নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো অন্ধকারে যাই

সময়টা কি করে দেবে সেটা তার অধিকারী জানে, চাইলে পোকায় ধরে নষ্ট কাল ভেসে যাবে যমুনার বানে

স্বদেশ হাসনাইন

ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]

স্বদেশ হাসনাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শব্দজট - ২১

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আমার মনে পড়ে গেল - ফুটপেডালে চাঁদতারা টেইলার্সে দর্জির ছন্দময় কাপড় সেলাই। কিছুক্ষণ চলে সে থামছে। সেলাইয়ের চাকা হাতে ঘুরিয়ে ঠিক করে আবারও সেই সেলাইঝড়। একটু আগেই টিনের চালে ঝড়ো বৃষ্টিরা হরতাল ডেকেছে। আমার খুব ইচ্ছে করলো গায়ে গা ঠেকাই। বন্ধ হয়েছে আজ সব অজন্তার ঐতিহাসিক শ্রমবিভাজন, কৃষ্ণ বিভাবরী দিনাবসানের ক্রসিং এ।

বন্ধ চোখে কটন বাডের মত সুড়সুড়ি দিয়ে আঙুলের ডগা ছুঁয়ে দেয়া।

মানুষের সব কিছুই মোহন সদৃশ। কেটে গেলে যেমন করে কাঁদে সোমেন, একই ভাবে কাঁদে যতিন..আমিও সবার মত করে ক্রিয়ার জবাবে প্রতিক্রিয়া দেই।

*

একটা গল্প পড়া শেষ হলে মনে পড়ে যায়।

আমি আমার হাতের পিছনে অনেকগুলো চিকন বাদামী ধমনী বেয়ে তাকে মনে করবো। চঞ্চল বেড়ালটা মিউ মিউ করতে করতে আমার হাতের জন্য ঘুরে একবার পূর্ব থেকে পশ্চিমে। ফের দক্ষিণ থেকে নৈঋতে চলে যেত। আমার সেই মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া স্নেহে সে ঘুমিয়ে পড়ুক।



*

প্রিয় একটা স্মৃতি পড়ে থাকে পেয়ালার ভেতর গলে না যাওয়া চিনির দানার মত। একটা ধীরে বয়ে যাওয়া বাসে গরমের ভেতর আমার কারণ ছাড়া মনে হয় কেন সময় শেষ করে চলে যেতে হয় আমাদের। যেমন সব ভাল কিন্তু দ্রুত গলে যায়। পথে ছিটকে পড়ে খুচরো পয়সার মত। একটা চলমান কথার ভেতর ধুমধাম কথায় আমি তাকে মনে করি। আমি যাদুবিদ্যা জানি না তবে যাদুর ঝাপ্পি দেখেছিলাম মুন্না ভাইয়ের ছবিতে। সেই ছায়াটি আমাকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়লো। ছুটে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে বললাম, একবার দেখতে এলাম। কাল চলে যাব। ডেকে দিতে পারেন। জন্মদিনের দিন মনে পড়তে থাকে - এবং জন্মদিন বাদে বাকি সব দিন। আমি বলি এই সেসব দিন যা সে ইচ্ছে করে পালন করতো না। অদ্ভুত এক্সেপশন হয়ে যেতেই তার ভাললাগে

-

ড্রাফট ১.০ /

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটাও কি সেইসব মানেবিহীন শব্দচাষের ফলাফল?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ভাল সমালোচক পেলে এটাই মানেযুক্ত হবে। উদাহরণ এরকম
-
স্বদেশের গলে যাওয়া ব্রাউনসুগার বইটিকে নিয়ে পাঠকদের কিছু না বললেই নয়। যদি আমি ঠিক বুঝে থাকি, এই সেই কাব্যিকতা। এখানে চন্দ্রতারকার উষ্ণতায় কবির দেখা শৈশবের সেই ফুটপেডালের বৈপরীত্যগুলোকে যথাযথভাবে বুঝতে পারলে তাঁকে বুঝে ওঠা দূরহ হয় না তথাপি, বাজারের এই যুগে, এমনকি সব পাল্টে দেবার ইচ্ছেটাকেও পাল্টে দেবার এই যুগে, খোদ বাংলা সাহিত্যকেও বুঝে নেওয়ার কর্তব্য সাধনের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া যায়। বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যে তাঁর মতো এত বড় সংঘটন স্বল্প। এই খানেই তার পুস্তক বলে

"....চঞ্চল বেড়ালটা যে আমার হাতের জন্য ঘুরে একবার পূর্ব থেকে পশ্চিমে। (৩)"

" বেড়ালের গায়ে আদর মানা ডিপথেরিয়ার ভয়ে। ও রোগে মানুষ বাঁচে না।"
এখানে চতুষ্পদী সব মনোবৈকল্য, তার সঙ্গে আদর এবং অসুস্থতার সংযোগ। দেখা যায় স্বদেশের অনন্যসাধারণ গুরুত্বই তাঁকে এই সাহিত্যের বিষয়বস্তু করে তুলেছে। অবশ্য বোহেমিয়ান ফ্যালাসিতে তাঁর সংকট তাঁর নিজস্ব সৃষ্ট, একার হলে একার নয়; তাঁর সংকট আলোচ্য লেখকের যুগের সংকট। যখন চোখ-ধাঁধানো উত্থানের দিন আসবে আসবে করছে, যেন তার কাব্যে ঐতিহাসিক শ্রমবিভাজন আসে - এঙ্গেলস এর শ্রমদাসত্ব, কৃষ্ণ বিভাবরী দিনাবসানের ক্রসিং এ সে একান্তই রবিঠাকুরের শব্দসঞ্চয়। দরজায় টোকা দিচ্ছে তাতে সফলতা সেই দিনও ছিল বিগত যুগের বৈশিষ্ট্যেরই স্মারক।

একটু আগেই টিনের চালে ঝড়ো বৃষ্টিরা হরতাল ডেকেছে। আমার খুব ইচ্ছে করলো গায়ে গা ঠেকাই।
অক্টাভিও প'জের বৃষ্টি এবং গুজরাটি শব্দ হরতালের কথা কেন এল একদিকে তার নিজস্ব যুগের বিপ্লব, তথা আদর্শ সাহিত্যিক, আর অন্যদিকে বাজারের যুগের দিশাহারা বুদ্ধিজীবী–উভয় সত্তাকে আপন শরীরে ধারণ করে চলা একজন। লেখকের নিজের যুগের লেখক-সাহিত্যিকদের জন্য সময় সমাজ-বদলের ইচ্ছার মধ্যেই কোথাও কি গলদ থাকে? তাঁদের পছন্দের ধারাটি স্বৈরাচারবিরোধী, প্রলেতায়িরেত মতাদর্শ অথবা মৌলবাদের বিরোধী যে ধারণাতার মধ্যেই কি ভ্রান্তি খেলা করে? আমরা কি তাহলে বিপ্লব পরিত্যাগ করব? আমরা কি তাহলে প্রেম থেকে মুক্তি চাইবো? মুক্তি আর স্বাধীনতার লড়াই এগুবে কোন পথে? অথবা প্রেম ও অপ্রেমে কোন পথে যাবে সাহিত্য? এসব প্রশ্নের উত্তর আমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্যে নিতান্তই দরকারী এবং প্রধানত সাহিত্যের পরিসরে এসবের উত্তর অনুসন্ধান করা একজন লেখকের লেখনি জরুরী কর্তব্য।
"আমি যাদুবিদ্যা জানি না তবে যাদুর ঝাপ্পি দেখেছিলাম মুন্না ভাইয়ের ছবিতে।"
"----একটা ধীরে বয়ে যাওয়া দুপুরে আমার কারণ ছাড়া মনে হয় সে এসেছিল " (২৪)
.. ব্লা ব্লা ."
সাহিত্য তখন এক ধীরতায় চলে যায়। স্লথ গতিধারার সাথে ধৈর্য ধরে তাল মেলাতে পারলে, আমার বিশ্বাস, আমরা দেখতে পাব, একদিকে রাজনৈতিক আশ্বাস ও যুদ্ধের ডামাডোলে, বিপ্লবের ঢেউ, বহু বছর একজন সাহিত্যিকের চোখের সামনে তার করুণ বিলুপ্তি আর কর্তৃত্বপরায়ণতার মতাদর্শের বহুরূপী সর্বব্যাপী বিস্তার, এবং অন্যদিকে অর্থনৈতিক এলাকায় পৃথিবী জুড়ে বাজারের আপাত-অপ্রতিরোধ্য বিস্তার–এই দুই ঘটনাকে মোকাবেলা করে লড়ে যেতে পারার মতো দূরসন্ধানী দৃষ্টিকল্প ও আশু লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হাজির না-থাকাটা এই লেখকের কথিত এবং নিচে আলোচিত বৈপরিত্যসমূহের জন্য দায়ী। ভক্তির এই দেশে, ভক্তিপরায়ণু পাঠকদের জন্য একটা কথা আগাম বলে না-রাখলেই নয়: এই লেখককে সম্মান বা অসম্মান করা অথবা শ্রদ্ধা বা অশ্রদ্ধা করা এ আমার উদ্দেশ্য নয়; সম্মান-অসম্মান, শ্রদ্ধা-অশ্রদ্ধা আদৌ এ-লেখার বিষয়বস্তু নয়; বরং আমাদের সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের চিন্তার পদ্ধতিগত গলদগুলো বোঝার চেষ্টা করা এ-রচনার সর্বপ্রধান প্রধান উদ্দীষ্ট বিষয়–অপ্রধান বিষয়াদি ক্রমান্বয়ে দৃষ্টিগোচর হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.