নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[পূর্বকথা - কৃষ্ণের কথা মত অর্জুন সরস্বতীর তীর থেকে সুভদ্রাকে হরণ করলেন...যদুবীররা ক্রুদ্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করল ... সুভদ্রা অর্জুনের সারথি হলেন...যদুবীররা পরাস্ত হতে লাগল ..... এ সংবাদ বলরাম শুনে কৃষ্ণের উপর অভিমান করতে লাগলেন... ]
বলরামের সহিত শ্রীকৃষ্ণের কথাঃ
দূত পুনরায় জোড়হাতে বলে –হে যদুনাথ, নিঃশব্দ রয়ে গেলেন কেন! আজ্ঞা করুন আমি এখন কি করি! কুমাররা আমায় বার্তার কারণে পাঠালেন! যাদব প্রধান মহাবীর কামদেব যিনি তিনলোকে অব্যর্থ তাঁর ধনুর্গুণ তিলতিল করে কাটা গেছে। একটিও আর অস্ত্র নেই, তূণও শূন্য। শাম্ব, গদ, সারণ প্রমুখ যতবীর যাদবরা আছেন, কারো তনুই অক্ষত নয়। কারো ধ্বজা কাটা গেছে, কারো বা সারথি, কারো রথ নষ্ট হয়েছে-সে এখন পদাতি। কারো অস্ত্র, ধনুর্গুণ কিচ্ছু নেই। সবাইকে একা অর্জুন জয় করেছেন। এখন আপনারা অস্ত্র, রথ, অশ্ব সব পাঠাবার ব্যবস্থা করুন। আপনি চলুন বা দেবকীপুত্র কৃষ্ণ চলুক সব স্বচক্ষে দেখে আসবেন। কুমারদের পক্ষে অর্জুনকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। অর্জুনও স্নেহ করে কুমারদের প্রাণে মারেন নি। তাই প্রভু, তারা এখনও পরান নিয়ে বেঁচে আছেন।
গোবিন্দ বলেন –আমি অর্জুনকে চিনি। তাকে পরাজিত করার মত পৃথিবীতে কাউকে দেখি না। আজ এমনকি ইন্দ্র, যম, কুবের, বরুণ, পঞ্চাননও পার্থকে জিততে পারবেন না। কুমাররা তাঁর কাছে শিশু , তারা আর কি করবে! তুমি সত্যই বলেছ পার্থ তাদের প্রাণে মারবেন না। তাঁর সাথে যুদ্ধ করা উচিত নয়। সে তো অন্যায় কিছু করেন নি! শাস্ত্র মতে ক্ষত্রিয়ধর্মে বলপ্রয়োগ করে বিবাহের প্রশংসা আছে, যেখানে কন্যার সম্মতি আছে। ধনঞ্জয়ের দোষ দেখি না।
আমাদের ভগিনীর কাজটাও দেখুন। অর্জুনে যদি তাঁর মন না থাকত, তবে সে অশ্ব চালাত কেন! তবে ধনঞ্জয় কি আপনার মহিমা জানেন না! আপনি এখনই গিয়ে তাঁর গরিমা খর্ব করতে পারেন। তবে পার্থকে জীবন্ত ধরা সম্ভব নয়। অনেক চেষ্টা করে তাকে প্রাণে মারতে হবে। পার্থকে হত্যা করলে সুভদ্রাও প্রাণ ত্যাগ করবে। বলুন দেবতা তাতে কি কর্ম সাধন হবে!
এমন অবস্থায় আমার মত যদি সবাই আজ্ঞা দেন তো জানাই। আপনার প্রিয়ম্বদ কেউ অর্জুনের কাছে যাক। প্রিয় বাক্যে কুন্তীকুমারকে তুষ্ট করে ফিরিয়ে আনুন। এখনই তাকে এনে ভদ্রাকে তাঁর হাতে সমর্পণ করুন। এতে সবার মঙ্গল হবে। লোকসমাজে সম্মান থাকবে। আমার মনে আর কিছুই আসছে না।
কৃষ্ণের এত কথা শুনে হলধর বলরাম ক্রোধ সংবরণ করে বলেন –আমাকে আর জিজ্ঞেস করছ কেন! তোমার মন যা চাইছে তাই কর। তোমার মনে যা আছে তাই হবে। তোমার অন্যথা আর কে করতে পারে। তখন যদি তোমার কথা মেনে নিতাম, তাহলে এখন আর আমায় এমন লজ্জায় পরতে হত না।
এরপর বলরাম সাত্যকিকে ডেকে বলেন –আপনি এখনই আমার প্রতিনিধি হয়ে অর্জুনের কাছে গিয়ে তাকে মধুর বচনে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনুন।
এই বলে সাত্যকিকে রথে চড়িয়ে যুদ্ধ স্থলে পাঠালেন।
আদি পর্ব মহাভারতের বিচিত্র উপাখ্যান, কাশীরাম দাস কহেন, সাধুজন সদা করেন পান।
......................................
উৎসর্গ: সকল ব্লগার বন্ধুকে
......................................
আগের পর্ব:
কথাচ্ছলে মহাভারত - ১১৪ Click This Link
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, BEBASI!
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: দীপান্বিতা তুমি যেভাবে মহাভারতের মতো অসাধারণ একটি মহাকাব্যকে সিরিজ আকারে লিখছ তা আসলেই প্রশংসার যোগ্য । তবে নতুন অনেক পাঠকের হয়ত এত সিরিজ দেখে ধৈর্য হারিয়ে ফেলতে পারেন । সেক্ষেত্রে তোমার কষ্ট বৃথা । শুরুতেই মহাভারতের প্রতি বিরক্ত এসে যেতে পারে , এতে অবশ্য পাঠকের ই মহা দুর্ভাগ্য । তুমি ধারাবাহিক বর্ণনা দিচ্ছ , খুব ভালো কথা । তোমার এই ধারাবাহিক বর্ণনা হচ্ছে তাঁদের জন্য যারা মহাভারত সম্পর্কে ধারণা রাখে । অর্থাৎ মহাভারত সম্পর্কে যারা জানে ।
কিন্তু যারা জানে না তোমার এই সিরিজ তাঁদের বিরক্ত করবে ।
তাই আমি আশা করব , তোমার এই ধারাবাহিক লেখা সবাই পড়বে , কিন্তু পুরো মহাভারত সম্পর্কে বেসিক ধারণা নিয়ে তোমার লেখা পড়ার জন্য সবার এই বইটা পড়া উচিত ।
বইটি সুনিল গঙ্গোপাধ্যায়ের " আমাদের মহাভারত "
বইটির ডাউনলোড লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি - আমাদের মহাভারত
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, সাদী ফেরদৌস! ----অসাধারণ লিঙ্ক দিলেন, আমি নিজেই আজ থেকে পড়ছি, খুব সুবিধে হবে---আবারো ধন্যবাদ
৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দারুণ জমে উঠেছে...
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, কান্ডারি অথর্ব!
৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
জুন বলেছেন: সাথে আছি দীপান্বিতা
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, জুন!
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮
অশোক বলেছেন: চালিয়ে যান। ভাল লাগল।