নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রূপম

আমায় ভাসাইলি রে , আমায় ডুবাইলি রে ....

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়

ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার...

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশপ্রেমিক বাঙালী আর পরিবেশ প্রেমিক দালালেরা

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

"আজব সময় চলছে এখন

আজব কর্ম এই দেশে,

দেশ প্রেমটাও মুখে মুখে

অভিনয়ে নানান বেশে!"


..............- ইব্রাহীম রাসেল



আচ্ছা চিন্তা করুন তো আজ ঘুম থেকে উঠার পর এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কতটি কাজ আপনি করেছেন ??

সিগারেট খেয়েছেন ? না না লজ্জার কিছু নাই,আমিও খাই । সিগারেট খাওয়া নিয়ে কোন লংমার্চ হয় না , সো সিগারেট খাওয়া খারাপ কিছু না ।



তবে সিগারেট যদি খান তাইলে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন আপনাকে মানায় না । আপনি মনে হয় জানেন না যে, যে সিগারেটটা আপনি আয়েশ করে জ্বালাচ্ছেন তা অক্সিজেন পুড়িয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড সহ ২৩ টি বিসাক্ত গ্যাস ছাড়ছে বাতাসে । যার কারনে আপনার পরিবারের মানুষ গুলো সমেত আপনার পোষা বিড়ালটিও বিষ পান করতে বাধ্য হচ্ছে ।

জানেন না বোধ হয় ... আহারে...



ভাই কার্বন ডাই অক্সাইড শুধু কয়লা পোড়ালেই বের হয় না,সিগারেটের ধুঁয়া ফুঁকলেও বের হয় । যাই হুক আমি ধরে নিচ্ছি আপনি আজ থেকে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়ে পরিবেশ বান্ধব লং মার্চ অব্যাহত রাখবেন ।



কি ভাবতেছেন আমি একটা অন্যায় দিয়ে আরেকটা অন্যায়কে যাস্টিফাই করতে চাচ্ছি ?? ভাবতে পারেন...



আচ্ছা বুকে হাত দিয়ে বলুন তো একবিংশ শতাব্দীতে মানুষের কোন কাজটা পরিবেশের ক্ষতি করছে না ? আপনার বাসার এসি , টাকা আছে ঠান্ডা বাতাস খাচ্ছেন কিন্তু আপনি কি জানেন এসিতে যে কোলিং এজেন্ট ক্লোরোফোরো কার্বন বা হাইড্রোক্লোরোফ্লোরো কার্বন ব্যবহার করা হয় তা প্রতিনিয়ত আমাদের ওজন স্তর নষ্ট করে দিচ্ছে ।ওজন স্তর ফোঁটা হলে কিন্তু একদিন না একদিন সুন্দরবন সহ পৃথিবীর যাবতীয় সব বনই নষ্ট হয়ে যাবে ।



ঢাকার বাতাসে সীসার পরিমান জানেন নিশ্চই ?? রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চিমনি দিয়ে যে ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হবে তার প্রত্যেকটাই আপনার আমার গাড়ি অথবা মোটর বাইক থেকে এক্সোস্ট গ্যাস আকারে বের হচ্ছে ।

কি অন্যায়!! তাহলে সব কিছু জেনেশুনেও কেন এতোদিন ধরে পরিবেশ দূষিত করে আসছেন?



জবাব আমি দিচ্ছি !

আমাদের বেঁচে থাকতে হবে ,এসির বাতাসই বলুন আর গাড়ি/মোটর বাইকের ধুয়াই বলুন ক্ষতিকর দিক গুলা জানার পরেও আমাদের এইগুলো ব্যবহার করতে বাধ্য । আর মানুষ যতদিন পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে ততোদিনই পরিবেশের ক্ষতি হবে । তবে ক্ষতির পরিমান কতটুকু মিনিমাইজ করা যায় আমাদের চিন্তা ভাবনা সেদিকেই থাকা উচিত ।



রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কেন পৃথিবীর যেকোন বিদ্যুৎ কেন্দ্রই পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর । আপনি কাপ্তাই জলবিদ্যুতের কথা চিন্তা করেন , তখনও কিন্তু পরিবেশ দূষন হবে,ঐ এলাকায় ইকোল্যজিকাল আনব্যালেন্স তৈরি হবে বলে আন্দোলন হয়েছিলো ।

আন্দোলন উপেক্ষা করেও তখন জলবিদ্যুৎ হয়েছিলো ,যার ফলে সে সময়কার পার্বত্য চট্রগ্রাম এলাকার একমাত্র দ্বিতল ভবন চাকমা রাজবাড়ী পানির নিচে তলিয়ে যায়, ১৮,০০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জলজ উদ্ভিদ, মাছসহ পানির অভ্যন্তরের জীবচক্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।



এতো বছর পর এখন কিন্তু মানুষ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথাই মনে রেখেছে , পরিবেশ দূষণের কথা না । কারণ জাতীয় গ্রেডে যুক্ত হওয়া ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ !




যাই হুক যেটা বলতে চাচ্ছিলাম , রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাইনা আন্দোলনটা এই ইস্যুতে না হয়ে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে পরিবেশের উপর যাতে ক্ষতিকর প্রভাব কম পড়ে আন্দোলন সেই ভিত্তিক হওয়া উচিত ।

আর এই ব্যপারে আন্দোলন করারও কিছু নাই , সরকারের ঠেকা পড়ে নাই শেষ সময়ে আইস্যা আপনাগোরে বিদ্যুৎ দেওনের লাইগ্যা সুন্দরবন ধ্বংস কৈরা দলের লালবাত্তি জ্বালাইবো ।



চলবে............



২য় পর্বঃ প্রস্তাবিত আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলোজি বাস্তবায়ন হলে যেভাবে পরিবেশ দূষনকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা যাবে ।



রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ব্লগার হাসান কালবৈশাখী এর চমৎকার তথ্যনির্ভর পোস্টঃ রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সুন্দরবন ধ্বংশ হবে না

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

এ্যংরি বার্ড বলেছেন: আপনে পিনাকির চেয়ে বেশি বুঝেন?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: পিনাকী কি বলেন ??

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

তৌহিদ জামান73 বলেছেন: আপনাকে বিদু্যৎমন্ত্রী করার জোর সুপারিশ করছি

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

দলছুট শুভ বলেছেন: ১। আমরা প্রতিনিহত আমাদের শত শত ভুলের কথা মনে করে আগামীতে আরেকটা নতুন ভুল করে থাকি। " ১০০ খুন তো করলামই তা আরো একটা করলে কিই বা এমন হবে । ১০১ টা খুন তো করলামই তো আরেকটা খুন করলে কিই বা এমন ক্ষতি হবে ।" এরকম চলছেই তো চলছেই। পোস্টের প্রথম দিকে এরকম একটা প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।

২। আধুনিকায়নের যুগে প্রতিনিহত মানুষ আধুনিক হবার পেছনে ছুটছে । হেঁটে চলার বিকল্প হিসেবে বেঁছে নিয়েছে যানবাহন । সময়ের সাথে সাথে যুক্ত হচ্ছে নানা জিনিসপত্র যা মানুষের জীবন প্রবাহকে করছে গতিশীল। একবিংশ শতাব্দীতে এসে এসব আপনি কিংবা আমি থামিয়ে ফেলতে পারবো না। অনেকটা জেনেশুনেই ক্ষতি আর কি । তাই ঐসব এসি, মোটর বাইক, এসব আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশে পরিণত হয়েছে এবং হচ্ছে। আমার এখন চাইলেই হেঁটে হেঁটে ঢাকা রওয়ানা হবো না পরিবেশের কথা বলে ।

যাই হোক, রামপাল। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র শব্দটা থেকে যে শব্দ বেশি ব্যবহার হয় সেটা হচ্ছে রামপাল। কি জন্য ?? সুন্দরবনের জন্য । বিদ্যুতের জন্য। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন সময়ের দাবী। আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাই। কিন্তু এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যদি এক চিলতে সুন্দরবনের ক্ষতি হয় সে ক্ষেত্রে আমি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করবো না, বিরোধিতা করবো জায়গা নির্বাচন । বাংলাদেশের অনেক জায়গাই আছে বিদ্যুৎকেন্দ্র করার।

রামপালে কি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তা আমার জানা নেই । শুধু এইটাই বলতে চাই " আমরা সুন্দরবন চাই সাথে বিদ্যুতও " রামপালকে না বলুন " / " বিদ্যুৎ চাই না, সুন্দরবন চাই " এই রকম অতি বিপ্লবী মার্কা কথায় মন ভরবে না। মন ভরবে অক্সিজেনে আর ঘরের পাখার বাতাসে ।

প্রযুক্তি আর অনেক উন্নত। আশা রাখি বাংলাদেশ সরকার সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেই সব কিছু করবে। আমরা টেংরাটিলা দেখতে চাই না, চাকমা ভবন দেখতে চাই না ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: কোন বিদ্যুতকেন্দ্রই পরিবেশ বান্ধব না , বিষয়টা বুঝতে হবে । তুমি যেখানেই করতে যাও সব জায়গায় একই ঝামেলা হবে । তখন ওরা বলবে জনপদ গাছপালা সব মরে যাবে , বিদ্যুৎকেন্দ্র চাইনা ।

আমেরিকা যদি উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাজন বনের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাতে পারে , তবে আমাদের বানাতে সমস্যা কি ??

কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প তো নিষিদ্ধ কিছু না ।প্রপার সিস্টেম ফলো করলে পরিবেশ দূষন অনেক কমানো সম্ভব ।
আমি বুঝি না কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রেই যদি অতিবিপ্লবীদের এতো সমস্যা হয় তবে ভবিষ্যতে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হইলে উনারা কি করবেন ??

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার সাথে এক মত হতে পারলাম না জনাব !

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: কোন বিষয়ে একমত হতে পারলেন না ??

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মুক্ত কাহন বলেছেন: আপনি মনে হয় গোল্ডলিফ খান

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: এই যে আপনি একটা অন্যায় দিয়ে আরেকটা অন্যায়কে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছেন !

সিগারেটের ধোয়ার দূষন আর রামপালের সম্ভাব্য দূষনকে একভাবার মত মূর্খ নিশ্চই আপনি নন !

আর একটা কথ এখানে কেবলই পরিবেশ রক্ষার কথাটা যুক্ত নয়, আর একটু বেশি কিছু আছে ! সেই বেশি কিছুটা হচ্ছে সুন্দরবন !

আপনি একটা কেন আরো দশটা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেন দেখবেন কেউ একটা টু শব্দও করবে না ! কিন্তু এই রামপালে কেন করতেছে একটু চিন্তা করেন ! প্রতিবাদটা কেন হচ্ছে একটু খোলা মাথায় চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন !!
নাকি আপনিও মনে করেন এরা সবাই হল চীনা বাম ?

কাপ্তাই বাধের কথা কি বললেন ? মানুষ মনে রাখে নি ? আপনি মনে না রাখতে পারেন কিন্তু যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা সবাই মনে রেখেছে !

আর কাপ্তায়ের দূষন আর রামপালের দূষন যে এক রকম হবে না এটাও নিশ্চই আপনাকে বলে দিতে হবে না !


জনাব আমরা যেই দূষন গুলো করি সে গুলো করতে আমরা বাধ্য ! কিন্তু রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতেই হবে এটা কিন্তু বাধ্য না ! সমস্যা টা এখানেই !!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আসলে আপনাদের সমস্যা হচ্ছে আপনারা মনে করছেন একমাত্র আপনারাই সঠিক,বাকিরা সবাই দালালী করছে । এটা আপনার একার সমস্যা না , এটা আমাদের কালচার ।

যাই হুক,একটা অন্যায়ের কথা বলে আমি আরেকটা অন্যায়কে যাস্টিফাই করি নি । একই ধরণের দুইটা অন্যায় অথচ একটিতে আপনারা নীরব,অন্যটায় বিপ্লবী !
একটা সরকার মানা করা সত্ত্বেও পরিবেশের ক্ষতি হবে জানা সত্ত্বেও আপনারা করছেন । আরেকটা, যেখানে সরকার বারবার বলছে সুন্দরবনের উপর তেমন কোন প্রভাব পড়বে না সেখানে আপনারা অতিবিপ্লব দেখাচ্ছেন ।
কি সেলুকাস !

না , আমি বোকা না , সিগারেটের ধোঁয়া আর কয়লা পোড়ানোর ধুঁয়া এক জিনিস না । তবে গাড়ির কালো ধুঁয়া আর কয়লা পোড়ানোর ধোঁয়া যে এক জিনিস সেটা বুঝতে হলে আপনাকেও বুদ্ধিমান হতে হবে ।
পার্থক্য হচ্ছে, এক জায়গায় নিশ্চিত ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পরিবেশ অথচ কারো কোন মাথা ব্যথা নেই আর অন্য জায়গায় পরিবেশ দূষনের সম্ভাবনা রয়েছে অথচ কারো চোখে ঘুম নেই ।

ভাবখানা এমন যে মানুষ না থাকলেও চলবে,সুন্দরবন থাকতে হবে ।

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৫

মহী বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে এখন দুইটা পক্ষ, এক পক্ষের মতে আপনিও ভারতে দালাল :)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০০

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: দেশ প্রেমের সাথে মনে হয় নিজ দেশকে ভালোবাসার কোন সম্পর্ক নাই । কে কতখানি পাকিস্তান কিংবা ভারতরে ঘৃণা করে এটার উপরই মনে হয় দেশপ্রেম নির্ভর করে ।

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন।
একথা সত্য কোন বার্নিং ইকুপমেন্ট চুলা, গাড়ীর ইঞ্জিন, বা বিদ্যুতকেন্দ্রই যাই হউক পরিবেশ কিছ না কিছু ক্ষতি করবে। এসব নিয়েই আমাদের বাচতে হবে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আপ্নাকেও অনেক ধন্যবাদ ।

৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: আমি পরিবেশবাদী না । সরকার যদি সুন্দরবনের মাঝখানে বিদ্যুতকেন্দ্র বানায় তাতেও কিছু বল্মু না । হয়তো প্রথমে একটু কষ্ট হইব, পরে ভাবমু "নাই মামা কানা মামা" টাইপ কিছু বিদ্যুত না হয় পাইলামই, নেট চালাইতে বিদ্যুত লাগব না? কুইক রেন্টাল কইরা তো সেই ব্যবস্থা কইরা দিছিলই । কিন্তু প্রশ্ন হইল ইন্ডিয়ার সাথে জয়েন্ট ভেঞ্চার কেন? ইন্ডিয়ার এখানে খুব লাভ, কিন্তু আমাদের তো ক্ষতি ছাড়া কিছুই দেখি না । আপ্নে দেখেন না??

মনে করেন আপনার বোনেরে কেউ ধর্ষণ কইরা পরে আপ্নারে ঠান্ডা করার জন্য এক লাখ টেকার একখান চেক দিল, তখন আপনার কেমন লাগবে???

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৩

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: তো কয়লা কোথা থেকে পাবেন ?? নিজ দেশ থেকেও কয়লা তুলতে দিবেন না পরিবেশ(!) ধ্বংস হয়ে যাবে বলে, আবার অন্য দেশ থেকেও আনতে দিবেন না এটা কেমন কথা ??

১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: আমি পরিবেশবাদী না । সরকার যদি সুন্দরবনের মাঝখানে বিদ্যুতকেন্দ্র বানায় তাতেও কিছু বল্মু না । হয়তো প্রথমে একটু কষ্ট হইব, পরে ভাবমু "নাই মামা কানা মামা" টাইপ কিছু বিদ্যুত না হয় পাইলামই, নেট চালাইতে বিদ্যুত লাগব না? কুইক রেন্টাল কইরা তো সেই ব্যবস্থা কইরা দিছিলই । কিন্তু প্রশ্ন হইল ইন্ডিয়ার সাথে জয়েন্ট ভেঞ্চার কেন? ইন্ডিয়ার এখানে খুব লাভ, কিন্তু আমাদের তো ক্ষতি ছাড়া কিছুই দেখি না । আপ্নে দেখেন না??

মনে করেন আপনার বোনেরে কেউ ধর্ষণ কইরা পরে আপ্নারে ঠান্ডা করার জন্য এক লাখ টেকার একখান চেক দিল, তখন আপনার কেমন লাগবে???

১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৭

খাটাস বলেছেন: হুজুগে কখন ও গা ভাসাই না। রাম পাল নিয়ে আসল তথ্য এখন ও জানার চেষ্টা করছি। বিপক্ষের অনেক যুক্তি ই পড়েছি। পক্ষের যুক্তি জানার চেষ্টায় আছি। কিন্তু আপনি কি সব উদ্ভট যুক্তি দিয়ে দিলেন ভাই?
বিতর্কের মুল বিষয় সুন্দর বন ধ্বংস হবে কিনা তা নিয়ে, যেভাবে রামপাল বিরোধী প্রচারণা চলছে, তাতে ব্যাপারটা এরকম সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। বিড়ি আর গাড়ির ধোয়া দিয়ে সুন্দর বন ধ্বংস হতে কত দিন লাগবে? হিসাব করেন, নতুন আন্দোলন হতে ও পারে।

আমাদের বাঙ্গালীর একটা সমস্যা মতের বিপক্ষের মানুষ কে দালাল ভাবা- এটা সত্য। কিন্তু অনেকে বিষয়ের চেয়ে সরকারের গুন গান দিয়ে কিছু হালাল করিতে চাহিলেই যে তাহার নইতিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ভায়া।

রামপালের পক্ষে ব্লগার হাসান কালবৈশাখী একটা পোস্ট দিয়েছেন। তাঁর যুক্তি গুলো অন্তত যুক্তি মনে হয়েছে, মানি না মানি পরের কথা। যদি ও হাসান ভাই সরকারের কোন কাজের বিরোধী কখন ও কিছু লিখেছেন বলে মনে হয় না। তবে যুক্তি ভিত্তিক গালাগালি বিবর্জিত যে কোন আলোচনায় স্বাগতম। আপনার পোস্টে যুক্তির চেয়ে আক্ষেপ বেশি মনে হয়েছে।
আপনি যদি রামপালের পক্ষে হন, তবে যুক্তি দেখান যে তা সুন্দরবনের কোন ক্ষতি করবে না। আন্দোলন যারা যে উদ্দেশেই শুরু করুক, যেহেতু তাতে দেশের অনন্য সম্পদ সুন্দরবন প্রশ্ন বিদ্ধ, তাই সবার আগে প্রশ্নের জবাব দিন। একটা হুজুগ চলা অবস্থায় আক্ষেপ দিয়ে আন্দোলন কারিকে প্রশ্ন বিদ্ধ করলে দালাল ট্যাগ টাই ভাগ্যে জুটবে, হয়ত তাতে আপনার কিছু যায় আসেনা। কিন্তু এটাই বাস্তব।


ভাল থাকুন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আপনি আমার পোস্টের একটা বিশেষ অংশ মিস করেছেন । এটি একটি অসম্পূর্ণ পোস্ট , যার সিক্যুয়াল এর পরবর্তী পোস্টে পাবেন ।

পরবর্তী পোস্টে আমি চেষ্টা করবো দেখানোর কিভাবে প্রস্তাবিত আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলোজি বাস্তবায়ন করা হলে পরিবেশ দূষনকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা যাবে ।

১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯

খাটাস বলেছেন: লেখক বলেছেন: তো কয়লা কোথা থেকে পাবেন ?? নিজ দেশ থেকেও কয়লা তুলতে দিবেন না পরিবেশ(!) ধ্বংস হয়ে যাবে বলে, আবার অন্য দেশ থেকেও আনতে দিবেন না এটা কেমন কথা ??
আন্দোলন টা তে অ্যান্টি ইন্ডিয়া সেন্টিমেন্ত কাজ করলে ও মুল বিষয় কিন্তু স্থান, মানে সুন্দরবন।
ভাল থাকুন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আমি জানি ব্রাদার মূল বিষয়বস্তু সুন্দরবন !
সুন্দরবন যারা আন্দোলন করছে তাদের একার না , সুন্দরবনের প্রতি মায়া আমাদের মত গুটিকয়েক দালালেরো আছে ।

১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: আমার মন্তব্যের মূল কথা এড়িয়ে গিয়ে কিছু অযাচিত উত্তর আপনি দিয়েছেন । যাই কোন যে কথাটা আমাকে বললেন, আমাদের কালচার, সেটা মনে হয় আমার, আপনার সবার ক্ষেত্রেই খাটে । তাই না ?

আমার দুই নাম্বার মন্তব্যটা মনে হচ্ছে আপনি মন দিনে পড়েন নি ! মন্তব্যের একটি কথা ছিল
আর একটা কথা এখানে কেবলই পরিবেশ রক্ষার কথাটা যুক্ত নয়, আর একটু বেশি কিছু আছে ! সেই বেশি কিছুটা হচ্ছে সুন্দরবন !


এখানে পরিবেশের সাথে যে কথাটা যুক্ত হয়েছে সেটা হল সুন্দরবন ! মানুষের মূল চাওয়া কিন্তু স্থান অর্থাৎ সুন্দরবন । মানুষ কয়লা ভিত্তিক প্লান্ট চায় না এটা কিন্ত না ! চায় সেটা যেন সুন্দরবনের আসেপাশে না হয় ! এটাই হল মুল কথা ! আর আপনি কোন দিন দিয়ে কোথায় নিয়ে গেলেন !


আর একটা কথা বললেন যে আমি একটা তে নিরব আর অন্যটাতে বিপ্লবী !
জবাব, গাড়ীর কালো ধোঁয়া পরিবেশ কে দূষিত করে তা আপনি কি এর বিকল্প বের করতে পারবেন ? গাড়ী ছাড়া চলতে পারবেন ? এখানে আমাদের সীমাবদ্ধতা !
কিন্তু সুন্দরবনের ক্ষেত্রে কি সেই সীমাবদ্ধতা আছে ? যেটা আমরা বাঁচাতে পারি সেইটা কেন বাঁচাবো না ?


আর সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না সরকারের এমন কথা কি আপনার সত্যিই বিশ্বাস হয় ? যে সরকার বলতে পারে সুন্দর বনের ক্ষতি হলে কৃত্রিম সুন্দর বনে তৈরি করে দেওয়া হবে সেই সরকারের কথায় কি খুব একটা ভরসা করা যায় ? ফারাক্কা বাঁধের সময়ও ঠিক এমন কিছু শোনা গিয়েছিল জানেন নিশ্চই ! আর আপনে বিশ্বাস করে বসে আছেন বিজ্ঞ সরকারের কথা !


সব শেষে উন্নয়ন অবশ্যই দরকার ! কিন্তু সেটা এমন ধ্বংসের হাত ধরে না !

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: সুন্দরবন আপনার একার না , সুন্দরবনের প্রতি ভালোবাসা আমাদের সবারই রয়েছে ।

বিরোধীতার আগে বিরোধীতার কারণ খুজেছেন কি ?? অন্যরা ভুজুং ভাজুং যেটা শোনাচ্ছে সেটা যাস্টিফাই করেছেন কি ???


নাকি না করেই আন্দোলনের শরিক হয়ে গেলেন ?

১৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার লেখায় যথেষ্ট যুক্তি আছে । আপনার প্রতিটা যুক্তি মেনে নিয়েই বলছি, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটা রামপালেই করতে হবে কেন ? এমন তো নয় যে রামপালের নিচেই কয়লা আছে আর সেই কয়লা পুড়িয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে !!

কয়লা আনতে হবে বিদেশ থেকে, জাহাজে । তারপর সেই কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ বানিয়ে জাতীয় গ্রীডে দেয়া হবে । তাহলে এমন একটা জায়গায় এটা বানানো উচিত যেখানে সুন্দরবনের মত রক্ষাদেয়াল ধ্বংস হয়ে যাবে না, কিংবা এমনকি কোন ফসলি জমি নষ্ট করেও এটা বানানো উচিত না ।

সুযোগ যেখানে আছে অন্যত্র বানানোর, তাহলে সেটা সুন্দরবনের কাছেই কেন ? একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে, বিদ্যুত উৎপাদনের বিরুদ্ধে কিন্তু কেউ নয়, তবে সেটা অন্য কোথাও করা যেতে পারে ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: মামুন ভাই ,বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র আপনি যেখানেই করেন না সব জায়গাতেই কোন না কোন ফসলি জমি ধ্বংস হবেই , পরিবেশ দূষন হবেই ।প্রচুর পরিমাণ ডিপোসিট থাকা সত্ত্বেও আমরা কয়লা উত্তোলন করতে পারছি না , কারণটা নিশ্চই আপনার জানা আছে ।

আর বাংলাদেশে একটি নয় আরো কয়েকটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হবে । রামপাল হচ্ছে একটি,কক্সবাজার আরেকটি । বাকিগুলান জানি না ।

রামপালকে বেছে নেয়া হয়েছে কারণ,
১) জাহাজ দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানী করা সহজ হবে
২)কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়,যা পশুর নদী থেকে আরোহন করা হলে নদীর নাব্যতা নষ্ট হবেনা ।
৩) নিয়মিত জোয়ার ভাটা হয় বলে নদীর পানি ঘোলা হবে না ।

আজ পর্যন্ত কোন পরিবেশবাদীর মুখে অন্য কোন বিকল্প জায়গার নাম শুনিনি ।

১৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

নিকষ বলেছেন: আমি খুব একটা পরিবেশবাদী না, পরিবেশবাদী না হওয়ার পরেও আমি রামপাল তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। একমাত্র এই চুক্তির অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে। ২০১ কোটি ডলারের এই প্রজেক্টে ৩০ কোটি ডলার দিবে বাংলাদেশ, ৩০ কোটি ভারত, মানে ১৫%-১৫% ইনভেস্টমেন্ট। বাকি টাকা কোথেক্কে আসবে? বাকি ৭০% টাকা আসবে ঋণ হিসেবে বানিজ্যিক ব্যাংক (খেয়াল করেন কোন বানিজ্যিক ব্যাংক) থেকে – ভারতের ঐ থারমাল কোম্পানি ঐ ঋণ যোগাড় করবে। ভারতের ঐ কোম্পানি ভারতীয় বানিজ্যিক ব্যাংক (দাতা সংস্থা থেকে ঋণ ৪%/৫% সুদ, বানিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিলে ১৫% সুদ) থেকে ঐ ঋণ নিবে। ঋণের টাকা শোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু তারপরেও ভারত এই প্রজেক্ট থেকে প্রফিটের ৫০% ঘরে নিয়া যাবে (তাও করবিহীন)। সোজা কথায় টাকা পাচার করবে। আমার আরো বড় কষ্টের জায়গা হল, যে প্রজেক্ট করতে বড়জোর ৭০০ একর জায়গা লাগে, সে প্রজেক্টে ১৮০০ একরের বেশী জায়গা দখল করা হয়েছে। এগুলি সমস্ত পত্রপত্রিকার তথ্য।

ভারতদেশ+ভারতীয় কোম্পানির প্রফিট দেখেন প্রজেক্ট থেকে,

১. মাত্র ৩০ কোটি ডলার ইনভেস্ট করে ২০১ কোটি ডলারের প্রজেক্টের ৫০% এর সম্পূর্ণ দায়বিহীন মালিকানা পাওয়া।
২. সম্পূর্ণ করবিহীন মুনাফা।
৩. ১৪০ কোটি ডলারের লোন বাবদ বানিজ্যিক ব্যাংকের সুদের ইনকাম।
৪. উচ্চমূল্যে (ভারতের গড়ে কয়লা টনপ্রতি দাম ৬০-৭০ ডলার, বাংলাদেশ ঐ কয়লা কিনবে ১৪৫ ডলার প্রতি টন) ভারতীয় কয়লা বিক্রি বাবদ নগদ অর্থ।

এই হাস্যকর বানিজ্যিক চুক্তির কারণে পুরা চাপটা পড়বে কার উপরে, ভোক্তাশ্রেণীতে। বাংলাদেশের বিদ্যুত দরকার কোন সন্দেহ নাই, কিন্তু বেশী দামের বিদ্যুতে বাঙ্গালির স্বার্থ রক্ষা হবে না। শুধুমাত্র ভারতের স্বার্থ রক্ষার খাতিরে, বিশাল চাপ চাপানো হচ্ছে বাঙ্গালির উপরে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আমার জানামতে ১৫% সরাসরি বিনিয়োগ ভারতের ১৫ % আমাদের। মোট ৩০% । বাকি ৭০% ক্রেডিট ফাইনান্সিইং। কয়লা ভারতের ।

১৫ % বিনিয়োগ করে পি্ডিবি ৫০% মালিকানা পাচ্ছে. আনফেয়ার হইলো কেমনে ??

১৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯

খাটাস বলেছেন: সরি আমি এই পোস্টের যুক্তি গুলো যথেষ্ট মানান সই হয়নি বলেছি, অন্তত আমার কাছে।
যাই হোক, আপনার যুক্তি দেখার অপেক্ষায় থাকলাম মন্ত্রি সাহেব।
শুভ কামনা।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: এই পোস্টে আমি সুন্দরবন নিয়ে কোন যুক্তি দেখাই নি ভাই , আমি আমাদের তুলনামূলক পরিবেশ সচেতনতার নামে হিপোক্রেসী , ঠোটে সিগারেট নিয়ে পরিবেশ বাচাও আন্দোলন এই সবকে বিশ্লেষন করতে চেয়েছি ।

১৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩১

অপু তানভীর বলেছেন: হেহেহেহে !!


আপনি নিজে করেছেন তো ??

নাকি কৃত্রিম সুন্দরবন তৈরি করা হবে এই রকম থিউরীর উপর ভিত্তি করেই .......
:D :D :D :-< :-<

বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি আমার মন্তব্যের যুক্তিযুক্ত উত্তর দেন নি !

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: প্লিজ ১৩২০ মেগাওয়াটের তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার আরেকটা উপযুক্ত জায়গা সাজেস্ট করে পিডিবির চেয়ারম্যানকে মেইল করেন।
অবশ্যই একটা সমুদ্র বন্দরের পাশে হইতে হবে জায়গাটা যেখানে সহজেই কয়লা এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভারী ভারী যন্ত্রপাতি পরিবহণ করার সুবিধা থাকবে। সেই জায়গাটা খুব ঘনবসতিপূর্ণ হইতে পারবে না।

প্লিজ !

১৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
প্রথমেই পরিবেশ হালকা করা কমেন্টঃ
বাহ!! খুবই পরিবেশ বান্ধব পোষ্ট! পরিবেশ বন্ধু কোথায়!!!


দ্বিতীয় পরিবেশ দুষিত করন কমেন্টঃ
১৫ নাম্বার কমেন্টের রিপ্লাই কোথায়? আশা করি সেখান থেকে আপনার জবাব থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য জানা যাবে।

তৃতীয় একটি সম্পুরক প্রশ্নঃ
ভারত তাদের অংশে যে সুন্দর বন আছে, তার আশে পাশে পাশে ২৫ কিমির মধ্যে কোন বিদ্যুত প্লান্ট তো দূরে থাক, কোন কলকারখানা করতে দেয় না কেন? যেখানে আমরা চাচ্ছি ১৫ কিমি দূরত্বে বিদ্যূত প্লান্ট স্থাপন করতে কেন? GPS এ 22.60276, 89.539576 এই পজিশনে বিদ্যুতকেন্দ্রটি তৈরি করা হচ্ছে। এই পজিশন থেকে সুন্দর বনের দূরত্ব ১২-১৩ কিলোমিটার। আর রামপাল উপজেলা সদর থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব ১৬-১৭ কিলোমিটার।

আরেকটি অনিচ্ছাকৃত প্রশ্নঃ
খোদ সরকারের বন অধিদপ্তরের "রামপাল" নিয়ে আপত্তি করেছে। কেন বলতে পারেন? সংযুক্তির ছবিটি দেখুন।


অনেক শুভেচ্ছা রইল :)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ভারতের পরিবেশ আইন কি বলে জানিনা, বাংলাদেশের পরিবেশ আইন অনুযায়ী এই দুরত্ব ১০ কিমি । আর বর্তমানে রামপাল যেখানে আছে সেটাও আগে সুন্দরবন ছিলো , কিন্তু এখন নেই । এর মানে হচ্ছে সুন্দরবন কোন ফিক্সড একটা জায়গা নয় । সুন্দরবনের অনেক ভিতরে যেটাকে বলে নন বাফার জোন বা কোর এরিয়া সেটাতে বন্য প্রানী বিদ্যমান , আর চারিদিকে অর্থাৎ বাফার জোনে মানুষের ঘরবাড়ি রয়েছে ।এখানে লক্ষ্য করবেন ইউনেস্কো কিন্তু সমগ্র সুন্দরবনে হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষনা দেয় নি,সুন্দরবনের যে অংশে রয়েল বেঙ্গল টাইগার সহ অন্যান্য প্রানীর বাস যেগুলো সুন্দরবনের বিশেষত্ব সেটি রামপাল থেকে অনেক অনেক দূরে অবস্থিত ।

রামপাল প্রকল্প সুন্দরবনের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ থেকে ৭৫কিমি. ও বাফার জোন থেকে ১৪ কিমি. দূরে অবস্থিত ।

বিদ্যুৎকেন্দ্র করলেই সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে না। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কেমন তার ওপর এটি নির্ভর করে।
বাফার জোনের ১৪ কিমি এর ভিতরেই বসুন্ধরার সিমেন্ট ফ্যাক্টরি আছে। বসুন্ধরার নিজস্ব ৪৭ টা লাইটারেজ জাহাজ আর ৩টা সমুদ্রগামী জাহাজ প্রতিদিন ক্লিংকার আনা নেওয়া করে। কিন্তু রামপাল সেই বাফার জোন থেকেও ১৪ কিমি দূরে।

সিমেন্ট কারখানা থাকার পরেও যদি সুন্দরবন নিজের জায়গায় অটুট থাকতে পারে তাহলে পুরনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলোজি ইউজ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে কেন সুন্দরবন ধ্বংস হবে ??

১৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: এইটা তো আমার প্রশ্নের জবাব হইলো না মিয়া :-< :-< :-<

২০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার জানামতে ১৫% সরাসরি বিনিয়োগ ভারতের ১৫ % আমাদের। মোট ৩০% । বাকি ৭০% ক্রেডিট ফাইনান্সিইং। কয়লা ভারতের ।

১৫ % বিনিয়োগ করে পি্ডিবি ৫০% মালিকানা পাচ্ছে. আনফেয়ার হইলো কেমনে ??


=p~ =p~ =p~ এইটা যদি আপনার কাছে আনফেয়ার না মনে হয় তাইলে আনফেয়ার কুন টা যদি একটু বলতেন ?

তা ৭০% যে ঋণ নেওয়া হবে সেইটা কে শোধ করবে ?

কয়লা ভারতের ! ভারত কি কয়লা মাগনা দিবে ? :D

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ৭০% ঋণ যোগাড় করবে ভারতের একটি বানিজ্যিক ব্যাংক , যা পরিশোধ করবে ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশই ।

২১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র শব্দটা থেকে যে শব্দ বেশি ব্যবহার হয় সেটা হচ্ছে রামপাল। কি জন্য ?? সুন্দরবনের জন্য । বিদ্যুতের জন্য। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন সময়ের দাবী। আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাই। কিন্তু এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যদি এক চিলতে সুন্দরবনের ক্ষতি হয় সে ক্ষেত্রে আমি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করবো না, বিরোধিতা করবো জায়গা নির্বাচন । বাংলাদেশের অনেক জায়গাই আছে বিদ্যুৎকেন্দ্র করার।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের বর্তমান টেকনোলজি টা প্রচার হওয়া দরকার , পুরান আমলের চাইনিজ বিদ্যুত কেন্দ্রের নক্সা মাথায় নিয়া ২০১৪ সালের কেন্দ্রের ডিজাইন মিলাইলে এমনই হবে! এখনকার কয়লা ভিত্তিক কেন্দ্র ২০ বছর আগের তুলনায় অনেক এডভান্স।তালগাছ আপনার হইলে আলাদা কথা ।

পৃথিবীতে বাংলাদেশই এক মাত্র পরিবেশ সচেতন দেশ নয় , কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প করলে যদি এতই ক্ষতি হবে তাহলে অস্ট্রেলিয়া , আমেরিকা, ডেনমার্কের মতো পরিবেশ সচেতন দেশের মোট বিদ্যুতের ৪৭ ভাগই আসতো না কোল বেসড পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ।

বিদ্যুৎ কেন্দ্র করলেই বন ধ্বংস হয় না , প্রোপার সিস্টেম ফলো করে পরিবেশ দূষন অনেক কমানো সম্ভব । বিদ্যুৎ আমাদের অনেক প্রয়োজন , তাই আমাদের এতো গোয়াড় হলে চলবে না । নেগোশিয়েট করতে হবে ।

২২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অনবদ্য কিছু যুক্তি দেখিয়েছেন মাননীয় মন্ত্রী ! বেশ লেগেছে ! কিন্তু কথা কি জানেন ধরুন আমি প্রতিদিন সিগারেট খাই , আমার অসুখ বাঁধবে ,কোন একটা সময়, ধীরে ধীরে যখন আমার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে , আমার যৌবন শেষ হয়ে যাবে ! আর আমি যদি বিষপান করি যৌবনেই আমি লাল - নীল পিনিক পেয়ে উপরে চলে যাবো ! পরিবেশ দূষনের যে উদাহরণ দেখিয়েছেন সুন্দরবনের সাথে যুক্তি দেখিয়ে ব্যাপারটা অনেকটা এই রকম!

এখন কথা হচ্ছে আমাদের কি বিদ্যুতের দরকার নেই ??
আলবৎ আছে ! সুন্দরবনে কেন করতে দিচ্ছিনা , কেননা সুন্দরবন আমাদের প্রাণভোমরা ! ওখানে তীলে তীলে ধ্বংস হবেনা , খুব দ্রুত ধ্বংস হবে! কেন জানেন সুন্দরবনের ইকো-সিস্টেম এমন ভাবে হয়েছে , যে একটা ঘাস নষ্ট হলে তার প্রভাব বাঘের উপরে পড়ে , একটা ঘাস নষ্ট হলে তার প্রভাব বনের উপর পড়ে !
এখন আপনি যদি সিগারেট খেয়ে খেয়ে আস্তে ধীরে অসুখ বাধিয়ে মরার কি দরকার বলে মনে করেন তাহলে প্লিজ বিষ পান করুন !
আর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানানোর জন্য আরো জায়গা আছে , ইদানিং অনেক চর জেগেছে নোয়াখালীর আশেপাশে , খুজলে আরো জায়গা পাওয়া যাবে ! এমন গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচে হাত না দিয়ে অন্য জায়গা চাইলেই পাওয়া যাবে! সেগুলোতে ক্ষতির মাত্রাটা বিষ পানের মত ভয়াবহ হবেনা , এমন জায়গা খুঁজে বের করেন ! আর ঐখানে করার পেছনে ভারতীয়দের লাভ টাও আমাদের হিসেব করতে হয় ! নিজের ক্ষতি করে অপরের লাভ করে আমাদের লাভ কি ! বনের ভারতীয় অংশে তো করতে দেয় নাই , ওখানে না পেরে এখানে করতে এসেছে আর আমরা লাফিয়ে রাজি হয়ে যাবো ! ঝড়ের কথা মনে করুন মন্ত্রী ! এখন আবার বলে বইসেন্না এমন কোন ক্ষতি হবেনা যে ঝড় সামলাইতে পারবেনা , মনে ক্রিয়ে দিচ্ছি সুন্দরবন এমন একটা বনাঞ্চল যার একটা ঘাসের উপর একটা গাছ , একটা গাছের উপর একটা হরিণ , একটা হরিণের উপর একটা বাঘ নির্ভরশীল , আর পুরোটাই প্রকৃতির নিয়ন্ত্রনে ! কিছু জিনিসে হাত দিতে নেই জনাব !

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: তাইলে ভাই খুলনার যতগুলো শিল্প কারখানা আছে যার দুষিত বর্জে নদীর পানি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেই কারখানা বন্ধের লাইগ্যা কোন আন্দোলন করেন না কেন ?সিগারেটের ধোয়ায় না হয় কিচ্ছু যায় আসে না কিন্তু কারখানার সেই বিষাক্ত বর্জের প্রভাবে তো সুন্দর বনের প্রান প্রকৃতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।ধীরে ধীরে মরে যাচ্ছে বনের গাছ । তাইলে আসেন সেই কল কারখানাগুলোও বন্ধ করে দেই!

২৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৪

নিয়েল হিমু বলেছেন: অই বেটা হাম্বা পুরাটা লেইখা শ্যাষ করতে পারলি না ? ;) ;)
মুলা ঝুলায়া থুইলি X( X( X(

২৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সেগুলোর দূরত্ব সুন্দরবনের কত দূরে আপনি নিশ্চয়ই জানেন !

আর যে প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হবে বলছেন সেটা কিভাবে সুন্দরবনের ইকো-সিস্টেমে হাত না দেয়া নিশ্চিত করে জানার জন্য আপনার পরের পোষ্টের অপেক্ষায় আছি !

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: বাফার জোনের ১৪ কিমি এর ভিতরেই বসুন্ধরার সিমেন্ট ফ্যাক্টরি আছে। বসুন্ধরার নিজস্ব ৪৭ টা লাইটারেজ জাহাজ আর ৩টা সমুদ্রগামী জাহাজ প্রতিদিন ক্লিংকার আনা নেওয়া করে। কিন্তু রামপাল সেই বাফার জোন থেকেও ১৪ কিমি দূরে।

সিমেন্ট কারখানা থাকার পরেও যদি সুন্দরবন নিজের জায়গায় অটুট থাকতে পারে তাহলে পুরনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলোজি ইউজ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে কেন সুন্দরবন ধ্বংস হবে ??

ওকে অপেক্ষায় থাকুন ।

২৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৩

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ভাই শোনেন আমার সব যুক্তিই আপনাদের কাছে অকাট্য হাস্যকর মনে হতে পারে , তাতে আমার কোন সমস্যাও নেই ।

কিন্তু, যেকোন আন্দোলন করার আগেই আসলে আমাদের প্রয়োজন এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রাখা উচিৎ।বেঁচে থাকার জন্য প্রকৃতির দান সুন্দরবনকে যেমন আমাদের প্রয়োজন তেমনি সময়ের প্রয়োজনে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি বিদ্যুৎ ও আমাদের একান্ত প্রয়োজন।
ভৌগলিকভাবে খুব ছোট অথচ বিপুল জনগোষ্ঠির বাংলাদেশ-যার চাহিদা প্রচুর কিন্তু সেই চাহিদা মেটাবার মত পরিত্যাক্ত ভুমিও আমাদের নেই।যে কারনে আমাদের যেটা আগে দরকার সেটাকেই অগ্রাধীকার ভিত্তিতে গ্রহনযোগ্য হিসাবে বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।

২৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০২

নিকষ বলেছেন: আপনার জন্য আমার একটা বিজনেস প্রোপজাল আছে। আইডিয়া মোটামুটি চলনসই। দেশী কাঁচামালের জিনিষ; কাঁচামালও আমার এক দোস্ত বানায়। ব্যবসা শুরু করার জন্য ১০ লাখ টাকা লাগব। ১.৫ লাখ আমি দিব, ১.৫ লাখ আপনি দেন। বাকি ৭ লাখ টাকা পয়সা যা লাগবে ঐটা আপনি আমার আরেক বন্ধুর কাছ থেকে নিতে পারবেন। আমিই ব্যবস্থা করে দিব। আপনি কোন টেনশন নিয়েন না। তবে, লোনের টাকা পয়সা পরিশোধের দায়িত্ব আপনার। সুদও খুব অল্প, ৭ লাখ টাকায় বছরে মাত্র ১ লাখের কিছু বেশী। কাঁচামালও আমার দোস্তর কাছ থেকে কিনতে হবে, ও সাধারনত ঐ মাল ২৫ টাকা কেজিতে বেচে, কিন্তু আপনে ভাই ব্রাদার, বিজনেস পার্টনার; আপনের জন্য ইস্পিশাল রেট, মাত্র ৫০/কেজি।

মাত্র দেড় লাখ টাকা ইনভেস্ট করে আপনি প্রফিটের ৫০% নিবেন – পুরাটাই আপনার, বাকি ৫০% আমার, ৩০ বছরের পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট। তবে ভাই, আমি এত কষ্ট করব, ফাইনান্সার যোগাড় করব, কাঁচামালের যোগান দিতে হেল্প করব – আমারে তো একটু কনসেশন দেয়া উচিত। আমারে গ্রস প্রফিটের ৫০% দিতে হবে; ব্যবসার সব অপারেটিং এক্সপেন্স আপনার।

সাধারণত এই টাইপের “সুবর্ণ সুযোগ” টাইপের বিজনেস প্রোপজাল আমি কাউরে দিই না। আপনি আমার পরিচিত মানুষ, ব্লগীয় প্রতিবেশী – তাই আপনারে দিলাম। কাউরে আবার বইলেন না।

বিঃদ্রঃ ভবিষ্যতে যদি থালাবাটি লাগে, তাহলে ঐটা আমিই কিনে দিব। শত হলেও আপনি আমার ব্লগীয় প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর প্রতি একটা দায়িত্ব আছে না।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আপনি বারবারই ভুল তথ্যের ভিত্তিতে কথা বলছেন । আমি আগেই বলেছি ১৫% খরচ দিবে বাংলাদেশ , ১৫% ভারত । বাকি ৭০% খরচ আসবে এক্সটারনাল লোন থেকে , যা সমান সমান ভাবে পরিশোধ করবে বাংলাদেশ পিডিবি এবং ভারতীয় এনটিপিসি ।

২৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩০

নেইল পলিস বলেছেন:


আচ্ছা ভাইয়া, ধরুন আমি প্রস্তাব দিলাম যে সিলেটের তামাবীলে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য তাহলে আমার প্রস্তাবনার পক্ষে আপনি কি যুক্তি দেখাবেন ? ভারতের বর্ডার সংলগ্ন দেশে এত জায়গা থাকতে কেন আমাদের সুন্দরবন আর কক্সবাজারকেই বেছে নেয়া ?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: খুবই শিশুসুলভ কোশ্চেন করলেন । কয়লা বা যেকোন ফসিল ফুয়েল বার্ন্ড বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য প্রচুর পানির প্রয়োজন পড়ে ।ফসিল ফুয়েল পুড়িয়ে যে তাপ উৎপন্ন হয় তা থেকে বাষ্প উৎপন্ন করার জন্য কন্ডেন্সার হিসেবে প্রচুর পানি লাগে ।

তাই আপনি চাইলেও যেখানে পানির পর্যাপ্ত মজুদ নাই এবং বড় বড় জাহাজে করে সহজেই কয়লা আনা নেওয়া করার সুযোগ নাই সেখানে এই কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে পারবেন না ।

২৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

আমি অপদার্থ বলেছেন:

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় দেখেই সন্দেহ হয়েছে,

এখানে সব মানি তালগাছ আমার টাইপের যুক্তি উনি দেখাবেনি। ধারণার ব্যতিক্রম হয়নি। তবুও জাতীয় ইস্যু হওয়ায় কিছু কথা না বলে পারছিনা।

সুন্দর বনের প্রয়োজনীয়তা বুঝার চেষ্টা করুণ। আমার মনে হয় আপনি জানেন যে উপকূলীয় অঞ্চল হয়েও বাংলাদেশ অধিকাংশ বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বেঁচে যাচ্ছে এই সুন্দরবন এর জন্য। নাকি তাও আপনার জানা নেই। না জানা থাকলে এখন জানলেন । এ জন্য সুন্দরবন কে বাংলাদেশের ঢাল বলা হয়। এখন আপনিই বলুন কোনটা আপনার বেশি দরকারি ????

এখন আসুন আপনার মা হটাত অসুস্থ হয়ে গেলে আপনে কি করবেন?? আমার মতে, নিশ্চয় আপনি ভাল কোন ডাক্তারের কাছে নিবেন বা ভাল কোন হাসপাতালে। আপনার মত ভিন্নও হতে পারে :) । এখন আপনি বলুন এই ভাল হাসপাতালে নিতে আপনি কি আপনার মায়ের হাত পা যোর করে ভেঙ্গে দিবেন (উনি অসুস্থ না থাকলে) ??? এখন যদি আপনি বলেন আমি ভাঙবো !!! তাহলে ভ্রাতা আপনার সিদ্ধান্তই উত্তম।
শুভ কামনা রইল।

২৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: দেখেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপক্ষে না আমি, কিন্তু বিদ্যুৎ কেন্দ্র টা হোক অন্য জায়গায়। আর সুন্দরবন ইউনিক একটা জিনিস। এই কোন বিকল্প নেই, কাপ্তায়ে ক্ষতি হয়েছিল। সেটা ক্ষতি কি সুন্দরবন হারানোর চেয়ে বেশি কিছু???

এই প্ল্যান্টের জন্য যে পরিমান পানি লাগবে তা নেওয়া হবে পশুর নদী থেকে। এই নদীর উপর তো অনেক জীব জন্তু নির্ভরশীল।

আর সবচে বড় কথা, চুক্তিটা পড়েছেন তো? কে কত খরচ করবে আর কে কত পাবে?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ভাই সুন্দরবন শুধু আপনার একার ভালোবাসার বিষয় না , সরকার আমি আপনি সকলেই সুন্দরবনের প্রয়োজনীয়তা বুঝি ।

আপনাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি যেন সুন্দরবনেই হচ্ছে । বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হচ্ছে সুন্দরবনের বাফার জোন যেখানে তেমন কোন বন্য প্রানীর বাসই নেই,বেশীরভাগই সুন্দরবনে বসবাসকারী মানুষের ঘরবাড়ি রয়েছে সেখান থেকে ১৪ কিমি দূরে । আর যেখানে বন্যপ্রানীর বসবাস অর্থাৎ সুন্দরবনের মেইন এরিয়া যেটাকে বলে নন বাফার জোন অথবা কোর এরিয়া তা থেকে ৭৫ কিমি দূরে ।

কোর এরিয়া থেকে ৭৫ কিমি দূরে একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প যার দ্বারা সুন্দরবন যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য আলট্রা সুপার টেকনোলোজি ব্যবহার করা হবে যার জন্য গুনতে হবে এক্সট্রা ১৯৫০.৭ কোটি টাকা,তার পরেও সুন্দরবন কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ?

৩০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উনার যুক্তি এবং কমেন্টেন উত্তর দেখে মনে পড়ল এই দেশের নেতা আর চামচাদের কথা!

জ্বি হুজুরী এবং তোষামুদিতে যারা অনবদ্য।

তাদের কবি নজরুল এত আগে চিনেছিলেন কি করে তাই ভাবি!!!! তিনি লিখে গেছেন-

"তুমি মা কল্পতরু
আমরা তোমার পোষা গরু"

বর্তমান নেত্রী, মন্ত্রী এভং চামচাদের মানসিকতায় দেখূন কেমন খাপে খাপে মিলে যায়!!!!! লেখক এবং সমর্থক সেই পোষাদের দলেই মনে হচ্ছে- হাম্বা আ আ আ ....................

৩১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

নিকষ বলেছেন: জ্বী আপনে "তথ্য" বাবার মুরীদতো; স্বাভাবিক, সঠিক তথ্যই পাবেন। যাউজ্ঞা, এই প্রজেক্টের টার্মিনেশন ক্লজে কি কি আছে সেটা জানতে মুঞ্চায়। সঠিক তথ্য দিয়ে বাধিত করবেন, আশা করি।

আল্বিদা।

৩২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

ক্লিকবাজ বলেছেন: এই পোষ্টে জয়ের দেয়া পেমেন্ট ১০০% হালাল হয়েছে। পেমেন্ট নেয়ার জন্য যোগাযোগ করুন।

৩৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

একজন আরমান বলেছেন:
সিগারেট খেলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যায় না। যুতসই হল না ব্যাপারটা। বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য রামপাল ই কেন?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: সিগারেট খেলে সুন্দরবন ধ্বংস হয় কোথায় বললাম ?

কে বলেছে শুধু রামপাল ?আরো আট জায়গায় আরো আটটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে ।

৩৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার খুব সুন্দর যুক্তি দিয়ে বলা কথাগুলো এতটাই অযৌক্তিক লাগছে যে কিছু বলতে ইচ্ছা হচ্ছে না। অনেকেই বলে ফেলেছে উপরের কমেন্টগুলোয়, সুতরাং আমার হয়তো আর না বললেও চলে। কারণ আপনি এখন চোখ-কান বন্ধ করে বসে আছেন।

৩৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

চলতি নিয়ম বলেছেন: পরিবেশের ক্ষতি না করে বিদ্যুত সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে রিনিউয়েবল এনার্জি বাট রিনিউএবল এনার্জি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট সম্ভব নয় এই মুহুর্তে যদিও পরিবেশ বাচাতে এটার বিকল্প নেই।

The share of renewables in electricity generation is around 19%, with 16% of electricity coming from hydroelectricity and 3% from new renewables.[4] কেন? উত্তর খুজলেই সমাধান পাওয়া যাবে।

থার্মাল প্লান্ট ই এখন পর্যন্ত একমাত্র সমাধান যেটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নিউক্লিয়ার প্লান্ট বিশেষ করে আমাদের মত ঘনবসতি পূর্ণ দেশের জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য যে চুক্তি এবং ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়ে গেলো সেমন কোনো জোরালো প্রতিবাদ দেখলাম না।

চরম সত্য যেটা সেটা হলো, বিদ্যুত সমস্যা কাটিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করতে হলে এই মুহুর্তে পরিবেশের ব্যাপারে কিছুটা ছাড় দিতে হবে আর না হলে যেমন আছে তেমন ভাবেই চলতে দিতে হবে এবং ২০-৩০-৫০ বছর ওয়েট করতে হবে যখন পৃথিবীর সকল ফসিল ফুয়েল শেষ হয়ে যাবে তত দিনে রিনিউয়েবল এনার্জির কস্ট কিছুটা কমে আসবে তখন আমরা পরিবেশ রক্ষা করে বিদ্যুত ব্যবহার করতে পারবো। এভাবেই যখন ৪২ বছর পার করেছি বাকি ৫০ বছর পার করতে বেশী সমস্যা হবে না। আমাদের দেশের সবাই যেহেতু সর্ববিষয়ে অভিজ্ঞ তাই এই বিষয়ে খুব বেশী আলোচনা করে লাভ নেই। কারন এখন যদি বলি সৌর বিদ্যুত কোনো সমাধান নয় তাহলে প্রশ্ন আসবে কেন? সৌর বিদ্যুত দিয়ে যদি ঘড়ি-ক্যালকুলেটর চলে, টর্চ চলে, টিভি- মোবাইল- ল্যাপটপ সবই চালানো যায় তাহলে কেন নয়?? =p~ এর উত্তর কি দেবো?

পলিটিক্যাল কারণেই সরকার কে এখন এই প্রকল্প বাদ দেয়া উচিত। বিশেষ করে ভারতীয় কোম্পানি কে দিয়ে বানানো মোটেও উচিত হবে না। যেহেতু দেশের মেজরিটি মানুষ চাচ্ছেনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.