নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যাবৃত পিরামিড আর মায়ানমারের প্যাগোডা অঘোরে অনুরূপ

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫২




আজব! এই দুনিয়া, আজব! এই দুনিয়ার মানুষ; মানুষের মাঝে শুধুই বিরাজ করে ভেদাভেদ।

ভেদাভেদ ধর্ম নিয়েও- ধর্মীয় রীতিনীতি, প্রার্থনাগত নিয়ম-শৃঙ্খলা সবকিছুতেই ভিন্নতা। কিন্তু ভেবে দেখার বিষয় হলো- এইযে এত ভেদাভেদ; অথচ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোর মাঝে গঠনশৈলীগত মিল বিন্যাস বিদ্যমান। পিরামিড কত সহস্রাব্দীর স্থাপত্য শৈলী! পিরামিড নিয়ে রহস্য, জল্পনা-কল্পনা কোনকিছুরই কমতি নেই। অথচ ত্রিভুজাকৃতির এই পিরামিডের সাথে মিল রয়েছে গীর্জা, মন্দির, প্যাগোডা, মসজিদের কাঠামোগত নির্মাণশৈলীর। কোনটা হয়ত গম্বুজ আকৃতির কিন্তু হলেও সেগুলো শীর্ষ থেকে ভূমি পর্যন্ত ত্রিভুজাকারেই বিন্যস্ত। খুব সম্ভবত, পৃথিবীর আদি স্থাপত্যগুলোর মধ্যে পিরামিড সবচেয়ে আদিমতম স্থাপত্য নিদর্শন। এরও বহু পরে নির্মিত হয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়। অর্থাৎ মতের অমিল থাকলেও মানুষ তার পবিত্র স্থানগুলোকে ভিন্ন নামে ডাকলেও আকার-আকৃতিতে পার্থক্য করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। এই যেমন- পারেনি HEAVEN or HELL ধারনাতে খুব একটা ভিন্নতা প্রকাশ করতে!

মিশরের আদিমতম সভ্যতার পুরাকীর্তি পিরামিড নির্মাণের বহু বছর পর গৌতম বুদ্ধের আগমন এবং তারও অনেক পরে নির্মিত হয়েছে প্যাগোডা। বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৩ অথবা ৪৮০ অব্দে আর পিরামিডের ইতিহাস খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫০০০ বছর আগের। এশিয়ার মধ্যে এক মায়ানমারেই রয়েছে হাজারটা প্যাগোডা! আর এইসব প্যাগোডাগুলোর নির্মাণশৈলীর সাথে মিল রয়েছে পিরামিডের নির্মাণশৈলীর। অথচ মায়ানমারের প্যাগোডাগুলোর নির্মাণ ইতিহাস কিন্তু খুব একটা বেশী পুরাতন নয়! তারপরেও মিল থাকার কারণ কী? নিশ্চয় অনুকরণ বা অনুসরণ নয়! কারণ মানুষ আসলেই তার পবিত্র স্থান এবং অস্তিত্বের স্বরূপে আমূল পরিবর্তন আনতে ইচ্ছা পোষণ করেনি। আধুনিক স্কলারদের পক্ষে আদিম স্থাপত্যশৈলীর ব্যতিক্রম কিছু নির্মাণ না করার কারণ অনুধাবনে অপারগতা থাকলেও যুগে যুগে পুরো পৃথিবী জুড়েই নির্মিত হয়ে আসছে প্রায় একই পিরামিড আকৃতির নির্মাণশৈলী।

মায়ানমারের প্রায় অধিকাংশ বুদ্ধ মন্দির-প্যাগোডা স্থাপিত রয়েছে পাগান বা বাগান রাজ্যে। পাগানে নির্মিত হয়েছিলো প্রায় দশ হাজার পিরামিড আকৃতির মন্দির-প্যাগোডা। কিন্তু দুঃখজনক হলো এগুলোর মধ্যে প্রায় অর্ধেক এখন পর্যন্ত টিকে আছে।

শ্বেসান্ডা প্যাগোডা



রাজা আনাওরাহতা মিনসো ১০৫৭ সালে এটি নির্মাণ করেছিলেন। এটির নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে টেরাকোটা। গম্বুজ থেকে ভূমি পর্যন্ত পিরামিডের মত ধাপে ধাপে এর বিন্যাস।

দহ্ম্মায়ণ গাই মন্দির



পাগানের সবচেয়ে বৃহৎ মন্দির যা নির্মিত হয় ১১৬৭-১১৭০ সালের রাজা নরথুর সময়কালে। কিন্তু রাজার মৃত্যুর পর অজ্ঞাত কারণে এর নির্মাণ বন্ধ হয়ে যায়। মন্দিরটির একটি বিশেষ অংশ ইট দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।



ঠিক যেমনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল মিশরের বিখ্যাত খুফুর পিরামিডের একটি বিশেষ অংশ এবং সেটির কারণও অজ্ঞাত রয়েছে আজ অবধি।

বুলেঠি মন্দির



শ্বেসান্ডা প্যাগোডার মতই এটির নির্মাণশৈলী। কিন্তু এখানে রয়েছে মিশরীয় পুরাকীর্তির অবিকল এক পুরাকীর্তি দুটি সিংহের পশ্চাদ্দেশ লাগিয়ে বিপরীত মুখো হয়ে বসে থাকার মূর্তি।



সুলামণি মন্দির



১১৮৩ সালে নরপতিশীথু এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। এর নির্মাণশৈলীতে রয়েছে ট্রিপটিচ (পাশাপাশি আটকান তিন তক্তার উপর অংকিত ছবি)অর্থাৎ একসারিতে তিনটি দরজা যা অনেক মসজিদ কিংবা গীর্জাতেও দেখা যায় কিংবা দরজা না হলেও উপাসনালয়গুলোর দেয়ালে কিংবা গীর্জায় যেখানে যীশুর মূর্তি স্থাপিত হয় সেখানে এমন ট্রিপটিচ আকারে খোদাই করে ফাঁকা স্থান রাখা হয়।



বাইয়েন নিউউ

প্রায় ১২০০ সালে রাজা আলাউংশীথুর রাজত্বের সময়কালে এটি নির্মিত হয় যার বিন্যাস কৌশলে রয়েছে পিরামিডের বিন্যাসগত মিল। এখানেও রয়েছে ট্রিপটিচগত মিল।

গাওডাও পালিন



পাগানে এটি হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহৎতম মন্দির যার নির্মাণ শুরু হয়েছিল রাজা নরপতিশীথুর সময়কালে এবং ১২২৭ সালে রাজা হিটলোমিনলোর সময়কালে শেষ হয়। এর নির্মাণ শৈলীতেও বাইয়েন নিউউর মতই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে।

আনন্দ মন্দির



গুরুত্বের দিক দিয়ে পাগানে সবচেয়ে বেশী পবিত্র মনে করা হয় আনন্দ মন্দিরকে যা নির্মিত হয়েছিল ১১০৫ সালে রাজা কায়ানযিত্থার সময়কালে।

যদিও, ১৯৭৫ সালের ভূমিকম্পে এইসকল মন্দির-প্যাগোডার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল; পরবর্তীতে এগুলোর হারানো ঐতিহ্য পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বেশ সমৃদ্ধ আলোচনা!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩০

শের শায়রী বলেছেন: মুগ্ধতা ভ্রাতা। আশা রাখি সামনেও এভাবে পোষ্ট দিয়ে সৌরভ ছড়ায়ে যাবে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাই দোয়া করবেন। আমিও আপনার জন্য দোয়া করি প্রাণ থেকে।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৫

নতুন বলেছেন: পড়ার আগে ধন্যবাদ টা দিয়ে নেই :)

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



শুধু ধন্যবাদ দিলেন ভ্রাতা কিছু খেতে টেতে দিবেন না?

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৪

নতুন বলেছেন: পিরামিড আকৃতিটা পুরানো দিনে বেশি ব্যবহৃত হতো কারন তখন আধুনিক যন্ত্রপাতি ছিলো না তাই ছাদ তৌরি কস্টকর ছিলো।

পিরামিড আকৃতির স্থাপনা বানানো সহজ ছাদ তৌরির চেয়ে,

আর যদিও রাজারাই টাকা পয়সা দিতেন এই গুলি বানাতে কিন্তু রাজমিস্ত্রীরাই বানাতো, এবং আগেকার দিনের রাজমিস্ত্রীদের কাছ থেকে তাদের শিষ্যরাই শিখে পরে তারাই বড় স্থাপনা তৌরির জ্ঞান বয়ে নিয়ে এসেছে।

আর ঐ সময়ে অবশ্যই সবাই এমন স্থাপনা বানাতে পারতো না। অবশ্যই অল্পকিছু রাজমিস্ত্রী থাকতো একটা দেশে এমন স্থাপনা বানানোর মতন দক্ষতা সম্পন।


আপনার জন্য পিরামিড আকৃতির চুরোস .....



২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনার কথায় যুক্তি আছে, তবে এমন স্থাপনার পেছনে কিছু সিম্বলিক ফ্যাক্টর বা পবিত্র ধারনা জ্ঞান পোষণ করা হয়। যেমন- কোন মসজিদ এমন দেখবেন না সেটা আদিম হোক অথবা আধুনিক যার গম্বুজ তৈরী করা হয়না। কিংবা এমন কোন গীর্জা কিংবা মন্দির দেখবেন না যেখানে ট্রিপটিচ থাকেনা হোক সেটা আদিম অথবা আধুনিক। কিছু মসজিদেও ট্রিপটিচ রাখা হয়।

এগুলোর প্রতিটির অর্থ রয়েছে নিজস্ব সেসব নিয়ে অন্যকোন পোস্টে আলোচনা করা যাবে কোন একসময়।

আপাতত আপনার পিরামিড আকৃতির চুরোস দেখে মুগ্ধ।

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিশাল ব্যাপার। মন দিয়ে পড়তে হবে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইছে।

৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫৪

নতুন বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে, তবে এমন স্থাপনার পেছনে কিছু সিম্বলিক ফ্যাক্টর বা পবিত্র ধারনা জ্ঞান পোষণ করা হয়। যেমন- কোন মসজিদ এমন দেখবেন না সেটা আদিম হোক অথবা আধুনিক যার গম্বুজ তৈরী করা হয়না। কিংবা এমন কোন গীর্জা কিংবা মন্দির দেখবেন না যেখানে ট্রিপটিচ থাকেনা হোক সেটা আদিম অথবা আধুনিক। কিছু মসজিদেও ট্রিপটিচ রাখা হয়।

আমাদের দেশে গাড়ী ডানে স্টিয়ারিং এবং আমেরিকায় বায়ে? এটা কিন্তু ইচ্ছা করেই করেছে, সারা দুনিয়ার সব গাড়ী এক রকমের হলে কোন সমস্যাই ছিলো না।

তেমনি ধমের কিছু সিম্বল ইচ্ছা করেই অনেকে ব্যবহার করেনা। অনেক ধমে খোফ বড় রাখে দাড়ি ছোট রাখে, অনেকে দাড়ী বড় রাখবে কিন্তু গোফ ছোট রাখবে।

ধমের গুরুর নিদেশনাতেই এই পাথ`ক্য সৃস্টির বিষয়টা শুুরু হয়।

এখন যত মসজিদই বানাবে তা চাচ`,মন্দির,প‌্যাগডার ব্যসিক কাঠামোর মতন কিছু ব্যবহার করবেনা। ধমের অনুসারীরাই হাজার বছর পরেও এই পাথ`ক্য অনুসরন করবে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভ্রাতা স্টিয়ারিং ডানে হোক আর বামে কিংবা গাড়ীতে চাকা চারটা থাকুক অথবা ছয়টা কিন্তু গাড়ীর ব্যাসিক গঠনের পার্থক্য কিন্তু আজ অবধি চেঞ্জ হয়নি। ঠিক তেমনি চেঞ্জ হয়নি প্লেনের ব্যাসিক গঠনের; আধুনিক থেকে আধুনিকতম হয়েছে কেবলই চালনা শক্তি।

অনেক ধর্মে দেখবেন চুল, গোঁফ, দাড়ী কিছুই রাখা হয়না। কিন্তু যে ধর্মেই দেখেন না কেন এগুলোর উপর বিশেষ পরিচর্যা করা হয়ে থাকেই।

এখানে মূল বিষয়টা হলো মানুষ এমন এক প্রজাতি; যারা ভালবাসা বলতে হার্ট শেপ একটা লাল রঙের চিহ্নকেই জ্ঞান করবে কিন্তু হার্ট যে শুধুই রক্তের পরিচালনায় সাহায্য ছাড়া কিছুই করেনা; যা আবেগ সবটাই ব্রেণের ক্রিয়ার কারণেই আসে সেই ভালবাসার প্রকাশে ব্রেণের ছবি ব্যবহার করবেনা। হার্টে ব্লক ধরা পড়লে গর্ব করে বলে বেড়াবে কিন্তু পাগল হয়ে সুস্থ হলে বলতে লজ্জা বোধ করবে যে সে একদা পাগল ছিল।

মানুষ ভেদাভেদ করবে কিন্তু অস্তিত্বের বেলায় তালগাছ তার। এখন তালগাছে তাল ধরুক আর তাল পড়ে সাপের মাথা ছ্যাচুক না কেন কোন ব্যাপার না।

৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫১

সুপারডুপার বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট +++। পোস্টে অনেক ভালোলাগা।

উপাসনালয়গুলোর মাঝে গঠনশৈলীগত মিল -অমিলের মত; সমাজ, সংস্কৃতি ও ধর্ম ভেদে মাথার টুপির মধ্যেও মিল -অমিল চোখে পরে। ডিটেইল উইকি : List of headgear , Topi, Kippah

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ লিংকগুলো সময় করে দেখে নেয়া যাবে।

৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: এইসব রহস্য নিজের চোখে দেখতে হবে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সহমত।

১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পোষ্ট পড়ে বুঝাই যায় আপনি শুধু ব্লগিং করেন না, লেখাপড়াও করেন। আমার লেখাপড়া ভালো না লাগলেও এই মন্দিরগুলো দেখতে, ছবি তুলতে ই্চ্ছে করছে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




সুন্দর করে ছবি তুলতেওবা কয় জনে পারে। তাহলে ঘুরতে ঘুরতে মায়ানমার চলে যান, যাওয়ার আগে অবশ্যই রোহিঙ্গাদেরকেও সাথে নিতে ভুলবেন না যেন আবার!!

১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রাচীন সবকিছুই আমাকে খুব টানে। যতোই দেখি, ততোই আশ্চর্য হই। কিভাবে সেসময়ের লোকেরা কোনরকমের আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াই এসব অনিন্দ্যসুন্দর স্থাপনা তৈরী করতো!

পোষ্টটা চমৎকার লাগলো।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমাকেও খুব খুব করে টানে এইসব বিষয়। মাঝে মাঝে মনে হয় কেন যে প্রত্নতাত্ত্বিক হোলাম না? জীবনে কিছুই হতে পারলাম না!

শুভেচ্ছা জানবেন।

১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব,




"ভেদাভেদ ধর্ম নিয়েও- ধর্মীয় রীতিনীতি, প্রার্থনাগত নিয়ম-শৃঙ্খলা সবকিছুতেই ভিন্নতা। কিন্তু ভেবে দেখার বিষয় হলো- এইযে এত ভেদাভেদ; অথচ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোর মাঝে গঠনশৈলীগত মিল বিন্যাস বিদ্যমান........... ত্রিভুজাকৃতির এই পিরামিডের সাথে মিল রয়েছে গীর্জা, মন্দির, প্যাগোডা, মসজিদের কাঠামোগত নির্মাণশৈলীর। কোনটা হয়ত গম্বুজ আকৃতির কিন্তু হলেও সেগুলো শীর্ষ থেকে ভূমি পর্যন্ত ত্রিভুজাকারেই বিন্যস্ত।"
আপনার এমন কথার সাথে আমার ভাবনারাও হবহু মিলে গেছে। ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদ, মারামারি, কাটাকাটি যতোই থাকুক তাদের
এই একটি ব্যাপারে মিল আছে।
মুসলিমরা শুক্রবারে বিশেষ প্রার্থনা করে তো খৃষ্টানরা করে রবিবারে। ইহুদিরা এই দুইদিন বাদ দিয়ে বিশেষ প্রার্থনার দিন বেছে নিয়েছে শনিবারে। অমিল। ভাবখানা এই যে, তোমরা ঐদিন বিশেষ প্রার্থনা করছো? তোমাদের ঐদিনের নিকুচি করি! আমরা ঐদিন করবোনা, করবো আর একদিন। অথচ ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোর গঠনে কিন্তু অদ্ভুত মিল।
এর বাইরেও আমার কিছু হাইপোথিসিস আছে। উদ্ভট লাগলেও চিন্তার খোরাক আছে । যেমন এই সব উপাসনালয়গুলোর উপরিভাগ সুঁচালো। কেন ? মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা সবটারই শীর্ষ সুঁচালো এবং প্রত্যেকটির শীর্ষদেশে একটি দন্ড আকাশ মুখি। এ্যান্টেনা !!!!!!!!!!!! মহাবিশ্বের কারো সাথে যোগাযোগের সিম্বল????? আরও আছে, ক্যাঁচাল লাগতে পারে আশংকায় বাদ দিলুম।

ভালো লেগেছে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাইয়া মন্তব্যে সুপার লাইক দিলাম। আমার আর আপনার ভাবনাগত হুবাহু মিল রয়েছে। আমিও ক্যাচালের আশংকায় অনেক কিছুই না বলে হালকার উপর ঝাপসা চালিয়ে দিয়েছি।

ভালবাসা নিরন্তর।

১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

জুন বলেছেন: বাগান নিয়ে আমার সামুতে একটা দুই পর্বের পোস্ট আছে কান্ডারী।
ফোন থেকে লিংক দিতে পারি না :(
কাল ল্যাপটপ থেকে দিবো। ডরাইও না /:) ছোট পোস্ট :`>

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপনার পোস্ট যদি ম্যারাথন পোস্টও হয় আমি লাগলে খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়ে পড়ব, লাইক দিব, কমেন্ট করব, প্রিয়তে নিব। আপা আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

১৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: শুধু বার্মার প্যাগোডা নহে , কম্বোডিয়া, ভারত, আজটেক সভ্যতার অনেক নির্মাণশৈলীর সাথেই মিসরের পিরামিডের মিল পাইবেন ! কারণ সিভিল স্ট্রাকচার এর বেসিকের পরিবর্তন খুব দ্রুত হয় নাই ! অনেক সময় লাগিয়াছে। মানুষের অর্জিত জ্ঞানের বিবর্তনের ধারা মধ্যযুগ হইতে খুব দ্রুত আগাইয়াছে ! ইহার আগে পর্যন্ত ধীরই ছিল !

সুন্দর পোস্ট ! ধন্যবাদ !

১৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০

আশিক মাসুম বলেছেন: ফেবুতে আপনি কই? পাইনা কেন ?

১৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: সুন্দর ও তথ্যবহুল পোষ্ট।

১৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৯

জুন বলেছেন: কান্ডারী তোমার উল্লেখিত মায়ানমারের বাগানের প্রতিটি মঠেই আমি গিয়েছি কিন্ত মিশরীয় স্থাপত্যে ব্যবহৃত কোন চিনহ আমি বাগানের মঠে খেয়াল করি নি । হয়তো বিষয়টি আমার জানা ছিল না বলেই । মিশর ও আমি আগা মাথা দেখেছি । আগে এই পোষ্ট দিলে আমি খেয়াল করে দেখতাম ।
যাই হোক বাগান পোষ্টের লিংক দিলাম । দেখো নতুন কিছু পাও কি না ?
বাগান --- মায়ানমারের এক অসাধারন দৃষ্টিনন্দন পুরাতাত্বিক শহরে দুটো দিন (১ম পর্ব)
দুটো পর্বই পড়ে দেখো কিন্ত ।

১৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
অনেক দিন পর আপনার পোষ্ট পেলাম।

পোস্টে মুগ্ধতা!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.