নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে এসো বন্ধু হতে

যে কোনো মহৎ সৃষ্টির পেছনেই থাকে একটি তীব্র অসহায়বোধ। আর যাঁরা প্রতিভার অধিকারে এই প্রবাহকে বাস্তব অবস্থানের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে ‘তারা-ই জয়ী’। আর সেজন্যই তাঁর তৈরি যে কোনো সৃষ্টিই কালোত্তীর্ন। আমার তৈরি সৃষ্টির মধ্যে আমি এটাই খুঁজি।

সুব্রত সামন্ত (বুবাই)

স্বাগতম

সুব্রত সামন্ত (বুবাই) › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাতী নক্ষত্রের দেশেআমার উপাসনা

১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৩

স্বাতী নক্ষত্রের দেশেআমার উপাসনা
সুব্রত সামন্ত (বুবাই)

একবুক দূরে, নীল স্বাতী নক্ষত্রের দেশ।
আর সামনের দিকে পা বাড়ালেই
আবহমানকালের সেই হৃদয় মোচড়ানো মাথাব্যথা এবং মরীচিকা।
কলেজে আমার তখন কাকতাড়ুয়া তৃতীয়বর্ষ ;
উপাসনা রায় আরো দু’বছরের পিছনের ঝোপের বিন্দুতে দাঁড়িয়ে
দু’চোখে দ্বীপ রেখে সাজানো লতা-পাতায় চিত্রার্পিতা হতে চায়।

এরপর থেকেই ক্রমশ দ্রুত মূর্তিমতী হয় ; নিঃসঙ্গতার নদী।
সম্ভব হয় ; নক্ষত্র জয়।
যখন— হঠাৎ একদিন অকল্পনীয়ভাবে সত্যি হয়ে স্বাক্ষর হয়:
‘তার কস্টলি-আকাশে আমার আস্কারা পাওয়া উড়াল নেমন্ত্রণ’।

তখন, সে শরীর উপুড় করা একটি পাতলা-নীল বর্ণচোরা খাতা।
তখন, আমি খুব সহজেই—
সেই খাতার পাতার উপর ভিনদেশী রক্তে-ভাবুক নৌকার মতো
অনভিজ্ঞতার কাঁটা-কম্পাস নিঙড়ে নিজেকে ভাসাই।

সেই জলকন্যা তখন :
ঝর্ণামাপিক বৃষ্টিসমাচার হয়ে আবারও এতটাই বেপরোয়া কস্তূরীমৃগ ;
তার উপদ্রুত অঞ্চলে পা না রেখেই আমি হই ইত্যাকার উত্তরীয়।
যদিও লাইভ-কাস্ট ছায়াময় ঘরে সে সুগন্ধের মতো বর্ধিত অস্থির।
বাতাসের বংশীঠোঁটে শুকনো পাতার মতো বারবার অবারিত উড়ে যায়।
তবুও একদা—
হঠাৎ বৃষ্টিতে হারিয়ে যায় সবকটি সবুজ-সোনালি উপত্যকা।

তারপর সময় সময়ের মণ্ডপে এসে ; ঘোর পিশাচী হয়।
আজপুরোপুরি মুখ ফিরিয়ে, কোনাকুনি হাঁটে উপাসনা সান্যাল।

আমি আজো তেমনই ভেসে থাকি ;
হলুদ নির্জন পাতামোড়া প্রচ্ছদের ভিতর
ভাঙা, চিড়-খাওয়া শব্দের না হয়ে ওঠা কিছু মৃত-পঙ্‌তিমালায়।



https://www.youtube.com/watch?v=u-p7x8tYHZY&feature=youtu.be

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.