রিটাস নামের একজনের সাথে, যাকে তিনি বাস্তব রসায়ন নিয়ে হালকা ধারণা দেন। ইতিহাসে ডেমোক্রিটাসের নাম এখনও স্মরণীয়। মারিয়া স্বর্ণ বানাতে পারতেন। মুসলিম বিশ্বে আলকেমি সূচনা করেন জাবির ইবনে হাইয়ান এবং প্রথমবারের মতো তিনি আধ্যাত্মিক শক্তি হিসেবে আল্লাহর সাহায্যের কথা উল্ল্যেখ করেন। তারপরের সময়টা আরেক কিংবদন্তী নিকোলাস ফ্লামেলের। যিনি তাঁর বইয়ের দোকানে একদিন এক হকারের কাছে পান আলকেমির উপর লেখা ইহুদী যুবরাজ আব্রাহাম এর একটি পান্ডুলিপি। তারপর তিনি ছুটতে থাকেন অমরত্বের সন্ধানে। একটা সময় তিনি গবেষণা করে পারদকে রূপোয় পরিণত করতে সক্ষম হন। তারপর পরিণত করতে সক্ষম হন নিখাদ স্বর্ণে। তাঁর আলকেমি গবেষণার আসল লক্ষ্য ছিলো অমরত্ব লাভ। তাঁর স্ত্রী পেরেনেল এর মৃত্যুর পর জীবনের শেষ কয়েকটা দিন তিনি আলকেমির বই লিখেই কাটিয়েছেন। এই সময়ে তিনি কবরস্থানে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি খুব স্পষ্ট করে লিখে দিলেন, তাঁকে কোথায় কীভাবে কবর দিতে হবে। তাঁর কবরের এপিটাফে কী লেখা থাকবে সেটাও প্রস্তুত করে ফেললেন তিনি। সেই পাথরের ফলকে থাকবে অনেক অনেক চিহ্ন, আর একটি সূর্যের ছবি, একটি চাবির ছবি আর একটি বন্ধ বই এর ছবি সাথে হাঁটু গেড়ে প্রার্থনারত ভঙ্গিতে আছেন এমন অবস্থায়। অবশেষে একদিন জানা গেলো ফ্লামেল মারাই গিয়েছেন। কিংবদন্তী আছে যে, একবার কিছু ডাকাতদল দুইশত বছর আগের নিকোলাসের কবর থেকে তাঁর কফিন চুরি করে। কিন্তু কবরের ভিতরে কফিন ছিলো একদম ফাঁকা। কফিন ফাঁকাই ছিলো নাকি কোন কালেই নাকি এখানে কোন দেহ ছিলো না। নিকোলাস যদি সেদিনই মারা গিয়েই থাকেন, তবে তাঁর কবর এখানে হয়নি। এটা ছিলো মূলত লোক দেখানো। কিন্তু আসলে নিকোলাসের সাথে কি হয়েছিলো, তাঁর গবেষণালব্ধ লিখিত বইয়ের পরবর্তীতে কি হয়েছিলো, কে বা কাদের তিনি সেসব দিয়ে গিয়েছিলেন কিংবা কারা সেসব পেয়েছিলো সব কিছুই রহস্য হয়ে রয়ে গেছে আজও পর্যন্ত।



আলকেমির চূড়ান্ত পর্যায় হলো একটি পদার্থ তৈরি করা, যেটি সম্পর্কে বিশ্বাস করা হয়, সেই পদার্থ দিয়ে মহাবিশ্বের সব রহস্যের সমাধান পাওয়া যাবে। সেই পদার্থের রয়েছে দুটি অংশ, প্রথমটি কঠিন আর দ্বিতীটি তরল।

পরশ মণি বা পরশ পাথর সম্পর্কে প্রাচীন কিছু পাণ্ডুলিপি থেকে পাওয়া যায়। দুই রকমের পরশমণির কথা জানা যায়। একটি সাদা, আরেকটি লাল। সাদা পাথরের শক্তি কম আর সেটা ধাতুকে পরিণত করতে পারে রূপায়। লাল পাথরের শক্তি বেশি আর সেটা ধাতুকে স্বর্ণে পরিণত করতে পারে। লাল পাথর গুড়ো করলে এ পাথরের রঙ কমলা বা লাল এর মতো দেখায়, কিন্তু কঠিন অবস্থায় টকটকে লাল রং এর মতো দেখায়। তখন এটি থাকে স্বচ্ছ আর কাঁচের মতো।

অমৃত সুধা বা এলিক্সির অফ লাইফ। সাদা রঙের তরল কয়েক ফোঁটা পান করলে দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়। তবে এটিকে অমরত্বের জন্যই মূলত বানানোর চেষ্টা করা হতো। কিন্তু আসলে অমরত্ব দেয়ার মতো কোন পদার্থ তৈরি করা সম্ভব না। বড়জোর দীর্ঘায়ু হতে পারে। ফারসিতে একে বলা হয় আবে হায়াত।



অমরত্বের সুধা বা আবে হায়াত। ইসলাম ধর্ম অনুসারে কোহেকাফ শহরের এক অমরত্বের ঝর্ণার কাহিনী। কোহেকাফ জিনদের রাজধানী শহর। জিনদের সম্পর্কে যা জানা যায়, তারা নাকি হাজার বছরের জীবন লাভ করে থাকে। তবে কি তারা এই কোহেকাফের ঝর্ণার পানি খেয়েই হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকে ! একটা সময় মানুষের আয়ু ছিলো দীর্ঘ বছরের। কিন্তু কালে কালে মানুষের সেই আয়ুকাল কমে আসলেও অমরত্বের নেশা কাটেনি। তবে আয়ুকাল যে একই যুগে সবার সমান সেটাও সঠিক নয়। কেউ হয়ত জন্মের সাথে সাথেই মারা যাচ্ছে কেউবা সত্তুর বছর, কেউবা বেঁচে থাকছে একশত বছর পর্যন্ত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কয়েকজন নবী রাসূলদের আয়ুকাল দেখে নেয়া যাক;

হযরত আদম (আঃ) - ১০০০ বছর
হযরত নূহ (আঃ) - ৯৫০ বছর
হযরত শোয়েব (আঃ) - ৮৮২ বছর
হযরত সালেহ (আঃ) - ৫৫৮ বছর
হযরত জাকারিয়া (আঃ) - ২০৭ বছর
হযরত ইব্রাহীম (আঃ) - ১৯৫ বছর
হযরত সুলাইমান (আঃ) - ১৫০ বছর
হযরত ইসমাঈল (আঃ) - ১৩৭ বছর
হযরত ইয়াকুব (আঃ) - ১২৯ বছর
হযরত মূসা (আঃ) - ১২৫ বছর
হযরত ইসহাক (আঃ) - ১২০ বছর
হযরত হারুন (আঃ) - ১১৯ বছর
হযরত ইউসূফ (আঃ) - ১১০ বছর
হযরত ঈসা (আঃ) - ৯৫ বছর
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - ৬৩ বছর

বাদশাহ সিকান্দার যুলকারনাইন এর রাজত্বকাল। একদিন খিজির (আঃ) জানালেন সমুদ্রের ওপারে একটি অন্ধকারের দেশ আছে। সেখানে সারাক্ষণ আঁধার থাকে। সেখানে এক গুহায় নাকি আবে হায়াতের ঝর্ণা আছে। সে পানি খেলে কেউ নাকি মরে না। যুলকারনাইন সিদ্ধান্ত নিলেন সেই পানির খোঁজে যাবেন। তিনি সাথে প্রায় ৪০০০ যুবক নিলেন। তিনি তাঁর উজির খিজির (আঃ) আর তাঁর আরেক সভাসদ ইলিয়াসকেও বললেন তাঁর সাথে আসতে। সাথে অনেক দিনের খাদ্য মজুদ নেয়া হলো। তবে, যাবার আগে সবাইকে সতর্ক করা হলো সেই মানবহীন এলাকাতে তাঁরা যেন কোন আগুন বা সেরকম আলো দিয়েনা যান। যাই হোক, তারা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সেই আঁধারে প্রবেশ করলেন। কোহেকাফ এর পার্বত্য এলাকার মাঝে সেই নির্দিষ্ট গুহা খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব। যুলকারনাইন দলে দলে ভাগ হয়ে খোঁজা শুরু করতে বললেন। আর তিনি একা যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু খিজির (আঃ) আর ইলিয়াস দুজন একসাথে যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন। যুলকারনাইন এক দিকে আর তাঁরা অন্য দিকে গেলেন। বাকিরাও বিভিন্ন দিকে গেল। আনুমানিক প্রায় এক সপ্তাহ সময় পার হয়ে গেল। বিভিন্ন রাত তাঁরা বিভিন্ন গুহায় কাটালেন। আর কোন দলের সাথে তাঁদের দেখাও হল না। একদিন ক্লান্ত হয়ে এক গুহায় আশ্রয় নিলেন তাঁরা দুজন। এরপর খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলেন। শুকনো মাছ বের করলেন। খিজির (আঃ) পাশের এক ঝর্ণায় হাত ধুয়ে আসলেন। এরপর মাছটা দুভাগ করতে হাতে নিলেন। যেই তাঁর হাতের পানি মাছের গায়ে লাগলো সাথে সাথে সেই মরা মাছ জীবিত হয়ে উঠলো। তিনি বুঝলেন তাঁরা অমরত্বের ঝর্ণা খুঁজে পেয়েছেন। তিনি সেখান থেকে হাত দিয়ে পানি পান করলেন। এরপর ইলিয়াসকে ডেকে তাঁকেও খাওয়ালেন। তখন দৈবজ্ঞানে তাঁদের জানানো হলো, তাদের আয়ু কেয়ামত পর্যন্ত। তাঁরা যেন এখন থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকেন। আর বাদশাহ এ পানি খেতে পারবেন না। তাঁরা সেখান থেকে চলে গেলেন। এরপর থেকে তাঁদের অবস্থান কেউ জানত না। যাই হোক, এরপর বাদশাহ আরও অনেকদিন পর সেই গুহা আর সেই ঝর্ণা আবিষ্কার করেন। এরপর সাথে করা আনা পেয়ালাতে করে তিনি পানি উঠিয়ে পান করতে গেলেন। কিন্তু পান করতে পারলেন না। তাঁর মনে হলো, তিনি একা এই পৃথিবীতে বেঁচে থেকে কী হবে ? তাঁর স্ত্রী পুত্র কন্যার সাথেই যদি তিনি না বাঁচলেন, তাহলে সে জীবনের আর অর্থ কী ? তিনি বেঁচে থাকবেন আর তাঁর স্ত্রী পুত্র কন্যা তাঁর চোখের সামনে মারা যাবে, সে হতে পারে না। তাঁরা সবাই একসাথে এ পানি খাবেন। এ কথা ভেবে তিনি সেই ঝর্ণা থেকে পানি ভরলেন তাঁর মশকে। এরপর ফিরতি যাত্রা শুরু করলেন। অন্ধকার রাজ্যে পথ ফিরে পেতে অনেক কষ্ট হলো। যখন তীরে ফিরে এলেন তখন দেখলেন অনেকেই ফিরতে পারেনি এত লম্বা সময়েও। হয়ত খাদ্যের অভাবে অনেকে মারাও গেছে যারা আঁধারে প্রবেশ করেছিলো। এরপর যারা বাকি আছে তাঁর বাহিনীর তাদের নিয়ে তিনি সমুদ্রপথে সরাসরি নিজের দেশে ফিরলেন। তিনি মশক থেকে পুরো পানি একটা সুন্দর পেয়ালায় ভরলেন। এরপর সেই পেয়ালা নিয়ে দ্রুতপায়ে এগিয়ে গেলেন তাঁর পরিবারের দিকে। কিন্তু ঘরের দরজার চৌকাঠে হোঁচট খেলেন। আর হাত থেকে ছিটকে পড়ে গেল তাঁর পেয়ালা। আর উত্তপ্ত মেঝে শুষে নিলো সবপানি। তিনি তাকিয়েই থাকলেন সেইদিকে। তাঁর ভাগ্যে ছিলো না আবে হায়াতের পানি।

এরপর খিজির (আঃ) কে দেখা যায় মূসা (আঃ) এর সময়ে। বায়হাকি হাদিস গ্রন্থ মতে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জানাজার সময় খিজির (আঃ) এর উপস্থিত হয়েছিলেন এবং আবু বকর (রাঃ) আর আলী (রাঃ) তাঁকে চিনতে পারেন। তিনি তাদেরকে সান্ত্বনা দিতে এসেছিলেন। তাফসিরকারকদের মতে, ভবিষ্যৎবাণী মতে যে লোকটি দাজ্জালের সাথে তর্কে যাবে সেই লোকটিই হবেন খিজির (আঃ)।

কিন্তু এখানে একটি বিষয় খুব লক্ষণীয়, ইতিহাসে অনেক জায়গায় খিজির (আঃ) এর আরেকজন সাথী ইলিয়াস যিনিও পেয়েছিলেন অমরত্বের স্বাদ তাঁর ইতিহাস চর্চা তেমন কোন রেওয়াতে পাওয়া যায়না। অনেক রেওয়াতে ইলিয়াস নামের কেউ যে খিজির (আঃ) এর সাথী ছিলেন তেমন কিছুই উল্ল্যেখ নেই। আর উল্ল্যেখ থাকলেও তাঁর পরবর্তী কোন ঘটনার উল্ল্যেখ পাওয়া যায়না তেমন ভাবে। যদি খিজির (আঃ) এর মতো ইলিয়াস নামের সেই ব্যাক্তিও অমরত্বের স্বাদ পেয়ে থাকেন তবে তিনি এখন কোথায় আছেন ? কিংবা কেয়ামতের আগে তাঁর দেখা কি পাওয়া যাবে ? যেভাবে খিজির (আঃ) এর দেখা পাওয়া যাবে। কিছু কিছু রেওয়াতে এসেছে খিজির (আঃ) নাকি ইলিয়াসের সাথে দেখা করেন। যাই হোক আমার ভাবনা এখানে ইলিয়াসের মাঝে এসে রহস্য সৃষ্টি করে। জন্ম দেয় অনেক প্রশ্নের।



মিশরীয় পুরাণ অনুযায়ী দেবী আইসিস পুত্র হোরাসও নাকি জীবনের এক পর্যায় এসে উধাও হয়ে যান। বিশ্বাস করা হয় যে হোরাস জীবিত আছেন। তিনি আবারও ফিরে আসবেন। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় দাজ্জাল আসবে কেয়ামতের আগে। তার জন্মের কথা না বলে বলা আছে আবির্ভাবের কথা। এমনকি তার পৃথিবীতে অবস্থানের সময়কাল পৃথিবীর সময়কালের সাথে পারস্পরিক বিরোধী। তবে ধারণা করা যায় দাজ্জালের জন্ম বহু আগেই হয়েছে। সে কোথাও আত্মগোপন আছে। সময় হলে তার আবির্ভাব হবে। এমনকি ইসলাম ধর্ম এবং খ্রিষ্টান ধর্ম অনুযায়ী ঈসা (আঃ)/যীশু ফিরে আসবেন আবারও এই পৃথিবীতে। তিনি বেঁচে আছেন। এমনকি তাঁর হাতেই মৃত্যু হবে দাজ্জালের। এমনকি হিন্দু ধর্মেও বলা আছে দেবতা বিষ্ণু পৃথিবীর শেষ সময়ে কল্কি রূপে আবির্ভূত হবেন। সে যাই হোক, সবগুলো ঘটনা জন্ম দেয় নানা রকমের রহস্যের। একদিন হয়ত ঠিকই সব রহস্যের জট খুলে যাবে ঠিকই। যীশুর কথা আসতেই মনে হলো হলি গ্রেইলের কথা। অমরত্ব লাভের আরেকটি পুরাণ হলো হলি গ্রেইল। হলি গ্রেইল হলো সেই পেয়ালা যেটাতে করে যীশুর ক্রুশবিদ্ধ দেহের রক্ত ধারন করা হয় আর যেটাতে করে পানি খেলে অমরত্ব পাওয়া যাবে।



বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী, কেয়ামতের পূর্বে ঈসা (আঃ) এবং দাজ্জালের মাঝে যে যুদ্ধ হবে সেগুলো হবে ২০৬০ সালের আশেপাশে। এক পাণ্ডুলিপিতে বিজ্ঞানী নিউটন লিখে গেছেন, তিনি হিসেব করে বের করেছেন ২০৬০ সালের আগে কোন মতেই কেয়ামত হবে না।



স্যার আইজ্যাক নিউটন বিশাল গবেষণা করেন সলোমনের এ টেম্পল নিয়ে। তিনি হিব্রু থেকে নিজে সব অনুবাদ করেন। নিজের হাতে টেম্পল অফ সলোমনের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন আঁকেন। জেরুজালেমের বাইতুল মুকাদ্দাস একাধারে মুসলিম, ইহুদী আর খ্রিষ্টান সবার কাছেই পবিত্র। নবী সোলায়মান (আঃ) এর নির্মিত উপাসনালয় টেম্পল অফ সলোমন ছিলো এখানে। সেটা ধ্বংস করে দেবার পরে ধ্বংসস্থলে বর্তমান সোনালি গম্বুজের এক উপাসনালয় গড়ে তোলা হয়। তবে সোনালি গম্বুজের উপাসনালয়টি আল আক্সা মসজিদ নয়। মূল আল আক্সা মসজিদ ভেঙে এখন সেখানে নতুন করে সলোমন টেম্পল বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। মসজিদুল আল আক্সার কাছের এ জায়গা থেকেই হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মেরাজ সংঘটিত হয়। যা বাইতুল মুকাদ্দাস নামে হিব্রু ভাষায় পরিচিত। এখানে আছে ডোম অফ দ্যা রক কিংবা মসজিদ কুব্বাতুস সাখ্রা। সাখ্রা হলো পাথর বা রক। এখন যে গম্বুজ এর মতো আছে সেটা নবীজির সময় ছিলো না। আর উপরের এই জায়গা থেকেই প্রিয় নবী মেরাজে যান বোরাকে চড়ে। যে পাথরে চড়ে যান, সেটা ওখানে আছে। সেই পাথরের নামেই এর নাম করণ করা হয়। উল্লেখ্য, টেম্পল অফ সলোমনেই সেই আর্ক অফ দ্যা কভেন্যান্ট সিন্দুক রক্ষিত থাকত। একটা সময় নাইট টেম্পলারদের আর্ক অফ দা কভেন্যান্ট সিন্দুক খুঁজে বের করা আর সাথে সাথে উপকথার হলি গ্রেইল খুঁজে বের করাও ছিলো প্রধান লক্ষ্য। নাইট টেম্পলাররা টেম্পল অফ সলোমনের কাছে থাকার জন্য দ্বাদশ শতকে তাদের উপাসনালয় বানায় বাইতুল মুকাদ্দাসের মসজিদুল আক্সাকে।



ইহুদীরা অনেক দিন ধরে টেম্পল অফ সলোমন আবারও বানাতে চাচ্ছে। এখন যেটি প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া মূল আল আক্সা মসজিদ সেটা পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারলেই তারা সেটা বানাতে পারবে। তাদের ভবিষ্যৎবাণী মতে, তাদের মসিহ দাজ্জাল জেরুজালেমের এই টেম্পল থেকেই পৃথিবী শাসন করবে। তারপরেই ইমাম মাহদির সাথে যুদ্ধ হবে আর হযরত ঈসা (আঃ) দাজ্জালকে হত্যা করবেন। বাইবেলে অনুসারে এ যুদ্ধের নামই আরমাগেডন।



বিজ্ঞানি নিউটন তার যত বৈজ্ঞানিক গবেষণা করেছেন তারচেয়ে অধিক সময়ে তিনি নিমগ্ন হয়ে থাকতেন ভিন্ন এক জগৎ নিয়ে। তবে সে জগতের গবেষণা তার মৃত্যুর আগে প্রকাশিত হয়নি। জীবনের এক পর্যায় তিনি বাইবেলের তাফসির লেখা শুরু করেন। তবে এ লেখা প্রকাশিত হয় তাঁর মৃত্যুর অর্ধ শতাব্দী পর। স্যার আইজ্যাক নিউটন ঘুমের মধ্যেই মারা যান। মারা যাবার পর তাঁর চুল পরীক্ষা করে অত্তাধিক পারদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে নিউটনের অপ্রকাশিত লেখাগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। আলকেমির জন্য জীবনের বেশির ভাগ সময় পার করে দেয়া নিউটনের অজানা সব দিক প্রকাশ পেতে থাকে। দশ লক্ষেরও বেশি শব্দ নিউটন লিখে গেছেন কেবল এই আলকেমির ফিলোসফারস স্টোন এর উপর। একবার তাঁর ল্যাবরেটরি আগুনে পুড়ে যাবার পর তিনি ভেঙে পড়েন। তাঁর বেশির ভাগ আলকেমিক্যাল লেখা পুড়ে যায় সেই আগুনে। বলা হয়, দুর্ঘটনাবশত তাঁর কুকুর ডায়মন্ড সেই আগুনের সূত্রপাত করে। আগুন লেগে যায় নিউটনের সব গবেষণায়। তিনি আবারো তাঁর কাজ শুরু করেন। একটা সময় নিউটন পাগলামির লক্ষণ প্রকাশ করা শুরু করেন। আর এর জন্য দায়ী ছিলো অতিরিক্ত পারদের উপস্থিতি। লাল গুঁড়ো প্রস্তুতির সূত্রগুলোর ধাপগুলো ছিল পারদে বারবার তাপ প্রয়োগ এবং শীতলীকরণ প্রক্রিয়া। এজন্যই তাঁকে বেশি সময় কাটাতে হয়েছিলো পারদের সংস্পর্শে। তাঁর মৃত্যুর পর সেই লাল গুঁড়ো এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিংশ শতাব্দীতে খুঁজে পাওয়া নিউটনের এসব আলকেমিক্যাল পাণ্ডুলিপি পড়ে যেটা বোঝা গেছে তা হলো, নিউটনের আলো আর মহাকর্ষ বিষয়ক গবেষণাগুলো আলকেমিক্যাল গবেষণা থেকেই পাওয়া। বিজ্ঞানের প্রতিটি স্তরেই রয়েছে তাঁর অসামান্য অবদান। কিন্তু তাঁর সারা জীবনের যত গবেষণা তার অল্প একটা অংশই ছিল বিজ্ঞান নিয়ে। তারচেয়ে অনেক বেশি সময় তিনি ব্যয় করেছেন অতীন্দ্রিয় আর অতিপ্রাকৃত অমরত্বের সন্ধানে। শেষ বয়সে পাগল হয়ে মারা যান ইতিহাসের শেষ আলকেমিস্ট স্যার আইজ্যাক নিউটন।

তথ্যসূত্রঃ

উইকিপিডিয়া, লাইট অফ ইসলাম, রিচার্ড ক্যাসেরোর লেখা রিটেন ইন স্টোনঃ ডিপার ট্রুথ, এবং আবদুল্লাহ ইবনে মাহমুদ এর আর্টিকেল।



মন্তব্য ১১২ টি রেটিং +২৯/-০

মন্তব্য (১১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৫

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: আপাতত প্রিয়তে, পরে পড়ব।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: কোহেকাফ নগরী বলতে সত্যিই কি কিছু আছে নাকি? আপনি লিখলেন ইসলাম ধর্মের অনুসারে, তাই জিজ্ঞাস করলাম। আমি তো ভাবতাম কোহেকাফ নগরী আরব্য রজনীর কোন কাল্পনিক কাহিনী।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভ্রাতা পৃথিবীতে যত কল্প কাহিনী আছে তা মানুষের দৃশ্যত জ্ঞানের বাইরে নয়। আপনি দুই হাজার সাল পরের কোন কাহিনী কল্পনা করলেও দেখবেন আকাশে গাড়ি উড়ছে। কিন্তু গাড়ির ফর্ম্যাট চ্যাঞ্জ হয়ে যাবে কিন্তু গাড়ি আপনার কল্পনাতে থাকবে। কারণ আপনার দৃশ্যত জ্ঞানে গাড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই।

যাই হোক ইসলাম ধর্ম অনুসারে বলতেই হয় কারণ কোরআনে কোরআনে বর্ণিত সূরা কাহাফ এবং সেই সম্পর্কিত তাফসিরে খুব স্পষ্ট ভাবেই যুলকারনাইন, খিজির (আঃ), মূসা (আঃ) এবং ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে। বরংচো যারা বিভ্রান্তি ছড়াতে চায় তাদের জন্য রয়েছে সূরা কাহাফ। একসময় এই বিষয়গুলো নিয়ে ইহুদীরা বিভ্রান্তি ছড়াতো তার প্রেক্ষিতেই তারা প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলো এইসব বিষয় নিয়ে। তখন আল্লাহ সূরা কাহাফ নাযিল করেন। তাই এখানে নতুন কোন শব্দগুচ্ছের প্রয়োজন নেই। যে সম্পর্কে আল্লাহ স্বয়ং প্রমাণ দিয়েছেন সেখানে তা ইসলাম ধর্ম অনুসারেই বলতে হয়। তবে তারপরেও কিছু অতিরঞ্জিত কাহিনী আছে যা আমি আমার পোষ্টেই বলে দিয়েছি।

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!


অমরত্ব নিয়ে আরেক অমর লেখা।

++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমি কিন্তু ভাইজান অমরত্ব চাইনা। এখনই জীবন পানসে হয়ে গেছে আরও কিছুকাল বেঁচে থাকলে পাগল হয়ে যেতে পারি।

:D :D

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: রাত বেশি। কাজ বেশি। তাই প্রিয়তে এবং ২য় + দিয়ে ভাগল....... ;)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এখন কিন্তু দিন শুরু হয়েছে। দিনে নিশ্চয় কাজ কম থাকে। ;)

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৭

আজমান আন্দালিব বলেছেন: এক টানে চমৎকার একটি লেখা পড়লাম। ফেসবুকে শেয়ার করলাম।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২২

shaontex বলেছেন: পুরোটা পড়ে শেষ করলাম। অনেক ভালো লিখেছেন B:-) B:-)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: এক টানে পড়ে নিলাম। অমরত্বের কাহিনী দারুণ লাগল। ধন্যবাদ

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।
চায়ের দাওয়াত রইলো।

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০২

নতুন বলেছেন: জটিল লেখা ... অসাধারন ... প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম পুরুটা আবার পড়তে হবে..

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নতুন ভাই আপনার প্রিয়তে স্থান পাওয়ায় গর্বিত।
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৮

নতুন বলেছেন: Man comes and tills the field and lies beneath, / And after many a summer dies the swan. / Me only cruel immortality / Consumes ...

Tithonus, "Tithonus"

গ্রীক দেবী অরোরা টিথোনাসের জন্য অমরত্ব চেয়ে নিয়েছিলে জিউসের কাছ থেকে কিন্তু অনন্ত যৌবন চাইতে ভুলে গিয়েছিলো।
তাই টিথোনাসের বয়স বাড়তে থাকে বাধ`ক্যে তাকে চেপে ধরে...

তখন টিথোনাস মৃত্যু কামনা করে....

আসলে মৃত্যু আছে বলেই জীবন সুন্দর.... আমার তো মনে হয় অনন্তজীবন খুবই বোরিং জিনিস হবে...

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ঠিক বলেছেন ভাই। মৃত্যু আছে বলেই জীবন সুন্দর। কিন্তু মৃত্যুর পর যে অনন্ত জীবন পাওয়া যাবে সেটার কি হবে ? তখন যে হয় স্বর্গ নতুবা নরক হবে অনন্ত জীবন যাপনের স্থান !!!

১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২০

কবি এবং হিমু বলেছেন: অনেক বড় লেখাটা।মন দিয়ে পড়া হলো।অনেক কিছু জানতে পারলাম।নিজের ও ইচ্ছে হলো আবে হায়াতের পানি পান করার।কিন্তু একদিন(কেয়ামত) তো মরতেই হবে।তাই পান করার আশা বাদ দিয়ে দিলাম :P

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই মৃত্যুর পর এমনিতেই আরেকটা জীবন পাওয়া যাবে। যে জীবন হবে অনন্ত কালের। তাই এখন আর অনন্ত কাল ধরে বেঁচে থাকার মাঝে কোন সার্থকতা নেই।

১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৩৫

মিলন হোসেন১৫৮ বলেছেন: পোষ্ট টা পুরো পড়লাম এবং অনেক কিছু জানতে পারলাম

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: মৃত্যুহীনতা মেনে নেওয়া যায় কি? অভ্যেস হয়ে গেছে। ;)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



নারে ভাই মৃত্যুই একান্ত কাম্য। :)

১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অমরত্বের প্রত্যাশা নেই, নেই কোন দাবি দাওয়া
এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকে চাওয়া


তবে ভাল লাগলো অমরত্ব আখ্যান ।

এধরণের পোস্ট করতে প্রচুর খাটা খাটনি করতে হয় ।
চমৎকার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানবেন ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


তবু ভালোবেসে অমরত্ব চাওয়া...

পৃথিবী যেখানে নশ্বর সেখানে অধিক জীবন নিয়ে বেঁচে থেকে কি লাভ ?

সবসময় উৎসাহ দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় লিটন ভাই।
শুভকামনা নিরন্তর।
যতক্ষণ বেঁচে আছি যেন ভাল থাকি শুধু এতটুকুই প্রত্যাশা।

১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

ভারসাম্য বলেছেন: ভাল লেখা কিন্তু একটা জায়গায়, "ইসলাম ধর্ম অনুসারে কোহেকাফ শহরের এক অমরত্বের ঝর্ণার কাহিনী।" কথাটার নিম্নে দাগাঙ্কিত অংশে আপত্তি আছে। কুরআন ও সর্বজন স্বীকৃত হাদীস দ্বারা সমর্থিত নয় এমন কোন কিছুই "ইসলাম ধর্ম অনুসারে" শব্দগুচ্ছ দিয়ে নির্দেশিত হতে পারে না। এটা "আরবী ও পারস্য পুরান/সাহিত্য অনুসারে" শব্দগুচ্ছ দিয়ে বোঝানো যেতে পারে। যদিও ব্যাপারটা তুচ্ছ, কিন্তু ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কম জ্ঞানসম্পন্ন অনেকেই, ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তিতে পতিত হতে পারে এভাবে।

++++

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বিভ্রান্তির কোন কারণ নেই ভ্রাতা। কোরআনে বর্ণিত সূরা কাহাফ এবং সেই সম্পর্কিত তাফসিরে খুব স্পষ্ট ভাবেই যুলকারনাইন, খিজির (আঃ), মূসা (আঃ) এবং ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে। বরংচো যারা বিভ্রান্তি ছড়াতে চায় তাদের জন্য রয়েছে সূরা কাহাফ। একসময় এই বিষয়গুলো নিয়ে ইহুদীরা বিভ্রান্তি ছড়াতো তার প্রেক্ষিতেই তারা প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলো এইসব বিষয় নিয়ে। তখন আল্লাহ সূরা কাহাফ নাযিল করেন। তাই এখানে নতুন কোন শব্দগুচ্ছের প্রয়োজন নেই। যে সম্পর্কে আল্লাহ স্বয়ং প্রমাণ দিয়েছেন সেখানে তা ইসলাম ধর্ম অনুসারেই বলতে হয়। তবে তারপরেও কিছু অতিরঞ্জিত কাহিনী আছে যা আমি আমার পোষ্টেই বলে দিয়েছি।

১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

সুলতানা রহমান বলেছেন: ধর্মগ্রন্থে যেসব অমরত্বের প্রমাণ আছে সবগুলোই সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। সত্যি তো অমরত্ব লাভের উপায় নাই।
কিন্তু অমরত্বের প্রত্যাশা সবার থাকে। আমি অবশ্য অমরত্ব চাইনা। শুধু যতদিন বেঁচে থাকি বুড়ো হতে চাই না। :D
শুভকামনা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মানুষ যুগে যুগে অনেক গবেষণা করে চলেছে এই নিয়ে। দেখা যাক সফলতা কখনও আসে কিনা !

তবে বুড়ো হতে না চাইলে র‍্যাপামাইসিন ওষুধ খেয়ে দেখতে পারেন। :)

১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: বোঝাই যাচ্ছে প্রচুর পড়াশোনা আর সময় ব্যয় করে লিখেছেন লেখাটি। অমরত্বকে ব্যাখ্যা করতে পাঠক মননকে এক স্থান হতে ঝটকা মেরে আরেক স্থানে নিয়ে যাবার স্টাইলটা ভাল লেগেছে। নিউটন সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য হাজির করেছেন। শুধু প্লাস দিলে ছোট করা হবে এই লেখায়। স্যালুট জানিয়ে গেলাম।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা। খুব অনুপ্রাণিত হোলাম।

শুভকামনা নিরন্তর।

১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

নেক্সাস বলেছেন: আপাতত প্রিয়তে। পড়তে হবে সময় নিয়ে

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা বন্ধু।

১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট! পড়ে অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পারলাম! যদিও পোস্ট সংশ্লিষ্ট আমার বেশ কয়েকটি প্রশ্ন মনে জাগছিল, কিন্তু নিচে মন্তব্য গুলো পড়ে দেখলাম আমার আগেই সেগুলো করা হয়ে গেছে! তাই আর নতুন করে বিরক্ত করলাম না! তাছাড়া আপনার উত্তর গুলোও অনেক ভাল্লাগছে......!!


পোস্টের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!


বিঃদ্রঃ গেমুভাউ রাত্রে কি এমন রাজ কার্য করেন সেইটা জাতির সামনে তুলে ধরার অনুরোধ জানিয়ে গেলাম! ব্যাপারটা আমার কাছে কিন্তু কেমন যেন ঘোলা-ঘোলা লাগছে ব্রাদার.......?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।
শুভকামনা নিরন্তর।

ভ্রাতা, গেম ভ্রাতা মনে অয় রাত হইলে জঙ্গলে মৎস্য শিকারে বের হয়।
B-))

১৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব ,




সুন্দর লেখা । জ্ঞানগর্ভ পোষ্ট ।

সারকথা হলো - মরিতে চাহিনা আমি এ সুন্দর ভুবনে...

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কিন্তু ভাই আমি যে মরতেই চাই ! :(

২০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

মধুমিতা বলেছেন: দারূণ লিখেছেন। এধরনের লেখা আমার বরাবরই ভালো লাগে। লোককাহিনী অনুযায়ী আমাদের পাশের তিব্বতে নাকি এমন একটি স্থান আছে যেখানে অনন্ত যৌবন পাওয়া যায়। তাই অনেকেই সেই স্থানটি খুঁজে ফিরে। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তত্বাবধানে সেই জায়গাটি - 'সাম্ভালা'/'নির্ভানা' নামে পরিচিত।(সাম্ভালাঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Shambhala)
(নির্ভানাঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Nirvana_(Buddhism))

'সাম্ভালা' নিয়ে বাংলাদেশে শরীফুল হাসান এর ৩ খন্ডের একটি মৌলিক উপন্যাসও আছে। বইটি আমি একনিঃশ্বাসে পড়েছি, খুবই উপভোগ্য।
পাশাপাশি জেমস হিলটনের "লস্ট হরাইজন" উপন্যাসটির কথা মনে থাকবে। সেখানে তিব্বতের ঐ জায়গাটি "শাংরি-লা" নামে বর্ণিত হয়েছে। https://en.wikipedia.org/wiki/Shangri-La

আশাকরি এই বিষয়ের শীঘ্রই আরো একটি খন্ড পাব। শয়তানের অমরত্বের কথাটিও তুলে আনতে পারেন। ভালো থাকবেন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় মধুমিতা ভাই।

সাম্ভালা সম্পর্কে এত বিস্তারিত তথ্য জানা ছিলো না। নামটাই শুধু জানতাম। অনেক ধন্যবাদ বিষয়টা জানানোর জন্য।

এই পোষ্টে শয়তান সম্পর্কে কিছুটা বলেছি।

অনেক ভাল থাকবেন ভাই।

২১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

মধুমিতা বলেছেন: তবে ইসলাম অনুযায়ী- খিজির (আঃ) মারা গেছেন। ওনার অমরত্ব স্বীকৃত নয়।
এখনো বেঁচে আছে- শয়তান, ঈসা (আঃ), দাজ্জাল, ইয়াজুজ মাজুজ, ফেরেশতাগন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



এইটা ভুল ধারনা ভাই। দাজ্জালের সাথে কথা বলবে যে লোকটি সে হলো এই খিজির (আঃ)। আর নবীজির জানাজায় আসাটা কি তাঁর মৃত্যুর কথা বলে নাকি ? তাঁকে আল্লাহ এক বিশেষ কাজের জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। যেমন বাঁচিয়ে রেখেছেন ঈসা (আঃ) কে। আর ইয়াজুজ-মাজুজ একটি সম্প্রদায় বিশেষ। তাদের মাঝে জন্ম মৃত্যু আছে।

২২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

লিও কোড়াইয়া বলেছেন: ভ্রাতা, এতো তথ্যবহুল একটা লেখা, প্রিয়তে না রাখলে নিজেরই লস। কয়েক বছর আগে আমি বিভিন্ন বিশ্বাস এর উপর লেখা কলাম, উইকি পেজ, ডকুমেন্টারি দেখা শুরু করেছিলাম। বিষয়গুলো অনেক মজার এবং জটিলও। সবকিছুর পর একটা কথাই সত্যি, আর সেটা হলো, মৃত্যু আছে বলেই যৌবন এতো মধুর।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় হলো এইগুলো ভ্রাতা। নিজে যা জানি তাই শেয়ার করার চেষ্টা করি মাত্র।

খুব সুন্দর বলেছেন, মৃত্যু আছে বলেই জীবন সুন্দর।

২৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

মধুমিতা বলেছেন: ইয়াজুজ মাজুজ নিয়ে ঠিকই বলেছেন। তবে খিজির (আঃ) কে নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে অনেকেই মনে করেন তিনি বেঁচে আছেন। আপনার এই লেখার পরিপ্রেক্ষিতে আমি নিজেও এখন পড়ছি।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



খিজির (আঃ) যে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ওফাতের পর এসেছিলেন এইটা অনেক হাদিসেই এসেছে। এটাকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। এখানেই কবি নীরব।

২৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

কল্লোল পথিক বলেছেন: অসাধারণ অমরত্ব নিয়ে অমর লেখা

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

২৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পুরোটা পড়ে শেষ করলাম। মৃত্যুর স্বাদ একদিন না একদিন নিতেই হবে যেহেতু তাহলে এত অমরত্বের চিন্তা করে কি লাভ? টুকটাক তথ্য সন্নিবেশন করাতে পোস্টটি চিন্তা ও গবেষণার জন্য বেস্ট অপরচুনিটি। কোন সন্দেহ নেই। তবে বেশ কিছু বিষয়ে জানতে পারলাম যেমন নিউটনের যে এতো গবেষণার বিস্তৃতি ছিল তা নিয়ে এতটা জানতাম না। আপনার পোস্টটি অনেককেই এ বিষয়টি নিয়ে জানতে সুযোগ করে দিবে। এ জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আর দাজ্জাল, ঈসা আঃ, ইমাম মাহদী এগুলো আসলে বানানো গল্পই মনে হয়।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভ্রাতা ঈসা (আঃ), দাজ্জাল এবং ইমাম মাহদী হলো ভবিষ্যৎ এবং অবশ্যই সত্য। যেমন সত্য আমাদের মৃত্যু, যেমন সত্য ফাইনাল জাজমেন্ট ডে, যেমন সত্য স্বর্গ-নরক। এইগুলো সবই ভবিষ্যৎ সত্য। এইগুলোকে অবিশ্বাস করার কোন কারণই নেই।

ভ্রাতা আমি অদৃষ্টে বিশ্বাস করি কারণ আমি যুক্তি মেনে বুঝেছি যে অদৃষ্টকে যদি দেখতে পেতাম তাহলে ইচ্ছা করলেই পাপ করতাম, ইচ্ছা করলেই ক্ষমা চেয়ে নিতাম। কিন্তু যেহেতু পাপ করতে পারিনা যেহেতু অদৃষ্ট আমার নিয়তি। আল্লাহ্‌ স্বয়ং বলেছেন জ্ঞান অর্জনের জন্য। আর জ্ঞান অর্জনের প্রসঙ্গ তখনই আসে যখন অন্ধ বিশ্বাস থাকেনা। আপনি চোখ বন্ধ করে হাটলে হোঁচট খাবেনই। ঈসা (আঃ) ফিরে আসবেন এটাই লজিক। কারণ তিনি ফিরে না এলে পৃথিবীতে যে প্যাঁচ লেগে আছে তা খুলবে না কখনও।

২৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

রিকি বলেছেন: কাণ্ডারি ভাই......চরম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম একটা পোস্ট। অমরত্ব। ফিলোসফার্স স্টোনের জায়গাগুলো সাথে অ্যালকেমির অংশ পড়ে দ্য এইট মনে পড়লো। ক্যাথেরিন নেভিলের---চমৎকার একটা বর্ণনা দেয়া আছে সেখানে। :)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বিজ্ঞানী গ্যালিলিও, নিউটন, আইনস্টাইন সত্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। তারা সারা জীবন মূলত অপার্থিব জগত নিয়েই ভেবেছেন। আর সেইসব ভাবনার কারণেই দরকার হয়েছে চন্দ্র সূর্য, গতি, অভিকর্ষজ ত্বরণ আর আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিষ্কারের।

২৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অর্ধেক পড়েছি| কফিন চুরি পর্যন্ত| বাকিটা রাতে|
সি ইউ সুন

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ওকে ভ্রাতা।

২৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক সুন্দর তথ্যবহুল পোস্ট , ভালো লেগেছে । সত্যিই , সবাই আমরা অমরত্বকে কোন না কোন ভাবে কামনা করি । অনেক কিছু জানলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে আর পোস্টটি প্রিয়তে রেখে দিলাম ।

অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



কেউ জীবন চায়, তো কেউ চায় কীর্তি দিয়ে বেঁচে থাকতে। কিন্তু চায়তো ঐ অমরত্বই। কিন্তু আসলেই কিন্তু মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে এক অমরত্ব মৃত্যুর পরের জীবনে। প্রকৃত পক্ষে মানুষ অমর। মৃত্যু হলো একটি দরজা মাত্র, যা দিয়ে এক জগত থেকে আরেক জগতে যেতে হয়।

২৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা রবে.....ভাল লাগল ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



জন্ম মৃত্যুটা আসলে আপেক্ষিক। পৃথিবীর সাপেক্ষে আমরা মরবো কিন্তু আসলেই কি তাই ?

৩০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: দুপুরে পড়ে গেছিলাম। ইন্টারেস্টিং পোস্ট। এখন আবার পড়ে সুরা কাহাফও পড়ে আসলাম। কিন্তু ভাই সুরা কাহাফের কোথায় স্পষ্টভাবে এ কথা বলা আছে?

কোরআনে বর্ণিত সূরা কাহাফ এবং সেই সম্পর্কিত তাফসিরে খুব স্পষ্ট ভাবেই যুলকারনাইন, খিজির (আঃ), মূসা (আঃ) এবং ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে।


এমন কিছু পাইনাই যা স্পষ্টভাবে এই কথা বলে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সূরা কাহাফ প্রমাণ করে যে এই তিনটি ঘটনা সত্য। কিন্তু সূরা কাহাফ কি বর্ণনা করেছে কোথাও, ইয়াজুজ-মাজুজ কীভাবে সৃষ্টি, যুলকারনাইন ছোট বেলায় কি করতেন কিংবা খিজির (আঃ) এর জন্ম কোথায় ? সূরা কাহাফ শুধুমাত্র ইঙ্গিত দেয় যে মূসা (আঃ), দীর্ঘ জীবন প্রাপ্ত খিজির (আঃ) এর সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু কীভাবে তিনি দীর্ঘ জীবন প্রাপ্ত হলেন তা জানতে হলে জানতে হবে ইসলামের ইতিহাস। কিন্তু দীর্ঘজীবনের সত্যতার জন্য হলো সূরা কাহাফ। যেমন ধরেন ইয়াজুজ-মাজুজ হলো মানুষের তেরোটি গোত্রের মধ্যে একটি। অথচ ইয়াজুজ-মাজুজের দেহের গঠনের সাথে সাধারণ মানুষের দেহের গঠনের কোন মিল নেই। এই তথ্য সূরা কাহাফ আপনাকে দেবেনা। সূরা কাহাফ শুধু ইয়াজুজ-মাজুজের সত্যতা সম্পর্কে আপনাকে অভিহিত করবে মাত্র। বাকিটা জানার জন্য আছে ইসলামী স্কলারদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ।

৩১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: ভাই এত তথ্য পাইলেন কোথায়?

একটানা পড়ার পর, এখন একটা বড় শ্বাস নিলাম।

আচ্ছা ২০৬০ সালের আগেই কি দাজ্জালের আবির্ভাব হবে?

খিজির (আঃ) এর একটি বই পড়েছিলাম।
ইলিয়াস সম্পর্কে কোন কিছুরি কথা মনে পড়ছে না।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হা হা হা হা

এইটাতো আমি বলতে পারবোনা। তবে নিউটন সাহেব অংক কষে ২০৬০ সাল বের করেছেন। বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত জিনিয়াস। তার কোন সূত্রই ফেলতে পারি নাই এবং সবই প্রমাণিত সত্য এখন এইটা ভুল ভাবি কি করে !

ইসলামে হযরত ইলিয়াস (আঃ) সম্পর্কে বলা আছে। তিনি একজন নবী ছিলেন। তিনি কেয়ামত পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন। কিন্তু তার সাথে খিজির (আঃ) এর ঘটনার কোন যোগসূত্র নেই। তাহলে খিজির (আঃ) এর ঘটনায় যে ইলিয়াসের কথা কোথাও কোথাও পাওয়া যায় তা নিয়ে আমিও সংশয় প্রকাশ করি। আর যদি সেটা সত্যিও হয়ে থাকে তবে তিনি এখন কোথায় ?

৩২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অমরত্ত্ব বলতে কিছু নাই!! ইসলাম এই ব্যাপার স্বিকার করে না। দির্ঘায়ু বা অতি দির্ঘায়ু বায়োলজিক্যাললি অসম্ভব নয়। যুলকারনাইন আঃ এর সাথে খজির আঃ এর কোন সম্পর্ক আছে বলে জানতাম না। আসহাবে কাহাফের যুবকদের কাহিনী খেয়াল করলে দেখা যায় যে দির্ঘায়ুর জন্য শুধুই আল্লহের হুকুমই যথেষ্ট , বিশেষ কোন ঝর্নার পানি নয়। আল্লাহের কোন নবী অমরত্ত্ব খুঁজেছেন বলে বিশ্বস করি না। যদিওবা এটা বিশ্বস করিযে খজির আঃ দির্ঘায়ু প্রাপ্ত ও বিশেষ কর্মে নিয়জিত।

নাইস পোষ্ট

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমি আপনার সাথে একমত। অমরত্ব হলো পুরোপুরি আপেক্ষিক বিষয়। পৃথিবীর সাপেক্ষে আমরা মরবো কিন্তু তারপর ঠিকই অনন্ত জীবন প্রাপ্ত হব। সেই জীবনে মৃত্যু নেই। তাহলে ইসলাম কি করে অমরত্ব স্বীকার না করে থাকলো ?

আর খুবই সত্য কথা যে আল্লাহ্‌র জন্য হও বলাটাই যথেষ্ট। কিন্তু তারপরেও তিনি সবকিছুতেই উসিলা দিয়েছেন। যেমন আদমকে তৈরি করেছেন পৃথিবী থেকে মাটি আনিয়ে। তিনি হও বলাই যেখানে যথেষ্ট ছিলো তবু তিনি মাটি আনিয়েছেন। কারণ তিনি যা করেন সব যৌক্তিক।

৩৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পোষ্টে একনজর চোখ বুলাইলাম! সরাসরি শোকেসে ও +++।

এখন পড়তে পারতেছি না। :(

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

৩৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: ভিন্নমাত্রার অমরত্বের কাহিনী দারুণ ছুঁয়ে গেলো- চমৎকার সুখপাঠ্য আর অনবদ্য ভালোলাগার পোষ্ট, অনেক অভিবাদন প্রিয় কান্ডারি ভাইয়া, সতত শুভাশিস রইলো ...

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় লিটন ভাই।

৩৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

এম মিজানুর রহমান বলেছেন: কে বলছে ভাই আপনি অথর্ব ( --- অথর্ব নামে পরিচিত বলে ) ? নিজেকে অথর্ব ভাবা কিন্তু বিনয়ীর লক্ষণ । আপনার( প্রচলিত ) তথ্য বহুল লেখাটি পড়লাম । ভাল লেগেছে । সময় পেলে আরও শেয়ার করব । ধন্যবাদ ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



নারে ভাই আমি আসলেই অথর্ব। কান্ডারি অথর্ব !!!

অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

৩৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৪

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: নিউটনের ব্যাপারটা জানিতাম না।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



নিউটন সম্পর্কে জানার অনেক কিছুই আছে। আমরা জানি শুধু তার আপেল না খাওয়ার ঘটনা। কিন্তু এই নিউটন শুধু একজন বিজ্ঞানী ছিলেন না, তিনি ছিলেন আধ্যাত্মিক চর্চার একজন বড় সাধক। তিনি চিরকুমার অবস্থাতেই পাগল হয়ে মারা যান। কিন্তু নিউটন শেষ বয়সে কেন পাগল হয়ে গিয়েছিলেন ? কারণ তিনি এমন এক জিনিসের সন্ধানে ছিলেন সারা জীবন তা নিয়ে আসলে ভাবাই যায় শুধু কিন্তু রহস্য ভেদ করা যায় না।

৩৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০০

রজুলুন রসীদ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

কোহেকাফ হল কাফকাফ বা ককেসাস পর্বতমালার আরেক নাম। ফারসীতে কোহ মানে পাহাড় আর কোহেকাফ মানে কাফের পাহাড়। অনেকেই মনে করেন যুলকারনাইন ইয়াজুজ-মাজুজের প্রাচীর ককেসাস পর্বতমালায় নির্মাণ করেছিলেন। ইয়াজুজ মাজুজ যেহেতু অনেকের কাছে ভয়ংকর কিছু জীবের নাম তাই এরই সূত্রধরে কোহেকাফ জীনের আস্তানা হিসেবে আরব্য উপন্যাসে স্থান পেয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জীন জাতীর সাথে কোহেকাফের কোন সম্পর্ক আছে কি নাই, সে ব্যপারে ইসলামে নিশ্চিত করে কিছু বলা নাই। বরং কোন কোন স্থানে এমন উল্লেখ পাওয়া যায় যে, পৃথিবীতে মানুষ প্রেরণের পূর্বে ফেরেস্তারা জীনজাতীকে বন-জঙ্গল ও সুমূদ্রে হটিয়ে দিয়েছে।
আর ইয়াজুজ মাজুজ ও উদ্ভট কোন জীব না। তারাও আমাদের মতই মানুষ। তাদের উদ্ভট আকৃতি সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় সেগুলো প্রমাণ হিসেবে শক্তিশালী না। সূরা কাহাফে যেই ঘটনা এসেছে সেটা উল্লেখ করে "ইসলাম ধর্ম অনুসারে" একথা লেখা যায়।

খিজির আঃ ও যুলকারনাইনের যে কিচ্ছা কাহিনী শোনা যায় তারও কোন নির্ভর যোগ্য ভিত্তি ইসলামে নেই। তাই এগুলোকে "ইসলাম ধর্ম অনুসারে" লিখা উচিত না। "ইসলাম ধর্ম অনুসারে' লিখতে হলে নির্ভরযোগ্য কোন সূত্রের প্রয়োজন।

তাফফীরের কিতাবের সব কাহিনি বা বর্ণনাকে ইসলামের মত বলা যাবে না। কেননা অনেকেই তাফসীর করতে যেয়ে বাইবেলের ও বিভিন্ন পুরানের সাহায্য নিয়েছেন। যেগুলোর অধিকাংশই গবেষক মুফাস্যিরদের নিকট গ্রহণ যোগ্য না।

দাজ্জালের সাথে খিযির আঃ এরই কথোপকথন হবে এমন কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়না। কেননা এই মতামতটা কেউ কেউ ব্যক্ত করেছেন। এটা হবের সম্ভবনা যেমন আছে না হবারও আছে। এটা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমি আপনার সাথে একমত এবং আপনার ব্যাখ্যাগুলো আমার জানাই ছিলো।

এখানে সূরা কাহাফ অনুসারে মূসা (আঃ) এর সাথে খিজির (আঃ) এর দেখা হওয়ার ঘটনা নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করা যেতে পারে। আচ্ছা বলুন দেখি কেন খিজির (আঃ) এর সাথে সাক্ষাতের জন্য মাছের ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে। কেন তাকে তার কোন ঘর বা বাড়িতে খোঁজার বদলে এমন রহস্য ময় একটি ঘটনার কথা বলা হয়েছে। তারপর তিনি কোথায় আবার উধাও হয়ে গেলেন ?

এখানেই আছে চিন্তাশীলদের জন্য চিন্তার বিষয়। আর ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে যে বর্ণনা আছে সেখানে কেয়ামতের পূর্বে তারা কীভাবে বলেন দেখি দৈত্য আকারে আসবে, যে তাদের মরদেহ বহন করার জন্য পাখি নিযুক্ত করতে হবে ? যাই হোক ইয়াজুজ-মাজুজ আমাদের মতোই মানুষ তবে তাদের আকৃতি সাধারণ নয়।

এছাড়া সব তাফসির যে সত্য সেটাও ঠিক নয়। কিন্তু যেগুলো হাদিস সমর্থন করে তা মানতে আপত্তি নেই। তবে অনেক জ্বাল হাদিস আছে এটাও সত্য।

তবে সব কথার বড় কথা হলো, আল্লাহ্‌ সব কিছু ভাল জানেন।

তবে এখানে ইসলাম ধর্ম বা ইসলামিক পুরাণ যাই বলিনা কেন, আসলে অন্য ধর্মে খিজির (আঃ) নেই বলেই এভাবে বলা হয়েছে মাত্র। এর বেশী কিছু নয়। এখানে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নেই।

৩৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০১

ধমনী বলেছেন: অন্যদের বিষয়ে মোটামুটি জানতাম। কিন্তু নিউটনের এবিষয়ে গবেষণার কথা জানতাম না। অনেক ধন্যবাদ কান্ডারি ভাই দারুণ পোস্টটির জন্য।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



নিউটন আসলে আলকেমি নিয়েই মূলত চর্চা করেছেন। কিন্তু এরজন্য তার দরকার হয়েছে গতি, অভিকর্ষজ ত্বরণ, কিংবা ক্যালকুলাস ও গণিতের অন্যান্য সূত্র বের করে নেয়া। আর আমরা পেয়েছি অসাধারণ সব বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। তার সব আবিষ্কারের সময়কাল কিন্তু মাত্র তার জীবনের সাত বছরের মধ্যকার সময়কার আবিষ্কার কিন্তু বাকি জীবন তিনি আসলে এই আধ্যাত্মিক জ্ঞানের চর্চাই করেছেন। একটা সময় তিনি বাইবেল এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ নিয়েও মাথা ঘামানো শুরু করেছিলেন। মূলত তার হাত ধরেই ইহুদীরা পায় সভ্যতার উৎকর্ষ সাধনায় সন্মানিত স্থান। আরেকজন বিজ্ঞানী হলেন আইনস্টাইন যিনিও কিছুটা আধ্যাত্মিক চর্চা করেছিলেন কিন্তু সেটা আলকেমি নয়। আপেক্ষিক তত্ত্ব।

৩৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। মৃত্যু আছে বলেই জীবন সুন্দর। কিন্তু মৃত্যুর পর যে অনন্ত জীবন পাওয়া যাবে সেটার কি হবে ? তখন যে হয় স্বর্গ নতুবা নরক হবে অনন্ত জীবন যাপনের স্থান !!

চিন্তা করি অনন্ত জীবন কি বোরিং হইয়া যাবে না?

নাকি পৃথিবি ২.০ নতুন কাহিনি শুরু হবে... :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



চিন্তার বিষয় !

৪০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৮

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: মৃত্যুর দরকার আছে ।

সেই একখান পোস্ট দিছেন ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভ্রাতা অবশ্যই মৃত্যুর দরকার আছে।

কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।

৪১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৭

কাজী মেহেদী হাসান। বলেছেন: বেশ তথ্যবহুল পোষ্ট, ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



উৎসাহ দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।

৪২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: পরে পুরোটা পড়তে হবে ভালোমতো...
এখন+++

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অপেক্ষায় রইলাম কিন্তু !

৪৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

জুন বলেছেন: অমর হতে শুধু মানুষই নয় কান্ডারি একদা হিন্দু দেবতারাও অসুরদের সাহায্য নিয়ে সমুদ্র মন্থন করে তুলে এনেছিল অমৃতের ভান্ড।। যা পান করে তারা অমর হবে। যুগ যুগ ধরে এর জন্য চলে এসেছে কত সাধনা।
সুন্দর একটি লেখা অনেক ভালোলাগলো।
+

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সুপ্রিয় জুন আপু ভাল একটা দিক তুলে ধরেছেন। মানুষ অমরত্ব চাইতেই পারে কিন্তু দেবতাদের এই অমরত্ব খোঁজার বিষয়টা আমার কাছে এক বিস্ময়। দেবতাদের কি মৃত্যু আছে ? তারা কেন অমর হতে চাইবেন ? পুরাণের এই দিকটা আমার কাছে ঘোলাটে বলে মনে হয়।

মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হোলাম আপু।

৪৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

জুন বলেছেন: কান্ডারি হিন্দু মিথ অনুযায়ী পৃথিবী সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের দেবতারা অমর ছিল না যে। আমার এই ছোট লেখাটি পড়লে বুঝতে পারবে কাহিনীটি :)
অমৃতের স্বাদ

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



জুন আপু আপনার এই পোষ্ট আমার মনে গেঁথে আছে। আপনার ঐ পোষ্ট পড়ার পর এই নিয়ে আরও ঘাটাঘাটি করেছিলাম। তখন অনেক কিছু জেনেছিলাম। আপনার ঐ পোষ্ট না পড়লে বিষয়টা জানাই হতোনা।

আমার ভাবনাটা এখানেই যে দেবতা হিসেবে যাকে বিশ্বাস করতো সেটা যে কালেই হোক তারা কি করে অমর হলো না। তাহলে দেবতাদের নিশ্চয় কেউ সৃষ্টি করেছেন। এই জায়গায় এসে আসলে তাদের বিশ্বাসটা আমার কাছে কেমন যেন ঘোলাটে বলে মনে হয়।

৪৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

নেক্সাস বলেছেন: আমি মানুষের জৈবিক অমরত্বে বিশ্বাসী নই। তবে মানুষ চাইলে তার কর্মে অমরত্ব লাভ করতে পারে। যে নিউটনের কথা বল্ললেন তিনি নেই। কিন্তু না থেকেও আছেন সব জায়গায়।


অফ শীতেও --- এখানে শী-তে হাইফেন টা দিয়ে দিন বন্ধু।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



কেউ সৎ কর্মে অমরত্ব লাভ করে আবার কেউ অসৎ কর্মে। দুইটা দিকই কিন্তু বন্ধু প্রচলিত আছে এই পৃথিবীতে। আমরা যেমন নবাব সিরাজুদ্দোউলাকে স্মরণ করি আবার মনে রেখেছি মীর জাফরকেও।


হা হা হা হা শীত কালতো তাই হাইফেন দেয়া হয়নি বন্ধু। এখনই দিয়ে দিচ্ছি।

৪৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একটি উচ্চ মার্গীয় পোস্ট! অসাধারণ!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

৪৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

তাসজিদ বলেছেন: Train e bari jacche. No seat. Dariye achi. 50 min Kon did diye gelo ter pelam na. Monehoy holo samurai golden age jeno fire elo. Ekkothai matha Nosto. Osim plus

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ওরেরে তাসজিদ ভ্রাতা !!! ভ্রাতা আছেন কেমন ? কতদিন পর ভ্রাতা আপনার সাক্ষাৎ পেলাম !!!

ভ্রাতা আপনাকে দেখে আসলেই মনে হচ্ছে সামুর সেইসব পুরানো ভ্রাতাদের ফিরে পাচ্ছি। ভ্রাতা কত যে মিস করি আপনাকে বলে বোঝাতে পারবোনা। একসময় কতটা সময় কাটিয়েছি একসাথে আমরা বলেন দেখি ভ্রাতা ? কই হারিয়ে গেলো সেইসব দিনগুলো !!!

৪৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভ্রাতা, আইয়ুব বাচ্চুর গান শুনছি। আর আপনার ঐ পোস্টের(বাংলাদেশের ব্যান্ড) কথা মনে হওয়াতে আসলেম।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



হা হা হা হা ওকে ওকে :)

৪৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৩৫

সোহানী বলেছেন: পড়াশুনার সময়ে এমন চমৎকার লিখা দেন যে পড়া বাদ দিয়ে এগুলো পড়তে হয়... যাহোক অসাধারন হয়েছে অমরত্ব নিয়ে গভেষনার লিখা... নিউটনের বিষয়টি জানা ছিল না। তবে আমি মোটেও অমরত্ব পছন্দ করি না.... এমন কি বেশী বয়সে বেচেঁ থাকা ও.....................

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আরে ! আপা এত পড়াশোনা কইরা কি করবেন ? অনেকতো পড়ছেন এইবার একটু অবসর নেন।

:#) :#)

৫০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

টোকাই রাজা বলেছেন: আমরা সবাই জানি মৃত্যুতেই সমাপ্তি, |-)
তবুও অমরত্বর স্বাদ খুঁজি!
‪#‎হুদাই‬ :P
চমৎকার পোস্ট।
ভাইয়া ব্লগে আমি নতুন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

৫১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

দীপান্বিতা বলেছেন: +++

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপা।

৫২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩২

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা.......... এইটা ভালো কথা বলছেন........ অভ্যাস (বদ) এক পড়া শেষ করে আরেবটা ধরা.... কিছু না থাকলে ফ্লা্ইয়ার পড়া কারন এখানে বই মারাত্বক এক্সপেন্সিভ............

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপা আমার এখন একদম পড়াশোনা করতে ইচ্ছা করেনা। বই দেখলে মাথা ঘুরায়। গত এক মাস হলো দানিকেন এর একটি বই নিয়ে বসেছি, মাত্র দুই না তিন পাতা পড়তে পারছি। বুঝেন বর্তমানে আমার পড়ার অবস্থা...

৫৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

এহসান সাবির বলেছেন: বিশাল গবেষনা করেছেন.......

পোস্ট ভালো।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।

৫৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এমন পোস্ট আগে পড়া হয় নাই কেন? +++

লাইক প্রদানপূর্বক প্রিয়তে রইল।

ধন্যবাদ কষ্টসাধ্য পোস্টের জন্য। ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা রইল।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।
শুভেচ্ছা অগনিত।

৫৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪২

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আপনি ব্যাপক আর দারুণ পোস্ট করে থাকেন।
অনেকদিন পর ব্লগে ফিরেছি। আশা করি আপনাদের
পাশেই পাবো। ভালো থাকুন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



শুভকামনা ও ভালোবাসা নিরন্তর ভাই।

৫৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: হুম,গুরুজি শের শায়রী সাহেব কেন বলেছিলেন যে আগে একসময় সামুতে বাঘা-বাঘা ব্লগার ছিল,এখন আর তারা অ্যাক্টিভ নন,তা বুঝতে পারছি। আপনি তাদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়দের একজন।
ওয়েলকাম ব্যাক !:#P
আশা করছি,আপনাকেও পাশে পাব। নেমন্তন্ন রইলো আমার ব্লগবাড়িতে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাই সব সময় একটু বেশীই বলে। আসলে উনি নিজের কথা বলতে নারাজ। উনি একজন লিভিং লিজেন্ড। যাই হোক ইতিমধ্যে ঘুরে এসেছি। দারুণ সব লেখা মনে হচ্ছে। সব পড়ে মন্তব্য করব সময় নিয়ে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.