নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি? প্রচুর মুভি দেখি, পজিটিভ ক্যারেক্টারকে সাপোর্ট করি, ভূল করলে স্বীকার করি, তথ্য জানতে ভালবাসি, সবকিছুতেই ইন্টারেস্ট আছে, নিউট্রাল ওপিনিওন দেই। কিন্তু ৯৯% চান্স আপনি আমার লজিকে অফেন্ডেড হবেন!

BM Khalid Hasan

পৃথিবীটা সার্ভাইবারদের জন্য, তাই বুলিং ও হিউমিলিয়েশন ওভারকাম করলাম। গ্রাজুয়েশন করে ক্রিয়েটিভ রাইটার, ইনডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর-সিনেমাটোগ্রাফার এবং শো উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেছি। পারকৌর ও ফাইট করা হবি।

BM Khalid Hasan › বিস্তারিত পোস্টঃ

হোয়াট এ শো নিডস এ বেটার হোস্ট!

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩১



অনেস্টলি স্পিকিং, “হোয়াট এ শো’ নিডস এ বেটার হোস্টিং স্টাইল !” বাংলাদেশ এইটিস থেকে বিভিন্ন জনপ্রিয় টিভি শো হয়ে এলেও, অ্যামেরিকান ফরম্যাটের গসিপ শো তেমন কখনো হয়নি । আগে ইত্যাদি বা আনন্দমেলার মত ম্যাগাজিন হতো। এছাড়া নাইট টক শো-তে গেস্ট ডেকে ফরমালি ইন্টারভিউ নিতো । কনটেন্ট প্রমোশন, গেম, রোস্টিং এগুলো কম হতো । ‘হোয়াট এ শো’ এই কজুয়াল জিনিসগুলো রাখার কারণে দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু এই শো’য়ের হোস্টিং স্টাইলে বড়সড় ঝামেলা আছে।

‘হোয়াট এ শো’-এর সমস্যা কি?

সমস্যা একটাই, দ্য এংকর রাফসান সাবাব ইজ নট ফানি এট অল। নো অফেন্স, রাফসান সাহেব লোকটা এডুকেশনালি ট্যালেন্টেড। কিন্তু শো হোস্ট হিসেবে তার কিছু কমতি আছে। প্রাথমিক সমস্যাগুলা হচ্ছেঃ

• তার কথার স্টাইলে কেউ হাসে না, উল্টো গেস্টদের কথায় হাসে। কারণ সে স্ক্রিপ্টের বােইরে ইনস্ট্যান্ট রেসপন্স দিতে অপারগ।
• সে স্পষ্টভাবে কথা বলতে অপারগ, কিছুক্ষন পরপর তার একটাই কথা, “প্লিজ-হ্যাবে-রাউন্ডব-প্লজ” (Please have a round of applause)
• সে একটা কিছু শোনার পর পাঞ্চ লাইন দিতে অপারগ। অথচ গসিপ শো এর মেইন মোটিফ হলো যাই বলা হবে সেটাকে হাস্যকর বানানো। গেস্টরা কোনো ফানি ইনসিডেন্ট শেযার করলে মুখ হা করে হ্যাং হওয়া ছাড়া তার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়না।
• দেশি শো হিসেবে আরেকটা ইমপারফেকশন হলো রাফসান সাবাব এনভাইরনমেন্ট কন্ট্রোল করতে পারে না ।

আমাদের বাঙালিদের অলরেডি হাউকাউ করা একটা স্বভাব আছে । যেকোনো কমপিটিশন হলেও স্লেজিং করতে একসাথে সবাই ঝগড়া ঝাটি লেগে যায় ! রাফসান সাবাবের গেস্ট রাও সেম কাজ করে, যেটা এবিএম সুমন বা কারিনা কায়সারদের এপিসোড দেখলে বুঝতে পারবেন! কিন্তু বিদেশী টিভি শো দেখুন। কেউ মাইকে থাকলে অন্য কেউ তার কথা শেষ হবার পর নিজের কাউন্টার দেয় ।

মাইক ও ক্যামেরার সামনে আপনাকে কিছুটা স্থির থাকতে হবে এবং অবজার্ভ করে ওপিনিওন দিতে হবে। নাহলে দেখতে ভাল লাগে না, রেসপন্স ও ভাল তৈরি হয়না। ‘হোয়াট এ শো’ কোনান ওব্রায়েন, ড্যাভিড লেটারম্যান, জিমি কিমেল-দের শো থেকে অণুপ্রাণিত, রাইট? তাদের শো গুলো দেখবেন কতটা গোছালো হয়। এখানে ডেস্কে হোস্ট কিছুটা উপরে বসেন, কারণ শোয়ের মূল চালিকাশক্তি থাকে সে। সে গেস্টদের কথা মন দিয়ে শোনে, তারপর নিজে প্রত্যেকটা কথার সাথে রিলেট করে একটা ফানি এজাম্পশন বলে!

রাফসান সাবাবের বিকল্প কি হতে পারে?

চ্যানেল আই হলো ‘হোয়াট এ শো’-এর প্রোডিউসার/ব্রডকাস্টার । চ্যানেলের চাংক বা ইউটিউব ভিউসের জন্য রাফসানের প্রতি তাদের ট্রাস্ট অনেক বেশি। এখন অন্য টিভি চ্যানেলের উচিত ভালো হোস্ট সিলেক্ট করে এরকম গসিপ শো করা । শো গুলোর মাধ্যমে দেশীয় সেলিব্রিটি দের সামনে আনা যায়, দর্শক ও জানতে পারবে কে রেড ফ্ল্যাগ আর কাকে এক্সেপ্ট করতে হবে ।

আপনারা ভারতের কপিল শর্মার শো দেখেছেন নিশ্চয়ই। দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে একজন কমেডিয়ান ছিল সে। এখন প্রতি এপিসোডে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পায় শুধু তার ইনস্ট্যান্ট হিউমার সেন্সের জন্য, যা আর কারো থেকে পাচ্ছেনা টিভি ইনডাস্ট্রি। বাংলাদেশেও এরকম অনেক তরুণ আছে যারা শুধু স্টেজ পাচ্ছে না। টিভি ইনডাস্ট্রি বাচিয়ে রাখতে হলে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ভাল শোমেকারদের নিতে হবে।

আমি কেন সমালোচনা করছি?

আপনাদের মনে হবে পার্সোনাল অপছন্দ থাকতে পার, তাই বলে স্কিল নিয়ে কথা বলবো কেন? আমার নিজেরই এমন কি যোগ্যতা আছে যে অন্যের স্কিল নিয়ে সমালোচনা করবো? আসলে আপনি যখন একটা পাবলিক প্লাটফর্মে কাউকে পুশ দেবেন, তখন এমন কাউকে দেওয়া উচিৎ যে নেক্সট জেনারেশনের গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে। আজকাল মেরিল প্রথম আলোর মত বড় এওয়ার্ড শো নিয়ে মানুষ হাসাহাসি কেন করে? কারণ শো হোস্ট হিসেবে অযোগ্য মানুষেরা লেম কথা বলে উপস্থাপনা করে।

আপনি এটা মানতে বাধ্য হবেন যে রাফসান সাবাব এলিট কমুনিটিতে বিলং করে। যার কারণে কম ফলোয়ার নিয়েও ইউটিউব ক্রিয়েটর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। একসময় নিজের গায়ের রঙের জোকস দিয়ে স্ট্যান্ড আপ কমেডি করে মানুষের সিমপ্যাথি নেয়। সে সহজেই সালমান মুক্তাদিরদের মত লার্জ ক্রিয়েটরদের ক্লোজ পিপল হয়। তাই রাফসানের নেপোটিজম নিয়ে কথা বলাই আমার উদ্দেশ্য। এই পোস্টে আমি রাফসান সাবাবের ওয়াইফকে চিটিং করার মত ইসু গুলো ফোকাস করিনি। শুধু হোস্ট হিসেবে ওভাররেটেড হওয়া নিয়েই কথা বলছি।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এজ আ হোস্ট রাফসানকে আমারও ভালো লাগেনা। মারিয়া নূর আমার বন্ধু।তাই ওর সুনাম করলাম না। নীল হুরে জাহান এর হেস্টিং ভালো।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৫৩

BM Khalid Hasan বলেছেন: মারিয়া নূর ইজ এ পিওর ট্যালেন্ট। বিভিন্ন প্রোগ্রামে সরাসরি ভ্য়িারদের সাথে ইনটেরাকশনটা সে ভাল পারে। এছাড়া নীল হুরে জাহান, সুষমা, লুইপা, মালিহা শায়েরী, শান্তা জাহান সবারই প্রথম যে বৈশিষ্ট তা হলো সুন্দর স্পষ্ট করে কথা বলা। হিউমার যদি নাও থাকে এই সুমিষ্ট কথাই কিন্তু দর্শককে কনটেক্সট এর গুরুত্ব বোঝাবে। কিন্তু আমি অবাক হচ্ছি যে এখন অনেক বড় বড় অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞ উপস্থাপক ও আর.জে. দের বাদ দিয়ে রাফসানকে নেওয়া হচ্ছে, যে লিটারেলি শো জাকজমক করতে কোনো ভূমিকাই রাখে না! জাস্ট মাইক হাতে এনাউন্স ই করে!

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:




এই পোস্টে আমি রাফসান সাবাবের ওয়াইফকে চিটিং করার মত ইসু গুলো ফোকাস করিনি। শুধু হোস্ট হিসেবে ওভাররেটেড হওয়া নিয়েই কথা বলছি।

শুধুমাত্র এই কথার কারণেই মনে হচ্ছে, লেখক ব্যক্তিগতভাবে রাফসানকে অপছন্দ করে।
তা না হলে এখানে পার্সোনাল লাইফের কথাটা না বললেও পারতো।

প্রফেশনাল আর পার্সোনাল লাইফ আলাদা রাখাই ভালো।


১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯

BM Khalid Hasan বলেছেন: ইওর লজিক ইজ রাইট। এখানে এই লাইনটা ছাড়া লিখলেও ব্লগের পারপাজে কোনো কমতি পড়তো না। আমি পিঞ্চ না করলে মেবি বেটার হতো। আমরা যাই বলি না কেন, যে ভাল সে উন্নতি করবে আর যে ভাল না সে ঝরে পড়বে। তাই আক্রমণাত্বক সমালোচনার দরকার নেই। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করি কারণ সে এখন ইনফ্লুয়েন্সিং পার্সোনা। যখন কেউ পাবলিক প্ল্যাটফর্মে আইকন হিসেবে কাজ করে, তাকে অনেক মানুষ তার ব্যক্তিস্বত্তাকে ফলো করে। ওইসময় অনেকেই তাদের এটিচিউড বা কর্মকান্ডকে 'ওকে ফাইন' মনে করে, স্পেশালি টিনেজার থেকে সদ্য এডাল্ট হবার পথে যারা থাকে।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলাদেশে এসব প্রোগ্রাম জনপ্রিয় হবে না। কারণ, যাই করা হবে দর্শক জিমি ফেলন, কপিল শর্মার ছায়া খুঁজে পাবে। আর একই জোকস ইংরেজিতে, হিন্দিতে বলার ধরনের কারণে, ব্যাকগ্রাউন্ড এর কারণে যে মজা পাওয়া যায়, সেভাবে বাংলাতে মজা নেই। উদাহরণ স্বরূপ কমেডি সার্কাসের জোকস্ গুলো ছিল ৪/৫ মিনিটের মধ্যে দলীয় পরিবেশনা একই কাজ জি বাংলা, জলসা করতে গিয়ে জমেনি। অথচ মীরাক্কেলের ১ লাইনের জোকস গুলো আরও প্রাণবন্ত হত। হিন্দীতে আবার মীরাক্কেলের মত ১/২ লাইনের জোকস জমে না।
বাংলাদেশে আঞ্চলিক ভাষা দিয়ে কৌতুকের চেষ্টা করা হয়, তাও সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় না। এক সময় স্যাটেলাইট না থাকার কারণে, ইত্যাদি, যদি কিছু মনে না করেন, কইনচেন দেহি জনপ্রিয় হয়েছিল ফাঁকা মাঠে- এখন আর ওসব ফর্মূলা চলে না। ইত্যাদি দেখে মানুষ এখন হাসে না, শুধু স্যাটায়ারের মজা নেয়...
সব মিলিয়ে ফানি শো বাংলাদেশে চলবে না ধর্মীয় ও সামাজিক কারণে স্ল্যাং-ও ব্যবহার করা যায় না এসব অনুষ্ঠানে। করলেও আমাদের শুনতে ভাল লাগে না। ঐ যে সারাদিন হিন্দী, ইংরেজি মুভির রোমান্টিক দৃশ্য দেখতে রাজি, কিন্তু নিজের দেশের কেউ এসব করলে বিরক্ত লাগে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.