নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যাবৃত মিশরীয় সিংহ দেবতার গূঢ় অর্থ

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫




প্রাচীন মিশরীয় একটি চিত্রলিপিতে দেখতে পাওয়া যায়; দুটি সিংহ পরস্পর বিপরীত মুখো হয়ে বসে আছে এবং তাদের মাঝে একটি সূর্য গোলকের অবস্থান। এই সিংহদুটিকে বলা হয়ে থাকে সিংহ দেবতা। এই সিংহ দুটির- একটির নাম গতকাল এবং অপরটির নাম আগামীকাল। মাঝের সূর্য গোলকটিকে উচ্চতর শক্তির আধার হিসাবে মানা হয়ে থাকে। বস্তুত সিংহ দেবতার এই চিত্রলিপিটি শাশ্বত বর্তমানকেই প্রকাশ করে থাকে। অথচ পরবর্তীতে এই চিত্রলিপিটি গুপ্তদর্শন চর্চায় এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করে।

তথাকথিত সিংহ দেবতার অন্যতম রহস্যময় এবং জনপ্রিয় এই চিত্রলিপিটিতে নাকি বামের পশ্চিম দিকে মুখ করে বসে থাকা সিংহটি গতকাল এবং ডানের পূর্ব দিকে মুখ করে বসে থাকা সিংহটি আগামীকাল প্রকাশ করে। এর পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা এখানেই শেষ। যদিও এর কোন সঠিক ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি; তথাপি কোন আধিবিদ্যক, আধ্যাত্মিক অথবা গুপ্তজ্ঞানের কোন কিছুই এতে প্রদান করা হয়নি।


১৯৫১ সালে ডি লুবিজ তাঁর সিম্বোল এন্ড দ্যা সিম্বোলিক বইতে চিত্রলিপিটি সম্পর্কে একটি সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। লুবিজের মতে- সূর্য গোলকটি সিংহ দুটির মাঝে পুরোপুরিভাবে সমান ভারসাম্য বজায় রেখেছে, যা সময়ের বাইরে শাশ্বত বর্তমান মুহূর্তকেই প্রকাশ করছে। সূর্য গোলকটি নিজেই গতকাল এবং আগামীকালের মাঝে এক আত্মিক বন্ধনের ভারসাম্য প্রতীক হিসাবে নিজেকে প্রকাশ করছে এবং পুরোপুরি কেন্দ্রীয়ভাবেই এর অবস্থান। সময় বিগত হবে, আগামীর জন্য অতীতের নিরিখে নব প্রত্যয়ে, নব উদ্যমে, নব শক্তি নিয়ে আজকের বেঁচে থাকা; এটাই শাশ্বত সত্য। আর এই বাস্তবতাকেই নিছক এই চিত্রলিপিটিতে তুলে ধরা হয়েছে। গুপ্ত মতবাদের কোন কিছুই এতে প্রকাশিত হয়নি।


বর্তমানে গুপ্তদর্শন চর্চায় যদিও এর প্রচার লক্ষণীয় কিন্তু প্রাচীন অদ্বৈত আধ্যাত্মিক শিক্ষাদানে এর বহুল ব্যবহার ছিল। প্রাচীন অদ্বৈত বেদন্ত, বৌদ্ধধর্ম, জৈন, তাওবাদ, সুফিবাদেও এর চর্চা ছিল বলে লক্ষ্য করা গেছে। প্রায় সকল প্রাচীন ধর্ম, আধ্যাত্মিক পদ্ধতি এবং দর্শন চর্চায় এর অর্থবোধক ব্যবহার রয়েছে।

বস্তুত, বর্তমানের চেয়ে বৃহত্তর শক্তিশালী আর কিছুই নেই। আমাদের অবশ্যই অতীত অথবা ভবিষ্যতের কথা ভাবা উচিৎ নয়; কারণ এই দুটির কোনটিরই অস্তিত্ব বর্তমানে নেই। বর্তমানকেই প্রাধান্য দিতে হবে এবং বর্তমান নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে। আজ যা কিছু আছে তাই সব এবং এগুলোই সব সময় থাকবে। বর্তমান সময়কালই অনন্তের এবং বর্তমান মুহূর্তটি একটি বিভ্রমের জগতের শাশ্বত বাস্তবতা; বর্তমানে আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি।



মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

"দুনিয়াটা মস্ত বড়ো,
খাও দাও ফুর্তি করো,
আগামীকাল বাঁচবে কিনা বলতে পারো?"


বর্তমানটাই সবচাইতে শক্তিশালী - চিত্রলিপির ব্যাখ্যায় এই বক্তব্যটা সুন্দরভাবেই তুলে ধরেছেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ইয়াহু !!

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমার্ বান্ধবী বহ বছর আগে এই শ্লোকটা বলেছিল তাদের ভাষায়
অতীততো গোয়ালী দংবো
বর্তমানকো রিমমি দংবো!
:)
অতীতকে ভূলে যাও বর্তমানকে আকড়ে ধরো!

প্রতীকের ব্যাখ্যাকারীর জ্ঞান এবং অবস্থানের উপরও ব্যাখ্যার যর্থার্থতা নির্ভর করে।
বস্তুবাদী জ্ঞানের যা দাড়াবে ভাববাদী জ্ঞান ভিন্ন হবেই।
বস্তুবাদী জ্ঞানে মানুব দেহ যখন কেবলই স্থুল দেহমাত্র, ভাববাদে তা বিশ্বব্রহ্মান্ডের প্রতীকি রুপ বহন করে ;)

পুরা ৩ বছর পর ফিরলেন ভায়া :)

অনেক অনেক ভাল লাগলো আপনাকে ফিরে পেয়ে।
আশাকরি আবার শীতনিদ্রায় যাবেন না শীঘ্রই ;) হা হা হা

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




এটা কোন ভাষা ভাই?

আধুনিক যুগে বিজ্ঞান এই দেহকে রোবটে রূপদান করতেই বেশী সচেষ্ট; এই ধরেন যেমন- সোফিয়া রোবট, কী সুন্দর না দেখতে!

কত ঘাত-প্রতিঘাত, কত পোড় খাওয়া সেসব শুধুই দীর্ঘশ্বাস...

আপনি আছেন দেখে খুব ভাল লাগছে। ভালবাসা নিরন্তর।

এখনত শীতই চলছে ভাই তবে বসন্ত নিদ্রায় গেলেও যেতে পারি।

একদিন দেখা করে আড্ডা দেবার ইচ্ছাটা কিন্তু আজও পূরণ হয়নি?





৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১০

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ !
চমৎকার।
পোষ্ট টি ভালো লাগলো।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আন্তরিক ধন্যবাদ ভ্রাতা। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নিরন্তর।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটা শেরপুর অঞ্চলের উপজাতীয়দের কথ্য ভাষা।

হা হা হা সোফিয়া সুনদরই বটে। মাঝৈ মাঝৈ শংকা জাগে অদূর ভবিষ্যতে নারীরা না কবে আন্দোলন শুরু করে!
রোবো নারীদের বিরুদ্ধে ;) ডল সংষ্কৃতির ধাক্কায় :P

ঘাত-প্রতিঘাত তো নিত্যতা। কে কবে এড়াতে পেরেছে তা।
হয়তোবা মাত্রায় কেবল কিছু ভিন্নতা :)

হুম। ব্লগ ডেতে এলেও স্বাদ কিছূটা মিটতো।
ইচ্ছের কাছে নাকি সবই পরাজিত। তবে আমাদের আড্ডার স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকবে কেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



তারমানে গারোদের কথ্য ভাষা এইটা ?

উল্টো দেখবেন নারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ডল সংস্কৃতির রোবো নারীরাই!

হুম !! মাত্রা কখনও কখনও বেশী ছাড়িয়ে গেলেই বিপদ!

তথাস্তু !! অপেক্ষায় রইলাম।


৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: শেষের দিকে এসে হঠাৎ করে শেষ হয়ে গেল। কেন জানি মনে হচ্ছিল আরো গুঢ় কোন কিছু পাব। সম্পূর্ন নতুন একটি বিষয়।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধার করা ডাটা নিয়ে এইযে লিখেছি এইটাই শুকরিয়া করেন তাছাড়া বয়স হইছে আগের মতন আর এনার্জি পাইনা।

সাথে থেকে উৎসাহ দেবার জন্য ভাই হয়ে ভাইকে ধন্যবাদ দেয়া নিষ্প্রয়োজন। তবে ভালবাসা নিরন্তর।

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৯

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।খুব ভালো লেগেছে।
শুভকামনা জানবেন।
শুভসকাল।

৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বর্তমানই সব। সুন্দর একটা বর্তমান থেকে হয় সোনালী অতীত আর সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ । সো দুই সিংহ বর্তমানের প্রতিদানে।

৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আসলে ডি লুবিজ বেটা ভুল বলিয়াছে !! প্রথম চিত্রে দেখা যাইতেছে একটা সিংহ ছোট, উহার কেশরও ছোট ! ঐটা সিংহী হইবেক ! উহারা জামাই-বউ ক্যাচাল করিয়া পন করিয়াছে একে -অপরের মুখ দেখিবে না ! তাই পশ্চাৎদেশ দেখাইতেছে ! :P

শেষ ছবিতে দেখা যাইতেছে দুই সিংহ একখানা চাবি পাহারা দিতেছে ! ইহা ফারাওয়ের ধনভাণ্ডারের চাবি ! কেহ যেন টং ক্রুজ হইয়া চুরি না করিতে পারে তাই কোন ইলেক্ট্রনিক সিস্টেম না লাগাইয়া জঙ্গলের সিস্টেম ইনস্টল করা হইয়াছে !! :D

এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের জইন্য টারজান কি পুরস্কার পাইবেক তাহাই ভাবিতেছি !!! ;)

৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ইয়া আল্লাহ!!! কি চোখে কি ভুল দেখছি নাকি!!!

১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭

কনফুসিয়াস বলেছেন: নতুন বিষয়ে জানলাম। মিশরীয় গুপ্ত বিষয়ে জানার প্রবল ইচ্ছে। পোষ্টে প্লাস।

১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আশিক মাসুম বলেছেন: ভাই এটাকি সত্যি আপনি ?

১২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

হিজ মাস্টার ভয়েস বলেছেন: দোস্ত তুই লিখতে শুরু করলি, এটাই সবচেয়ে আনন্দ'র সংবাদ। জোড় সে চলুক টাইপ রাইটার।

১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: ব্লগে অনেক দিন পরে আবার আপনাকে দেখলাম ! পুরানো মানুষদের পোস্ট দেখলে ভাল লাগে ।

বর্ষ পূর্তির শুভেচ্ছা রইলো ইভান ভাই ।

১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: তিনটা ছবিই কি ভিন্ন শিল্পীর আকা?

১৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪০

সোহানী বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ইয়া আল্লাহ!!! কি চোখে কি ভুল দেখছি নাকি!!!

অমিতো মনে হয় স্বপ্নে দেখছি তোমারে দেখে...... । তোমার লেখা না পড়েই আগে মন্তব্য করছি। অনেক কিছুই শুনেছি তোমাকে নিয়ে, জানি না কতটুকু সত্য মিথ্যা। থাকো আমাদের মাঝে সবসময়ই.........

১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: শেষ মন্তব্য ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩২


তারপরে কোথায়? ফিরে আসুন ব্লগে

১৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: কোথায় গেলেন কান্ডারি?

চলে আসুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.