নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাই গ্রীন ঢাকা, ক্লীন ঢাকা

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০





“কিলাইয়া হাকাইয়া ডাকাত মারিলে দেশে শান্তি মিলিবে” ছোট বেলায় পর্যায় ক্রমিকভাবে পরিমাপকের ধাপগুলো মনে রাখার জন্য সহজ কৌশল হিসাবে এই বেদ বাক্যটি রপ্ত করেছিলাম। ডাকাত মারা হয়েছে অনেক, কিন্তু আদৌ কি দেশের শান্তি মিলেছে কিনা সেটা এক বিপন্ন বিস্ময় ! এই কিলানো হাকানো শিখতে শিখতে আমাদের অবস্থা এখন এমন পর্যায় এসে দাঁড়িয়েছে, আমরা মারামারি ছাড়া আর কিছুই বুঝিনা।

দেশে হিজড়া সম্প্রদায়কে আমরা অনেকেই ঘৃণার চোখে দেখি। এর কারণ অবশ্য কিছু অসাধু হিজড়া ব্যবসায়ী। যারা হিজড়া না হয়েও হিজড়ার বেশ ধরে চাঁদাবাজি করে তাদের ব্যবসা চালায়। আবার কিছু আছে যারা সুস্থ মানুষকে জোর পূর্বক লিঙ্গান্তর করে হিজড়া বানিয়ে ব্যবসার জাল ফেঁদে চলেছে। এইজন্য কতিপয় অসাধু হাতুড়ে ডাক্তার আবার তাদের ক্লিনিক ফেঁদে বসেছে লিঙ্গান্তর করার লক্ষ্যে। ব্রাজিলে লিঙ্গান্তর একটি জনপ্রিয় শিল্প। যা থেকে তারা প্রচুর রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে চলছে লিঙ্গান্তরের নাম করে একটি চক্রের হিজড়া উৎপাদনের কৌশল। যাতে করে তারা নির্বিচারে চাঁদাবাজি চালিয়ে যেতে পারছে। একেতো এই অবহেলিত সম্প্রদায়কে আমরা এমনিতেই পুনর্বাসন করতে না পেরে এবং তাদেরকে পরিপূর্ণ নাগরিক সুবিধা দিতে নাপারার কারণে টুকটাক কিছু আর্থিক ভিক্ষা দিয়েই নিজেদের মহানুভবতার পরিচয় দেয়া থেকে বিরত রাখতে পারিনা, তার উপর এখন তাদের উৎপাত আর তেমন সহ্যও করতে পারিনা; আর ঠিক এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে সক্রিয় কিছু অসাধু চক্র। অথচ এদের কারণে এখন সমাজের আসল হিজড়ারাও পড়েছে বিপাকে।



সেদিন দেখলাম এক চাইনীজ রেস্তোরার বাইরে তিন জন হিজড়াকে একটি স্বনামধন্য চাইনীজের কর্মীদের দ্বারা বেদম মার খেতে। দশ বারো জন মিলে তিন জন হিজড়াকে লাঠি দিয়ে মারছে। ঘটনার সূত্রপাত হয় চাইনীজে বিয়ের একটি অনুষ্ঠান চলছিলো। তো চাইনীজের গেটে জামাই বাবাজী দাঁড়িয়ে আছে ফিতা কেটে ভেতরে প্রবেশের জন্য। সুন্দরী মেয়েরা এক একজন সবাই সৌন্দর্যের ডালায় শোভিত হয়ে ফিতা ধরে দাঁড়িয়ে আছে, জামাই বাবাজীর সাথে দেনদরবার হয়ে গেলেই ফিতা কাটার অনুমতি দেয়ার আশ্বাস নিয়ে। এরই মাঝে সব গন্ডগোল পাকিয়ে বসলো হিজড়ারা। এরা এসে কিছু সাহায্য দাবী করাতে এক কথায় দুই কথায় ব্যাস চাইনীজের ভেতর থেকে দশ বারো জন কর্মী বের হয়ে এসেই লাঠি দিয়ে হিজড়াদের মারতে শুরু করে দিল। এরা অবশ্য প্রথম আঘাতে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু সেই পালানো সফলতার মুখ দেখেনি। স্বভাব সুলভ ভাবেই উৎসুক জনতার উপস্থিতি বেড়ে গেলো। কাজের কাজ যা হলো হিজড়া তিন জনের অবস্থা নাজেহাল। এরপরের ঘটনা স্বভাব সুলভ ভাবেই উপস্থিত জনতা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ঘটনার পক্ষে বিপক্ষে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দেয়া শুরু করে দিল। কারও মতে চাইনীজ তার সুনাম ধরে রাখার জন্য নিরাপত্তার খাতিরে কাজটি ঠিকই করেছে। আর কারও মতে কাজটি মোটেও ঠিক হয়নি। এত টাকা খরচ করে এরা বিয়ে করতে পারে, আর সামান্য কটা টাকা এদের দিয়ে দিলেই ল্যাঠা চুকে যেত। এতে করে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কিবা আছে। নতুবা চাইনীজের কর্তৃপক্ষও এদের কিছু টাকা দিয়ে বিদায় করে দিতে পারতো।

কিন্তু ঐযে আমাদের মাঝে কিলানো হাকানোর প্রবণতা কাজ করে। তাই কথার চেয়ে আমরা মারাটাকেই বেশী কাজের কাজ বলেই মনে করি। কিছুদিন আগে রাজন নামের যে শিশুটি জনতার মার খেয়ে মারা গেলো সেটা তারই একটি উদাহরণ। রাজনকে যারা মেরেছিলো, তাদের সাথে এই চাইনীজ কর্মী কিংবা চাইনীজে আসা বিয়ের লোকজন আর উৎসুক জনতার মাঝে কোন পার্থক্য দেখিনা। খুব সম্ভবত আইন তার নিজস্ব গতিতে চলেনা এবং আইনের প্রতি আস্থা না থাকাটাই আমাদেরকে এমন মারমুখী করে তুলেছে। সে যাই হোক, আমি ভাবি যে একজন চোর, ডাকাত কিংবা পকেটমারকে মারার মাঝে কোন সার্থকতা নেই। কারণ যারা দেশের উচ্চ পর্যায় বসে নির্বিচারে চুরি নয় বরং ডাকাতি করে যাচ্ছে, তাদের ব্যাপারেতো কবি দিব্যি নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে।

পোষ্টের বিষয়বস্তু এখানেই শেষ নয়। সামনেই আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন যারাই এই নির্বাচনে জয়ী হবেন আশা রাখি দেশের উন্নয়নে তারা তাদের অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। অবশ্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়েও আশাবাদী ছিলাম খুব। উত্তর দক্ষিণ মিলিয়ে পেয়েছি দুইজন মেয়র। তাদের কথায় ও কাজে মিল কতটুকু সেটাই এখন দেখার বিষয়। নির্বাচনের আগে ঝাড়ু হাতে অনেককেইতো দেখেছি কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ঝাড়ু দেয়ার কার্যক্রম কতটা সফল হয়েছে বা হবে সেটাই দেখার বিষয়। নির্বাচনের আগে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, প্রতিটি পরিবারের জন্য আবাসন সমস্যার সমাধান, উন্নতমানের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি আরও অনেক প্রতিশ্রুতিই আমরা পেয়েছিলাম।

দেশ সুপার সনিক গতিতে এগিয়ে চলছে এইটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় আমাদের সকলের জন্য। ঢাকা শহরে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। চলছে মেট্রো রেল তৈরির কাজ। এইজন্য অবশ্যই হৃদ্যতা পূর্ণ সাধুবাদ। কিন্তু আমার বিবেচনায় ঢাকায় বিরাজমান অসংখ্য সমস্যার মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায় তিনটি অসঙ্গতি চোখে পড়ার মতো হয়েও সকলের অগোচরে রয়ে যায়।



আজিমপুর, কার্জন হল, নীল ক্ষেত, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, রমনা জুড়ে যেসব বিস্তীর্ণ ফুটপাথ রয়েছে, সেখানে বসবাস করছে বহু ভ্রাম্যমাণ দরিদ্র মানুষ। প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার মানুষ পলিথিন টাঙিয়ে খোলা আকাশের নীচে ঢাকার বিভিন্ন ফুটপাথে বসবাস করছে। এদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সবই রাস্তায়। রাজধানীতে মাথাগোঁজার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েই আশ্রয় নিচ্ছে খোলা আকাশের নীচে। পলিথিন টাঙ্গিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে ফুটপাথ, লঞ্চ বা ফেরির টার্মিনালে। রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, মার্কেট প্লেস, নির্মাণাধীন ভবনের পাশে বা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও কবরস্থানের পাশেই গড়ে উঠছে তাদের জীবন পদ্ধতি। ঢাকা শহরে বাইরে থেকে আসা এসব ভাসমান লোকের সংখ্যা দিন দিন শুধু বাড়ছেই। গ্রাম থেকে অনেক নিঃস্ব মানুষ যারা এলাকায় কর্মসংস্থানে ব্যর্থ হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে রাজধানী ঢাকায়। ভাসমান এসব মানুষের তালিকায় রয়েছে নারীপ্রধান কিছু পরিবার। বিশেষ করে যেসব নারীর স্বামী মারা গেছে অথবা ছেড়ে চলে গেছে; সেসব মহিলা তাদের সন্তানদের নিয়ে ফুটপাথে আশ্রয় নিচ্ছে। আবার অনেকে রয়েছে যারা পরিবার-পরিজন বিচ্ছিন্ন। এসব লোকের পরিবারের সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ নেই। এ তালিকায় অনেক মহিলা আছেন যারা অন্যের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে, যাওয়ার কোন জায়গা না থাকায় আশ্রয় নিচ্ছে ফুটপাথে। খোলা আকাশের নিচেই চলছে তদের বসবাস। মূলত, গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান, যাদের কোন আয়ের ব্যবস্থা নেই, নদী ভাঙ্গনে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব তারাই মূলত ছুটে আসছেন রাজধানীতে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, রাস্তায় বিয়ে হয়েছে, ছেলেমেয়ে হয়েছে এমনও আছে। আর পরিবার-পরিজন নেই তাদের সংখ্যা কম নয়। ঢাকায় এমন কোন রাস্তা নেই, যেখানকার ফুটপাথে ভাসমান মানুষ ঘুমায় না। এমনকি রাজধানীর প্রতিটি ওভারব্রিজ ও ফ্লাইওভারেও মানুষ রাত কাটায়। নদীভাঙ্গন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ও গ্রামে কোন কাজ না পাওয়ায় মানুষ শহরে বিশেষ করে ঢাকায় এসে ভিড় করে।

যদিও শোনা যাচ্ছে ঢাকার ধলপুরে পথবাসীদের জন্য মাত্র দুই কাঠা জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে কিন্তু এতটা কতটা যৌক্তিক সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। এই উদ্যোগ আরও বৃহৎ পরিসরে নেয়া উচিৎ। যদিও দেশের দারিদ্রতা বিমোচন করা সবার আগে জরুরী। এছাড়াও এইসব পথবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ফলে ভোটও দিতে পারবেন এই শ্রেণীর মানুষ। তবে ভোট দেয়ার চেয়ে বড় বিষয় এদের বেঁচে থাকার জন্য স্বাবলম্বী করে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যদিও নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে দরিদ্র এই জনগোষ্ঠীদের জন্য পুনর্বাসন করাটা দূরুহ কাজ বলে মনে হতে পারে কিন্তু একেবারেই অসম্ভব নয়। ঠিক একই ভাবে বনানী, তেজগাঁ, কমলাপুর, বিমানবন্দর রেলষ্টেশন এবং রেল লাইনের দুই পাশের এলাকা জুড়ে আরও ভয়াবহ অবস্থা বিরাজমান। এসব স্থানেতো বাজার ঘাট পর্যন্ত বসে থাকে। এইসব বস্তি জুড়ে চলে অবাধে মাদক ব্যবসা। কিন্তু প্রশাসন আজও পর্যন্ত নির্বিকার। আছে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দলের অফিস। এইসব থেকে পরিত্রানের উপায় একটাই পুনর্বাসন করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো। এই ক্ষেত্রে দরকার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এবং আর্থিক বিনিয়োগ। পাশাপাশি এদের জীবনমান উন্নত করতে দরকার বেশকিছু সমন্বিত পরিকল্পনা ও উদ্যোগ।



দ্বিতীয় অসঙ্গতিটি, দূর করতে যদিও তেমন কোন অর্থ কিংবা চক্রের হাতে পড়তে হবেনা তথাপি প্রশাসনের উদাসীনতা খুব চোখে লাগে। আগারগাঁ, শেওড়াপারা, মিরপুর দশ, শুক্রাবাদ, কলাবাগান বিজয় নগর, মালিবাগ, মতিঝিল এর মতো শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে উন্মুক্ত অবস্থায় রাখা বড় বড় আবর্জনার কন্টেইনারগুলো। এগুলো যেমন নানা রকম ভাইরাস ছড়িয়ে অসুখ বিসুখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমন পথচারীদের চলাচলকে করে তুলেছে দুর্বিষহ, দূষিত করছে পরিবেশ, বাড়িয়ে তুলছে যানজট। এই নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকা রহস্য জনক।



তৃতীয় অসঙ্গতিটা, খুবই মর্মস্পর্শী। অনেকটা হিজড়া সম্প্রদায়ের মতো অবহেলিত। যে কারণে পোষ্টের শুরুতেই হিজড়া সম্প্রদায় সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। পুরো ঢাকা জুড়ে এখন হিজড়া যৌন কর্মীদের বিচরণ। মানিক মিয়াঁ এভিনিউ, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, শ্যামলী, প্রেস ক্লাব, হাই কোর্ট, রমনা পার্ক, কাকরাইল, মালিবাগ, মিরপুর সবখানেই স্বাভাবিক যৌন কর্মীদের পাশাপাশি চলছে হিজড়াদের রমরমা ব্যবসা। সাথে যুক্ত হয়েছে আবাসিক হোটেলের নাম করে কিছু যৌন পল্লী। যেখানে অবাধে চলে যৌন কার্যক্রম। এসব হোটেলের রুম ভাড়াও ঘন্টা ও দিন হিসেবে পাঁচশত থেকে হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। দেখা যায় হোটেলে কোন মানুষ না থাকলেও রাত বৃদ্ধির সাথে সাথে যৌন কর্মী এবং তাদের কাস্টমারদের ভীর বাড়তে থাকে। তাছাড়া আছে বনানী, গুলশান এবং হাতিরঝিলে অভিজাত যৌন কর্মীদের আনাগোনা। রাত যত গভীর হয় রাজপথে নেমে আসে এইসব অভিজাত যৌন কর্মীরা। এদের পোশাক আশাক হিন্দি সিনেমার নায়িকাদেরকেও হার মানায়। সে যাই হোক, যৌন পেশা অত্যন্ত আদিম এক পেশা। একে হয়ত চাইলেও বন্ধ করা সম্ভব হয়ে উঠবে না। তবে উপযুক্ত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়ত করলে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। হয় এদের জন্য বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে নতুবা কোন স্থায়ী বাসের জায়গা করে দিতে হবে। কিন্তু সামাজিক মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ তাতে বাঁধা। আর এও সত্যি যদি বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করেও দেয়া হয় সবার চাহিদা এক নয়। যাদের চাহিদা বেশী তারা আবারও পথে নামবে। কিন্তু এভাবে যত্রতত্র পথে নামাটা অন্তত যদি বন্ধ করা যেত তবে ভাল হতো। নতুবা বোরকাকে আশ্রয় করে যেসব হিজড়া সম্প্রদায় যৌন কর্মী সেজে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে তাদের হাত থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৬০১ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করে। চলতি অর্থবছরে উন্নয়নমূলক খাতে মোট ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ১৪৪ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ৭১ শতাংশ। বাজেটে ব্যয়ের খাতগুলোর মধ্যে নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ, পানি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং মশক নিধনসহ সেবামূলক কার্যক্রমের মান বৃদ্ধির খাতে ৩১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া সড়ক ও ট্রাফিক অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন খাতে ২৪৯ কোটি টাকা, বাজার নির্মাণসহ ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা, কবরস্থান ও শ্মশানঘাট সংস্কার ও উন্নয়ন এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শেষকৃত্য স্থান নির্মাণ ও উন্নয়ন খাতে ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পরিবেশের উন্নয়নের জন্য পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়নের মাধ্যমে নগরিকদের বিনোদন সুবিধা খাতে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, পরিবেশ উন্নয়ন খাতে ৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও মশক নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা রাখা হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ২ হাজার ৮৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করে। ব্যয়ের খাতগুলোর মধ্যে বেতন-ভাতা বাবদ ১৮০ কোটি, সড়ক ও ট্রাফিক অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়ন খাতে ১৮১ কোটি ৫০ লাখ, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৯৭ কোটি ৯০ লাখ, বিদ্যুত, জ্বালানি, পানি ও গ্যাস বাবদ ৬৮ কোটি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ২৮ কোটি, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাবদ ১২ কোটি ৫০ লাখ, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সরবরাহ বাবদ ২৫ কোটি, বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২৮ কোটি, অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কবরস্থান, শ্মশানঘাট সংস্কার ও উন্নয়ন খাতে ৬ কোটি ২৫ লাখ, বিজ্ঞাপন প্রচার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক খাতে ৭ কোটি ৫০ লাখ, নাগরিক বিনোদনমূলক সুবিধাদি উন্নয়ন খাতে ১৬ কোটি ৩৫ লাখ, পরিবেশ উন্নয়ন খাতে ৫৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।



ঢাকার উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যে নেয়া দুটি পদক্ষেপের কথাই ধরা যাক। প্রথম পদক্ষেপ দেয়ালে দেয়ালে আরবী লিখে যত্রতত্র মূত্র ত্যাগ না করে, কাছের কোন মসজিদে মূত্র ত্যাগের ব্যাপারে সচেতনতা চালানো হলো। এই কার্যক্রম যদিও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নামে প্রচার করা হয় মূলত এটা ছিলো সিটি কর্পোরেশনের একটি উদ্যোগ। যদিও পাবলিক টয়লেট বাড়ানোটা বেশী যৌক্তিক হতো কিন্তু মসজিদকে প্রাথমিক ভাবে বেছে নেয়া হলো। যদিও ধর্ম এবং নর-নারী ভেদে এবং সময় অনুযায়ী মসজিদে টয়লেট করার বিষয়ে কোন রূপরেখা দেয়া হয়নি। যাই হোক, এটা কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে সেটা এখনও খুব সম্ভবত বিবেচনাধীন। নেই প্রয়োজনের তুলনায় তেমন পাবলিক টয়লেট আর যাও আছে করুণ দশা সবকটির। কিন্তু এই খাতে বাজেট থাকাটা বাঞ্ছনীয়। এরপর আরেকটি উল্ল্যেখ যোগ্য কাজ হলো, তেজগাঁয় অবৈধ ভাবে রাখা ট্রাক-বাস উচ্ছেদ অভিযান। যদিও সেখানে সংঘর্ষ বেঁধে গিয়েছিলো কিন্তু তারপরেও সাধুবাদ জানাতেই হয় এই উদ্যোগকে। এখন আবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে গুলিস্তানের হকার উচ্ছেদের। আমি খুব আশাবাদী, যদিও পুরো ঢাকা শহর জুড়ে এখন চলছে চকির রমরমা বানিজ্য। যেসব চকির জন্য হকাররা প্রতিদিন পঞ্চাশ থেকে দুইশত টাকা করে চাঁদা দিয়ে থাকে। এইসব চাঁদা কারা নেয় সেটাও একটা বিবেচনার বিষয়। যেমনটা বিবেচনার বিষয় পরিবহণ মালিক সমিতি কীভাবে অবৈধ ভাবে তাদের বাস-ট্রাক যত্রতত্র রেখে দেয়।

একজন সচেতন ঢাকাবাসী হিসেবে ঢাকার মেয়রদ্বয়ের কাছে ঢাকার সজীবতা ফিরে পেতে চাই। চাই গ্রীন ঢাকা, ক্লীন ঢাকা। খুব বেশী কিছু কি চেয়ে ফেললাম ? তবে, আমি আশাবাদী !!

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

নেক্সাস বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। চাই ক্লিন ঢাকা, চাই ক্লীন বাংলাদেশ

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এভাবে ঢাকার মতো প্রতিটা সিটি কর্পোরেশন, প্রতিটা পৌরসভা যেদিন ক্লীন করা সম্ভব হবে সেদিন ক্লীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

লেখোয়াড়. বলেছেন:
পোস্ট ভাল।

কিন্ত সম্ভব না।
দেশে আগে চাই ক্লীন মানুষ, গ্রাীন মানুষ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



শুধু ক্লীন মানুষ নয় চাই সুস্থ ধারার রাজনীতি, চাই সুস্থ রাষ্ট্র পরিচালনার অবকাঠামো।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

ধমনী বলেছেন: মেয়র মহোদয়বৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কেউ পোস্টটি পড়লে মঙ্গল হতো। তবে একই সাথে নাগরিক সচেতনতা ও সহযোগিতামূলক মনোভাব তৈরী করার জন্যও সামাজিক উদ্যোগ দরকার।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



নাগরিক সচেতনতা ও সহযোগিতা অবশ্যই দরকার কিন্তু সরকারের স্বদিচ্ছাই যথেষ্ট এগুলো দূর করার ক্ষেত্রে।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: একজন সচেতন ঢাকাবাসী হিসেবে ঢাকার মেয়রদ্বয়ের কাছে ঢাকার সজীবতা ফিরে পেতে চাই। চাই গ্রীন ঢাকা, ক্লীন ঢাকা।

মনোযোগসহকারে আপনার বক্তব্য পড়লাম। খুব ভাল লাগল। আপনার মতামতের সাথে আমিও একমত।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই সাথে থাকার জন্য।

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

অগ্নি সারথি বলেছেন: রাজনকে যারা মেরেছিলো, তাদের সাথে এই চাইনীজ কর্মী কিংবা চাইনীজে আসা বিয়ের লোকজন আর উৎসুক জনতার মাঝে কোন পার্থক্য দেখিনা - সহমত। আমরা আসলে পুকুরচোরদের পশ্চ্যাতে তৈল মর্দনে আর ছিচকে চোরেদের প্রান হরনে বেশ অভিজ্ঞ এক জাতি।
গ্রীন ঢাকা, ক্লীন ঢাকা- আশাবাদী পোস্টে ভাললাগা !!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমাদের সর্বক্ষেত্রে একই মনোভাব রাখা উচিত। একজনের প্রতি ক্ষোভ অন্যের উপর মিটিয়ে কি লাভ !!

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সরকারের লোকেরা দেশের ভাসমান জনগোষ্টী, পথশিশু, হিজড়া, মানবেতর জীবনযাপনকারী বস্তিবাসী, যৌনপল্লীর নিগৃহীত নারীদের নিয়ে সুনির্দিষ্ট ও আন্তরিক পদক্ষেপ নেয়া বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে কতটুকু সফল সেটা নির্ধারণ করে। এছাড়া পরিবেশ দূষণ, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, হকারদের ব্যবসা, রাস্তার জ্যামসহ যত সমস্যা আছে সিটি কর্পোরেশনের বাস্তবসম্মত ও কল্যাণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরূরী।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাল বলেছেন। সহমত।

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অবশ্যই।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মেয়রদের পক্ষে ক্লিন ঢাকা এন্সিওর করা সম্ভব না।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


তাহলে আর মেয়র হওয়া কেন ?

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: পোষ্টটা স্টিকি হোক !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই।

১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার লিখায় সাধারন জনগনের মনের আকুতি ফুটে উঠেছে ।
অসাধারণ মানুষ গুলো একটু সুদৃষ্টি দিলেই সমস্যাগুলির সমাধান হয়ে জেত ।

একজন সুনাগরিকের দায়িত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য শুভকামনা ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অসাধারণ মানুষগুলোর অসাধারণ দৃষ্টির প্রতি অপেক্ষা...

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

কাজী মেহেদী হাসান। বলেছেন: কিছু ব্যাতিক্রমী বিষয় তুলে এনেছেন। যেটা নিয়ে মানুষের ভাবনা লেখার শব্দে আসার আগ পর্যন্তই। সমাধান থেকে খুব বেশি দূরে চলে না গেলেও সত্যিকার অর্থেই সবুজ ঢাকার জন্য আরও বেশি উচ্চকিত আওয়াজ জরুরি। জরুরি মানুষের ভেতরে প্রকৃত মানুষের। এত বিশাল জনগোষ্ঠির ঢাকাকে আবাসযোগ্য করে তোলাটা সময়ের দাবী।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



একটি দেশের রাজধানীর অবস্থা বেগতিক হতে পারেনা। রাজধানী পুরো দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। অতএব এর প্রতি বিশেষ নজর দেয়া জরুরী।

১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

কল্লোল পথিক বলেছেন: পোষ্টটা স্টিকি করা হোক

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই।

১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

সুমন কর বলেছেন: পোস্টে প্রতিটি বিষয় তুলে ধরেছেন। গ্রেট পোস্ট, বস।

শেষের দাবিটা প্রতিটি সচেতন ঢাকাবাসীর দাবি....

+।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এই দাবি আমাদের সকলের।

১৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার দাবি শুধু ঢাকা ক্লিন হোক, আর আমার দাবি গোটা দেশটাই ক্লিন হোক!



চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



এভাবে ঢাকার মতো করে অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা থেকে একই গতিতে কাজ হলে পুরো দেশ ক্লীন হবে। আওয়াজ সর্বত্র উঠতে হবে।

১৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ডি মুন বলেছেন: লেখোয়াড়. বলেছেন:
পোস্ট ভাল।

কিন্ত সম্ভব না।
দেশে আগে চাই ক্লীন মানুষ, গ্রাীন মানুষ।


এত কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট :) । আশা করছি, আমাদের বাসার সামনের রাস্তাটা এবছরও খোড়াখুড়ির ভেতর দিয়েই যাবে।
আলহামদুলিল্লাহ। আমরা উন্নয়নের সড়কে করে স্বর্গে যাইয়া পড়ব। অতি অবশ্যই সুপারসনিক গতিতে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমার এলাকায় এখনও অল্প বৃষ্টিতেই কোমর সমান পানি জমে যায় অতি অবশ্যই সুপার সনিক গতিতে।

১৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

সুলতানা রহমান বলেছেন: পড়তে পড়তে ভাবলছিলাম, কার কাছে চাচ্ছেন!
নতুন করে আশা করে আশায় খাবি না খাওয়াই ভাল। সৌভাগ্য অথবা দুর্ভাগ্য হোক, গত তিনটি নির্বাচন কাছ থেকে দেখেছি।
নাগরিক হিসেবে তো চাইতে পারি, এইটা আর কি!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



তাইতো ! কার কাছে চাচ্ছি ?

১৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সবার স্বদিচ্ছায় অনেক কিছুই সম্ভব। কিন্তু আমাদের সেই স্বদিচ্ছায় নাই।
ওভারব্রিজের উপর দিয়ে পার হলে নাকে মুখে কাপড় গুজে পার হতে হয়।
পুটপথ দিয়ে হাঁটতে গেলে বমি আসে। আমাদের মত এত নোংরা জাতি আর আছে কিনা সন্দেহ।
রাস্তায় বের হলে আগে পিছে হিজড়া আর বেদেনি আছে কিনা আগে দেখে নিতাম। যদি দেখতাম যে তারা আসছে, রাস্তা পালটে অন্য দিকে যেতাম এদের অত্যাচারে।
অনেক ভাল একটা পোস্ট ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



এইসব থেকে তখনই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব যখন সরকার শক্ত হাতে পদক্ষেপ নেবে। শিকড় থেকে শিখর পরগাছা কেটে পরিষ্কার করবে। এখন সরকার কেন এইসব পদক্ষেপ নিতে পারছেনা সেটার জন্য অনেক ফ্যাক্টর চলে আসে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, অসাধু চক্র এরা কারা, এইসব নিয়ে ক্ষতিয়ে দেখার প্রয়াস। কিন্তু যদি ক্ষতিয়ে দেখে শেষে আইন বলে যে তারা বিব্রত তাহলেই যত সমস্যা।

১৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এত সুন্দর সাজানো পোস্টের পর কিছুই বলার নেই| ঢাকার মানুষদের যেন আর নাকে রুমাল দিয়ে, মাস্ক পড়ে চলতে না হয়| হিজড়া আর পথের মানুষদের ব্যাপারেও একটু চেষ্টা করলেই অনেক কিছু হতে পারে|
দেখা যাক কী হয়!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



এই দুটি বিষয় নিয়ে কী খুব বেশী বেগ পেতে হবে ? আমারও ভাবনাটা একই রকমের।

১৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: এ দেশের মানুষ যখন ক্লিন হবে তখন শহর এমনিতেই গ্রিন হবে!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


যদি ভাই বলি দেশ ক্লীন হলে দেশের মানুষ অটো ক্লীন হবে ! অনেক কিছুই পরিবেশের উপর নির্ভর করে। এই যেমন দেশের আইন যদি তার স্বাধীনতায় বেগবান থাকতো; প্রশাসনের প্রতি আস্থা থাকতো তাহলে লোকে মারমুখি হতো না।

২০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাকে ক্লিন রাজনীতি দাও, আমি ক্লিন ঢাকা ক্লিন বাংলাদেশ দেব ! ;)

বিষয়গুলো সকলেই অবহিত। এবং সকলেই উদাসীন! অথবা কেউকেউ যারা সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম তারা অথবা তাদের উপকারভৌগী কেউ কেউ সুবিধাভোগী! ফলে সবাই সব জানার পরও সমাধান আসছে না।
মেয়রকে অবরুদ্ধ হতে হয় আইনত সঠিক কাজটি করতে গিয়ে।
পুলিশ, প্রশাসন, রাজনীতির খুদকুড়া খাওয়াদের ভীরে বস্তি উচ্ছেদ অসম্ভব! ফুটপাত ক্লিন দু:স্বপ্ন!

সে জন্যই ফরাসী সেই বিখ্যাত উক্তির ছায়াউক্তি- আমাকে ক্লিন রাজনীতি দাও, আমি ক্লিন ঢাকা ক্লিন বাংলাদেশ দেব ! ;)

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



কিন্তু ভাই ক্লীন রাজনীতিটাইতো নিশ্চিত করতে পারছিনা এই মুহূর্তে।

:(

২১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

রানার ব্লগ বলেছেন: ক্লিন ঢাকা কেমনে দেখবেন। আমাদের মিনিমাম ময়লা ফেলার সেন্স নাই। কোথায় থুতু ফেলতে হয় আর কোথায় ফেলতে হয়না এটা আমাদের মেধায় নাই। আমরা এতই মেধাবী যে যেখানে সেখানে ইচ্ছা মত জলত্যাগ করি, কোন বিকার নাই। পরিষ্কারের কথা বাদ দিলাম, অন্য লোক যে আমার নিম্নাঙ্গ দেখে ফেলছে এটা নিয়েও বিকার নাই। এরপর আসেন আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কথা, নিয়ম হল ভোর হবার আগেই রাস্তা ঘাট ঝাড়ু দিয়ে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে রাখবে, অথচ কি হচ্ছে তা তো দেখতেই পারছেন, প্রতিদিন সকাল ৯-১০ টার সময় ময়লার গাড়ি পুরো রাস্তা জুড়ে দাড়িয়ে থাকে গন্ধ ময়লা ছরাতে ছরাতে এরা তাদের কাজ শেষ করে। পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কোন রকম কাজের নমুনা কি আপনি পুরা ঢাকা ঘুরলে পাবেন কি না সন্দেহ আছে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



একটা ছোট উদাহরণ দেই। ধরেন বাসের টিকেট কাউন্টার। সবাই লাইন ধরে টিকেট কাটে কারণ লাইন না ধরলে কাউন্টার থেকে টিকেট দিবেনা। আবার যদি কোন নিয়মের বালাই না থাকে তাহলে কাউন্টারে হযবরল লাগবেই। ঠিক এমনই সেন্স তখনই হবে যখন দেশে নিয়মের বালাই থাকবে। থাকবে প্রকৃত শিক্ষার আলো।

২২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

আজমান আন্দালিব বলেছেন: সচেতনতা জাগ্রত হোক সবার মাঝে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সচেতনতা জাগ্রত হোক সবার মাঝে।

২৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার সুচিন্তিত পোস্ট। কিন্তু সব কিছু মেয়রদের হাতে বা ক্ষমতাবানদের হাতেও নেই। আমরা যারা সুন্দর বাসযোগ্য নগরী চাই তারা নিজেরা কি আদর্শ নাগরিক হতে পেরেছি? আইন মানার চেয়ে ভঙ্গ করার দিকে আগ্রহ আমাদের বেশী। নাগরিক সিভিক সেন্স তো নেই বললেই চলে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমরা আদর্শ দেশ গঠনের জন্য যাদের প্রতিনিধি করে দায়িত্ব দেই তাদের অবস্থান আগে নিশ্চিত হওয়া জরুরী। পদক্ষেপ নেয়া হবে জনগণ সাহায্য করবে।

২৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

কিরমানী লিটন বলেছেন: ক্লিন ঢাকা গড়তে সবার আগে ক্লিন মানুষদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে হবে- সমাজে ...।

অনেক অভিবাদন প্রিয় কান্ডারি ভাই, চমৎকার কার্যকরী পোষ্টের জন্য, শুভকামনা সতত ...

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ক্লীন ঢাকা, ক্লীন দেশ যাই বলি না কেন ক্লীন নেতৃত্ব দরকার সবার আগে।

২৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২

জয়িতা রহমান বলেছেন: চমৎকার কার্যকরী পোষ্টের জন্য অনেক অভিবাদন

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই সাথে থাকার জন্য।

২৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

গোধুলী রঙ বলেছেন: পরিবেশ নোংরা করে বসবাস করাটাই আমাদের স্বভাব, খুব কম বাঙালী কমিউনিটি আছে দুনিয়াতে যারা পরিচ্ছন্নভাবে বসবাস করে

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কীভাবে, কোন পরিবেশে মানুষ বেড়ে উঠছে তার উপর নির্ভর করে সবকিছু।

২৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

চেরাগ আলী বলেছেন: ভাই, কি বলে আপনাকে ধন্যবাদ দেব ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। আপনি বিদগ্ধ ঢাকাবাসীর মনের কথাগুলো লিখেছেন। দোয়া করি, আরো লিখুন। আমাদের বুক একটু হাল্কা হোক, আর আমরা অনুপ্রানিত হয়ে আগে নিজে ক্লীন হই যাতে আমাদের ভালোবাসার ঢাকা সামান্য হলেও ক্লীন হয়।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সামান্য ক্লীন হলেও হোক এই প্রত্যাশা। এভাবে সামান্য হতে হতে এক সময় পুরোটা হয়ে যাবে। অথবা আশাবাদী কোন এক আলোকিত দিনের যেদিন একসাথে পুরোটাই ক্লীন হয়ে যাবে।

২৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

রিকি বলেছেন: “কিলাইয়া হাকাইয়া ডাকাত মারিলে দেশে শান্তি মিলিবে” ছোট বেলায় পর্যায় ক্রমিকভাবে পরিমাপকের ধাপগুলো মনে রাখার জন্য সহজ কৌশল হিসাবে এই বেদ বাক্যটি রপ্ত করেছিলাম। ডাকাত মারা হয়েছে অনেক, কিন্তু আদৌ কি দেশের শান্তি মিলেছে কিনা সেটা এক বিপন্ন বিস্ময় !

ভাই, হ্যাটস অফ টু ইউ :) :) :) অসাধারণ পোস্ট :) :)

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সাথে থাকার জন্য।

২৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব ,




" চাই গ্রীন ঢাকা, ক্লীন ঢাকা।"
হাযারো সমস্যায় তিলেতিলে ধুঁকতে থাকা এই শহরটিকে সবুজ, সতেজ করতে সবচেয়ে আগে বেশী প্রয়োজন "ক্লীন মানসিকতা " ।
বাগান করতে চান , যতো ধরনের গাছই লাগান না কেন ; পানি বিনে সব মরে যাবে ।
শহরবাসীর ক্লীন মানসিকতাই হলো সেই পানি । নইলে ফুটওভার ব্রীজ থাকতেও রাস্তার মাঝখান দিয়ে আড়াআড়ি পার হওয়া সুবেশধারীদের দড়ি দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করতে হতোনা ট্রাফিক পুলিশদের । উল্টো পথে গাড়ীঘোড়া সদর্পে চালিয়ে যাওয়াও দেখতে হতোনা আমাদের । যেখানে যেমন করে বাস, কার, টেম্পু, রিক্সা, ঠেলা, মানুষ, গরু, ছাগল ইত্যাদি স্বাধীন ভাবে থেমে থাকতোনা , জটলা পাকাতোনা । ( অপমানসিকতার এগুলো একটি ভগ্নাংশ উদাহরন )

আপনার সদিচ্ছার সাথে তাল মিলিয়ে বলি - " চাই গ্রীন ঢাকা, ক্লীন ঢাকা , চাই ক্লীন মানসিকতা .।"

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সহমত ভাই।

চাই গ্রীন ঢাকা, ক্লীন ঢাকা , চাই ক্লীন মানসিকতা .।

৩০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

আবু শাকিল বলেছেন: দাদা সালাম নিবেন।
চারপাশের তুচ্ছ ঘটনা গুলো লেখার মাধ্যমে তুলে এনে নানাবিধ সমস্যা তুলে ধরেন।
স্যালুট ভাই।
আমাদের সামনে এসব ঘটলেও অনেকেই এড়িয়ে যান।কেউ মুখ খোলেন না।
লেখাটি স্টিকি করা হলে কতৃপক্ষের নজরে এলে কিছুটা ভাবিয়ে তুলত।
সামু ও মনে হয় সচেতন পোষ্টে উদাসীন থাকে।
ধন্যবাদ।



২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



শাকিল ভাই এইজন্যইতো কথার প্রচলণ হয়েছে; "কবি নীরব"

৩১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

জুন বলেছেন: ভালোলাগলো কান্ডারি

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ জুন আপু।

৩২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

এহসান সাবির বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আন্তরিক ধন্যবাদ সাবির ভাই, সাথে থাকার জন্য।

৩৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

আরইউ বলেছেন: অসাধারণ একটা পোস্ট!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৩৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

নিমগ্ন বলেছেন: পুরাই সহমত ভাইডি!!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভ্রাতা সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ও ন্যাক্কারজনক - সমাধান হবে না হওয়া সম্ভব ও না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.