নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পজিটিভ ইলেকট্রন

পজিটিভ ইলেকট্রন

খুব অলস একটা মানুষ । প্রযুক্তিকে অনেক ভালবাসি । আবিষ্কার এর নেশা তাড়া করে সবসময় কিন্তু কিছুই আবিষ্কার করতে পারিনি । পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে অনেক ভালবাসি । ঘুরেবেড়াতে অনেক ভাললাগে । ক্রিকেট খেলা অনেক পছন্দের । বাংলাদেশের খেলা থাকলে টিভি সেট এর সামনে থেকে উঠিনা । অহংকারী মানুষ দের অনেক ঘৃণা করি । সপ্ন দেখতে অনেক ভালবাসি কিন্তু হতাশায় নিমজ্জিত

পজিটিভ ইলেকট্রন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন লোভ হিংসা পরিহার করি, সুখী সুন্দর জীবন গড়ি…

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

এইতো কিছু দিন আগের কথা....
এক দেশে এক প্রধানমন্ত্রী ছিল!
প্রধানমন্ত্রীর দেশ জুড়ে ছিল সুখ আর শান-সৌকত।
সুখী প্রধানমন্ত্রীর যা কিছু থাকা দরকার তার সবই এই প্রধানমন্ত্রীর ছিল !!!
আর বাড়তি হিসাবে ছিল মুজিবল হক, মখা আলমগীর, সুরন্জিত সেনা গুপ্ত , সাহারা খাতুন এর মত অনেকগুলো সুখী সমৃদ্ধ মন্ত্রী।
দেশ জুড়ে কোন গোলমাল নেই, কোন অভিযোগ নেই, চারিদিকে সুখ আর সুখ।
হেমন্তের কোন এক ক্লান্ত বিকালে গনভবনে বসে প্রধানমন্ত্রী যখন তার পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীদের ব্যার্থতা আর তার স্বীয় সফলতার কথা ভাবছিল ঠিক তখনই ঘটল এক মজার ঘটনা।
কোথাও থেকে শস্য চুরি করে নেয়ার সময় একটা বড় হীরন পাখির ঠোঁট থেকে একটা সুন্দর শস্য খসে পড়ে ঠিক প্রধানমন্ত্রীর সামনে।
আত্মতৃপ্ত প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার ব্যাঘাত ঘটায়, প্রধানমন্ত্রী মাটিতে পড়ে থাকা শস্যটার দিকে মনোযোগ দিলেন।
হাতে নিয়ে দেখলেন, এটা একটা শস্য।
সাধারন শস্যের চেয়ে এটি অনেক বড় এবং খুব সুগন্ধযুক্ত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী অনেক ভেবেও শস্যটার নাম খুঁজে পেলেন না, বুঝতেও পারছেন না যে এটা কিভাবে ব্যবহার করতে হয়।
সঙ্গে সঙ্গে তার কাছের এক মন্ত্রীকে খবর দিলেন। মন্ত্রী এলেন, দেখলেন কিন্তু তিনিও বুঝতে পারলেন না এটা কি ধরনের শস্য। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীবর্গ, সকল পন্ডিত, জ্ঞানীগুনিদের এই শস্য দেখানো হল কিন্তু কেউই এই শস্য চিনতে পারলোনা ।
প্রধানমন্ত্রী খুব চিন্তিত হল, ভাবলো হয়ত পাশের দেশের প্রধানমন্ত্রী উন্নত কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে এই ধরনের শস্য ফলাচ্ছে। হিংসায় জ্বলতে শুরু করল প্রধানমন্ত্রীর মন। সঙ্গে সঙ্গে এক প্লাটুন সৈন্য তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী হামলা করলো পাশের দেশে। বন্ধী করে ঐ দেশের প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হলো এই শস্য গোপনে কোথায় উৎপাদন করা হচ্ছে।
প্রতিবেশী প্রধানমন্ত্রী শক্তির দিক দিয়ে দুর্বল ছিলো কিন্তু বুদ্ধি ছিল চরম।
সবকিছু শুনে ও দেখে ঐ দেশের প্রধানমন্ত্রী বিনয়ের সাথে বলল-- আমার দেশে এই ধরনের শস্য উৎপন্ন হয় না।
এই প্রধানমন্ত্রীর কথার প্রমানের জন্য সারা দেশ খুজেও এই ধরনের শস্যের একটা খোঁজও পেল না।
এবার তো প্রধানমন্ত্রী আরো চিন্তিত হল তাহলে এই শস্য আসলো কোথা থেকে?
সুখী প্রধানমন্ত্রী মুহুর্তেই হয়ে গেল সবচেয়ে দু:খী।
ঠিক তখন প্রতিবেশী প্রধানমন্ত্রী এক বুদ্ধি বের করলো। যেহেতু এই শস্য কেউই চেনে না, সেহেতু হতে পারে এ শস্য অনেক বছর আগের মানুষগুলো উৎপাদন করতো। প্রবীণ কাউকে জিজ্ঞাসা করলে হয়ত উত্তর পাওয়া যাবে।
যেই ভাবা সেই কাজ,
দু-রাজ্যের সবচেয়ে প্রবীণ লোকটিকে খুজে আনতে লোক পাঠানো হল। দু'দিন পর সৈন্যরা খাটিয়ায় করে এক বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এক অন্ধ বয়োবৃদ্ধকে তুলে আনলো যাকে সম্পূর্ন জীবিত বলাও একটা চ্যালেন্জিং বিষয়।
কোন রকম কথা বলার জন্য বৃদ্ধের হাতে শস্য দিয়ে বলা হল চিনে কি না? কিন্তু বৃদ্ধ এক বাক্য বলে দিল- জীবনে কখনো দেখেই নিই। তাহলে উপায়?
ঐ মৃতপ্রায় বৃদ্ধই তখন বললো, হুজুর আমি না জানলেও আমার বাবা বেচেঁ আছেন উনি বলতে পারেন! প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সভাসদ সবাই অবাক হল আবার শঙ্কিত হল বৃদ্ধের বাবা কথা বলতে পারবে কি না এই ভেবে।
তারপর আগের চেয়ে আরো বেশী সৈন্য পাঠানো হল বৃদ্ধের বাপকে তুলে আনার জন্য। কিন্তু মৃতপ্রায় বৃদ্ধের বাবাকে তুলে আনার জন্য কোন খাটিয়া ব্যাবহারের প্রয়োজন হয়নি। হাড় জিরজিরে শরীর আর একটা লাঠিতে ভর দিয়েই বৃদ্ধ রাজদরবার হাজির হল। যথারীতি তাকেও শস্যটি দেখানো হল।
কিন্তু এবারও ফলাফল শুন্য। সভাজুড়ে হাহাকার রব উঠলো। এবার উপায়?
কে বলবে এই শস্যের নাম ????
তাহলে কি সব কিছু অজানাই রয়ে যাবে! তখনই বৃদ্ধ লোকটি বললো--
আমি হয়ত চিনে উঠতে পারিনি কিন্তু আমার বাবা এখনো বেঁচে আছেন, তিনি হয়ত বলতে পারবেন। সবাই আরেকবার অবাক হল। ঠিক আছে বড়সড় একটা সৈন্যদল পাঠানো হল বৃদ্ধের বাবাকে তুলে আনার জন্য সঙ্গে দুই জন বৈদ্যও পাঠানো হল, পথে ঘাটে মরতে
বসলে বাচিয়ে রাখার জন্য।
অবশেষে দ্বিতীয় বৃদ্ধের বাপ এবং প্রথম মৃতপ্রায় বৃদ্ধের দাদা একদম সুস্হ সবল দেহে একাই হেটে রাজদরবারে এল। সবাইতো চমকে উঠলো, এটা কি ভাবে সম্ভব?
নাতি ও ছেলের চেয়ে বাপই সবচেয়ে সুস্হ। এমনতো হওয়ার কথা না। যাই হোক, সবাই বিষ্ময়ের ঘোর কাটিয়ে তৃতীয় বৃদ্ধের হাতে শস্যটি তুলে দিল।
বৃদ্ধের চোখগুলো হিরের মত ঝকমক করে উঠলো আনন্দে। বড় একটা শ্বাস নিল শস্যটাকে নাকের কাছে এনে। আনন্দের অতিশয্যায় শস্যের গায়ে একটা কামড়ও বসিয়ে দিল। তারপর বলল-- সেই স্বাদ! আহা কতদিন খাইনি।
এদিকে বৃদ্ধের দিকে তাকিয়ে সবাইতো বাকরুদ্ধ। প্রধানমন্ত্রীই বললেন--বলোতো, এটা কি শস্য?
বৃদ্ধ বললেন--হুজুর এটা আমাদের রাজ্যেও হয়।
সভাসদরা সবাই আরেকবার পিলে চমকালো। কৈ,কৈ রব উঠলো চারিদিকে।
বৃদ্ধ বললো--এই তো! এবারো আমাদের জমিতে ফলেছে এর নাম 'গম'!
এবার প্রধানমন্ত্রী ক্ষেপে গেলেন। বদমাইশ বৃদ্ধ আমরা কি গম চিনি না ভেবেছ? সেই জন্মের পর থেকেই তো দেখে আসছি আর এখন তুমি বলছো এটা 'গম'!!
বৃদ্ধ বললো--হুজুর মাপ করবেন। এটা আমাদের সময়কার গম! এই সময়কার নয়। আমারা আগেও এটাকে গমই বলতাম। এটা ছোট হতে হতে এতটাই ছোট হয়েছে যে আপনারা এই বড় গমটাকে বিশ্বাসই করতে পারছেন না।
প্রধানমন্ত্রী কিছু কোমল হয়ে বললেন--আচ্ছা তোমাকে তো অনেক জ্ঞানী বলে মনে হয়। বলোতো এতো বড় গম কোথা থেকে এল আর আমাদের গমগুলো এত ছোটই বা কেন?বৃদ্ধ বললো--এই গম কোথা থেকে এলো তা আমি যানি না। তবে এখনকার গম কেন ছোট হলো তা আমি বলতে পারি। সবাই সম্বসরে বললো--বলো..বলো..!!
আমাদের সময় চাষাবাদের জমি ছিল খুব কম। চারিদিকে ছিল বন আর বন।
কিন্তু তাই বলে আমরা আমাদের জমিতে কখনোই সীমানা তৈরি করি নি। এর ঘর ওর ঘর বলতে কোন শব্দ ছিল না। সবাই আমরা আপন ছিলাম। আমার আমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত শস্য ফলাতাম না। যা উৎপাদন হত তাই সকলে মিলে মিশে খেতাম।
হিংসা অহমিকা আমাদের মাঝে বাসা
বাঁধতে পারে নি। তাই হয়তো শস্যগুলো আকারেও ছিল বড়।
আর এখন চাষাবাদের জমি বাড়লেও হিংসা, আর লোভের কারনে আপনার
ভাগাভাগিতে ব্যাস্ত।
এবছর এর জমিতে ভাল ধান হলে পাশের জন্য হিংসায় মরছে। পরের বার ওর জমিতে ভাল ফলন হচ্ছে বলে এ হিংসায় জ্বলছে।
এজন্যই হয়ত: দিন যত যাচ্ছে আপনাদের শস্যও ছোট হচ্ছে।
“মোরাল অব দা স্টোরি”
“হিংসা, লোভ মানুষের সুখ নষ্ট করে , তাই সুখি হতে হলে লোভ হিংসা থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই মঙ্গল ”
আসুন লোভ হিংসা পরিহার করি,
সুখী সুন্দর জীবন গড়ি…
( সংগৃহীত, সম্পাদিত, সংযোজিত, পরিমার্জিত )

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

কাহাফ বলেছেন:


সুন্দর শিক্ষণীয় উপস্হাপনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ অাপনাকে!!! !:#P !:#P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.