নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের আত্মা

ফারগুসন

ফারগুসন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমাদের নিহতরা জাহান্নামী আর আমাদের নিহতরা জান্নাতী

১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:০২

উহুদের প্রান্তরে তথাকথিত বিজয় অর্জনের পর আবু সুফইয়ান যখন গর্ব করে বলল একবার তোমরা বিজয় অর্জন করেছো আর একবার আমরা বিজয়ী হয়েছি। উমর তার মুখের সামনে বললেন,

সমান নই কারন তোমাদের নিহতরা জাহান্নামী আর আমাদের নিহতরা জান্নাতী ।

রসুলুল্লাহ (স) এর সাথে যখন কুরাইশদের এক বৈঠকে নাদর ইবন হারিছ বিভিন্ন রকম তর্ক বিতর্কে লিপ্ত হয় রসুলুল্লাহ (স) সবার সামনে তাকে এই আয়াত শুনিয়ে দেন,

তোমরা এবং তোমরা যাদের উপাসনা করো সবা্ই জাহান্নামের জালানী হবে। তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে যদি ওরা উপাস্যই হত তবে জাহান্নামে প্রবেশ করতনা। আর তারা সেখানে চিরস্থায়ী হবে। ( সুরা আম্বিয়া-৯৮,৯৯)

রসুলুল্লাহ (স) বলেন,

যার হাতে আমার প্রান সেই সত্তার শপথ ইয়াহুদী খৃষ্টান বা যে কেউই আমার কথা শুনার পরও আমার উপর ইমান আনয়ন না করে মৃত্যুবরন করে সে জাহান্নামবাসী হবে। (মুসলিম)

একজন গ্রাম্য লোক রসুলুল্লাহ (স) এর নিকট এসে প্রশ্ন করল আমার বাবা আত্মিয়তার সম্পর্ক রক্ষা করত আরও এই এই ভাল কাজ করত তিনি জান্নাতী না জাহান্নামী ?

রসুলুল্লাহ (স) বললেন,

-জাহান্নামী।

গ্রাম্য ব্যাক্তিটি প্রশ্ন করল

-তবে আপনার বাবা ? রসুলুল্লাহ (স) বললেন,

তুমি যে মুশরিকের কবরের পাশ দিয়ে গমন করবে তাকেই জাহান্নামের দুঃসংবাদ দাও। ঐ ব্যাক্তি (রাঃ) বলতেন রসুলুল্লাহ আমাকে এই কঠিন দায়িত্ব দিয়েছেন যে, আমি যে মুশরিকের কবরের পাশ দিয়ে গমন করব তাকে জাহান্নামের সংবাদ দেব।

এমন অনেকেই কি নেই ? যারা মাদার তেরেসা, রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ফকীর লালন ইত্যাদি বিধর্মীদের জাহান্নামী বললে রাগ করে বলেন,

- কাউকে জাহান্নামী বলতে নেই। কারও মনে কষ্ট দিয়ে কথা বলতে নেই।

আমরা এদের কিছুই বলব না। শুধু বলব ঈমান নবায়ন করুন। কোন কাফিরের জাহান্নামী হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ করলে ঈমান থাকে না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: ওহুদের যুদ্ধ ছিল না ছিল মারামারি; এগুলো ততকালীন সময়ে মামুলী ব্যাপার, আরবরা সব সময় দুস্ট ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.