নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রূপম

আমায় ভাসাইলি রে , আমায় ডুবাইলি রে ....

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়

ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার...

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রস্তাবিত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলজির প্রভাব এবং তা যেভাবে পরিবেশ ক্ষতির হাত থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করবে

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

প্রাচুর্যতা ও কার্যকারিতার কারণে এবং অন্যান্য তাপ উৎপাদনকারী জ্বালানীর থেকে অপেক্ষাকৃত সস্তা হবার কারণে বর্তমান বিশ্বের বেশীরভাগ দেশেরই বিদ্যুতের মূল উৎস হচ্ছে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ।



আসুন দেখে নেই বিভিন্ন উৎস হতে তাপ উৎপাদনে মাসিক খরচঃ



উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে কয়লা থেকে তাপ উৎপন্ন করতে সব চাইতে কম খরচ করতে হয় । এই কারণে আমেরিকার ৫০% বিদ্যুৎ আসে ৩৫০০০০ এর চেয়েও বেশী মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে । এছাড়া চীন, জাপান , রাশিয়া ,জার্মানি, কানাডা , ব্রাজিল,ভিয়েতনাম এবং ডেনমার্কের মত দেশেরও বিদ্যুতের মূল উৎস হচ্ছে কোল ফুয়েল বেইসড পাওয়ার প্ল্যান্ট ।



পৃথিবীতে কোন ভালো কিছুই খুব সহজে পাওয়া যায় না , বিদ্যুৎ তো নয় ই । আর সেই বিদ্যুৎ যদি হয় কয়লা থেকে তাহলে তো আর কথাই নেই ।

কারণ এই কয়লা পুড়িয়ে যখন তাপ উৎপন্ন হয় তখন তাপ উৎপন্ন হবার পাশাপাশি পরিবেশে প্রচুর পরিমানে ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন, কার্বন ডাই অক্সাইড , সালফার ডাই অক্সাইড , নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড , মার্কারি এবং আরো অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসৃত হয় । যা শুধু পরিবেশেরই না , পরিবেশে বসবাস কারী প্রত্যেকটা জীবের জন্যই মারাত্মক ক্ষতিকর ।



এই জন্য কয়েকবছর আগেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে(বিশেষ করে ডেনমার্কের মত পরিবেশ সচেতন দেশে) কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা নিষিদ্ধ ছিলো ।

যাই হুক বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলোজি( এস সি) এবং সর্বশেষ আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলোজি (ইউ এস সি ) ব্যবহারের ফলে ডেনমার্ক সহ পৃথিবীর কোন দেশেই এখন আর সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল নেই ।

এইখানে উল্লেখ্য যে সনাতনি যে পদ্ধতিতে কয়লা ভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হতো বিজ্ঞানের ভাষায় সেটাকে বলা হয় সাব ক্রিটিকাল টেকনোলজি ।




নীচে একটি ডায়াগ্রামের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড,সালফার ডাই অক্সাইড সহ অন্যান্য দূষণ প্রতিরোধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন টেকনোলজির প্রভাব দেখানো হলোঃ



এতে দেখা যাচ্ছে যে একবিংশ শতাব্দীতে এসে নতুন উচ্চ কর্মক্ষম সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলজি ব্যবহার করে এক্সোস্ট গ্যাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সহ অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস সংগ্রহ করার কোন সিস্টেম এপ্লাই না করেই ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমনের হারকে প্রায় শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে আসা সম্ভব ।





এখানে দেখা যাচ্ছে যে আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলজিতে থার্মাল এফিসিয়েন্সি সব চাইতে বেশী এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের হার সব চাইতে কম ।



সনাতন পদ্ধতির সাথে আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলজি অথবা ক্লিন কোল টেকনোলজির পার্থক্য কি?? অথবা কিভাবে কাজ করে আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলজি(ইউএসসি) ??



কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে সাধারণত কয়লাকে একটি নির্দিষ্ট চাপে পাল্ভিরাইজড(পাউডার) করে একটি নির্দিষ্ট তাপে পুড়িয়ে তা থেকে যে তাপ উৎপন্ন হয় সে তাপকে পানি দ্বারা কন্ডেন্স করে তা থেকে উৎপন্ন বাষ্প দিয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় ।

এখানে কয়লাকে পোড়ানোর মধ্যেই আসলে বিদ্যুৎ উৎপাদন জনিত সকল মেকানিজম জড়িত যা মূলত পরিবেশ ক্ষতির কারণ হতে পারে । কয়লা পোড়ানোর তাপমাত্রা এবং চাপ যত বাড়ানো হবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদ্ধতি ততই সাব ক্রিটিকাল থেকে সুপার ক্রিটিকাল এবং আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল হবে ।



সাব ক্রিটিকাল টেকনোলজিতে কয়লাকে পোড়ানো হয় ২৪০০ পিএসআই (১৬.৬ মেগা প্যাসকেল) চাপে এবং ১০০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপে ।

সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলজিতে চাপ ৩৫০০ পিএসআই এবং তাপ ১০৫০ ডিগ্রী ফারেনহাইট । আর আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলজিতে এই চাপ প্রায় ৪৫০০ পিএসআই এবং তাপ ১১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট ।




সুপার ক্রিটিকাল এবং আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলিজেতে কয়লা পোড়ানোর পর যে ফ্লু গ্যাস নির্গত হয় চিমনী দিয়ে তা পরিবেশে বের করে দেয়ার আগে সেটাকে আবার সারকুলেটিং ফ্লুইড বেডে লাইমস্টোনের সাথে বিক্রিয়া করানো হয় ।

বিক্রিয়াটি অপেক্ষাকৃত নিম্ন তাপমাত্রায় ঘটানো হয় যা সাহায্য করে ফ্লু গ্যাসে বিদ্যমান সালফার ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাসকে ওয়েট সলিডে পরিণত করতে। এই প্রক্রিয়া ফ্লু গ্যাস থেকে ৯০% নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং ৯৮% ক্ষতিকর সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাসকে আলাদা করে ফেলে ।

তারপর ফ্লু গ্যাসে বিদ্যমান অতিরিক্ত ৯০% কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসকে কার্বন ক্যাপচার এন্ড স্টোরেজ সিস্টেম(সিসিএস) পদ্ধতিতে ক্যাপচার করে অতিরিক্ত চাপে কম্প্রেস করে মাটির নীচে সংরক্ষন করে রাখা হয় ।



পুরো বিষয়টি আপনাদের সহজে বুঝানোর জন্য নীচের ডায়াগ্রামটা ব্যবহার করলাম । ডায়াগ্রামটি মাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি(এম আই টি) তে ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত ফিউচার অব কোল শীর্ষক সেমিনারের অনলাইন কপি থেকে সংগ্রহ করাঃ



ছবিটি পরিস্কার করে দেখতে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন ।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চিমনী থেকে নির্গত বিষাক্ত ফ্লু গ্যাসের কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হতে পারতো সুপার ক্রিটিকাল এবং আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলজি ব্যবহার করে সেই ক্ষতিকে প্রায় শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে আসা সম্ভব ।







এতোগুলো কথা যেকারণে বললাম ......



সুন্দরবনের বাফার জোন থেকে ১৪ কিমি দূরবর্রাতী রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হলে সুন্দরবনের মারাত্মক ক্ষতি হবে বলে অনেকেই আশংকা করছি । অনেকের আশঙ্কাই যে ভুল এবং অনুমান সাপেক্ষ তা বুঝানোর জন্যই এতো গুলো কথা বলতে হলো এবং কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পুরো প্রসেসটি সহজ ভাষায় বুঝাতে হলো ।



বিশ্বের অন্যান্য কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো রামপালেও আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে । শুধু তাই নয় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য চিমনীর উচ্চতা ২৭৫ মিটার করা হবে যার ফলে অবশিষ্ট ক্ষতিকর ফ্লু গ্যাস বাতাসের ইনভার্সন লেয়ারের উপর চলে যাবে ।



ইনভার্সন লেয়ার কি ?

আবহাওয়া বিজ্ঞান অনুযায়ী ইনভার্সন লেয়ার হচ্ছে বাতাসের এমন একটি স্তর যার উপর দিয়ে কোন কিছু প্রবাহিত হলে নীচের লেয়ারের উপর তা কোন প্রভাব ফেলে না । ফলে বাস্তবে সুন্দরবনের গাছগাছালির উপর কিংবা পরিবেশের উপর নির্গত ক্ষতিকর ফ্লু গ্যাসের কোন প্রভাবই থাকবে না ।









চলবে............

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

তওসীফ সাদাত বলেছেন: বেশ ভালো পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আপ্নাকেও ধন্যবাদ । বিভ্রান্ত হবেন না । আস্থা রাখুন ।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০১

বিজন শররমা বলেছেন: বিদেশী পত্র পত্রিকা বা জার্নাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে পোষ্টটি লেখা হয়েছে । প্রশ্ন থেকে যায়,
(ক) বিদেশে যে সব অত্যন্ত উন্নত এবং ব্যয়বহুল টেকনোলজীর মাধমে এসব ক্ষতিকর আইটেমের ক্ষতিকর মাত্রা, প্রভাব বা অংশ দূর করা হয় তা কি বাংলাদেশে পাওয়া যাবে, বা দীর্ঘকাল অব্যাহত রাখা হবে / যাবে ? এর প্রতিটি ‘ভায়োলেশনের মাধ্যমে’ সংশ্লিষ্ট লোকেরা পাবে বিপুল টাকা । যে দেশে সততার মাত্রা এই পর্য্যায়ের যে বিচারালয়ের নথির অংশ পাচার হয়ে যায়, সে দেশে এগুলি করা বা বজায় রাখা কি সম্ভব ?
(খ) ইনভারশন লেয়ার প্রসঙ্গে এর সুবিধা বলতে যা বলা হয়েছে তা যে অঞ্চলে বৃষ্টি নেই সে অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য । বাংলাদেশে যেখানে শীত ও গ্রীষ্ম উভয় কালে প্রচুর বৃস্টি হয় সেখানে বাতাসে এমনকি অনেক উচ্চতায় অবমুক্ত ক্ষতিকর পদার্থও বৃষ্টির সাথে একসময় সুন্দরবনে আর এক সময় বাগেরহাটের নানা অঞ্চলে পড়বে ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৪

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: খুব সুন্দর দুটি প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ । আগে দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দেই ।

না , আমাদের দেশে যে ধরণের বৃষ্টি হয় সেই বৃষ্টির কারণে ইনভার্সন লেয়ার নষ্ট হবে না । ফলে ক্ষতিকর পদার্থও লেয়ার ভেদ করে সুন্দরবনে কিংবা বাগেরহাটে এসে পড়বে না । আর আপনি যেটাকে ক্ষতিকর পদার্থ বলছেন সেটাতে কিন্তু এমনিতেই খুব অল্প পরিমাণে ক্ষতিকর পদার্থ থাকছে , কার্বন কন্টেন্ট তো এমনিতেই অনেক কম থাকবে , উন্নত বিটুমিনাস কয়লা ব্যবহারের ফলে সালফার কন্টেন্টও কমে যাবে ।

আর আমি যতটুকু জানি ইনভার্সন লেয়ার সাধারণত নষ্ট হয় যখন তাপমাত্রা ফ্রিজিং পয়েন্টের কাছাকাছি চলে যায় তখন । কারণ ইনভার্সন লেয়ার সৃষ্টিই হয় তাপমাত্রার অতিরিক্ত পার্থক্যের কারণে ।

আর প্রথম যে প্রশ্নটি করেছেন কিংবা আশংকা করেছেন তা ১০০ ভাগ যুক্তি সঙ্গত এবং আসলেই একটা চিন্তা বিষয় । বিদ্যুৎ যেহেতু আমাদের খুব প্রয়োজন তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হয়ে প্রস্তাবিত আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলজি যেন বাস্তবায়িত হয়ে আমাদের সেদিকেই নজর দেয়া উচিত এবং সেই দাবীতেই সোচ্চার হওয়া উচিত ।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার কথামত হলে তো ভালোই!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: এভাবেই তো হবার কথা । এভাবে হবে জেনেই তো আমি এভাবে লিখলাম। তবে এভাবেই যেন হয় তার জন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে ।

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৯

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: ভাল পোষ্ট!

+++++++

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

ম্যাংগো পিপল বলেছেন: বাংলাদেশে কি আর কোন যায়গা নাই ??

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: মিস্টার আপনি চাইলেই আপনার বাড়ির পাশে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে পারবেন না ।

বড় বড় জাহাজে করে কয়লা আনা নেওয়ার সুবিধা থাকতে হবে ।জোয়ার ভাটা হয় এবং জাহাজ চলাচলের পরেও যাতে মাছেদের চলাচলের জন্য আলাদা জায়গা থাকে এমন প্রশস্ত নদী থাকতে হবে । পশুর নদীর প্রশস্ততা জানেন তো ?? ২ কিমি কিন্তু !!

আর তাছাড়া বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ণ দেশে মানুষের আবাসস্থল যাতে খুব একটা নষ্ট না হয় সেদিকেও তো খেয়াল রাখতে হবে ।

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

সামু মামু বলেছেন: ভারত সরকার গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশে এ ধরনের দুটি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে ।

কেন ?

Click This Link

এতো ভালো টেকনোলোজি তো ভারতে গিয়া করলেই হয় ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: হয় কেন ব্যর্থ হয়েছে সেটা আপনি ভালো মত না জেনেই তর্ক করতে আসছেন অথবা ইচ্ছে করেই ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে আসছেন ।

ভারতের মধ্য প্রদেশের নরশিংপুর জেলার ঝাইকোলি এবং তুমরা গ্রামের যে ১০০০ একর নিয়ে এই পাওয়ার প্ল্যান্টটা হবার কথা ছিলো সেই ১০০০ একর জায়গাটা ছিলো ঐ দুইটা গ্রামের প্রধান কাল্টিভেটিং ল্যান্ড । সাধারণ কৃষি জমি না ,ঐগুলা ছিলো ডাবল কাল্টিভেটিং ল্যান্ড , অর্থাৎ যে জমি গুলোতে বছরে দুইবার ফসল ফলানো যায় । এই এলাকার মানুষ কৃষি নির্ভর ছিলো বলেই এই দুই গ্রামের মানুষের রুটি রোজগারের কথা ভেবে ভারতের পরিবেশ মন্ত্রনালয় ঐ নির্দিষ্ট জায়গায় পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে দেয় নি । আরেকটি কারণ ছিলো পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য যে হিউজ পরিমান পানি প্রয়োজন ( প্রায় ৩২ কিউসেক) সেটা নরমদার মত একমুখী নদীর পক্ষে দেয়া সম্ভব না,এতে নদী তার স্বাভাবিক প্রভাহ + তার নাব্যতা হ্রাস পাবে ।

বাংলাদেশের যে জায়গায় পাওয়ার প্ল্যান্টটা হচ্ছে সেটা ঐভাবে কোন কৃষিজমি নয় , ঐখানকার বেশীরভাগ মানুষই জীবিকার জন্য সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল । কাজেই ফসলি জমির অজুহাত দেখানোটা যুক্তিযুক্ত নয় । আর ২কিমি প্রস্থের পশুর নদী যেটাতে নিয়মিত জোয়ারভাটা হয় সেটার সাথে নর্মদার মত সরু একমুখী নদীর তুলনা করাও যুক্তিযুক্ত নয় ।

আমি কোন বানোয়াট কথা বলছি না । চুলকানি না থাকলে এই বিষয়ে ভারতীয় দৈনিক দ্যা হিন্দুর এই প্রতিবেদনটি পড়ে আসতে পারেন ।

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @সামু মামুর উত্তর দেন!

এত ভাল তারা নিজেরা খাইল না!!! কেন???????

তাগোর পাশের সুন্দরবরনের কোনা-কানায় উৎপাদন কইরা রপ্তানি করুক।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: উত্তর দিছি , দেখে নিন ।

আর ভুল তথ্য দিয়ে অতিবিপ্লবী হওয়া বন্ধ করেন ।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: দারুণ তথ্য বহুল পোস্ট । কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্পে কোন আপত্তি নাই । কিন্তু আপত্তি হলো এরকম একটা মেগা প্রকল্প সুন্দরবনের মত সংবেদনশীল জায়গায় না হওয়াই ভাল ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: জায়গাটা কিন্তু সুন্দরবনের খুব একটা কাছে নয় মামুন ভাই । এইখানেও আমাদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছে ।

লাক্কাতুরার কথাই ধরুন । লাক্কাতুরা আপনি গিয়েছেন । লাক্কাতুরা সম্পূর্ণটাই কি চা বাগান ??
অবশ্যই না ।

প্রত্যেকটা বনেই কোর এরিয়া, বাফার এরিয়া থাকে । বাফার এরিয়াতে সাধারনত কোন বন্য প্রানী থাকে না । বনের উপর নির্ভর করে যারা জীবিকা ধারণ করে ঐ এরিয়ায় সাধারনত তারাই থাকে , তাদের ছোট খাট কৃষি জমিও থাকে ।

বন্য প্রাণী থাকে কোর এরিয়াতে। তো এই বাফার এরিয়া থেকেই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূরত্ব ১৪ কিমি । আর কোর এরিয়া থেকে ৬৯.৫ কিমি । আর কোর এরিয়ার যে জায়গাটা ইউনেস্কো দ্বারা হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত যেখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বাস সেখান থেকে রামপালের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার মামুন ভাই ।

তো বাংলাদেশের মত দেশে যেখানে বিদ্যুতের অভাবে দেশের সব কয়টি উৎপাদনখাত দিনকে দিন মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সেখানে ৯০ অথবা ৬৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুন্দরবন এতো সতর্কতা অবলম্বনের পরেও বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে ধ্বংস হয়ে যাবে এমন চিন্তা করা কতটুকু যৌক্তিক মামুন ভাই ??

৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মামুন ভাইয়ের সাথে সহমত !
যে কোন শিল্প কারখানাই পরিবেশের ক্ষতি করে !
আমাদের শিল্প - কারখানা লাগবে , বিদ্যুত তারচেয়ে বেশী লাগবে !
কিন্তু সুন্দরবনের মত সংবেদনশীল জায়গাতে কোন আপোষ নেই , কোন দুর্ঘটনা থেকেও সুন্দরবনের ক্ষতি হতে পারে ! এক বাক্যে সুন্দরবন এ দেশের রক্ষাকবচ !

আর ভারতীয়দের সাথে আজ পর্যন্ত কোন চুক্তিতে আমরা লাভবান হই নাই !
১৫% খরচ আমাদের , ১৫% ওদের , ৭০% দুই জন মিলে শোধ করবো !
কিন্তু আমার এই অতি সংবেদনশীল জায়গার দাম কে দিবে !
পোষ্ট চমৎকার হয়েছে ! এ বিষয়ে আমার বিশ্বাসে আমি থাকি , তোমার বিশ্বাসে তুমি থাকো !

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২২

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: সুন্দরবন কিন্তু আমাদের একার না অভি ভাই । ভারতেও সুন্দরবন আছে । আপনি যদি মনে করেন আমাদের অংশের সুন্দরবন ক্ষতির সম্মুখীন হলে তাদের অংশ বহাল তবিয়তেই থাকবে তাহলে আপনাকে আমার কিছু বলার নাই ।

১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এসব কারখানা বানানোর সময় সুন্দরবন অফলিমিট থাকবে- এরকম নীতি থাকলে ভালো হত!

পোস্ট দারুণ।

১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভারতের কি হবে জানিনা , কিন্তু পরবর্তী সিডরে বাঘেরহাট খুঁজে পাবানা !
আমাদের টা আমাদের ভাবতে হয় !
ভারতের সাথে আজ পর্যন্ত কোন চুক্তিতে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে তুমি আমাকে দেখাও , কিছুই পাই নাই আমরা ! এমন অনেক চুক্তি আছে যেখানে ওরা গায়ের জোরে চুক্তি ভংগ করে , আর আমাদের ভাষ্য আমি ছোট আমাকে মারবেন না ! এই বিষয়ে আমার বিশেষ চুলকানী আছে !
বিদ্যুত কেন্দ্র হোক , কিন্তু ওখানে নয় ! আবারো বলছি পোষ্ট চমৎকার !

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১০

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: বুঝলামনা অভি ভাই । আপনি বার বার বলছেন পোস্ট চমৎকার কিন্তু পোস্টে আমি যা বলেছি তা মানতে চাচ্ছেন না ।

আমিতো বল্লামই বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সুন্দরবনের কিছুই হবে না , তার পরেও বাগেরহাট খুঁজে পাবো না এমন কথা আমাকে বলার মানে বুঝলাম না অভি ভাই ।

আপনি বিষয়টাকে যুক্তির পরিবর্তে আবেগ দিয়ে বিচার করছেন অভি ভাই । আবেগ থাকা ভালো , তবে তাকে সকল যুক্তির উর্ধে নিয়ে যাওয়াটা মনে হয় উচিত না ।

আপনার ের আগের কমেন্টের সুত্র ধরেই বলতে হচ্ছে, এ বিষয়ে আমার বিশ্বাসে আমি থাকি , আপনার বিশ্বাসে আপনি থাকন !

ভালো থাকবেন ।

১২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৭

ফজলে রাব্বি চৌধুরী বলেছেন: কষ্ট করে লেখার জন্য ধন্যবাদ । ভাল লেগেছে । কিছু ধারণা ভুল ছিল ! ইনভার্সন লেয়ার কি ? এইটা ভাল হয়েছে ! প্রধান ঝামেলাই হইছে এইটা নিয়ে ! ধন্যবাদ আবারো । :)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১২

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ইনভার্সন লেয়ার নিয়ে একটা লিংক দিয়েছি , ঐটা দেখ । আশা করি বুঝতে পারবি ।

ভুল ধারণার অবসান ঘটুক । কস্ট করে আগ্রহ নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

১৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৪

the lady killer বলেছেন: আপনার আগের পোষ্ট আর এটা দুটোই পড়লাম। দাদাদের প্রতি এতো অহেতুক ভালোবাসার কারণ বুঝতে পারলাম না !
আপনার অবস্থানের সঙ্গে মিল রেখে একটা উদাহরন দেইঃ
ধরুন আমি সানি লিয়নের অনেক বড় ভক্ত। তার ২ ঘন্টা ব্যাপী সেক্স ক্লিপ দেখে প্রতিদিন ঘুমোতে যাই। এখন মানুষজন বলাবলি করছে সানি লিয়ন একজন পর্ণস্টার। কিন্তু আমি কিছুতেই মানতে নারাজ যে সানি লিয়ন তার ভারজিনিটি লুজ করে নি ! যে যাই বলুক আমি আমার বিশ্বাসে অনড় ! আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি সানি লিয়ন একজন ভার্জিন ! কথায় আছে বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদুর ! কেউ সত্যিটা আমাকে বোঝাতে পারবে না। উল্টো আমিই সবাইকে আমার বিশ্বাসের ভিত মজবুত করতে ত্যানা প্যাচাবো, প্রমাণ দিবো যে সানি লিয়ন একজন ভার্জিন !

আপনার পোষ্ট পড়ে আমার মনে হল রামপাল সম্পর্কে আপনার অবস্থান ঠিক তাই !

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১৩

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ধন্যবাদ ।











তবে ল্যাদানোর জন্য এটা উপযুক্ত জায়গা নয় ।


বাই দ্যা ওয়ে আপনার নিক নেম রাখাটা সার্থক ।

১৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: তোমার পোষ্টের বক্তব্যের প্রতি সমর্থন আছে ! হামা ভাইয়ের মত আমিও বলছি এমন হলেই ভালো ! কিন্তু
কোন দুর্ঘটনা থেকেও সুন্দরবনের ক্ষতি হতে পারে !
তাই এই সংবেদনশীল জায়গা নিয়ে আপোষ নেই ! নোয়াখালীর উপকূলে জাগা চর বিকল্প হতে পারে , আগের পোষ্টেই বলেছি !

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪২

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ওকে বাদ দেন ।

তবে এমন হলেই ভালো , এমন তো আপনারা হতেই দিচ্ছেন না । :D

১৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন:
আসলে সবাইকে বিষয়টা মুক্তমনেই ভাবা উচিত আর আলোচনা করা উচিত ।
চুক্তির ধারা সরকারের উম্মুক্ত করে দেয়া উচিত , যাতে আমরা সঠিক অবস্থা জানতে
পারি ।

শুধু বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা অনুচিত ।

দেশের তথা সুন্দরবনের ভাল আমরা সবাই চাই , আমি বিশ্বাস করি পোস্ট দাতাও চান ।

আমরা সব ম্যাটার অফ ফ্যাক্ট আলোচনা করি , বুঝে দেখি , যদি
সব দিক দিয়ে আমরা লাভবান হই , তাহলে আমরা কেন করবনা ?
আর যদি ক্ষতিগ্রসথ হই তাহলে কেন করব ?

শুধু আবেগনির্ভর হওয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয় । দুদিক থেকেই বিষয়টা ভেবে দেখি না !

সবকিছুই যুক্তি দিয়ে বিচার করা উচিত , দেখতে হবে আমাদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কিনা ।

পরিশ্রমী , তথ্য - উপাত্ত বহুল পোস্ট দেয়ার জন্য এবং যুক্তিসহকারে
বক্তব্য রাখার জন্য আমি মন্ত্রি সাহেব কে সাধুবাদ জানাচ্ছি ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪০

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: অবশ্যই মাহমুদ ভাই । নিজেদের কথাই শেষ কথা নয় এটা সবাইকেই বুঝতে হবে । আমি ঠিক বাকিরা ভুল এমন নীতিতে চললে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব না ।

তুলনামূলক পর্যালোচনা করে যা ঠিক মনে হয় সেদিকেই পা বাড়ানো উচিত ।

আর উল্টা পাল্টা আবেগ মিশ্রিত যুক্তি দিয়ে মানুষকে ভুল বুঝানো খুব সহজ কাজ । কিন্তু ভুল মানুষকে সঠিক যুক্তি দেখিয়ে সঠিক পথে নিয়ে আসাটা এতো সহজ না ।

১৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেক তথ্যবহুল লেখা! পোষ্টে ++

বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ, দেশটিকে ঘিরে আছে ভারত ও চীনের মত ইন্ড্রাসট্রিয়াল জায়েন্ট, এই দুটি দেশ সমানে ফসিল ফুয়েল পোড়াচ্ছে। সিমান্ত সংলগ্ন শত শত কয়লা বিদ্যুত প্ল্যান্ট। দুষনের ইম্প্যাট সমান হারেই বাংলাদেশে পড়ছে। আমরা কিছু না করেই ধোঁয়া গিলছি।
আমরা নিজেরাও পরিবেশ সচেতন না। টুষ্ট্রোক ইঞ্জিন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বাদে সব যাগায়ই চলছে। আমদের গাড়ীর একজষ্ট পাইপে ক্যাটালাইটিক কনভার্টার লাগাই না। অতচ অন্যান্ন দেশে এটি ব্যাধ্যতামুলক।
আগে আমরা নিজেরা পরিবেশ সচেতন হই, তার পর উপদেশ দেই।

এটিও পড়ুন (যারা পড়েননি তাদের জন্য)
Click This Link

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: সহমত । কয়লা পুড়ালে চিমনী থেকে যে ক্ষতিকারক গ্যাস বের হয় তার প্রত্যেকটিই কিন্তু আময়রা গাড়ির পাইপ দিয়ে ছাড়ছি ।

অথচ এ নিয়ে বামপন্থি , উদার পন্থি কারো কোন আপত্তি ই নেই । স্বয়ং আনু মোহাম্মদ স্যারেরা প্রতিদিন এইসব মেয়াদ উরতির্ন , ফিটনেস বিহীন গাড়িতে করে যাতায়াত করছেন অথচ এতে যে কি মারাত্মক ভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তা যেন তারা জানেনই না ।

পরিবেশ মনে হয় শুধু সুন্দরবনেই আছে ।

১৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: প্রশ্ন'টা ইন্জিনিয়ারিং, কিন্তু সমাধান দিবেন পরিবেশবাদীরা, তাও রাস্তায় আন্দোলনের মাধ্যমে...... আজব দেশ, আজব দেশের মানুষ আমরা !

ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য.....

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: চমৎকার বলেছেন । প্রশ্নটা আসলেই ইঞ্জিনিয়ারিং ।

কিন্তু যাদের রিপোর্ট পড়ে বিপ্লবীরা আন্দোলনে নেমেছেন তার একজন হলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কৃষি অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষক !!

কি অদ্ভুত !!

১৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১২

চলতি নিয়ম বলেছেন: আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: প্রশ্ন'টা ইন্জিনিয়ারিং, কিন্তু সমাধান দিবেন পরিবেশবাদীরা, তাও রাস্তায় আন্দোলনের মাধ্যমে...... আজব দেশ, আজব দেশের মানুষ আমরা+++++

আসলে আমরা সবাই মহাগিয়ানি তাই। =p~

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: উহু আমরা সবাইই হচ্ছি কাকের বাসায় ডিম পারা কোকিলের বংশধর ।

১৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: তারপরও কথা থেকে যায় । দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তো আছেই । আর রক্ষণা-বেক্ষণ যদি ঠিক মত না হয়, তবে সুন্দরবনের ক্ষতি আরো অনেক দিক দিয়েই হতে পারে । হতে পারে অনেক বর্জ্র হয়তো বনের ভিতর নির্জন স্থানে নিয়ে ফেলা হল । তারপর পশুর নদী থেকে পানি আনা নেয়ার ব্যাপারটাও আছে । বাংলাদেশের বেশিরভাগ নদী-ই এখন মৃতপ্রায় ।

আর বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য সুন্দরবন কাছাকাছি ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই, এমন ভাববারও কারণ দেখি না আমি ।

আর আরেকটা ব্যাপার হল ভারতের সাথে চুক্তির একটা বিপদ আছে । এক্ষেত্রে আমাদের আরেকটু দর-কষাকষিতে যাওয়া উচিৎ ছিল । কেননা, রিস্কটা কিন্তু সম্পূর্ণ আমাদের ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আপনার আশংকা যুক্তিসঙ্গত ।

তবে এমন মেগা প্রজেক্টে মনে হয় না লুকোচুপির কোন সুযোগ আছে ।

আর বাংলাদেশের সব নদী মৃতপ্রায় নয় ব্রাদার । উত্তরবঙ্গে থাকেন কিনা জানিনা । পদ্মা নদী,মেঘনা নদীর কারণে এখনো কত মানুষের ঘর ভাঙ্গে আপনি নিশ্চই জানেন ।

তবে পশুর নদীর সাথে গতানুগতিক নদীর কোন মিল নাই । পশুর নদীতে নিয়মিত জোয়ার ভাটা হয় । এর প্রস্থ প্রায় দুই কিলোমিটার । ৩০ কিউসেক পানি নিলেও এর স্বাভাবিক ফ্লো বাধাগ্রস্থ হবে না ।

রিস্কটা কেবল আমাদেরই না । সুন্দরবন ভারতেও রয়েছে । আমাদের সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হলে ওদের অংশেরটাও অক্ষত থাকবে না ।

২০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: তারপরও কথা থেকে যায় । দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তো আছেই । আর রক্ষণা-বেক্ষণ যদি ঠিক মত না হয়, তবে সুন্দরবনের ক্ষতি আরো অনেক দিক দিয়েই হতে পারে । হতে পারে অনেক বর্জ্র হয়তো বনের ভিতর নির্জন স্থানে নিয়ে ফেলা হল । তারপর পশুর নদী থেকে পানি আনা নেয়ার ব্যাপারটাও আছে । বাংলাদেশের বেশিরভাগ নদী-ই এখন মৃতপ্রায় ।

আর বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য সুন্দরবন কাছাকাছি ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই, এমন ভাববারও কারণ দেখি না আমি ।

আর আরেকটা ব্যাপার হল ভারতের সাথে চুক্তির একটা বিপদ আছে । এক্ষেত্রে আমাদের আরেকটু দর-কষাকষিতে যাওয়া উচিৎ ছিল । কেননা, রিস্কটা কিন্তু সম্পূর্ণ আমাদের ।

২১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:

আপনি কমেন্ট ৬ এর উত্তরে বললেন...
"ভারতের মধ্য প্রদেশের নরশিংপুর জেলার ঝাইকোলি এবং তুমরা গ্রামের যে ১০০০ একর নিয়ে এই পাওয়ার প্ল্যান্টটা হবার কথা ছিলো সেই ১০০০ একর জায়গাটা ছিলো ঐ দুইটা গ্রামের প্রধান কাল্টিভেটিং ল্যান্ড । সাধারণ কৃষি জমি না ,ঐগুলা ছিলো ডাবল কাল্টিভেটিং ল্যান্ড , অর্থাৎ যে জমি গুলোতে বছরে দুইবার ফসল ফলানো যায় । এই এলাকার মানুষ কৃষি নির্ভর ছিলো বলেই এই দুই গ্রামের মানুষের রুটি রোজগারের কথা ভেবে ভারতের পরিবেশ মন্ত্রনালয় ঐ নির্দিষ্ট জায়গায় পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে দেয় নি । আরেকটি কারণ ছিলো পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য যে হিউজ পরিমান পানি প্রয়োজন ( প্রায় ৩২ কিউসেক) সেটা নরমদার মত একমুখী নদীর পক্ষে দেয়া সম্ভব না,এতে নদী তার স্বাভাবিক প্রভাহ + তার নাব্যতা হ্রাস পাবে । "


আবার আমারে উত্তরে বললেন
লেখক বলেছেন: উত্তর দিছি , দেখে নিন ।

আর ভুল তথ্য দিয়ে অতিবিপ্লবী হওয়া বন্ধ করেন ।

এখন দেখূন মিথ্যা তথ্য কে দেয়....

>>>
রামপালে জমি অধিগ্রহণ করার পরিমান ১৮৩৪ একর কৃষি, মৎস চাষ ও আবাসিক এলাকার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ।
এবার আসুন একটু চোখ বুলাই অধিগ্রহণ করা ১৮৩৪ একর জমি থেকে বিদুৎ প্রকল্পের কারনে আমরা বছরে কি কি হারাচ্ছি।
• বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৬২,৩৫৩ টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১২৮৫ টন ধান উৎপাদিত হয়। ১০ বছরে
• ধান ছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ১,৪০,৪৬১ টন অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হয়।
• প্রতি বাড়িতে গড়ে ৩/৪টি গরু, ২/৩ টি মহিষ, ৪টি ছাগল, ১টি ভেড়া, ৫টি হাঁস, ৬-৭ টি করে মুরগী পালন করা হয়।ম্যানগ্রোভ বনের সাথে এলাকার নদী ও খালের সংযোগ থাকায় এলাকাটি স্বাদু ও লোনা পানির মাছের সমৃদ্ধ ভান্ডার। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা খাল ও নদীর নেটওয়ার্ক জৈব বৈচিত্র ও ভারসাম্য রক্ষা করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে৫২১৮৬৬ মেট্রিক টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১৮৩৪ একর জমিতে (৫৬৯৪১ মেট্রিক টন) মাছ উৎপাদিত হয়।

এখন আপনি বলুন- প্রতি বিপ্লবী কে??

ভারতের দুই ফসলী জমি আপনার যুক্তিকে শানিত করলো....তাদের জন্য আপনার মায়া হলো, আর নিজের দেশের ক্ষতিকে আড়াল করতে আপনার কি প্রাণান্ত প্রচেষ্টা!!!!!!!!!

সত্যি কি বিচিত্র এই দেশ!!!!!!!!!!!!! আর কি বিচিত্র দেশপ্রেমিক!!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৮

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: এসব কপিপেস্ট করা তথ্য পাচার বন্ধ করুন ।

সুন্দরবন গিয়েছেন কখনো ?? গিয়ে দেখে আসুন সুন্দরবনের আশেপাশের মানুষ কি করে খায় ।

কৃষিজমিতে চাষ করা এখানকার প্রত্যেকতটা মানুষেরই বিকল্প পেশা । সবাই ই প্রত্যক্ষভাবে সুন্দরবন ও পশুর/সুতাখালি নদীর উপর নির্ভরশীল । আর ঐখানের কৃষি জমি গুলো কোনটাই দুফসলা নয় ।

একটু আধটু নেগসিয়েট তো করতেই হবে ।এইখানে তো শেখ হাসিনা নিজে থাকার জন্য বিলাসবহুল বাসা বানাচ্ছেন না ।

হাইওয়ে বানালেও তো ফসলি জমির ক্ষতি হয় ।

আপনাদের মত মানুষের জন্যই মাটির নীচে প্রচুর রিজার্ভার থাকার পরেও আমরা কোন কিছুই এক্সপ্লোয়েট করতে পারছি না ।নিজের দেশে প্রচুর কয়লা থাকার পরেও চড়া দামে তা ভারত,অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানী করতে হচ্ছে । মাইন করে কিছু তুলতে গেলেই বলে উঠেন ফসলি জমির ক্ষতি হবে , পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে ।

অথচ এই আপ্নারাই সুন্দরবনের মত যায়গায় ঘুরতে যেয়ে সিগারেটের ফিল্টার থেকে শুরু করে পটেটো চিপসের প্যাকেট পর্যন্ত ফেলে আসেন,এতে পরিবেশের কিছু যায় আসে না ।

২২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: আপনার পোষ্টগুলো পড়ে আমি কিছুটা ভরসা পাচ্ছি, জানতে পারছি! আমার নিজের কিছুটা জানার ঘাটতি ছিল, তা আপনার কাছ থেকে মিটেছে...

আমি আমার একটা পোষ্টে নিচের কথাগুলো বলেছিলাম ...
যারা আজ রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবি জানাতে যেয়ে সুন্দরবন ধ্বংসের কথা বলছে, তারা কিন্তু একটা বাহানা দাড় করিয়েছে আর এই বাহানাটা হলো "সুন্দরবন"!
আজ যদি সরকার অন্য এক জায়গায় এই প্রকল্পটা স্থানান্তর করতে যায়, দেখা যাবে সেখানেও তারা অন্য একটা ইস্যু তৈরি করেছে এবং সেটাও বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।
.... বলে যথেষ্ট ... খেয়েছি !!!

নিচে লিঙ্ক দিলাম ... আর একটু খাওয়ার জন্য – সেধে গাল এগিয়ে দেওয়া আর কি ...
আসলে "রামপাল"এর পুড়োটাই রাজনীতি আর "সুন্দরবন" হচ্ছে একটা বাহানা মাত্র!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.