নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে নারী নেতৃত্ব

১৪ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩২



সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
পুরুষ নারীর কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং আরো কারণ পুরুষ তাদের ধন-সম্পদ ব্যায় করে, সুতরাং নেককার স্ত্রীরা অনুগতা এবং লোক চক্ষুর অন্তরালের আল্লাহর (বিধানগত) হেফাজতের বিষয় হেফাজত করে। স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের শয্যা বর্জন কর এবং (শেষ চেষ্টা হিসেবে) তাদেরকে প্রহার কর। যদি তারা অনুগতা হয় তবে তাদের জন্য ভিন্নপথ (বিবাহ বিচ্ছেদ বা অন্য যেকোন শাস্তি মূলক ব্যাবস্থা) খুঁজবেনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ উন্নত ও মহিয়ান।

সূরা নিসার ৩৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
তাহাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধ আশংকা করলে তোমরা তার (স্বামীর) পরিবার হতে একজন এবং তার (স্ত্রীর) পরিবার হতে একজন সালিশ নিযুক্ত করবে। তারা নিস্পত্তি চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে (মিমাংসার) অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ খবর সম্পন্ন সব জানেন (তিনি বেখবর জ্ঞানী নন)।

তো আল্লাহকি উপরোক্ত আয়াতে নারী নেতৃত্ব হারাম করেছেন? আয়াততো মোটে নেতৃত্ব সংক্রান্ত নয়। এতো পরিস্কার দাম্পত্য সংক্রান্ত। মায়ের উপর ছেলে, এক ঘরের পুরুষ অন্য ঘরের মহিলার উপর কর্তৃত্ব করতে গেলেতো ঝাঁটার বাড়ি খাবে। সুতরাং পুরুষ শুধুমাত্র তার স্ত্রীর কর্তা, অন্য কোন নারীর কর্তা নয়। সংগত কারণে এ আয়াত দ্বারা নারী নেতৃত্ব হারাম হওয়ার ফতোয়া দেওয়া যায়না। নারী নেতৃত্ব হারাম হওয়া সংক্রান্ত আর কোন আয়াত ক্বোরআনে নেই। উল্টা মরিয়ম (আঃ) ও রানী বিলকিস সংক্রান্ত ঘটনা নারী নেতৃত্ব জায়েজ সাব্যস্ত করে।

একখানা হাদীস দ্বারা যদিও টেনেটুনে নারী নেতৃত্বে মাকরুহ সাব্যস্ত করা যেত কিন্তু আমলে সাহাবা (রাঃ) এর বিপরীত হওয়ায় এ হাদীস খানাও কাটাপটড়ে গেল। সুতরাং সার সংক্ষেপে নারী নেতৃত্ব জায়েজ বহাল থেকে গেল।

জঙ্গে জামাল যুদ্ধে হজরত আয়েশার (রাঃ) নেতৃত্বে একদল সাহাবা হজরত আলীর (রাঃ) দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করায় হাদীসখানি কাটাপড়েগেল। কারণ যারা সরাসরি মহানবীর (সঃ) অনুসারী তারা যে হাদীস মানেনি সে হাদীস আমাদের মান্য করার দরকার কি? আর নারী নেতৃত্ব হারাম হলে শত্রুর বিরুদ্ধে হজরত আলী (রাঃ) এ ফতোয়া ব্যাবহার করলেন না কেন? কোথা থেকে এল এ হাদীস যা হজরত আলী (রাঃ) জানেনা এবং হজরত আয়েশাও (রাঃ) জানেননা? শুধু তাই নয় দুই দলে তখন মহানবীর (সঃ) প্রায় সব সাহাবী (রাঃ) ছিলেন। তারাও কেউ জানেনা? বিষয়টা এক মহা বিস্ময়। সে যাই হোক সেই হাদীস না মেনে যদি সাহবায়ে কেরাম জান্নাতে যেতে পারে তবে আমরা তা পারব- ইনশাআল্লাহ।

বিষয়টা আলেম সমাজও জানে, খালেদা হাসিনা ও রওশনকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে তারা ক্বোরআনের অপব্যাখ্যার আশ্রয় নেয়, দরকার পড়লে আবার সবগুলো গিয়ে তাদের আঁচলে আশ্রয় নেয়, ।কিন্তু এতে যে তাদের কপালে জনগনের ঘৃণা ঝুটে সে বিষয়টা তারা মোটেও ভাবেনা।

সে যাই হোক নারী নেতৃত্ব আমি কখনোই হারাম মনে করিনি এখনো হারাম মনে করিনা। তবে নারীর ইমামতি আমিসমর্থন করিনা। অনেকে বলে মা আয়েশা (রাঃ) কেন খলিফা হলেন না। তিনি খলিফা হবেন কেমন করে তাঁর খলিফা হওয়ার প্রস্তাবইতো উঠেনি। যারা খলিফা হয়েছেন তারা সবাই তাঁর চেয়ে যোগ্য ছিলেন। জঙ্গে জামাল যুদ্ধে হেরে তিনি প্রমাণ করলেন হজরত আলীও (রাঃ) তাঁর চেয়ে যোগ্য। তবে এ যুদ্ধে জয়লাভ করলে তিনি যে খলিফা হতেন সেটা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। কারণ যাঁরা তাঁকে সেনাপতি মানতে পেরেছেন। তাঁরা তাঁকে খলিফা না মানার কথা নয়। খলিফার দাবীদার অন্যকেউ থাকলে সেনাপতি তিনি হতেন , হজরত আয়েশা (রাঃ) সেটা হতেন না। কারণ তখনকার সিষ্টেম এমনটাই ছিল।

ইমাম হোসেনের (রাঃ) পুত্র ইমাম জয়নুল আবেদীনকে এক লোক বাঁধতেছিল আর কাঁদতেছিল। সে বলতে ছিল, হুজুর আপনারে বেঁধে ইয়াজিদের দরবারে নিয়েগেলে অনেক টাকা পুরস্কার পাওয়া যাবে সে জন্য আপনাকে বাঁধতেছি, কিন্তু আপনার জন্য আমার কলিজা ফেটে যায়। এর নাম দুনিয়াদারী। আর দ্বীন দার লোকের চেয়ে সব সময় দুনিয়াদার লোক বেশী থাকে (খোলাফায়ে রাশেদার সময়কাল ছাড়া)। সুতরাং রাজনীতিতে ভাল করতে হলে জনগনের সুখ-সুবিধা কি করবেন সেটা আগে বলতে হবে। ক্ষমতা লাভের জন্য জান্নাতের কথা না বল্লেও হয়। আর ক্ষমতায় যাওয়ার পর যিনি ক্ষমতার জন্য জান্নাতের কথা বল্লেন তিনি নিজেও সেটা ভুলে যান কিনা, সেটাও ভাববার বিষয়।
দীর্ঘকালপর জামায়াত শরীকানা ক্ষমতা পেল। সে ক্ষমতা শেষ হবার পর তারা একে একে জান্নাতবাসী হলো। তারা যাদের রেখেগেল তারা যদি এর বিনিময়ে কিছু পায় তারা আছে সে অপেক্ষায়। তবে যারা রাজনীতি করে তারা যদি নিরিহ জনগনকেও কিছু দেয় তবে সেটা অনেক নেকের কাজ। হায় চির প্রতারীত জনগন সুযুগ পেলে হুজুরেরাও তোমাদের সাথে প্রতারণা করে।

পীর তাবলীগের বিরোধীতা করার একটাই কারন, আহা এতোগুলো টাকা পথে পথে খরচ না করে যদি আমাদেরকে দিত! তাহলে তাদের কিছু হোক নাহোক আমাদেরতো উন্নতি হতো!কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাবলীগের বিরোধীতা করে পীরের ক্ষতি বই লাভের কিছু আমি দেখি না।

আহলে হাদীস ভাবল ইবাদতের বোঝা কমিয়ে বেহেশ্তের সর্ট পথ দেখাতে পারলে মনে হয় লোক সব আমাদের দলে যোগ দিবে। কিন্তু তাদের এ আশা হতাশায় পরিণত হয়েছে। এখন মাযহাব ও লা মযহাবের মধ্যে পাবলিক টানাটনির খেলা চলছে।

এ পাবলিক ধরে এদিকে টানে ও পাবলিক ধরে ওদিকে টানে। এদিকে টানাটানিতে পাবলিকের ছিড়ে যাওয়ার পালা। বেচারা পাবলিক!

মাযহাব ও লা মযহাবের প্রত্যেকে তাদের দলের অনুকূলে ক্বোরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যা করে। ক্বোরআন ও হাদীসের এত রকম ব্যাখ্যা শুনে মাথা বিগড়ে অবশেষে পাবলিক স্টার জলসা ও জি বাংলা দেখে। এরপর যতই ফতোয়া ঝাড়না কেন। পাবলিক বলছে আমরা আর শুনছি না। জান্নাতের কথা বলেও কাজ হচ্ছে না। কারণ এ বলছে আমার দলের কাছে জান্নাত ও বলছে আমার দলের কাছে জান্নাত। পাবলিকতো আর দেখছেনা আসলে কার দলের কাছে জান্নাত। সুতরাং তারা স্টার জলসা ও জি বাংলা দেখে খেয়ে দেয়ে ঘুম। ওদিকে হুজুরেরা যা বলে জনগন বলে কি কও বাপু শুনিনা।

সার কথায় বলব জনগনের মন বুঝতে না পারলে বেহেশ্তের লোভ দেখিয়ে ক্ষমতা পাওয়ার সম্ভাবনা নেহায়েত কম। সুতরাং ক্ষমতা চাইলে সেইমত কাজ করতে হবে। আর নারী নেতৃত্ব হারাম এ ফতোয়া দিয়ে হাসিনা খালেদা ও রওশনকে ঠেকানোর কোন পথ আমি দেখিনা। কাজেই এ বেহুদা কথা না বলাই বরং ভাল।

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

সত্যের ছায়া বলেছেন: পড়েছি এবং লাইক দিয়েছি। লিখে যান।

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কালকে যার কোমায় থাকার কথা বলেছেন। আজ তাকে পেলাম।

২| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: নারী নেতৃত্ব হারাম হবে কেন? তবে লিপস্টিক পার্লের নেকলেস থাকলে তা চিন্তার বিষয়।

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে চিন্তামুক্ত করার উপর গবেষণা করতে হবে।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "আপনাকে চিন্তামুক্ত করার উপর গবেষণা করতে হবে।"

আপনি এই নিয়ে গবেষনা করতে চান? এটা তো চমৎকার আইডিয়া। গবেষনা করতে যেসব বিষয় জানা লাগবে তা হল:
যাদের দৃষ্টান্ত আপনি টেনেছেন উনারা লিপস্টিক কিংবা পার্লে আসক্ত ছিলেন কিনা। মানে, মা মরিয়ম (আ), রানী বিলকিস এবং মা আয়েশা (রা) লিপস্টিক বা পার্ল সজ্জিত হয়ে থাকতেন কিনা তা জানতে হবে। সেইরকম না হলে এখানে উনাদের দৃষ্টান্ত টানা বেমানান।

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি শুধু জানতে বা জানাতে চেয়েছি কাজটা হারাম কিনা। এখন নারী নেতৃরা মন্দ হলেও পুরুষ নেতারাইবা ভাল কোন দিক দিয়ে? তাহলে নারীদের আলাদাভাবে দোষ দিয়ে লাভ কি?

৪| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৫

সত্যের ছায়া বলেছেন: লেখাতে দেশী বিদেশি ইসলামী স্কলারদের মতামত কোটেশন আকারে দিতে পারেন। প্রয়োজনে ইন্টার নেটের সহ যগিতা নিতে পারেন। এক্ষেতে পক্ষে এবং বিপক্ষের মতামতগুলো তুলনা মূলক আলোচনা করতেন পারেন। যাতে পাঠকের সুবিধা হয়।

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সেটা করতে পারলে খুব ভাল হতো। তেমন করিনা বলেই মনে হয় আমাকে জেনারেল পদে বহুকাল বসিয়ে রাখা হয়েছে। অবশ্য লেখা বড় করতে না চাওয়া আমার একদা বদভ্যাস। মনে করেন আপনার পরামর্শ মত করতে গেলে পোষ্ট অনেক বড় হতো।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার মনে হয়, আপনি ভুলটা নিয়ে পরিশ্রম করেছেন; আপনাকে দেখতে হবে, কুরান "নারীর অপ-নেতৃত্ব নিয়ে কি বলেছেন"

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অপ-নেতৃত্ব পুরুষদের মাঝে ঢের আছে। এ ত্ষেত্রে একা নারীকে দোষ দিয়ে লাভ কি? আমি নেতৃত্বের ক্ষেত্রে যোগ্যতার সমর্থক। যে ক্ষেত্রে পুরুষের শর্ত যোগ করা আমি সঠিক নয় বলে আমি মনে করি।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২১

সত্যের ছায়া বলেছেন: ইসলামী বিষয় লেখার সময় দুইটা বিষয় খেয়াল রাখা উচিৎ। আমার লেখা (১) ফতোয়া কিনা (২) নিজস্ব মতামত কিনা।

ফতোয়া হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ রেফারেন্স দিতে হবে। এবং এই ফতোয়ারর বিপরীতে যদি কোন ফতোয়া থাকে সেটি কেন আমল যোগ্য নয় তা দালিলিক প্রমাণ দিতে হবে।

নিজস্ব মতামত হলে অন্য কে তা প্রতিপালন করার জন্য চাপিয়ে দেয়া যাবে না।

তবে আপনার স্টাটাস উপভোগ করছি। শত ফুল ফুটুক। দেখি কোন সুভাষ ছড়ায় কিনা।

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি ক্বোরআন হাদীস ও সাহাবায়ে কেরামের আমলের বিবেচনায় আমার মত প্রকাশ করেছি। এটি ফেসবুকে অসংখ্য বড় বড় গ্রুপে পোষ্ট করে ছিলাম। প্রতিক্রিয়া তেমন আসেনি। অবশ্য ব্লগেতো সবাই বিদগ্ধ জন।

৭| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৩২

সত্যের ছায়া বলেছেন: আপনি যদি মত প্রকাশ করেন তাহলে এই মতের উপর আমাদের শ্রদ্ধা থাকা উচিৎ। আর যদি ফতোয়া দিয়ে থাকেন তাহলে এর টেকনিক্যালি বিষয়গুলো আমাদের ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। তবে যা হউক, অন্যান্য বিষয়ের উপর যদি আপনার কোন মত থাকে তাহলে সেগুলো পেশ করুন।

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি ফতোয়া দিচ্ছিনা তবে যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়া ফতোয়া দিয়ে যারা ক্বোরআন ও হাদীসের অপব্যাখ্যা করছে তাদের প্রতিবাদ করছি। তারা বিষয়টি না জানলে বলবেন জানিনা। কিন্তু না জানাকে অপমান মনেকরে উল্টা-পাল্টা ফতোয়া দেওয়া ঠিকনা।

৮| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:১১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হুম পড়লাম ভাই.....

১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:০৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার শেষ সার কথাতেই রয়ে গেলাম। ভালো বলেছেন। আমি মজা পাইছি ভাই।
তাই প্রিয়তে রাখুম।

শুভকামনা আপনার জন্য।

১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:০২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় কবি।

১০| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৪১

কলাবাগান১ বলেছেন: "সমাজের অর্ধেককে পঙ্গু করে রাখা সমাজের জন্যই ক্ষতিকর।"

১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে জন সচেতনতা তৈরীতে আমরা আপনার বক্তব্য প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছি।

১১| ১৫ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:০৯

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: তেতুলহুজুর মেনে নিসেন হাসিনাকে। বাকি বাঙালি হিপো মোসলেমরা না মেনে যাবে কোথায়?

১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কারো যোগ্যতাই তাকে মানতে মানুষকে বাধ্য করে।

১২| ১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:৪৮

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: ইসলামী বিষয় লেখার সময় দুইটা বিষয় খেয়াল রাখা উচিৎ। আমার লেখা (১) ফতোয়া কিনা (২) নিজস্ব মতামত কিনা।

ফতোয়া হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ রেফারেন্স দিতে হবে। এবং এই ফতোয়ারর বিপরীতে যদি কোন ফতোয়া থাকে সেটি কেন আমল যোগ্য নয় তা দালিলিক প্রমাণ দিতে হবে।

নিজস্ব মতামত হলে অন্য কে তা প্রতিপালন করার জন্য চাপিয়ে দেয়া যাবে না।

তবে আপনার স্টাটাস উপভোগ করছি। শত ফুল ফুটুক। দেখি কোন সুভাষ ছড়ায় কিনা। " সত্যের ছায়া"র সাথে একমত ! কিন্তু কই? ফুল তো তেমন ফুটলো না আর সুবাস (সুভাষ নয় ) ই বা কোথায় !??

১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বলেছেন: কিন্তু কই? ফুল তো তেমন ফুটলো না আর সুবাস (সুভাষ নয় ) ই বা কোথায় !?? মনে হয় আপনি জায়গা ছেড়ে বেজায়গায় সন্ধান করছেন বলে এমন মনে হচ্ছে।

১৩| ১৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনি নারী নেতৃত্ব মানেন, কিন্তু নারীর ইমামতি মানেন না - তাহলে কোন নারী যদি খলিফা হয় সে কার ইমামতিতে নামাজ পড়বে?? যার ইমামতিতে নামাজ পড়বে তার মর্যাদা কি খলিফারও উপরে হবে?

আরো দেখুন: আল্লাহ কোন নারীকে কখনই নবী বা রাসুল মনোনিত করেন নি - কেন?
ইসলামের সুদীর্ঘ ইতিহাসে একজনও নারী খলিফা, গভর্ণর বা রাস্ট্র প্রধান পাওয়া যায় না - কেন?

নারী নেতৃত্ব হারাম - এভাবে বলা যাবে না, যেহেতু কোরআনে বা সহীহ হাদিসে এই ভাবে ঘোষণা করা হয় নি। কিন্তু বাস্তবতার আলোকেই বলা যায় ইসলামী সমাজে নারীরা রাস্ট্রীয় বা সামাজিক নেতৃত্ব থেকে স্বাভাবিক ভাবেই দুরে থাকবে। তারা বরং তাদের ঘরের দ্বায়িত্ব নেবেন পরবর্তি প্রজম্মকে সঠিক ভাবে গড়ে তোলার জন্য। এটা মর্যাদার প্রশ্ন নয়, বরং কর্ম ক্ষেত্র বাছাই এর প্রশ্ন। খলিফা না হলেই তার মর্যাদা কম - এই ধারনাই ঠিক নয়, বরং সয়ং খলিফার বেহেশতও তার মায়ের পায়ের তলে।

১৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হজরত জুবায়ের ইবনে আওয়াম (রাঃ) আশারায়ে মোবাশ্বেরা, হজরত আবুবকরের(রঃ) জামাতা, মহানবীর (রাঃ) ভায়রা ভাই, ত্রিপোলী বিজয়ী মহাবীর, তিনি তাঁর শালিকা হজরত আয়েশার (রাঃ) সহ সেনাপতি ছিলেন। একদল সাহাবা (রাঃ) হজরত আয়েশার (রাঃ) নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন। সুতরাং আমাদের নারী নেতৃত্ব মানতে শরিয়তী কোন সমস্যা নেই। নারীরা মহানবীর (সঃ) সময় থেকেই জামাতে নামাজ পড়েনা। তাদের জন্য জামাত জরুরী নয়। মহানবী (সঃ) হজরত আবু বকরের (রঃ) ইমামতিতে নামাজ পড়েছেন বলে মহানবীর (সঃ) মর্যাদা কমেনি। আপনারা কেন যে এসব সহজ কথা বুঝেননা সেটাই আমার বুঝে আসেনা।

১৪| ১৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: 'যুগে যুগে মুসলিম নারী শাসক'' বইটি কাল থেকে পড়ছি। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেইন ও পরবর্তি যুগে অনেক মুসলিম নারীরা শাসন কাজ চালিয়েছেন। কেউ হারাম বলে ফতোয়া দেন নি। সব চেয়ে চমৎকার কথাটি আপনিই বলে দিয়েছেন,''নারী নেতৃত্ব হারাম হলে শত্রুর বিরুদ্ধে হজরত আলী (রাঃ) এ ফতোয়া ব্যাবহার করলেন না কেন?''

১৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: একদল লোক ইসলামকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে ইসলামের চরম খতি করছে। ইসলামের জন্যই এদের থামাতে হবে।

১৫| ১৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

এ আর ১৫ বলেছেন: এবারে আসা যাক সেই হাদিসে। সমস্ত সহি হাদিসে নারী-নেত্রীত্বের বিরুদ্ধে নাম-ধাম সহ সুস্পষ্ট হাদিস আছে মাত্র একটি, মাত্র একজন সাহাবীর বলা।

নবীজীর তায়েফ আক্রমণের সময় (৮ হিজরিতে) কিছুতেই তায়েফের দুর্গ ভাঙ্গা যাচ্ছিল না। তখন তিনি ঘোষণা করে দিলেন, দুর্গের ভেতর থেকে যে সব ক্রীতদাস পালিয়ে আসবে তারা সবাই মুক্ত হবে। শুনে অনেক ক্রীতদাস তায়েফ দুর্গ থেকে পালিয়ে আসে, ফলে দুর্গের পতন হয়। বালক আবু বাকরা (হজরত আবু বকর রাঃ নন) ছিলেন সেই ক্রীতদাসের একজন। তারপর দীর্ঘ চব্বিশ বছর চলে গেছে, নবীজী দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, সেই ক্রীতদাস বালক এখন বসরা নগরের গণ্যমান্য নাগরিক। তখন ঘটে গেল মুসলমানের ইতিহাসে প্রম রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ, হজরত ওসমান খুন হবার পরে হজরত আলীর বিরুদ্ধে হজরত আয়েশা-তালহাযুবায়ের দলের। উট শব্দটার আরবি হল “জামাল।” বিবি আয়েশা উটে চড়ে হজরত আলীর বিরুদ্ধে সৈন্য-পরিচালনা করেছিলেন বলে এ-যুদ্ধের নাম হয়েছে “জামাল-যুদ্ধ।” এধারে-ওধারে বারো হাজার সাহাবি খুন হয়েছেন এ-যুদ্ধে।

হজরত আলী ‘জামাল-যুদ্ধে’ জয়লাভ করে বিবি আয়েশাকে সসম্মানে মদীনায় পাঠিয়ে দেবার পর বসরায় প্রবেশ করে শহরের গণ্যমান্য লোকদের ডেকে পাঠান। আবু বাকরা তখন হজরত আলীকে এই হাদিস শোনান। নবীজীর সময় ৬২৯ থেকে ৬৩২ সাল পর্যন্ত রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের আμμমণে ইরাণে খুব বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। তখন সেখানে দু’জন নেত্রীর আবির্ভাব হয়েছিল। সে-কথা শুনে নবীজী নাকি আবু বাকরাকে এ-হাদিস বলেছিলেন। হাদিসটা হল − “আবু বাকরা বলিয়াছেন, জামাল-যুদ্ধের সময় আমি সাহাবীদের সহিত যোগ দিয়া (বিবি আয়েশার পক্ষে) যুদ্ধে প্রায় নামিয়া পড়িয়াছিলাম, কিন্তু নবী (দঃ)-এর একটি কথায় আলাহ আমাকে বড়ই উপকৃত করিয়াছেন। যখন নবীজী (দঃ)-কে বলা হইল যে (পারস্য সম্রাট) খসরুর মৃত্যুর পরে পারস্যের লোকেরা তাহার কন্যার উপর নেত্রীত্ব অর্পণ করিয়াছে, তখন তিনি বলিলেন − ‘কখনও উনড়বতি করিবে না সেই জাতি যে জাতি তাহাদের নেতৃত্ব অর্পণ করে নারীর উপরে” (সহি বোখারীর ইংরেজী অনুবাদ, পঞ্চম খণ্ড, হাদিস নম্বর ৭০৯)।

এটা বোখারীর যে কোন বাংলা অনুবাদে পেয়ে যাবেন, হাফেজ মোঃ আবদুল জলিলের ৯০ পৃষ্ঠার ২২২ নম্বরে তো পাবেনই, আজিজুল হক সাহেবের বোখারীর চর্তু খণ্ডের ২২৬ পৃষ্ঠাতেও পাবার কথা। অর্থাৎ আমরা পেলাম ঃ

এ হাদিস জানার পরেও তিনি বিবি আয়েশা (রাঃ)-র পক্ষে যুদ্ধে “প্রায় নেমে পড়ছিলেন,” পরে হঠাৎ মত পরিবর্তন করেন। অর্থাৎ হাদিসটা প্র মে তাঁর মনে পড়েনি।
এ হাদিস আবু বাকরা প্রকাশ করেছেন হজরত আয়েশা (রাঃ) পরাজিত হবার
পরে, আগে নয়।
এ হাদিস অনুসারে তাঁর উচিত ছিল বিবি আয়েশা (রাঃ)-র বিপক্ষে হজরত আলী (রাঃ)-র পক্ষে যুদ্ধ করার। তা তিনি করেননি।
বলেছেন নবীজীর মৃত্যুর সুদীর্ঘ ২৪ বছর পর, তার আগে একবারও বলেননি।
এ হাদিসে তিনি বড়ই উপকৃত হয়েছেন বলে জানান।
তিনি হজরত আলী (রাঃ)-কে বলেছেন, অন্য কাউকে না জানালেও তিনি নাকি শুধু হজরত আয়েশা (রাঃ)-কে জামাল-যুদ্ধের আগে চিঠি লিখে এ-হাদিসের কথা জানিয়েছিলেন। (অর্থাৎ তাঁকে নেত্রীত্ব ছাড়তে বলেছিলেন)।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ হাদিস নবীজী বর্ণনা করেছেন অনেক সাহাবীকে, কিন্তু যে-হাদিসের সাথে বিশ্বের সমস্ত মুসলিম নারীদের সম্মান ও অধিকার কেয়ামত পর্যন্ত বাঁধা, সেই অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ হাদিস নবীজী বলেছেন শুধু তাঁকেই, আর কোন সাহাবীকেই নয়, বিদায় হজ্জ্বের খোৎবাতেও নয়।
এবার কিছু সহজ হিসেব করা যাক।

আবু বাকরা বলেছেন “আমি বড়ই উপকৃত হইয়াছি।” কিভাবে ? তিনি কোন নেতা বা রাজা বাদশা ছিলেন না, কিভাবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বড়ই উপকৃত হলেন। প্রশড়বই ওঠে না। তিনি তো বিবি আয়েশার বিরুদ্ধে হজরত আলীর পক্ষে যুদ্ধও করেননি।
জামাল-যুদ্ধে যদি আয়েশা (রাঃ) জিতে যেতেন, তবে কি তিনি এ-হাদিস প্রকাশ করতেন ? কে জানে!!
জামাল-যুদ্ধ যদি না হত তবে তিনি এ-হাদিস বলতেন কি ? বোধহয় না, কারণ তিনি সুদীর্ঘ ২৪ বছরে এ-হাদিস বলেননি।
এবারে প্রমাণ।

চিঠিতে এ-হাদিস কথা জানাবার পরেও বিবি আয়েশা (রাঃ) নেত্রীত্ব ছেড়ে দেননি, যুদ্ধের নেত্রীত্ব দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি এ-হাদিস বিশ্বাস করেননি।
মওলানারা এ-হাদিস জানতেন না, এটা হতে পারে না। যুগে যুগে বেশির ভাগ মুসলিম সুলতানাদের সময় মওলানারা বিরোধীতা করেননি। অর্থাৎ তাঁরা এহাদি স বিশ্বাস করেননি।
মুসলিম জাহানের খলীফাদের দরবারে কোরাণ-হাদিসের প্রচণ্ড চর্চা হত। এ-হাদিস নিশ্চয়ই তাঁরা জানতেন। মুসলিম জাহানের খলীফারাও এ-হাদিস বিশ্বাস করেননি। তাঁদের সমর্থন ছাড়া সুলতানাদের মুদ্রা ও খোৎবা সম্ভব হত না।
অর্থাৎ ইসলামের ইতিহাসে বেশির ভাগ লোক এ-হাদিস বিশ্বাস করেনি। আইয়ুবের বিরুদ্ধে নির্বাচনে ফাতিমা জিনড়বার সমর্থক মওলানা মওদুদিও বিশ্বাস করেনি। কেন ? কারণটা তাঁরা হয়ত জানতেন, এ-হাদিস জাল-হাদিস। মাত্র তিনটি সূত্র দিচ্ছি, আরও বহু জায়গায় পেয়ে যাবেন :

সূত্র ১. আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিবার অপরাধে আবু বাকরাকে শাস্তি দেওয়াহইয়াছিল (“দ্য ফরগট্ন কুইন্স্ অব্ ইসলাম” − বিখ্যাত ইসলামি বিশেষজ্ঞ ফাতিমা মার্নিসি)।

সূত্র ২. এই হাদিসের অসত্যতা সুপ্রমাণিত শুধু ইতিহাসেই নয়, বরং ইহাও সত্য যে আবু বাকরা সম্বন্ধে মুসলমানের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে যে মিথ্যা সাক্ষ্য দিবার অপরাধে তাহাকে জনসমক্ষে শাস্তি দেয়া হইয়াছিল। − উইমেন’স রাইট ইন ইসলাম − শরীফ চৌধুরী।

সূত্র ৩. ইহার বর্ণনাকারী আবু বাকরাকে নারী-ব্যাভিচারের মিথ্যা সাক্ষ্য দিবার অপরাধে হজরত ওমর শাস্তি দিয়াছিলেন। − উইমেন অ্যাণ্ড পলিটিক্স ইন্ ইসলাম
www.submission.org/women/politics.html

এইবার কোরাণ শরীফ খুলে সুরা ২৪-এর আয়াত ৪ দেখে নিন − “যাহারা সতীসাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, অতঃপর স্ব-পক্ষে চারজন পুরুষ-সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাহাদিগকে আশিটি বেত্রাঘাত করিবে এবং কখনও তাহাদের সাক্ষ্য কবুল করিবে না। ইহারাই না-ফরমান।”

এই না-ফারমান আবু বাকরা’র কথাতেই হানাফি-শাফি-মালিকি-হাম্বলি শারিয়া আইনে নারী-নেত্রীত্ব সরাসরি নিষেধ করা আছে। সময়ের সাথে সাথে সবাই উনড়বতি করে। কিন্তু শারিয়ার বিবর্তন হচ্ছে শামুকের গতিতে। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত বাংলায় বিধিবদ্ধ আইন-এর ৩য় খণ্ডের ১৯৭ পৃষ্ঠায় ধারা ৯০০-তে “রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার যোগ্যতা” আইনে যে আটটা শর্ত আছে পুরুষ হওয়া তার অন্যতম। ব্যাখ্যায় আছে “রাষ্ট্রপ্রধানের পুরুষ হওয়াও অপরিহার্য শর্ত।” কিন্তু তার পরে পরেই “অপরিহার্য শর্ত”টা ততটা অপরিহার্য থাকেনি, বলা হয়েছে যদি “ইসলামি রাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ ফকিহ্গণ কোন বিশেষ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতির সার্বিক কল্যাণ বিবেচনা করিয়া উক্ত সর্বোচ্চ পদ নারীর জন্য অনুমোদন করিতে পারেন।” অর্থাৎ অনুমোদনের সার্টিফিকেট তাঁরা ছাড়বেন না। তাঁদেরকে কে অনুমোদন করে তার ঠিক নেই, অথচ তাঁদের অনুমোদন ছাড়া যোগ্য নারীও রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারবেন না। এভাবেই শারিয়া হয়েছে রাজনৈতিক ক্ষমতার হাতিয়ার।

খোদ কোরাণের নির্দেশটাই দেখি না কেন আমরা। পড়ে দেখুন সুরা নামল আয়াত ২৩ − “আমি এক নারীকে সাবা-বাসীদের উপর রাজত্ব করতে দেখেছি।” সেই রাজত্ব করা রাণী যখন ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হল তখন ? তখন কোরাণ কি বলেছে তাকে সিংহাসন থেকে তাড়িয়ে দেয়া হল ? মোটেই নয়, মোটেই নয়, পড়ে দেখুন আয়াত ৪৪।

তাহলে ? দেখলেন ইসলামের নামে নারী-বিরোধী পুরুষতন্ত্রের কোরাণ-বিরোধী ষড়যন্ত্র ? কিন্তু সব ষড়যন্ত্রই দুর্বল হতে বাধ্য, ভেঙে চুরমার হতে বাধ্য যদি প্রতিরোধ করা যায়।

১৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ খুব সুন্দর হয়েছে। সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর।বোখারীর সব হাদীস যে ছহী নয় সেটা আমারো মনে হয়। সে যাইহোক আবু বাকরার (রাঃ) হাদীস হজরত আয়েশার (রাঃ) আমল না করার মধ্যমেই বাতিল হয়ে যায়।

১৬| ১৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

এ আর ১৫ বলেছেন: নারী নেতৃত্ব হারাম --- এই নিয়ে আমার সাথে জনাব শাহজালাল হাওলাদার সাহেবের কিছু বিতর্ক হয়েছিল ওনার লেখা ব্লগে - পড়ে দেখতে পারেন নিচের লিংকে ০০০০
অসঙ্গত নারী নেতৃত্ব

১৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সময় পেলে দেখব। সহযোগীতার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সেখানে গেলাম। সে লোক সুরা বাকারার ২২৭ নং আয়াতের কথা বল্ল যাতে এ সংক্রান্ত কথা নাই। মুসলমানদের ইজমার কথা বল্ল। অথচ সাহাবায়ে কেরামের ইজমার কাছে অন্য কোন ইজমা টিকে কি? যা দেখলাম উদ্ভট সব কথা।

১৭| ১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আচ্ছা নারী নেতৃত্ব হালাল প্রমানের এই চেষ্টার পেছনে মুল কারণ কি এটাই যে এ'দেশের দুই প্রধান দলের নেতৃত্বে নারীরা আছে? এইসব দুনিয়াদার দলকে ইসলামী বানানো, বা মুসলমানদের এইসব দলের অধীনে থাকা আর একটু স্বস্তিদায়ক করার জন্যই কি এত চেষ্টা?
তা না হলে -
আল্লাহ যেখানে লক্ষাধীক নবী পাঠালেন যারা প্রত্যেকে নিজ নিজ জাতির নেতা ছিলেন তাদের মধ্যে একজনও নারী নাই
ইসলামী খেলাফতের হাজার বছরের ইতিহাসে যেখানে একজনও নারী খলিফা নাই
মসজিদের ইমামতিতে যেখানে নারীদের স্থান নাই - এটা সর্বজন স্বীকৃত

সেখানে অন্যান্য নানা খুটি নাটি যুক্তি খুজে নারীদের ঘরের বাইরে সামাজিক/রাজনৈতিক নেতৃত্বে আনতে চাওয়ার এই চেষ্টার অর্থ কি? আপনারা কি নতুন কোন ইসলামের প্রবর্তন করতে চাচ্ছেন যা ইতিপুর্বে কখনই দুনিয়াতে ছিল না?

আর আপনাদের সবচেয়ে বড় যুক্তি যে মা আয়শা(রা) এর যুদ্ধের নেতৃত্ব সেটা একটা সংকট কালীন বিষয় ছিল যেখানে তাঁর সমর্থকরা পরাজিত হয় - এ'থেকে কি এই শিক্ষাও নেয়া যায় না যে নারীদের নেতৃত্বে বসালে জয়/উন্নতির চেয়ে পরাজয়/অবনতির আশংকাই বেশী? মা আয়শা(রা) চেয়েও যোগ্য নারী কোথায় পাবেন??

১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ঘরে থাকবে সে নারী যে ঘরে থেকে স্বাচ্ছন্দ জীবন যাপন করতে পারবে। কিন্তু জীবিকার প্রয়োজনে যাকে ঘরের বাইরে বেরতে হয় তাকে আপনি তাকে ফতোয়া দিয়ে ঘরে রাখতে পারবেননা। আপনার ফতোয়া ধুয়ে সে পানি খাবেনা। আর যে নারীর যোগ্যতা আছে তাকেও আপনারা ফতোয়া দিয়ে আটকাতে পারবেন না। বৃথাই চেষ্টা করা সার হবে। আপনি মনোযোগ দিয়ে পোষ্ট পড়লে কথাটা বুঝতে পারতেন। কে কোথায় কি করেছে না করেছে সেকথা তার ভাবার দরকবার নেই। যে দেখবে তাতে তার লাভ নেই। এজন্য আমি পুরুষদেরকে যোগ্যতা দিয়ে নারীর যোগ্যতার মোকাবেলা করতে বলেছি, ফতোয়া দিয়ে নয়।

১৮| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "এজন্য আমি পুরুষদেরকে যোগ্যতা দিয়ে নারীর যোগ্যতার মোকাবেলা করতে বলেছি, ফতোয়া দিয়ে নয়।"

ভাল বলেছেন। তবে এটা নতুন করে বলার কিছু নাই - হাজার বছর ধরে এটাই চলছে। আর সেটাই সময়ের পরিক্রমায় ফতোয়ার অংশ হয়ে গেছে। তবে এটাও ঠিক যে 'নারী নেতৃত্ব হরাম' - এ'রকম সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত কখনই ছিল না। সংকট কালিন সময়ে প্রয়োজনে নারীরাও নেতৃত্ব দিতে পারে।

আপনি বরং এক কাজ করতে পারেন - আধুনিক সভ্যতা হিসেবে পরিচিত বর্তমান সময়ের গত ১০০ বছরের পৃথিবীর সব স্বাধীন দেশের সরকার প্রধানের একটা তালিকা তৈরী করে দেখতে পারেন সেখানে নারীদের অবস্থান কোথায় - সম্ভবত ৫% এরও কম নারী এই আধুনিকতম নারী স্বাধীনতার যুগেও সরকার প্রধানের দ্বায়িত্বে পৌছাতে পেরেছেন। এরপর ঐ নারী নেতৃদের সাফল্য ব্যার্থতা নিয়েও জরিপ করতে পারেন - দেখবেন তাদের সাফল্যের চেয়ে ব্যার্থতার পাল্লাই ভারি। এর পরও যদি আপনার নারীদেরকে নেতৃত্বে দেখার বাসনা থাকে - সেটা একান্তই আপনার ব্যাক্তিগত আগ্রহ হতে পারে - তার সাথে ইসলামকে না জড়ানোই ভাল।

ধন্যবাদ।

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কাঙ্গাল হলেও আপনি মুরশিদ। মুরশিদ মানে পথ প্রদর্শক। যথেষ্ট আত্ম বিশ্বাস না থাকলে আপনি এ নিক নিতে পারতেন না। কিন্তু আমরা সরকারী ভাবে যুবদের প্রশিক্ষণ প্রদান করি। যাতে আমরা নারীদেরকে স্বনির্ভরতা শিখাই। সেখানে আমাদের বলতে হয় যোগ্যতা থাকলে নারী যে কোন কাজ করতে পারে। তখন স্বভাবতই প্রশ্ন আসে নারী কি রাষ্ট্র নায়ক হতে পারে? তখন বলতে হয় অবশ্যই তা’পারে কারণ কাজের প্রথম শর্ত যোগ্যতা। তখন আবার প্রশ্ন উঠে এ ক্ষেত্রে ইসলামের কোন বিধি নিষেধ আছে কিনা। তখন আমি ‘না’ সূচক জবাব দেই। ঝালকাঠি নেছারাবাদ মাদ্রাসা পাশে থাকায় আমার সব ব্যাচে দু’চার জন ইমাম খাকে। আমি যে এলাকায় থাকি সে এলাকার বড় হুজুর আমার ছাত্র। যিনি আবার নেছারাবাদের পীর মাওলানা খলিলুর রহমানের খলিফা। আমার বাড়ি ওয়ালাও সেই পীর সাহেবের যে সংগঠন রয়েছে তার একজন বড় মাপের নেতা। সে যাই হোক আমি যেই নারী নেতৃত্ব হারাম নয় বলে মন্তব্য করি তখনই আমাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করা হয়। আমি তাদের সন্তোস জনক জবাব দিয়ে তবে রেহাই পাই। এস্থানে আমি টিকে আছি দীর্ঘ একযুগ। এখন সব আলেমই আমাকে সম্মান ও সমীহ করে।
আমি যেটা বলতে চাই সেটা হলো সূরা নেছার ৩৪ নং আয়াত নেতৃত্ব সংক্রান্ত নয় বরং দাম্পত্য সংক্রান্ত। তো বিরোধীরা সেটা নেতৃত্ব সংক্রান্ত প্রমাণ করতে পারেনা।
নারী কেন নবী নয়, এর জবাবে বলি তাদের নবুয়তের যোগ্যতা নেই তবে নেতৃত্বের যোগ্যতা আছে। যেহেতু কাজ দু’টি পৃথক কাজ সেহেতু একটার অযোগ্যতা অন্যটার অযোগ্যতা সাব্যস্ত করবেনা। সব নবী নেতা হলেও সব নেতা নবী নয়। কাজেই নবী ও নেতা সমান নয়। নবী আর নেতা এককথা হলেতো নমরূদকেও নবী বলতে হয়।সুতরাং নারী নবী নয় এ যুক্তি তার নেতৃত্বের অন্তরায় হবেনা।
নারী ইমাম নয় কেন? এ ক্ষেত্রেও সেই একই যুক্তি নারীর ইমাম হওয়ার যোগ্যতা না থাকলেও তার নেতৃত্বের যোগ্যতা আছে। এ ক্ষেত্রেও কথা হলো সকল ইমাম নেতা হলেও সকল নেতা ইমাম নয়। সুতরাং ইমাম ও নেতা সমান নয়। যদি তাই হয় তবেতো সুরঞ্জিত বাবুকেও ইমাম বলা যায়।
নারী খলিফা হয়নি কেন? এর সহজ উত্তর এমন প্রস্তাব উত্থাপিত হয়নি সুতরাং ভোট পড়েনি। সুতরাং কেমন করে খলিফা হবে? তবেকি নারী মনে মনে খলিফা হবে?
তারপর বলা হলো অমুক তমুক ফতোয়া দিলেন নারী নেতৃত্ব হারাম। তো আমি বল্লাম, কিন্তু হজরত আয়েশার (রাঃ) ফতুয়া হলো নারী নেতৃত্ব হারাম নয়। তবে কার ফতোয়া গ্রহণ যোগ্য?
বলা হলো একখানা হাদীস আছে নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। তো বল্লাম হাদীসের প্রথম অনুসারী সহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এর বিপরীত আমল করায় হাদীস তার গ্রহণযেগ্যতা হারিয়েছে। বলা হল, বোখারীতে সে হাদীস রয়েছে। বল্লাম বোখারী সাহাবায়ে কেরাম থেকে বড় নয়।
বলা হলো, নেতৃত্ব পর্দার অন্তরায়, বলেছি পর্দায় থেকেও নের্তত্ব করা যায়। কারন এতে শুধু হুকুম জারি করতে হয়। যা কাগজে লিখে জারি করা যায়। আর তাতে পর্দার খেলাপ হয়না।
বলা হলো যারা নেতৃত্ব করে তারা এমন করেনা, বলেছি তবে সেটা পর্দা খাতে হিসেব হবে নেতৃত্ব খাতে নয়।
বিরোধী পক্ষের থলিতে আর কোন দলিল প্রমাণ না থাকায় সাব্যস্ত হল নারী নেতৃত্ব হারাম নয়। তবে বিরোধী পক্ষের যদি আরো দলিল থাকে তবে সেগুলো কাটার মত অস্ত্র ইনশাআল্লাহ আমার কাছে রয়েছে। সে জন্য ধর্ম ব্যাবসায়ীদের বলি নারী নেতৃত্ব মোকাবেলা কর যোগ্যতা দিয়ে ধর্ম দিয়ে নয়।
সে যাই হোক নিরপেক্ষ বিচারে এপর্যন্ত আমার সাথে এ পর্যন্ত কেউ জিতেনি। আর সেজন্য আমার ইমাম ছাত্ররা মসজিদে গেলে তাদের মুছল্লিদের পরিচয় করি দিয়ে বলে, স্যার কইলুম কম্পিউটার স্যার হলে কি হবে স্যার কিন্তু বড় আলেম। তো আলেমরাই আমাকে আলেম মানলে আমার আর কি করার থাকে। নেছারাবাদ ও চরমোনাইর দুই পীর আমার দুই পাশে যাদের লক্ষ লক্ষ মুরীদ। তারা আমার সাথে তর্কে জড়াতে আসেনা। তথাপি মুরশীদ আপনি আমাকে পথ দেখাতে আসেন এত আমি খুশী।

১৯| ১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ বিস্তারিত লেখার জন্য। আপনার কাজ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।

আমি কিন্তু প্রথম থেকেই বলছি - 'নারি নেতৃত্ব হারাম' - এটা সর্বসম্মত কোন বিধান নয়। এটা একটা সাধারণ মত - আপনি নারীদের নবী হওয়ার যোগ্যতা নাই, নামাযে ইমাম হওয়ার যোগ্যতা নাই - এ'দুটো যেভাবে মেনে নিয়েছেন তেমনি কেউ কেউ দুনিয়ার হাজার বছরের ইতিহাসে সফল নারী রাষ্ট্রপ্রধান এর অপ্রতুলতা থেকে বলেন যে নারীদের রাস্ট্রীয় নেতৃত্বে যাওয়ার যোগ্যতা নাই - আপনি দুটি অযোগ্যতা মানছেন আর ওনারা বলছেন তিনটি।

আচ্ছা আপনি যেখানে যাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভরতা শেখান সেখানে কি রাজনীতিও শেখান হয়? না কি প্রতিষ্ঠানগুলি পরিচালনার পেছনে রাজনৈতিক কোন মটিভ কাজ করে? প্রশিক্ষনের আড়ালে কি কোন রাজনৈতিক দর্শনও প্রচার করা হয়?

যদি না হয় তাহলে এই প্রশ্নের অবতারনাতো সেখানে হওয়ার কথা নয়। যদি আপনি কর্মমুখি শিক্ষা দেন তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে নারীরা এই শিক্ষা নিয়ে সেই কর্ম ক্ষেত্রে কাজ করতে পারবে কী না। যেমন কৃষি শিক্ষা ক্লাসে প্রশ্ন আসতে পারে নারীরা কৃষি খামারের মালিক/পরিচালক হতে পারবে কী না, কম্পিউটার ক্লাশে প্রশ্ন আসতে পারে নারীরা কম্পিউটার বিষেশজ্ঞ হতে পারবে কী না - ইত্যাদী। একমাত্র রাজনীতির ক্লাশেই 'নারীরা রাষ্ট্র নায়ক হতে পারবে কী না' এই প্রশ্ন আসতে পারে। সে জন্যই জানতে চাইছি - আপনারা রাজনৈতিক প্রশিক্ষণও দেন কী না।

১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ভুক্ত একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান। আমি আছি এর কম্পিউটার ট্রেডে। আর বি জে এম ই বেসরকারী সংস্থা হিসেবে সরকারের সাথে চুক্তি ভিত্তিক যুব উন্নয়নের সাথে কাজ করে। আমাদের জীবন দক্ষতা একটি সাবজেক্ট রয়েছে। তাতে জীবন দক্ষতা সংশ্লিষ্ট সব কিছুই পড়ানো হয়।
আমি আলোচনা করছি হারাম-হালাল নিয়ে সেখানে যোগ্যতার প্রশ্ন কোথা থেকে আসে?

১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি কামিল হাদীস পাশ না হলে এক কথায় বলে দিতাম নারী নেতৃত্ব হারাম, একথা ধর্মীয় কূ-সংসার।

১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নারী নেতৃত্ব হারাম, এ কথা আমি সাইদীকে চিৎকার করে বলতে শুনেছি। আমি আপনার প্রতিবাদে পোষ্ট করিনি, আমি পোষ্ট দিয়েছি ইসলামের অপ ব্যখ্যাকারীর প্রতিবাদে।

১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পৃথিবীতে অনেক কিছুই হয়নি, তবে কোন দিন তা হবেনা ঘটনা এমন নয়। ইন্দ্রাগান্ধী সফল রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন। আমাদের খালেদা হাসিনা ২৭ বছর দেশ শাসন করছে। এখন এদের চেয়ে যোগ্য পুরুষতো জনগন খুজে পাচ্ছেনা।

২০| ১৭ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাংলাদেশে কি আদৌ সত্যিকার অর্থে কোন নারী নেতৃত্ব এসেছে ? তাঁরা অন্যের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করেন , চলেন দেশী বিদেশী অন্যের ইশারায় , কথা বলেন অন্যের লিখা পাঠ করে , সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে ভয় পান । তাঁরা কে কার জোরে নেতাগিরী করেন তাতো সকলেরই জানা ।
দেশের জনগন কি আসলেই ভাল নেতা পেতে চায় ? দেশে তো যোগ্য লোকের কোন অভাব নাই তার পরেও কেও কেন শিক্ষা দিক্ষা জ্ঞানে গুনে অভিজ্ঞতায় ভাল লোককে নেতৃত্বের আসনে বসানোর জন্য দাবী তুলছেননা !!! দু এক জন চেষ্টা করেছিলেন , তার পরে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা !!!

১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মহোদয় আমি এখানে নারীর যোগ্যতা নিয়ে আলোচনা করিনি, আলোচনা করেছি নারী নেতৃত্ব হারাম কিনা সে বিষয়ে-
সকল নবী নেতা কিন্তু সকল নেতা নবী নয়। সুতরাং নবী=নেতা নয়। যদি তাই হয় তবে ইব্রাহীম (আঃ)=নমরূদ মানতে হয়। কিন্তু ইসলামে ইব্রাহীম (আঃ) বড় নমরূদ ছোট। সুতরাং ইসলামে নবী বড় নেতা ছোট। এখন কারো বড় পদের যোগ্যতা না থাকলে তার ছোট পদের যোগ্যতা নেই এমন বলা যায়না।যেমন বিমান চালাতে পারেনা বলে রিক্সা চালাতে পারবে না, এমন কথা সংগত নয়।সুতরাং নারী নবী হতে পারেনি বিধায় নেতা হতে পারবেনা এটা যুক্তি সংগত নয়।
সকল ইমাম নেতা কিন্ত সকল নেতা ইমাম নয়। সুতরাং ইমাম হতে পারেনা বিধায় নেতা হতে পারবেনা এটা যুক্তি সংগত নয়।
অমুক তমুকের ফতোয়া নারী নেতৃত্ব হারাম কিন্তু হজরত আয়েশা (রাঃ) ও একদল সাহাবার (রাঃ) ফতোয়া নারী নেতৃত্ব হারাম নয়। সুতরাং হজরত আয়েশা (রাঃ) ও একদল সাহাবার (রাঃ) ফতোয়ার বিপরীতে অমুক তমুকের ফতোয়া গ্রহণযোগ্য নয়।
নারী নেতৃত্বের বিপরীতে হাদীস পাওয়া গেছে যা আমলে সাহাবার (রাঃ) বিপরীত।হাজার হাজার সাহাবার আমলের বিপরীতে একজন অখ্যাত সাহাবার বলা হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়। যে হাদীসের আমল না করে সাহাবা কেরম গুনাহগার হননি সে হাদীসের আমাল না করে আমাদের গুনাহগার হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) হাদীসের প্রথম অনুসারী।
হজরত ওসমান (রাঃ) ‘আল ফাখরু ফাকরী –দারিদ্র আমার অহংকার’ এ হাদীসের আমল করেনি বিধায় ধনাঢ্যতা জায়েজ। এখন নারী নেতৃত্ব জায়েজ না হলে ধনাঢ্যতাও জায়েজ নয়। অথচ যারা নারী নেতৃত্ব হারাম বলে চিৎকার করে তারা প্রসাদে থাকে। তারমানে হাদীস তাদের অনুকূল হলে তারা হাদীস মানে আর প্রতিকূল হলে আর মানেনা। একই বলে ধর্ম ব্যবসায়ী।
সাহাবায়ে কেরাম(রাঃ) নারী নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন আর যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন সে সকল সাহাবাও (রাঃ) শত্রুর বিরুদ্ধে নারী নেতৃত্ব হারাম ফতুয়া দেননি। সুতরাং নারী নেতৃত্ব হারাম না হওয়ার পক্ষে সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) ইজমা পাওয়া গিয়েছে সুতরাং এ ইজমার বিপরীতে অন্য সকল ইজমা অগ্রহণ যোগ্য।
নারী কেন খলিফা হয়নি? এর উত্তর হলো নারীর খেলাফতের প্রস্তাব কেউ করেনি কেউ ভোট দেয়নি তাই হয়নি। এ না হওয়া নারী নেতৃত্ব হারাম হওয়ার কারণে নয়।এ না হওয়া অযোগ্যতার কারণে। যেমন হজরত আবু বকর (রাঃ) যখন খলিফা হলেন তখন হজরত আয়েশার (রাঃ) বয়স মাত্র আঠার।ওমর (রাঃ) খলিফা হয়েছেন হজরত আবু বকরের (রাঃ) মনোনয়নে। হজরত ওমমান (রাঃ) ও আলী (রাঃ) খলিফা হয়েছেন মসলিশ উস শূরার মনোনয়নে। এ চার জনই হজরত আয়েশার চেয়ে যোগ্য ছিলেন। জঙ্গে জামালে হেরে হজরত আয়েশা (রাঃ) প্রমাণ করেছেন তিনি হজরত আলীর (রাঃ) চেয়ে যোগ্য নন।তবে সে যুদ্ধে তিনি জয়ী হলে একশ ভাগ সত্য যে তিনি খলিফা হতেন। কারণ তাঁর দল তাঁর চেয়ে যোগ্য সেনাপতি যখন খুঁজে পায়নি তবে কোথায় খুঁজে পেত খলিফা? খলিফা অন্য কেউ হলে সেনাপতি তিনিই হতেন। হজরত আয়েশা সেনাপতি হতেননা।
পর্দা নেতৃত্বের অনন্তরায় নয়, যদি হতো তবে হজরত আয়েশা (রাঃ)সেটা করলেন কিভাবে? তবে কি কেউ বলতে চায় তিনি পর্দা খেলাপ করেছেন? তা’ছাড়া নেতৃত্বে লাগে হুকুম যা হাতে লিখেও প্রদান করা যায়।সুতরাং পর্দা নেতৃত্বের অন্তরায় নয়।
ক্বোরআনে নারী নেতৃত্ব বিরোধী কোন আয়াত নেই। যেটা আছে সেটা দাম্পত্য সংক্রান্ত নেতৃত্ব সংক্রান্ত নয়। যেমন-
সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
পুরুষ নারীর কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং আরো কারণ পুরুষ তাদের ধন-সম্পদ ব্যায় করে সুতরাং নেককার স্ত্রীরা অনুগতা এবং লোক চক্ষুর অন্তরালের আল্লাহর (বিধানগত) হেফাজতের বিষয় হেফাজত করে।স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের শয্যা বর্জন কর এবং (শেষ চেষ্টা হিসেবে) তাদেরকে প্রহার কর। যদি তারা অনুগতা হয় তবে তাদের জন্য ভিন্নপথ (বিবাহ বিচ্ছেদ বা অন্য যেকোন শাস্তি মূলক ব্যাবস্থা) খুঁজবেনা।নিশ্চয়ই আল্লাহ উন্নত ও মহিয়ান।
সূরা নিসার ৩৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
তাহাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধ আশংকা করলে তোমরা তার (স্বামীর) পরিবার হতে একজন এবং তার (স্ত্রীর) পরিবার হতে একজন সালিশ নিযুক্ত করবে। তারা নিস্পত্তি চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে (মিমাংসার) অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ খবর সম্পন্ন সব জানেন (তিনি বেখবর জ্ঞানী নন)।
তো আল্লাহকি উপরোক্ত আয়াতে নারী নেতৃত্ব হারাম করেছেন? আয়াততো মোটে নেতৃত্ব সংক্রান্ত নয়। এতো পরিস্কার দাম্পত্য সংক্রান্ত।মায়ের উপর ছেলে, এক ঘরের পুরুষ অন্য ঘরের মহিলার উপর কর্তৃত্ব করতে গেলেতো ঝাঁটার বাড়ি খাবে।সুতরাং পুরুষ শুধুমাত্র তার স্ত্রীর কর্তা, অন্য কোন নারীর কর্তা নয়।সংগত কারণে এ আয়াত দ্বারা নারী নেতৃত্ব হারাম হওয়ার ফতোয়া দেওয়া যায়না। নারী নেতৃত্ব হারাম হওয়া সংক্রান্ত আর কোন আয়াত ক্বোরআনে নেই।উল্টা মরিয়ম (আঃ) ও রানী বিলকিস সংক্রান্ত ঘটনা নারী নেতৃত্ব জায়েজ সাব্যস্ত করে।
সকল স্বামী পুরুষ কিন্তু সকল পুরুষ স্বামী নয় কারণ যে বিয়ে করেনি সে স্বামী হয় কেমন করে? আবার সকল স্ত্রী নারী কিন্তু সকল নারী স্ত্রী নয়। কারণ যার বিয়ে হয়নি সে স্ত্রী হয় কেমন করে? সুতরাং পুরুষ শুধু তার স্ত্রীর কর্তা হতে পারে অন্য কোন নারীর নয় অন্য নারী ধরে নির্জনে কর্তৃত্ব করতে গেলে গণধোলাই খেতে হবে।
যেহেতু কোন ভাবেই ইসলামে নারী নের্তৃত্ব হারাম সাব্যস্ত করা যায়না, সেহেতু ইসলামে নারী নের্তৃত্ব হারাম নয়।এমন ফতোয়া দানকারী ও এর সমর্থক হালালকে হারাম সাব্যস্তের গুনাহে গুনাহগার হবে।

২১| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যদি প্রত্যেক নরনারীই তাদের উৎকৃষ্ট যোগ্যতা প্রমান করে নেতৃত্বের আসনে উঠে আসতে পারেন তবে তাঁর প্রতি যথাযথ সন্মান করাতো যেতেই পারে এতে তো কারো তেমন আপত্তি থাকার কথা না । উৎকৃষ্ট মানের নারী নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে ক্ষতি কি? মহিলা কোন নবী কোন দিন ছিলেন না আর নতুন করে কোন নবীও পৃথিবীতে আসবেন না। নারীরাতো তো বলছেন না কোন পুরুষ নেতৃত্ব মানিনা , তবে তাদের অবদমিত করে পুরুষ নেতৃত্ব কায়েমের কথা বলা হলে সেটা কেমন দেখাবে!!! এখন দেশ , সমাজ ও অন্যান্য যে কোন বিষয়ে যেখানে তাদের কাজের বৈধ অধিকার রয়েছে সেখানে নারী যদি তাঁর যোগ্যতা নিয়ে নেতৃত্বে চলে আসতে আসতে পারেন তাহলে তাদের নেতৃত্ব মেনে নিতে অসুবিধাটা কোথায়, তারা তো কোন নবুয়তি কিংবা মসজিদে ইমামতি করতে যাচ্চেন না ।

যে বিষয় পরিস্কার ভাবে হারাম বলে তেমনভাবে কোথাও উল্লেখ নেই তাকে নিয়ে মাতামাতি অথচ যে সমস্ত বিষয় পরিস্কার ভাবে হারাম বলে ঘোষনা করা হয়েছে যথা মদ সেবন , বিক্রয় বিতরণ ও এই হারামের অর্থ ব্যাবহার ও প্রয়োগ সে বিষয়টি নিয়ে তো কাওকে তেমন সোচ্চার হতে দেখা যায়না । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় দেশের মদের দোকান গুলি হতে যে ট্যাক্স ও ভ্যটের টাকা সরকারী কোষাগারে জমা হয়ে সকল অর্থের সাথে মিশে যায় ও তার কিছু অংশ দিয়ে দেশের মানুষের জীবিকার জন্য বেতন ভাতাদি সহ অনেক কাজে ব্যবহৃত হয় , তখন কি সেগুলি হারাম কাজ হতে অর্জিত অর্থের সাথে হারাম হয়ে জীবন জীবিকার সাথে মিশে যায়না !!! তাই বিষয়গুলি নিয়ে সঠিক পন্থায় ভাবনার সুযোগ রয়েছে অনেক ।

২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার মন্তব্য মানুষকে সঠিক পথ খুঁজে পেতে সহায়তা করে। আল্লঅহ আপনার মঙ্গল করুন আমিন।

২২| ২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৫২

ফকির জসীম উদ্দীন বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলেই বর্তমানে ইসলাম ধর্ম কে নিজেদের মনগড়া ফতুয়া মোতাবেক স্বার্থ হাসিলে ভুল পথে পরিচালিত করছে কিছু বিপদগ্রস্ত লোক।

২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমরা সবাই সচেতন হলে এরা সুবিধা করতে পারবেনা।। মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২৩| ২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:০৩

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: মাযহাব ও লা মযহাবের প্রত্যেকে তাদের দলের অনুকূলে ক্বোরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যা করে। ক্বোরআন ও হাদীসের এত রকম ব্যাখ্যা শুনে মাথা বিগড়ে অবশেষে পাবলিক স্টার জলসা ও জি বাংলা দেখে। এরপর যতই ফতোয়া ঝাড়না কেন। পাবলিক বলছে আমরা আর শুনছি না। জান্নাতের কথা বলেও কাজ হচ্ছে না। কারণ এ বলছে আমার দলের কাছে জান্নাত ও বলছে আমার দলের কাছে জান্নাত। পাবলিকতো আর দেখছেনা আসলে কার দলের কাছে জান্নাত। সুতরাং তারা স্টার জলসা ও জি বাংলা দেখে খেয়ে দেয়ে ঘুম। ওদিকে হুজুরেরা যা বলে জনগন বলে কি কও বাপু শুনিনা
ফরিদ ভাই কত সাল থেকে নির্দলীয় পোস্ট দেয়া শুরু করলেন? আপনাকে তো হানাফী মাযহাবের কীর্তন আর হুজুরদের চামচাগিরি ছাড়া কিছু করতে দেখেছি এতোকাল বলে মনে পড়েনা।
যা হোক, পোস্ট ভালো লাগল আসলেই। এভাবে যদি আপনার মাযহাবী গোঁড়ামীগুলোও দূর হয়ে যায় তো মাশাল্লাহ।

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মাযহাব বেঠিক প্রমাণ না করা পর্যন্ত মাযহাব বিরোধী বক্তব্য আমি গ্রহণ করবনা। এখন মাযহাব বিরোধী যা বলা হচ্ছে তার সবটাই অসার। আপনার পোষ্টে দেখে এলাম হানাফী আলেম নাকি আল্লাহর আকার থাকার কথা বলেছে। অথচ এ যাবত আল্লাহর আকার আছে দাবী করে আহলে হাদীসরা আমার সাথে তর্ক করে আসছে এবং জাকির নায়েককে আমি নিজ কানে আর।রাহর আকার থাকার কথা বলতে শুনেছি। এ আহলে হাদীসরা যে কত দল ভাবলেও মাথা ঘুরে যায়।

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি ইমাম আবু হানিফার (রঃ) শুধু ভক্ত নই বরং মহা ভক্ত। সুতরাং তাঁর ইসলাম বিশ্লেষণ আমার নিকট গ্রহণ যোগ্য।

২৪| ২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: কোনও বিশ্বাসই একতরফা বেঠিক হয়না, কিছু ভুল ও কিছু ঠিক নিয়েই ভেদাভেদ। সবচেয়ে বড় ভেদাভেদ ছিলো শিয়া ও সুন্নী। অথচ দুদলেরই নিজেদের যুক্তি ঠিক ছিলো।

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সাড়ে চার হাজার ধর্ম ও মতের সবাই তাদের ধর্ম ও মতকে সঠিক ভাবে। নতুবা তারা এগুলো মানে কেন?

২৫| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১১

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: এখন নারী ক্ষমতায়ন মানি, তবে এটাকে কি বলবেন বলুন
এখন নারী ক্ষমতায়ন মানি, তবে এটাকে কি বলবেন বলুন

২৫ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নারীর বেহায়াপনার সমর্থক আমি নই। সেটা আলাদা কাজ। আমি শুধু বলতে চাই যোগ্যতা থাকলে এবং জনগন মানলে ইসলাম নারীর নেতৃত্ব হারাম করেনি। পুরুষ শাসকেরাও আকাম কম করেনা। সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু ধর্মের মিথ্যা দোহাই দিয়ে কারো অসম্মান করা আমি সমর্থন করিনা।

২৬| ২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: ধরে নিলাম আপনার দৃষ্টিতে নারী নেতৃত্ব সঙ্গত, তাহলে নেতৃত্বের আসনে বসে পর্দা রক্ষা হবে কিভাবে? পর্দা কি ফরজ নয়?

পবিত্র কুরআনে পর্দার নির্দেশ
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন : “(হে নারীগণ!) তোমরা তোমাদের ঘরের (বাড়ীর চতুর্সীমানার) ভিতর অবস্থান কর এবং বাইরে বের হয়োনা – যেমন ইসলামপূর্ব জাহিলী যুগের মেয়েরা বের হত।” (সূরাহ আহযাব, আয়াত : ৪৩)

আল্লাহ তা‘আলা আরো ইরশাদ করেন : “(হে নবী!) আপনি আপনার পত্মীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, যখন কোন প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয়, তখন তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। (যেন পর্দার ফরজ লংঘন না করে। এমনকি চেহারাও যেন খোলা না রাখে। তারা যেন বড় চাদরের ঘোমটা দ্বারা নিজেদের চেহারাকে আবৃত করে রাখে।) ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সূরাহ আহযাব, আয়াত : ৬০)

আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র ইরশাদ করেন : “মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হিফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয় তারা যা করে, আল্লাহ তা অবহিত আছেন। আর ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হিফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান – তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের ওড়না বক্ষদেশে দিয়ে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্তবাদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক – যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে।” (সূরাহ নূর, আয়াত : ৩০ – ৩১)

১)উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা(রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি এবং মাইমুনা(রাঃ) রাসুল(সঃ) এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় অন্ধ সাহাবী ইবনে উম্মে মাখতুম(রাঃ) সেখানে আসতে লাগলেন। তখন রাসুল(স) বললেন তোমরা তার থেকে পর্দা করো, আড়ালে চলে যাও। আমি বললাম ইয়া রাসুলুল্লাহ তিনি তো অন্ধ। তিনি তো আমাদের দেখতে পাচ্ছেন না। তখন রাসুল(স) বললেন তোমরাও কি অন্ধ? তোমরা কি তাকে দেখতে পাচ্ছো না? (আবু দাউদ ২/৫৬৮)

২)রাসুল(সঃ) বলেন নারী হল গোপনীয় সত্ত্বা।যখন সে ঘর থেকে বের হয় তখন শয়তান তার দিকে দৃষ্টি উচু করে তাকাতে থাকে। (তিরমিযি১/২২২)

৩) রাসুল(সঃ) বলেন , আমার পরে নারী ফিতনা(পরীক্ষা) পুরুষদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ করবে। (বুখারি ও মুসলিম)

রাসূল সা. বলেন- “তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট নারী হল বে-পর্দা ও অহংকারী নারীরা। এরাই মুনাফিক। এদের জান্নাতে প্রবেশ করা বড়ই দুরূহ ব্যাপার।” [বায়হাকী]

২১ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পর্দা নেতৃত্বের অন্তরায় নয়। কারণ নেতৃত্বে লাগে শুধুমাত্র হুকুম। আর এ হুকুম কাগজে লেখেও জারি করা যায়। এখন নারী নেতৃত্ব করতে গিয়ে যদি পর্দা খেলাপ করে তবে সেটা ভিন্ন হিসাব। সেটা নেতৃত্ব হিসাব নয় বরং পর্দা হিসাব।

২৭| ২১ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: পর্দার খেলাপ না করে নারী নেতৃত্ব দিচ্ছে বিশ্বে এমন একটা প্রমাণও দিতে পারবেন বলে মনে হয়না। আল্লাহর সৃষ্টি কৌশলের দিকে তাকালেও বাস্তবতায় প্রতীয়মান হয় পুরুষই নেতৃত্বের যোগ্য। যেটা আমার "অসঙ্গত নারী নেতৃত্ব" নামক পোষ্টে বিস্তারিত তুলে ধরেছি দয়া করে পড়ুন।

২১ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সঙ্গত-অসঙ্গত আমার আলচ্য বিষয় নয়। আমার বিষয় হলো এটা হারাম কিনা সেটা খুঁজে দেখা।

২১ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কবি আপনার পোষ্ট পড়ে এসেছি। আপনার পোষ্টে প্রদত্ত যুক্তি-প্রমাণ নারী নেতৃত্ব হারাম সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। বরং আমলে সাহাবা এটা হালাল সাব্যস্ত করে।

২১ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কেউ পর্দা খেলাপ করলে সেটা তার ব্যক্তিগত ত্রুটি, সেটা পদ্ধতিগত ত্রুটি নয়। এ ধরণের যুক্তি উপস্থাপন না করাই ভাল।

২৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: ভাই আপনি বলেছেন, আপনার আলোচ্য বিষয় হল নারী নেতৃত্ব হারাম কিনা? পড়ে দেখুন দলিল সমুহঃ

পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে।” [নিসাঃ৩৪]
এ আয়াতের দ্বারা এটি প্রমাণ করে যে, পুরুষেরা সর্বদা নারীর উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে।তাই তারা কোন অবস্থাতে নারী-পুরুষ সকলের উপর নেতৃত্ব দিতে পারবে না।এই আয়াতের পরিপ্রক্ষিতে মুফাসসিরীনগণ ব্যখ্যা দিয়েছেন,
১. নারীরা শাসক হতে পারে না।
২. নারীরা নবী বা রাসূল হতে পারে না।
৩. নারীগণ ইমামতি করতে পারবে না।
৪. নারীদের উপর জিহাদ ফরয নয়
৫. নারীদের ব্যাপারে কিসাসের রায় দেওয়া জায়েয নয়
৬. তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ শুধুমাত্র নারীদের উপর নির্ভর করে না। [তাফসীরে ইবনে কাসীর,রুহুল মাআনী,বায়যাবী]
হাদীসভিত্তিক দলীল
বিভিন্ন হাদীসে বলা হয়েছে নারী নেতৃত্ব হারাম।যেমন বুখারী শরীফের কিতাবুল ফিকানে বলা হয়েছে যে,
“যে জাতির নেতৃত্ব কোন নারী দিবে সে জাতি কখনও কল্যাণ বয়ে আনবে না।”
অন্যত্র বলা হয়েছে, “যখন নারীরা নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করবে তখন মাটির উপরের চেয়ে নীচের অংশ ভাল হবে।” [তিরমযীঃকিতাবুল ফিকান]
তিরমিযী শরীফে আরেকটি হাদীস রয়েছে, “পুরুষেরা তখন ধংস্ব হয়ে যাবে যখন তারা নারী নেতৃত্ব মেনে নিবে।” [তিরমিযি]
কেউ যদি এসকল হাদীস সরাসরি এর অর্থ নিয়ে আলোচনা করে তাহলে তা স্পষ্ট হয় যে নারী নেতৃত্ব ইসলামে হারাম।
প্রথম হাদীসেটিতে নারী জাতির জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার যেই অভিশাপ আসবে তা তুলে ধরা হয়েছে আর পরের দুইটি হাদীসে নারী নেতৃত্বের ফলে পুরুষ জাতির জন্য যেই অবমাননাকর অবস্থার সৃষ্টি হবে তা তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়া হাদীসে বলা হয়েছে যে নারীদের কম জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তাই সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে,ইসলামে নারী নেতৃত্ব সম্পূর্ণরুপে অবৈধ।
ইজমাভিত্তিক দলীল
কুরআন-হাদীস ছাড়াও ইজমাতে ইবনে হাযম মারাফিতুল ইজমা(পৃঃ১২৬) গ্রন্থে বলেছেন, “তারা একথায় একমত হয়েছে নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” ইমাম তাইমিয়া বলেছেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” [নাকালু মারাফিয়া ইজমা] অতঃপর আল্লামা মাওয়ার্দী যাকে ইসলামী রাজনীতির প্রবক্তা বলা হয়ে তিনি বলেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।এ ব্যাপারে আলেমগণ একমত হয়েছেন।” [আহকামুস সুলতানিয়া] আল্লামা আবুল ইয়ালা হাম্বলী তার এ আহকামুস সুলতানিয়া গ্রন্থে বলছেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” ইমামুল হারামায় আল্লামা জুরাইন বলেছেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” ইবনুল আরাবী বলছেন, “নারী খলীফা কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারে না।” ইমাম কুরতুবী এই ইজমা উল্লেখ করেছেন যে, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” ইমাম গাযযালী(রঃ) খলীফা হওয়ার জন্য পুরুষ শর্ত উল্লেখ করেছেন।আল্লামা শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী(রঃ) তার হুজ্জাতুল বালিগা তে বলেছেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।নেতৃত্ব হওয়ার জন্য তাকে অবশ্যই পুরুষ হতে হবে।” আল্লামা ইবনুল কাসীর বলেন, “নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পুরুষ হওয়া ফরয।” ইমাম কুরতুবী আহকামুল কুরআনে নারী নেতৃত্বকে নাজায়েয বলেছেন। ইমাম যামাখখাশারী তার কাশশাফ এ লিখেছেন যে, “নারী নেতৃত্ব হারাম।” ইমাম বায়যভী তার তাফসীরে বায়যাভীতে বলেছেন যে, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।”ইমাম শাওকানী একই কথা বলেছেন।ইমাম বদরুদ্দিন আইনী লিখেছেন যে, তা বৈধ নয়।মোল্লা আলী কারী(রঃ) ফাতহুল বারীতে লিখেছেন যে, নারী নেতৃত্ব জায়েয নয়।আল্লামা মওদূদী ইসলামী শাসনতন্ত্রের ৮১ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “রাজনীতি এবং দেশশাসনে নারীদের কর্মসীমার বহির্ভূত।” আশরাফ আলী থানবী (রঃ) বলেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” সৌদি আরবের মুফতি আযম,আব্দুল্লাহ বিন বার,আযমীর নারী নেতৃত্ব নাজায়েয বলেছেন।বিখ্যাত ফিকাহ গ্রন্থ ফাতওয়া শামীতে বলে হয়েছে, “নারী নেতৃত্ব কোনভাবেই জায়েয নয়।কারণ আল্লাহ পাকের নির্দেশ হল নারীরা ঘরে পর্দার সাথে জীবন যাপন করবে।তাদের জন্য পর্দা করা ফরয।তাই কোনভাবেই তাদের জন্য নারী নেতৃত্ব জায়েয নয়।”
অর্থাৎ, এখানে গোটা উম্মাতের ভিতর এই ইজমা সঙ্ঘটিত হয়েছে যে,নারী নেতৃত্ব ইসলামে মোটেও জায়েয নয়।
যুক্তির আলোকে নারী নেতৃত্ব
যারা নারী নেতৃত্বকে অবৈধ বলে থাকেন তারা এ ব্যাপারে কিছু যুক্তি উপস্থাপন করে তা হল নিম্নরুপঃ
১. সফর করাঃ হাজ্জের সফরের জন্য কোন নারীর উপর যদি হাজ্জ ফরয হয় তাহলে সেই নারীর উপর ততক্ষণ পর্যন্ত হাজ্জ ফরয হবে না যতক্ষণ না তার সাথে কোন মাহরাম না থাকে।একাকী ভ্রমণ করা তার জন্য নিষিদ্ব।যদি সে একাকী সফর না করতে পারে তাহলে কি করে তার উপর নেতৃত্ব জায়েয হয়।কারণ তাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনেক সময় দূরে যেতে হবে।
২. জিহাদে অংশগ্রহণ তারপর জিহাদ নারীর জন্য ফরয নয়।এখন যদি সে বলে জিহাদ তো আমার উপর ফরয নয় তোমরা জিহাদের ময়দানে যাও আর আমি বসে থাকি এ কথা বললে কিন্তু হবে না।
৩. ইমামতি করা জুম্মার নামায নারীর উপর ফরয নয়।আদায় করলে তা করতে পারে।তাদের জন্য তো ইমামতি করা একেবারে নাজায়েয একটি কাজ।আর ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধানের এটি একটি প্রধান দায়িত্ব যে, তারা জুম্মার নামায পড়াবে।
৪. ঐতিহাসিক চিন্তা-ধারাঃ তারপর আমরা যদি ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে আমরা দেখতে পাই যে, মুহাম্মদ(সাঃ) এর ওফাতের পর খুলাফায়ে রাশেদীন যখন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় তখন কোন নারী খলীফা হন নাই,তারপর উমাইয়্যাদের দীর্ঘ ৯০ বছর,আব্বসীয়দের ৫৫০ বছরের শাসনের ইতিহাসে কখনও কোন নারী নেতৃত্ব দেয় নাই, স্পেনে উমায়্যাগণ প্রায় ৭০০ বছর শাসন করেছে সেসময় কোন নারী নেতৃত্ব দেয় নাই,উসমানীয়গণ প্রায় ৭০০ বছর শাসন করেছে তাদের ভিতর থেকে কখনও নারী নেতৃত্ব দেওয়া হয় নাই।তাহলে কুরআন,হাদীস,ইজমা,কিয়াস এবং ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা নির্ধিদ্বায় বলা যায় যে,ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম।
৫. নবূয়াত প্রদানঃ আল্লাহ পাক এ পর্যন্ত কোন নারীকে যেখানে নবী করেন নাই সেখানে কি করে একজন নারী নেতৃত্ব দিতে পারে?এই আলোকে ওলামাগণ নারী নেতৃত্বকে হারাম ঘোষণা করেছেন।
৬. নবীদের স্ত্রীদের নেতৃত্ব না নেওয়াঃ অনেকে এই যুক্তি প্রদর্শন করেন যে, রাসূল(সাঃ) এর ইন্তকালের পর তার স্ত্রীগণ নেতৃত্ব নেন নাই।খুলাফায়ে রাশেদীনের ভিতর কোন নারী ছিলেন না।তাহলে কি করে একজন নারী এখন নেতৃত্ব দিতে পারে?
৭. প্রকৃতিগত কারণঃ মেয়েরা প্রায় সময় হায়েয,নিফাস,ঋতুবতী হওয়ার দরুন তারা তাদের তাদের কার্যক্রমসমুহ যথাযথভাবে পালন করতে পারবে না বলে ইসলামে নারী নেতৃত্ব কোন অবস্থাতে জায়েয হতে পারে না।
৮. বেপর্দা হওয়াঃ যদি কোন নারী রাজ্যের অধিপতি হয় তাহলে তাকে প্রচার মাধ্যমসমূহতে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে তাকে নানা লোকের সাথে করমর্দন করতে হবে যা ইসলামী পর্দা জীবনের সম্পূর্ণরুপে পরিপন্থি।আল্লাহ বলেন, “তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।”[আহযাবঃ৩৩]াইপুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে।” [নিসাঃ৩৪]
এ আয়াতের দ্বারা এটি প্রমাণ করে যে, পুরুষেরা সর্বদা নারীর উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে।তাই তারা কোন অবস্থাতে নারী-পুরুষ সকলের উপর নেতৃত্ব দিতে পারবে না।এই আয়াতের পরিপ্রক্ষিতে মুফাসসিরীনগণ ব্যখ্যা দিয়েছেন,
১. নারীরা শাসক হতে পারে না।
২. নারীরা নবী বা রাসূল হতে পারে না।
৩. নারীগণ ইমামতি করতে পারবে না।
৪. নারীদের উপর জিহাদ ফরয নয়
৫. নারীদের ব্যাপারে কিসাসের রায় দেওয়া জায়েয নয়
৬. তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ শুধুমাত্র নারীদের উপর নির্ভর করে না। [তাফসীরে ইবনে কাসীর,রুহুল মাআনী,বায়যাবী]
হাদীসভিত্তিক দলীল
বিভিন্ন হাদীসে বলা হয়েছে নারী নেতৃত্ব হারাম।যেমন বুখারী শরীফের কিতাবুল ফিকানে বলা হয়েছে যে,
“যে জাতির নেতৃত্ব কোন নারী দিবে সে জাতি কখনও কল্যাণ বয়ে আনবে না।”
অন্যত্র বলা হয়েছে, “যখন নারীরা নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করবে তখন মাটির উপরের চেয়ে নীচের অংশ ভাল হবে।” [তিরমযীঃকিতাবুল ফিকান]
তিরমিযী শরীফে আরেকটি হাদীস রয়েছে, “পুরুষেরা তখন ধংস্ব হয়ে যাবে যখন তারা নারী নেতৃত্ব মেনে নিবে।” [তিরমিযি]
কেউ যদি এসকল হাদীস সরাসরি এর অর্থ নিয়ে আলোচনা করে তাহলে তা স্পষ্ট হয় যে নারী নেতৃত্ব ইসলামে হারাম।
প্রথম হাদীসেটিতে নারী জাতির জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার যেই অভিশাপ আসবে তা তুলে ধরা হয়েছে আর পরের দুইটি হাদীসে নারী নেতৃত্বের ফলে পুরুষ জাতির জন্য যেই অবমাননাকর অবস্থার সৃষ্টি হবে তা তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়া হাদীসে বলা হয়েছে যে নারীদের কম জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তাই সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে,ইসলামে নারী নেতৃত্ব সম্পূর্ণরুপে অবৈধ।
ইজমাভিত্তিক দলীল
কুরআন-হাদীস ছাড়াও ইজমাতে ইবনে হাযম মারাফিতুল ইজমা(পৃঃ১২৬) গ্রন্থে বলেছেন, “তারা একথায় একমত হয়েছে নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” ইমাম তাইমিয়া বলেছেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” [নাকালু মারাফিয়া ইজমা] অতঃপর আল্লামা মাওয়ার্দী যাকে ইসলামী রাজনীতির প্রবক্তা বলা হয়ে তিনি বলেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।এ ব্যাপারে আলেমগণ একমত হয়েছেন।” [আহকামুস সুলতানিয়া] আল্লামা আবুল ইয়ালা হাম্বলী তার এ আহকামুস সুলতানিয়া গ্রন্থে বলছেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” ইমামুল হারামায় আল্লামা জুরাইন বলেছেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” ইবনুল আরাবী বলছেন, “নারী খলীফা কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারে না।” ইমাম কুরতুবী এই ইজমা উল্লেখ করেছেন যে, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” ইমাম গাযযালী(রঃ) খলীফা হওয়ার জন্য পুরুষ শর্ত উল্লেখ করেছেন।আল্লামা শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী(রঃ) তার হুজ্জাতুল বালিগা তে বলেছেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।নেতৃত্ব হওয়ার জন্য তাকে অবশ্যই পুরুষ হতে হবে।” আল্লামা ইবনুল কাসীর বলেন, “নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পুরুষ হওয়া ফরয।” ইমাম কুরতুবী আহকামুল কুরআনে নারী নেতৃত্বকে নাজায়েয বলেছেন। ইমাম যামাখখাশারী তার কাশশাফ এ লিখেছেন যে, “নারী নেতৃত্ব হারাম।” ইমাম বায়যভী তার তাফসীরে বায়যাভীতে বলেছেন যে, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।”ইমাম শাওকানী একই কথা বলেছেন।ইমাম বদরুদ্দিন আইনী লিখেছেন যে, তা বৈধ নয়।মোল্লা আলী কারী(রঃ) ফাতহুল বারীতে লিখেছেন যে, নারী নেতৃত্ব জায়েয নয়।আল্লামা মওদূদী ইসলামী শাসনতন্ত্রের ৮১ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “রাজনীতি এবং দেশশাসনে নারীদের কর্মসীমার বহির্ভূত।” আশরাফ আলী থানবী (রঃ) বলেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” সৌদি আরবের মুফতি আযম,আব্দুল্লাহ বিন বার,আযমীর নারী নেতৃত্ব নাজায়েয বলেছেন।বিখ্যাত ফিকাহ গ্রন্থ ফাতওয়া শামীতে বলে হয়েছে, “নারী নেতৃত্ব কোনভাবেই জায়েয নয়।কারণ আল্লাহ পাকের নির্দেশ হল নারীরা ঘরে পর্দার সাথে জীবন যাপন করবে।তাদের জন্য পর্দা করা ফরয।তাই কোনভাবেই তাদের জন্য নারী নেতৃত্ব জায়েয নয়।”
অর্থাৎ, এখানে গোটা উম্মাতের ভিতর এই ইজমা সঙ্ঘটিত হয়েছে যে,নারী নেতৃত্ব ইসলামে মোটেও জায়েয নয়।
যুক্তির আলোকে নারী নেতৃত্ব
যারা নারী নেতৃত্বকে অবৈধ বলে থাকেন তারা এ ব্যাপারে কিছু যুক্তি উপস্থাপন করে তা হল নিম্নরুপঃ
১. সফর করাঃ হাজ্জের সফরের জন্য কোন নারীর উপর যদি হাজ্জ ফরয হয় তাহলে সেই নারীর উপর ততক্ষণ পর্যন্ত হাজ্জ ফরয হবে না যতক্ষণ না তার সাথে কোন মাহরাম না থাকে।একাকী ভ্রমণ করা তার জন্য নিষিদ্ব।যদি সে একাকী সফর না করতে পারে তাহলে কি করে তার উপর নেতৃত্ব জায়েয হয়।কারণ তাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনেক সময় দূরে যেতে হবে।
২. জিহাদে অংশগ্রহণ তারপর জিহাদ নারীর জন্য ফরয নয়।এখন যদি সে বলে জিহাদ তো আমার উপর ফরয নয় তোমরা জিহাদের ময়দানে যাও আর আমি বসে থাকি এ কথা বললে কিন্তু হবে না।
৩. ইমামতি করা জুম্মার নামায নারীর উপর ফরয নয়।আদায় করলে তা করতে পারে।তাদের জন্য তো ইমামতি করা একেবারে নাজায়েয একটি কাজ।আর ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধানের এটি একটি প্রধান দায়িত্ব যে, তারা জুম্মার নামায পড়াবে।
৪. ঐতিহাসিক চিন্তা-ধারাঃ তারপর আমরা যদি ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে আমরা দেখতে পাই যে, মুহাম্মদ(সাঃ) এর ওফাতের পর খুলাফায়ে রাশেদীন যখন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় তখন কোন নারী খলীফা হন নাই,তারপর উমাইয়্যাদের দীর্ঘ ৯০ বছর,আব্বসীয়দের ৫৫০ বছরের শাসনের ইতিহাসে কখনও কোন নারী নেতৃত্ব দেয় নাই, স্পেনে উমায়্যাগণ প্রায় ৭০০ বছর শাসন করেছে সেসময় কোন নারী নেতৃত্ব দেয় নাই,উসমানীয়গণ প্রায় ৭০০ বছর শাসন করেছে তাদের ভিতর থেকে কখনও নারী নেতৃত্ব দেওয়া হয় নাই।তাহলে কুরআন,হাদীস,ইজমা,কিয়াস এবং ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা নির্ধিদ্বায় বলা যায় যে,ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম।
৫. নবূয়াত প্রদানঃ আল্লাহ পাক এ পর্যন্ত কোন নারীকে যেখানে নবী করেন নাই সেখানে কি করে একজন নারী নেতৃত্ব দিতে পারে?এই আলোকে ওলামাগণ নারী নেতৃত্বকে হারাম ঘোষণা করেছেন।
৬. নবীদের স্ত্রীদের নেতৃত্ব না নেওয়াঃ অনেকে এই যুক্তি প্রদর্শন করেন যে, রাসূল(সাঃ) এর ইন্তকালের পর তার স্ত্রীগণ নেতৃত্ব নেন নাই।খুলাফায়ে রাশেদীনের ভিতর কোন নারী ছিলেন না।তাহলে কি করে একজন নারী এখন নেতৃত্ব দিতে পারে?
৭. প্রকৃতিগত কারণঃ মেয়েরা প্রায় সময় হায়েয,নিফাস,ঋতুবতী হওয়ার দরুন তারা তাদের তাদের কার্যক্রমসমুহ যথাযথভাবে পালন করতে পারবে না বলে ইসলামে নারী নেতৃত্ব কোন অবস্থাতে জায়েয হতে পারে না।
৮. বেপর্দা হওয়াঃ যদি কোন নারী রাজ্যের অধিপতি হয় তাহলে তাকে প্রচার মাধ্যমসমূহতে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে তাকে নানা লোকের সাথে করমর্দন করতে হবে যা ইসলামী পর্দা জীবনের সম্পূর্ণরুপে পরিপন্থি।আল্লাহ বলেন, “তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।”[আহযাবঃ৩৩]

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সূরা নেসার ৩৪ নং আয়াত নেতৃত্ব সংক্রান্ত নয় । আয়াতে কারিমা দাম্পত্য সংক্রান্ত।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হজরত আয়েশা (রাঃ) তবে কি হারাম কাজ করেছেন? এবং সাহাবায়ে কেরাম কি হজরত আয়েশার (রাঃ) নেতৃত্ব মেনে হারাম কাজ করেছেন? পোষ্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, তারপর মন্তব্য করুন। ভুয়া ফতোয়া বাদ দিয়ে ভাল মানুষ হওয়ার চেষ্টা করুন।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হাজার হাজার সাহাবীর (রাঃ) আমলের বিপরীতে আনছেন খবরে ওয়াহেদ হাদীস। আর তাদের চেয়ে অনেক কম মর্যাদার আলেমের মত। এগুলো যে এর বিপরীতে টিকেনা সেটাও বুঝেননা। আপনারা এভাবেই ইসলামটাকে শেষ করবেন।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: জনাব শাহজালাল, হজরত আয়েশা (রাঃ) মহানবীর (সঃ) স্ত্রী, তিনি জঙ্গে জামাল যুদ্ধের প্রধান সেনাপতি। মহান আল্লাহ বালিকা আয়েশার (রাঃ) সাথে ৫৪ বছরের নবীর (সঃ) বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন আপনাদেরকে নারী নেতৃত্বের মাসয়ালা শিখানোর জন্য। তথাপি আপনারা না বুঝলে আল্লাহ কি করতে পারেন? হজরত আয়শার (রাঃ) সহ সেনাপতি হজরত জুবাইর ইবনে আওয়াম (রাঃ) মহানবীর (সঃ) বড় ভায়রা যিনি ত্রিপলি জয়ী মহাবীর। যিনি আশারায়ে মোবাশ্বেরা। হজরত আয়েশার (রাঃ) আরেক সহ সেনাপতি হজরত তালহাও (রাঃ) আশারায়ে মোবাশ্বেরা। হজরত আয়শার অধিনে যুদ্ধ করেছেন কয়েক হাজার সাহাবা (রাঃ)। তার বিরুদ্ধ পক্ষের হজরত আলী (রাঃ) নারী নেতৃত্বের মোক্ষম ফতোয় কেন তখন ঘোষণা করে সাহাবায়ে কেরামকে সঠিক পথ দেখাননি? তিনিতো খোলাফায়ে রাশেদার চতুর্থ খলিফা। তবে কি ইসলামের প্রতি আপনাদের দরদ উপচে পড়ছে? সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) ক্বোরআন ও হাদীস খেলাফী আর আপনারা ক্বোরআন ও হাদীসের অনুসারী এমন মহা বিস্ময়কর কথা ভাবেন কেমন করে? আপনি যে সব লোকের কথা বল্লেন এরা সাহাবায়ে কেরামের নোখের যোগ্যতা রাখে? আপনারা ইসলামকে উপর থেকে যত নীচে নামাবেন ইসলাম ততই নীচে নামতে থাকবে, এটাও কি বুঝেন না? আর আপনি খবরে ওয়াহেদ হাদীস পেশ করছেন সাহবায়ে কেরামের আমলের বিপরীতে? এসব সাহাবায়ে কেরামের চেয়ে হাদীসের ইমাম বা আপনারাকি বেশী ক্বোরআন ও হাদীস জানেন অথবা বুঝেন? আসলে আপনার দাবীটা কি? একটু খোলাসা করবেন। দয়া করে ইসলামের আর অপ ব্যাখ্যা দিবেন না।

২৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: জনাব, সমস্যা হয় তখন
১) যখন কোন ডাক্তারকে বোকা বনে পাঠিয়ে ডাক্তারি না পড়া ব্যাক্তি বড় ডাক্তার সেজে বসে
২) যখন ইঞ্জিনিয়ারিং না পড়েই ইঙ্গিনিয়ারিং এর উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়।
৩) যখন, যুগের পর যুগ পেরিয়ে কোটি কোটি আলেমে দ্বীনের যোগ্যতাকে অজ্ঞতা মনে করা হয়।
৪) যারা সারা জীবন আমলের সাথে থেকে এলেমের চর্চা করে গেছে/ যাচ্ছে, আমলের উপর না থেকেও যখন তাদের খুত খোজ করা হয়।
সাহাবায়ে কেরামের চেয়ে ইমামরা বা আলেমরা হাদিস বেশি বুঝে এ কথা আজ পর্যন্ত কোন আহম্মকেও বলেনি, এটা আপনার নিছক মন্তব্য। বরং আপনারা যারা পুঁটি মাছকে রুই সাজাতে চান তাদের ভুল ব্যাখ্যার ফল হল উক্ত মন্তব্য।

হযরত আয়েশ (রাঃ) জঙ্গে জামালের সেনাপতি ছিলেন কিনা তা পড়ে দেখুন-

উটের যুদ্ধ বলতে বুঝানো হচ্ছে জঙ্গে জামালকে। ইসলামী ইতিহাসের একটি দুঃখজনক যুদ্ধের নাম জঙ্গে জামাল।

যা হযরত আয়শা রাঃ, হযরত তালহা রাঃ , জুবাইর রাঃ এর মতামতের অনুসারী এবং হযরত আলী রাঃ এর বাহিনীর মাঝে সাবায়ীদের ঘৃণ্য চক্রান্তের কারণে সংঘটিত হয়েছিল।

সাবায়ী চক্র হযরত উসমান রাঃ কে নির্মমভাবে হত্যা করলে মুসলমানদের ঐক্যমত্বে হযরত আলী রাঃ কে খলীফা নিযুক্ত করা হয়। সে সময় হযরত উসমান রাঃ এর হত্যাকারীদের আগে হত্যা করা হবে? না প্রথমে সাবায়ী চক্রান্তের জালে আটকে যাওয়া ইসলামী খিলাফতকে প্রথমে শক্তিশালী করা হবে, তারপর অপরাধীদের শাস্তি দেয়া হবে?

এ বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন সাহাবীদের মাঝে দুটি দল হয়ে যায়। হযরত আয়শা রাঃ, হযরত মুয়াবিয়া রাঃ, হযরত তালহা রাঃ, হযরত জুবায়ের রাঃ এর মত ছিল আগে হযরত উসমান রাঃ এর হত্যাকারীদের শাস্তি দেয়া হবে। আর হযরত আলী রাঃ এবং তার অনুসারীদের মত ছিল আগে ষড়যন্ত্রের জালে ভগ্নপ্রায় ইসলামী খিলাফতকে প্রথমে শক্তিশালী করা হোক, তারপর অবশ্যই হত্যাকারী অপরাধীদের শাস্তি দেয়া হবে।

এ মতবিরোধ হওয়ার পর উভয় দল বসরার পথে এক স্থানে মুখোমুখি অবস্থান করে সন্ধিতে আসেন। শান্তিময় সন্ধিচুক্তিতে সাবায়ী চক্র প্রমাদ গুনে।

উভয় পক্ষই ছিলেন দ্বীনের পক্ষে। হকের পক্ষে। কোন দলই যুদ্ধ কামনা করেন নি। কিন্তু রাতের গভীরে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থানকারী দুই বাহিনীর উপরই এক সাথে হামলা করে বসে সাবায়ী চক্র। ফলে সৃষ্ট হয় বিভ্রান্তির। হযরত তালহা, হযরত জুবায়ের ও হযরত আয়শা রাঃ এর বাহিনী মনে করেন হযরত আলী রাঃ এর বাহিনী হামলা করেছে, আর হযরত আলী রাঃ এর বাহিনী মনে করেন অপরপক্ষ হামলা করেছে।

এ ভুল বুঝাবুঝির কারণে শুরু হয় এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। ইতিহাসের এক মর্মান্তিক ট্র্যাজেডীর জন্ম দেয় কুখ্যাত সাবায়ী চক্র। রাতের গভীরে সংঘটিত হওয়া এ দুঃখজনক ভুল বুঝাবুঝির যুদ্ধটিই ইতিহাসে জঙ্গে জামাল বা উটের যুদ্ধ নামে প্রসিদ্ধ। আব্দুল্লাহ বিন সাবার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে ইতিহাসের পাতায় লেখা হয় এক মর্মান্তিক ইতিহাস। নির্দোষ ১০ হাজার মুসলমান শহীদ হন সে যুদ্ধে। (তারীখে তাবারী-৩/৫৪)

বিস্তারিত জানতে পড়ুন-তারীখে তাবারী, মুফতী মনসুরুল হক রচিত ইসলামী খিলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস)

মুসলমানদের মাঝে পারস্পরিক বিবাদ লাগিয়ে ফায়দা হাসিল করার এ ষড়যন্ত্র এখনো করে যাচ্ছে সাবায়ী চক্রের উত্তরসূরী ইহুদী খৃষ্টান শক্তি।

ধর্মীয় কোন্দল, ধর্ম নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি। হাজার বছর ধরে আমল করা কুরআন সুন্নাহের সঠিক ব্যাখ্যার বিপরীত ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে আজ মসজিদে মসজিদে বিবাদ লাগিয়ে দিয়েছে ইহুদী খৃষ্ট শক্তি কথিত আহলে হাদীস গ্রুপ এবং আহমাদ রেজাখাঁ বেরেলভী গ্রুপ তথা বেদআতিদের মাধ্যমে। আল্লাহ তাআলা সাধারণ মুসলমানদের এ ভয়াবহ ইহুদী খৃষ্ট ষড়যন্ত্র থেকে সাধারণ মুসলমানদের হিফাযত করুন। সঠিক বিষয় বুঝার তৌফিক দান করুন। আমীন, ছুম্মা আমীন।

ইসলামের ইতিহাসে শুধু আয়শা রাঃ নয়, কোন মুসলিম নারীই প্রধান নেত্রী হয়ে যুদ্ধ করেন নি। বরং সহযোগী ছিলেন হযরত আয়শা রাঃ জঙ্গে জামালে। তিনিই মূল নেত্রী ছিলেন না। মূল ছিলেন হযরত জুবাইর রাঃ এবং তালহাসহ অন্য সাহাবীরা।

সবচে’ বড় কথা হল-জঙ্গে জামালে হযরত আয়শা রাঃ যুদ্ধ করার জন্য আসেনইনি, যুদ্ধ করার কোন ইচ্ছাই ছিল না। ঘটনাক্রমে চক্রান্তের শিকার উভয় মুসলিম বাহিনী। গভীর রাতে ভুল বুঝাবুঝির কারণে সৃষ্ট বিশৃংখল যুদ্ধের নেতৃত্ব হযরত আয়শা রাঃ করেছেন একথা একটি বোকামীসূলভ মন্তব্য। তিনি হযরত জুবাইর রাঃ এবং হযরত তালহা রাঃ এর সাথে সে ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত থাকলেই নেতৃত্ব হয়ে যায় এমন কথা বলাটা অযৌক্তিক।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি এখানে কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছেন যার সত্যতা যাচাই না করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না। আজ একজনকে বলতে দেখলাম তিনি বলছেন ইমামের অনুসরন করা যাবে না বরং ক্বোরআন ও হাদীসের অনুসরন করতে হবে। ভাবখানা এমন যে ইমাম যেন কি ক্বোরআন ও হাদীসের খেলাপ চলেছেন। আর আমি ইতিহাস না জানা নই। আর ইসলামী শিক্ষার সর্বোাচ্চ ডিগ্রি আমার রয়েছে। আর আমি পড়াশুনা করেছি শৈশব থেকে বাংলাদেশের সেরা মাদ্রাসা ঢাকার মীর হাজির বাগের তা’মিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায়। আমার শিক্ষকগণ ছিলেন নিতান্ত মেধাবী। আর ইতিহাস পড়িয়েছেন বিখ্যাত মোফাচ্ছেরে ক্বোআন মাওলানা এ কিউ এম সিফাতুল্লাহ। হজরত আয়েশা প্রধান সেনাপতি ছিলেন না, আপনার কাছ থেকে এটা আমি প্রথম শুনলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.