নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:১০





স্বপ্নের দেশ মালদ্বীপ। মালদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে গড়ে ওঠা শৈল্পিক রিসোর্টগুলোতে দুদন্ড শান্তির অভিপ্রায় আমাদের মাঝে অনেকেরই আছে। আর এই অভিপ্রায় থাকাটা দোষেরও কিছু নয়। দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, তাই জগতটাকে ঘুরে দেখার বাসনা আমাদের সকলেরই থাকবে এটাই চিরন্তন। দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপ একটি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত মালদ্বীপের জিডিপিতে পর্যটন শিল্প থেকে আয় হয়েছে ৪১.৫% এবং ২০১৫-২০২৫ সাল নাগাদ যার প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৩.১%। এখানে বিবেচনার বিষয় হলো মালদ্বীপের এই পর্যটন শিল্পের বিকাশে অনুষঙ্গ হিসেবে মূলত রয়েছে সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশের তুলনায় এছাড়া আর তেমন দর্শনীয় কোন কিছুই মালদ্বীপে নেই। প্রায় ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ পৃথিবীর বৃহত্তর সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজারের তুলনায় মালদ্বীপের সমুদ্র সৈকত অত্যন্ত ক্ষুদ্রই বলা যেতে পারে। কিন্তু তারপরেও পৃথিবী জুড়ে পর্যটকদের কাছে মালদ্বীপের তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন শিল্প থেকে আয় হয়েছে মাত্র ১.৯% এবং ২০১৫-২০২৫ সাল নাগাদ যার প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৬.১%। অর্থাৎ ২০২৫ সালে যদি মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প থেকে জিডিপিতে অংশ থাকে গড়ে ৩৭.৬% বাংলাদেশের থাকবে তখনও ২.০%। এই সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে ওয়ার্ল্ড ট্র্যাভেল এন্ড ট্যুরিজম কাউন্সিল এর পক্ষ থেকে ২০১৫ সালে অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের প্রভাব সম্পর্কিত করা রিসার্চে। যেখানে পৃথিবীর সবকটি দেশের পর্যটন শিল্পের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।





আমি এখানে শুধুমাত্র বাংলাদেশের সাথে মালদ্বীপের অবস্থানগত পার্থক্যটুকুই তুলে ধরলাম। কারণ সার্কভুক্ত দক্ষিণ এশিয়ার অপর দেশগুলোর তুলনায় মালদ্বীপে শুধুমাত্র সমুদ্র সৈকত ছাড়া বিশেষ আর কোন দর্শনীয় স্থান নেই। এক সমুদ্র সৈকত দিয়েই তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এইযে, পৃথিবীতে বাংলাদেশ এখনও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম; যাকে এখনও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য বৈদেশিক সাহায্যের অপেক্ষায় থাকতে হয়। অথচ এই দেশের রয়েছে নিজস্ব খনিজ সম্পদ, মানব সম্পদ। রয়েছে গর্ব করার মত পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প। এক সময় পাটকে বলা হত সোনালী আঁশ তার বৈদেশিক অর্থ উপার্জনের জন্য। কিন্তু সেই ঐতিহ্যবাহী পাট শিল্পকে আমরা শেষ রক্ষা করতে পারিনি অব্যবস্থাপনার কারণে। বর্তমানে পোশাক শিল্পও হুমকীর সম্মুখীন। স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত গড়ে উঠেনি উৎপাদন মুখী তেমন কোন বড় শিল্প কারখানা। যাও হাতে গোণা কয়েকটি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে কিন্তু সেগুলো মুখ থুবড়ে পরেছে দুর্নীতি আর সঠিক পরিকল্পনার অভাবে। নাহয় বাদই দিলাম এইসব শিল্প কারখানার কথা। নাহয় তেল, গ্যাস, কয়লা, সিমেন্ট, চিনি, লবন, চিংড়ি কিংবা চুনাপাথর এর কথা বাদই দিলাম। কারণ উন্নত প্রযুক্তির অভাবে সেগুলো থেকে আমরা তেমন সুবিধা করতে পারছিনা। কিন্তু কেন বেহাল দশা পর্যটন শিল্পের ?



বাংলাদেশ ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এমন এক লীলাভূমি যা দিয়ে সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন সম্ভব ছিলো। বাংলাদেশ হতে পারত পৃথিবীতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। দেশের প্রধান অর্থনীতির উৎস হতে পারত দেশের প্রাকৃতিক লীলাভূমি। কিন্তু স্বদিচ্ছা ও পরিকল্পনার অভাবে তেমনটা হয়ে উঠেনি। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে কিছু পর্যটন মোটেল গড়ে উঠা ছাড়া তেমন কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আর আছে কিছু আবাসিক হোটেল কিন্তু সেগুলো বিদেশী পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার মত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। নেই পর্যাপ্ত ফাইভ স্টার কিংবা থ্রি স্টার হোটেল। নেই উন্নত মানের প্রমোদ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা।

কক্স-বাজারে পৃথিবীর দীর্ঘতম ১১১ কি.মি. দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত রয়েছে। কিন্তু এই কক্সবাজারই যখন মালদ্বীপ কিংবা ভারতের ছোট গোঁয়ার কাছে হার মানে তখন সত্যি আফসোস করা ছাড়া আর কিছুই থাকেনা। কিংবা শ্রীলংকার মন্দিরগুলো যখন হয়ে উঠে পর্যটনের মূল কেন্দ্রস্থল আর আমাদের বান্দরবনের স্বর্ণ মন্দির, ঢাকেশ্বরী মন্দির, ময়নামতি, মহাস্থানগড় কিংবা বিরিশিরির মতো নয়নাভিরাম হাওড়গুলো যখন বিদেশী পর্যটকের অভাবে খাঁ খাঁ করে কিংবা সোনারগাঁও পানাম নগর অথবা এর জামদানী শাড়ি, নকশি কাঁথা থেকে শুরু করে পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতিদের সংস্কৃতি যখন বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয় তখন সত্যি দেশকে ভালোবাসি এই কথা বলতে লজ্জা বোধ হয়।

এই দেশে যেমন রয়েছে নাফাখুমের মত জলপ্রপাত তেমনি রয়েছে মাধবকুন্ড, হিমছড়ি, কিংবা লাউয়াছড়া, লালাখাল, বিছানাকান্দির মত দর্শনীয় স্থান। রয়েছে হাতিয়া, সন্দ্বীপ, মহেশখালী আর সেন্টমার্টিনের মতো দ্বীপ। কক্সবাজার ছাড়াও আরও সমুদ্র সৈকত আছে পতেঙ্গা ও কুয়াকাটায়। রয়েছে কেওকারাডং এর মতো সুউচ্চ পাহাড়, রয়েছে রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রীজ। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে সবুজ চা-বাগান, রয়েছে মনিপুরী কিংবা চাকমাদের রাস নৃত্য। একদিকে যেমন রয়েছে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে লাল বাগের কেল্লা তেমনি অন্যদিকে রয়েছে সুন্দরবনের মত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন যার রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই। আম, কাঁঠাল, মোঘল খাবার থেকে শুরু করে দোয়েল, কোকিল কিংবা কৃষ্ণচূড়ার এই দেশে কি নেই ! তবু কেন আমরা পিছিয়ে থাকি আমাদেরই নিকটবর্তী দেশ মালদ্বীপ, ভারত, নেপাল কিংবা শ্রীলংকার কাছ থেকে ?



আমরা হরহামেশাই টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স, ইন্দোনেশিয়ান এয়ারলাইন্স কিংবা ভারতীয় এয়ালাইন্সের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখি। দেখি নানা রকম ভ্রমণ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন। কেউ দিচ্ছে স্বল্প খরচে দুই দিন তিন রাতে নেপাল ভ্রমণের সুযোগ কেউবা দিচ্ছে স্বল্প খরচে পাতায় বীচে ঘুরে আসার সুযোগ। কিন্তু সেই আশির দশকের পর কি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কোন বিজ্ঞাপন টেলিভিশনের পর্দা জুড়ে কারও নজরে এসেছে ? কিংবা দেখেছেন কখনও কক্সবাজার কিংবা সিলেটে হানিমুন করার কোন দুর্দান্ত চটকদার বিজ্ঞাপন ?

আমাদেরকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। প্রচার করতে হবে কক্সবাজার পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ সমুদ্র সৈকত কিংবা ম্যানগ্রোভ বনের সৌন্দর্য তুলে ধরতে হবে। পৃথিবীর কাছে আমাদের খাবার, ঐতিহ্য, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি তুলে ধরতে হবে। টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় ভীন দেশের অনুকরণে রিয়্যালিটি শো কিন্তু দেখা যায়না নিজের সংস্কৃতকে তুলে ধরার কোন প্রয়াস। কক্সবাজারে রয়েছে প্রায় ৪৫০টির মত হোটেল যার বেশিরভাগেই নেই উন্নত আধুনিক ব্যবস্থা। নেই সুইমিং পুল, ক্যাসিনো কিংবা কোন বার। তাহলে বিদেশী পর্যটকরা আকর্ষিত হবে কেমন করে ? নেই পর্যাপ্ত সিকিউরিটি ব্যবস্থা।



অতীতে বাংলাদেশের জন্য বড় একটি সুখবর দিয়েছিলো লোনলি প্ল্যানেট নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। সংগঠনটির মতে বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য পৃথিবীর সেরা দেশ হতে পারে বাংলাদেশ। মূলত তাদের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক পর্যটক তাদের গন্তব্য ঠিক করেন। শুধু বাংলাদশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার আরো কয়েকটি দেশ পর্যটনকে শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ নজর দিয়েছে। বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য ১৯৯২ সালে প্রথম জাতীয় পর্যটন নীতিমালা করা হয়েছিলো। ওই নীতিমালায় বলা হয়, বিদেশী পর্যটকদের আধুনিক ও চিত্তবিনোদনের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হবে। সুন্দরবন ও কক্সবাজারের জন্য নেয়া হবে মহাপরিকল্পনা। বিদেশী পর্যটকদের আগমন ও বহির্গমন সহজ করা হবে। দূতাবাসগুলোতে এ সংক্রান্ত সব তথ্য দেয়া হবে। কিন্তু এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বাস্তবে আসলে তেমন আশানুরূপ কিছুই হয়নি। ২০১০ সালে প্রণীত পর্যটন নীতিমালাটি হালনাগাদ করে জাতীয় পর্যটন নীতিমালা ২০১০ নামে আরেকটি নীতিমালা করেছিলো সরকার। আগের নীতিমালায় যা যা করার কথা ছিলো, তার সবই স্থান পেয়েছে পরবর্তী পরিকল্পনায়ও। কিন্তু কবে নাগাদ সেটি বাস্তবায়িত হবে, তা জানা নেই কারো। এত অবহেলার পরও বাংলাদেশে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটন কর্পোরেশনের তথ্যানুযায়ী ২০০০ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ২১১ জন পর্যটক। ২০০১ সালে বেড়ে হয় এর প্রায় দ্বিগুণ। এরপর টানা কয়েক বছর তা বাড়লেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ২০১৩ সাল থেকে তা আবার হ্রাস পায়। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে মোট ১৭ হাজার ৪১১ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। অথচ যা পূর্বের অর্থবছর থেকে ১৫৯ কোটি টাকা কমিয়ে বাজেট ধার্য করা হয়েছে। অথচ যেখানে অর্থনৈতিক ভাবে বিশাল উন্নতির জন্য পর্যটন শিল্পে রয়েছে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা। পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনকে পর্যটন শিল্পের জন্য বিকশিত করে তোলার বদলে; এখানে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রকল্প হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। যা জাতি হিসেবে অত্যন্ত দুঃখজনক আমাদের জন্য।

প্রধান প্রতিবন্ধকতা সমূহঃ

১। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দুর্নীতি।
২। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অরক্ষিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩। অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও সড়ক দুর্ঘটনা।
৪। বিদেশী হত্যাকান্ড ও জঙ্গি তৎপরাতা বিষয়ক প্রোপাগান্ডা।
৫। অনুন্নত হোটেল ও মোটেল ব্যবস্থাপনা এবং অপর্যাপ্ত বিনোদন ব্যবস্থা।
৫। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা।
৬। নানাবিধ সামাজিক অপরাধের কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়া।
৭। বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা জনিত সমস্যা।
৮। কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, কুয়াকাটা, সুন্দরবনের সমুদ্রসৈকত, রাঙ্গামাটির সুভলং ঝরনা এবং বান্দরবানের শৈলপ্রপাত ও বগা লেক তথা সর্বত্র পরিবেশ দূষণ।
৯। কক্সবাজার ও কুয়াকাটার মতো স্থানে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোকে এপার্টমেন্ট ব্যবসার অনুমোদন দেয়া।
১০। রাজনৈতিক অস্থিরতা।

উত্তরণের উপায় সমূহঃ

১। পর্যটন বান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পর্যটন কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরি করতে হবে।
২। ব্র্যান্ডিং ও প্রাচরনা চালানো।
৩। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করণ।
৪। পর্যটন এলাকা জুড়ে লোকজ সংস্কৃতিক মেলা ও উৎসবের আয়োজন।
৫। ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতিক রুচি ভেদে পর্যটন সুবিধার ভিন্নতা তৈরি।
৬। পর্যটন কেন্দ্র ঘীরে পর্যটকদের জন্য সুইমিং জোন, ক্যাসিনো, পানশালা বিশেষায়িত ক্লাব, ইনডোর-আউটডোর স্পোর্টসজোন, পার্টি এন্ড এক্সিবিশন সেন্টার, বহুজাতিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ইত্যাদি গড়ে তুলতে হবে।
৭। সমুদ্র সৈকত জুড়ে স্কুবা ডাইভিং, কারলিং, সার্ফিং, ফিশিং, বোটিং সুবিধা, ওয়াটার রাইডিং, বীচ স্পোর্টস ও পাহাড়ে ক্লাইম্বিং ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৮। জীববৈচিত্র্যকে পুঁজি করে পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা।
৯। সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে অংশগ্রহণ ও দায়িত্ববোধমূলক পরিবেশবান্ধব পর্যটন সেবা সৃষ্টি করা, যা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
১০। বার্মিজ মার্কেট নামক তথাকথিত বিদেশী পণ্যের মার্কেটের বদলে দেশীয় পণ্য ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ বাজার সৃষ্টি করতে হবে।

ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে অত্যন্ত সহায়ক। তাই সরকারী ও বেসরকারী বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন যাতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর আধুনিকায়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং পর্যাপ্ত বিনোদন ব্যবস্থা চালু করা যায়। এ জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। পর্যটন স্থানগুলোর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাতীয় পরিকল্পনায় পর্যটন শিল্পকে আগ্রাধিকার প্রদান পূর্বক জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখা, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পর্যটন পুলিশ গড়ে তোলা, পরিকল্পিত প্রচারণা চালানো, দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা এবং পরিকল্পিত বিনিয়োগ প্রয়োজন। পর্যটন স্থানগুলোর জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো একান্ত আবশ্যক। স্বয়ংসম্পূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে। পর্যটন স্থানগুলোয় উন্নত মানের হোটেল, রেস্টুরেন্টের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি করা দরকার তেমনি উন্নত সেবাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাছাড়া এ শিল্পে কর্মরত পর্যটক গাইড সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং দক্ষ ও পেশাদার জনবল তৈরি করাও প্রয়োজন। এ জন্য দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ সংশ্লিষ্ট কোর্স চালুর মাধ্যমে তা করা যেতে পারে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে পারলে আমরা ব্যাপকভাবে লাভবান হতে পারি।



বাংলাদেশ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে হতে পারে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। আমাদের নিজেদের দেশের স্বার্থেই আমাদের চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন আনতে হবে। পর্যটকদের সেই পর্যায় সন্মান দেখাতে হবে যেন তারা নিজ দেশে ফিরে গিয়েও আবারও বাংলাদেশে ভ্রমণে ইচ্ছুক হয়। এই আমরাই যখন নেপালে গিয়ে মুগ্ধ হয়ে ফিরে এসে নেপালের গুণগান গাইতে থাকি; ঠিক যেন তেমনি ইউরোপ থেকে কেউ এসে বাংলাদেশে ঘুরে গিয়ে; নিজ দেশে ফিরে বলতে পারে বাংলাদেশের প্রবালদ্বীপ স্বপ্নের হাতছানি দেয়। তবেই প্রকৃত স্বাধীন দেশ হিসেবে আমরা সার্থক হতে পারব।

মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৩৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সহমত পোস্টের সাথে। সব কিছুই বলে দিয়েছেন। এত্ত এত্ত সুন্দর জায়গা আমাদের দেশে তাও খুবই কম বিদেশি পর্যটক।

এমন কি দেশের অনেকেও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অন্য দেশকেই বেঁছে নেই।

প্রধান প্রতিবন্ধকতা এবং এর থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে চমৎকার এক পোস্ট।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসোপানে পৌঁছাতে পারে শুধুমাত্র এই সেক্টরের প্রতি যত্নশীল হলেই। তবে পরিতাপের বিষয়হলো এই নিয়ে বিস্তর পরিকল্পনার অভাব এবং উদাসীনতা। এই সম্ভাবনাময় সেক্টরকে কাজে লাগিয়ে আর্থিক ভাবে উন্নতি করতে পারলে; সেই আয় থেকে দেশের দারিদ্রতা বিমোচন করা সম্ভব, নতুন কল-কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব, শিক্ষার প্রসার সম্ভব, বিদ্যুৎ সেক্টরে বিনিয়োগ সম্ভব, ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব, বাজারের উর্ধগতি নেমে আসবে সহনশীল পর্যায়, টাকার অবমূল্যায়ন কমে আসবে, বাড়বে ফরেন রিজার্ভের পরিমাণ।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৩৪

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: একটি দেশের অধিকাংশ মানুষ অশিক্ষিত থাকলে তাদের একমাত্র চিন্তা থাকে কি ভাবে তিন বেলা এক মুঠো জোগার করা যায়, একটু মাথা পেতে শোয়া যায়। পর্যটন শিক্ষিত মানুষের জিনিস,যতদিন মানুষ শিক্ষিত না হবে ,দেশের ভালো বুঝতে শিখবে ততদিন এ সেক্টর এ আহামরি কিছু হবে না--স্টেইট কথা ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



একজন অশিক্ষিত মানুষও কিন্তু ভ্রমণ পিয়াসূ হয়। তবে শিক্ষা এখানে মূল সমস্যা নয়। সমস্যা হলো নীতিনির্ধারকদের দূর দৃষ্টির অভাব। সুপরিকল্পনার অভাব। পর্যটন শিল্পের প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব। এই দিকে দৃষ্টি দিয়ে দেশে চলমান অস্থিরতা নিরসন কল্পে উপযুক্ত পদক্ষেপের অভাব। নীতিনির্ধারকরা দেশের উন্নতির চেয়ে লোক দেখানো কাজের মাধ্যমে যে কোন উপায় ক্ষমতা টিকিয়ে রাখায় ব্যাস্ত। নতুবা সুন্দরবনকে পর্যটনের জন্য আকর্ষণীয় না করে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেছে নিতে পারেনা। কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় প্লট বরাদ্দ দিতে পারেনা। এইজন্য দায়ী অসাধু ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যূরাও। দায়ী দেশীয় পর্যটক, যারা ড্রিংক্স খেয়ে প্ল্যাস্টিকের বোতলটি সমুদ্রে ফেলে দেয়। বুড়িগঙ্গা নদীর কথাই ধরুন। দূষণের কারণ ভেবে দেখুন। এই দূষণের জন্য যেমন দায়ী মিল মালিক তেমন দায়ী বিআইডব্লিওটিএ। হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন, দেশের ভাল বুঝতে না শিখলে কিছুই হবেনা। সবাই শুধু নিজ ভাল বুঝে। কিন্তু এইটা বুঝে না দেশের ভাল হলে নিজেরই ভাল।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, সত্যি কথা হলো বাংলাদেশে সুন্দর জায়গা বলতে কিছু আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর রাতারগুলো। কিন্তু ভাই যেসব মানুষরা সাধারনত বাইরের দেশে ঘুরতে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে তাগো দেশের ঘরের পেছনের ঝোপ ঝাড়ও এর চেয়ে বেশী সুন্দর আর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।

সত্য কথা বলতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আগেই হারাইয়া গেছে, আমাগো দেশের মানুষ জন আর সমাজ ব্যাবস্থা যদি ভালো না করন যায় তাইলে এরা জন্মেও আসবে না। আশেপাশের ফিলিপিন থাইল্যান্ডের যেসব স্পেশাল পর্যটন স্পট ওগুলা যে কি হুলস্থুল চিন্তার বাইরে!

আর শুনলাম আমাগো সবেধন সেই রাতারগুলে গাছ কাইটা নাকি মন্ত্রনালয় বিল্ডিং উঠান শুরু করছে। সুন্দরবনে তো বিদ্যূৎকেন্দ্র সাবমেরিন পোর্ট জাহাজের পোর্ট সাথে সামিটের আরেকটা বিদ্যূৎকেন্দ্র বসানোর কাজ পুরা দমে চলতাছে!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




আমি খুব অবাক হই দেশের মানুষের অবস্থা দেখে। বিনোদন কেন্দ্রের এমনই অভাব যে এখন বিনোদনের জন্য বেছে নিয়েছে ব্যাস্ততম সড়কপথ, ফ্লাইওভার, ব্রীজ, কালভার্ট, নদী বাঁধ আর রিয়েল এস্টেটগুলোর মাঝে পড়ে থেকে বিস্তর জমিকে। সেখানে জমে প্রাণের মেলা। নির্ধারিত দিন ছাড়া শহীদ মিনার আর স্মৃতি সৌধে গেলে দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য। মাদকের আসর জমে রীতিমত। এছাড়া যদি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর দিকে তাকান সংরক্ষণের জন্য নেই কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। সবগুলো প্রায় ধ্বংসের পথে। অনেকে জানেই না কিছু কিছু নিদর্শন সম্পর্কে। দেশের মানুষেরই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বিদেশ থেকে পর্যটক আসবে কেমন করে।

অথচ এইদিকে নজর দিলে বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীতে ভূস্বর্গ ভূমি। থাইল্যান্ড, ফিলিপিনের চেয়েও অপার সৌন্দর্যের এই জায়গাটুকু এখন কয়লা শকুনের থাবায় আক্রান্ত।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৩০

বিজন রয় বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল পোস্ট।

কিন্তু দেশের সব সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আর আমরা নির্বিকার !!

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। +।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার ছবি নির্বাচন বেশ ভালো হয়েছে। ;)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপনার পাঠ্য প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত মননশীল। ;)

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার ছবি নির্বাচন বেশ ভালো হয়েছে। ;)
ঢিঁচকাঁও ;)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



লেখক বলেছেন: আপনার পাঠ্য প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত মননশীল। ;)
হাঁচ্চিয়াও /:)

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

তাহসিন মামা বলেছেন: আমরা যত দিন first priority তে এ দেশে বিদেশী পর্যটক আনতে পারবো না, ততো দিন এই হাল থাকবেই। বিদেশীরা আমাদের এখানে দেখতে আসে আমাদের culture. আর আমরা দেখাতে চাই আমাদের ৫ তাঁরা হোটেল !!! ওরা দেখতে আসে আমাদের অবারিত সবুজ আমরা দেখাই যানজট। যাই হোক এসব আসতে আসতে পরিবর্তন হচ্ছে। অনেকেই কাজ করছে এই দিক গুলো নিয়ে। সামনে হয়তো ভালো কিছু হবে। :)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




এই ভাল কিছু হওয়ার জন্য আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেশী। যারা সব সময় ভ্রমণ নিয়ে আছেন। আপনারাই তুলে ধরতে পারেন সমস্যার কথা, সমাধানের কথা। আপনারাই ব্র্যান্ডিং এর জন্য যথেষ্ট। ভ্রমণ কাহিনী আর ছবির পাশাপাশি উঠে আসতে পারে পর্যটনের বিষয়গুলোও।

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: কত দেশ কৃত্তিম পর্যটন নগরী তৈরী করে কোটি কোটি ডলার আয় করছে, আর আমাদের দেশে প্রকৃতি গড়ে দেয়ার পরও তার মূল্যায়ন নাই । ফ্রি তে পাইলে যা হয় আর কী ।

আপনার লেখার সাথে একমত । একটি সুগঠিত পরিকল্পনামাফিক দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করা দরকার । একমাত্র পর্যটন খাত দিয়েই দেশের দ্রুত সমৃদ্ধি সম্ভব !

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




ফ্রীতে পাইলে যা হয় আর কী

এইটাই সমস্যা।

১০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে ভাল পোস্ট। কিন্তু সরকার কবে সচেতন হবে?

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




আমরা যতদিন নিজেরা ঘুমিয়ে থাকবো।

১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

নেক্সাস বলেছেন: দেশটা প্রাচুর্যে ভরা। শুধু নাই দেশপ্রেমিক মানুষ আর দেশের জন্য পরিকল্পনা

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আগেত মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এইসবতো স্বপ্নের কথা। মানুষ মৌলিক অধিকার নিয়েই সংশয়ের মধ্যে বাস করছে।

১২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

জুন বলেছেন: আমি অনেক অনেক দেশে দেখেছি সামান্য জিনিসেরও কি অসামান্য উপস্থাপন আর আমরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দর্শনীয় জিনিসকেও নিজ হাতে হত্যা করছি। সুন্দরবন এর চুড়ান্ত উদাহরণ। আমার তিন চারবারের দেখা সুন্দরবন আজ ও আমার কাছে বিস্ময়কর।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




সেটাই জুন আপু। আমরা রক্ষার বদলে ধ্বংসের জন্য উঠে পরে লেগেছি।

১৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

ডি মুন বলেছেন: বাংলাদেশ হতে পারত পৃথিবীতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।

হতে পারত, তবে হবে না। এইগুলা নিয়ে যাদের মাথা ব্যথা হওয়ার কথা তাদের মাথাই নাই। সুতরাং.... B-))

:)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




সুতরাং বলতেই হয়; আমিও গ্রামের পোলা_____ দিতে আমিও জানি। ;)

১৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার ছবি নির্বাচন বেশ ভালো হয়েছে। ;)
ঢিঁচকাঁও ;) :P

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



লেখক বলেছেন: আপনার পাঠ্য প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত মননশীল। ;)
হাঁচ্চিয়াও /:)

১৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: প্রধান প্রতিবন্ধকতার সিরিয়ালে প্রথমেই থাকা উচিত জনসংখ্যার আধিক্য। বিদেশী থাকুক না থাকুক, এদেশের প্রতিটা স্পটে এবং বেশী মানুষের ভীড় অনেক বেড়েছে। আর স্থানীয়ভাবেই (দেশী ভ্রমনপিপাসু এবং লোকাল পাবলিক) যেহেতু মানুষের অভাব নেই তাই একেবারে নিরিবিলি এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ কম যেটা পর্যটক আকর্ষনের জন্য একটা বড় ব্যাপার। যাইহোক, সরকার এবং স্থানীয় জনগণের সদিচ্ছা এ খাতকে অনেকদুর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তেমন রূপ প্রকৃতি বাংলাদেশকে ঢেলে দিয়েছে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




সমস্যা হলো মানব সম্পদকে আমরা কাজে লাগাতে পারি নাই। তবে সুষ্ঠু পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করলে শুধুমাত্র এই পর্যটন শিল্প দিয়েই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে। হয়ত একসঙ্গে সব দর্শনীয় স্থান ও প্রত্নতত্ত্বগুলো সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। তবে একটা একটা করে ধরে এগিয়ে গেলে সম্ভব। তবে সবার আগে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

১৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাহসিন মামা বলেছেন:.......... বিদেশীরা আমাদের এখানে দেখতে আসে আমাদের culture. আর আমরা দেখাতে চাই আমাদের ৫ তাঁরা হোটেল !!.......

এই বিষয়ে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। মাঝে মাঝেই মেইল আর ম্যাসেজ পাই। জানিনা আমার মেইল আর ম্যাসেজ কই থিকা পায়। লিংক থাকে এইসব ৫ তারা হোটেলের পার্টির। পার্টি লিংকের শেষে থাকে বিভিন্ন মেয়ে আর তাদের কিছু হট পোজ। কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করছিলাম যারা রিসেন্টলি দেশে এসব পার্টি এটেন্ড করছে নাকি। তারা বললো সুইডেনে একটা মেয়ে পটাইতে গেলে অনলাইনে ন্যুনতম ১ মাস কথা কইতে হয়, তারপর তার সাথে ফ্রুকোস্ট মানে ব্রেক ফাস্ট করতে হয়। ব্রেক ফাস্ট করা মানে সম্মতি যে সে ইন্টারেস্টেড। তার পর পছন্দ হইলে সে আপনার সাথে ডিস্কোতে যাবে। ডিস্কোতে যদি আপনার সাথে ক্যামিস্ট্রি মিলে তাইলে আপনের সাথে বেডে যাবে। আর যদি ইলিগ্যাল মেয়ে পতিতাগিরী করে তাহলে সে আরও সতর্ক হয় এবং তার পরিচিত জায়গায় গার্ড দিয়ে করে। রাস্তায় যদি পোলিশ, বেলজিয়ান বা পূর্ব ইউরোপের কোনো মাইয়াও পান শিওর থাকবেন নিজের বাসায় নিলে ১-২ দিন পর পুলিশ আসবে আর যেহেতু সুইডেনে পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ সেহেতু লাইফ শেষ।তারপরও যারা করে খুবই সতর্কতার স হিত রিস্কে।

যাই হোক দেশে যা হয়, আপনি ৫ তারা হোটেলে যাবেন, বুকিং দেয়ার সময় ফোন নম্বর দিবেন। যেখানে ম্যাসেজ আসবে একটা লিংকের। এসকোর্ট সার্ভিস। যতদূর বোঝা যায় আপনার নাম তারা আগেই জানে। আপনি টাকা তখন দিয়ে দিলে যে সুবিধা পাবেন সেটা পার্টিতে গিয়ে যেকোনো মেয়ে পিক করে ১ রাত, ৭ দিন যেকোনো সময়ের জন্য।

এই সিস্টেমটা থাইল্যান্ড ফিলিপিন অনুসরনে। ওখানে সুইডিশ বুড়ো বা যারা পেনশনার, তারা যায় বিয়ে করতে নাহলে মেয়ে আনতে। ওখানে মাসের পর মাস পড়ে থাকে। এরপর তার মধ্যে যাকে সবচেয়ে ভালো মনে হয় তার জন্য এপ্লাই করে দেয়। সে এখানে আসলে যতদিন বুড়ো না মরে ততদিন থাকে। ততদিনে সুইডিশ তর তড়িকা সব শিখে পুরো সুইডিশ আর বুড়ো মরলে সুইডিশের সব সম্পত্তি। বাংলাদেশের ক্ষমতাশালী মানুষেরা এখন এই সিস্টেম চালু করেছে। একজন আছে যার নামের প্রথম অক্ষর নাতাশা...বাকীটা বললাম না। তার মা হাসিনার ২১ শে আগস্টের বোমা হামলায় এক সাথে আহন হোন। সে লীগের বেশ ক্ষমতা শালী লোকদের সাথে উঠাবসা। এমনকি তাদের সাথে অনেককে তো দেখি ক্ষমতাশালী ছাত্র দলের সাথে যুক্ত এবং বিভিন্ন পোস্টে।

তো পর্যটন শিল্পে যদি বিনিয়োগ করা হয় তাহলে তা দেশের উন্নতি। কি এসব কুকর্মে যদি ইনভেস্ট করা হয় তাহলে নিজেদের লাভ।

এখন আপনার লেখা অবশ্যই সাধুবাদ, কিন্তু কেন যেনো মনে হয় আমরা যতই দেশপ্রেমের কথা বলি, আমরা নিজেরাই দেশের উন্নতি চাই না!

আরেকটা কথা, বাংলাদেশের এখন যদি সত্যি সুন্দর কিছু বাকী থাকতো তাহলে আপনি আপনার পোস্টেই এসব সুন্দর সুন্দর মেয়েদের ছবি আর বিমানের ছবি না দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের ছবি দিতেন। আসলে ডিএসএলআর আর ফটোশপ দিয়ে যতই ছবি নাইন গ্যাগ বা বিভিন্ন দেশী পত্রিকায় পোস্টান লাভ নাই। যদি তা দেখে একজন এসেই প্রতারিত হয়, তাহলে তারা এমন জায়গায় এমন কিছু এমন ভাবে বলবে যে প্রায় প্রতিটা ভ্রমনপিপাসু নাগরিক আর যেখানেই যাক, বাংলাদেশের নাম লিস্টে রাখবে না!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে ঘীরে হোটেলগুলোর এই ব্যবসায়িক ধান্দা আরেকটি ক্ষতিকর দিক। যেভাবে হোটেলগুলো তাদের প্রচারণা চালায় তারচেয়ে বেশী প্রচারণা চালানো উচিত দর্শনীয় নিদর্শন নিয়ে। তবে ভ্রমণে যাবেন আর কেমন একোমোডেশন চান তার জন্য হোটেলগুলোর প্রচারণা একেবারে দোষেরও কিছু না। পরিবার পরিজন নিয়ে কোথাও ভ্রমণে গেলে সবার আগে এই একোমোডেশন আর যানবাহনের কথাই মাথায় আসে। আমি বন্ধুদের সাথে বহুবার কুয়াকাটা গিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে যেতে পারেনি শুধুমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থা আর একোমোডেশনের কথা ভেবে। কিন্তু কক্সবাজার যাওয়া হয়েছে বহুবার। আবার ধরুন আপনি সন্দ্বীপ কিংবা হাতিয়া যাবেন। উন্নত মানের একোমোডেশন নেই।

যাই হোক কথা সত্যি যে দেশপ্রেম না জাগলে আসলেই কিছু হবেনা।

আর আমার পোস্টে ব্যবহৃত যেসব ছবি দেখে বলছেন যে দেশে ভাল কিছু নেই বলে আমি ছবি দেই নি তাহলে আপনি ভ্রাতা কিছুটা ভুল ভেবে ফেললেন। এখানে আমি স্যাম্পল হিসেবে ভাল করে লক্ষ্য করে দেখুন যে ছবিগুলো ব্যবহার করেছি তার একটি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন স্বরূপ, একটি উপজাতিও সংস্কৃতি স্বরূপ, একটি রুচিশীল ভিন্নধর্মী হোটেল এবং সবশেষে ভ্রমণের জন্য বিমানের একোমোডেশন। এখন বিমানে ভ্রমণ করলে বিমান বালা থাকবেই। তাই সুন্দরী মেয়ে বিষয়টা অমূলক। এবার আসি বাংলাদেশের সৌন্দর্য সম্পর্কে।

বাংলাদেশ এমন একটি দেশ কোন ডিএসএলআর অথবা ফটোশপ ব্যবহার করে এর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার প্রয়োজন নেই। সামান্য মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুললেও মুগ্ধ হয়ে যেতে হবে।

আপনার শেষ কথাগুলোর জন্যই মূলত এই পোষ্টের অবতারনা। যে মালদ্বীপ তাদের সামান্য সমুদ্র সৈকত দ্যে আজ লাভবান আর আমরা এত কিছু থাকতেও পিছিয়ে আছি তার কারণ ও প্রতিকার কি হতে পারে সেই নিরীক্ষণের জন্যই এই পোস্ট। আজকে যদি আমরা পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে পারতাম তাহলে আমরা থাইল্যান্ড না গিয়ে বরং থাইল্যান্ড থেকে মানুষ এসে ঘুরে যেত সারা বছর।

১৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৯

পুলহ বলেছেন: ব্র্যান্ডিং এর জন্য এখন তো তথ্যপ্রযুক্তিটাকেও খুব ভালোমত কাজে লাগানো যেতে পারে। আর আমাদের নিজেদের সচেতনতাও অনেক বেশি জরুরি ভাই, সরকারের সাথে সাথে আমরা জনগণও তো স্টেক হোল্ডার। কিন্তু সেই আমরাই বা কতটুকু সচেতন? আমার তো মনে হয় না- নিজেদের ভালোটা আমরা খুব বেশি বুঝি (সেন্ট মার্টিনের বীচ/ পানিতে যেখানে সেখানে পড়ে থাকা চিপ্সের প্যাকেট/ প্লাস্টিকের কাপ কিংবা সিগারেটের টুকরা দেখলেই এই কথার সত্যতা কিছুটা আচ করা যায়)

মালদ্বীপ অত্যন্ত রক্ষণশীল একটা মুসলিম দেশ, তারপরো সেখানে নিশ্চিন্তমনে পশ্চিমা পর্যটকেরা ঘুরে বেড়াতে যায়। এ থেকেই তাদের উচুমানের ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে একটা আইডিয়া পাওয়া যেতে পারে। মজার ব্যাপার হোল- সেখানেও কিন্তু এ সেক্টরে প্রচুর বাংলাদেশি কাজ করে- আমার এক বন্ধু সম্প্রতি সেখান থেকে ঘুরে এসেছে, তার কাছেই শুনেছি!

আমার একটা ব্যাক্তিগত সাজেশন হোল- সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটের প্রাকৃতিক স্পটগুলা আকর্ষণীয় করবার জন্য একজন কবিকে সরকার নিয়োগ দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রেও আমাদের, জনগণের সামনে স্পটগুলিকে সেভাবেই উপস্থাপন করাটা জরুরি- যেনো আমাদের মধ্যেও সৌন্দর্যবোধ জেগে ওঠে। অন্ততঃ সে অনুভূতিটাকে সম্মান করতে শিখি !

খুব ভালো লাগলো আপনার সচেতনতামূলক পোস্ট । প্রার্থনা করি- এ লেখাগুলোর অভিঘাত যেনো আমাদের রাষ্ট্রের উপর পড়ে।
ভালো থাকবেন ভাই।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভ্রাতা আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত।

মালদ্বীপ যদি রক্ষণশীল দেশ হয়ে তাদের নিজেদের প্রয়োজনে পারে তবে আমরা কেন পারবোনা।
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ব্র্যান্ডিং এর জন্য দারুণ একটি বিষয়। কিন্তু দুঃখ লাগে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটের বেহাল দশা দেখলে।
সবার আগে নিজেদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সব কিছুই আইন দিয়ে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশে আইন থাকলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই। আবর্জনা যত্রতত্র ফেলার আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে।

সরকার এবং জনমনে ভাবনার উদয় হোক।

১৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: খুবই তথ্যবহুল, চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। প্রচুর স্টাডি, এনালাইসিস চোখে পড়ে পোস্টে। ধন্যবাদ আপনাকে এমন পোস্টের জন্য। +++

এই পর্যটন শিল্প নিয়ে অনেকদিন ধরেই আমরা বলছি, বলছি এর অপার সম্ভাবনা নিয়ে। কিন্তু সরকার মহাশয় শুধু পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেই বসে আছে। কিছু করার নেই। আমার এই পোস্ট তো দেখেছেন, http://www.somewhereinblog.net/blog/hasras80/30098798 এই বছরের শুরুতেই লিখেছিলাম।

আশা রাখি একদিন বাংলাদেশের পর্যটন খাত অনেকদূর এগিয়ে যাবে। শুভকামনা রইবে পর্যটন শিল্পের জন্য সবসময়।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভ্রাতা হাতিয়ার উপর দেয়া আপনার পোস্টটির কথাই ধরা যেতে পারে। এমন পোস্ট পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেমন ভারতের কাশ্মির ঘুরে ওখানের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, খাবার, একোমোডেশন যাতায়াত তুলে ধরেছেন তেমনি ভাবে এই দেশের স্পটগুলো নিয়েও ভ্রমণ কাহিনী ও ছবির পাশাপাশি সমস্যা ও প্রতিকার তুলে ধরতে হবে। ব্র্যান্ডিং করতে হবে আমাদের নিজেদেরকেই। আপনার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের উপর দেয়া পোস্টগুলো তেমনই কিছু পোস্ট।

ভ্রাতা আপনার কাছ থেকে প্রত্যাশা অনেক। ব্লগে যারা আপনারা ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে লেখেন তারা এই কাজটি আরও ভাল ভাবে করতে পারেন। প্রয়োজনে সবাই একসাথে মিলেও কাজ করতে পারেন। আপনি, জুন আপু, তাহসিন, তুষার, পাগলা জগাই, সাদা মনের মানুষ ভাই এমন যারা আছেন সবার কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ আপনাদের পক্ষেই সম্ভব এই পর্যটন শিল্পের চেহারা বদলে দেয়ার।

১৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

আবু শাকিল বলেছেন:
বাংলাদেশের পর্যটন কতৃপক্ষ চোখ খোলা রেখে ঘুমিয়ে আছেন !!
শত শত ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙ্গে না।
পর্যটন শিল্প নিয়ে যাদের ভাবার কথা তারাই ভাবেন না। এ নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে সেই আদিকাল থেকেই ।
আপনার পোষ্ট খানা কেউ যদি দয়া করে যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে পৌছানো যায় ।
উপকার হবে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভ্রাতা এই নিয়ে আমার একটা ব্যাক্তিগত পরিকল্পনা আছে। সামুতে যারা ভ্রমণ বিষয়ক লেখালিখি করেন, তারা সবাই মিলে এই সেক্টরের বিকাশের জন্য কাজ করতে পারি। আমার বিশ্বাস আমরা ব্লগাররা এক হয়ে কাজ করলে পরিবর্তন আসবে।

২০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি আমার লেভেল থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি, যাব। কিন্তু আমার সামর্থ্য লেখালেখি'র মাঝেই সীমাবদ্ধ। সম্প্রতি ভিন্ন কিছুও করার কথা ভাবছি, কিন্তু সামর্থ্য যেমন নাই, তেমনি সুযোগের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। খুব শীঘ্রই দেশের ভেতরের আরও বেশ কিছু ভ্রমণ পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে। ইচ্ছে আছে দেশের প্রতিটি জেলা নিয়ে লেখার, কিন্তু নিজে ভ্রমণ শেষে। দেখি, কতদূর কি করতে পারি।

স্বপ্ন দেখি সার্থক পর্যটন শিল্পে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের।

ধন্যবাদ ভ্রাতা, ভালো থাকুন সবসময়।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভ্রাতা আপনার উপর আমার সে বিশ্বাস আছে বলেই বলছি। লেখালিখির পাশে কিছু কাজও করা যেতে পারে। সীমাবদ্ধতা থাকবেই। এইজন্যই দরকার মিলিত প্রয়াস।

২১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫১

আবু শাকিল বলেছেন: ভ্রাতা এই নিয়ে আমার একটা ব্যাক্তিগত পরিকল্পনা আছে। সামুতে যারা ভ্রমণ বিষয়ক লেখালিখি করেন, তারা সবাই মিলে এই সেক্টরের বিকাশের জন্য কাজ করতে পারি। আমার বিশ্বাস আমরা ব্লগাররা এক হয়ে কাজ করলে পরিবর্তন আসবে।

সহমত এবং সাথেই আছি ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



তোরা যারা বিদেশ থাকিস তাদের দায়িত্ব এই ব্র্যান্ডিংটাকে এগিয়ে নেয়া।

২২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: দারুণ পোষ্ট। আপনার বক্তব্যের সাথে আমি একমত।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আন্তরিক ধন্যবাদ। এই বিষয়ে আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। পর্যটকদের ব্যপারে সচেতন হতে হবে।

২৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকান ও ইউরোপিয়ানরা কোথায়ও বেড়াতে যাওয়ার আগে, এ্যামবেসির 'ট্রাভেল এডভাইস' আছে কিনা দেখে; উহা দেখার পর, তারা মাধবকুন্ড ও বুড়িগংগার কথা জেনে যায়।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাই এই ধরণের পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকেই আসতে হয়।

২৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: একটা চকসেপ্ট যেটা আমেরিকা তে খুব জনপ্রিয় ভ্রমনপিয়াসীদের জন্য সেটা হল টাইম শেয়ার। টাইম শেয়ার হল কোন রিসোর্ট এরিয়ার বাড়ী প্রতি বছরে কয়েকদিনের জন্য কিনে নেওয়া। (ডেভেলপার রা শয়ে শয়ে টাইম শেয়ারের বাড়ী বানায়) আপনি বেড়াতে গেলে আপনার 'নিজের' বাড়ীতে থাকবেন আর পয়সার অভাব হলে টাইম শেয়ার বিক্রি করে দিবেন। বাড়ীর পার্ট ওনারশীপ বছরে ~ ১০ দিনের জন্য। আপনি কখন আসবেন সেই টাইম টা বছর খানিক আগেই ডেভেলপার রা স্ক্যাডুইল করে থাকে। আমাদের দেশে এই বিজনেস কেন চালু হচ্ছে না.....।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বাংলাদেশেও এই কনসেপ্টের প্রচলন শুরু হয়েছে। তবে সেটা খুবই সীমিত মাত্রায়।

২৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৬

কলাবাগান১ বলেছেন: কনসেপ্ট (চকসেপ্ট না)

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

২৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন ভ্রমন বিষয়ক লেখায় এমনিই ঈঙ্গিত দিয়েছিলাম।। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে দেশ কিন্তু পিছিয়ে নেই, আে প্রচার-প্রোপাগান্ডায়!! কেন যেখানে শ্রীলংকা বা মলদ্বীপের পর্যটকের চেয়ে আমাদের কম?? বিশেষ দিবসের বিশেষ ক্রোড়পত্রেও দেখি আমাদের গর্ব রয়েল বেঙ্গল টাইগার ভারতের!! কি রে আমাদের দূতাবাসগুলি বা সরকার??
কখনো দেখি না বৃহত্তম সী বিচ নিয়ে কোন জমকালো এ্যাড!!
শুধু ব্যাক্তিগত দেশ প্রেম দিয়ে কিছু হয় না, প্রয়োজন সমষ্ঠিগত।। সেটারই অভাব।।
আর বিমানবালাদের কথা নিয়ে বলতে েলে অনেক অ্প্রিয় কথা বলতে হয়।। কথায় বলে না মক্কার লোক হজ্জ পায় না।।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



প্রয়োজন সমষ্ঠিগত প্রচেষ্টা। দেশ প্রেমের চেয়েও বড় বিষয় নিজ বোধ।
বিমানবালা থেকে শুরু করে চাওয়ালা সবাইকে এই বিষয়ে যার যার অবস্থানে সচেতন হতে হবে। বুঝতে হবে পর্যটকদের মাধ্যমেই দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন ও বিশ্বে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা সম্ভব।

২৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব ,




আপনার প্রত্যাশা পূর্ণ হোক !
সব সমস্যা আর তার সমাধান লিখেছেন । কিন্তু এগুলো শোনার মানুষ কই ? যারা এগুলো শুনবেন বা বাস্তবায়ন করবেন তারা তো বড় হয়েছেন টাট্টি পায়খানায় বদনা নিয়ে পায়খানা করে করে। বড়জোর রট আয়রনের ফ্রেমে প্লাস্টিকের ফিতাওয়ালা চেয়ারে বসে এসেছেন সেই জন্মের পর থেকে । স্যান্ডাল -জুতো পায়ে ছিলো কিনা সন্দেহ আছে । এরা বড়ই হয়েছে দরিদ্র পরিবেশে । একাডেমিক শিক্ষায় সর্বোচ্চ হতে পারে কিন্তু মন ও মননে ঐ দরিদ্রই থেকে গেছে । এরা এখন না হয় অবৈধ কামাইয়ের জোরে ফাইভ-ষ্টার শব্দটি উচ্চারণ করতে শিখেছে । পরের বা নিজের পয়সায় হয়তো খানাপিনাও করে সেখানে । । আভিজাত্যের "আ"ও যারা জন্ম থেকে দেখেনি , তারা কি করে সৌন্দর্য্যকে বুঝবে ? পরিবেশ সংরক্ষন কি জিনিষ তারা কি বোঝে ? দূষিত পরিবেশে বড় হওয়া এই লোকগুলো দূষণহীন পরিবেশের মর্ম বোঝে কি ?
তাই ভয় হয় আপনার প্রত্যাশা খানি মাঠে মারা যায় কিনা ! বলবেন , আমি নৈরাশ্যবাদী । কিন্তু আশার কোনও লক্ষন কি আমাকে কেউ দেখাতে পারবেন ???????? যদি পারতেন তবে হাযারো হাহাকারে এই দেশটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়তো না ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



এইসব হত দরিদ্র মানুষের কথা ভেবেই সরকারকেই পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে। মালদ্বীপের অবস্থাটা আমাদের চেয়ে খুব কি ভাল ছিলো কিন্তু তারা সেটা অতিক্রম করার চেষ্টা নিয়ে এগিয়ে গেছে। এইসব দূষণ, শিক্ষার অভাব ও দারিদ্রতা শুধুই পিছিয়ে থাকার অযুহাত। স্বদিচ্ছা ও সঠিক পরিকল্পনাই যথেষ্ট। কিন্তু সমস্যা বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে ?

২৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

আবু শাকিল বলেছেন: বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে বিদেশে অবস্থিত সকল বাংলাদেশ এম্বাসি গুলা প্রতি বছর পর্যটন মেলার আয়োজন করতে পারে কিন্তু তারা তা করে না।
ইন্ডিয়া ,নেপাল ,মালদ্বীপ কে করতে দেখেছি ।
আমরা পেটের ধান্ধায় থাকি ।এতদূর যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।
ইয়ে মানে দাদা আমি দেশেই আছি :) পারমানেন্ট

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



তারা তা করে না বলেই দেশের সব সম্ভাবনাময় সেক্টর মুখ থুবড়ে আছে। দেশের চিন্তার চেয়ে গদি রক্ষায় স্বার্থ বিকিয়ে চলাই এখন রাজনীতি। রাজ্য নিয়ে নীতি এখন আর হয় কই ? মুখে মুখে উন্নয়নের আশ্বাস থাকলেও আসলে সবই শুভঙ্করের ফাঁকি।

তুই যে দেশে সেটা জানা ছিলো না। X(

২৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: দুর্দান্ত একটি পোস্ট। বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ালে পার্থক্যটা বুঝা যায়। পাতায়া বিচের এত নাম শুনেছি, কিন্তু সাইজ দেখে পুরা হতাস হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের এত বড় বিচ দেখে অভ্যাস। কিন্তু পার্থক্য হল, পাতায়া বিচে ডাবের খোসা নেই।

বাংলাদেশের কোনো টুরিস্ট স্পটেরই কোনো যত্ন নেই। আর অইযে আপনি বললেন ব্র্যান্ডিং ও প্রাচরনা চালানোর কথা, সেটিত একেবারেই নেই। যত্ন আর প্রচারের মাধ্যমে আমরাও এই শিল্পে অনেক ভালো করতে পারতাম।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপা এই "পারতাম" শব্দটাই বুকে হাহাকার জাগায়। পারতাম শব্দটা বদলে গিয়ে কবে পেরেছি হবে সেই প্রত্যাশায় বেঁচে আছি।

পুরো দেশটা আমরা ময়লার ভাগাড় বানিয়ে ফেলছি। যত্রতত্র মূত্র বিসর্জন, বর্জ্য ফেলে রাখা, চলতি পথে চিপ্সের প্যাকেট, প্লাস্টিকের কাপ কিংবা সিগারেটের টুকরাতো আমরাই ফেলে রাখি।

৩০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাংলাদেশ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে হতে পারে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। আমাদের নিজেদের দেশের স্বার্থেই আমাদের চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন আনতে হবে।

সহমত !
ব্লগিং যদি দেশের কোন উপকারে আসে , তা এ ধরণের পোস্টের কল্যাণে ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




নিরাশার বানী হলো যদি কারও প্রশংসা করে কোন কবিতা লিখতাম তাহলেই কেবল টনক নড়তো। এখানেতো গজল গাওয়া হয়েছে ক্ষুদ ধরে তাই কাজ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ;)

৩১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব ,




আমি এইসব হত দরিদ্র মানুষের কথা বলিনি । বলেছি সরকারের পরিকল্পনাবিদদের কে । যে বিড়ালের কথা বলেছেন সেই বিড়ালদের জন্মগত দারিদ্রকে ইঙ্গিত করেছি , তাদের চরিত্রকে বুঝিয়েছি ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




দুঃখিত ভাইয়া আমি বুঝতে পারিনি। তাহলেতো তাদের দরিদ্র বলে দারিদ্রতাকে ছোট করা হয়ে গেলো। এরা চতুষ্পদ প্রজাতির কিছু একটা হতে পারে। নতুবা এমন চরিত্র হয় কেমনে !!

৩২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


অনেক গুছানো লেখা। পরিকল্পনা ও সদিচ্ছার অভাব... হুম!

এবছরকে পর্যবছন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনাও অনেক।
আগেও এমন হয়েছিল। প্রতিবারই শুধু বাস্তবায়নটুকু বাকি থাকে :(

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভাল থাকুন সব সময়।

৩৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: আমি যদি শেখের বংশের কেউ হইতাম, আপনারে পর্যটন মন্ত্রী ঘোষনা করতাম। কাল আমার ছাত্র কইতাছে স্যার নিঝুম দ্বীপে যাইয়েন না, ডাকাতরা ধরে নিয়ে যায়।

এসব সমাধান বাংলাদেশে হবে?!

১। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দুর্নীতি।
২। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অরক্ষিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩। অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও সড়ক দুর্ঘটনা।
৪। বিদেশী হত্যাকান্ড ও জঙ্গি তৎপরাতা বিষয়ক প্রোপাগান্ডা।
৫। অনুন্নত হোটেল ও মোটেল ব্যবস্থাপনা এবং অপর্যাপ্ত বিনোদন ব্যবস্থা।
৫। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা।
৬। নানাবিধ সামাজিক অপরাধের কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়া।
৭। বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা জনিত সমস্যা।
৮। কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, কুয়াকাটা, সুন্দরবনের সমুদ্রসৈকত, রাঙ্গামাটির সুভলং ঝরনা এবং বান্দরবানের শৈলপ্রপাত ও বগা লেক তথা সর্বত্র পরিবেশ দূষণ।
৯। কক্সবাজার ও কুয়াকাটার মতো স্থানে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোকে এপার্টমেন্ট ব্যবসার অনুমোদন দেয়া।
১০। রাজনৈতিক অস্থিরতা।

৩৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২০

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট।


++++

৩৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ এবং বহুমুখী চিন্তাভাবনা প্রসুত পোস্ট। ++
সত্যি! এত প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ স্থানটি অথচ বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে অবহেলিত।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.