নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মীলাদুন্নবী (সঃ)

০৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০



মীলাদ বলা হয় মহানবীর (সঃ)জন্ম বৃত্তান্তকে।মহানবীর (সঃ) জন্ম বৃত্তান্ত আবু লাহাবের দাসী আবু লাহাবকে প্রদান করায় আবু লাহাব ভাতিজা জন্মে খুশী হয়ে তার দাসীকে আজাদ বা মুক্ত করে দেয়। তারমানে আবু লাহাবের মারফত আল্লাহ আবু লাহাবের দাসীকে মীলাদের পুরস্কার সাথে সাথে দিলেন। আর এঘটনায় জাহান্নামে আবু লাহাবের আঙ্গুল দিয়ে চিরকাল দুধ ঝরবে। তারমানে জাহান্নামে বসেও আবু লাহাব অনন্তকাল মীলাদের পুরস্কার পেতে থাকবে। এহাদীস এটাই প্রমাণ করে যে মীলাদ শুধু মুসলমানের জন্য নেক আমল নয় বরং এটা গোটা মানব জাতির জন্য নেক আমল। ইন্দ্রমোহন রাজবংশি অবশ্যই তাঁর নাতে রাসুলের (সঃ) পুরস্কার পাবেন যা এ হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত। সাহাবায়ে কেরাম এটা করেননি এমন কথা ডাঁহা মিথ্যা। কারণ তাদের সকলের দিন পঞ্জি সংরক্ষিত নয়। হাসরের মাঠে আল্লাহ আহলে খবিশকে এ কথার কারণে সাহাবায়ে কেরামের দিন পঞ্জি জানার বিষয়ে জিজ্ঞাস করবেন। এর উত্তর অবশ্যই না হবে। আর এতে তারা আল্লাহর বিচারে অপরাধী সাব্যস্ত হবে। আর হাদীসে কাওলী যখন বিদ্যমান তখন হাদীসে ফেলীর দরকার কি? মুসলমানদের মারামারি কাটাকাটি যুগে সম্ভবত মিলাদ সাময়ীক বন্ধ ছিল। সুতরাং যারা আবার এটা চালু করেছে তারা একশ শহীদের সোয়াব পাবে।
মিলাদের আইটেম তিনটি (১) নবীর (সঃ) জন্ম বৃত্তান্ত (২) দরুদ পাঠ (৩) সালাম পাঠ। প্রথমটি হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত। পরের দু’টি ক্বোরআন দ্বারা সাব্যস্ত। আল্লাহ বলেছেন আল্লাহ ও ফেরেশতাগন নবীর (সঃ) দূরূদ পাঠকরেন। ইহাকি জামাত হলো, না হলো না? বাস্তব হলো ইবলিশের গায়ে সবচেয়ে বেশী আগুন লাগে যখন মীলাদ শুরু হয় তখন। কারণ মহানবী (সঃ)ইবলিশের সবচেয়ে বড় শত্রু। এজন্য সে এবং তার চেলারা মীলাদ বন্ধ করতে মরিয়া। আর দেখুন তারা হাদীসের কেমন অপ ব্যখ্যা করে? মহানবী (সঃ) বলেছেন তোমরা ইহুদী খ্রিস্টানের মতো জন্মদিন পালন করোনা। তারামানে তোমরা মুসলমানের মতো জন্মদিন পালন কর। প্রতিটি মুসলমানের সন্তানের জন্ম এবং এ সংক্রান্ত উৎসব ইবলিশের নিকট খুবই কষ্ট দায়ক, এজন্য সে যেকোন মূল্যে এটা বন্ধ করতে চায়। সুতরাং জন্মদিন বা মীলাদকে কোন ভাবেই বিদয়াত বলার সুযুগ নেই। বরং হাবীবের আলোচনা ও দরূদ ও সালামের কারণে এটা আল্লাহর মাহা খুশীর উপলক্ষ্য। মীলাদ তিনি তন্ময় হয়ে শুনেন। কারণ তাঁর হাবীব তাঁর হার্ট। আহলে খবিশের দল বন্ধুর বন্ধুত্বের মর্ম বুঝেনা। তারা একটা বিষয় ভাল বুঝে আর তা’হলো শয়তানের তাবেদারী। মুসলীম সন্তানের জন্ম অথবা ঐ দিনকে মনে করে তারা ইসলামী তরিকায় যদি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাতে আল্লাহ খুশী হন, আর ইবলিশ বেজার হয়।
সাহাবায়ে কেরাম(রাঃ) জন্ম দিন পালন করেছেন কিনা বা মীলাদ পড়েছেন কিনা সেটা জানা যাচ্ছেনা তাদের দিনপঞ্জি না থাকায়। হাদীসে না পাওয়ার কারণ শুধুমাত্র ইমাম বোখারী ছহী হিসেবে গ্রহণ করে তিরানব্বই হাজার হাদীস ফেলে দিয়েছেন। তো কেউ যদি হাদীস কালেকশন করে ফেলে দেয় তো কোন জিনিস হাদীসে পাওয়া যাবে কেমন করে?
তো যেখানে কওলী হাদীস ও ক্বোরআন বিদ্যমান সেখানে সাহাবার আমল পাওয়া কি খুব জরুরী? মানে ছিদ্র একটা পেয়েছে সে ছিদ্র দিয়ে একটা ছুন্নতকে বিদয়াত বলে ফেলে দিবে এটাই হল খায়েশ । ইবলিশ আর কাকে বলে? কোরআন ও হাদীস ছিদ্র অম্বেশন করীদের গুরুতর বদ লোক বলেছে। আল্লাহ আমাদেরকে এসব শয়তান থেকে হেফাজত রাখুন-আমিন।

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: আজ দুপুরে শবে বরাত নিয়ে আপনার একটা কমেন্ট পড়লাম।
সেই কমেন্টটা আরেকটু বিস্তৃত করে পোস্ট আকারে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি

০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:০৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কাউয়ার জাত বলেছে,‘মানুষকে ধর্মীয় জ্ঞান দেয়ার জন্য উপযুক্ত লোক যথেষ্ট বিদ্যমান। এ বিষয়ে আপনার নাক না গলানোই ভাল’-তার মন্তব্যে আমি একটু দমে গিয়েছি। যদি তিনি মডু জাতিয় কেউ হন তবে ব্লক খাওয়ার ভয় রয়েছে। আর সেই লোক আমার অনেক মন্তব্য মুছে তার পোষ্টে আমার মন্তব্য দেওয়া ব্লক করে দিয়েছে। তো এ পোষ্টটাও ভয়ে ভয়ে দিয়েছি। মডুরা আমাকে অভয় না দিলে আমার ভয় কাটবেনা।

২| ০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:২০

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: মডুরা যদি এ ব্যাপার গুলো না দেখে, মত প্রকাশ যদি বাধাগ্রস্থ হয় তবে একটা সময় সামু তার জনপ্রিয়তা হারাবে

০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মডুরা জামাত বিরোধী। ইসলামী লেখকদের মাঝে জামাত লুকিয়ে থাকতে পারে এটা তাদের সংগত সন্দেহ। বাস্তবতা হলো ইসলাম পন্থিরা দেশের জনগন ও বিশ্ববাসীর আস্তার জায়গায় পৌছতে পারেনি। কাজেই মডুদের দোষ দিয়ে কি লাভ। ইসলাম পন্থিদের সবার আগে সামগ্রিকতার গুন অর্জন করতে হবে। নতুবা তাদের ভোগান্তি থামবেনা। তো তাদের সাথে আমাদেরও ভুগতে হবে আর কি! কথায় বলে নামে নামে জমেটানে।

০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শাবান ও শবে বরাত

এতদিন পর্যন্ত শবে বরাতকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর মানুষ বাড়াবাড়িতে লিপ্ত ছিল। তারা এ রাতটি উপলক্ষে নানা অনুচিত কাজকর্ম এবং রসম-রেওয়াজের অনুগামী হচ্ছিল। উলামায়ে কেরাম সবসময়ই এ সবের প্রতিবাদ করেছেন এবং এখনো করছেন। ইদানিং আবার এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ছাড়াছাড়ির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাদের দাবী হল, ইসলামে শবে বরাতের কোন ধারণা নেই। এ ব্যাপারে যত রেওয়ায়েত আছে সব মওযু বা যয়ীফ। এসব অনুযায়ী আমল করা এবং শবে বরাতকে বিশেষ কোন ফযীলতপূর্ণ রাত মনে করা শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েয নয়। তারা এসব বক্তব্য সম্বলিত ছোটখাট পুস্তিকা ও লিফলেট তৈরী করে মানুষের মধ্যে বিলি করে।
বাস্তব কথা হল, আগেকার সেই বাড়াবাড়ির পথটিও যেমন সঠিক ছিল না, এখনকার এই ছাড়াছাড়ির মতটিও শুদ্ধ নয়। ইসলাম ভারসাম্যতার দ্বীনএবং এর সকল শিক্ষাই প্রান্তকতা মুক্ত সরল পথের পথ নির্দেশ করে। শবে বরাতের ব্যপারে সঠিক ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান হল, এ রাতের ফযীলত সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। সম্মিলিত কোন রূপ না দিয়ে এবং এই রাত উদযাপনের বিশেষ কোন পন্থা উদ্ভাবন না করে বেশি ইবাদত করাও নির্ভরযোগ্য রেওয়াত দ্বারা প্রমাণিত। এই রাতকে অন্য সব সাধারণ রাতের মতো মনে করা এবং এই রাতের ফযীলতের ব্যাপারে যত হাদীস এসেছে, তার সবগুলোকে মওযু বা যয়ীফ মনে করা ভুল যেমন অনুরূপ এ রাতকে শবে কদরের মত বা তার চেয়েও বেশি ফযীলতপূর্ণ মনে করাও ভিত্তিহীন ধারণা।
এখানে শবে বরাতের (পনের শাবানের রাত) ফযীলত ও করণীয় বিষয়ক কিছু হাদীস যথাযথ উদ্ধৃতি ও সনদের নির্ভরযোগ্যতার বিবরণ সহ উল্লেখ করা হল।
১ম হাদীসঃ
عن مالك من يخامر , عن معاذ بن جبل, عن النبى (, قال : يطلع الله الى خلقه فى ليلة النصف من شعبان, فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن ]رواه ابن حبان وغيره, ورجاله ثقات, وإسناده متصل غلى مذهب مسلم الذى هو مذهب الحمهورفى المعنعن, ولم يحزم الذهبى بأن مكحولالم يلق مالك بن يخامر كما زعم, وإنما قاله على سبيل الحسان, راجع ,سبر أعلام النبلاء
মুআয ইবনে জাবাল বলেন, নবী করীম স. ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।
এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, এ রাতে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রহমত ও মাগফেরাতের দ্বারা ব্যপকভাবে উন্মুক্ত হয়। কিন্তু শিরকি কাজ-কর্মে লিপ্ত ব্যক্তি এবং অন্যের ব্যাপারে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী মানুষ এই ব্যপক রহমত ও সাধারণ ক্ষমা থেকেও বঞ্চিত থাকে। যখন কোন বিশেষ সময়ের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রহমত ও মাগফেরাত ঘোষণা হয়, তখন তার অর্থ এই হয় যে, এই সময় এমন সব নেক আমলের ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে যার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও মাগফেরাতের উপযুক্ত হওয়া যায় এবং ঐ সব গুণাহ থেকে বিরত থাকতে হবে। এ কারণে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রহমত ও মাগফেরাত থেকে বঞ্চিত হয়।
যেহেতু উপরোক্ত হাদীস এবং অন্যান্য হাদীসে অর্ধ-শাবানের রাতে ব্যাপক মাগফেরাতের ঘোষণা এসেছে, তাই এ রাতটি অনেক পূর্ব থেকেই শবে বরাত তথা মুক্তির রজনী নামে প্রসিদ্ধ হয়েছে। কেননা, এ রাতে গুনাহসমূহ থেকে মুক্তি লাভ হয় এবং পাপের অশুভ পরিণাম থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
যদি শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে দ্বিতীয় কোন হাদীস না থাকত, তবে এই হাদীসটিই এ রাতের ফযীলত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এবং এ রাতে মাগফেরাতের উপযোগী নেক আমলের গুরুত্ব প্রমাণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হত। অথচ হাদীসের কিতাবসমূহে নির্ভরযোগ্য সনদে এ বিষয়ক আরো একাধিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
.

হাদীসটির সনদ বা সূত্র বিষয়ক আলোচনা
.

উপরোক্ত হাদীসটি অনেক নির্ভরযোগ্য হাদীসের কিতাবেই নির্ভরযোগ্য সনদের মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে হিব্বান তার কিতাবু সহীহ এ (যা সহীহ ইবনে হিব্বান নামেই সমধিক প্রসিদ্ধ, ১৩/৪৮১ এ) এই হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। এটি এই কিতাবের ৫৬৬৫ নং হাদীস। এ ছাড়া ইমাম বাইহাকী (রহঃ) শুআবুল ঈমান এ (৩/৩৮২, হাদীস ৩৮৩৩); ইমাম তাবরানী আলমুজামুল কাবীর ও আলমুজামুল আওসাত এ বর্ণনা করেছেন। এ ছাড়াও আরো বহু হাদীসের ইমাম তাদের নিজ নিজ কিতাবে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।
হাদীসটির সনদ সহীহ। এজন্যই ইমাম ইবনে হিব্বান একে কিতাবুস সহীহ এ বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ হাদীসটিকে পারিভাষিক দৃষ্টিকোণ থেকে হাসান বলেছেন; কিন্তু হাসান হাদীন সহীহ তথা নির্ভরযোগ্য হাদীসেরই একটি প্রকার।
ইমাম মনযিরী, ইবনে রজব, নূরুদ্দীন হাইসামী, কাস্‌তাল্লানী, যুরকানী এবং অন্যান্য হাদীস বিশারদ এই হাদীসটিকে আমলযোগ্য বলেছেন। দেখুন আততারগীব ওয়াততারহীব ২/১৮৮; ৩/৪৫৯. লাতায়েফুল মাআরিফ ১৫১; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৮/৬৫; শারহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়্যা ১০/৫৬১।
বর্তমান সময়ের প্রসিদ্ধ শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) সিলসিলাতুল আহাদসিস্‌ সাহীহা ৩/১৩৫-১৩৯ এ এই হাদীসের সমর্থনে আরো আটটি হাদীস উল্লেখ করার পর লেখেনঃ
وجملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلاريب. والصحة تثبت بأقل منها عددا، مادامت سالمة من الضعف الشديد، كماهو الشأن فى هذاالحديث .
এ সব রেওয়াতের মাধ্যমে সমষ্টিগত ভাবে এই হাদীসটি নিঃসন্দেহে সহীহ প্রমাণিত হয়। তারপর আলবানী (রহঃ) ওই সব লোকের বক্তব্য খন্ডন করটা, যারা কোন ধরণের খোঁজখবর ছাড়াই বলে দেন যে, শবে বরাতের ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীস নেই।
.
ইদানিং আমাদের কতক সালাফী বা আহলে হাদিস বন্ধুকে দেখা যায়, তারা নানা ধরণের লিফলেট বিলি করেন। তাতে লেখা থাকে যে, শবে বরাত (লাইলাতুল নিস্‌ফি মিন শাবান) এর কোন ফযীলতই হাদীস শরীফে প্রমাণিত নেই। ওই সব বন্ধুরা শায়খ আলবানী (রহঃ) এর গবেষণা ও সিদ্ধান্ত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। কেননা, তাদেরকে আলবানী (রহঃ) এর বড় ভক্ত মনে হয় এবং তার কিতাবাদি অনুবাদ করে প্রচার করতে দেখা যায়। আমি ওই সব ভাইদের কাছে বিনীতভাবে আরজ করতে চাই যে, আপনারা যদি শায়খ ইবনে বাযের অনুসরণে বা নিজেদের তাহ্‌কীক মতো এই রাতের ফযীলতকে অস্বীকার করতে পারেন তাহলে যারা উপরোক্ত মুহাদ্দিস ও ফকীহগণের অনুসরণে উল্লেখিত হাদীসটির ভিত্তিতে এই রাতের ফযীলতের বিশ্বাস পোষণ করেন এবং সব ধরণের বেদআত রসম-রেওয়াজ পরিহার করে নেক আমলে মগ্ন থাকার চেষ্টা করেন তারাই এমন কি অপরাধ করে বসলেন যে, আপনাদেরকে তাদের পেছনে লেগে থাকতে হবে? এবং এখানকার উলামায়ে কেরামের দলীলভিত্তিক সিদ্ধান্তের বিপরীতে অন্য একটি মত যা ভুলের সম্ভাবনার উর্ধ্বে নয়, তা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার করে তাদেরকে আলেম-উলামার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আস্থাহীন করা এবং বাতিলপন্থিদের মিশন সফল করতে সহায়তা দেওয়া কি সত্যিকার অর্থেই খুব বেশি প্রয়োজন? এতে তো কোন সন্দেহ নেই যে, আপনারা আপনাদের মতটিকে খুব বেশি হলে একটি ইজতেহাদী ভুল-ভ্রান্তির সম্ভাবনাযুক্তই মনে করেন এবং নিশ্চয়ই আপনারা আপনাদের মতটিকে একেবারে ওহীর মতো মনে করেন না। একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন, এরপর আপনাদের এই অবস্থানের যৌক্তিক কোন ব্যাখ্যা আর থাকে কি না?
আপনাদের প্রতি আমার সর্বশেষ অনুরোধ এই যে, দয়া করে এ রাতের ফযীলত ও আমল সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) [মৃ. ৭২৮ হিঃ] এর ইক্‌তিযাউস সিরাতিল মুস্তাকিম/৬৩১-৬৪১ এবং ইমাম যায়নুদ্দীন ইবনে রজব (রহঃ) [মৃ. ৭৯৫] এর লাতায়েফুল মাআরেফ ১৫১-১৫৭ পড়ুন এবং ভেবে দেখুন যে, তাদের এই দলীলনির্ভর তাহকীক অনুসরণযোগ্য, না শায়খ ইবনে বায (রহঃ) এর একটি আবেগপ্রসূত মতামত? যা হয়ত তিনি শবে বরাত নিয়ে জাহেল লোকদের বাড়াবাড়ির প্রতিকার হিসেবেই ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু এ কথা স্পষ্ট যে, বাড়াবাড়ির প্রতিকার কোন বাস্তব সত্য অস্বীকার করে নয়; বরং সত্য বিষয়টির যথাযথ উপস্থাপনের মাধ্যমেই হয়ে থাকে।
.
এই রাতের আমল
——————
উল্লেখিত হাদীস শরীফে এ রাতের কী কী আমলের নির্দেশনা-ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তা আমি ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি। নিম্নে এ বিষয়ে আরেকটি হাদীস পেশ করছি।
হযরত আলা ইবনুল হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (স) রাতে নামাযে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হল তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা অথবা বলেছেন, ও হুমাইরা, তোমার কি এই আশংকা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার এই আশংকা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। নবীজী জিঞ্চেস করলেন, তুমি কি জান এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূলই ভাল জানেন। রাসূলুল্লাহ (স) তখন ইরশাদ করলেন,
هذه ليلة النصف من شعبان ان الله عزو جل يطلع على عباده فى ليلة النصف من شعبان فيغفر للمستغفرينويرحمالمشترحمين ويؤخر اهل الحقد كماهم
‘এটা হল অর্ধ শাবানের রাত (শাবানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনযোগ দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।‘ [শুআবুল ঈমান, বাইহাকী ৩/৩৮২-৩৬৮]
ইমাম বাইহাকী (রহঃ) এই হাদীসটি বর্ণনার পর এর সনদের ব্যাপারে বলেছেন,
هذا مرسل جيد
এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়, এ রাতে দীর্ঘ নফল পড়া, যাতে সেজদাও দীর্ঘ হবে, শরীয়তের দৃষ্টিতে কাম্য। তবে মনে রাখতে হবে যে, অনেক অনির্ভরযোগ্য ওয়ীফার বই-পুস্তকে নামাযের যে নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন লেখা আছে অর্থাৎ এত রাকআত হতে হবে, প্রতি রাকআতে এই সূরা এতবার পড়তে হবে - এগুলো ঠিক নয়। হাদীস শরীফে এসব নেই। এগুলো মানুষের মনগড়া পন্থা। সঠিক পদ্ধতি হল, নফল নামাযের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী দুই রাকআত করে যত রাকআত সম্ভব হয় পড়তে থাকা। কুরআন কারীম তেলওয়াত করা। দরূদ শরীফ পড়া। ইস্‌তেগফার করা। দুআ করা এবং কিছুটা ঘুমের প্রয়োজন হলে ঘুমানো। এমন যেন না হয় যে, সারা রাতের দীর্ঘ ইবাদতের ক্লান্তিতে ফজরের নামায জামাআতের সাথে পড়া সম্ভব হল না।
.
পরদিন রোযা রাখা
———————
সুনানে ইবনে মাজায় বর্ণিত হয়েছে
عن على بن ابى طالب رضى الله عنه قال : قال رسول الله (() : إذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا نهارها, فإن الله ينزل فيهالغروب الشمس الى سماء الدنيا, فيقول : ألا من مستغفر فاغفر له على مستزرق فأرزقه, ألا مبتلى فأعافيه , ألا كذا, ألا كذا, حتى يطلع الفجر
হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, জ্ঞপনের শাবানের রাত (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগীতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোযা রাখ। কেননা, এ রাতে সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে আসেন এবং বলেন, কোন ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। আছে কি কোন রিযিক প্রার্থী? আমি তাকে রিযিক দেব। এভাবে সুব্‌হে সাদিক পর্যন্ত আল্লাহ তাঞ্চআলা মানুষের প্রয়োজনের কথা বলে তাদের ডাকতে থাকেন।ঞ্চ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৩৮৪]
এই বর্ণনাটির সনদ যয়ীফ। কিন্তু মুহাদ্দিসীন কেরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হল, ফাযায়েলের ক্ষেত্রে যয়ীফ হাদীস গ্রহণযোগ্য। তাছাড়া শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোযা রাখার কথা সহীহ হাদীসে এসেছে এবং আইয়ামে বীয অর্থাৎ প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোযা রাখার বিষয়টিও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
বলা বাহুল্য, পনের শাবানের দিনটি শাবান মাসেরই একটি দিন এবং তা আয়্যামে বীযের অন্তর্ভূক্ত। এজন্য ফিক্‌হের একাধিক কিতাবেই এদিনে রোযাকে মুস্তাহাব বা মাসনূন লেখা হয়েছে। আবার অনেকে বিশেষভাবে এ দিনের রোযাকে মুস্তাহাব বা মাসনুন বলতে অস্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ ত্বাকী উসমানী (দাঃবাঃ) তার ইসলাহী খুতুবাতে বলেন, ‘আরো একটি বিষয় হচ্ছে শবে বরাতের পরবর্তী দিনে অর্থাৎ শাবানের পনের তারিখে রোযা রাখা। গভীরভাবে বিষয়টি উপলব্ধি করা প্রয়োজন। হাদীসে রাসুলের বিশাল ভান্ডার হতে একটি মাত্র হাদীস এর সমর্থনে পাওয়া যায়। তাতে বলা হয়েছে, -শবে বরাতের পরবর্তী দিনটিতে রোযা রাখ।‘ সনদ বর্ণনার সূত্রের দিক থেকে হাদীসটি দুর্বল। তাই এ দিনের রোযাকে এই একটি মাত্র দুর্বল হাদীসের দিকে তাকিয়ে সুন্নাত বা মুস্তাহাব বলে দেওয়া অনেক আলেমের দৃষ্টিতে অনুচিত।’
তবে হ্যাঁ, শাবানের গোটা মাসে রোযা রাখার কথা বহু হাদীসে পাওয়া যায়। অর্থাৎ ১ শাবান থেকে ২৭ শাবান পর্যন্ত রোযা রাখার যথেষ্ট ফযীলত রয়েছে। কিন্তু ২৮ ও ২৯ তারিখে রোযা রাখতে রাসূলুল্লাহ (স) নিজেই বারণ করেছেন। ইরশাদ করেন, রমযানের দুএকদিন পূর্বে রোযা রেখো না।ঞ্চ যাতে রমযানের পূর্ণ স্বস্তির সাথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়। কিন্তু ২৭ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিনের রোযাই অত্যন্ত বরকতপূর্ণ।
একটি লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হচ্ছে যে, শাবানের এই ১৫ তারিখটি তো ‘আইয়ামে বীয’ এর অন্তর্ভূক্ত। আর নবীজী প্রতি মাসের আইয়ামে বীয এ রোযা রাখতেন। সুতরাং যদি কোন ব্যক্তি এই দুটি কারণকে সামনে রেখে শাবানের ১৫ তারিখের দিনে রোযা রাখে যা আইয়ামে বীয এর অন্তর্ভূক্ত, পাশাপাশি শাবানেরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন, তবে ইনশাআল্লাহ নিশ্চয়ই সে প্রতিদান লাভ করবে। তবে শুধু ১৫ শাবানের কারণে এ রোযাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে সুন্নাত বলে দেওয়া অনেক আলেমের মতেই সঠিক নয়। আর সে কারণেই অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম মুস্তাহাব রোযার তালিকায় মুহাররমের ১০ তারিখ ও আইয়ামে আরাফা (যিলহজ্জের ৯ তারিখ) এর কথা উল্লেখ করেছেন অথচ শাবানের ১৫ তারিখের কথা পৃথকভাবে কেউই উল্লেখ করেননি। বরং তারা বলেছেন, শাবানের যে কোন দিনই রোযা রাখা উত্তম। সুতরাং এ সকল বিষয়ের দিকে দৃষ্টি রেখে যদি কেউ রোযা রাখে তরে ইনশাআল্লাহ সে সওয়াব পাবে। তবে মনে রাখতে হবে যে, রোজা রাখার ব্যাপারে এ মাসের নির্দিষ্ট কোন দিনের পৃথক কোন বৈশিষ্ট নেই।
.
এ রাতের নফল আমলসমূহ সম্মিলিত নয়, ব্যক্তিগত
————————————
এ রাতের নফল আমলসমূহ, বিশুদ্ধ মতানুসারে একাকীভাবে করণীয়। ফরয নামাযতো অবশ্যই মসজিদে আদায় করতে হবে। এরপর যা কিছু নফল পড়ার তা নিজ নিজ ঘরে একাকী পড়বে। এসব নফল আমলের জন্য দলে দলে মসজিদে এসে সমবেত হওয়ার কোন প্রমাণ হাদীস শরীফেও নেই আর সাহাবায়ে কেরামরে যুগেও এর রেওয়াজ ছিল না। [ইক্‌তিযাউস সিরাতিল মুসতাকীম ২/৬৩১-৬৪১; মারাকিল ফালাহ ২১৯]
তবে কোন আহবান ও ঘোষণা ছাড়া এমনিই কিছু লোক যদি মসজিদে এসে যায়, তাহলে প্রত্যেকে নিজ নিজ আমলে মশগুল থাকবে, একে অন্যের আমলের ব্যাঘাত সৃষ্টির কারণ হবে না।
কোন কোন জায়গায় এই রেওয়াজ আছে যে, এ রাতে মাগরিব বা ইশার পর থেকেই ওয়াজ-নসীহত আরম্ভ হয়। আবার কোথাও ওয়াজের পর মিলাদ-মাহফিলের অনুষ্ঠান হয়। কোথাও তো সারা রাত খতমে-শবীনা হতে থাকে। উপরন্তু এসব কিছুই করা হয় মাইকে এবং বাইরের মাইকও ছেড়ে দেওয়া হয়।
মনে রাখতে হবে, এসব কিছুই ভুল রেওযাজ। শবে বরাতের ফাযায়েল ও মাসায়েল আগেই আলোচনা করা যায়। এ রাতে মাইক ছেড়ে দিয়ে বক্তৃতা-ওয়াজের আয়োজন করা ঠিক না। এতে না ইবাদতে আগ্রহী মানুষের পক্ষে ঘরে বসে একাগ্রতার সাথে ইবাদত করা সম্ভব হয়, আর না মসজিদে। অসুস্থ ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় আরামেরও মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। আল্লাহ আমাদের এসব ভুল কাজকর্ম পরিহার করার তাওফীক দিন।
Image may contain: 2 people, text

০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৪২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মাঝের মন্তব্যটি মাহফুজুর রহমান থেকে সংগৃহিত। আমি কিছু যোগ করিনি।

০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আর আপনি যা পড়েছেন-
শবে বরাত
আল্লাহ ক্বোরআন নাজিলের ক্ষেত্রে দুটি রাতের কথা বলেছেন। একটি লাইলাতুল ক্বদর, সূরা ক্বদর-আয়াত নং -১। অন্যটি লইলাতুম মুবারাকাহ, সূরা দুখান – আয়াত নং – ৩।
আল্লাহ দুইজন রাসুলের মাধ্যমে ক্বোরআন নাজিল করেছেন। একজন মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ (সঃ)। অন্যজন হজরত জীবরাঈল (আঃ), সুরা তাকভীর- আয়াত নং-১৯।
ক্বোরআন নাজিলের স্থান দু’টি। একটি পৃথিবী অন্যটি চতুর্থ আকাশ। আর ক্বোরআন সংরক্ষিত সপ্ত আকাশে লওহে মাহফুজে।
ক্বোরআন ও হাদীসে দু’টি রাতের কথা আছে, একটি লাইলাতুল ক্বদর ও অন্যটি নেসফে শা’বান যাকে ফারসিতে শবে বরাত বলে।
লাইলাতুম মুবারাকাতিন এর রাতে প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়। সুরা দুখান- আয়াত নং-৪।
তারমানে ভাগ্য রজনীও দু’টি একটিতে ভাগ্য স্থিরকৃত হয় আর অপরটিতে উহা চুড়ান্ত হয়।
[মহানবী (সঃ) ক্বোরআনের বাস্তবায়ন করেছেন যার সময় কাল ছিল ২৩ বছর। তারমানে ক্বোরআন রমজানের ২৩ তারিখে অবতীর্ণ হয়ে ২৩ বছরে বাস্তবায়িত হয়েছে। আর দুই ও তিন যোগ করলে পাঁচ হয়। আর ইসলামের ভিত্তি পাঁচ টি। দুইবার অবতীর্ণ হওয়ার সময় বিসমিল্লাহ সহ অবতীর্ণ হওয়ায় এর অক্ষর সংখ্যা পাওয়া যায় আটত্রিশটি যার থেকে নেছফে শা’বান পনর বিয়োগ দিলে হয় তেইশ। এখন রমজানের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাত্রিতে শবে ক্বদর তালাশ করতে বলায় আমি তালাশ করে তেইশ তারিখ পেলাম, যা আমার অনুমান।এটাকে সত্য হিসেবে মানার সংগত কোন কারণ নেই]
শবে বরাত সংক্রান্ত তিনটি হাদীস রেওয়ায়েত করেছেন যথাক্রমে (১) হজরত আলী (রাঃ) (২) হজরত আয়েশা (রাঃ) ও হজরত আবু মুছা আল আশআরী (রাঃ)।হাদীস তিনটি নিম্নরূপ।
শাবান মাসের মধ্য রাত্রির ফযীলত সম্পর্কে কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে: ১.আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন: এক রাতে আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের হলাম, আমি তাকে বাকী গোরস্তানে পেলাম। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন: তুমি কি মনে কর, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার উপর জুলুম করবেন? আমি বললাম: ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধারণা করেছিলাম যে আপনি আপনার অপর কোন স্ত্রীর নিকট চলে গিয়েছেন। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: ‘মহান আল্লাহ তা’লা শাবানের মধ্যরাত্রিতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং কালব গোত্রের ছাগলের পালের পশমের চেয়ে বেশী লোকদের ক্ষমা করেন। হাদীসটি ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেন (৬/২৩৮), তিরমিযি তার সুনানে (২/১২১,১২২) বর্ণনা করেন। অনুরূপভাবে হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৯) বর্ণনা করেছেন।
২. আবু মূসা আল আশআরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা শাবানের মধ্যরাত্রিতে আগমণ করে, মুশরিক ও ঝগড়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের ব্যতীত, তাঁর সমস্ত সৃষ্টিজগতকে ক্ষমা করে দেন। হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৫৫, হাদীস নং ১৩৯০),এবং তাবরানী তার মুজামুল কাবীর (২০/১০৭,১০৮) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তাবরানী বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে আল্লামা হাইসামী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) মাজমা আয যাওয়ায়েদ (৮/৬৫) গ্রন্থে বলেনঃ ত্বাবরানী বর্ণিত হাদীসটির সনদের সমস্ত বর্ণনাকারী শক্তিশালী। হাদীসটি ইবনে হিব্বানও তার সহীহতে বর্ণনা করেছেন। এ ব্যাপারে দেখুন, মাওয়ারেদুজ জামআন, হাদীস নং (১৯৮০), পৃঃ (৪৮৬)।
৩. আলী ইবনে আবী তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যখন শাবানের মধ্যরাত্রি আসবে তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম তথা রাতভর নামায পড়বে, আর সে দিনের রোযা রাখবে; কেননা সে দিন সুর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: ক্ষমা চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি ক্ষমা করব। রিযিক চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি রিযিক দেব। সমস্যাগ্রস্ত কেউ কি আছে যে আমার কাছে পরিত্রাণ কামনা করবে আর আমি তাকে উদ্ধার করব। এমন এমন কেউ কি আছে? এমন এমন কেউ কি আছে? ফজর পর্যন্ত তিনি এভাবে বলতে থাকেন”।
হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৮) বর্ণনা করেছেন।
ক্বোন ক্বোন তাবেঈ হাদীস গুলো জয়ীফ বা দূর্বল বলেছেন, যদিও কোন হাদীসকে জয়ীফ বলার কোন সুযুগ নেই। কারণ এসব হাদীস মহানবীর (সঃ) হাদীস নয় বলে প্রমাণ করা যায়নি। এগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী বলেই হাজার চেষ্টা করেও এসব হাদীস মহানবীর (সঃ) হাদীস নয় বলে প্রমাণ করা যায়নি।
অতি ছুফি আব্দুল্লাহ ইবনে শাবা নামক ছদ্মবেশী ইহুদী যাকে প্রাথমিকভাবে হজরত আলী (রাঃ) পর্যন্ত সনাক্ত করতে পারেননি।ইসলামের ভয়াবহ ক্ষতি সাধনের পর সে সনাক্ত হয়। সেই শাবার এজেন্টরা ছহী হাদীসের রাবীদের কূৎসা রটিয়ে তাদের জয়ীফে পরিণত করে। তারপর ছহী হাদীসকে জয়ীফ ঘোষণা করে। ভুল বশত অনেকে সেটা মেনে নেয়। অবাক করার বিষয় হলো সেই চক্র ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) পর্যন্ত জয়ীফ বলে। যদিও তাঁর অনুসারী শতকরা আশিভাগ মুসলমান।
আল্লাহ মুসলমানদের মধ্যমপন্থি জাতি বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন তিনি কাহাকেও সাধ্যের অতীত কষ্ট দিতে চাননা।মহানবী (সঃ)অতি ছুফি পছন্দ করতেন না।এমনিতেও কথা আছে বাড়াবাড়ি বা অতিরিক্ত সব কিছুই মন্দ।সুতরাং অতি ছুফি থেকে সব সময় সাবধান থাকতে হবে। অতি ছুফিরা তাদের ভন্ডামি ঢাকতেই অতি ছুফি গিরি দেখায়।হজরত আদমের (আঃ) কাল থেকেই ইসলামের বিধি-বিধান স্বাভাবিক বিধি-বিধান যা কারো সাধ্যের বাইরে নয়।
ইহুদী চক্রান্তকারীরা চিরকাল মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে।ন শবেবরাত অস্বীকার তার মধ্যে একটি।তারা একাজে একজন প্রভাবশালী তাবেঈ হজরত আতা ইবনে আবু রাবাহকে (রঃ) ব্যবহার করেছে। আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা যেখানে হজরত আলীকে (রাঃ) ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে সে খানে হজরত আতা ইবনে আবি রাবাহ (রঃ) এর মত ভদ্রলোকতো তাদের কাছে নস্যি।কিন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা সনাক্ত হলেও হজরত আতা ইবনে আবি রাবাহ এর নেপথ্যের কুশিলভ ধরা পড়েনি। ফলে জয়ীফ সংগীত ইসলামে চলছেতো চলছেই।যা মুসলমানদের প্রধান ইমামকেও এখন পর্যন্ত ফেলে দেওয়ার অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে।আরেক ভদ্রলোক ইমাম বোখারীকেও (রঃ) তারা তাদের কাজে ব্যাবহার করতে সক্ষম হয়েছে।এখন এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে বৃটিশ, ইসরায়েল ও আমেরিকা সৃষ্ট আহলে হাদীস।
নতুবা শবেবরাতে মুসলমানেরা ইবাদত বন্দেগী করছে এতে বিরোধীতার কি আছে? এ রাত্রেতো কেউ মসজিদে গিয়ে নাচগান করছেনা।তাহলে বিরোধীতা কেন? ওরা আলেম ওলামাদের বিভ্রান্ত করতে পারেনা তাই জাহেল ধরে ধরে বিভ্রান্ত করে।
মহানবী (সঃ) বিদায় হজ্জের ভাষনে হাদীস সংক্রান্ত যে ভাষণ দেন, তা’ছাড়া কখনই তিনি তাঁর হাদীসের শ্রেণীভেদ করেনি।কাজেই তাঁর হাদীসের শ্রেনীভেদ করা জঘন্যতম বিদয়াত। এটা ইহুদী আবিষ্কার যা তারা ভদ্র ঈমানদার দের গিলাতে সক্ষম হয়েছে। তবে মেধাবীদের তারা এটা গিলাতে পারেনি।
মহানবীর (সঃ) হাদীসের হাকীকত হলো যা তাঁর হাদীস নয় বলে সাব্যস্ত হয়নি তা’অবশ্যই তাঁর হাদীস হিসেবে সাব্যস্ত হবে এবং তা পালনীয় হবে।আর তাঁর হাদীস হিসেবে যা সাব্যস্ত তা’ অস্বীকার করা কুফুরী। আর অমান্য করা মাকরূহ। আর অবমাননা করা গুনাহে কবীরা।কোন রাষ্ট্র কোন ব্যক্তি কি করছে তা’ কোন প্রমাণ নয়।প্রমাণ হলো আল্লাহর ক্বোরআন ও নবীর (সঃ) হাদীস। আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে চির অবিচল রাখুন, আমিন।

৩| ০৭ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:০৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সাহাবীদের দিনপঞ্জি ছিল না - এটা বলাটা একদম হাস্যকর হয়ে গেল না? সাহাবী, তাবেঈ, তাবে তাবেঈন কারোরই তো মীলাদুন্নবী(সঃ) এর উদাহরণ নেই। আর আমাদের রাসুল (সঃ) নিজেও কী কোনদিন তাঁর জন্মদিন পালন করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন? সূত্র আছে?

০৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: জনাব আপনার তালগাছ,সাহাবী, তাবেঈ, তাবে তাবেঈন কারোরই তো মীলাদুন্নবী(সঃ) এর উদাহরণ নেই। তাহাদের সাথে আপনি ছিলেন না। আপনার কাছে তাহাদের সত্যায়িত দিনলিপি নেই। তবে আপনার কথা সঠিক তা কি করে মানা যায়? এমন ভিত্তিহীন কথা বলার দরকার কি? কথাতো আপনারটা অনেক বেশী হাস্যকর!

৪| ০৭ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব সুস্দর লিখেছেন মিলাদুন্নবী নিয়ে ।
পোষ্ট টি প্রিয়তে গেল ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

০৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মহোদয় আপনার মন্তব্যে আমি আনন্দীত। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন - আমিন।

৫| ০৭ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ত নং মন্তব্যের প্রতি উত্তরটি খুবই মুল্যবান ও তাৎর্যপুর্ণ ।
অনেক কিছু শিখার আছে ।
মিলাদুন্নবীতে যত বেশি দুরুদ পড়া যাবে ততই মঙ্গল ।
সবে বরাতে সারারাত জেগে ইবাদত করা খুবই উত্তম ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

০৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মহোদয় আপনার জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৬| ০৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখার সাথে রেফারেন্স দিলে ভাল করতেন।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মনে করেন বিষয়টি আমি জানি। এখন রেফারেন্স দিতে গেলে আবার প্রচুর খোঁজা খুঁজি করতে হয়। সময় সল্পতায় অনেক সময় সেটা আর হয়ে উঠেনা। তো মীলাদ মহা জরুরী কিছু বিষয় নয়। আমি শুধু বুঝাতে চাচ্ছি যারা এটাকে নাজায়েজের কাতারে ঠেলে ফেলে দিতে চায় তাদের স্বরূপ কি হতে পারে!

৭| ০৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ মিলাদ সম্পর্কে আপনার চিন্তাধারা তুলে ধরার জন্য।

শিরনাম দেখে আশা করেছিলাম কোরআন হাদীসের উপযুক্ত রেফারেন্স আলোচনায় থাকবে। কিন্তু আবু লাহাবের আঙ্গুল দিয়ে দুধ বের হওয়া সংক্রান্ত হাদীস ছাড়া আর কোন রেফারেন্স পেলাম না। ঐ হাদীস থেকেতো এটাও বোঝা যায় যে মিলাদ পড়ে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। আবু লাহাবেরমত জাহান্নামে গিয়ে শুধুমাত্র আঙ্গুলের দুধ খেতে চাওয়া যৌক্তিক কি না ভেবে দেখা দরকার।

তবে শেষের দিকে এসে আপনি যে দৃষ্টিভঙ্গীতে হাদীসের ব্যাপারে কথা বল্লেন তা কিন্তু খুবই বিপজ্জনক হয়ে গেল।

"হাদীসে না পাওয়ার কারণ শুধুমাত্র ইমাম বোখারী ছহী হিসেবে গ্রহণ করে তিরানব্বই হাজার হাদীস ফেলে দিয়েছেন। তো কেউ যদি হাদীস কালেকশন করে ফেলে দেয় তো কোন জিনিস হাদীসে পাওয়া যাবে কেমন করে?"

এই যুক্তি যদি মেনে নেয়া হয় তাহলে কোন আমলটা সুন্নত আর কোনটা নয় তা মাপার উপায় কী থাকে? যে কেউ যেকোন একটা বিদাতকে সুন্নত হিসেবে দ্বাবি করলে আপনি কোন যুক্তিতে বলবেন যে সেটা সুন্নত নয় বরং বিদাত? যদি আপনি বলেন সেটা হাদীসে নাই, তাহলেতো সে আপনাকে এই একই যুক্তি দেখিয়ে দেবে। তাহলে সুন্নত আর বিদাত চেনার উপায় কী থাকল? না কি আপনি মনে করেন সুন্নত/বিদাত চেনার দরকার নাই, ইসলামের নামে যা কিছু সমাজে প্রচলিত আছে তার সবই সঠিক??

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কোন কাজ হাদীসে নেই কিন্তু ক্বোরআনে আছে। আবার ক্বোরআনে সরাসরি নেই কিন্তু কিয়াছ করে পাওয়া যায়। আবার ঘটনা হলো ক্বোরআন ও হাদীস দুটোতেই আছে আপনি পাননি।অথচ দেখাগেল আপনার নিজের যেখানে জ্ঞানের স্বল্পতা সেখানে আপনি আরেক জনের আমলকে গায়ের জোরে বেদাত বলে দিলেন। তবে ব্যাপারটা কেমন হল? কোন কাজ যদি ইসলামের নামে থেকে থাকে আর সেটা যে ইসলামের তার প্রমাণও যদি থাকে তবে আপনি সেটাতে একলা হাদীসে নেই বা সাহাবায়ে কেরামের আমল নয় বলে বেদাত ঘোষণা করতে পারেন না। আপনার সে অধিকার নেই। কারণ ইসলামের প্রধান মানদন্ড ক্বোরআন আপনি সেটা উপেক্ষা করতে পারেননা।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মীলাদ জাহান্নাম মুক্তির উপায় যেমন নয় তেমনি এটা জাহান্নামে যাওয়ার কারণও নয়। এটাকে আপনি ইসলামের একটা কাজ বলতে পারেন। এটা নবীর (সঃ) সীরাত ও ছুরতের আলোচনা। মীলাদে মহানবীর (সঃ) কিছু বিশেষত্ব বলা হয়, যেমন তিনি নূরের রবি, ধ্যানের ছবি। তাাঁর চরিত্র উত্তম। তো নূরের রবি মানে আলোর সূর্য। আর বলা হয় তাঁর জন্মে অনেক আনন্দের কথা। আমি বুঝিনা নবীর(সঃ) জন্ম বৃত্তান্ত, জীবন বৃতান্ত, তাঁর চরিত্র বৃত্তান্ত, তাঁর আগমন নিয়ে আনন্দ প্রকাশ, তাঁর প্রতি দরূদ পাঠ, তাঁর প্রতি সালাম পেশ এসবে ইসলামের কি ক্ষতি নিহিত? আমিতো দেখেছি এসবে ঈমান তাজা হয়।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার কথা একটাই আর তা’হলো সাহাবা (রাঃ) ও হাদীসের নামে মিথ্যা কথা বলে ইসলামী স্প্রিট নষ্ট করতে দেওয়া যাবেনা।

৮| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:২৬

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: সবই বুঝলাম, তবে খালি এটুকু বলুন যে আপনার পোস্টের সাথে ছবিটার কি সম্পর্ক।
আর বলুন মীলাদ কেন শুধু এই ভারতীয় উপমহাদেশে পড়া হয়? বাকি বিশ্ব কি চাবে না যে ইবলিশের গায়ে আগুন লাগুক? স্বয়ং মধ্যপ্রাচ্যই তো মীলাদ পড়েনা।
মীলাদ পড়লে যে ইবলিশের গায়ে আগুন লাগে এই গূঢ় তত্ত্ব কোথা থেকে আবিষ্কার করলেন বলবেন প্লিজ ।
মিলাদের আইটেম তিনটি (১) নবীর (সঃ) জন্ম বৃত্তান্ত (২) দরুদ পাঠ (৩) সালাম পাঠ। প্রথমটি হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত। পরের দু’টি ক্বোরআন দ্বারা সাব্যস্ত। এযুক্তি আপনার একদম মিথ্যা, মিলাদ বিদআত।
মহানবী (সঃ) বলেছেন তোমরা ইহুদী খ্রিস্টানের মতো জন্মদিন পালন করোনা। তারামানে তোমরা মুসলমানের মতো জন্মদিন পালন কর। তারমানের পরের অংশটুকু আপনার বানানো নয় কি?
মুসলমানদের মারামারি কাটাকাটি যুগে সম্ভবত মিলাদ সাময়ীক বন্ধ ছিল। সুতরাং যারা আবার এটা চালু করেছে তারা একশ শহীদের সোয়াব পাবে। আপনি দেখি মুফতি! নিজে নিজেই ফতোয়া বের করেন।
তারমানে তারমানে দিয়ে আপনার লেখা ভর্তি। এতো বিশ্লেষণী ক্ষমতা মাথায় নিয়ে রাতে ঘুম হয়তো?
ভালো হন ভাই, ভালো হন। বিকৃতির শীর্ষে থাকা ইসলামকে আর বিকৃতির মধ্যে জড়াবেন না।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খালি এটুকু বলুন যে আপনার পোস্টের সাথে ছবিটার কি সম্পর্ক। এর দারা বুঝানো হয়েছে এটা ইসলামের বাইরের কিছু নয়।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: স্বয়ং মধ্যপ্রাচ্যই তো মীলাদ পড়েনা। ওরা যা অপচয় করে সেটাতো ক্বোরআন ঘোষিত শয়তানের কাজ। সুতরাং শয়তানের কাজ হিসেবেই তারা এটা বাদ দিয়েছে।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মীলাদ পড়লে যে ইবলিশের গায়ে আগুন লাগে এই গূঢ় তত্ত্ব কোথা থেকে আবিষ্কার করলেন বলবেন প্লিজ । মহানবী (সঃ) মহান আল্লাহর খাস লোক বা খাস বন্ধু। যেহেতু শয়তান আল্লাহর শত্রু, তো শত্রুর বন্ধু তার শত্রু। তো শত্রুর বন্ধুর চরিত্র চুরৎ সিরাত জন্ম বৃত্তান্ত তাঁর (সঃ) প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ করা হলে ইবলিশের গায়ে আগুন না লাগার কোন কারণ থাকতে পারেকি? এ গুলি কি কোন ভাবে তার প্রিয় হওয়ার কথা? এখন যদি এগুলো তার অপ্রিয় হয় এবং আল্লাহর যদি প্রিয় হয় তবে এগুলো অবশ্যই ইসলাম। পথ ভ্রষ্টতা বা বিদয়াত নয়।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এযুক্তি আপনার একদম মিথ্যা, মিলাদ বিদআত। আপনার এ কথার স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তারমানের পরের অংশটুকু আপনার বানানো নয় কি? বানানো হবে কেন এটাইতো হাদীসের পরিস্কার অর্থ।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বিকৃতির শীর্ষে থাকা ইসলামকে আর বিকৃতির মধ্যে জড়াবেন না। সঠিক ইসলামকে আপনার প্রতি নিয়ত বিকৃত করছেন আপনাদের হাদীসের মনগড়া ব্যাখ্যা দ্বারা। আমি সেটাকে তার সঠিক রূপে ধরে রাখার চেষ্টা করছি মাত্র। আমার কবরে আপিনি যাবেন না। কাজেই আমাকে আমার ভাল বুঝতে দিন। ধোকাবাজি পরিত্যাগ করুন। আপনার নিক বলছে আপনি সমাজ থেকে আলাদা হিংস্র বন্য প্রানী।

৯| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪২

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: আপনাকে কেউ কি আগে বলেছে যে আপনি একজন ধুরন্ধর ধর্মব্যবসায়ী জাতের লোক যে কিনা এই এলাকায় প্রচলিত বিদআতের পক্ষে মোল্লাপার্টির হয়ে দালালি করেন মাত্র? আপনি আসলে একজন ধর্মবিকৃতিকারী শয়তান?
না বলে থাকলে শুনে রাখুন, আপনি ঠিক তাই।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কথাটা মনে হয় কোন ইবলিশ বল্ল।

১০| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: যা বলছেন সবই তো আপনার বানানো। হাদীস-কোরআন-সুন্নাহ ছেড়ে এবার ফরিদী ইসলাম হবে, চার মাযহাবের পর এবার নতুন মাযহাব। খুব ভালো।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি নিখাঁদ হানাফী বা এক আল্লাহর ইবাদতে বিশ্বসী।

১১| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: হানাফী মানেই শুধু একত্ববাদী? বাকি দল কি দোষ করলো? আর ইহুদী-বাহাই সবাই একত্ববাদী। এই এলাকায় আপনার দলের লোক বেশী, আরেক এলাকায় আরেক মাযহাব। মাযহাবীদের চেয়ে আহলে-হাদীস বেশী হলে আপনি বলতেন কথা অন্যসুরে।
মাযহাবীরা ইসলামে যত বিদআত আমদানী করেছে এমনটা আর কোনও দল করতে পারেনি।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মাযহাবীরা ইসলামে যত বিদআত আমদানী করেছে এমনটা আর কোনও দল করতে পারেনি। ওটা আপনাদের মনগড়া ফতোয়ায় সাব্যস্ত বিদয়াত। এ নিয়ে মুসলমানদের মাথা ঘামানোর কিছুই নেই।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হানাফী মানেই শুধু একত্ববাদী? হানাফী শব্দের অর্থই এক আল্লাহর ইবাদত কারী। ওটা হানাফী শব্দের শাব্দিক অর্থ।

১২| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: আপনারাই ইসলামটাকে এদেশে রূপকথা আর বাচ্চাদের কিসসা দিয়ে ভরে দিয়েছেন। আর কুরআন-হাদীসের অপব্যাখ্যা দিয়ে মিলাদ, শবে-বরাত, কুলখানী, চল্লিশার সত্যতা যাচাই করেন।
আর আপনার দলের লোক দেখছি অনেক এই ব্লগে, একজন মোল্লা বাবাজীও আছেন।
ভালো, চালিয়ে যান। যত বেশী লোকদের বিদআতের পথে আনতে পারবেন আপনাদের তত আয় বাড়বে।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমরা আপনাদের কুফুরী আকিদা থেকে লোকদের সাবধান করছি। এরাতো আমাদেরই লোক, তাদের ভাল দেখা আমাদের কর্তব্য। আপনারা যা করেন করেন সেটা আমার মাথা ব্যাথা নয় শুধু আমাদের এক আল্লাহর ইবাদত কারীরা যেন আপনাদের কুফুরি আকিদায় আক্রান্ত না হয় সেই চেষ্টাই করছি প্রতি নিয়ত।আল্লাহ আমাদেরকে যাবতীয় কুফুরি আকিদা থেকে হেফাজত রাখুন- আমিন।

১৩| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:০১

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: আপনার সাথে পারা যাবেনা ভাই, এখানে যে যত সওয়াবের লোভ দেখায় তার তত আয় হয়। বিদআতী শয়তান কোথাকার।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার সাথে পারা যাবেনা ভাই, এখানে যে যত সওয়াবের লোভ দেখায় তার তত আয় হয়। বিদআতী শয়তান কোথাকার। কথাটা মনে হয় নিজেরেই কইলেন। যাক শেষ পর্যন্ত নিজের সঠিক পরিচয় স্বীকার করলেন তো!

১৪| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: শেষ কথা বলি, ইমাম আবু হানীফার হাতে তৈরী নামের পক্ষে অন্তত আমাকে জ্ঞান দেবেননা। আরবীতে হানাফী মানে গুবরে পোকা।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শেষ কথা বলি, ইমাম আবু হানীফার হাতে তৈরী নামের পক্ষে অন্তত আমাকে জ্ঞান দেবেননা। আরবীতে হানাফী মানে গুবরে পোকা। মাথায় গোবর ভরা থাকলে গোবরে পোকার দিকে নজরতো যাবেই, এ আর এমন কি?

১৫| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

ফকির জসীম উদ্দীন বলেছেন: মিলাদ নিয়ে অনেক মতভেদ থাকা সত্তেও আমি মিলাদের দিন যতটুকু পারি রাসুল (সা:)'র প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ করতে থাকি।
আমার কথা হচ্ছে ভাই, সারাবছরই কি রাসুল(সা:) জন্মগ্রহণ করেছেন যে কতিপয় মুসলমানদের সারা বছরই মিলাদ পড়ার জন্যে চুলকায়। সত্যকে বিকৃত করার পায়তারা নয় কি!
অতি ভক্তি তো চোরের লক্ষণ, যা মাযহাব ও লা মাযহাব পন্থীদের ভিতরে কতিপয় লক্ষণীয়।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নবী (সঃ) সারা বছর জন্ম গ্রহণ না করলেও সারা বছর তাঁর জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনায় দোষের কি দেখলেন? তাছাড়া মীলাদের আলচ্য সূচি হলোঃ-
০১। মহানবীর (সঃ) জন্ম বৃত্তান্ত
০২। তাঁর সীরাত
০৩ তাঁর ছুরাত
০৪। তাঁর চরিত্র
০৫। তাঁর গুণাবলী
০৬। তাঁর প্রতি দরূদ পাঠ
০৭। তাঁর প্রতি সালাম পাঠ।
আপনি শুধু এক আইটেম ধরে বসে থাকলেতো হবেনা।

১৬| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

হাফিজ রাহমান বলেছেন: ঈদে মীলাদুন্নবী অর্থ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম উৎসব বা জন্ম বার্ষিকী পালন করা। বস্তুত কারো জন্ম বা মৃত্যু দিবস পালন করার বিষয়টি ছিল আরবের মানুষের কাছে একেবারেই অজ্ঞাত। এসব দিবস পালন মূলত অনারবীয় সংস্কৃতির অংশ। পারস্যের অগ্নিপূজক ও বাইযান্টাইন খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল জন্ম দিবস, মৃত্যু দিবসসহ দিবসকেন্দ্রিক নানা উৎসব পালন করা। প্রথম যুগের মুসলিমগণ এসব দিবস পালনের বিষয়ে অবগত ছিলেন না। প্রথম ও দ্বিতীয় শতাব্দীতে পারস্য, সিরিয়া, মিসর ও এশিয়া মাইনরের যে সকল মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে তারা জীবনের সকল ক্ষেত্রে সাহাবীদের অনুসরণ অনুকরণ করতেন এবং তাদের জীবনাচারে আরবীয় রীতিনীতিরই প্রাধান্য ছিল। হিজরী তৃতীয় শতাব্দী থেকে মুসলিম সম্রাজ্যে অনারব পার্সিয়ান এবং তুর্কী মুসলিমদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে মুসলিম সম্রাজ্যে নানা ধরনের সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিনীতির প্রচলন ঘটতে থাকে। তন্মধ্য হতে ঈদে মীলাদুন্নবী অন্যতম। মূলত চতুর্থ হিজরী শতাব্দির মাঝামাঝি থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগেই দুই ঈদের বাইরে কোনো দিবসকে ঈদের মত করে সামাজিকভাবে উদযাপনের ধারা শুরু হয় । সর্বপ্রথম ৩৫২ হিজরীতে (৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দ) বাগদাদের আব্বাসী খলীফার প্রধান প্রশাসক ও রাষ্ট্রের প্রধান নিয়ন্ত্রক শিয়া শাসক মুইজ্জুদ্দৌলা ১০ই মুহাররম আশুরাকে শোক দিবস ও জিলহজ্জ মাসের ৮ তারিখকে গাদীরে খুম দিবস তথা উৎসব দিবস হিসেবে পালন করার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে এ দুটি দিবস সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সাথে পালন করা হয়। অন্যদিকে উবাইদ বংশের রাফেযী ইসমাঈলী শিয়াগণ ফাতেমী বংশের নামে আফ্রিকার উত্তরাংশে রাজত্ব স্থাপন করেন। ৩৫৮ হিজরীতে (৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দ) তারা মিশর দখল করে তাকে ফাতেমী রাষ্ট্রের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন। এবং পরবর্তী দুই শতাব্দীরও অধিককাল মিশরে তাদের শাসন ও কর্তৃত্ব বজায় থাকে। এ সময়েই ফাতেমী খলীফা আলমুয়িজ্জু লিদীনিল্লাহ সর্বপ্রথম ঈদে মীলাদুন্নবীসহ অন্যান্য জন্মদিবস পালনের উৎসব সূচনা করেন। দুই শতাব্দীর ফাতেমী শাসনকালে মিশরের ইসমাঈলী শিয়া শাসকগণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দুই ঈদ ছাড়াও এ দিবসগুলোকে ঈদের মত করে পালন করতেন। তারা অত্যন্ত আনন্দ, উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পাঁচটি জন্মদিবস পালন করতেন।
১। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিবস।
২। আলী রা. এর জন্ম দিবস।
৩। ফাতেমা রা. এর জন্মদিবস।
৪। হাসান রা. এর জন্মদিবস।
৫। হুসাইন রা. এর জন্মদিবস।
এছাড়াও তারা জীবিত খলীফাদেরও জন্মদিবস পালন করতেন। এবং মীলাদ নামে ঈসা আ. এর জন্মদিন তথা বড় দিন বা ক্রিসমাস ডেও পালন করতেন। তবে বর্তমান সিরিয়ার ইরবিলের তৎকালীন শাসক আবু সাঈদ কূকুবুরীর মাধ্যমেই মূলত ঈদে মীলাদুন্নবীর এ কালচার সুন্নী জগতে এবং সমগ্র মুসলিম বিশ্বে জনপ্রিয় উৎসবে পরিণত হয়। সপ্তম হিজরী শতকের শুরুর দিকে তিনিই প্রথম এ উৎসবকে বৃহৎ আকারে পালন করতে শুরু করেন এবং সাধারণের মধ্যে এ উৎসবের প্রচলন ঘটান।আবুল খাত্তাব ইবনে দিহইয়া নামক জনৈক বিদ্বান ব্যক্তি বাদশাহ আবু সাঈদের মনোরঞ্জনের উদ্দেশে
মীলদের উপর সর্বপ্রথম আত-তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর আন-নাযীর নামক গ্রন্থ রচনা করে মুসলিম বিশ্বে এর প্রাদুর্ভাব ঘটানোর কৃতিত্ব অর্জন করেন। এ কৃতিত্ব অর্জনে বাদশার পক্ষ থেকে প্রচুর পরিমাণ উপঢৌকনও লাভ করেছিলেন তিনি। তবে তিনি মুহাদ্দিসীনে কেরামের দৃষ্টিতে নানা দিক থেকে চরম বিতর্কিত ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। এবং হাদীস শাস্ত্রবিদদের মতে তার উক্ত মীলাদ গ্রন্থসহ অন্যান্য গ্রন্থসমূহ প্রচুর পরিমাণ জাল বর্ণনায় পরিপূর্ণ। কিন্তু মীলাদুন্নবী সমর্থক ভাইয়েরা তার সে গ্রন্থকে মাথায় তুলে রাখেন। সুতরাং ইতিহাস বলে, জন্ম-মৃত্যু কেন্দ্রিক দিবস বা বার্ষিকী পালন মূলত মুসলিম ঐতিহ্য ও সভ্যতা-সংস্কৃতির কোনো অংশ নয়। এগুলো মূলত অনারব অমুসলিম কালচার। হাল জমানায়ও আমরা লক্ষ করি, হিন্দুরা জন্মাষ্টমী পালন করে, বৌদ্ধরা বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করে এবং খ্রিষ্টানরা ক্রিসমাস ডে পালন করে। এগুলো মূলত বিধর্মীদেরই ঘরোয়া সংস্কৃতি। ইসলামী শরীয়ত জন্ম, মৃত্যু কেন্দ্রিক এসব বার্ষিকি, কিংবা দিবস পালনকে আদৌ সমর্থন করে না। কুরআন-সুন্নাহে যেসব ইবাদত পালনের ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, তাবিয়ীন, তাবে তাবিয়ীনসহ আইম্মায়ে সালাফ ব্যবহারিক জীবনে কুরআন সুন্নাহর যেসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে গেছেন একমাত্র সেসব ইবাদত পালনেই আমরা বাধ্য এবং অঙ্গীকারাবদ্ধ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামের তিরোধানের পর নতুন কোনো ইবাদত উদ্ভাবনের অধিকার আমাদের নেই। নতুন কোনো কিছুকে ইবাদত হিসেবে গ্রহণ করার অর্থই হলো, আল্লাহ তাআলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দীনকে পরিপূর্ণ করে দেন নি। নাউযু বিল্লাহ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দীর্ঘ তেষাট্টি বছরের জীবনে একদিনও তার জন্ম বার্ষিকী পালন করেন নি। সাহাবায়ে কেরামও এ বার্ষিকী পালন করেন নি। তাবিয়ীন এবং তাবি তাবিয়ীনের কেউও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম বার্ষিকী পালন করেন নি। অর্থাৎ ইসলামের শ্রেষ্ঠ তিন প্রজন্মের কেউ এ উৎসব পালন করেন নি। তবে কি তাদের চেয়ে আমাদের ইবাদত পালনের আগ্রহ বেশি? তাদের চেয়ে কি আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বেশি ভালবাসি? তাদের চেয়ে কি দীনী বিষয়গুলো আমরা বেশি বুঝি? তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম বার্ষিকি পালন হলে মৃত্যু বার্ষিকী কেন পালন হয় না? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শুভ জন্ম যেমন আনন্দের তেমনি তার তিরোধানও বেদনা বিধুর। সে হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুদিবস কেন ঘটা করে পালন করা হয় না? জন্ম দিবস পালন করতে হলে কেন একটি বৎসর অতিক্রম করতে হয়? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রবিউল আউয়াল মাসে জন্ম গ্রহণ করেছেন সে মাসটি যেমন বছরে এক বার ঘুরে আসে ঠিক তেমনিভাবে যে সোমবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্ম গ্রহণ করেছেন সে সোমবারটিও তো প্রতি সপ্তাহে একবার আগমন করে। তবে কেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাপ্তাহিক জন্ম দিবস পালন করা হয় না? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনের যে সময়টিতে জন্ম গ্রহণ করেছেন সে সময়টি প্রতিদিনই একবার আসে। তাহলে আমরা কেন প্রতিদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম সময়, জন্ম লগ্ন বা জন্ম মুহূর্ত পালন করি না? এসবই যথার্থ এবং সঙ্গত প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের গঠনমূলক এবং বিশুদ্ধ ও শরীয়তসিদ্ধ উত্তর কি আমরা দিতে পারবো? সারকথা সাহাবী, তাবিয়ীগণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি প্রচণ্ডতম ভালবাসা সত্ত্বেও কখনো তাদের আনন্দ এভাবে উৎসব বা উদযাপনের মাধ্যমে প্রকাশ করেন নি। সুতরাং পরবর্তী যুগের মুসলিম উম্মাহর জন্য তা শরীয়তসম্মত হতে পারে না। বরং তাদের জন্য করণীয় হলো, সালাফে সালেহদের ন্যায় সার্বক্ষণিক সুন্নাহ পালন, সীরাত চর্চা, সালাত ও সালাম পাঠ এবং আন্তরিক ভালবাসার মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি করা। শিয়া-অমুসলিমদের অনুকরণে জন্মদিন পালনের মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রকৃত ভালবাসা প্রকাশ পায় না। বরং এসকল অনুষ্ঠানের প্রচার-প্রসার বস্তুত সাহাবী-তাবিয়ীদের নবী প্রেম ও ভক্তি-ভালবাসার পদ্ধতিকে হেয় প্রতিপন্ন করারই
নামান্তর। কারণ এতে প্রতীয়মান হয় যে, সাহাবী-তাবিয়ীদের নীরব, অনানুষ্ঠানিক এবং সার্বক্ষণিক ভালবাসা ও ভক্তি প্রকাশ পদ্ধতির তুলনায় নব উদ্ভাবিত এ পদ্ধতিই উত্তম। যা নিঃসন্দেহে ভ্রষ্টতা। অতএব ইসলামী শরীয়তে ইবাদতের উদ্দেশে জন্ম বর্ষিকি পালন কিংবা মৃত্যু দিবস পালন নব উদ্ভাবিত বিষয়। এগুলো উদযাপন করা জায়েয নেই।
সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৬৭, ফাতাওয়া উলামায়ি বালাদিল হারাম ৩৫৭, ৩৬৫, ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ৫/৩৯৬, ফাতাওয়া উসমানী ১/১২৮,সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ, ১/৩৬৬, আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭/৬৪২, ৬৫৩, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ১৫/১৬৪, ওয়াফাইয়াতুল আ‘ইয়ান ৫/২২৪,৩/৪৪৯, মীযানুল ইতিদাল ৩/১৮৮, লিসানুল মীযান ৮/২৯৫, ড. খন্দকার আ.ন.ম আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখিত ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী প্রবর্তন ও প্রবর্তক : একটি ঐতিহাসিক পর্যালোচনা

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাল জিনিস যে স্থানের প্রোডাক্ট হোক সেটা ভাল। এ নিয়ে এতো খাজুইরা আলোচনার কি আছে?

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: উদ্দেশ্য একটাই যে কোনভাবে মহানবীর (সঃ) আলোচনা বন্ধ করার ইবলিশি খায়েশের বাস্তবায়ন।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কারো প্রমাণহীন মিথ্যা কথা মানতে আমরা বাধ্য নই।

১৭| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

হাফিজ রাহমান বলেছেন: মুহতারাম ! প্রোডাক্টের জায়গাটা যদি মন্দ হয় তাহলে সেখান থেকে মন্দ জিনিসই নিঃসৃত হবে। এটা জগতের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ব্যতিক্রম হয় না তা নয়। তবে সে ব্যতিক্রমের জন্য বিপুল পরিমাণ শক্তিশালী সূত্রগত সমর্থনের প্রয়োজন। শত আক্ষেপ, শক্তিশালী সে সমর্থনগুলোই আলোচিত বিষয়টিতে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিমন্তব্য করেছেন এ জন্য শুভকামনা থাকলো। ধন্যবাদ।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রোডাক্টের জায়গা অতিশয় ভাল।

০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি আগে আমার পোষ্টগুলো ফেসবুকের অসংখ্য গ্রুপে দেই। সেই পর্যন্ত পোষ্ট দেই যে পর্যন্ত না ফেসবুক আমার পোষ্ট দেওয়া বন্ধ না করে। তো ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) বিষয়েও একটা পোষ্ট দেব ভাবছি। তখন সেটা আপনার এ মন্তব্যের নীচে জুড়ে দেব ইনশা আল্লাহ- আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অবিচর রাখুন-আমিন।

১৮| ০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

কানিজ রিনা বলেছেন: ফরিদ আহমমেদ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিশ্লেশন করার জন্য।
শবেমেরাজ শবেবরাত সবেকদর এই মহিমাম্বীত
রাত গুলি সবই মুসলমানদের রহমতের বা
তগদীরের রজনী।
যাহারা সবেবরাতকে বেদাত বলে, তাহাদের
বলব টিভি চ্যানেল গুলতে বড় বড় বিজ্ঞ
আলেম উলামা কি বলেন দেখুন তার আগে
কান দুটো ভালকরে পরিস্কার করে শুনুন।
মুসলমানদের নিয়ে মুসলমান হিংসা বিদ্বেশ
পরিহার করুন। আমরা মুসলমান একে অপরের ভাই সেকথা মুসলমানরা ভুলে গেছে।
ভাই ভাইয়ের দুর্বলতায় জালিমরা মাঝখানে
ঢুকে পড়ে।
আজ মুসলমানদের হানাহানী অপধার্মীকরা
খুশি এটাই আমাদের বোকামী।
শীয়া সুন্নী, উহাবী মাজহাবী রেশারেশী হিংশা
বিদ্বেশ লেগেই আছে।
যা তিন দশক আগেও ছিলনা। আমাদের
দুর্বলতায় ইহুদী নাছারা মাঝখানে ফায়দা লুটে
নিচ্ছে।
বুঝতে হবে ইসলামের চার খলিফার অনুসারীরা কিছু রকম ফের আছে তাই বলে
হানাহানী হিংসা বিদ্বেশ আর এই হিংসা বিদ্বেশ
মাঝে আমরা নিজেই নিজেদের সত্রুতা
আনয়নে লিপ্ত।
যে খানে হযরত মোহাঃ সাঃ সম্মানার্থে মিলাদুন নবী উজ্জাপিত হয় সেখানে বিদাত
বলা প্রশ্নই আসেনা।
আমাদের মুসলিম ভাই ভাই বিবেচনায়
হেদায়াত আসুক এই কামনায়। ধন্যবাদ,

০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি একশ ভাগ সঠিক কথা বলেছেন। ওরা আমাদেরকে তাদের অনুসরন করতে বলছে যারা ক্ষুধার্থ মানুষদের না দিয়ে খাবার পানিতে ফেলে দেয়। বার চৌদ্দটা বিয়ে করে। ক্বোরআনের ভাষ্যমতে ওরা শয়তানের ভাই। এক শয়তানের ভাই আরেক শয়তানের ভাইয়ের অনুসরনের কথা বলছেভ কথায় বলে চোরে চোরে মাশতুতো ভাই।

১৯| ০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

হাফিজ রাহমান বলেছেন: ভাই ! বেশ ঝড়ো গতিতে প্রতিমন্তব্য করে ফেলতে পারছেন। এটি একটি দক্ষতা বটে। হৃদয়ের সবটুকু মমতা ঢেলে বলছি, এটা ইবলিসী চাহিদার বাস্তবায়ন নয়। দেখুন, আমি যদি মীলাদুন্নবী পালন না করি তাহলে আমার গুনাহ হবে না। কারণ এটা ফরজ ওয়াজিব কিছু নয়। জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত হলে আশা করি এক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করবেন না। পক্ষান্তরে তা যদি পালন করা হয় তাহলে দুটির একটি মাস্ট হবে। পুণ্যার্জন নয়তো পাপার্জন। যেহেতু দুটি মত এখানে বিদ্যমান। সুতরাং বিষয়টি বিষম ঝুঁকিপূর্ণ। সুতরাং ঝুঁকিপূর্ণ স্পর্শকাতর এমন পথ না মাড়ানোটাই নিরাপদ ও শঙ্কাহীন। আর ভাই ! আলোচিত বিষয়টি পালন করার জন্যই শক্তিশালী প্রমাণের প্রয়োজন। সুতরাং আমরাই বলতে পারি, প্রমাণহীনভাবে মীলাদুন্নবী আমরা পালন করতে পারি না। ধন্যবাদ।

০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:



০১। মহানবীর (সঃ) জন্ম বৃত্তান্ত
০২। তাঁর সীরাত
০৩ তাঁর ছুরাত
০৪। তাঁর চরিত্র
০৫। তাঁর গুণাবলী
০৬। তাঁর প্রতি দরূদ পাঠ
০৭। তাঁর প্রতি সালাম পাঠ।
এসব বিষয়ের আলোচনায় যারা বারণ করে, তাদের পরিচয় সুস্পষ্ট।

০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শয়তানের গা জ্বালার বিষয় যে কোন মূল্যে বন্ধ করার সর্বাত্মক চেষ্টা যারা করে তারা যে কার লোক সেটা লোকদের বুঝিয়ে বলার দরকার হয়না। এমন পরিস্কার বিষয় তারা এমনিতেই বুঝে।

০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ খুশী হবেন এমন কাজ আপনারা করতেই পারেন না। কারণ আপনারা তাঁর লোক নন।

২০| ০৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

হাফিজ রাহমান বলেছেন: ভাইজান ! বস্তুনিষ্ঠ কথা বলুন। আপনি যে ভাষায় কথা বলছেন তাতে অন্তত বিতর্ক হয় না; অন্য কিছু হয়। আপনি বিতর্কে নেমেছেন। তো বিতর্কের ব্যকরণ মেনে বিতর্ক করুন। আপনার বিপক্ষ দল যে দর্শন বা মতাদর্শই লালন করুক-ভাষা প্রয়োগে আপনাকে শালীনতার সৌন্দর্য গ্রহণ করতেই হবে। ভাষা প্রয়োগে অশালীন হলে অন্যরা তো অশালীন হতে পারবে না। ভাষারীতিকে যথাসম্ভব ভদ্রোচিত করতে সচেষ্ট হোন। তাতে পাঠক কিছু জ্ঞানিক আহার্যের সন্ধান পাবে। সত্য জিনিসটা খুঁজে নিতে পারবে। ইরান তুরানের কথা বলে খিস্তিখেউড় করলে তো নেতিবাচক ধারণা গ্রহণ করবে। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনবৃত্তান্ত সম্পর্কে আলোচনা করুন। কে না করেছে ? এতে অবশ্যই পুণ্যের সমারোহ রয়েছে। কিন্তু তাঁর জন্মদিবস পালন কেন ? তাঁর জন্মদিবস পালনের এ রূপরেখা কেন ? তাঁর প্রতি সালাম পাঠ করুন। কিন্তু সুন্নাহসম্মত পন্থায় করুন। কেউ না করবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে পন্থায় তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ করতে বলেছেন সে পন্থা মতে সালাম প্রেরণ করুন। কেউ দ্বিমত পোষণ করবে না। ধন্যবাদ।

০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহর পরিচয় (পর্ব-১)
আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকিদা (১) আল্লাহ সর্বত্র বিদ্যমান (২) আল্লাহ নিরাকার (৩) আল্লাহর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই। প্রশঙ্গতঃ বিশ্বের মোট মুসলমানের শতকরা ৮৭ শতাংশ আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াত (হানাফী, শাফেঈ, হাম্বলী ও মালেকী)। বাংলাদেশে এ পরি সংখ্যান শতকরা নিরানব্বই শতাংশ।
আহলে হাদীসের আকিদা (১) আল্লাহ সর্বত্র বিদ্যমান নন (২) আল্লাহ নিরাকার নন বরং তাঁর আকার আছে (৩) আল্লাহর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেআছে। প্রশঙ্গতঃ বিশ্বের ও বাংলাদেশের মোট মুসলমানের শতকরা এক শতাংশের কম আহলে হাদীস।
আহলে হাদীস আমাকে আল্লাহর সর্বত্র বিরাজমান না হওয়া সংক্রান্ত ক্বোরআন ও হাদীসের যে সব দলিল দিয়েছে তার সার সংক্ষেপ (১) আল্লাহ আসমানে আছেন (২) আল্লাহ আরশে আছেন (৩) আল্লাহ উপরে আছেন (৪) আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। তো আসমান ও আরশ উপরে গন্য। আর আল্লাহ যদি আমাদের সাথে থাকেন। তবেতো তাদের প্রদত্ত দলিলেই প্রমাণ হলো যে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান।
আল্লাহ বলেন,‘আল্লাহুস সামাদ-আল্লাহ নিরভাব’- আলক্বোরআন, সুরা ইখলাছ, আয়াত নং-২।
সসীমে অসীমের অভাব বিদ্যমান। অসীমে কোন অভাব নেই। সুতরাং আল্লাহ নিরভাব মানে আল্লাহ অসীম। আকার পরিমাপ যোগ্য কিন্তু অসীম পরিমাপ যোগ্য নয়।সুতরাং আল্লাহর আকার নেই, সুতরাং আল্লাহ নিরাকার।এমন কোন স্থান থাকতে পারেনা অসীম যেখানে থাকেনা।সুতরাং আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান।
আহলে হাদীস আল্লাহর টয়লেটে থাকার বিষয়ে আপত্তি তুলেছে, কিন্তু তারা নিজেরাই তাদের আত্মাসহ টয়লেটে যায় আর তাদের আত্মায় নাপাক লাগেনা। নর্দমায় থাকা কোন প্রাণীর আত্মায় নাপাক লাগেনা। আল্লাহ সর্ব শক্তিমান বিধায় তাঁর সত্ত্বায় নাপাক লাগনো সম্ভব নয়।আল্লাহ বলেছেন, তিনি আলো, আর আলোরগায়ে কেউ নাপাক লাগাতে পারেনা। এজন্য আল্লাহকে সোবহান বা পবিত্র বলা হয়।
আল্লাহ বলেন,‘কুল্লুমান আলাইহা ফান, ওয়াইয়াবকা অজহু রাব্বিকা জুল জালালি ওয়াল ইকরাম-তাতে সব কিছু বিলিন হবে আর বাকী থাকবে তোমার রবের মুখ, যিনি মহিমাম্বিত ও সম্মানিত’-আলক্বোরআন, সুরা আররাহমান, আয়াত নং-২৬ ও ২৭।
সব বিলিন হয়ে বাকী থাকবে রবের মুখ। শুধু মুখ কোন কাজে লাগেনা। সুতরাং এখানে মুখ বলতে রবের সত্ত্বা বলা হয়েছে। তারমানে সব কিছু বিলিন হয়ে রবের সত্ত্বা বাকী থাকবে। এখন রবের আর কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থাকলে তা’রবের মুখে ঢুকেগেল।কাজেই রবের কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থাকল না। সুতরাং রবের হাত বলতে তাঁর ধরার শক্তি ও চোখ বলতে দেখার শক্তি বুঝায়। কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বুঝায় না।
সুতরাং আহলে ওয়াল জামায়াতের আকিদা ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে শতভাগ সঠিক প্রমাণিত।আর আহলে হাদীসের আকিদা অসংখ্য ক্বোরআন ও হাদীস অস্বীকার কারী বিধায় তাদের আকিদা কূফুরী আকিদা। কাজেই কোন মুসলমান যেন আহলে হাদীস, লামাযহাবী, গাইরে মুকাল্লিদ, সালাফী, পিচ টিভির শায়েখ ও ডাঃ জাকির নায়েকের কথায় ইসলাম ছেড়ে কূফুরীতে নিমজ্জিত না হয়, সে দিকে সবার সজাগ দৃষ্টি কামনা করছি।আকিদাগত কারণে উহারা মোটে মুসলমান নয়, কাজেই তাদের কাছ থেকে কোন মুসলমানের ফতোয়া গ্রহণ অযুক্তিক। আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অবিচল রাখুন-আমিন।

২১| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমার করা মন্তব্যের প্রতি উত্তর দেখতে এসে এ পোষ্টের কিছু কিছু মন্তব্যের উপরে চোখ পড়ে । একটু পাঠ করে দেখা হল সেগুলি । কিছু কিছু মন্তব্যের মুল সুর হলো ইসলামের আদি যুগে মিলাদ ছিলনা বলে এখন মিলাদ পড়া বিদাত । বেশ ভাল কথা, উত্তম যুক্তি, তাতে কোন সন্দেহ নেই । এখন কথা হল এই একই যুক্তিতে তো আরো অনেক কিছুই বিদাত হয়ে যেতে পারে : যথা:-

১) সে সময়ে মাইক দিয়ে আযান দেয়া হতোনা এখন মাইক দিয়ে আযান দিলে এটা কি হবে ?

২) আগে আকাশের দিকে তাকিয়ে সুর্য উদয় ও অস্ত দেখে ( শুধু মেঘলাদিনে অনুমান করে ) ফজর ও মাগরিবের নামাজ পড়া হতো , আর এখন ঘরি দেখে নামাজ পড়া হয় , এটাকে কি বলা হবে ?

৩) দুর দুরান্তের লোকজন পায়ে হেটে বা উটের পিঠে চড়ে মসজিদে নামাজ পড়তে ও হজে যেতেন এখন তারা ইউরোপ ও আমিরিকায় আবিস্কৃত গাড়িতে করে মসজিদে নামাজ পড়তে যান আর প্লেনে চড়ে হজে যান , এটাকে ঐ ফর্মুলায় কি বলা হবে ?

৪) ইসলামের আদি যুগে মাটির উপরে কিংবা খেজুর পাতার চাটাইয়ে বসে নামাজ পড়া হত , আর এখন ভেলভেট বা মোটা কার্পেট বা চকচকে পালিশ করা মোজাইক ফ্লোরের উপরে নামাজ পড়া হয় , এটাকে কি বলা হবে ?

৫) অনেকে হয়ত বলবেন এগুলি ইবাদত নয় , ইবাদতের সাথে এগুলিকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবেনা । কিন্ত বিষয়টি কি তাই ? যে বিষয় গুলির উপর ভর দিয়া ইবাদত কর্মে সহায়তা করা হয় যে গুলি ইবাদতের প্যকেজ প্রোগ্রাম হতে বাদ পড়ে যায় কি ? যদি তাই হয় , তবে যে সমস্ত ইবাদত সহগ বিষয়গুলি আগে অনুসরন করা হতোনা সেগুলির প্রয়োগকে এখন কি কেও বিদাত বলে ?

৬) যাহোক আগে অনুসরণ কিংবা প্রয়োগ করা হতোনা এমন আরো অনেক বিষয়ই এখন ইবাদতের সময় ব্যবহার হতে দেখা যায় , কই সে গুলিকে তো কেও বিদাত বলেনা । তাই বলা যায় কেবল আগে পরের বিষয় বিবেচনাটাই কোন কিছু বিদাত বলে গন্য হতে পারেনা , বিদাত বলে গন্য হতে পারে কেবল তার মেরিট ডিমেরিটের ভিত্তিতে ও কোরান হাদিছের পরিপন্থি হলে । এখানে একটি কথা বলে রাখা ভাল, মহানবী তার জীবদ্দশায় যা বলেছেন বা করেছেন তাই হাদিছ যদিও তার অনেক গুলিই এখন লিখিত আকারে পাওয়া যায়না বিভিন্ন কারণে। যাহোক মহানবী যা করেছেন তার কিছুটা উঠে এসেছে এই লিখাটিতে ।

৭) এখন আসা যাক মিলাদের কথায় - মিলাদের মুল বিষয় হলো রাসুল ( সা; ) এর প্রতি প্রসংসা ( দুরুদ ) ও তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিকের উপরে পর্যালোচনা করে সে গুলিকে আরো ভালভাবে জানা, বুঝা ও বাস্তবায়ন করা । এটা সমগ্র বিশ্বের মুসলমানগন প্রতিদিনই করে থাকেন , নামাজে দুরুদ পাঠ করা হয় অসংখবার , আযানের পর দোয়ায় তাঁর কথা বলা হয় , জোময়ার নামাজের সময় খুতবাতেও তাঁর নামে প্রসংসা ও আলোচনা চলে আসে । তাই প্রতি দিনই তো তাঁর নামে মিলাদ হচ্ছে , তাই তাঁর নামে প্রতিদিন মিলাদ হচ্ছেনা এটা কি কেও বলতে পারে । প্রতি দিনইতো তো একজন মোমিন মুসলমান বলছেন : বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহিম , লাইলাহা ইল্লালআহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ , ( সাল্লালাহু আলাইহে সাল্লাম ) , এটাওতো দুরুদ , মিলাদেরই অংশ বা বা মিলাদ , মিলাদ যে খুব লম্বা চুড়া হতে হবে তাতো নয় , তাই যারা বলছেন মিলাদ বছরে একবার না পড়ে সারা বছর পড়া উচিত । তারা কি ভেবে দেখেছেন যে অল্প সময় বা লম্বা সময় মিলিয়ে মিলাদ বছরের প্রতিটি দিনই পড়া হয় । আমার প্রিয় অনেক ভাই ভাল কথা বলেছেন, তারা বলেছেন বছরে একবার মিলাদ না পড়ে সারা বছর মিলাদ পড়াই উত্তম । দেখা গেল মিলাদে তাদের কোন আ্পত্তি নেই , অর্থাত তারা মিলাদকে স্বীকার করে নিয়েছেন , তাদেরই অজান্তে , তাদের নীজস্ব যুক্তির ভিতরে থেকেই ।

৮) যারা মিলাদুন্নবি পালন করেন তারা যে বছরের প্রতিটি দিনই মিলাদ পড়েন না তা কিভাবে তারা নিশ্চিত হলেন । কেও একজন অন্য সকলের ব্যক্তিগত জীবনাচার ও তাঁর ইবাদত এর বিষয়াবলী জানবেন তাকি বলা যায় । অন্যের কথা না জানলেও নীজের কথাটাতো জানি , প্রসঙ্গক্রমে এসে যায় বলে বলছি , হয়ত বিভিন্ন কারনে প্রতিদিন সম্ভব হয়না, তবে প্রায়ইতো মাগরেবের নামাজের পরে পরিবারের সকলে মিলে এশার নামাজের পুর্ব পর্যন্ত মিলাদ ( রাসুলের উপরে নাথে রসুল ও দুরুদ পাঠ করা হয় ) । নীজের যেমন আমল , তেমনি বিশ্বাস করি অন্য আর যারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করেন তারা প্রত্যেকই নিয়মিতভাবে (যার যার সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী) মিলাদ পড়েন, বা কোন না কোন ভাবে মিলাদ মাহফিলে শরীক হন । এটাই তো স্বাভাবিক । লোকে বলে, যে যেমন সে অন্যকে তেমনই ভাবে ।

৯) এবার আসা যাক ঈদে মিলাদুন্নবি প্রসঙ্গে । যেহেতো তাঁর নামে সারা বছরই মিলাদ পড়া যায় তাতে করে বছরের যে বিশেষ দিনে ধরার বুকে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দুত হয়ে মহানবী জন্মগ্রহণ করেছিলেন ঐ দিন তাঁকে নিয়ে কেও যদি একাকী বা দলবদ্ধ হয়ে বিশেষ ভাবে একটু বেশী সময় নিয়ে দুরুদ পাঠ ও সালাম পেশ করেন ও নীজেরা তাঁর জীবনের কিছু দিক নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করেন তাঁতে ইসলামের দৃস্টিতে এমন কি ক্ষতি যে তাকে বিদাত বলতে হবে । তবে হা সেটা বিদাত হতে পারে যদি কেও জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ ওজনের বিশাল কেক কাটে , কই সেটাকেতো অনেকেই বিদাত বলছেন না!!! আগে ছিলনা এখন করা হচ্ছে এ অযুহাত তুলে ঈদে মিলাদুন্নবীকে বিতর্কিত বা বন্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লাগতে হবে । এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় মৌলানা জালালুদ্দীন রুমী তার বিখ্যাত ‘’মসনবী শরীফে’’ উল্লেখ করেছেন যে হযরত মুসা ( আ; ) তুর পাহারে আল্লার সাথে কথোপকথনে যাওয়ার পথে প্রায় প্রতি সময়ই দেখতেন একজন রাখাল উচ্চ স্বরে আল্লাহকে কদর্য ভাষায় গালাগালি করত , তা দেখে মুসা ( আ;) তাকে এ কাজ করা থেকে বিরত থাকার জন্য বলে আল্লার সাথে কথা বলতে তুর পাহাড়ে যান । সে সময়ে আল্লাহ মুসা ( আ;) জিজ্ঞাসা করেন হে মুছা আমি কি আমার কোন বান্দাকে আমার নাম জপা বন্দ করার জন্য তোমাকে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছি । তখন মুসা ( আ;) বললেন হে পরোয়ার দিগার আমি কখন এই কাজ করলাম । তখন আল্লাহ বলেছেন আসার পথে তুমি আমার এক বান্দাকে আমার নাম নেয়া হতে বিরত থাকতে বলেছ , অথচ সে নিয়মিত আমাকে স্মরণ করে আমাকে যে গালিগালাজ করত তা আমাকে সে স্মরণ করেই করত যা অনেক মোমিন বান্দা বলে দাবী দারেরাই সবসময় করেনা । সে রকমভাবে বলা যায় রসুলের নামে মিলাদ পড়ার সময় যেখানে তার নামে কেবলি দুরুদ , সালাম ও প্রসংসামুলক আলোচনা করা হয় তা বন্দের জন্য এত হৈ হল্লা কিসের জন্য , এটা কি তাঁর নাম নিশানা দুনিয়ার বুক হতে মুছে ফেলার জন্য একটি সুদুর প্রসারী কর্মকান্ড !!!! যে ভাবেই হোক মহানবীর নামে গুনগান প্রসংসা ও তার অনুসৃত পথে চলে দিন দুনিয়ার মঙ্গলের কথা ভাবা হয় , স্মরণ করা হয় তাঁকে নীজে ও সামস্ঠিক ভাবে ।

১০) আবার অনেকেই বলে থাকেন নবি করিম তার জীবদ্দাশায় জন্মদিন পালন করেন নি বা মিলাদ পড়েন নি , কথাটি কি সঠিক হলো । তিনি যে প্রতিদিন নামাজের সময় দুরুদ পাঠ করতেন তাকি মিলাদেরই একটি ছোট অংশ নয় ? আর তার জন্মদিনে তথা ১২ রবিউল আওয়াল মাসে তিনি কি দুরুদ পাঠ করতেন না ? তাই কেহ যদি বলে সে সময়ে মিলাদ ছিলনা তা সত্যের অপলাপ মাত্র , সাহাবীরা প্রতি নিয়তই যথাযথ মর্যাদার সহিত নবীর গুণগান করতেন , হয়তবা তাকে মিলাদ নামে বলা হতোনা , তাতে কি হল মিলাদতো নবীর নামে গুণগানেরই তো একটি প্রকাশ মাত্র । এটাকে কেন এখান সেখান হতে অসর্থিত সুত্র তুলে বিদাত বলে প্রচারনা চালাতে হবে ? নবীজীর সময়কালের দুশ বছর পরে সংগৃহীত ও অকাট্য লিখিত সুত্র বিহীন হাদিছ যদি সহি হতে পারে তাহলে এর পরের সময়ে মহানবীর উদ্দেশ্যে পরিচালিত কোন গুনগানকে ও তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনাকে মিলাদ ও জন্মদিন অনুষ্ঠানকে ইদে মিলাদুন্নবী হিসাবে পালন করা কেন সহি হবেনা তা বোধগম্য নয়। ঈদে মিলাদুন্নবীকে তো কেও দুশ বছর পরে সংগৃহীত বিষয়ের মত সহি হাদিছ নামে বলছেনা বা সেরকম দৃষ্টাতাও দেখাচ্ছেন না , শুধু বলা হচ্ছে রসুলের নামে গুনগান । শুধু মানুষের মুখে মুখে ঘোরা হাদিছ গুলি যদি সহি হয় , আর তাবে তাবেয়ীন যুগের লিখিত হাদিসের অনেকগুলিই যদি দুশ বছর পরে শুধু কারো মুখের শুনা হাদিছের কাছে হারিয়ে যায় , তার পরেও তা সহী বলে গন্য হতে পারে তাহলে ঈদে মিলাদুন্নবী আরো পরে শুরু হলেও অসুবিধাটি কি , তাত বুঝা যাচ্চেনা!!! হা যুক্তির ধোপে টিকতে না পেরে এর সাথে তবারুক বা শিন্নি বিতরণের কথাটা জুরে দেয়া হয়েছে , হা এটা নিয়ে কথা হতেই পারে , কারো পছন্দ না হলে তবারুক না খেলেই হল , তবে যাদের পেটে ক্ষুধা আছে তারা এটা খেলে এবং আলোচনা পর্ব শেষে তা সকলে মিলে খেলে অসুবিধাটা কি ? তাত বুঝা যাচ্চেনা ।

তাই মহানবীর জন্ম দিবস উপলক্ষে কেও যদি ব্যক্তিগত বা দলগতভাবে তাঁর উপরে দুরুদ ছালাম ও আলোচনা পর্যালোচনা করে এবং সেটা যে নামেই ডাকা হোক না কেন তাতে তো কারো কোন আপত্তি থাকার কথা না , তবে হা যদি নীজের জন্ম সালের ওজনের সমান কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয় দলবেদে বা যার নামে কেক কাটা হয় তার থেকে বেশী করে তার বাপ দাদার বা স্বামীর গুনগান করা হয় তা বিদাত বলে গন্য হতেই পারে !!! এরকম কর্মকে যারা বিদাত বলবে তাদেরকে সানন্দ চিত্তে সাধুবাদ জানাতে কোন আপত্তি নেই বলে মনে হয় ।

আল্লাহ সকলের সহায় হোন , ভাল কাজে সকলকে সুমতি দিন এ কামনাই করি ।




০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মহোদয় অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। সবাই মিলে চেষ্টা করলে আশা করা যায় এ ফিতনা থেকে মুসলমানদের মুক্তি মিলবে-ইনশা আল্লাহ।

২২| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:২৩

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: Click This Link

০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহর পরিচয় (পর্ব-১)
আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকিদা (১) আল্লাহ সর্বত্র বিদ্যমান (২) আল্লাহ নিরাকার (৩) আল্লাহর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই। প্রশঙ্গতঃ বিশ্বের মোট মুসলমানের শতকরা ৮৭ শতাংশ আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামায়াত (হানাফী, শাফেঈ, হাম্বলী ও মালেকী)। বাংলাদেশে এ পরি সংখ্যান শতকরা নিরানব্বই শতাংশ।
আহলে হাদীসের আকিদা (১) আল্লাহ সর্বত্র বিদ্যমান নন (২) আল্লাহ নিরাকার নন বরং তাঁর আকার আছে (৩) আল্লাহর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেআছে। প্রশঙ্গতঃ বিশ্বের ও বাংলাদেশের মোট মুসলমানের শতকরা এক শতাংশের কম আহলে হাদীস।
আহলে হাদীস আমাকে আল্লাহর সর্বত্র বিরাজমান না হওয়া সংক্রান্ত ক্বোরআন ও হাদীসের যে সব দলিল দিয়েছে তার সার সংক্ষেপ (১) আল্লাহ আসমানে আছেন (২) আল্লাহ আরশে আছেন (৩) আল্লাহ উপরে আছেন (৪) আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। তো আসমান ও আরশ উপরে গন্য। আর আল্লাহ যদি আমাদের সাথে থাকেন। তবেতো তাদের প্রদত্ত দলিলেই প্রমাণ হলো যে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান।
আল্লাহ বলেন,‘আল্লাহুস সামাদ-আল্লাহ নিরভাব’- আলক্বোরআন, সুরা ইখলাছ, আয়াত নং-২।
সসীমে অসীমের অভাব বিদ্যমান। অসীমে কোন অভাব নেই। সুতরাং আল্লাহ নিরভাব মানে আল্লাহ অসীম। আকার পরিমাপ যোগ্য কিন্তু অসীম পরিমাপ যোগ্য নয়।সুতরাং আল্লাহর আকার নেই, সুতরাং আল্লাহ নিরাকার।এমন কোন স্থান থাকতে পারেনা অসীম যেখানে থাকেনা।সুতরাং আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান।
আহলে হাদীস আল্লাহর টয়লেটে থাকার বিষয়ে আপত্তি তুলেছে, কিন্তু তারা নিজেরাই তাদের আত্মাসহ টয়লেটে যায় আর তাদের আত্মায় নাপাক লাগেনা। নর্দমায় থাকা কোন প্রাণীর আত্মায় নাপাক লাগেনা। আল্লাহ সর্ব শক্তিমান বিধায় তাঁর সত্ত্বায় নাপাক লাগনো সম্ভব নয়।আল্লাহ বলেছেন, তিনি আলো, আর আলোরগায়ে কেউ নাপাক লাগাতে পারেনা। এজন্য আল্লাহকে সোবহান বা পবিত্র বলা হয়।
আল্লাহ বলেন,‘কুল্লুমান আলাইহা ফান, ওয়াইয়াবকা অজহু রাব্বিকা জুল জালালি ওয়াল ইকরাম-তাতে সব কিছু বিলিন হবে আর বাকী থাকবে তোমার রবের মুখ, যিনি মহিমাম্বিত ও সম্মানিত’-আলক্বোরআন, সুরা আররাহমান, আয়াত নং-২৬ ও ২৭।
সব বিলিন হয়ে বাকী থাকবে রবের মুখ। শুধু মুখ কোন কাজে লাগেনা। সুতরাং এখানে মুখ বলতে রবের সত্ত্বা বলা হয়েছে। তারমানে সব কিছু বিলিন হয়ে রবের সত্ত্বা বাকী থাকবে। এখন রবের আর কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থাকলে তা’রবের মুখে ঢুকেগেল।কাজেই রবের কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থাকল না। সুতরাং রবের হাত বলতে তাঁর ধরার শক্তি ও চোখ বলতে দেখার শক্তি বুঝায়। কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বুঝায় না।
সুতরাং আহলে ওয়াল জামায়াতের আকিদা ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে শতভাগ সঠিক প্রমাণিত।আর আহলে হাদীসের আকিদা অসংখ্য ক্বোরআন ও হাদীস অস্বীকার কারী বিধায় তাদের আকিদা কূফুরী আকিদা। কাজেই কোন মুসলমান যেন আহলে হাদীস, লামাযহাবী, গাইরে মুকাল্লিদ, সালাফী, পিচ টিভির শায়েখ ও ডাঃ জাকির নায়েকের কথায় ইসলাম ছেড়ে কূফুরীতে নিমজ্জিত না হয়, সে দিকে সবার সজাগ দৃষ্টি কামনা করছি।আকিদাগত কারণে উহারা মোটে মুসলমান নয়, কাজেই তাদের কাছ থেকে কোন মুসলমানের ফতোয়া গ্রহণ অযুক্তিক। আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অবিচল রাখুন-আমিন।

২৩| ০৮ ই মে, ২০১৭ ভোর ৬:০৯

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: আপনি যদি এভাবে ব্যাখ্যা করে আহলে হাদীসদের অমুসলিম বলেন তবে মিলাদ-চল্লিশার নামে ব্যবসা চালানোর জন্য আপনাকেও অমুসলিম কাফের বলা যায়।
আহলে হাদীসদের নামে যা বললেন এই একই ব্যাখ্যা আমি এক হানাফী মোল্লার কাছেই শুনেছি।

০৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমিতো বিনা প্রমাণে কিছু বলিনি। আপনার কাছে প্রমাণ থাকলে আপনিও বলবেন, তাতে অসুবিধা কি? তবে কারো বক্তব্য কেউ গ্রহণ করবে কি করবেনা সেটা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার।

২৪| ০৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: Click This Link

০৮ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আহলে হাদীসদের কোন বক্তব্য আমাদের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।

২৫| ০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আমি বুঝিনা নবীর(সঃ) জন্ম বৃত্তান্ত, জীবন বৃতান্ত, তাঁর চরিত্র বৃত্তান্ত, তাঁর আগমন নিয়ে আনন্দ প্রকাশ, তাঁর প্রতি দরূদ পাঠ, তাঁর প্রতি সালাম পেশ এসবে ইসলামের কি ক্ষতি নিহিত? আমিতো দেখেছি এসবে ঈমান তাজা হয়।"

মিলাদের নামে আমাদের এই উপমহাদেশে যা হয় তার সাথে ইসলামের সম্পর্ক কতটুকু সেটা আপনি সত্যিই বুঝতে পারছেন না, না কি বুঝতে চাইছেন না - সেই প্রশ্নে না গিয়ে বরং মিলাদের আসল প্রয়োজন বোঝার জন্য একটা টেস্টের কথা বলি। যদি পারেন, মিলাদ পড়াতে আসা হুজুরকে হাদিয়া দেয়া আর মিলাদ পড়তে আসা মানুষদের তবারক দেয়া বন্ধ করে দেন - তারপর দেখেন মিলাদ পড়ানোর হুজুর আর পড়ার মানুষ কেমন পাওয়া যায়।

ধন্যবাদ।

০৮ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ডঃ এম এ আলী বলেছেন, সে রকমভাবে বলা যায় রসুলের নামে মিলাদ পড়ার সময় যেখানে তার নামে কেবলি দুরুদ , সালাম ও প্রসংসামুলক আলোচনা করা হয় তা বন্দের জন্য এত হৈ হল্লা কিসের জন্য , এটা কি তাঁর নাম নিশানা দুনিয়ার বুক হতে মুছে ফেলার জন্য একটি সুদুর প্রসারী কর্মকান্ড !!!! আমিও তাই বলি। এটা মুসলীম ভেস ধারী অমুসলীমদের গভীর ষড়যন্ত্র।

২৬| ০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
মিলাদের নামে আমাদের এই উপমহাদেশে যা হয় তার সাথে ইসলামের সম্পর্ক কতটুকু সেটা আপনি সত্যিই বুঝতে পারছেন না, না কি বুঝতে চাইছেন না - সেই প্রশ্নে না গিয়ে বরং মিলাদের আসল প্রয়োজন বোঝার জন্য একটা টেস্টের কথা বলি। যদি পারেন, মিলাদ পড়াতে আসা হুজুরকে হাদিয়া দেয়া আর মিলাদ পড়তে আসা মানুষদের তবারক দেয়া বন্ধ করে দেন - তারপর দেখেন মিলাদ পড়ানোর হুজুর আর পড়ার মানুষ কেমন পাওয়া যায়।
great point boss. this swine can never answer this question so he tried to change the topic. bloody infidel tries to continue his haram business

০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ডঃ এম এ আলী বলেছেন, সে রকমভাবে বলা যায় রসুলের নামে মিলাদ পড়ার সময় যেখানে তার নামে কেবলি দুরুদ , সালাম ও প্রসংসামুলক আলোচনা করা হয় তা বন্দের জন্য এত হৈ হল্লা কিসের জন্য , এটা কি তাঁর নাম নিশানা দুনিয়ার বুক হতে মুছে ফেলার জন্য একটি সুদুর প্রসারী কর্মকান্ড !!!! আমিও তাই বলি। এটা মুসলীম ভেস ধারী অমুসলীমদের গভীর ষড়যন্ত্র।

০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি বাসায় বসে পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলাদ পড়ি তাতে তবরক বা হাদীয়ার প্রয়োজন হয়না। এসব জাহিলি কথা শিক্ষিত সমাজ গ্রহণ করেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.