নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীল পরী (পর্ব-৩)

২০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭



পরীর স্বামী রয়েগেলেন ত্রিপুরায়। এদিকে পরদিন পরী খোশ মনে ফুরফুরে মেজাজে কামরুল সাহেবের অফিসে এল। কারণ গতরাতে স্যার তাকে ফোনকরে বায়োডাটা নিয়ে আসতে বলেছিল। পরি স্যারের কক্ষে প্রবেশ করে স্যারকে সালাম জানালো। স্যার জবাব দিয়ে শীতল কন্ঠে বল্লেন, শেষ। শব্দটা শুনে পরীর মাথায় চক্কর দিল। সে চোখে অন্ধকার দেখল। দেখল তার শরীর টলছে, ঢুলছে। সে নিজেকে ধরে রাখতে পারছেনা। কামরুল সাহেব দেখলেন পরী তিন বাঁক খেয়ে তিন বাঁকা হয়ে কার্পেটে পড়েগেল। তিনি কিছুই বুঝলেন না। এ শব্দে এমন কি ছিল যে এমন ঘটনা ঘটল? তবে একটু চিন্তা করেই তিনি বিষয়টা বুঝলেন। তারপর দম খিঁচে সিকিউরিটিকে ডাকলেন। সিকিউরিটি এসে বিনম্র ভাষায় বল্ল, জি স্যার!
-শেষ!
- আপনি এ ম্যাডামকে মেরে ফেল্লেন স্যার?
- তুমি মেরেছ!
- কি বল্লেন স্যার? গরীব বলে খুনের দায় আমার ঘাড়ে চাপালেন স্যার?
সিকিউরিটি আলালের মাথা তখন ঘুরছে। সে দেখল অফিসের সব কিছু ঘুরছে। তারপর কামরুল সাহেব দেখলেন, সিকিউরিটি মেঝেতে চিৎপটাং। তিনি টেবিলে জোরে একটা কিল দিয়ে বল্লেন, ধ্যাৎ। শ্রমিক নেতা সরফরাজ সব ঘটনা দেখল। সে শ্রমিকদের ডাকল। তারা শ্লোগান তুল্ল, আলাল হত্যার বিচার চাই। কামরুল সাহেব খুব জোরে ধমক দিয়ে বল্লেন, চুপ। ব্যাটা দিব্যি শ্বাস টানছে, মরলেতো বিচার চাইবে। তোমরা কাজে যাও, আমি এ্যামবুলেন্স ডাকছি। সবাই কাজে গেল। কিছুক্ষণ পরে এ্যাম্বুলেন্স এসে পরী ও আলালকে নিয়ে গেলো। কামরুল সাহেব চেম্বার বন্ধ করে গাড়ী নিয়ে হাসপাতাল গেলেন। পরীর জ্ঞান ফিরল। সে ক্ষিণ কন্ঠে বল্ল, আমি কোথায়? কামরুল সাহেব বল্লেন, সে পরে হবে। আগে এ কাগজটা দেখ। পরী দেখল নিয়োগ পত্র। যে পত্র বেকারদের সবচেয়ে প্রিয়পত্র।
কামরুল সাহেব পরীকে জিজ্ঞাস করলেন, কি খুশীতো? পরী বল্ল, কি যে খুশী হয়েছি সে আপনাকে ভাষায় বলে বুঝাতে পারবনা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ স্যার। কামরুল সাহেব বল্লেন, হয়েছে আর ধন্যবাদ দিতে হবেনা। কাল জয়েন্ট করবে।
- কি হাঁটতে পারবে?
- পারব স্যার
- চল সিকিউরিটিকে দেখে আসি
- তার কি হয়েছে, স্যার?
- তোমার অবস্থা দেখে সেও জ্ঞান হারিয়েছে।
- একে দিয়ে কি সিকিউরিটি হবে স্যার?
- তোমাকে দিয়ে কি চাকুরী হবে ম্যাডাম?
- লজ্জা দিবেন না স্যার। চাকুরিটা বড় প্রয়োজন স্যার। তাই আপনি যখন বল্লেন, শেষ। তখন আমি বুঝেছি আমার চাকুরীরর আশা শেষ।
- এটা আমি বুঝলে এমন কথা জীবনেও বলতাম না।
- এখন চল, সিকিউরিটি ব্যাটাকে দেখে আসি
- তার দূর্বল মন স্যার। তাকে ছাড়িয়ে দেন স্যার!
- ভাল বলেছ, চাকুরী থেকে ছাড়িয়ে দিলে সে আবার যদি জ্ঞান হারায় তবে সে জ্ঞান আর ফিরবেনা।
- আমি এমন করে ভাবিনি, স্যার।
- এমন কম ভেবে কথা বল্লে কেমন হবে ম্যাডাম?
- আপনি আমাকে ম্যাডাম বলবেন না স্যার। আমি শুধুই আপনার পরী স্যার।
- ও কথা আর জীবনে বলবে না। ওকথা শুনলে জিনিয়া তোমাকে কোপাবে, বুঝলে?
- বুঝেছি স্যার। আপনি খুব ভাল করে বুঝান স্যার।
- হয়েছে, হয়েছে এবার তবে চল।
পরী উঠতে গিয়ে কামরুল সাহেবের গায়ে ঢলে পড়ে জড়া-জড়ি অবস্থা হয়েগেল। কামরুল সাহেবের গায়ে কারেন্ট খেয়ে গেল। তিনি অপ্রস্তত হয়ে তাড়াতাড়ি পরিকে ছাড়িয়ে নিলেন। কিন্তু জিনিয়ার সাথে তাঁর এমন রোমান্সকর অবস্থা কখনো হয়নি। তবে কি ভালবাসার মাহাত্ম এখানে? ভালবাসার মানুষের সাথের রোমান্স অন্যত্র তবে মিলেনা? সে যা হোক এ ভাবনা অনৈতিক। কামরুল সাহেব নিজেকে নিবৃত করলেন। তিনি পরীকে বেডে বসিয়ে নার্স ডাকলেন। নার্স পরীকে নিয়ে কামরুল সাহেবের সাথে আলালের কক্ষে প্রবেশ করলেন। তারো জ্ঞান ফিরে ছিল। সে বল্ল, ম্যাডাম বেঁচে আছে স্যার? কামরুল সাহেব বল্লেন তাই তোমাকে দেখাতে নিয়ে এলাম। সুস্থ্য হলে বাড়ী ফিরে যেও, না হয় হাসপাতালে থেকো। সব ব্যবস্থা করা আছে। আমি ওনাকে বাড়ী পোঁছে দিয়ে আসি। ঠিক আছে, স্যার আপনারা যান।
কামরুল সাহেব পরীকে বাসায় পোঁছে দিলেন। তার শ্বাশুড়ী মা তাকে উপরে নিয়ে গেল। আর কামরুল সাহেব অফিসে ফিরে এলেন।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:১১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ভাই। হাসতে হাসতে পেট ব্যথা অবস্থা। খুব মজা করে লেখেন আপনি।
ভালো লাগা রইল মুগ্ধতায়, লেখনি গুণে শ্রদ্ধা।

তবে, আগের পর্বের শেষ সিনের সাথে পরের পর্বের সামঞ্জস্যতা রাখতে হবে।
অনেক শুভকামনা সবসময়।

চালিয়ে যান, একটা উপন্যাস হয়েই শেষ হবে ইনশাআল্লাহ্

২০ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন প্রিয় কবি। আপনার পরামর্শ মত কাজ করব ইনশা আল্লাহ।

২| ২০ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৪২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ইয়া সর্বনাশ! একি হলো!

আমার মাথাও তো ঘুরাচ্ছে!

২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, মন্তব্যে মজা পেলাম।

৩| ২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

সত্যের ছায়া বলেছেন: বর্ণনা যখন দিবেন তখন আঞ্চলিকতা পরিহার করবেন, আর ডায়ালগে আঞ্চলিকতা থাকলে সমস্যা নেই। -এটা পাঠক হিসেবে মতামত ব্যক্ত করলাম।

তবে কাহিনী সুন্দরভাবে আগাচ্ছে।

২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এতে বুঝাগেল আপনি ভালভাবে পড়েছেন। আবার এডিট করলে খুঁজে ঠিক করব।

৪| ২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১:০৯

সত্যের ছায়া বলেছেন: আপনি কেন্দ্রীয় চরিত্র কে নিয়ে খেলা করছেন। এর ফল পজিটিভ হতে পারে আবার নেগেটিভও হতে পারে।

তবে, আপনি সামনের দিকে এগিয়ে যান।

২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কেন্দ্রীয় চরিত্র আপাতত একটি। পরে আরেকটি বাড়বে হয়ত। তখন উপন্যাসের নাম বদলাবে।

৫| ২১ শে মে, ২০১৭ ভোর ৫:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখনো প্লট বেঁচে আছে

২১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তবে এ পর্বে পাঠক প্রিয়তা পেলাম না। দেখি পরের পর্বে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারি কিনা।

৬| ২১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:১৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
গল্প পড়েতো মাথা ঘুরাচ্ছে....

খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই।

আর আপনার পোষ্ট প্রথম পাতায় আসে না কেন? আপনার ব্লগ তো অনেক পুরাতন ।।

২১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার লেখা এখনো প্রথম পাতায় আসারমতো মানে পৌঁছেনি। তবে আমি চেষ্টার কোন ত্রুটি করছিনা। দোয়া করবেন কবি।

৭| ২১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:৪৩

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: :) :)

চালিয়ে যান শেষমেশ দেখি পরির স্বামীর স্মৃতি ফিরলে কি অবস্থা দাড়ায়

২১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনারা সাথে থাকলে তবু লেখালেখির কিছুটা ভরসা পাই।

৮| ২১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাইয়া এই পোষ্টে নায়িকা পরীর ছবি না দিয়ে কাল্পনিক পরীর ছবি দিলে ভাল হত।

২১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার পরামর্শ গৃহীত হলো। দেখে মন্তব্যে জানান আপনার মনমতো হলো কিনা।

৯| ২১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দেখা যাক কাহিনি কোন দিকে মোড় নেয়।

২১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাদের মত জিনিয়াসরা পাশে থাকলে আশাকরি ভাল কিছু হবে- ইনশাআল্লাহ।

১০| ২১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা .... পরীর অবস্থা শেষ

ভাল লেগেছে গল্প। এগিয়ে যান সাথেই আছি ।
ইশ আমি যদি গল্প লিখতে পারতাম
গল্প লেখা আমার দ্বারা হবে না

২১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি যা লিখছেন তার থেকে গল্প লেখা অনেক সহজ।

১১| ২১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাইয়ের মত করে: দেখা যাক কাহিনি কোন দিকে মোড় নেয়।

২১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনারা আলো ছড়ান। সেই আলোতে আমি লেখি। গটনা এমন হলে ইনশাআল্লাহ ভাল কিছু হবে।

১২| ২১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

নাগরিক কবি বলেছেন: হাহাহহাহাহাহা আজিকে কিন্তু হাসিয়াছি প্রিয় সনেট কবি সাহেব =p~

২১ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এ পর্বে মন্তব্য কম হয়ে গেল। আগ্রহ হারাচ্ছি।

১৩| ২২ শে মে, ২০১৭ রাত ২:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এই গল্পের তিনটি পর্বই পাঠ করেছি । সময়ের স্বল্পতার জন্য আগের দুটি পর্বের লেখাটি সম্পর্কে তেমন কিছু বলতে পারিনি । এখন মনে হল এই গল্পটি নিয়ে দু এক কথা বলতে হলে এর প্রথম পর্ব থেকেই শুরু করতে হবে । প্রথমেই বলে নেয়া ভাল যে
একটি ভালো গল্পের মূল ভিত্তি হল তার প্লট , এই গল্পের প্লটটি বেশ সফলতার সাথেই গঠন করা হয়েছে বলে মনে হল । গল্পটা হঠাৎ করে শুরু করাটাতেই রয়েছে বেশ সাসপেন্স বা অনিশ্চয়তা । শুরুটা হয়েছে আকস্মিক একটি কথা বা ঘটনার সূত্রপাত দিয়ে যা পাঠে প্রথমে চমৎকৃত হলেও গল্পের ভেতরে একটা অজানা-অনিশ্চিত কিছু যে আছে তা বুঝাই যাচ্ছিল , যা জানার জন্য গল্পটি পাঠে আগ্রহীও করে তুলেছে কিছুটা । গল্পের ভেতরে গল্পের সম্পূর্ণ কাহিনী জানার জন্য একধরনের তাগিদ অনুভুত হয়েছিল শুরুর এ কথা গুলু হতে -
পরি তোরে একটা কথা কমু ভাবছিলাম। -অত ভাবাভাবির কাম নাই কি কবি কইয়া ফালা। – কিন্তু মনে জোর পাইতাছিনা। – তাইলে আমি কই? – ক। -আই লাভ ইয়ু। -আই লাভ ইয়ু ঠু। -বেক্কল। – ক্যান? –ওটাতো আমি এমনি কইলাম। –ক্যান? –তুই কইতে পারসনা তাই কইলাম। -আচ্ছা এবার আমি কই, আই লাভ ইউ। –ছাগল। –ক্যান? -তুই এটার মানে বুঝস? - ক্যান, আমি তোমাকে ভালবাসি। -কিন্তু আমি তোমাকে ভালবাসিনা। –ক্যান? - তোরে লাভ কইরা কি লাভ?- মনে কর আমার বিয়া হইল অন্য জায়গায়। তখন আমি তোরে ভালবাসমু না আমার স্বামীরে ভালবাসমু? - আর যদি আমি তোরে বিয়া করি?- যদি তুই আমারে বিয়া করস তখন তোরে আইলাভ ইউ ঠু কমু। এখন যা বিরক্ত করিস না। মা আইসা পড়ব।

এর পর গল্পটি দেখা গেল একটা পরিনতির দিকে বেশ সাবলিল ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে । পাঠক হিসাবে এমন কোন অনিশ্চিত, জটিল বা রহস্য আচ্ছন্ন করেনি যাতে গল্পটির প্রতি কোন রূপ বিরক্তি তৈরী হতে পারে । গল্পটি মনে হলো চেনা জানা মানুষ জন ও পরিবেশ থেকেই উঠে এসেছে । কোথাও মনে হয়নি গল্পের কাহিনীতে অতিরিক্ত ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে একই কথা ও বর্ণনা রয়েছে । গল্পের কাহিনী ধীরে ধীরে এমনভাবে এগিয়ে গেছে যা গল্পটির জন্যই মনে হলো জরুরি ছিল, এটা পাঠক হিসাবে মনের আকাঙ্ক্ষাকে পরিপূর্ণ করে তোলার জন্য যথেষ্টই মনে হয়েছে । গল্পের মাঝে মাঝে এমন কিছু সুত্র রয়ে গেছে যা থেকে এই উপলব্ধি হয়েছে যে কাহিনীর পরবর্তী ধাপগুলোতে আরো বেশ সাসপেন্স আছে ।

অতীতের কথা বা স্মৃতিচারণের কৌশলটি সার্থকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে বলে দেখা যায় গল্পটিতে । যদিও কাহিনীর শুরুতে বলা হয়নি সব কথা কিন্তু কাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরোনো কথা বা ঘটনাগুলোর কিছু হয়েছে বলা । এই কৌশলটির সফল প্রয়োগের ফলে পরিচিত মানুষজন আর ঘটনার বাস্তবতা দেখা যায় গল্পটিতে । এটি মূলত গল্পের প্লটের সেই পরিচিত অংশ যা পুরো কাহিনীকেই দিয়েছে গতিময়তা ।

গল্পের ভেতরের গল্প তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় নানান চরিত্র নির্মাণ করা হয়েছে সুন্দরভাবে , গল্পের ভিতরকার চরিত্রগুলোর নিজস্ব গল্প আছে আর সেসবের সুবিন্যস্ত উপস্থাপনাও হয়েছে সুন্দরভাবে গল্পের কাঠামোতে । গল্পের চরিত্র নির্মাণ ছাড়াও কল্পনাশক্তি, আশা-আকাঙ্ক্ষা-স্বপ্ন-ব্যর্থতা, প্রয়োজনীয় পরিবেশ ও আমেজ নির্মাণ করে গল্পটিকে এগিয়ে নেয়া হয়েছে স্বার্থকভাবে । প্রতিটি পর্বেই রয়েছে অবাক করা সমাপ্তি, আকস্মিক ও আকর্ষণীয় বাক্য নিয়ে যেমন করা হয়েছে গল্পের সূত্রপাত তেমনি পর্ব সমাপ্তিটাও কিছুটা সাসপেন্স রেখে গেছে গল্পের ঘটনার কিছু বিবরণীতে ।

যেমনটি দেখা যয় বলা হয়েছে অবশেষে এক দিন পরী উড়ে যায় ডাক্তারের হাত ধরে। কামরুলের ভাগে পড়ে পরীর কটা ঝরা পালক। কামরুল জীবনের গতি পায় কর্মে , প্রতিষ্টা পায় , স্ত্রী সন্তান নিয়ে সংসার হয়, পরীর পালকগুলু তার মন থেকে উধাও হয় । গল্পের প্লটে সমসাময়িক কথমালাও উঠে আসে , সামহয়ারইন ব্লগের চিত্রাবলীর উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়, যা ঘটনার সমসাময়ীকতারই ইঙ্গীত দেয় ।

পরীর পালক খসে যাওয়ার পরে কাহিনীর আবর্তে পরী আবার কামরুলের কাছাকাছি চলে আসে , গল্প এগিয়ে চলে একটি গতিময়তার দিকে , কতটুকু নাটকীয়তা ধরবে এখন গল্পে তা দেখার জন্য পাঠক হিসাবে মন ব্যাকুল হয়ে উঠে । কামরুল যখন বলে উঠে এই পরী কি সেই পরী , পরী চাকরী চায়, আর কামরুল জানায় শর্ত একটাই তা’হলো অতীতটাকে তার মতই ভুলে যেতে হবে।

গল্পের ভিতরের কথা জানা গেল ২য় পর্বে, জানা গেল দু’বছর আগের ঘটনা। পরীর স্বামী ডাক্তার সাহেব প্রাত ভমণে বেরিয়ে কি ভাবে ভারতীয় মালে পরিণত হলেন, কিভাবে রামলাল নাম পেলেন আর কিভাবেই বা রামলাল মাধবীর কাছে গুরুত্বপুর্ণ হলেন । গল্পের ভিতরে গল্প জন্ম নিল । নতুন আর এক নারী চরিত্রের আগমন গল্পকে কোন দিকে নিয়ে যায় তার একটা সাসপেনশন গল্পে তৈরী হল বলে মনে হল ।

গল্পের এই সাসপেন্স মনে ধারণ করে নিয়েই ৩য় পর্বে এসে দেখতে পেলাম পরীর চাকুরী পর্বের উপাক্ষান । মনে হল বিভিন্ন নাটকীয়তার মুখোমুখী হতে হবে এবা্র। এপারে জিনিয়া ও পরী আর ওপারের মাধবী আখ্যান , বুঝতে পারছিনা গল্পের পরিনতি কোন দিকে যাচ্ছে , তাই পরবর্তী পর্বের অপেক্ষাতেই রইলাম ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল সুন্দর গল্পটির জন্য ।

২২ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মহোদয় তিন পর্বের পরিপূর্ণ চুলচেরা বিশ্লেষণ পাওয়া গেল। আমার জন্য আপনি আপনার মূল্যবান অনেক সময় ব্যায় করলেন। সেজন্য আমি আপনাকে আমার পথিকৃত মানি। দোয়া করবেন যেন আমি আপনার যোগ্য অনুসারী হতে পারি। আল্লাহ আপনাপর মঙ্গল করুন-আমিন।

১৪| ২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাইয়া এবার ছবিটি সত্যি খুবই মানান সই হয়েছে । মতামত গ্রহন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২২ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর মত দিলেতো তা’ গ্রহণ করতেই হয়, প্রিয় কবি।

১৫| ২৬ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.